HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
বিশ্ব বাবা দিবস ইসলামী দৃষ্টিকোণ
লেখকঃ আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান
৬
মুসলিমরা কেন বাবা দিবস বর্জন করবে?প্রথমত: বাবাকে সম্মান করা, তাকে ভালোবাসা, তার সাথে সদাচরণ করা, তার সেবা করা ইসলামে একটি ইবাদত। এ ইবাদেতর পন্থা-পদ্ধতি ইসলামে নির্ধারিত। এ ক্ষেত্রে নতুন কোন বিষয় বা পদ্ধতি পালন বেদআত বলে গণ্য হবে। ইসলাম পিতা-মাতাকে যেভাবে গুরুত্ব দিয়েছে অন্য কোন ধর্ম বা সমাজ ততটা দেয়নি। বাবা মায়ের জন্য একটি দিবস পালন করে দায়িত্ব আদায় হয়ে যাবে বলে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করার মানে হল; তাদেরকে সর্বদা গুরুত্ব দেয়ার সময় আমার নেই। অথচ ইসলাম বলে তাদেরকে সর্বদাই গুরুত্ব দিতে হবে। এমনকি নিজের স্ত্রী, সন্তানদের চেয়েও। মুসলমানের প্রতিটি দিবস হবে মা দিবস, প্রতিটি দিবসই হবে বাবা দিবস। আল-কুরআন মাতা-পিতাকে যে গুরুত্ব দিতে বলেছে তা প্রতিটি মুহুর্তের জন্যই।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামঘোষণা করেছেন
من عمل عملا ليس عليه أمرنا فهو رد . ( مسلم ১২/১৬)
‘‘যে কেউ এমন আমল করবে যা করতে আমরা (ধর্মীয়ভাবে) নির্দেশ দেইনি তা প্রত্যাখ্যাত।’’ [সহীহ মুসলিম ১৬/১২]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামবলেছেন :
من أحدث في أمرنا هذا ما ليس منه فهو رد . ( رواه البخاري ২৬৯৭ ومسلم )
‘‘যে আমাদের এ ধর্মে এমন কিছুর প্রচলন করবে যার প্রতি আমাদের নির্দেশ নেই, তা প্রত্যাখ্যাত হবে।’’ [সহীহ আল-বুখারী ২৬৯৮, সহীহ মুসলিম]
দ্বিতীয়ত : খৃষ্টানদের অনুকরণে বাবা দিবস পালন করার অর্থ হল তাদের ধর্মীয় বিষয়কে সানন্দে গ্রহণ করা। ধর্মীয় বিষয়ে তাদের আনুগত্য করা, তাদের সাথে সাদৃশ্যতা অবলম্বন করা। এটা ইসলামে সম্পূর্ণ নিষেধ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
عن عبد الله بن عمرو رضى الله عنهما أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : من تشبه بقوم فهو منهم . رواه أبو داود وصححه الألباني
সাহাবি আব্দুল্লাহ বিন আমর রা. থেকে বর্ণিত যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : ‘‘যে ব্যক্তি অন্য জাতির সাথে সা-দৃশ্যতা রাখবে সে তাদের দলভুক্ত বলে গণ্য হবে।’’ [আবু দাউদ]
এ হাদীসের ব্যাখ্যায় শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন এ হাদীসের বাহ্যিক অর্থ হল, যে অমুসলিম বা কাফেরদের সাথে সাদৃশ্যতা রাখবে সে কাফের হয়ে যাবে। যদি এ বাহ্যিক অর্থ (কাফের হওয়ার হুকুম) আমরা না ও ধরি তবুও কমপক্ষে এ কাজটি যে হারাম তাতে সন্দেহ নেই।
মা দিবস পালন, বাবা দিবস পালন যে খৃষ্টানদের আবিস্কার এটা উপরের আলোচনায় পরিস্কার হয়ে গেছে।
মুসলিম হয়েও যারা ইসলাম পছন্দ করেন না তাদের জন্য আমাদের কোন বক্তব্য নেই। আমাদের এ বক্তব্য তাদের জন্য যারা ইসলামকে পছন্দ করেন ও সামর্থানুযায়ী সে অনুসারে নিজ জীবন পরিচালনার চেতনা লালন করেন।
কোন অমুসলিম হোক সে ইহুদী, খৃষ্টান বা হিন্দু কিংবা বৌদ্ধ, তাদের কোন ধর্মীয় আচার বা কৃষ্টি-কালচার মুসলমানদের জন্য অনুসরণ বৈধ নয়। এ প্রসঙ্গে আল-কুরআন ও হাদীসে যথেষ্ট বানী, আদেশ-নিষেধ রয়েছে। আমাদের দেশে কিছু মানুষ আছেন যারা জীবনের সকল কিছুকে পাশ্চাত্য করণ করতে আগ্রহী। এমনকি আমাদের ধর্ম ও সংস্কৃতিকেও। ইসলামের প্রশ্নে তারা হীনমন্যতায় ভুগেন। তাদের জন্য আমাদের কোন উপদেশ উপকারে আসবে বলে আমরা মনে করি না। তাদের সম্পর্কে আল-কুরআনে যা বলা হয়েছে তাই খাটে :
وَإِنْ يَرَوْا سَبِيلَ الرُّشْدِ لَا يَتَّخِذُوهُ سَبِيلًا وَإِنْ يَرَوْا سَبِيلَ الْغَيِّ يَتَّخِذُوهُ سَبِيلًا ذَلِكَ ﴿146﴾
‘‘তারা সঠিক পথ দেখলেও তাকে পথ হিসাবে গ্রহণ করবে না। কিন্তু তারা ভ্রান্ত পথ দেখলে তা পথ হিসাবে গ্রহণ করবে।’’ [সূরা আল-আরাফ, আয়াত ১৪৬]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামঘোষণা করেছেন
من عمل عملا ليس عليه أمرنا فهو رد . ( مسلم ১২/১৬)
‘‘যে কেউ এমন আমল করবে যা করতে আমরা (ধর্মীয়ভাবে) নির্দেশ দেইনি তা প্রত্যাখ্যাত।’’ [সহীহ মুসলিম ১৬/১২]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামবলেছেন :
من أحدث في أمرنا هذا ما ليس منه فهو رد . ( رواه البخاري ২৬৯৭ ومسلم )
‘‘যে আমাদের এ ধর্মে এমন কিছুর প্রচলন করবে যার প্রতি আমাদের নির্দেশ নেই, তা প্রত্যাখ্যাত হবে।’’ [সহীহ আল-বুখারী ২৬৯৮, সহীহ মুসলিম]
দ্বিতীয়ত : খৃষ্টানদের অনুকরণে বাবা দিবস পালন করার অর্থ হল তাদের ধর্মীয় বিষয়কে সানন্দে গ্রহণ করা। ধর্মীয় বিষয়ে তাদের আনুগত্য করা, তাদের সাথে সাদৃশ্যতা অবলম্বন করা। এটা ইসলামে সম্পূর্ণ নিষেধ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
عن عبد الله بن عمرو رضى الله عنهما أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : من تشبه بقوم فهو منهم . رواه أبو داود وصححه الألباني
সাহাবি আব্দুল্লাহ বিন আমর রা. থেকে বর্ণিত যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : ‘‘যে ব্যক্তি অন্য জাতির সাথে সা-দৃশ্যতা রাখবে সে তাদের দলভুক্ত বলে গণ্য হবে।’’ [আবু দাউদ]
এ হাদীসের ব্যাখ্যায় শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন এ হাদীসের বাহ্যিক অর্থ হল, যে অমুসলিম বা কাফেরদের সাথে সাদৃশ্যতা রাখবে সে কাফের হয়ে যাবে। যদি এ বাহ্যিক অর্থ (কাফের হওয়ার হুকুম) আমরা না ও ধরি তবুও কমপক্ষে এ কাজটি যে হারাম তাতে সন্দেহ নেই।
মা দিবস পালন, বাবা দিবস পালন যে খৃষ্টানদের আবিস্কার এটা উপরের আলোচনায় পরিস্কার হয়ে গেছে।
মুসলিম হয়েও যারা ইসলাম পছন্দ করেন না তাদের জন্য আমাদের কোন বক্তব্য নেই। আমাদের এ বক্তব্য তাদের জন্য যারা ইসলামকে পছন্দ করেন ও সামর্থানুযায়ী সে অনুসারে নিজ জীবন পরিচালনার চেতনা লালন করেন।
কোন অমুসলিম হোক সে ইহুদী, খৃষ্টান বা হিন্দু কিংবা বৌদ্ধ, তাদের কোন ধর্মীয় আচার বা কৃষ্টি-কালচার মুসলমানদের জন্য অনুসরণ বৈধ নয়। এ প্রসঙ্গে আল-কুরআন ও হাদীসে যথেষ্ট বানী, আদেশ-নিষেধ রয়েছে। আমাদের দেশে কিছু মানুষ আছেন যারা জীবনের সকল কিছুকে পাশ্চাত্য করণ করতে আগ্রহী। এমনকি আমাদের ধর্ম ও সংস্কৃতিকেও। ইসলামের প্রশ্নে তারা হীনমন্যতায় ভুগেন। তাদের জন্য আমাদের কোন উপদেশ উপকারে আসবে বলে আমরা মনে করি না। তাদের সম্পর্কে আল-কুরআনে যা বলা হয়েছে তাই খাটে :
وَإِنْ يَرَوْا سَبِيلَ الرُّشْدِ لَا يَتَّخِذُوهُ سَبِيلًا وَإِنْ يَرَوْا سَبِيلَ الْغَيِّ يَتَّخِذُوهُ سَبِيلًا ذَلِكَ ﴿146﴾
‘‘তারা সঠিক পথ দেখলেও তাকে পথ হিসাবে গ্রহণ করবে না। কিন্তু তারা ভ্রান্ত পথ দেখলে তা পথ হিসাবে গ্রহণ করবে।’’ [সূরা আল-আরাফ, আয়াত ১৪৬]
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন