hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আলেমগণের মধ্যে মতভেদ কারণ এবং আমাদের অবস্থান

লেখকঃ আল্লামা শাইখ মুহাম্মাদ ইবন সালেহ্ আল-উসাইমীন

কারণ ৩ : তাঁর কাছে হাদীছ পৌঁছেছে, কিন্তু তিনি তা ভুলে গেছেন। আর যিনি ভুলেন না তিনি তো মহান [আল্লাহ]।
কত মানুষ আছেন- যিনি হাদীছ ভুলে যান; এমনকি কখনও আয়াতও ভুলে যান। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম একদিন ছাহাবীগণ রাযিয়াল্লাহু আনহুম-কে নিয়ে নামায পড়েন এবং নামাযে তিনি ভুলক্রমে একটা আয়াত ছেড়ে দেন। তাঁর সাথে ছিলেন উবাই ইবনে কাব রাযিয়াল্লাহু আনহু। নামায শেষে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘তুমি কি আমাকে আয়াতটা স্মরণ করিয়ে দিতে পারনি!’ [. আবু দাঊদ, ‘ছালাত’ অধ্যায়, হা/৯০৭।] অথচ তাঁর উপর অহী নাযিল হয়েছে এবং তাঁকে লক্ষ্য করেই আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘অচিরেই আমি তোমাকে পাঠ করাবো। ফলে তুমি ভুলবে না। তবে আল্লাহ যা ইচ্ছে করেন, তা ব্যতীত। নিশ্চয়ই তিনি প্রকাশ্য ও গুপ্ত বিষয় পরিজ্ঞাত আছেন’। [. সূরা আল-আ'লা ৬-৭।]

আর হাদীছ পৌঁছার পর তা ভুলে যাওয়ার এই কারণটার উদাহরণসমূহের মধ্যে আম্মার ইবন ইয়াসির রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর সাথে ওমর রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর ঘটনা অন্যতম। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম তাঁদের দু’জনকে কোন এক প্রয়োজনে পাঠালে তাঁরা উভয়েই নাপাক হয়ে যান। এরপর আম্মার গবেষণা করে দেখেন যে, মাটি দিয়ে পবিত্রতা অর্জন পানি দিয়ে পবিত্রতা অর্জনের মতই। ফলে তিনি মাটিতে গড়াগড়ি দেন- যেমনিভাবে পশু গড়াগড়ি দেয়। এর পেছনে উদ্দেশ্য ছিল, সারা দেহে মাটি মাখিয়ে দেওয়া- যেমনিভাবে পানি মাখাতে হয়। এরপর তিনি নামায আদায় করেন। অপরদিকে ওমর রাযিয়াল্লাহু আনহু নামাযই আদায় করলেন না।… অতঃপর তাঁরা রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম-এর নিকট আসলে তিনি তাঁদেরকে সঠিক নিয়ম বলে দেন। আম্মার রাযিয়াল্লাহু আনহু-কে তিনি বলেন, ‘দুই হাত দিয়ে এরকম করলেই তোমার জন্য যথেষ্ট হত’। [একথা বলে] তিনি তাঁর দুই হাত একবার মাটিতে মারলেন। অতঃপর বাম হাতকে ডান হাতের উপর বুলিয়ে উভয় হাতের তালু এবং মুখমণ্ডল মাসাহ করলেন। আম্মার রাযিয়াল্লাহু আনহু ওমর রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর খিলাফতকালে এবং তারও আগে এই হাদীছটা বর্ণনা করতেন। ইতিমধ্যে ওমর রাযিয়াল্লাহু আনহু তাঁকে একদিন ডেকে পাঠান এবং তাঁকে লক্ষ্য করে বলেন, তুমি এটা কি ধরনের হাদীছ বর্ণনা করছ? অতঃপর আম্মার রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আপনার কি মনে পড়ে- রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে কোন এক প্রয়োজনে পাঠালে আমরা নাপাক হয়ে যাই। ফলে আপনি নামায আদায় করেছিলেন না; কিন্তু আমি মাটিতে গড়াগড়ি দিয়েছিলাম। এরপর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলেছিলেন, ‘দুই হাত দিয়ে এরকম করলেই তোমার জন্য যথেষ্ট ছিল’। কিন্তু ওমর রাযিয়াল্লাহু আনহু ঘটনাটা স্মরণ করতে পারলেন না; বরং বললেন, আল্লাহকে ভয় কর হে আম্মার! অতঃপর আম্মার রাযিয়াল্লাহু আনহু তাঁকে বললেন, আমার উপর আপনার অনুসরণ করা যেহেতু আল্লাহ আবশ্যক করে দিয়েছেন, সেহেতু আপনি যদি চান যে, এই হাদীছটা আমি আর বর্ণনা করব না, তাহলে তাই করব। তখন ওমর রাযিয়াল্লাহু আনহু তাঁকে বললেন, আমি যে দায়িত্ব অর্পিত হয়েছি, তোমাকেও সে দায়িত্ব অর্পণ করলাম’ [. বুখারী, ‘তায়াম্মুম’ অধ্যায়, হা/৩৩৮, ৩৪৫, ৩৪৬; মুসলিম, ‘ঋতুস্রাব’ অধ্যায়, হা/৩৬৮।]। -অর্থাৎ তুমি এই হাদীছ মানুষকে বর্ণনা কর-। তাহলে দেখা গেল, ছোট অপবিত্র অবস্থায় যে তায়াম্মুম রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম নির্ধারণ করেছেন, ঠিক ঐ একই তায়াম্মুম বীর্যস্খলন জনিত কারণে অপবিত্র অবস্থায়ও নির্ধারণ করেছেন- একথাটা ওমর রাযিয়াল্লাহু আনহু ভুলে গেছেন এবং তিনি এ বিষয়ে আব্দুল্লাহ ইবন মাসঊদ রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর পক্ষেই ছিলেন। আর আব্দুল্লাহ ইবন মাসঊদ রাযিয়াল্লাহু আনহু ও আবু মূসা রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর মাঝে এ বিষয়ে বিতর্কও হয়েছে। বিতর্কে আবু মূসা রাযিয়াল্লাহু আনহু ওমর রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর উদ্দেশ্যে বলা আম্মার রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর উক্তিটা পেশ করেন। তখন ইবনু মাসঊদ রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তুমি কি দেখনি যে, ওমর রাযিয়াল্লাহু আনহু আম্মার রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর কথায় পরিতুষ্ট হতে পারেননি? অতঃপর আবু মূসা রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ঠিক আছে আম্মার রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর কথা না হয় বাদই দিলাম, কিন্তু এই আয়াত সম্পর্কে তুমি কি বলবে?-অর্থাৎ সূরা আল–মায়েদার আয়াত-। জবাবে ইবনে মাসঊদ রাযিয়াল্লাহু আনহু কিছুই বললেন না। যাহোক, নিঃসন্দেহে এখানে অধিকাংশ বিদ্বানের কথাই সঠিক-যারা বলছেন, বীর্যপাত জনিত কারণে অপবিত্র ব্যক্তি তায়াম্মুম করতে পারে-যেমনিভাবে ছোট নাপাকীর কারণে অপবিত্র ব্যক্তি তায়াম্মুম করতে পারে।

এ ঘটনা বর্ণনার উদ্দেশ্য হচ্ছে, মানুষ ভুলে যেতে পারে এবং শার‘ঈ কোন হুকুম তার কাছে অজানা থেকে যেতে পারে। ফলে সে যদি কিছু [ভুল] বলে, তাহলে সে ওযরগ্রস্ত হিসাবে গণ্য হবে। কিন্তু যে ব্যক্তি দলীল জানবে, সে তো ওযরগ্রস্ত হিসাবে পরিগণিত হবে না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন