HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
নাজাফ সম্মেলন
লেখকঃ সাইয়েদ আব্দুল্লাহ আস-সুওয়াইদী
৪
সম্মেলনের প্রথম দিনইরানের আলেমগণ ইমাম আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু’র সমাধির পেছনে অবস্থিত ছাদের নীচে একত্রিত হল। তাদের মধ্যে আরদালানের [আরদালান পশ্চিম ইরানের অঙ্গরাজ্যের অন্তর্ভুক্ত একটি এলাকা; তার অধিবাসীগণ কুর্দি জাতির অন্তর্ভূক্ত। আর তার উত্তরে রয়েছে আযারবাইজান; আর পশ্চিমে রয়েছে ওসমানীয়া কুর্দি অঞ্চল; আর দক্ষিণে রয়েছে লারাস্তান এবং তার পূর্বে রয়েছে ইরাকে ‘আজম। আর তা দুই ভাগে বিভক্ত ছিল: উত্তর অঞ্চল, তার প্রধান নগর হল সানা নগর এবং দক্ষিণ অঞ্চল যাকে ‘কারমানশাহ’ নামে নামকরণ করা হয়েছে, তার প্রধান নগর হল কারমানশাহ।] মুফতি ব্যতীত কোন সুন্নী আলেম ছিল না। অতঃপর আমি কাগজ-কলম চেয়ে নিলাম এবং তাদের প্রসিদ্ধ আলেমদের নাম লিপিবদ্ধ করে নিলাম। আর তারা হলেন:
১. মোল্লা বাশী আলী আকবর।
২. রেকাবের মুফতি আকা হোসাইন।
৩. মোল্লা মুহাম্মদ, লাহজানের ইমাম।
৪. আকা শরীফ, মুফতি মাশহাদ রেযা।
৫. মির্জা বুরহান, শিরওয়ানের কাযী।
৬. শাইখ হোসাইন, উরমিয়ার মুফতি।
৭. মির্জা আবূল ফদল, কুমের মুফতি।
৮. আলহাজ্ব সাদেক, জামের মুফতি।
৯. সাইয়্যেদ মুহাম্মদ মাহদী, আস্ফাহানের ইমাম।
১০. আলহাজ্ব মুহাম্মদ যাকী, কারমানশাহের মুফতি।
১১. আলহাজ্ব মুহাম্মদ আল-ছামানী, সিরাযের মুফতি।
১২. মির্জা আসাদুল্লাহ, তাবরীযের মুফতি।
১৩. মোল্লা তালিব, মাযান্দারানের মুফতি।
১৪. মোল্লা মুহাম্মদ মাহদী, মাশহাদ রেযা’র উপ-প্রধানমন্ত্রী।
১৫. মোল্লা মুহাম্মদ সাদেক, বাখালখালের মুফতি।
১৬. মুহাম্মদ মুমিন, আস্তরাবাদের মুফতি।
১৭. সাইয়্যেদ মুহাম্মদ তকী, কাযবীনের মুফতি।
১৮. মোল্লা মুহাম্মদ হোসাইন, সাবযাওয়ারের মুফতি।
১৯. সাইয়্যেদ বাহাউদ্দীন, কারমানের মুফতি।
২০. সাইয়্যেদ আহমদ, আরদালানের মুফতি শাফেয়ী প্রমুখ আলেমগণ।
অতঃপর আফগানের আলেমগণ আগমন করলেন; আর আমি তাদের নামসমূহ লিখে নিলাম। তারা হলেন:
১. সম্মানিত শাইখ মোল্লা হামযা আল-কালানজানী আল-হানাফী, আফগানের মুফতি।
২. মোল্লা আমীন আফগানী আল-কালানজানী, আফগানের কাযী।
৩. মোল্লা তহা আফগানী আল-হানাফী, শিক্ষক, নাদিরাবাদ।
৪. মোল্লা দুনিয়া আল-খলিফী আল-হানাফী।
৫. মোল্লা নূর মুহাম্মদ আফগানী আল-কালানজানী আল-হানাফী।
৬. মোল্লা আবদুর রাজ্জাক আফগানী আল-কালানজানী আল-হানাফী।
৭. মোল্লা ইদ্রিস আফগানী আল-আবদালী আল-হানাফী।
তার কিছুক্ষণ পর ‘মা অরাউন্নহর’ ( ما وراء النهر ) অঞ্চলের আলেমগণ আগমন করলেন; আর তাদের সংখ্যা ছিল সাতজন, তাদের সামনে ছিলেন একজন সম্মানিত শাইখ যার চেহারায় ছিল শ্রদ্ধাবোধের ছাপ এবং মাথায় ছিল পেঁচানো পাগড়ি, যা দর্শকদেরকে ইমাম আবূ হানিফার র.-এর ছাত্র আবূ ইউসুফ র.-কে স্মরণ করিয়ে দেয়। অতঃপর তিনি তাদের সালাম দিলেন; আর তারা তাঁকে আমার ডান পাশে বসিয়ে দিলেন। তবে আমার ও তাঁর মাঝে প্রায় পনের ব্যক্তির মত বসা ছিল; আর আফগানদের বসানো হয়েছে আমার বাম দিকে; অনুরূপভাবে এখানেও আমার ও তাঁর মাঝে প্রায় পনের ব্যক্তি বসা ছিল। আর এই বসানোর মধ্যেও পারসিকদের ষড়যন্ত্র ও কৌশল ছিল! তারা আশঙ্কা করেছিল যে, আমি তাদেরকে কিছু কথা তালকিন দেব অথবা তাদেরকে ইঙ্গিত দেব। অতঃপর আমি তাদের নামসমূহও লিখে নিলাম। তারা হলেন:
১. আল্লামা হাদী খাজা ওরফে বাহরুল ইলম, ইবন ‘আলাউদ্দীন আল-বুখারী আল-হানাফী, বুখারার কাযী।
২. মীর আবদুল্লাহ সদুর আল-বুখারী আল-হানাফী।
৩. কালান্দর খাজা আল-বুখারী আল-হানাফী।
৪. মোল্লা আমীদ সদুর আল-বুখারী আল-হানাফী।
৫. বাদশাহ মীর খাজা আল-বুখারী আল-হানাফী।
৬. মির্জা খাজা আল-বুখারী আল-হানাফী।
৭. মোল্লা ইবরাহীম আল-বুখারী আল-হানাফী।
অতঃপর যখন তাদেরকে বসানের পালা শেষ হল, মোল্লা বাশী বাহরুল ইলমকে সম্বোধন করে বললেন: তুমি কি এই ব্যক্তির পরিচয় জান? (তিনি আমাকে ইঙ্গিত করেন)।
তখন সে বলল: না।
সে (মোল্লা বাশী) বলল: তিনি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের মর্যাদাবান আলেমগণের অন্যতম শাইখ আবদুল্লাহ আফেনদী; উযির আহমদ পাশা’র শাহ তাকে এই মজলিসে হাজির হওয়ার জন্য তলব করেছেন। সুতরাং তিনি আমাদের মধ্যে বিচারক এবং শাহের প্রতিনিধি; অতএব যখন কোন হুকুমের উপর আমাদের রায় ঐক্যবদ্ধ হয়, তখন তিনি আমাদের সকলের উপর সাক্ষী থাকবেন। সুতরাং এখন তুমি তোমার সেসব বিষয় আমাদের নিকট খুলে বল, যেগুলোর কারণে তোমরা আমাদেরকে কাফির বলে থাক, যাতে তার উপস্থিতিতেই আমরা তা দূর করতে পারি। আর মূলত আমরা আবূ হানিফা’র মতানুসারে কাফির নই; ‘জামে‘উল উসূল’ ( جامع الأصول ) গ্রন্থে বলা হয়েছে, “ইসলামের পরিধি পাঁচটি মাযহাবের উপর” এবং তিনি পঞ্চম মাযহাব হিসেবে “ইমামীয়া মাযহাব”-কে গণ্য করেছেন। অনুরূপভাবে ‘মাওয়াকেফ’ ( المواقف ) গ্রন্থকারও “ইমামীয়া মাযহাব”-কে ইসলামী ফিরকার অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য করেছেন। আর আবূ হানিফা র. ‘আল-ফিকহুল আকবর’ ( الفقه الأكبر ) গ্রন্থে বলেছেন: “আমরা আহলুল কিবলাকে কাফির বলি না”। আর সাইয়্যিদ অমুক (সে তার স্পষ্ট নাম উল্লেখ করেছিলেন, তবে আমি ভুলে গেছি) “হেদায়া” গ্রন্থের শরাহ (ব্যাখ্যা) ‘আল-ফিকহুল হানাফী’ ( الفقه الحنفي )-এর মধ্যে বলেন: “বিশুদ্ধ কথা হল, ইমামীয়াগণ ইসলামী ফিরকার অন্তর্ভুক্ত”। কিন্তু পরবর্তী আলেমগণ তাদের স্থলাভিষিক্ত হয়ে আমাদেরকে কাফির বলেছে, ঠিক একইভাবে আমাদের পরবর্তী আলেমগণ তোমাদেরকে কাফির বলেছে; অথচ আমরা এবং তোমরা কেউই কাফির নই। কিন্তু তুমি সেসব বিষয় আমাদের সামনে পেশ কর, যেগুলো তোমাদের পরবর্তী আলেমগণ উল্লেখ করেছে এবং যার কারণে তারা আমাদেরকে কাফির বলছে, যাতে আমরা তা দূর করতে পারি।
অতঃপর হাদী খাজা বলল:
শায়খাইন তথা আবূ বকর ও ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমাকে তোমরা গালি দেয়ার কারণে তোমরা কাফির।
তখন মোল্লা বাশী বলল: শায়খাইনকে গালি দেওয়াটা আমরা প্রত্যাহার করে নিলাম।
অতঃপর সে বলল: সকল সাহাবী রাদিয়াল্লাহু আনহুমকে তোমরা পথভ্রষ্ট ও কাফির বলার কারণে তোমরা কাফির।
তখন মোল্লা বাশী বলল: সাহাবীগণ সকলেই ন্যায়পরায়ণ; আল্লাহ তাদের প্রাতি সন্তুষ্ট এবং তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট!
অতঃপর সে বলল: তোমরা মুতা‘ বিবাহকে (সাময়িক বিবাহকে) হালাল বল।
তখন মোল্লা বাশী বলল: এটা হারাম; আমাদের মধ্যকার নির্বোধরাই তা গ্রহণ করে!
অতঃপর বাহরুল ইলম বলল: তোমরা আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুকে আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু’র উপর মর্যাদা দিয়ে থাক এবং বলে থাক: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পর তিনিই (আলী) প্রকৃত খলিফা।
তখন মোল্লা বাশী বলল: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পর সর্বোত্তম সৃষ্টি হল আবূ বকর ইবন আবি কুহাফা, তারপর ওমর ইবন খাত্তাব, তারপর ওসমান ইবন ‘আফফান এবং তারপর আলী ইবন আবি তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহুম। আর তাঁদের খিলাফতের ধারাবাহিকতা হল তদ্রূপ, আমারা তাঁদের মর্যাদা বর্ণনার ক্ষেত্রে যেরূপ ধারাবাহিকতা উল্লেখ করেছি।
অতঃপর বাহরুল ইলম বলল: তোমাদের উসূল (মূলনীতিমালা) এবং আকিদা কী?
তখন মোল্লা বাশী বলল: আবূল হাসান আল-আশ‘আরী’র আকিদার ভিত্তিতে আমদের উসূল হল আশা‘য়েরা।
অতঃপর বাহরুল ইলম বলল: আমি তোমাদের শর্ত আরোপ করতে চাই যে, তোমরা দীনের মধ্যে যেসব সুনির্দষ্ট হারাম রয়েছে এবং যা হারাম হওয়ার ব্যাপারে ইজমা হয়েছে, তা হালাল করবে না এবং দীনের মধ্যে যেসব সুনির্দষ্ট হালাল রয়েছে এবং যা হালাল হওয়ার ব্যাপারে ইজমা হয়েছে, তা হারাম করবে না।
তখন মোল্লা বাশী বলল: আমরা এই শর্ত মেনে নিলাম!
অতঃপর বাহরুল ইলম তাদের উপর আরও কিছু শর্ত আরোপ করল যা কাউকে কাফির বানায় না, যেমন কিছু শর্ত পূর্বে আলোচনা হয়েছে; আর তারা তাও গ্রহণ করেছে।
অতঃপর মোল্লা বাশী বাহরুল ইলমকে বলল: আমরা যখন সকল কিছু মেনে নিয়েছি, তখন তুমি আমাদেরকে ইসলামী ফিরকা তথা ইসলামী দলের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য করছ তো?!
তখন বাহরুল ইলম চুপ থাকল, অতঃপর বলল:
শায়খাইন তথা আবূ বকর ও ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমাকে গালি দেয়া কুফরী।
তখন মোল্লা বাশী বলল: শায়খাইনকে গালি দেওয়াটা আমরা প্রত্যাহার করে নিলাম এবং আরও এই এইগুলো প্রত্যাহার করে নিয়েছি (পূর্বে উল্লেখিত শর্তের শেষ পর্যন্ত); তরপরও কি আমাদেরকে সত্যি সত্যি ইসলামী ফিরকার অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য করবে, নাকি আমাদেরেকে কাফির বলে বিশ্বাস করবে?
তখন বাহরুল ইলম আবার চুপ থাকল, অতঃপর বলল:
শায়খাইন তথা আবূ বকর ও ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমাকে গালি দেয়া কুফরী।
তখন সে বলল: আমরা কি তা প্রত্যাহার করে নেই নি?
অতঃপর বাহরুল ইলম বলল: তোমরা আর কী প্রত্যাহার করে নিয়েছ?
তখন সে বলল: আমরা এই এইগুলো প্রত্যাহার করে নিয়েছি (পূর্বে উল্লেখিত শর্তের শেষ পর্যন্ত); সুতরাং এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তুমি কি আমাদেরকে ইসলামী ফিরকার অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য করবে?
অতঃপর বাহরুল ইলম বলল: শায়খাইন তথা আবূ বকর ও ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমাকে গালি দেয়া কুফরী।
আর বাহরুল ইলমের বার বার একই কথা বলার উদ্দেশ্য হল, যার পক্ষ থেকে শায়খাইনকে গালি দেয়ার ঘটনা ঘটেছে, হানাফী মাযহাব মতে তার তাওবা কবুল হবে না; আর ঐসব পারসিকদের পক্ষ থেকে গালি দেয়ার ঘটনা সংঘটিত হয়েছে প্রথমে, আর এই সময়ের মধ্যে তাদের গালি প্রত্যাহারকরণ তাদের কোন উপকারে আসবে না।
অতঃপর আফগান মুফতি মোল্লা হামযা বলেন: হে হাদী খাজা! এই মজলিসের পূর্বে তাদের পক্ষ থেকে শায়খাইনকে গালি দেয়ার ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, এই ব্যাপারে তোমার নিকট কোন প্রমাণ আছে কি?
সে বলল: না।
অতঃপর মোল্লা হামযা বলেন: তাদের নিকট থেকে তো মেনে নেয়ার মানসিকতাই প্রকাশ পেয়েছে যে, তাদের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর ঘটবে না। সুতরাং কেন তুমি তাদেরকে ইসলামী ফিরকার অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য করছ না?
বাহরুল ইলম বলল: ব্যাপারটি যখন এই রকম, তখন তারা মুসলিম। আমাদের জন্য যা, তাদের জন্যও তাই; আর আমাদের বিপক্ষে যা, তা তাদেরও বিপক্ষে।
অতঃপর তারা সকলেই দাঁড়িয়ে গেল এবং পরস্পর মুসাহাফা (করমর্দন) করল; আর তাদের একজন অপরজনকে বলল: “হে আমার ভাই তোমাকে স্বাগতম”! আর তিন দলই তাদের পক্ষ থেকে যা ঘটল, তার ব্যাপারে আমাকে সাক্ষী বানাল এবং তারা সকলেই তা মেনে নিল।
অতঃপর শাওয়াল মাসের ২৪ তারিখ বুধবার মাগরিবের কিছুক্ষণ পূর্বে সমাবেশ শেষ হল; তখন আমি দেখলাম আমদের মাথার উপর চতুর্দিকে বেষ্টনী দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে পারিসিকদের মধ্য থেকে দশ হাজারেরও বেশি লোক!
আর যখন শাহের নিকট থেকে তার উজির [তিনি হচ্ছেন ই‘তিমাদুদ দৌলাহ, শাইখ আবদুল্লাহ আল-সুওয়াইদী’ যার আতিথেয়তায় ছিলেন।] আগমন করল, আর সে সেখানে তার অভ্যাসমত রাতের চার ঘন্টা সময় কাটিয়েছে, তখন সে আমাকে বলল: শাহ আপনার কাজের প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন, আপনার নিকট সালাম পাঠিয়েছেন এবং আপনার নিকট প্রত্যাশা করেছেন যে, আপনি যেন আগামী কাল তাদের সাথে প্রথম জায়গায় উপস্থিত হন। কারণ, আমি তাদেরকে নির্দেশ দিয়েছি যে, তারা যেন তারা যা স্বীকার করেছে এবং মেনে নিয়েছে, তার সবকিছু একটা কাগজে লিখে নেয় এবং তাদের প্রত্যেকে স্বীয় নামের নীচে স্বাক্ষর ও সীল দিয়ে দেয়; আর আমি আপনার নিকট আশা করছি যে, আপনি কাগজের উপরে সামনের অংশে আপনার সাক্ষ্য লিপিবদ্ধ করবেন এইভাবে যে, তিন ফিরকা (দল) যা মেনে নিয়েছে এবং স্বীকার করেছে, তা আমি সাক্ষী হিসেবে প্রত্যক্ষ করেছি এবং আপনার নামের নীচে আপনার স্বাক্ষর ও সীল দিয়ে দেবেন।
তখন আমি বললাম: আপনাকে অনেক ভালবাসা ও সম্মান।
১. মোল্লা বাশী আলী আকবর।
২. রেকাবের মুফতি আকা হোসাইন।
৩. মোল্লা মুহাম্মদ, লাহজানের ইমাম।
৪. আকা শরীফ, মুফতি মাশহাদ রেযা।
৫. মির্জা বুরহান, শিরওয়ানের কাযী।
৬. শাইখ হোসাইন, উরমিয়ার মুফতি।
৭. মির্জা আবূল ফদল, কুমের মুফতি।
৮. আলহাজ্ব সাদেক, জামের মুফতি।
৯. সাইয়্যেদ মুহাম্মদ মাহদী, আস্ফাহানের ইমাম।
১০. আলহাজ্ব মুহাম্মদ যাকী, কারমানশাহের মুফতি।
১১. আলহাজ্ব মুহাম্মদ আল-ছামানী, সিরাযের মুফতি।
১২. মির্জা আসাদুল্লাহ, তাবরীযের মুফতি।
১৩. মোল্লা তালিব, মাযান্দারানের মুফতি।
১৪. মোল্লা মুহাম্মদ মাহদী, মাশহাদ রেযা’র উপ-প্রধানমন্ত্রী।
১৫. মোল্লা মুহাম্মদ সাদেক, বাখালখালের মুফতি।
১৬. মুহাম্মদ মুমিন, আস্তরাবাদের মুফতি।
১৭. সাইয়্যেদ মুহাম্মদ তকী, কাযবীনের মুফতি।
১৮. মোল্লা মুহাম্মদ হোসাইন, সাবযাওয়ারের মুফতি।
১৯. সাইয়্যেদ বাহাউদ্দীন, কারমানের মুফতি।
২০. সাইয়্যেদ আহমদ, আরদালানের মুফতি শাফেয়ী প্রমুখ আলেমগণ।
অতঃপর আফগানের আলেমগণ আগমন করলেন; আর আমি তাদের নামসমূহ লিখে নিলাম। তারা হলেন:
১. সম্মানিত শাইখ মোল্লা হামযা আল-কালানজানী আল-হানাফী, আফগানের মুফতি।
২. মোল্লা আমীন আফগানী আল-কালানজানী, আফগানের কাযী।
৩. মোল্লা তহা আফগানী আল-হানাফী, শিক্ষক, নাদিরাবাদ।
৪. মোল্লা দুনিয়া আল-খলিফী আল-হানাফী।
৫. মোল্লা নূর মুহাম্মদ আফগানী আল-কালানজানী আল-হানাফী।
৬. মোল্লা আবদুর রাজ্জাক আফগানী আল-কালানজানী আল-হানাফী।
৭. মোল্লা ইদ্রিস আফগানী আল-আবদালী আল-হানাফী।
তার কিছুক্ষণ পর ‘মা অরাউন্নহর’ ( ما وراء النهر ) অঞ্চলের আলেমগণ আগমন করলেন; আর তাদের সংখ্যা ছিল সাতজন, তাদের সামনে ছিলেন একজন সম্মানিত শাইখ যার চেহারায় ছিল শ্রদ্ধাবোধের ছাপ এবং মাথায় ছিল পেঁচানো পাগড়ি, যা দর্শকদেরকে ইমাম আবূ হানিফার র.-এর ছাত্র আবূ ইউসুফ র.-কে স্মরণ করিয়ে দেয়। অতঃপর তিনি তাদের সালাম দিলেন; আর তারা তাঁকে আমার ডান পাশে বসিয়ে দিলেন। তবে আমার ও তাঁর মাঝে প্রায় পনের ব্যক্তির মত বসা ছিল; আর আফগানদের বসানো হয়েছে আমার বাম দিকে; অনুরূপভাবে এখানেও আমার ও তাঁর মাঝে প্রায় পনের ব্যক্তি বসা ছিল। আর এই বসানোর মধ্যেও পারসিকদের ষড়যন্ত্র ও কৌশল ছিল! তারা আশঙ্কা করেছিল যে, আমি তাদেরকে কিছু কথা তালকিন দেব অথবা তাদেরকে ইঙ্গিত দেব। অতঃপর আমি তাদের নামসমূহও লিখে নিলাম। তারা হলেন:
১. আল্লামা হাদী খাজা ওরফে বাহরুল ইলম, ইবন ‘আলাউদ্দীন আল-বুখারী আল-হানাফী, বুখারার কাযী।
২. মীর আবদুল্লাহ সদুর আল-বুখারী আল-হানাফী।
৩. কালান্দর খাজা আল-বুখারী আল-হানাফী।
৪. মোল্লা আমীদ সদুর আল-বুখারী আল-হানাফী।
৫. বাদশাহ মীর খাজা আল-বুখারী আল-হানাফী।
৬. মির্জা খাজা আল-বুখারী আল-হানাফী।
৭. মোল্লা ইবরাহীম আল-বুখারী আল-হানাফী।
অতঃপর যখন তাদেরকে বসানের পালা শেষ হল, মোল্লা বাশী বাহরুল ইলমকে সম্বোধন করে বললেন: তুমি কি এই ব্যক্তির পরিচয় জান? (তিনি আমাকে ইঙ্গিত করেন)।
তখন সে বলল: না।
সে (মোল্লা বাশী) বলল: তিনি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের মর্যাদাবান আলেমগণের অন্যতম শাইখ আবদুল্লাহ আফেনদী; উযির আহমদ পাশা’র শাহ তাকে এই মজলিসে হাজির হওয়ার জন্য তলব করেছেন। সুতরাং তিনি আমাদের মধ্যে বিচারক এবং শাহের প্রতিনিধি; অতএব যখন কোন হুকুমের উপর আমাদের রায় ঐক্যবদ্ধ হয়, তখন তিনি আমাদের সকলের উপর সাক্ষী থাকবেন। সুতরাং এখন তুমি তোমার সেসব বিষয় আমাদের নিকট খুলে বল, যেগুলোর কারণে তোমরা আমাদেরকে কাফির বলে থাক, যাতে তার উপস্থিতিতেই আমরা তা দূর করতে পারি। আর মূলত আমরা আবূ হানিফা’র মতানুসারে কাফির নই; ‘জামে‘উল উসূল’ ( جامع الأصول ) গ্রন্থে বলা হয়েছে, “ইসলামের পরিধি পাঁচটি মাযহাবের উপর” এবং তিনি পঞ্চম মাযহাব হিসেবে “ইমামীয়া মাযহাব”-কে গণ্য করেছেন। অনুরূপভাবে ‘মাওয়াকেফ’ ( المواقف ) গ্রন্থকারও “ইমামীয়া মাযহাব”-কে ইসলামী ফিরকার অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য করেছেন। আর আবূ হানিফা র. ‘আল-ফিকহুল আকবর’ ( الفقه الأكبر ) গ্রন্থে বলেছেন: “আমরা আহলুল কিবলাকে কাফির বলি না”। আর সাইয়্যিদ অমুক (সে তার স্পষ্ট নাম উল্লেখ করেছিলেন, তবে আমি ভুলে গেছি) “হেদায়া” গ্রন্থের শরাহ (ব্যাখ্যা) ‘আল-ফিকহুল হানাফী’ ( الفقه الحنفي )-এর মধ্যে বলেন: “বিশুদ্ধ কথা হল, ইমামীয়াগণ ইসলামী ফিরকার অন্তর্ভুক্ত”। কিন্তু পরবর্তী আলেমগণ তাদের স্থলাভিষিক্ত হয়ে আমাদেরকে কাফির বলেছে, ঠিক একইভাবে আমাদের পরবর্তী আলেমগণ তোমাদেরকে কাফির বলেছে; অথচ আমরা এবং তোমরা কেউই কাফির নই। কিন্তু তুমি সেসব বিষয় আমাদের সামনে পেশ কর, যেগুলো তোমাদের পরবর্তী আলেমগণ উল্লেখ করেছে এবং যার কারণে তারা আমাদেরকে কাফির বলছে, যাতে আমরা তা দূর করতে পারি।
অতঃপর হাদী খাজা বলল:
শায়খাইন তথা আবূ বকর ও ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমাকে তোমরা গালি দেয়ার কারণে তোমরা কাফির।
তখন মোল্লা বাশী বলল: শায়খাইনকে গালি দেওয়াটা আমরা প্রত্যাহার করে নিলাম।
অতঃপর সে বলল: সকল সাহাবী রাদিয়াল্লাহু আনহুমকে তোমরা পথভ্রষ্ট ও কাফির বলার কারণে তোমরা কাফির।
তখন মোল্লা বাশী বলল: সাহাবীগণ সকলেই ন্যায়পরায়ণ; আল্লাহ তাদের প্রাতি সন্তুষ্ট এবং তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট!
অতঃপর সে বলল: তোমরা মুতা‘ বিবাহকে (সাময়িক বিবাহকে) হালাল বল।
তখন মোল্লা বাশী বলল: এটা হারাম; আমাদের মধ্যকার নির্বোধরাই তা গ্রহণ করে!
অতঃপর বাহরুল ইলম বলল: তোমরা আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুকে আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু’র উপর মর্যাদা দিয়ে থাক এবং বলে থাক: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পর তিনিই (আলী) প্রকৃত খলিফা।
তখন মোল্লা বাশী বলল: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পর সর্বোত্তম সৃষ্টি হল আবূ বকর ইবন আবি কুহাফা, তারপর ওমর ইবন খাত্তাব, তারপর ওসমান ইবন ‘আফফান এবং তারপর আলী ইবন আবি তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহুম। আর তাঁদের খিলাফতের ধারাবাহিকতা হল তদ্রূপ, আমারা তাঁদের মর্যাদা বর্ণনার ক্ষেত্রে যেরূপ ধারাবাহিকতা উল্লেখ করেছি।
অতঃপর বাহরুল ইলম বলল: তোমাদের উসূল (মূলনীতিমালা) এবং আকিদা কী?
তখন মোল্লা বাশী বলল: আবূল হাসান আল-আশ‘আরী’র আকিদার ভিত্তিতে আমদের উসূল হল আশা‘য়েরা।
অতঃপর বাহরুল ইলম বলল: আমি তোমাদের শর্ত আরোপ করতে চাই যে, তোমরা দীনের মধ্যে যেসব সুনির্দষ্ট হারাম রয়েছে এবং যা হারাম হওয়ার ব্যাপারে ইজমা হয়েছে, তা হালাল করবে না এবং দীনের মধ্যে যেসব সুনির্দষ্ট হালাল রয়েছে এবং যা হালাল হওয়ার ব্যাপারে ইজমা হয়েছে, তা হারাম করবে না।
তখন মোল্লা বাশী বলল: আমরা এই শর্ত মেনে নিলাম!
অতঃপর বাহরুল ইলম তাদের উপর আরও কিছু শর্ত আরোপ করল যা কাউকে কাফির বানায় না, যেমন কিছু শর্ত পূর্বে আলোচনা হয়েছে; আর তারা তাও গ্রহণ করেছে।
অতঃপর মোল্লা বাশী বাহরুল ইলমকে বলল: আমরা যখন সকল কিছু মেনে নিয়েছি, তখন তুমি আমাদেরকে ইসলামী ফিরকা তথা ইসলামী দলের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য করছ তো?!
তখন বাহরুল ইলম চুপ থাকল, অতঃপর বলল:
শায়খাইন তথা আবূ বকর ও ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমাকে গালি দেয়া কুফরী।
তখন মোল্লা বাশী বলল: শায়খাইনকে গালি দেওয়াটা আমরা প্রত্যাহার করে নিলাম এবং আরও এই এইগুলো প্রত্যাহার করে নিয়েছি (পূর্বে উল্লেখিত শর্তের শেষ পর্যন্ত); তরপরও কি আমাদেরকে সত্যি সত্যি ইসলামী ফিরকার অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য করবে, নাকি আমাদেরেকে কাফির বলে বিশ্বাস করবে?
তখন বাহরুল ইলম আবার চুপ থাকল, অতঃপর বলল:
শায়খাইন তথা আবূ বকর ও ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমাকে গালি দেয়া কুফরী।
তখন সে বলল: আমরা কি তা প্রত্যাহার করে নেই নি?
অতঃপর বাহরুল ইলম বলল: তোমরা আর কী প্রত্যাহার করে নিয়েছ?
তখন সে বলল: আমরা এই এইগুলো প্রত্যাহার করে নিয়েছি (পূর্বে উল্লেখিত শর্তের শেষ পর্যন্ত); সুতরাং এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তুমি কি আমাদেরকে ইসলামী ফিরকার অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য করবে?
অতঃপর বাহরুল ইলম বলল: শায়খাইন তথা আবূ বকর ও ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমাকে গালি দেয়া কুফরী।
আর বাহরুল ইলমের বার বার একই কথা বলার উদ্দেশ্য হল, যার পক্ষ থেকে শায়খাইনকে গালি দেয়ার ঘটনা ঘটেছে, হানাফী মাযহাব মতে তার তাওবা কবুল হবে না; আর ঐসব পারসিকদের পক্ষ থেকে গালি দেয়ার ঘটনা সংঘটিত হয়েছে প্রথমে, আর এই সময়ের মধ্যে তাদের গালি প্রত্যাহারকরণ তাদের কোন উপকারে আসবে না।
অতঃপর আফগান মুফতি মোল্লা হামযা বলেন: হে হাদী খাজা! এই মজলিসের পূর্বে তাদের পক্ষ থেকে শায়খাইনকে গালি দেয়ার ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, এই ব্যাপারে তোমার নিকট কোন প্রমাণ আছে কি?
সে বলল: না।
অতঃপর মোল্লা হামযা বলেন: তাদের নিকট থেকে তো মেনে নেয়ার মানসিকতাই প্রকাশ পেয়েছে যে, তাদের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর ঘটবে না। সুতরাং কেন তুমি তাদেরকে ইসলামী ফিরকার অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য করছ না?
বাহরুল ইলম বলল: ব্যাপারটি যখন এই রকম, তখন তারা মুসলিম। আমাদের জন্য যা, তাদের জন্যও তাই; আর আমাদের বিপক্ষে যা, তা তাদেরও বিপক্ষে।
অতঃপর তারা সকলেই দাঁড়িয়ে গেল এবং পরস্পর মুসাহাফা (করমর্দন) করল; আর তাদের একজন অপরজনকে বলল: “হে আমার ভাই তোমাকে স্বাগতম”! আর তিন দলই তাদের পক্ষ থেকে যা ঘটল, তার ব্যাপারে আমাকে সাক্ষী বানাল এবং তারা সকলেই তা মেনে নিল।
অতঃপর শাওয়াল মাসের ২৪ তারিখ বুধবার মাগরিবের কিছুক্ষণ পূর্বে সমাবেশ শেষ হল; তখন আমি দেখলাম আমদের মাথার উপর চতুর্দিকে বেষ্টনী দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে পারিসিকদের মধ্য থেকে দশ হাজারেরও বেশি লোক!
আর যখন শাহের নিকট থেকে তার উজির [তিনি হচ্ছেন ই‘তিমাদুদ দৌলাহ, শাইখ আবদুল্লাহ আল-সুওয়াইদী’ যার আতিথেয়তায় ছিলেন।] আগমন করল, আর সে সেখানে তার অভ্যাসমত রাতের চার ঘন্টা সময় কাটিয়েছে, তখন সে আমাকে বলল: শাহ আপনার কাজের প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন, আপনার নিকট সালাম পাঠিয়েছেন এবং আপনার নিকট প্রত্যাশা করেছেন যে, আপনি যেন আগামী কাল তাদের সাথে প্রথম জায়গায় উপস্থিত হন। কারণ, আমি তাদেরকে নির্দেশ দিয়েছি যে, তারা যেন তারা যা স্বীকার করেছে এবং মেনে নিয়েছে, তার সবকিছু একটা কাগজে লিখে নেয় এবং তাদের প্রত্যেকে স্বীয় নামের নীচে স্বাক্ষর ও সীল দিয়ে দেয়; আর আমি আপনার নিকট আশা করছি যে, আপনি কাগজের উপরে সামনের অংশে আপনার সাক্ষ্য লিপিবদ্ধ করবেন এইভাবে যে, তিন ফিরকা (দল) যা মেনে নিয়েছে এবং স্বীকার করেছে, তা আমি সাক্ষী হিসেবে প্রত্যক্ষ করেছি এবং আপনার নামের নীচে আপনার স্বাক্ষর ও সীল দিয়ে দেবেন।
তখন আমি বললাম: আপনাকে অনেক ভালবাসা ও সম্মান।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন