মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সঙ্গী-সাথীদের মধ্য হতে যাদের মধ্যে নেতৃত্ব দেয়ার মত যোগ্যতা দেখতেন, অন্যান্য লোকদের পরিচালনা করার মত দূরদর্শিতা লক্ষ করতেন এবং বড় বড় গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো খুব সতর্কতা ও আমানতদারীর সাথে আঞ্জাম দেয়ার মত সাহস অনুভব করতেন, তাদের তিনি বিভিন্ন কাজের দায়িত্বশীল, আমীর ও নেতা বানাতে কোন প্রকার কার্পণ্য করতেন না। কিন্তু এ ধরনের যোগ্যতা সম্পন্ন লোকদের কাজের দায়-দায়িত্ব প্রদানের পরও যখন তাদের মধ্যে কোন প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি, দোষ বা অন্যায় দেখতেন, তাদের সতর্ক করতে এবং আদেশ বা নিষেধ করতে তিনি বিন্দু পরিমাণও কুণ্ঠাবোধ করতেন না। হিকমত, বুদ্ধি-মত্তা ও প্রজ্ঞা দিয়ে তিনি তাদের সতর্ক ও সংশোধন করতেন।
যেমন:-আলী রা. এর হাদীস তিনি বলেন,
«أن النبي -صلى الله عليه وسلم- بعث جيشاً وأَمَّر عليهم رجلاً، فأوقد ناراً، وقال : ادخلوها ! فأرادوا أن يدخلوها، وقال آخرون : إنما فررنا منها، فذكروا للنبي -صلى الله عليه وسلم-، فقال للذين أرادوا أن يدخلوها : لو دخلوها لم يزالوا فيها إلى يوم القيامة، وقال للآخرين : لا طاعة في معصيةٍ، إنما الطاعة في المعروف» .
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা একটি সৈন্যদল পাঠান এবং একজনকে তাদের আমীর নিযুক্ত করেন। লোকটি তার সৈন্যদের পরীক্ষা করার জন্য আগুন জালিয়ে তাদের বললেন, তোমরা আমার আদেশানুযায়ী আগুনে প্রবেশ কর। তার নির্দেশ মানার উদ্দেশ্যে একদল আগুনে প্রবেশ করতে উদ্যত হল এবং অপর দল বলল, আমরাতো আগুন হতে পলায়ন করেই ইসলামে প্রবেশ করেছি। সুতরাং আমরা পুনরায় আগুনে প্রবেশ করবো না। এ ঘটনা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললে, তিনি যারা আগুনে ঝাঁপ দিতে উদ্যত হয়েছিল, তাদের সম্পর্কে বললেন, যদি তারা তাতে প্রবেশ করত, কিয়ামত পর্যন্ত তাতেই অবস্থান করত। আর অপর দল সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন- অন্যায় কাজে কোন আনুগত্যতা নাই, আনুগত্যতা হল ভালো কাজে। [বুখারী: ৭৬৫৭]
وحديث أبي حميد الساعدي ـ رضي الله عنه ـ قال : «استعمل رسول الله -صلى الله عليه وسلم- رجلاً على صدقات بني سليمٍ يُدعَى ابن الْلَّتْبِيَّة؛ فلما جاء حاسبه، قال : هذا مالُكم، وهذا هدية، فقال رسول الله -صلى الله عليه وسلم -: فهلاَّ جلست في بيت أبيك وأمك حتى تأتيك هديتك إن كنت صادقاً ! ثم خطبنا، فحمد الله وأثنى عليه، ثم قال : أما بعد : فإني أستعمل الرجل منكم على العمل مما ولاَّني الله، فيأتي فيقول : هذا مالكم وهذا هدية أُهديت لي ! أفلا جلس في بيت أبيه وأمه حتى تأتيه هديته؟ ! واللهِ لا يأخذ أحد منكم شيئاً بغير حقه إلا لقي الله يحمله يوم القيامة، فلأعرفن أحداً منكم لقي الله يحمل بعيراً له رُغَاء، أو بقرة لها خُوَار، أو شاة تَيْعَر، ثم رفع يده حتى رُئي بياض إبطه يقول : اللهم هل بلَّغت، بَصَر عيني وسَمْعَ أذني» .
আবু হুমাইদ আস্সায়েদী রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক লোক যাকে ইবনে লাতবীয়া বলে ডাকা হত, তাকে বনী সুলাইমের সদকা আদায়ের জন্য কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দেন। সদকা উসুল করে আসার পর যখন তার নিকট হিসাব রক্ষক আসল, সে বলল, এ হল তোমাদের সম্পদ আর এ হল আমার জন্য হাদীয়া। এ কথা শোনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি কেন তোমার মাতা পিতার ঘরে বসে থাকলে না, যাতে তোমার নিকট লোকেরা হাদীয়া নিয়ে আসতো! যদি তুমি তোমার কথায় সত্যবাদী হয়ে থাক! ।
তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের উদ্দেশ্য ভাষণ দিলেন। প্রথমে তিনি আল্লাহর প্রশংসা করেন ও তার শুকরিয়া আদায় করেন। তারপর তিনি বলেন, আল্লাহ তা‘আলা যে সব কাজ আঞ্জাম দেয়ার দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন, তা হতে কতক কাজের বাস্তবায়নের জন্য আমি তোমাদের থেকে কাউকে কাউকে নিয়োগ দিয়ে থাকি। কিন্তু তারা আমার নিকট এসে বলে- এ হলো তোমাদের সম্পদ আর এ হল আমার জন্য হাদীয়া। সে যখন তার মাতা -পিতার ঘরে বসে থাকে, তখন কেন তার নিকট কেউ হাদীয়া নিয়ে আসে না। আমি আল্লাহর শপথ করে বলছি, তোমাদের যে কেউ অন্যায়ভাবে কোন কিছু আত্মসাৎ করবে, ক্বিয়ামতের দিন সে তা বহন করেই আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করবে। সেদিন আমি তোমাদের কাউকে দেখতে পাব, সে আল্লাহর সাথে একটি উট বহন করে সাক্ষাত করছে, যে অবস্থায় উটটি চিৎকার করছে। অথবা একটি গরু বহন করছে আর গরুটি বাঁ বাঁ করছে অথবা একটি ছাগল বহন করছে, আর ছাগলটি চিৎকার করছে। তারপর তিনি তার দুহাত আল্লাহর দরবারে এমন উঁচা করেন যে, তার বগলে নীচের সাদা রং দেখা যাচ্ছিল। এবং তিনি আল্লাহকে ডেকে বলেন- হে আল্লাহ আমি কি তোমার দ্বীনের দাওয়াত মানুষের নিকট পৌছাইনি? যা আমার চোখ প্রত্যক্ষ করেছে এবং আমার কর্ণদ্বয় শুনেছে? [বুখারী: ৬৯৭৯]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/588/7
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।