HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
আন্তঃধর্মীয় সংলাপ ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি
লেখকঃ ড. মোঃ আবদুল কাদের
৪
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ: আন্তঃধর্মীয় সংলাপের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তাবিশ্বায়নের ফলে ছোট হয়ে আসছে পৃথিবী। পৃথিবীর এক প্রান্তে কি ঘটছে এক নিমিষে শুধু খবরই পৃথিবীর অন্য প্রান্তে পৌঁছে না, তার দ্বারা প্রভাবিতও হয়। ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় বিভিন্ন বর্ণ, গোত্র ও ধর্মের লোক আজ একত্রে বাস করতে বাধ্য। পারস্পরিক সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও সহাবস্থান নিশ্চিত সহ বিভিন্ন কারণে আজ বিভিন্ন ধর্ম নিয়ে আলোচনা এবং এ বিষয়ে গবেষণা অত্যন্ত আবশ্যক হয়ে পড়েছে। এসব কারণের মধ্যে রাজনৈতিক, নৃতাত্ত্বিক, সমাজতাত্ত্বিক, ধর্মীয় ও ধর্মতাত্ত্বিক কারণ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রকৃত কোনো অবদান রাখতে চাইলে প্রত্যেক ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে পারস্পরিক সংলাপ এ মুহূর্তে অত্যন্ত জরুরী। বিভিন্ন ধর্মের পর্যালোচনা, উন্নয়ন, পরিশোধন ও সঠিক ব্যাখ্যার জন্য আন্তঃধর্মীয় সংলাপ বা বিনিময় অত্যাবশ্যকীয়। আমরা কে এবং কী তা জানার জন্য আমাদেরকে অন্য ধর্ম সম্পর্কে জানতে হবে। অন্য ধর্মকে জানার একটা আবশ্যিক শর্ত হচ্ছে আমাদের নিজেদেরকে জানা এবং আমাদের নিজেদেরকে জানার একটি আবশ্যিক শর্ত হচ্ছে অন্য ধর্ম সম্পর্কে জানা। ভাষা সম্পর্কে যেমন বলা হয়, যে শুধু একটি ভাষা জানে সে দাবি করতে পারে না যে ঐ ভাষা সম্পর্কে যথার্থ জ্ঞান আছে। ঠিক তেমনিভাবে বলা যায়, যে শুধু একটি মাত্র ধর্মকে জানে সে কোনো ধর্মই সঠিকভাবে জানে না। তাই ‘যোয়াকিম ওয়াচ’ বলেন, ধর্ম সম্পর্কে যথার্থ দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে এরূপ, যখন সবগুলি ধর্মকে অন্তত কিছুটা জানতে সক্ষম হবে একমাত্র তখনই আমরা কোনো একটি ধর্মকে যথার্থভাবে জানি বলে দাবি করতে পারবো।
আমরা যদি সত্যিকার অর্থেই আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি চাই তাহলে আমাদেরকে মনে রাখতে হবে, আমরা একটি বৃহৎ সত্তায় অন্তর্ভুক্ত একটি বিশাল পরিবারের সদস্য হিসেবে বিভিন্ন ধরনের কাজ করছি এবং আমরা সকলেই ভালোবাসা ও সত্যের আত্মিক বাস্তবায়নের দিকে ধাবমান। আন্তঃধর্মীয় সংলাপে বিশ্বাসী কেউ কেউ বলেন, জগদ্বাসীকে নতুন করে আবার আহ্বান জানাতে হবে: ‘‘বিবাদ নয়, সহায়তা; বিনাশ নয় পরস্পরের ভাবগ্রহণ; মতবিরোধ নয়, সমন্বয় ও শান্তি।’’
ইসলামের দৃষ্টিতে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ
ইসলাম আন্তঃধর্মীয় সংলাপের সমর্থক। সমগ্র মানবজাতির কাছে ইসলামকে বিশ্বজনীনরূপে প্রচার, প্রসার করতে সংলাপের গুরুত্ব অপরিসীম। ইসলাম মূলত সকল ধর্মের সহাবস্থানের স্বীকৃতি প্রদান এবং মানুষের প্রতি সম্মান ও মর্যাদাপূর্ণ আচরণের উৎসাহ প্রদান করে।
মানবজীবনের পরম কল্যাণ ও শান্তি নিশ্চিতকারী জীবনব্যবস্থা হিসেবে ইসলাম সুপরিচিত। আল-কুরআনে যা ‘আদ-দ্বীন’ নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, সংস্কৃতি নির্বিশেষে সকলের মাঝে শান্তি স্থাপনে এর মূল লক্ষ্য। পরমত সহিষ্ণুতা ইসলামের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য; যা আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনুপম জীবনীতে লক্ষ্য করি। প্রায়শই তাঁর কাছে আলোচনার জন্য নাসারা ও ইয়াহূদীরা আসত। তিনি তাদের সাথে আলোচনা করতেন। তবে যে বর্ণনাটি খুব ঘটা করে বর্ণনা করা হয় যে, নাজরান থেকে আগত খ্রিষ্টান প্রতিনিধিদলকে তার নিজ মসজিদের অভ্যন্তরে তাদের সান্ধ্য-আরাধনা সম্পাদন করতে অনুমতি প্রদান করেছিলেন। এ বর্ণনাটি শুদ্ধ নয়। কারণ ইসলাম কখনও তার কর্মকাণ্ড ও নিজস্ব গণ্ডিতে অন্য কোনো ধর্মের হস্তক্ষেপ মেনে নেয় না। মসজিদ ইসলামের নিজস্ব এলাকা, এখানে অন্যের হস্তক্ষেপ কখনও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। নিজের দ্বীনের কোনো অংশ তর্কের খাতিরে ছেড়ে দেওয়ার মানসিকতাও কোনো মুসলিম করতে পারে না। যারা এটা করবে তারা মূলত ইসলাম বিদ্বেষী, মুনাফিক ও যিন্দীক।
এর বিপরীতে ইসলাম নিজের স্বকীয়তা বজায় রেখে অন্য ধর্মাবলম্বীদের সাথে আলোচনায় বিশ্বাসী, যদি তা ইসলামের দাওয়াত সম্প্রসারনের উদ্দেশ্যে সংঘটিত হয়।
ইসলাম বিশ্বাস করে, মানুষ মানুষে ও জাতিতে জাতিতে বিভেদ থাকতে পারে; কিন্তু তারা সবাই একই স্রষ্টার সৃষ্টি। তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় ভাষাগত পার্থক্য, ভৌগলিক অসংলগ্নতা ও সাংস্কৃতিক বিভিন্নতার কোনো অন্তরায় নয়। মানবজাতির বিশ্বজনীন ঐক্য বন্ধনকে সুদৃঢ় করতে এবং জাতি, ধর্ম, বর্ণ, সংস্কৃতি নির্বিশেষে পারস্পরিক সদাচার, ন্যায়বিচার, সার্বজনীন মানবীয় মূল্যবোধ নিশ্চিত করে ইসলাম।
সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রকৃত কোনো অবদান রাখতে চাইলে প্রত্যেক ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে পারস্পরিক সংলাপ এ মুহূর্তে অত্যন্ত জরুরী। বিভিন্ন ধর্মের পর্যালোচনা, উন্নয়ন, পরিশোধন ও সঠিক ব্যাখ্যার জন্য আন্তঃধর্মীয় সংলাপ বা বিনিময় অত্যাবশ্যকীয়। আমরা কে এবং কী তা জানার জন্য আমাদেরকে অন্য ধর্ম সম্পর্কে জানতে হবে। অন্য ধর্মকে জানার একটা আবশ্যিক শর্ত হচ্ছে আমাদের নিজেদেরকে জানা এবং আমাদের নিজেদেরকে জানার একটি আবশ্যিক শর্ত হচ্ছে অন্য ধর্ম সম্পর্কে জানা। ভাষা সম্পর্কে যেমন বলা হয়, যে শুধু একটি ভাষা জানে সে দাবি করতে পারে না যে ঐ ভাষা সম্পর্কে যথার্থ জ্ঞান আছে। ঠিক তেমনিভাবে বলা যায়, যে শুধু একটি মাত্র ধর্মকে জানে সে কোনো ধর্মই সঠিকভাবে জানে না। তাই ‘যোয়াকিম ওয়াচ’ বলেন, ধর্ম সম্পর্কে যথার্থ দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে এরূপ, যখন সবগুলি ধর্মকে অন্তত কিছুটা জানতে সক্ষম হবে একমাত্র তখনই আমরা কোনো একটি ধর্মকে যথার্থভাবে জানি বলে দাবি করতে পারবো।
আমরা যদি সত্যিকার অর্থেই আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি চাই তাহলে আমাদেরকে মনে রাখতে হবে, আমরা একটি বৃহৎ সত্তায় অন্তর্ভুক্ত একটি বিশাল পরিবারের সদস্য হিসেবে বিভিন্ন ধরনের কাজ করছি এবং আমরা সকলেই ভালোবাসা ও সত্যের আত্মিক বাস্তবায়নের দিকে ধাবমান। আন্তঃধর্মীয় সংলাপে বিশ্বাসী কেউ কেউ বলেন, জগদ্বাসীকে নতুন করে আবার আহ্বান জানাতে হবে: ‘‘বিবাদ নয়, সহায়তা; বিনাশ নয় পরস্পরের ভাবগ্রহণ; মতবিরোধ নয়, সমন্বয় ও শান্তি।’’
ইসলামের দৃষ্টিতে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ
ইসলাম আন্তঃধর্মীয় সংলাপের সমর্থক। সমগ্র মানবজাতির কাছে ইসলামকে বিশ্বজনীনরূপে প্রচার, প্রসার করতে সংলাপের গুরুত্ব অপরিসীম। ইসলাম মূলত সকল ধর্মের সহাবস্থানের স্বীকৃতি প্রদান এবং মানুষের প্রতি সম্মান ও মর্যাদাপূর্ণ আচরণের উৎসাহ প্রদান করে।
মানবজীবনের পরম কল্যাণ ও শান্তি নিশ্চিতকারী জীবনব্যবস্থা হিসেবে ইসলাম সুপরিচিত। আল-কুরআনে যা ‘আদ-দ্বীন’ নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, সংস্কৃতি নির্বিশেষে সকলের মাঝে শান্তি স্থাপনে এর মূল লক্ষ্য। পরমত সহিষ্ণুতা ইসলামের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য; যা আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনুপম জীবনীতে লক্ষ্য করি। প্রায়শই তাঁর কাছে আলোচনার জন্য নাসারা ও ইয়াহূদীরা আসত। তিনি তাদের সাথে আলোচনা করতেন। তবে যে বর্ণনাটি খুব ঘটা করে বর্ণনা করা হয় যে, নাজরান থেকে আগত খ্রিষ্টান প্রতিনিধিদলকে তার নিজ মসজিদের অভ্যন্তরে তাদের সান্ধ্য-আরাধনা সম্পাদন করতে অনুমতি প্রদান করেছিলেন। এ বর্ণনাটি শুদ্ধ নয়। কারণ ইসলাম কখনও তার কর্মকাণ্ড ও নিজস্ব গণ্ডিতে অন্য কোনো ধর্মের হস্তক্ষেপ মেনে নেয় না। মসজিদ ইসলামের নিজস্ব এলাকা, এখানে অন্যের হস্তক্ষেপ কখনও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। নিজের দ্বীনের কোনো অংশ তর্কের খাতিরে ছেড়ে দেওয়ার মানসিকতাও কোনো মুসলিম করতে পারে না। যারা এটা করবে তারা মূলত ইসলাম বিদ্বেষী, মুনাফিক ও যিন্দীক।
এর বিপরীতে ইসলাম নিজের স্বকীয়তা বজায় রেখে অন্য ধর্মাবলম্বীদের সাথে আলোচনায় বিশ্বাসী, যদি তা ইসলামের দাওয়াত সম্প্রসারনের উদ্দেশ্যে সংঘটিত হয়।
ইসলাম বিশ্বাস করে, মানুষ মানুষে ও জাতিতে জাতিতে বিভেদ থাকতে পারে; কিন্তু তারা সবাই একই স্রষ্টার সৃষ্টি। তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় ভাষাগত পার্থক্য, ভৌগলিক অসংলগ্নতা ও সাংস্কৃতিক বিভিন্নতার কোনো অন্তরায় নয়। মানবজাতির বিশ্বজনীন ঐক্য বন্ধনকে সুদৃঢ় করতে এবং জাতি, ধর্ম, বর্ণ, সংস্কৃতি নির্বিশেষে পারস্পরিক সদাচার, ন্যায়বিচার, সার্বজনীন মানবীয় মূল্যবোধ নিশ্চিত করে ইসলাম।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন