মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
কারণ ৬ : ভুলকারী ঐ ব্যক্তির বিশ্বাস, তাঁর কাছে যে দলীল পৌঁছেছে তা তার চেয়ে শক্তিশালী উদ্ধৃতি বা ইজমার বিরোধী। অর্থাৎ দলীল পেশকারীর কাছে দলীল পৌঁছেছে; কিন্তু তাঁর মতে, উক্ত দলীল সেটার চেয়ে শক্তিশালী উদ্ধৃতি বা ইজমার বিরোধী। আর আলেমগণের মতানৈক্যের পেছনে এই কারণটার ভূমিকা অনেক বেশী। সেজন্য আমরা কোন কোন আলেমকে ইজমার উদ্ধৃতি দিতে শুনি। কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে তা ইজমা নয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/724/8
ইজমার উদ্ধৃতি পেশের ক্ষেত্রে অদ্ভুত উদাহরণ হচ্ছে: কেউ কেউ বলেন, দাসের সাক্ষ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে তাঁরা একমত হয়েছেন। আবার কেউ কেউ বলেন, দাসের সাক্ষ্য গ্রহণীয় নয় মর্মে তাঁরা একমত হয়েছেন। এটা অদ্ভুত একটা বর্ণনা! কেননা কেউ কেউ যখন তাঁর আশেপাশের সবাইকে কোন বিষয়ে একমত হতে দেখেন, তখন সেই বিষয়টা উদ্ধৃতিসমূহের [কুরআন-হাদীছের উদ্ধৃতি] অনুকূলে ভাবেন এবং মনে করেন, তাঁদের বিরোধী কোন দলীল নেই। সেজন্য তাঁর ব্রেইনে দুই ধরনের দলীলের সমাবেশ ঘটে [কুরআন-হাদীছের] উদ্ধৃতি ও ইজমা। এমনকি তিনি মনে করেন, ঐ বিষয়টা সঠিক ক্বিয়াস এবং দৃষ্টিভঙ্গিরও অনুকূলে। ফলে, তিনি ঐ বিষয়ে মতানৈক্য না থাকার পক্ষে মত প্রকাশ করেন এবং সঠিক ক্বিয়াসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কুরআন ও ছহীহ হাদীছের উদ্ধৃতির বিরোধী কোন দলীল আছে বলে তিনি মনে করেন না। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, বিষয়টা ছিল উল্টা।
আমরা ‘রিবাল ফায্ল’ [ فضل –অর্থঃ অতিরিক্ত, বাড়তি ইত্যাদি। সাধারণতঃ পরিমাপ পাত্র দ্বারা মাপ করা হয় অথবা কেজি-বাটখারা দ্বারা ওযন করা হয় এমন বস্তু অনুরূপ একই শ্রেণীর বস্তুর বিনিময়ে কম বা বেশী দেওয়া-নেওয়ার শর্তে ক্রয়-বিক্রয় করার নাম ‘রিবাল ফায্ল’ ربا الفضل । এই সূদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত জিনিসটা কোন কিছুর বিনিময়ে আদান-প্রদান হয় না এবং লেনদেন হাতে হাতে সম্পন্ন হয়।–[অনুবাদক]।] رِبَا الْفَضْلِ এর ক্ষেত্রে ইবনু আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহুমা- এর অভিমতটাকে উদাহরণ হিসাবে পেশ করতে পারিঃ-
রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘সুদ শুধুমাত্র ‘রিবান-নাসীআহ’ [ نسيئة -অর্থঃ বিলম্ব, দেরী। এই প্রকার সূদে লেনদেনকৃত দুটো বস্তুর একটা মূল বস্তুর চেয়ে বেশী পরিমাণে আদান-প্রদান হয় এবং সেই অতিরিক্ত বস্তুটা মূলধনকে দেরীতে অল্প হলেও পরিশোধের বিনিময়ে হয়ে থাকে বলে একে ‘রিবান-নাসীআহ’ ربا النسيئة বলে। আর এটা সাধারণতঃ পরিমাপ পাত্র দ্বারা মাপ করা হয় এমন অথবা বাটখারা দ্বারা ওযন করা হয় এমন বস্তু অথবা একই শ্রেণীর অন্য যেকোন বস্তুর লেনদেনের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে, অন্য ক্ষেত্রে নয়। সেজন্য লেনদেনকৃত দুটো বস্তুর একটা যদি টাকা-পয়সা হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে সূদ হবে না। [অনুবাদক]] رِبَا النَسِيْئَةِ -এর ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ’। [. ইমাম বুখারী হাদীছটা নিম্নোক্ত শব্দে বর্ণনা করেছেন, ‘নাসীআর ক্ষেত্রে ছাড়া অন্য ক্ষেত্রে সূদ নেই’। ‘ক্রয়-বিক্রয়’ অধ্যায়, হা/২১৭৮-২১৭৯; মুসলিম, ‘বরগা চাষ’ অধ্যায়, হা/১৫৯৬; ইবনু মাজাহ, ‘ব্যবসা-বাণিজ্য’ অধ্যায়, হা/২২৫৭।] উবাদাহ ইবনু ছামেত রাযিয়াল্লাহু আনহু সহ অন্যান্য ছাহাবী থেকে বর্ণিত হাদীছে প্রমাণিত হয়েছে, ‘রিবান-নাসীআহ’ এবং ‘রিবাল ফায্ল’ উভয় ক্ষেত্রেই সুদ হবে’। [. মুসলিম, ‘বরগা চাষ’ অধ্যায়, হা/১৫৮৭।]
ইবনু আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর পরে সকল আলেম একমত হয়েছেন যে, সুদ দুই প্রকারঃ ১ ‘রিবাল ফায্ল’ ربا الفضل ও ২ ‘রিবান নাসীআহ’ ربا النسيئة । কিন্তু ইবনু আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহু নাসীআহ ব্যতীত অন্য কিছুতে সুদ হওয়ার বিষয়টা অস্বীকার করেছেন। যেমনঃ যদি তুমি হাতে হাতে এক ছা গম দুই ছা গমের বিনিময়ে বিক্রয় কর, তাহলে ইবনু আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহুমা-এর নিকটে কোন সমস্যাই নেই। কেননা তাঁর মতে, সুদ কেবলমাত্র নাসীআহ-এর ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ।
অনুরূপভাবে, যদি তুমি দুই ‘মিছক্বাল’ [সোনার ওযন বিশেষ] সোনার বিনিময়ে এক ‘মিছক্বাল’ সোনা হাতে হাতে বিক্রয় কর, তাহলে তাঁর নিকটে সুদ হবে না। তবে যদি গ্রহণ করতে দেরী কর অর্থাৎ তুমি আমাকে যদি এক ‘মিছক্বাল’ সোনা দাও কিন্তু আমি তার মূল্য যদি তোমাকে এখন না দিয়ে উভয়ে বেচাকেনার বৈঠক থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার পরে দেই, তাহলে সেটা সুদ হবে। কেননা ইবনু আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর মতে, হাদীছে উল্লেখিত এই সীমাবদ্ধতা [নাসীআহ ছাড়া] অন্য কিছুতে সুদ হওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক। আর আসলেই إنما শব্দটা সীমাবদ্ধতা অর্থে ব্যবহৃত হয়। সুতরাং তা [নাসীআহ] ছাড়া অন্য কিছুতে সুদ হবে না।
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে উবাদাহ রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর হাদীছ প্রমাণ করে যে, ‘রিবাল ফায্ল’ও সুদের অন্তর্ভুক্ত। কেননা রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি বেশী দিল বা নিল, সে সুদী কারবার করল’। [. মুসলিম, ‘বরগা চাষ’ অধ্যায়, হা/১৫৮৮।]
এক্ষণে, ইবনু আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক দলীল হিসাবে পেশকৃত হাদীছের ক্ষেত্রে আমাদের ভূমিকা কি হবে?
আমাদের ভূমিকা হবে, হাদীছটাকে আমরা এমন অর্থে গ্রহণ করব, যাতে ‘রিবাল ফায্ল’-কে সুদ গণ্যকারী হাদীছের সাথে এই হাদীছও মিলে যায়। সেজন্য আমরা বলব: মারাত্মক সুদ হচ্ছে, ‘রিবান নাসীআহ’- যার কারবার জাহেলীযুগের লোকেরা করত এবং যে সম্পর্কে কুরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধিহারে সুদ খেওনা’। [. সূরা আলে-ইমরান ১৩০।] তবে ‘রিবাল ফায্ল’ তদ্রুপ মারাত্মক নয় [‘রিবাল ফাযল’ ‘রিবান নাসীআহ’-এর মত মারাত্মক না হলেও তা হারাম। সুতরাং কেউ যেন ইহাকে তুচ্ছজ্ঞান করে কোনক্রমেই সূদী কারবারে জড়িয়ে না পড়ে। কেননা, অপেক্ষাকৃত ছোট পাপ করতে করতে মানুষ কখন যে নিজের অজান্তেই অনেক বড় পাপ করে বসে, তা বলা যায় না। মনে রাখতে হবে, পরকালে সুদী কারবারের পরিণতি বড় কঠিন হবে। মহান আল্লাহ আমাদেরকে হেফাযত করুন। আমীন!– [অনুবাদক]।]। সে কারণে ইবনুল ক্বাইয়িম রহেমাহুল্লাহ তাঁর [জগদ্বিখ্যাত] গ্রন্থ ‘এ‘লামুল মুওয়াক্কেঈন’ إعلام الموقعين -এ বলেন, মূল সুদের অন্যতম মাধ্যম হওয়ার কারণে ‘রিবাল ফায্ল’-কে হারাম করা হয়েছে। সেটাই যে মূল সুদ, সে হিসাবে নয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/724/8
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।