মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
১. বৃষ্টির পানি স্পর্শ করা : বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটা নামে রহমতের ধারা হয়ে। তাই সুন্নাত হলো বৃষ্টির ছোঁয়া পেতে বস্ত্রাংশ মেলে ধরা। প্রখ্যাত সাহাবী আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন,
“আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে থাকাকালে একবার বৃষ্টি নামল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন তাঁর পরিধেয় প্রসারিত করলেন যাতে পানি তাঁকে স্পর্শ করতে পারে। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল, আপনি কেন এমন করলেন? তিনি বললেন, কারণ তা তার মহান রবের কাছ থেকে মাত্রই এসেছে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৮৯৮।]
২. বৃষ্টির দো‘আ পড়া : আকাশ থেকে যখন বৃষ্টির ধারা নামে, একটি দো‘আ পড়া সুন্নাত। মা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বৃষ্টি হতে দেখলে বলতেন,
«اللَّهُمَّ صَيِّبًا نَافِعًا»
“আল্লহুম্মা ছাইয়িবান নাফি‘আ”। অর্থাৎ হে আল্লাহ, উপকারী বৃষ্টি আমাদের ওপর বর্ষণ করুন (যাতে ঢল, ধ্বস বা আযাবের মতো কোনো অমঙ্গল নিহিত নেই)। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১০৩২।]
৩. বৃষ্টি চলাকালে দো‘আ করা : বৃষ্টি চলাকালে দো‘আ কবূল হয় তাই এ সময় দো‘আর জন্য লুফে নেওয়া সুন্নাত। সাহল ইবন সা‘দ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুদায়বিয়ায় রাতে বৃষ্টির পর আমাদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন। সালাত শেষে তিনি লোকজনের মুখোমুখি হলেন। তিনি বললেন, তোমরা কি জানো তোমাদের রব কী বলেছেন? তারা বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। তিনি বলেছেন, আমার বান্দাদের কেউ আমার প্রতি ঈমান নিয়ে আর কেউ কেউ আমাকে অস্বীকার করে প্রভাতে উপনীত হয়েছে। যে বলেছে, ‘মুতিরনা বিফাদলিল্লাহি ওয়ারাহমাতিহী’ তথা আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়ায় আমরা বৃষ্টি প্রাপ্ত হয়েছি। ফলে সে আমার প্রতি ঈমান আর তারকার প্রতি কুফরী দেখিয়েছে। আর যে বলেছে, অমুক অমুক তারকার কারণে, সে আমার প্রতি অবিশ্বাসী আর তারকার প্রতি বিশ্বাসী”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৮৪৬; মুসলিম, হাদীস নং ১৫।]
৫. অতিবৃষ্টি বন্ধের জন্য দো‘আ পড়া : বৃষ্টি যেমন অনেক সুবিধে ডেকে আনে অতিবৃষ্টি তেমনি নানা অসুবিধের কারণ হয়। তাই অতিবৃষ্টি বন্ধেও আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের আমল শিখিয়েছেন। আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বর্ণনা করেন,
“জুমু‘আর দিন এক ব্যক্তি মিম্বরমুখী দরজা দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করলেন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে খুতবা দিচ্ছিলেন। লোকটি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সন্মুখে দণ্ডায়মান হয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! জীবজন্তু মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছে, পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে, আল্লাহর কাছে আমাদের জন্য বৃষ্টি প্রার্থনা করুন। তৎক্ষণাৎ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু হাত সম্প্রসারিত করে দো‘আ করতে লাগলেন, হে আল্লাহ! আমাদের বৃষ্টি দান করো! হে আল্লাহ! আমাদের বৃষ্টি দান করো! হে আল্লাহ! আমাদের বৃষ্টি দান করো! আনাস বলেন, আল্লাহর শপথ! তখন আকাশে আমরা কোনো জমাট বা বিচ্ছিন্ন আকারের মেঘ দেখি নি, (বৃষ্টির) অন্য কিছু (আলামতও) দেখি নি। আমাদের এবং সাল‘ পাহাড়ের মাঝে কোনো ঘর বা গৃহের আড়ালেও মেঘ ছিল না। তিনি বলেন, অতপর সাল‘ পাহাড়ের আড়াল থেকে পাখির পায়ের মতো মেঘের আবির্ভাব ঘটল। মেঘ যখন মধ্য গগণে এলো, ছড়িয়ে পড়ল। তারপর বৃষ্টি নামল। আনাস বলেন, আল্লাহর শপথ! পরবর্তী ছয় দিন যাবৎ আমরা সূর্য দেখি নি। সপ্তাহান্তে পরবর্তী জুমু‘আয় পুনরায় ঐ ব্যক্তি যখন মসজিদে প্রবেশ করে তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবারত অবস্থায়, ঐ ব্যক্তি আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! ধন-সম্পদ সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, পানিতে পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে, আল্লাহর কাছে বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার প্রার্থনা করুন। আনাস বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই হাত উঁচিয়ে দো‘আ করলেন, ‘আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়ালা ‘আলাইনা’- অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমাদের ওপর থেকে আশপাশের অঞ্চলে সরিয়ে দাও, পাহাড়-মরু, খাল-বিল ও বনাঞ্চলের দিকে সরিয়ে নাও! বর্ণনাকারী বলেন, তখনই বৃষ্টি বন্ধ হয়ে যায়, অতঃপর আমরা সালাত শেষে রোদের মধ্যে বের হই”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১০১৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৮৯৭।]
৬. ঝড়ের সময় দো‘আ : আল্লাহ তা‘আলা কখনো ঝড়-বজ্রপাত দান করেন। এর মাধ্যমে তিনি গাফেল বান্দাকে সতর্ক করেন, সচেতন বান্দাকে তাঁর প্রতি নিমগ্ন করেন। কখনো উদ্ধত জনপদবাসীকে এর মাধ্যমে শায়েস্তাও করেন। যেমন করেছিলেন পূর্বের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীকে। ঝড় এলে যেহেতু আমরা এর কারণ বুঝতে পারি না, তাই এ সময় আল্লাহর কাছে এর কল্যাণ কামনা করা এবং অকল্যাণ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা ঈমানদারের কর্তব্য। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রিয়তমা স্ত্রী আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
“যখন প্রবল ঝড় বইতো রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন, হে আল্লাহ আমি তোমার কাছে এ ঝড়ের কল্যাণ কামনা করছি। যে কল্যাণ রয়েছে এর মধ্যে এবং যে কল্যাণ পাঠানো হয়েছে এর সাথে। আর তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি এ ঝড়ের অকল্যাণ হতে। যে অকল্যাণ এর মধ্যে রয়েছে এবং যে অকল্যাণ দিয়ে একে পাঠানো হয়েছে।’ আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেন, ‘যখন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হতো এবং ঝড়ো বাতাস বইত; রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের চেহারায় দুশ্চিন্তার রেখা ফুটে উঠত। এ অবস্থায় এদিক-সেদিক পায়চারি করতে থাকতেন এবং এ দো‘আ পড়তে থাকতেন, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা ওয়া খাইরা মা-ফিহা ওয়া খাইরা মা-উরসিলাত বিহি, ওয়া আঊজু বিকা মিন শার্রিহা-ওয়া শার্রি মা-ফিহা-ওয়া শার্রি মা-উরসিলাত বিহি।’ অতঃপর যখন বৃষ্টি হতো, তখন তিনি শান্ত হতেন।’ আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা আরো বলেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলাম, লোকজন মেঘ দেখলে বৃষ্টির আশায় আনন্দিত হয়ে থাকে, আর আপনি এতে পেরেশান হয়ে থাকেন?’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘আমি এ ভেবে শঙ্কিত হই যে তা আমার উম্মতের ওপর আযাব হিসেবে পতিত হয় কি না, কেননা পূর্ববর্তী উম্মতদের ওপর এ পদ্ধতিতে ‘আযাব পতিত হয়েছিল। যেমন কুরআনে এসেছে, “অতঃপর যখন তারা তাদের উপত্যকার দিকে মেঘমালা দেখল তখন তারা বলল, এ মেঘমালা আমাদেরকে বৃষ্টি দিবে”। [সূরা আল-আহকাফ, আয়াত: ২৪] [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৮০৯৯]
সমাপ্ত
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/777/11
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।