HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

নামাযে আমরা কীভাবে দু‘আ করব

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

শেষ বৈঠকে
বেশিরভাগ মুসল্লীকেই দেখা যায় যে, শেষ বৈঠকে বসে তারা কেবল ‘‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী যালামতু নাফসী যুলমান কাসীরা......’’- এ দু‘আটি পড়ে থাকেন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ ﷺ নামাযের শেষ বৈঠকে যা ইচ্ছা দু‘আ করার জন্য এখতিয়ার দিয়েছেন। বান্দা তার দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণের জন্য এ সময় যেকোন দু‘আ করতে পারে। স্বয়ং নবী ﷺ এ সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ দু‘আ পাঠ করেছেন। নিচে এগুলো উল্লেখ করা হলো :

১. শেষ বৈঠকে নবী ﷺ ৬ টি বিষয় হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাইতেন :

আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ (তাশাহ্হুদের পর) এ দু‘আ পাঠ করতেন।

اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ وَاَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَاَعُوْذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيْحِ الدَّجَّالِ وَاَعُوْذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْمَأْثَمِ وَالْمَغْرَمِ

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিন ‘আযা-বি জাহান্নাম, ওয়া আঊযুবিকা মিন ‘আযা-বিল ক্বব্র, ওয়া আঊযুবিকা মিন ফিতনাতিল মাসীহিদ দাজ্জা-ল, ওয়া আঊযুবিকা মিন ফিতনাতিল মাহইয়া ওয়ালমামা-ত। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিনাল মা’ছামি ওয়াল মাগরাম।

অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি কবরের আযাব থেকে, মাসীহে দাজ্জালের ফিতনা হতে, জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি পাপ ও ঋণ হতে। [সহীহ বুখারী, হা/৮৩২; সহীহ মুসলিম, হা/১৩৫৩; আবু দাউদ, হা/৮৮০; নাসাঈ, হা/১৩০৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪৬২২; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৮৫২; বায়হাকী, হা/২৭০১; মিশকাত, হা/৯৩৯।]

২. শেষ বৈঠকে ক্ষমা চাওয়ার আরো একটি দু‘আ :

আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ তাশাহ্হুদ ও সালাম ফিরানোর মাঝখানে এ দু‘আ পাঠ করতেন।

اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِىْ مَا قَدَّمْتُ وَمَا اَخَّرْتُ وَمَا اَسْرَرْتُ وَمَا اَعْلَنْتُ وَمَا اَسْرَفْتُ وَمَا اَنْتَ اَعْلَمُ بِهٖ مِنِّىْ اَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَاَنْتَ الْمُؤَخِّرُ لَا اِلٰهَ اِلَّا اَنْتَ

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাগফিরলী মা-ক্বাদ্দামতু ওয়ামা-আখ্খারতু ওয়ামা-আস্সরারতু ওয়ামা-আ‘লানতু ওয়ামা- আস্রাফতু ওয়ামা-আনতা আ‘লামু বিহী মিন্নী আন্তাল মুক্বাদ্দিমু ওয়া আনতাল মুআখ্খিরু লা-ইলা-হা ইল্লা- আনতা।

অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি আমার পূর্বের ও পরের, গোপন এবং প্রকাশ্য সব গোনাহ ক্ষমা করে দাও। আর যে সব ব্যাপারে আমি বাড়াবাড়ি করেছি তাও ক্ষমা করে দাও। আমার কৃত যেসব পাপ সম্পর্কে তুমি আমার চেয়ে বেশি জান তাও ক্ষমা করে দাও। তুমিই প্রথম এবং তুমিই শেষ, তুমি ছাড়া আর কোন প্রকৃত ইলাহ নেই। [সহীহ মুসলিম, হা/১৮৪৮; আবু দাউদ, হা/১৫১১; তিরমিযী, হা/৩৫২১; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭২৯।]

৩. শেষ বৈঠকে জান্নাত কামনা ও জাহান্নাম থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করার দু‘আ :

اَللّٰهُمَّ اِنِّى اَسْاَلُكَ الْجَنَّةَ وَاَعُوْذُ بِكَ مِنَ النَّارِ

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া আঊযুবিকা মিনান্না-র।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে জান্নাত প্রার্থনা করছি এবং জাহান্নাম থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। [আবু দাউদ, হা/৭৯২; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৫৯৩৯; ইবনে খুযায়মা, হা/৭২৫।]

৪. শেষ বৈঠকে পড়ার ব্যাপক অর্থবোধক দু‘আ :

আম্মার ইবনে ইয়াসীর (রাঃ) নামাযে এ দু‘আ পাঠ করেন, যা তিনি নবী ﷺ হতে শুনেছেন।

اَللّٰهُمَّ بِعِلْمِكَ الْغَيْبَ ، وَقُدْرَتِكَ عَلَى الْخَلْقِ ، اَحْيِنِيْ مَا عَلِمْتَ الْحَيَاةَ خَيْرًا لِّيْ ، وَتَوَفَّنِيْ اِذَا عَلِمْتَ الْوَفَاةَ خَيْرًا لِّيْ ، اَللّٰهُمَّ وَاَسْاَلُكَ خَشْيَتَكَ فِي الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ ، وَاَسْاَلُكَ كَلِمَةَ الْحَقِّ فِي الرِّضَا وَالْغَضَبِ ، وَاَسْاَلُكَ الْقَصْدَ فِي الْفَقْرِ وَالْغِنٰى ، وَاَسْاَلُكَ نَعِيْمًا لَّا يَنْفَدُ ، وَاَسْاَلُكَ قُرَّةَ عَيْنٍ لَّا تَنْقَطِعُ ، وَاَسْاَلُكَ الرِّضَاءَ بَعْدَ الْقَضَاءِ ، وَاَسْاَلُكَ بَرْدَ الْعَيْشِ بَعْدَ الْمَوْتِ ، وَاَسْاَلُكَ لَذَّةَ النَّظَرِ اِلٰى وَجْهِكَ ، وَالشَّوْقَ اِلٰى لِقَائِكَ فِيْ غَيْرِ ضَرَّاءَ مُضِرَّةٍ ، وَلَا فِتْنَةٍ مُضِلَّةٍ ، اَللّٰهُمَّ زَيِّنَّا بِزِيْنَةِ الْاِيْمَانِ ، وَاجْعَلْنَا هُدَاةً مُّهْتَدِيْنَ

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা বি‘ইলমিকাল গাইব, ওয়া কুদরাতিকা ‘আলাল খাল্ক, আহইনী মা-‘আলিমতাল হায়াতা খাইরাল্লী, ওয়াতাওয়াফফানী ইযা ‘আলিমতাল ওয়াফা-তা খাইরাল্লী। আল্লা-হুম্মা ওয়া আসআলুকা খাশইয়াতাকা ফীল গাইবি ওয়াশ শাহা-দাহ, ওয়া আসআলুকা কালিমাতাল হাক্কি ফীর রিযা ওয়াল গাযাব, ওয়া আসআলুকাল ক্বাসদা ফীল ফাক্বরি ওয়াল গিনা, ওয়া আসআলুকা না‘ইমাল লা-ইয়ানফাদ, ওয়া আসআলুকা কুররাতা ‘আইনিল লা- তানক্বাত্বিউ, ওয়া আসআলুকার রিযা-আ বা‘দাল ক্বাযা-আ, ওয়া আসআলুকা বারদাল ‘আইশী বা‘আদাল মাওত, ওয়া আসআলুকা লাযযাতান নাযারি ইলা-ওয়াজহিকা ওয়াশ শাওক্বা ইলা লিক্বাইকা ফী গাইরি যাররা-আ মুযিররাতিন ওয়ালা- ফিতনাতিন মুযিল্লাহ। আল্লা-হুম্মা যাইয়িন্না- বিযীনাতিল ঈমা-নি ওয়াজ‘আলনা হুদাতাম মুহতাদীন।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার অদৃশ্য জ্ঞানের মাধ্যমে এবং সৃষ্টির উপর তোমার ক্ষমতার মাধ্যমে প্রার্থনা করছি যে, তুমি আমাকে ততক্ষণ জীবিত রাখো, যতক্ষণ আমার জীবিত থাকাকে তুমি কল্যাণকর মনে কর। আর আমাকে মৃত্যু দাও, যখন আমার মৃত্যুকে তুমি কল্যাণকর মনে কর। হে আল্লাহ! আমি প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে তোমাকে ভয় করার প্রার্থনা করছি এবং আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি, সন্তুষ্টি ও অসন্তুষ্টি উভয় অবস্থায় সঠিক কথা বলতে। আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করছি সচ্ছল ও অসচ্ছল উভয় অবস্থায় মধ্যমপন্থা অবলম্বন করতে। আর আমি তোমার কাছে এমন নিয়ামত প্রার্থনা করছি, যা কখনো শেষ হবে না। আমি তোমার কাছে চোখের এমন শীতলতা প্রার্থনা করছি, যা কখনো ফুরাবে না। আমি তোমার কাছে তাকদীরের উপর সন্তুষ্ট থাকার প্রার্থনা করছি। মৃত্যুর পর শান্তিময় জীবন প্রার্থনা করছি। পরকালে তোমার সাক্ষাতের স্বাদ লাভ করার প্রার্থনা করছি এবং তোমার সাক্ষাৎ কামনা করছি। আমি প্রার্থনা করছি, যাতে আমার দ্বারা কারো ক্ষতি না হয় এবং আমি এমন ফিতনায় না পড়ি, যা আমাকে পথভ্রষ্ট করে দেয়। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে ঈমান দ্বারা সৌন্দর্যমন্ডিত করো এবং হোদায়াতপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত করো। [নাসাঈ, হা/১৩০৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭৩৫১; মিশকাত, হা/২৪৯৭।]

৫. নামাযে যে দু‘আ পড়লে সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয় :

মিহজান (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ মসজিদে প্রবেশ করলেন। তখন এক ব্যক্তি নামায শেষ করছিল এবং তাশাহ্হুদ পাঠ করা অবস্থায় সে এ দু‘আ পাঠ করছিল। এটা দেখে রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, তার সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে। এটা তিনি তিনবার বললেন।

اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَسْاَلُكَ يَا اَللهُ بِاَنَّكَ الْوَاحِدُ الْاَحَدُ الصَّمَدُ ، اَ لَّذِيْ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُوْلَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَّهٗ كُفُوًا اَحَدٌ، اَنْ تَغْفِرَ لِيْ ذُنُوبِيْ ، اِنَّكَ اَنْتَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা ইয়া আল্লা-হু বিআন্নাকাল ওয়া-হিদুল আহাদুস সামাদু। আল্লাযী লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইঊলাদ ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ। আন তাগফিরালী যুনূবী, ইন্নাকা আনতাল গাফূরুর রাহীম।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! নিশ্চয় তুমি এক ও অমুখাপেক্ষী, যিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাকেও কেউ জন্ম দেয়নি। আর তার সমতুল্য কেউ নেই। তুমি আমার গোনাহসমূহ ক্ষমা করে দাও। নিশ্চয় তুমি অতি ক্ষমাশীল এবং দয়ালু। [নাসাঈ, হা/১৩০১; আবু দাউদ, হা/৯৮৭; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৭২৪; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৯৮৫।]

৬. নামাযে ইসমে আ‘জম পড়ে দু‘আ করলে দু‘আ কবুল হয় :

আবদুল্লাহ ইবনে বুরাইদা (রাঃ) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাথে মসজিদে প্রবেশ করলেন, তখন দেখলেন যে এক লোক নামায পড়ছে এবং এভাবে দু‘আ করছে- এ দু‘আ শুনে রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, আল্লাহর কসম! সে ইসমে আ‘জম নিয়ে দু‘আ করছে- যার মাধ্যমে চাইলে দান করা হয় এবং দু‘আ করলে কবুল করা হয়।

اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَسْاَلُكَ بِاَنِّيْ اُشْهِدُكَ اَنَّكَ لَا اِلٰهَ اِلَّا اَنْتَ الْاَحَدُ الصَّمَدُ الَّذِيْ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُوْلَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَّهٗ كُفُوًا اَحَدٌ

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা বিআন্নী উশহিদুকা আন্নাকা লা ইলা-হা ইল্লা আনতাল আহাদুস সামাদুল্লাযী লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহূ কুফুওয়ান আহাদ।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি এবং এ সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ছাড়া কোন উপাস্য নেই। আপনি একক ও অমুখাপেক্ষী। যিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কারো থেকে জন্মলাভ করেননি, আর তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই। [আবু দাঊদ, হা/১৪৯৫; তিরমিযী, হা/৩৪৭৫; মিশকাত, হা/২২৮৩।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন