hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আলেমগণের মধ্যে মতভেদ কারণ এবং আমাদের অবস্থান

লেখকঃ আল্লামা শাইখ মুহাম্মাদ ইবন সালেহ্ আল-উসাইমীন

কারণ ২ : হাদীছ তাঁর কাছে পৌঁছেছে, কিন্তু তিনি সেটার বর্ণনাকারীর উপর আস্থা স্থাপন করতে পারেন নি। বরং ঐ হাদীছকে তিনি সেটার চেয়ে শক্তিশালী হাদীছের বিরোধী মনে করেছেন। ফলে তার দৃষ্টিতে যেটা শক্তিশালী মনে হয়েছে, তিনি সেটাকেই গ্রহণ করেছেন।
এখন আমরা স্বয়ং ছাহাবীগণের মধ্যে ঘটে যাওয়া এমন একটা ঘটনা দিয়ে উদাহরণ পেশ করবঃ

ফাতিমা বিনতে ক্বায়স রাযিয়াল্লাহু আনহা-কে তাঁর স্বামী তিন ত্বালাকের সর্বশেষ ত্বালাক দিয়ে দেন। অতঃপর তিনি তাঁর [ফাতিমার] নিকট তাঁর [ফাতিমার স্বামীর] প্রতিনিধির মাধ্যমে কিছু যব ইদ্দতকালীন সময়ে তাঁর খোরপোষ হিসাবে পাঠান। কিন্তু ফাতিমা বিনতে ক্বায়স রাযিয়াল্লাহু আনহা এতে ক্রোধান্বিত হন এবং তা নিতে অস্বীকার করেন। অতঃপর এক পর্যায়ে তাঁরা বিষয়টা নিয়ে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম-এর কাছে যান এবং রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম উক্ত মহিলাকে এ মর্মে খবর দেন যে, ‘তাঁর জন্য ভরণপোষণের কোন খরচ নেই এবং নেই কোন আবাসন ব্যবস্থা’। [. মুসলিম, ‘তালাক্ব’ অধ্যায়, হা/১৪৮০।] কেননা তিনি [ফাতিমার স্বামী] তাঁর স্ত্রীকে ‘বায়েন ত্বালাক’ [‘তালাক্ব বায়েন’ طلاق بائن দুই প্রকারঃ ১- ‘ছোট বায়েন তালাক্ব’ طلاق بائن بينونة صغرى : যে তালাক্বের পরে স্বামী তার স্ত্রীকে তার স্ত্রীর সম্মতিতে নতুন বিয়ে ও মোহরের মাধ্যমে আবার ফেরৎ নিতে পারে এবং অন্য কোথাও বিয়ে হয়ে তালাক্বপ্রাপ্তা হওয়ার শর্ত না থাকে, তাকে ‘ছোট বায়েন তালাক’ طلاق بائن بينونة صغرى বলে। যেমনঃ এক বা দুই তালাক্ব দেওয়ার পর স্ত্রী ইদ্দত থেকে বের হয়ে গেলে। ২- ‘বড় বায়েন তালাক্ব’ طلاق بائن بينونة كبرى : যে তালাক্বের পরে স্বামী তার স্ত্রীর সম্মতি এবং নতুন বিবাহ বন্ধনের মাধ্যমে তাকে স্ত্রীকে ফেরৎ নিতে পারে না; বরং স্ত্রীর অন্য জায়গায় স্বাভাবিক বিয়ে হিল্লা বিয়ে নয় এবং উভয়ের সহবাস হতে হয়। অতঃপর বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটতে হয় এবং স্ত্রীকে ইদ্দত পালন করতে হয়, তাকে ‘বড় বায়েন তালাক্ব’ طلاق بائن بينونة كبرى বলে।–অনুবাদক।] দিয়ে দিয়েছেন। আর বায়েন ত্বালাকপ্রাপ্তার ভরণপোষণ ও আবাসনের দায়িত্ব তার স্বামীর উপর থাকে না। তবে যদি ঐ মহিলা গর্ভবতী হয়, [তাহলে খোরপোষ ও আবাসন দুটোই দিতে হবে]। এ মর্মে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তারা গর্ভবতী থাকলে সন্তান প্রসব পর্যন্ত তাদের জন্য ব্যয় করবে’। [. সূরা আত-তালাক্ব ৬।]

ওমর রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর শ্রেষ্ঠত্ব ও জ্ঞানের কথা বলার অবকাশ নেই। অথচ তাঁর মত মানুষের এই সুন্নাতটা অজানা ছিল। সেজন্য ঐ মহিলার খোরপোষ ও আবাসনের পক্ষে মত দিয়েছিলেন এবং ফাতিমা রাযিয়াল্লাহু আনহা ভুলে গেছেন-এই সম্ভাবনার উপর ভিত্তি করে তাঁর হাদীছ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এমনকি তিনি বলেছিলেন, ‘একজন মহিলার কথার উপর ভিত্তি করে আমরা কি আমাদের প্রতিপালকের কথা পরিত্যাগ করব- অথচ আমরা জানি না যে, তার মনে আছে নাকি ভুলে গেছে?’ আর একথার অর্থ এই যে, আমীরুল মুমিনীন ওমর রাযিয়াল্লাহু আনহু এই দলীলের প্রতি আস্থাশীল হতে পারেন নি। এমন ঘটনা যেমন ওমর রাযিয়াল্লাহু আনহু, অন্যান্য ছাহাবীবর্গ রাযিয়াল্লাহু আনহুম এবং তাবেঈন রহেমাহুমুল্লাহ-এর ক্ষেত্রে ঘটেছে, তেমনিভাবে তাবে‘ তাবেঈন রাযিয়াল্লাহু আনহুম-এর ক্ষেত্রেও ঘটেছে। এমনিভাবে আমাদের যুগেও অনুরূপ ঘটছে; বরং ক্বিয়ামত পর্যন্ত মানুষ কোন কোন দলীলের বিশুদ্ধতার উপর এভাবে অনাস্থাশীল হতে থাকবে। বিদ্বানগণের কত অভিমতের পক্ষেই তো আমরা হাদীছ দেখতে পাই। কিন্তু কেউ কেউ সেই হাদীছকে ছহীহ জেনে ঐ অভমত গ্রহণ করেন। আবার কেউ কেউ রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম থেকে ঐ হাদীছের বর্ণনার প্রতি আস্থাশীল না হয়ে উহাকে দুর্বল মনে করতঃ ঐ অভিমত গ্রহণ করেন না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন