HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হাদিস সম্ভার

১০. হজ্জ অধ্যায়

جمع الحديث

১০/ পরিচ্ছেদঃ হজ্জ্বের অপরিহার্যতা ও তার ফযীলত

মহান আল্লাহ তাআলা বলেছেন, وَللهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ البَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلاً وَمَنْ كَفَرَ فإنَّ اللهَ غَنِيٌّ عَنِ العَالَمِينَ অর্থাৎ, মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে আল্লাহর উদ্দেশ্যে ঐ গৃহের হজ্জ্ব করা তার (পক্ষে) অবশ্য কর্তব্য। আর যে অস্বীকার করবে (সে জেনে রাখুক যে), আল্লাহ জগতের উপর নির্ভরশীল নন। (সূরা আলে ইমরান ৯৭)

১১৩৭

সহিহ হাদিস
وَعَنْه قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم يَقُولُ مَنْ حَجَّ فَلَمْ يَرْفُثْ وَلَمْ يَفْسُقْ رَجَعَ كَيَوْمِ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ

উক্ত রাবী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, “যে ব্যক্তি (আল্লাহর জন্য) হজ্জ পালন করল এবং (তাতে) কোন অশ্লীল কাজ করল না ও পাপাচার করল না, সে ব্যক্তি ঠিক ঐ দিনকার মত (নিষ্পাপ হয়ে) বাড়ি ফিরবে, যেদিন তার মা তাকে প্রসব করেছিল।” (বুখারী ১৫২১, ১৮১৯-১৮২০, মুসলিম ৩৩৫৭-৩৩৫৮)

১১৩৪

সহিহ হাদিস
وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا : أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم قَالَ بُنِيَ الإِسْلاَمُ عَلَى خَمْسٍ : شَهَادَةِ أَنْ لاَ إلَهَ إِلاَّ اللهُ وَأَنَّ مُحَمَّداً رَسُولُ اللهِ وَإِقَامِ الصَّلاَةِ وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ وَحَجِّ البَيْتِ وَصَوْمِ رَمَضَانَ متفقٌ عليه

আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “ইসলামের ভিত পাঁচটি জিনিসের উপর স্থাপিত আছে। (১) এই সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য মাবূদ (উপাস্য) নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর প্রেরিত মহাপুরুষ, (২) নামায কায়েম করা, (৩) যাকাত প্রদান করা, (৪) বায়তুল্লাহর হজ্জ করা এবং (৫) মাহে রমযানের সিয়াম (সিয়াম) পালন করা।” (বুখারী ৮, মুসলিম ১২২)

১১৩৮

সহিহ হাদিস
وَعَنْه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم قَالَ العُمْرَةُ إِلَى العُمْرَةِ كَفَّارَةٌ لِمَا بَينَهُمَا وَالحَجُّ المَبْرُورُ لَيْسَ لَهُ جَزَاءٌ إِلاَّ الجَنَّةَ متفقٌ عليه

উক্ত রাবী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “একটি উমরাহ পরবর্তী উমরাহ পর্যন্ত ঐ দুয়ের মধ্যবর্তী সময়ে কৃত পাপরাশির জন্য কাফফারা (মোচনকারী) হয়। আর ‘মাবরূর’ (বিশুদ্ধ বা গৃহীত) হজ্জের প্রতিদান জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নয়।” (বুখারী ১৭৭৩, মুসলিম ৩৩৫৫)

১১৩৫

সহিহ হাদিস
وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ  قَالَ : خَطَبَنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم فَقَالَ أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ فَرَضَ اللهُ عَلَيْكُم الحَجَّ فَحُجُّوافَقَالَ رَجُلٌ : أَكُلَّ عَامٍ يَا رَسُولَ اللهِ ؟ فَسَكَتَ حَتَّى قَالَهَا ثَلاَثاً فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم لَوْ قُلْتُ نَعَمْ لَوَجَبَتْ وَلَمَا اسْتَطَعْتُمْ ثُمَّ قَالَ ذَرُوْنِي مَا تَرَكْتُكُمْ ؛ فَإِنَّمَا هَلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ بِكَثْرَةِ سُؤَالِهِمْ وَاخْتِلاَفِهِمْ عَلَى أَنْبِيَائِهِمْ فَإِذَا أَمَرْتُكُمْ بِشَيءٍ فَأتُوا مِنْهُ مَا اسْتَطَعْتُمْ وَإِذَا نَهَيْتُكُمْ عَن شَيْءٍ فَدَعُوهُرواه مسلم

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের সামনে ভাষণ দানকালে বললেন, “হে লোক সকল! আল্লাহ তোমাদের উপর (বায়তুল্লাহর) হজ্জ ফরয করেছেন, অতএব তোমরা হজ্জ পালন কর।” একটি লোক বলে উঠল, ‘হে আল্লাহর রসূল! প্রতি বছর তা করতে হবে কি?’ তিনি নিরুত্তর থাকলেন এবং লোকটি শেষ পর্যন্ত তিনবার জিজ্ঞাসা করল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, “যদি আমি বলতাম, হ্যাঁ। তাহলে (প্রতি বছরে) হজ্জ ফরয হয়ে যেত। আর তোমরা তা পালন করতে অক্ষম হতে।” অতঃপর তিনি বললেন, “তোমরা আমাকে (আমার অবস্থায়) ছেড়ে দাও, যতক্ষণ আমি তোমাদেরকে (তোমাদের স্ব-স্ব অবস্থায়) ছেড়ে রাখব। কেননা, তোমাদের পূর্বেকার জাতিরা অতি মাত্রায় জিজ্ঞাসাবাদ ও তাদের পয়গম্বরদের বিরোধিতা করার দরুন ধ্বংস হয়েছে। সুতরাং আমি যখন তোমাদেরকে কোন কিছু করার আদেশ দেব, তখন তোমরা তা সাধ্যমত পালন করবে। আর যা করতে নিষেধ করব, তা থেকে বিরত থাকবে।” (মুসলিম ৩৩২১)

১১৩৯

সহিহ হাদিস
عَنِ ابنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم قَالَ أَمَّا خُرُوجُكَ مِنْ بَيْتِكَ تَؤُمُّ الْبَيْتَ فَإِنَّ لَكَ بِكُلِّ وَطْأَةٍ تَطَأُهَا رَاحِلَتُكَ يَكْتُبُ اللهُ لَكَ بِهَا حَسَنَةً وَيَمْحُو عَنْكَ بِهَا سَيِّئَةً وَأَمَّا وُقُوفُكَ بِعَرَفَةَ فَإِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ يَنْزِلُ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا فَيُبَاهِي بِهِمُ الْمَلائِكَةَ فَيَقُولُ:هَؤُلاءِ عِبَادِي جَاءُونِي شُعْثًا غُبْرًا مِنْ كُلِّ فَجٍّ عَمِيقٍ يَرْجُونَ رَحْمَتِي وَيَخَافُونَ عَذَابِي وَلَمْ يَرَوْنِي فَكَيْفَ لَوْ رَأَوْنِي؟فَلَوْ كَانَ عَلَيْكَ مِثْلُ رَمْلِ عَالِجٍ أَوْ مِثْلُ أَيَّامِ الدُّنْيَا أَوْ مِثْلُ قَطْرِ السَّمَاءِ ذُنُوبًا غَسَلَ اللهُ عَنْكَ وَأَمَّا رَمْيُكَ الْجِمَارَ فَإِنَّهُ مَذْخُورٌ لَكَ وَأَمَّا حَلْقُكَ رَأْسَكَ فَإِنَّ لَكَ بِكُلِّ شَعْرَةٍ تَسْقُطُ حَسَنَةٌ فَإِذَا طُفْتَ بِالْبَيْتِ خَرَجْتَ مِنْ ذُنُوبِكَ كَيَوْمِ وَلَدَتْكَ أُمُّكَ

ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “পবিত্র কাবার দিকে স্বগৃহ থেকে তোমার বের হওয়াতে, তোমার সওয়ারীর প্রত্যেক পদক্ষেপের বিনিময়ে আল্লাহ একটি করে সওয়াব লিপিবদ্ধ করবেন এবং একটি করে পাপ মোচন করবেন।
আরাফায় অবস্থান কালে আল্লাহ নিচের আসমানে নেমে আসেন এবং তাদেরকে (হাজীদেরকে) নিয়ে ফিরিশতাবর্গের নিকট গর্ব করেন। বলেন, ‘আমার ঐ বান্দাগণ আলুথালু কেশে ধূলামলিন বেশে দূর-দূরান্তর পথ অতিক্রম করে আমার কাছে এসে আমার রহমতের আশা করে এবং আমার আযাবকে ভয় করে, অথচ তারা আমাকে দেখেনি। তাহলে তারা আমাকে দেখলে কি করত? সুতরাং তোমার যদি বালির পাহাড় অথবা পৃথিবীর বয়স অথবা আকাশের বৃষ্টি পরিমাণ গোনাহ থাকে, আল্লাহ তা ধৌত করে দেবেন।
পাথর মারার সওয়াব তোমার জন্য জমা থাকবে।
মাথা নেড়ার করলে প্রত্যেক চুলের বিনিময়ে একটি করে সওয়াব লিখা হবে।
অতঃপর কাবা গৃহের তওয়াফ করলে তুমি তোমার পাপরাশি থেকে সেই দিনের মত বের হবে, যেদিন তোমার মা তোমাকে জন্ম দিয়েছিল।” (ত্বাবারানী ১৩৩৯০, সহীহুল জামে’ ১৩৬০)

১১৩৬

সহিহ হাদিস
وَعَنْهُ قَالَ:سُئِلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم أَيُّ العَمَلِ أَفْضَلُ ؟ قَالَ إِيمَانٌ بِاللهِ وَرسولِهِ قِيلَ : ثُمَّ مَاذَا ؟ قَالَ الجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللهِ قِيلَ : ثُمَّ مَاذَا ؟ قَالَ حَجٌّ مَبرُورٌ متفقٌ عَلَيْهِ

উক্ত রাবী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে জিজ্ঞাসা করা হল, ‘সর্বোত্তম কাজ কী?’ তিনি বললেন, “আল্লাহ ও তার রসূলের প্রতি ঈমান রাখা।” জিজ্ঞাসা করা হল, ‘তারপর কী?’ তিনি বললেন, “আল্লাহর পথে জিহাদ করা।” পুনরায় তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হল, ‘অতঃপর কী?’ তিনি বললেন, “মাবরূর’ (বিশুদ্ধ বা গৃহীত) হজ্জ।” (বুখারী ২৬, মুসলিম ২৫৮)
‘মাবরূর’ (বিশুদ্ধ বা গৃহীত) হজ্জ সেই হজ্জকে বলা হয়, যাতে হাজী কোন প্রকার আল্লাহর অবাধ্যতা ও পাপাচারে লিপ্ত হয়নি।

১১৪০

সহিহ হাদিস
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم تَابِعُوا بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ فَإِنَّهُمَا يَنْفِيَانِ الذُّنُوبَ كَمَا يَنْفِي الْكِيرُ خَبَثَ الْحَدِيدِ

ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, “তোমরা হজ্জকে উমরাহ ও উমরাহকে হজ্জের অনুগামী কর। (অর্থাৎ হজ্জ করলে উমরাহ ও উমরাহ করলে হজ্জ কর।) কারণ, হজ্জ ও উমরাহ উভয়েই দারিদ্র ও পাপরাশিকে সেইরূপ দূরীভূত করে যেরূপ (কামারের) হাপর লোহার ময়লাকে দূরীভূত করে ফেলে।” (নাসাঈ ২৬৩০-২৬৩১, তিরমিযী, নাসাঈ প্রমুখ অন্য সাহাবী হতে, ত্বাবারানী ১১০৩৩)

১১৪২

সহিহ হাদিস
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ عَن رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم أَنَّهُ قَالَ الْحُجَّاجُ وَالْعُمَّارُ وَفْدُ اللهِ إِنْ دَعَوْهُ أَجَابَهُمْ وَإِنْ اسْتَغْفَرُوهُ غَفَرَ لَهُمْ

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “হজ্জ ও উমরাহকারিগণ আল্লাহর বিশেষ প্রতিনিধিদল (অতিথি)। তারা আল্লাহকে আহবান করলে তিনি সাড়া দিয়ে থাকেন। আর তারা তাঁর নিকট ক্ষমা চাইলে তিনি তাদেরকে ক্ষমা করে থাকেন।” (ইবনে মাজাহ ২৮৯২, সঃ তারগীব ১১০৯)

১১৪১

সহিহ হাদিস
عَنْ أَبِى سَعِيدٍ الْخُدْرِىِّ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم قَالَ يَقُولُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ إِنَّ عَبْدًا أَصْحَحْتُ جِسْمَهُ وَأَوْسَعْتُ عَلَيْهِ فِى الْمَعِيشَةِ تَأْتِى عَلَيْهِ خَمْسَةُ أَعْوَامٍ لَمْ يَفِدْ إِلَىَّ لَمَحْرُومٌ

আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, আল্লাহ আয্যা অজাল্ল বলেন, “যে বান্দাকে আমি দৈহিক সুস্থতা দিয়েছি এবং আর্থিক প্রাচুর্য দান করেছি, অতঃপর তার পাঁচ বছর অতিবাহিত হয়ে যায় অথচ আমার দিকে (হজ্জব্রত পালন করতে) আগমন করে না, সে অবশ্যই বঞ্চিত।” (ইবনে হিব্বান ৩৭০৩, বাইহাকী ১০৬৯৫, আবূ য়্যালা ১০৩১, সিলসিলাহ সহীহাহ ১৬৬২)

১১৪৪

সহিহ হাদিস
وَعَن جَابِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلْحُجَّاجُ وَالْعُمَّارُ وَفْدُ اللهِ دَعَاهُمْ فَأَجَابُوهُ وَسَأَلُوهُ فَأَعْطَاهُمْ

জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, “হজ্জ ও উমরাহকারিগণ আল্লাহর বিশেষ প্রতিনিধিদল (অতিথি)। আল্লাহ তাদেরকে (কাবা শরীফ যিয়ারতের জন্য) আহবান করলে তারা সারা দিয়ে (উপস্থিত হয়ে) থাকে। আর তারা তাঁর নিকট চাইলে তিনি তাদেরকে দান করে থাকেন।” (বাযযার, সিলসিলাহ সহীহাহ ১৮২০, সহীহুল জামে ৩১৭৩)

১১৪৩

সহিহ হাদিস
عَنِ ابنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم قَالَ الْغَازِي فِي سَبِيلِ اللهِ وَالْحَاجُّ وَالْمُعْتَمِرُ وَفْدُ اللهِ دَعَاهُمْ فَأَجَابُوهُ وَسَأَلُوهُ فَأَعْطَاهُمْ

ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “আল্লাহর পথে মুজাহিদ, হজ্জ ও উমরাহকারিগণ আল্লাহর বিশেষ প্রতিনিধিদল (অতিথি)। আল্লাহ তাদেরকে (জিহাদ ও কাবা শরীফ যিয়ারতের জন্য) আহবান করলে তারা সারা দিয়ে (উপস্থিত হয়ে) থাকে। আর তারা তাঁর নিকট চাইলে তিনি তাদেরকে দান করে থাকেন।” (ইবনে মাজাহ ২৮৯৩)

১১৪৬

সহিহ হাদিস
وَعَنْها : أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم قَالَ مَا مِنْ يَوْمٍ أَكْثَرَ مِنْ أَن يُعْتِقَ اللهُ فِيهِ عَبْداً مِنَ النَّارِ مِنْ يَوْمِ عَرَفَةَ

উক্ত রাবী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “আরাফার দিন অপেক্ষা এমন কোন দিন নেই, যেদিন আল্লাহ সর্বাধিক বেশী সংখ্যায় বান্দাকে দোযখমুক্ত করেন।” (মুসলিম ৩৩৫৪)

১১৪৭

সহিহ হাদিস
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ : أَنَّ امرَأَةً قَالَت : يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ فَرِيضَةَ اللهِ عَلَى عِبَادِهِ فِي الحَجِّ أَدْرَكَتْ أَبي شَيْخاً كَبِيراً لاَ يَثْبُتُ عَلَى الرَّاحِلَةِ أَفَأحُجُّ عَنْهُ ؟ قَالَ نَعَمْ متفقٌ عليه

ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একজন মহিলা বলল, ‘হে আল্লাহর রসূল! আল্লাহর স্বীয় বান্দাদের উপর হজ্জের ফরয আমার বৃদ্ধ পিতার উপর এমতাবস্থায় এসে পৌঁছেছে যে, তিনি বাহনের উপর চড়ে বসে থাকতে অক্ষম। আমি কি তার পক্ষ হতে হজ্জ পালন করব?’ তিনি বললেন, “হ্যাঁ।” (বুখারী ১৫১৩, মুসলিম ৩৩১৫)

১১৪৮

সহিহ হাদিস
وَعَنْ لَقِيطِ بنِ عَامِرٍ  أَنَّهُ أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم فَقَالَ : إِنَّ أَبِي شَيْخٌ كَبِيرٌ لاَ يَسْتَطِيعُ الحَجَّ وَلاَ العُمْرَةَ وَلاَ الظَّعَنَ ؟ قَالَ حُجَّ عَنْ أَبِيكَ وَاعْتَمِرْ رواه أَبُو داود والترمذي وقال حَدِيْثٌ حَسَنٌ صَحِيْحٌ

লাক্বীত ইবনে আমের (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন, ‘আমার পিতা এত বেশী বৃদ্ধ হয়ে পড়েছেন যে, তিনি না হজ্জ করতে সক্ষম, না উমরা করতে সক্ষম, আর না সফর করতে পারবেন।’ তিনি বললেন, “তুমি তোমার পিতার পক্ষ হতে হজ্জ ও উমরা সম্পাদন কর।” (আবূ দাঊদ ১৮১২, তিরমিযী ৯৩০, হাসান সহীহ)

১১৪৯

সহিহ হাদিস
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم تَعَجَّلُوا إِلَى الْحَجِّ يَعْنِي الْفَرِيضَةَ فَإِنَّ أَحَدَكُمْ لَا يَدْرِي مَا يَعْرِضُ لَهُ

ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “তোমরা (ফরয) হজ্জ পালনে ত্বরা কর। যেহেতু তোমাদের কেউ জানে না যে, তার সম্মুখে কোন অসুবিধা এসে উপস্থিত হবে।” (আহমাদ ১/৩১৪, ২৮৬৭, ইরওয়া ৪/১৬৮, সঃ জামে’ ২৯৫৭)

১১৫০

সহিহ হাদিস
وَعَنِ السَّائِبِ بنِ يَزِيْدَ  قَالَ : حُجَّ بِي مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم فِي حَجَّةِ الوَدَاعِ وَأنَا ابنُ سَبعِ سِنينَ رواه البخاري

সায়েব ইবনে য়্যাযীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘বিদায় হজ্জে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সঙ্গে আমাকে নিয়ে হজ্জ করা হয়েছে। আমি তখন সাত বছরের শিশু।’ (বুখারী ১৮৫৮, তিরমিযী ৯২৫)

১১৫২

সহিহ হাদিস
عَن أَنَسٍ  أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم حَجَّ عَلَى رَحْلٍ وَكَانَتْ زَامِلَتَهُ رواه البخاري

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বাহনে চড়ে হজ্জ সমাধা করেন। আর ঐ বাহনটিই ছিল প্রয়োজনীয় যাবতীয় সাজ-সরঞ্জামের বাহক। (বুখারী ১৫১৭)
* (অর্থাৎ, তিনি যে উঁটের বাহনে চড়ে হজ্জ করেছেন সেই বাহনেই তাঁর খাদ্য-পানীয় তথা অন্যান্য আনুষঙ্গিক আসবাবপত্রও চাপানো ছিল।)

১১৫১

সহিহ হাদিস
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا : أَنَّ النَّبيَّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم لَقِيَ رَكْباً بِالرَّوْحَاءِ فَقَالَ مَنِ القَوْمُ ؟ قَالُوا: المُسلِمُونَ قَالُوا : مَنْ أَنْتَ؟ قَالَ رَسُولُ اللهِ فَرَفَعَتِ امْرَأةٌ صَبيّاً فَقَالَتْ : أَلِهَذَا حَجٌّ ؟ قَالَ نَعَمْ وَلَكِ أَجْرٌرواه مسلم

ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ‘রাওহা’নামক স্থানে একটি যাত্রীদলের সাথে সাক্ষাৎকালে বললেন, “তোমরা কোন্ জাতি?” তারা বলল, ‘আমরা মুসলমান।’তারা বলল, ‘আপনি কে?’ তিনি বললেন, “আমি আল্লাহর রসূল।” এই সময়ে একজন মহিলা একটি শিশুকে তুলে ধরে বলল, ‘এর কি হজ্জ হবে?’ তিনি বললেন, “হ্যাঁ। আর (ওকে হজ্জ করানো বাবত) তোমারও সওয়াব হবে।” (মুসলিম ৩৩১৭-৩৩১৯, তিরমিযী ৯২৪)

১১৫৩

সহিহ হাদিস
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ : كَانَتْ عُكَاظُ وَمَجِنَّةُ وَذُو المَجَازِ أَسْوَاقاً فِي الجَاهِلِيَّةِ فَتَأَثَّمُوا أَنْ يَتَّجِرُوا في المَوَاسِمِ فَنَزَلَتْ لَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَنْ تَبْتَغُوا فَضْلاً مِنْ رَبِّكُمْ

ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, উকায, মাজিন্নাহ ও যুল-মাজায নামক স্থানগুলিতে (ইসলাম আসার পূর্বে) জাহেলী যুগের বাজার ছিল। তাই সাহাবায়ে কেরাম হজ্জের মৌসমে ব্যবসা-বাণিজ্যমূলক কাজ-কর্মকে পাপ মনে করলেন। তার জন্য এই আয়াত অবতীর্ণ হল, যার অর্থ, “(হজ্জের সময়) তোমাদের জন্য তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহ কামনায় (ব্যবসা-বাণিজ্যে) কোন দোষ নেই।” (সূরা বাক্বারাহ-০২:১৯৮, বুখারী ২০৫০, ২০৯৮, ৪৫১৯)

১১৪৫

সহিহ হাদিস
وَعَنْ عَائِشَة رَضِيَ اللهُ عَنْهُا قَالَتْ : قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللهِ نَرَى الجِهَادَ أَفْضَلَ العَمَلِ أَفَلاَ نُجَاهِدُ؟ فَقَالَ لَكُنَّ أَفْضَلُ الجِهَادِ : حَجٌّ مَبْرُورٌرواه البخاري

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রসূল! আমরা আল্লাহর পথে জিহাদ করাকে সর্বোত্তম কাজ মনে করি, তাহলে কি আমরা জিহাদ করব না?’ তিনি বললেন, “কিন্তু (মহিলাদের জন্য) সর্বোত্তম জিহাদ হচ্ছে ‘মাবরূর’ (বিশুদ্ধ বা গৃহীত) হজ্জ।” (বুখারী ১৫২০, ১৮৬১)
১০/ পরিচ্ছেদঃ রমযানে উমরাহ করার মাহাত্ম্য

১১৫৪

সহিহ হাদিস
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا : أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم قَالَ عُمْرَةٌ في رَمَضَانَ تَعْدِلُ حَجَّةً أَوْ حَجَّةً مَعِي

ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “মাহে রমযানের উমরাহ একটি হজ্জের সমতুল্য অথবা আমার সঙ্গে হজ্জ করার সমতুল্য।” (বুখারী ১৭৮২, ১৮৬৩, মুসলিম ৩০৯৭-৩০৯৮)

১১৫৫

সহিহ হাদিস
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِىَّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم قَالَ لاِمْرَأَةٍ مِنَ الأَنْصَارِ يُقَالُ لَهَا أُمُّ سِنَانٍ مَا مَنَعَكِ أَنْ تَكُونِى حَجَجْتِ مَعَنَا قَالَتْ نَاضِحَانِ كَانَا لأَبِى فُلاَنٍ زَوْجِهَا حَجَّ هُوَ وَابْنُهُ عَلَى أَحَدِهِمَا وَكَانَ الآخَرُ يَسْقِى عَلَيْهِ غُلاَمُنَا قَالَ فَعُمْرَةٌ فِى رَمَضَانَ تَقْضِى حَجَّةً أَوْ حَجَّةً مَعِى

ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আনসার গোত্রের উম্মে সিনান নাম্নী এক মহিলাকে বললেন, “আমাদের সাথে হজ্জ করতে তোমাকে কে বাধা দিল?” মহিলাটি বলল, ‘অমুকের বাপের (স্বামীর) মাত্র দুটি সেচনকারী উট ছিল; তার মধ্যে একটি নিয়ে ওরা বাপ-বেটায় হজ্জে গিয়েছিল। আর অপরটি দিয়ে আমাদের এক খেজুর বাগান সেচতে হচ্ছিল। (তাই আমার সওয়ার হয়ে যাওয়ার মত আর উট ছিল না।) তিনি বললেন, “তাহলে রমযানে একটি উমরাহ একটি হজ্জের অথবা আমার সাথে একটি হজ্জ করার সমান সওয়াব রয়েছে। (অতএব তা তুমি করে ফেল।)” (বুখারী ১৮৬৩, মুসলিম ৩০৯৭-৩০৯৮)
১০/ পরিচ্ছেদঃ যুলহিজ্জার চাঁদ উঠার পর কুরবানী হওয়া পর্যন্ত কুরবানী করতে ইচ্ছুক ব্যক্তির নিজ নখ, চুল-গোঁফ ইত্যাদি কাটা নিষিদ্ধ

১১৫৬

সহিহ হাদিস
عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُا قَالَتْ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم مَنْ كَانَ لَهُ ذِبْحٌ يَذْبَحُهُ فَإِذَا أَهَلَّ هِلاَلُ ذِي الحِجَّةِ فَلاَ يَأخُذَنَّ مِنْ شَعْرِهِ وَلاَ مِنْ أَظْفَارِهِ شَيْئاً حَتَّى يُضَحِّيَ رواه مسلم

উম্মে সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “যার কাছে এমন কুরবানীর পশু আছে যাকে যবেহ করার ইচ্ছা রাখে, সে যেন যুলহিজ্জার চন্দ্রোদয়ের পর থেকে কুরবানী যবেহ না করা পর্যন্ত নিজ চুল, নখ কিছু অবশ্যই না কাটে।” (মুসলিম ৫২৩৬)
অন্য এক বর্ণনায় বলেন, “সে যেন তার (মরা বা ফাটা) চর্মাদির কিছুও স্পর্শ না করে।” (মুসলিম ৫২৩২)
১০/ পরিচ্ছেদঃ ইহরাম

১৫৭

সহিহ হাদিস
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم لَا نَذْكُرُ إِلَّا الْحَجَّ فَلَمَّا جِئْنَا سَرِفَ طَمِثْتُ فَدَخَلَ عَلَيَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم وَأَنَا أَبْكِي فَقَالَ مَا يُبْكِيكِ قُلْتُ لَوَدِدْتُ وَاللهِ أَنِّي لَمْ أَحُجَّ الْعَامَ، قَالَ لَعَلَّكِ نُفِسْتِ قُلْتُ نَعَمْ، قَالَ فَإِنَّ ذَلِكِ شَيْءٌ كَتَبَهُ اللهُ عَلَى بَنَاتِ آدَمَ، فَافْعَلِي مَا يَفْعَلُ الْحَاجُّ غَيْرَ أَنْ لَا تَطُوفِي بِالْبَيْتِ حَتَّى تَطْهُرِي

বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ

আয়েশা (রাঃ) হজ্জ সফরে রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সঙ্গে ছিলেন। রাস্তায় তাঁর ঋতু শুরু হয়ে যায়। তিনি বলেন, আমি কাঁদতে লাগি। সেই সময় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমার নিকটে এলেন। বললেন, “কাঁদছ কেন?” আমি বললাম, ‘আল্লাহর কসম! যদি এ বছরে হজ্জে বের না হতাম (তাহলে ভাল হত)!’ তিনি বললেন, “সম্ভবতঃ তোমার মাসিক শুরু হয়েছে?” আমি বললাম, ‘জী হ্যাঁ।’ তিনি বললেন, “এটি তো এমন জিনিস যা আদম কন্যাদের উপর আল্লাহ অনিবার্য করেছেন। সুতরাং তুমি হাজী যা করে তাই কর, তবে পবিত্রা না হওয়া পর্যন্ত তওয়াফ করো না।” (বুখারী ২৯৪, ৩০৫, মুসলিম ২৯৭৭)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন