hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুসলিম উম্মাহর সংশোধনের গুরুত্ব ও পদ্ধতি

লেখকঃ জাকের উল্লাহ আবুল খায়ের

আলেম-ওলামা, ইবাদত-গুজার ও বিশিষ্ট-জনদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেভাবে সতর্ক করতেন:-
আলেমগণ ও যারা আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত বন্দেগীতে সময় কাটাতেন এবং যারা বেশি বেশি করে আল্লাহর আনুগত্য করত, এ উম্মতের মধ্যে ধরনের লোকদের একটি বিশেষ মর্যাদা ও সম্মান রয়েছে। যার কারণে তাদের সাথে কথা বলতে হলে এবং তাদের কোন কিছুর দাওয়াত দিতে হলে অবশ্যই তাদের ইজ্জত সম্মানের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাদের থেকে কোন ভুলভ্রান্তি, দোষত্রুটি ও অন্যায় প্রকাশ পেলে তাদের মর্যাদা ও সম্মান তা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য তাদের সতর্ক করা বিষয়ে কোন প্রতিবন্ধক হয়নি। কারণ, রাসূল তো উম্মতের শিক্ষক ও অভিভাবক। তার মান-সম্মান ও ইজ্জতের সামনে সবই তুচ্ছ। তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের সতর্ক করার কারণে তাদের মান-ইজ্জত ও সম্মানের কোন ব্যাঘাত ঘটেনি। বরং তার শিক্ষা পেয়ে তারা ধন্য ও সফল হয়েছে।

এর প্রমাণস্বরূপ জাবের রা. এর হাদীস:- তিনি বলেন,

«أن معاذ بن جبل ـ رضي الله عنه ـ كان يصلي مع النبي -صلى الله عليه وسلم-، ثم يأتي قومه فيصلي بهم الصلاة، فقرأ بهم البقرة، قال : فَتَجَوَّز رجـل فصلى صـلاة خفيـفة، فـبلغ ذلك معاذاً، فقال : إنه منافق، فبلغ ذلك الرجلَ، فأتى النبيَّ -صلى الله عليه وسلم-، فقال : يا رسول الله ! إنَّا قوم نعمل بأيدينا، ونسقي بنواضحنا، وإن معاذاً صلى بنا الـبارحة، فـقرأ البـقرة فتجـوَّزت، فزعـم أني منافق، فقال النبي -صلى الله عليه وسلم -: يا معاذ ! أفتَّان أنت؟ ( ثلاثاً ) ، اقرأ : ﴿وَالشَّمْسِ وَضُحَاهَا﴾ [ الشمس : 1] ، و﴿سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الأَعْلَى﴾ [ الأعلى : 1] ، ونحوها»

‘‘মুয়ায ইবন জাবাল রা. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে জামাতের সালাত আদায় করতেন। তারপর সে তার সম্প্রদায়ের লোকদের নিকট আসতো এবং তাদের সালাতের জামাতের ইমামতি করত। আর তাদের সাথে যে জামাত পড়াতেন সে সালাতের জামাতে তিনি সূরা বাকারা তিলাওয়াত করত। এ দেখে এক লোক অসহ্য হয়ে জামাতে সালাত ছেড়ে দিয়ে, সংক্ষিপ্তাকারে একা একা সালাত আদায় করে বাড়িতে চলে যান। এ সংবাদ মুয়ায রা. এর নিকট পৌছলে, তিনি তার সম্পর্কে মন্তব্য করে বলেন, নিশ্চয় সে মুনাফেক। তার এ মন্তব্য সম্পর্কে লোকটি জানতে পেরে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা এমন এক সম্প্রদায়ের লোক, আমরা হাতে কামাই করে আহার যোগাড় করি এবং নিজেরা কষ্ট করে পানি পান করি। আর মুয়ায রা. গত রাতে আমাদের সালাতের জামাতের ইমামতি করেন, তাতে তিনি সূরা বাকারা তিলাওয়াত করতে আরম্ভ করলে আমি অধৈর্য হয়ে একা একা সংক্ষিপ্ত সালাত আদায় করে চলে যাই। তারপর সে ধারণা করে বলে যে, আমি একজন মুনাফিক। তার কথা শোনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলল, হে মুয়ায! তুমি কি ফিতনা সৃষ্টি কারী? এ কথাটি তিনি তাকে তিন বার বললেন। তুমি সালাতে ﴿وَالشَّمْسِ وَضُحَاهَا﴾ ﴿سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الأَعْلَى﴾ এ ধরনের সূরা পড়’’। [বুখারী: ৬১০৬]

وحديث عبد الله بن عمرو ـ رضي الله عنهما ـ قال : «زوَّجني أبي امرأة، فجاء يزورها، فقال : كيف ترين بعلك؟ فقالت : نِعْم الرجل من رجل ! لا ينام الليل ولا يفطر النهار . فوقع بي، وقال : زوَّجْتك امرأةً من المسلمين فعضلْتَها، قال : فجعلت لا ألتفت إلى قوله؛ مما أرى عندي من القوة والاجتهاد، فبلغ ذلك النبي -صلى الله عليه وسلم-، فقال : لكني أنا أقوم وأنام، وأصوم وأفطر، فقم ونم، وصم وأفطر ! قال : صم من كل شهر ثلاثـة أيـام، فقلت : أنا أقـوى من ذلك، قـال : صـم صـوم داود ـ عليه السلام ـ صـم يومـاً وأفـطر يوماً، قلت : أنا أقوى من ذلك . قـال : اقـرأ القرآن في كل شهر، ثم انتهى إلى خمس عشرة وأنا أقول : أنا أقوى من ذلك» .

আব্দুল্লাহ ইবন আমর রা. এর হাদিস তিনি বলেন, ‘‘আমার পিতা আমাকে একটি মহিলার সাথে বিবাহ দেন। তারপর তিনি যখন তাকে দেখতে গেলেন তখন জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি তোমার স্বামীকে কেমন পেলে। সে উত্তরে বলল, মানুষের মধ্য হতে সে একজন ভালো মানুষ। রাতে ঘুমায় না সারা রাত এবাদত করে এবং দিনে সে খায় না রোজা রাখে। তারপর তিনি আমার নিকট এসে আমাকে বললেন, আমি তোমাকে একজন মুসলিমের মেয়ের সাথে বিবাহ দিলাম অথচ তুমি তাকে দুরে সরিয়ে রাখলে। আমি তার কথার দিকে কোন প্রকার গুরুত্ব দিলাম না। কারণ, আমি ভাবলাম আমার মধ্যে শক্তি-সামর্থ্যে কোন কমতি ছিল না। তাই তার কথায় কোন প্রকার কর্ণপাত করিনি। বিষয়টি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে পৌছলে- তিনি বললেন, কিন্তু আমি রাত জেগে ইবাদত করি আবার ঘুমাই, আর রোজা রাখি এবং ইফতার করি। সুতরাং, তুমিও ঘুমাও এবং রাত জেগে ইবাদত কর আবার রোজা রাখ ও ইফতার কর। তারপর রাসূল সা. বললেন, তুমি প্রতি মাসে তিনটি করে রোজা রাখ, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি এর চেয়েও আরও অধিক রোযা রাখার সামর্থ্য রাখি। তখন তিনি বললেন, তাহলে তুমি দাউদ আ. এর রোজা রাখার অনুকরণ কর। ( তিনি একদিন রোজা রাখতেন এবং একদিন ইফতার করতেন) একদিন রোজা রাখবে আর একদিন ইফতার করবে। তারপর আমি বললাম, আমিতো এর চেয়েও আরো অধিক ইবাদত বন্দেগীর সামর্থ্য রাখি। তারপর তিনি বললেন তাহলে তুমি প্রতি মাসে একবার কুরআন খতম কর। তারপর বললেন, তুমি পনের দিনে একবার কুরআন খতম কর। এভাবে রাসূলের কথার উত্তরে আমি বলতে ছিলাম, আমিতো এর চেয়েও আরও অধিক সামর্থ্য রাখি। বুখারী: ৫০৫২

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন