HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সালাত শিক্ষা

লেখকঃ ড. আব্দুল্লাহ ইবন আহমাদ আলী আয-যাইদ

সালাতের ফযীলত
উল্লিখিত নাতিদীর্ঘ আলোচনায় উঠে এসেছে যে ইসলামে সালাতের গুরুত্ব অপরিসীম। সালাত ইসলামের দ্বিতীয় রুকন, যা সুপ্রতিষ্ঠিত করা ব্যতীত মুসলিম হওয়া যায় না। সালাতে অবহেলা, অলসতা মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথা মোতাবেক সালাত পরিত্যাগ করা কুফুরী, ভ্রষ্টতা এবং ইসলামের গণ্ডিবহির্ভূত হয়ে যাওয়া। সহীহ হাদীসে এসেছে,

«بين الرجل وبين الكفر والشرك ترك الصلاة»

“মুমিন ও কুফর-শির্কের মধ্যে ব্যবধান হলো সালাত পরিত্যাগ করা”। [সহীহ মুসলিম।]

এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন,

«العهد الذي بيننا وبينهم الصلاة فمن تركها فقد كفر»

“আমাদের ও তাদের মধ্যকার অঙ্গীকার হলো সালাত। অতঃপর যে ব্যক্তি তা পরিত্যাগ করবে সে কাফির হয়ে যাবে।” [হাদীসটি ইমাম তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং বর্ণনাসূত্রের নিরিখে হাদীসটিকে হাসান বলেছেন।]

সালাত ইসলামের স্তম্ভ ও বড় নিদর্শন এবং বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনকারী। সহীহ হাদীসে এর প্রমাণ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

إن أحدكُم إذا صَلَّى يُناجي ربَّه

“নিশ্চয় তোমাদের কেউ যখন সালাত আদায় করে তখন সে তার রবের সাথে (মোনাজাত করে) নির্জনে কথা বলে। সালাত বান্দা ও তার রবের মহব্বত এবং তাঁর দেওয়া অনুকম্পার কৃতজ্ঞতা প্রকাশের প্রতীক। সালাত আল্লাহর নিকট অতি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার প্রমাণসমূহের একটি এই যে, সালাত হলো প্রথম ইবাদত যা ফরয হিসেবে পালনের জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং মি‘রাজের রাতে, আকাশে, মুসলিম জাতির ওপর তা ফরয করা হয়েছে। তাছাড়া নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে, ‘কোন আমল উত্তম’ জিজ্ঞাসা করা হলে তার প্রত্যুত্তরে তিনি বলেছেন:

«الصلاة على وقتها»

“সময় মত সালাত আদায় করা”। [সহীহ বুখারী ও মুসলিম।]

সালাতকে আল্লাহ তা‘আলা পাপ ও গুনাহ থেকে পবিত্রতা অর্জনের উসীলা বানিয়েছেন। হাদীসে এসেছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন

«أرأيتُم لو أن نهراً بباب أحدكم يغتسل فيه كل يوم خمس مرات، هل يبقى من درنه شيء؟ قالوا : لا، قال : كذلك مثل الصلوات الخمس يَمْحُوا اللهُ بهنّ الخطايا»

“যদি তোমাদের কারো (বাড়ীর) দরজার সামনে প্রবাহমান নদী থাকে এবং তাতে প্রত্যেক দিন পাঁচবার গোসল করে, তাহলে কি তার (শরীরে) ময়লা বাকী থাকবে? (সাহাবীগণ) বললেন, ‘না’। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘অনুরূপভাবে আল্লাহ পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের দ্বারা (বান্দার) গুনাহকে মিটিয়ে দেন”। [সহীহ বুখারী ও মুসলিম।]

এ বিষয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে আরো হাদীস বর্ণিত হয়েছে:

«أنه كان آخر وصيته لأمته، وآخر عهده إليهم عند خروجه من الدنيا أن اتّقوا الله في الصلاة وفيما ملكت أيمانُكم» .

“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মৃত্যুকালে তাঁর উম্মাতের জন্য সর্বশেষ অসিয়ত (উপদেশ) এবং অঙ্গীকার গ্রহণ ছিল, তারা যেন সালাত ও তাদের দাস-দাসীদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করে।” [হাদীসটি ইমাম আহমাদ, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন।]

আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে মাজীদে সালাতের ব্যাপারে খুবই গুরুত্বারোপ করেছেন এবং সালাত ও সালাত আদায়কারীকে সম্মানিত করেছেন। কুরআনের অনেক জায়গায় বিভিন্ন ইবাদতের সাথে বিশেষভাবে সালাতের কথা উল্লেখ করেছেন। তাছাড়া সালাতকে তিনি বিশেষভাবেও উল্লেখ করেছেন।

এ বিষয়ে কয়েকটি আয়াত নিম্নরূপ:

﴿حَٰفِظُواْ عَلَى ٱلصَّلَوَٰتِ وَٱلصَّلَوٰةِ ٱلۡوُسۡطَىٰ وَقُومُواْ لِلَّهِ قَٰنِتِينَ ٢٣٨﴾ [ البقرة : ٢٣٨ ]

“তোমরা সকল সালাতের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে (মাধ্যম) আসরের সালাত। আর আল্লাহর সমীপে কাকুতি-মিনতির সাথে দাঁড়াও”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২৩৮]

﴿وَأَقِمِ ٱلصَّلَوٰةَۖ إِنَّ ٱلصَّلَوٰةَ تَنۡهَىٰ عَنِ ٱلۡفَحۡشَآءِ وَٱلۡمُنكَرِ﴾ [ العنكبوت : ٤٥ ]

“আর তুমি সালাত সুপ্রতিষ্ঠিত কর। নিশ্চয় সালাত অশালীন এবং অন্যায় কাজ থেকে বারণ করে”। [সূরা আল-‘আনকাবুত, আয়াত: ৪৫]

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱسۡتَعِينُواْ بِٱلصَّبۡرِ وَٱلصَّلَوٰةِۚ إِنَّ ٱللَّهَ مَعَ ٱلصَّٰبِرِينَ ١٥٣﴾ [ البقرة : ١٥٣ ]

“হে মুমিনগণ! তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ১৫৩]

﴿إِنَّ ٱلصَّلَوٰةَ كَانَتۡ عَلَى ٱلۡمُؤۡمِنِينَ كِتَٰبٗا مَّوۡقُوتٗا ١٠٣﴾ [ النساء : ١٠٣ ]

“নিশ্চয় সালাত মুমিনদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরয।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১০৩]

সালাত পরিত্যাগকারীর জন্য আল্লাহর আযাব অপরিহার্য।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿فَخَلَفَ مِنۢ بَعۡدِهِمۡ خَلۡفٌ أَضَاعُواْ ٱلصَّلَوٰةَ وَٱتَّبَعُواْ ٱلشَّهَوَٰتِۖ فَسَوۡفَ يَلۡقَوۡنَ غَيًّا ٥٩﴾ [ مريم : ٥٩ ]

“অতঃপর তাদের পরে আসল এমন এক অসৎ বংশধর যারা সালাত বিনষ্ট করল এবং কু-প্রত্তির অনুসরণ করল। সুতরাং তারা শীগ্রই জাহান্নামের শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে”। [সূরা মারইয়াম, আয়াত: ৫৯]

আল্লাহর বিধান অনুযায়ী, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্যের মাধ্যমে, তাঁর ক্রোধ ও যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে বাঁচার উদ্দেশ্যে সালাত সুপ্রতিষ্ঠিত করা ও সময়মত তা আদায় করা প্রতিটি মুসলিমের অবশ্য কর্তব্য।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন