HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
নাজাফ সম্মেলন
লেখকঃ সাইয়েদ আব্দুল্লাহ আস-সুওয়াইদী
৭
কেমন দেখলেন খুতবা ও সালাত?তখন আমি বললাম: খুতবার ব্যাপারে কোন কথা নেই; তবে সালাত আদায়ের পদ্ধতি চার মাযহাব থেকে আলাদা এক ব্যতিক্রম পদ্ধতি। সুতরাং শাহের উচিত এর উপর প্রশিক্ষণ দেয়া!
অতঃপর শাহকে এই বিষয়ে সংবাদ দেয়া হল, তাতে সে রেগে গেল এবং উযিরের সাথে আমাকে বলে পাঠাল:
আহমদ খানকে সংবাদ দাও যে, আমি যাবতীয় মতবিরোধ মিটেয়ে দেব, এমনকি মাটির উপরে সিজদার বিষয়টিও।
জুম‘আর দিন আমি মোল্লা বাশী’র সাথে একত্রিত হলাম এবং জা‘ফরীয়া মাযহাবের (জাফর সাদিকের মাযহাবের) বৈশিষ্ট্য নিয়ে পরস্পর আলোচনা শুরু করলাম; প্রথমে আমি বললাম:
তোমরা যে মাযহাবের উপর ভিত্তি করে ইবাদত-বন্দেগী কর, তা বাতিল; কোন মুজতাহিদের ইজতিহাদ তার দিকে যায় না।
তখন সে বলল: এটা জাফর সাদিকের ইজতিহাদ।
অতঃপর আমি বললাম: এর মধ্যে জাফর সাদিকের কিছুই নেই; তোমরা জাফর সাদিকের মাযহাব সম্পর্কে জান না। সুতরাং তোমরা যদি বল: জাফর সাদিকের মাযহাবের মধ্যে ‘তাকিয়্যা’ [তাকিয়্যা’ হচ্ছে মানুষের মনের বিপরীত অভিমত প্রকাশ করা; অর্থাৎ ভিতর এক রকম, আর বাহির অন্য রকম। — অনুবাদক।] আছে, তবে প্রত্যেক মাসআলা ‘তাকিয়্যা’ হওয়ার সম্ভাবনার কারণে তোমরা এবং তোমাদের অন্যরা তার মাযহাব সম্পর্কে জান না। কারণ, তোমাদের পক্ষ থেকে একজন আমাকে সংবাদ দিয়েছে যে, তার কূপের মধ্যে যখন নাপাকি পতিত হয়, তখন তার ব্যাপারে তিনটি বক্তব্য: প্রথমত এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন: এটা সমুদ্র কোন কিছুই তাকে অপবিত্র করতে পারে না। দ্বিতীয়ত: তার সবটকু পানি বের করে ফেলে দিতে হবে। তৃতীয়ত: তার থেকে সাত বালতি অথবা ছয় বালতি পানি বের করে দিতে হবে; তখন আমি তোমাদের কতিপয় আলেমকে জিজ্ঞাসা করলাম: এই তিনটি বক্তব্য দ্বারা তোমরা কিভাবে কি করবে?
জওয়াবে সে বলল: আমাদের মাযহাব হল, মানুষ যখন ইজতিহাদের যোগ্য হবে, তখন সে জাফর সাদিকের বক্তব্যগুলো নিয়ে গবেষণা করবে; অতঃপর তার থেকে একটিকে বিশুদ্ধ বলে মানবে।
অতঃপর আমি বললাম: বাকিগুলোর ব্যাপারে সে কী বলবে?
তখন সে বলল: সে বলবে: বাকিগুলো ‘তাকিয়্যা’!
অতঃপর আমি বললাম: যখন একজন ইজতিহাদ করল এবং এই বক্তব্য ছাড়া অন্য বক্তব্যকে বিশুদ্ধ বলল, তখন সে ঐ বক্তব্যের ব্যাপারে কী বলবে, যা প্রথম মুজতাহিদ (গবেষক) বিশুদ্ধ বলেছিল? তখন সে বলল: সে বলবে: তা হল ‘তাকিয়্যা’!
অতঃপর আমি বললাম: এ জন্যই জাফর সাদিকের মাযহাব নষ্ট হয়ে গেছে! কারণ, প্রত্যেক মাসআলার মধ্যেই ‘তাকিয়্যা’-এর সম্ভাবনা রয়েছে; কেননা এমন কোন আলামত (নিদর্শন) নেই, যার দ্বারা ‘তাকিয়্যা’ ও অন্যটির মধ্যে পার্থক্য করা যায়। অতঃপর ঐ আলেম থেমে গেল! তখন তোমার জওয়াব কী?!
তখন সেও থেমে গেল!! অতঃপর আমি তাকে বললাম:
তোমরা যদি বল: “জাফর সাদিকের মাযহাবের মধ্যে ‘তাকিয়্যা’ নেই” তবে তোমরা যে মাযহাবের উপর আছ, তা তার মাযহাব নয়। কারণ, তোমরা সকলেই ‘তাকিয়্যা’-এর কথা বল!
তখন মোল্লা বাশী থেমে গেল! অতঃপর আমি তার জন্য এটা ছাড়া আরও কিছু দলিল পেশ করলাম, যেগুলো প্রমাণ করে যে, তাদের সামনে যে মাযহাব বিদ্যমান, তা জাফর সাদিকের মাযহাব নয়।
অতঃপর শাহ আমাকে বাগদাদ ফিরে যাওয়ার অনুমতি দিলেন এবং আমার সাথে পত্রিকা ও খুতবার ফটোকপি পাঠালেন; সুতরাং এই যা ঘটল, তাতে আমি হজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।
হে আল্লাহ! তুমি এটা আমার জন্য সহজ করে দাও।
অতঃপর শাহকে এই বিষয়ে সংবাদ দেয়া হল, তাতে সে রেগে গেল এবং উযিরের সাথে আমাকে বলে পাঠাল:
আহমদ খানকে সংবাদ দাও যে, আমি যাবতীয় মতবিরোধ মিটেয়ে দেব, এমনকি মাটির উপরে সিজদার বিষয়টিও।
জুম‘আর দিন আমি মোল্লা বাশী’র সাথে একত্রিত হলাম এবং জা‘ফরীয়া মাযহাবের (জাফর সাদিকের মাযহাবের) বৈশিষ্ট্য নিয়ে পরস্পর আলোচনা শুরু করলাম; প্রথমে আমি বললাম:
তোমরা যে মাযহাবের উপর ভিত্তি করে ইবাদত-বন্দেগী কর, তা বাতিল; কোন মুজতাহিদের ইজতিহাদ তার দিকে যায় না।
তখন সে বলল: এটা জাফর সাদিকের ইজতিহাদ।
অতঃপর আমি বললাম: এর মধ্যে জাফর সাদিকের কিছুই নেই; তোমরা জাফর সাদিকের মাযহাব সম্পর্কে জান না। সুতরাং তোমরা যদি বল: জাফর সাদিকের মাযহাবের মধ্যে ‘তাকিয়্যা’ [তাকিয়্যা’ হচ্ছে মানুষের মনের বিপরীত অভিমত প্রকাশ করা; অর্থাৎ ভিতর এক রকম, আর বাহির অন্য রকম। — অনুবাদক।] আছে, তবে প্রত্যেক মাসআলা ‘তাকিয়্যা’ হওয়ার সম্ভাবনার কারণে তোমরা এবং তোমাদের অন্যরা তার মাযহাব সম্পর্কে জান না। কারণ, তোমাদের পক্ষ থেকে একজন আমাকে সংবাদ দিয়েছে যে, তার কূপের মধ্যে যখন নাপাকি পতিত হয়, তখন তার ব্যাপারে তিনটি বক্তব্য: প্রথমত এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন: এটা সমুদ্র কোন কিছুই তাকে অপবিত্র করতে পারে না। দ্বিতীয়ত: তার সবটকু পানি বের করে ফেলে দিতে হবে। তৃতীয়ত: তার থেকে সাত বালতি অথবা ছয় বালতি পানি বের করে দিতে হবে; তখন আমি তোমাদের কতিপয় আলেমকে জিজ্ঞাসা করলাম: এই তিনটি বক্তব্য দ্বারা তোমরা কিভাবে কি করবে?
জওয়াবে সে বলল: আমাদের মাযহাব হল, মানুষ যখন ইজতিহাদের যোগ্য হবে, তখন সে জাফর সাদিকের বক্তব্যগুলো নিয়ে গবেষণা করবে; অতঃপর তার থেকে একটিকে বিশুদ্ধ বলে মানবে।
অতঃপর আমি বললাম: বাকিগুলোর ব্যাপারে সে কী বলবে?
তখন সে বলল: সে বলবে: বাকিগুলো ‘তাকিয়্যা’!
অতঃপর আমি বললাম: যখন একজন ইজতিহাদ করল এবং এই বক্তব্য ছাড়া অন্য বক্তব্যকে বিশুদ্ধ বলল, তখন সে ঐ বক্তব্যের ব্যাপারে কী বলবে, যা প্রথম মুজতাহিদ (গবেষক) বিশুদ্ধ বলেছিল? তখন সে বলল: সে বলবে: তা হল ‘তাকিয়্যা’!
অতঃপর আমি বললাম: এ জন্যই জাফর সাদিকের মাযহাব নষ্ট হয়ে গেছে! কারণ, প্রত্যেক মাসআলার মধ্যেই ‘তাকিয়্যা’-এর সম্ভাবনা রয়েছে; কেননা এমন কোন আলামত (নিদর্শন) নেই, যার দ্বারা ‘তাকিয়্যা’ ও অন্যটির মধ্যে পার্থক্য করা যায়। অতঃপর ঐ আলেম থেমে গেল! তখন তোমার জওয়াব কী?!
তখন সেও থেমে গেল!! অতঃপর আমি তাকে বললাম:
তোমরা যদি বল: “জাফর সাদিকের মাযহাবের মধ্যে ‘তাকিয়্যা’ নেই” তবে তোমরা যে মাযহাবের উপর আছ, তা তার মাযহাব নয়। কারণ, তোমরা সকলেই ‘তাকিয়্যা’-এর কথা বল!
তখন মোল্লা বাশী থেমে গেল! অতঃপর আমি তার জন্য এটা ছাড়া আরও কিছু দলিল পেশ করলাম, যেগুলো প্রমাণ করে যে, তাদের সামনে যে মাযহাব বিদ্যমান, তা জাফর সাদিকের মাযহাব নয়।
অতঃপর শাহ আমাকে বাগদাদ ফিরে যাওয়ার অনুমতি দিলেন এবং আমার সাথে পত্রিকা ও খুতবার ফটোকপি পাঠালেন; সুতরাং এই যা ঘটল, তাতে আমি হজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।
হে আল্লাহ! তুমি এটা আমার জন্য সহজ করে দাও।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন