১
কিতাবের নাম/ লেখক/ অনুবাদক/ সম্পাদক
২
ভূমিকা
৩
মতভেদের কারণসমূহ
কারণ ১ : যিনি শরী‘আতের হুকুম বর্ণনায় ভুল করেছেন, ভিন্নমত পোষণকারী এই ব্যক্তির কাছে দলীল না পৌঁছা।
৪
কারণ ২ : হাদীছ তাঁর কাছে পৌঁছেছে, কিন্তু তিনি সেটার বর্ণনাকারীর উপর আস্থা স্থাপন করতে পারেন নি। বরং ঐ হাদীছকে তিনি সেটার চেয়ে শক্তিশালী হাদীছের বিরোধী মনে করেছেন। ফলে তার দৃষ্টিতে যেটা শক্তিশালী মনে হয়েছে, তিনি সেটাকেই গ্রহণ করেছেন।
৫
কারণ ৩ : তাঁর কাছে হাদীছ পৌঁছেছে, কিন্তু তিনি তা ভুলে গেছেন। আর যিনি ভুলেন না তিনি তো মহান [আল্লাহ]।
৬
কারণ ৪ : তাঁর কাছে হাদীছ পৌঁছেছে; কিন্তু তিনি হাদীছের অর্থ উল্টা বুঝেছেন।
৭
কারণ ৫ : তাঁর কাছে হাদীছ পৌঁছেছে; কিন্তু হাদীছটা [নতুন বিধান অবতীর্ণ হওয়ার কারণে] রহিত منسوخ। কিন্তু সেই আলেম বা বিদ্ধান ব্যক্তি রহিতকারী নতুন সেই বিধান সম্পর্কে জানেন না।
৮
কারণ ৬ : ভুলকারী ঐ ব্যক্তির বিশ্বাস, তাঁর কাছে যে দলীল পৌঁছেছে তা তার চেয়ে শক্তিশালী উদ্ধৃতি বা ইজমার বিরোধী। অর্থাৎ দলীল পেশকারীর কাছে দলীল পৌঁছেছে; কিন্তু তাঁর মতে, উক্ত দলীল সেটার চেয়ে শক্তিশালী উদ্ধৃতি বা ইজমার বিরোধী। আর আলেমগণের মতানৈক্যের পেছনে এই কারণটার ভূমিকা অনেক বেশী। সেজন্য আমরা কোন কোন আলেমকে ইজমার উদ্ধৃতি দিতে শুনি। কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে তা ইজমা নয়।
৯
কারণ ৭ : আলেম যঈফ হাদীছকে [দলীল হিসাবে] গ্রহণ করেন অথবা [দলীল শক্তিশালী, কিন্তু] তাঁর দলীলের বুঝ্ বা উপলব্ধিটা দুর্বল।
১০
কিন্তু এত কিছুর পরে আমাদের ভূমিকা কি হবে?
১১
এক্ষণে এসব মতানৈক্যের ব্যাপারে আমরা আমাদের ভূমিকার কথা আলোচনা করব।
১২
পরিশেষে,