HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হাদিস সম্ভার

. পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতা অধ্যায়

جمع الحديث

/ পরিচ্ছেদঃ দাঁতন করার মাহাত্ম্য ও প্রকৃতিগত আচরণসমূহ

৫০৮

সহিহ হাদিস
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِى لَفَرَضْتُ عَلَيْهِمُ السِّوَاكَ مَعَ الْوُضُوءِ وَلأَخَّرْتُ صَلاَةَ الْعِشَاءِ إِلَى نِصْفِ اللَّيْلِ

আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহি আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “আমি আমার উম্মতের পক্ষে কষ্টকর না জানলে (প্রত্যেক) ওযুর সাথে দাঁতন করা ফরয করতাম এবং এশার নামায অর্ধেক রাত পর্যন্ত দেরী করে পড়তাম।” (হকেম ৫১৬, বাইহাকী ১৪৬, সহীহুল জামে’ ৫৩১৯ নং)

৫০৯

সহিহ হাদিস
وَعَن حُذَيْفَةَ قَالَ : كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم إِذَا قَامَ مِن النَّومِ يَشُوصُ فَاهُ بِالسِّوَاكِ متفقٌ عَلَيْ

হুযাইফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন ঘুম থেকে উঠতেন, তখন তিনি দাঁতন দিয়ে দাঁত মেজে নিতেন। (বুখারী ২৪৫, ১১৩৬ মুসলিম ৬১৬-৬১৮নং)

৫০৭

সহিহ হাদিস
عَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم قَالَ لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي أَوْ عَلَى النَّاسِ - لأَمَرْتُهُمْ بِالسِّوَاكِ مَعَ كُلِّ صَلاَةٍ متفقٌ عَلَيْهِ

আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “যদি আমি আমার উম্মতের উপর বা লোকেদের উপর কঠিন মনে না করতাম, তাহলে প্রতিটি নামাযের সাথে দাঁতন করার আদেশ দিতাম।” (বুখারী ৮৮৭, মুসলিম ৬১২নং)

৫১১

সহিহ হাদিস
وَعَن أَنَسٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم أَكْثَرْتُ عَلَيْكُمْ فِي السِّوَاكِ رواه البخاري

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমাদেরকে দাঁতন করার জন্য বেশি তাকীদ করেছি। (বুখারী৮৮৮নং)

৫১০

সহিহ হাদিস
وَعَن عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا قَالَت : كُنَّا نُعِدُّ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم سِوَاكَهُ وَطَهُورَهُ فَيَبْعَثُهُ اللهُ مَا شَاءَ أَنْ يَبْعَثَهُ مِنَ اللَّيْلِ فَيَتَسَوَّكُ وَيَتَوضَّأُ وَيُصَلِّي رواه مسلم

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, “আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জন্য দাঁতন ও ওযুর পানি প্রস্তুত করে রাখতাম। অতঃপর আল্লাহর যখন রাতে তাকে জাগাবার ইচ্ছা হত, তখন তিনি জেগে উঠতেন। সুতরাং দাঁতন করতেন এবং ওযু ক’রে নামায পড়তেন।’ (মুসলিম ১৭৭৩নং)

৫১২

সহিহ হাদিস
وَعَن شُرَيحِ بنِ هَانِىءٍ قَالَ : قُلتُ لِعَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا : بِأَيِّ شَيْءٍ كَانَ يَبْدَأُ النَّبِيُّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم إِذَا دَخَلَ بَيْتَهُ ؟ قَالَتْ : بِالسِّوَاكِ رواه مسلم

শুরাইহ ইবনে হানি (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমি আয়েশা (রায়িয়াল্লাহু আনহা)কে জিজ্ঞাসা করলাম, নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজ বাড়িতে প্রবেশ ক’রে সর্বপ্রথম কী কাজ করতেন?” তিনি বললেন, ‘দাঁতন করতেন।’ (মুসলিম ৬১৩নং)

৫১৩

সহিহ হাদিস
وَعَنْ أَبيْ مُوسَى الأَشعَرِي قَالَ : دَخَلتُ عَلَى النَّبيِّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم وَطَرَفُ السِّوَاكِ عَلَى لِسَانِهِ متفقٌ عَلَيْهِ وهذا لفظ مسلمٍ

আবূ মূসা আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমি নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট প্রবেশ করলাম, তখন দাঁতনের একটি দিক তাঁর জিভের উপর রাখা ছিল। (বুখারী ২৪৪, মুসলিম ৬১৫, এ শব্দগুলি মুসলিমের)

৫১৪

সহিহ হাদিস
وَعَن عَائِشَة رَضِيَ اللهُ عَنهَا : أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم قَالَ السِّوَاكُ مَطْهَرَةٌ لِلْفَمِ مَرْضَاةٌ للرَّبِّ رواه النسائي وابنُ خُزَيْمَةَ في صحيحهِ بأسانيدَ صحيحةٍ

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “দাঁতন মুখ পবিত্র রাখার ও প্রভুর সন্তুষ্টি লাভের উপকরণ।” (আহমদ ২৪২০৩, নাগাঈ ৫, ইবনে খু্যাইমাহ ১৩, ইবনে হিব্বান ১০৬৭, দারেমী ৬৮৪, বুখারী বিনা সনদে, সহীহ তারগীব ২০২নং)

৫১৬

সহিহ হাদিস
عَن سَمُرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم طَيِّبُوا أَفْوَاهَكُمْ بِالسِّوَاكِ فَإِنَّهَا طُرُقُ الْقُرْآنِ

সামুরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “মিসওয়াক করে তোমরা তোমাদের মুখকে পবিত্র কর। কারণ, মুখ হল কুরআনের পথ।” (বাইহাক্বীর শুআবুল ঈমান ২১১৯, সঃ জামে ৩৯৩৯নং)

৫১৭

সহিহ হাদিস
عَن أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أُمِرْتُ بِالسِّوَاكِ حَتَّى خَشِيتُ أَنْ أَدْرَدَ

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “জিবরীল (আঃ) আমাকে (এত বেশী) দাঁতন করতে আদেশ করেছেন যে, তাতে আমি আমার দাঁত ঝরে যাওয়ার আশঙ্কা করছি।” (বায্‌যার ৬৯৫২, সিলসিলাহ সহীহাহ ১৫৫৬ নং)

৫১৮

সহিহ হাদিস
عَن وَاثِلَةَ بْنِ الْأَسْقَعِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم أُمِرْتُ بِالسِّوَاكِ حَتَّى خَشِيتُ أَنْ يُكْتَبَ عَلَيَّْْْْ

ওয়াষেলাহ বিন আস্‌ক্বা’ থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “আমাকে দাঁতন করতে আদেশ করা হয়েছে, এতে আমার ভয় হয় যে, হয়তো দাঁতন করা আমার উপর ফরয করে দেওয়া হবে।” (আহমাদ ১৬০০৭, সহীহুল জামে’ ১৩৭৬ নং)

৫১৫

সহিহ হাদিস
عَن عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنهُ ُأَنَّهُ أَمَرَ بِالسِّوَاكِ وَقَالَ : قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ الْعَبْدَ إِذَا تَسَوَّكَ ثُمَّ قَامَ يُصَلِّي قَامَ الْمَلَكُ خَلْفَهُ فَتَسَمَّعَ لِقِرَاءَتِهِ فَيَدْنُو مِنْهُ أَوْ كَلِمَةً نَحْوَهَا حَتَّى يَضَعَ فَاهُ عَلَى فِيهِ فَمَا يَخْرُجُ مِنْ فِيهِ شَيْءٌ مِنَ الْقُرْآنِ إِلاَّ صَارَ فِي جَوْفِ الْمَلَكِ فَطَهِّرُوا أَفْوَاهَكُمْ لِلْقُرْآنِ

আলী (রাঃ) প্রমুখাৎ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি দাঁতন আনতে আদেশ দিয়ে বললেন, নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “বান্দা যখন নামায পড়তে দণ্ডায়মান হয় তখন ফিরিশুা তার পিছনে দণ্ডায়মান হয়ে তার ক্বিরাআত শুনতে থাকেন। ফেরেশতা তার নিকটবর্তী হন; পরিশেষে তিনি নিজ মুখ তার (বান্দার) মুখে মিলিয়ে দেন। ফলে তার মুখ হতে কুরআনের যেটুকুই অংশ বের হয় সেটুকু অংশই ফেরেশতার পেটে প্রবেশ করে যায়। সুতরাং কুরআনের জন্য তোমরা তোমাদের মুখকে পবিত্র কর।” (বাইহাকী ১৬১, বা্যযার ৬০৩, সহীহ তারগীব ২১৫নং)

৫১৯

সহিহ হাদিস
وَعَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم قَالَ الفِطْرَةُ خَمْسٌ أَوْ خَمْسٌ مِنَ الفِطْرَةِ : الخِتَانُ وَالاسْتِحْدَادُ وَتَقْلِيمُ الأَظْفَارِ وَنَتْفُ الإِبِطِ وَقَصُّ الشَّارِب متفقٌ عَلَيْهِ

আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “প্রকৃতিগত আচরণ (নবীগণের তরীকা) পাঁচটি অথবা পাঁচটি কাজ প্রকৃতিগত আচরণ, (১) খাত্‌না (লিঙ্গত্বক ছেদন) করা। (২) লজ্জাস্থানের লোম কেটে পরিস্কার করা। (৩) নখ কাটা। (৪) বগলের লোম ছিড়া। (৫) গোঁফ ছেটে ফেলা।” (বুখারী ৫৮৮৯, ৫৮৯১, ৬২৯৭, মুসলিম ৬২০-৬২১নং)

৫২১

সহিহ হাদিস
وَ عَنْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم قَالَ أَحْفُوا الشَّوَارِبَ وَأَعْفُوا اللِّحَى متفقٌ عَلَيْهِ

আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “তোমরা গোঁফ কেটে ফেল এবং দাড়ি লম্বা কর।” (বুখারী ৫৮৯৩, মুসলিম ৬২৩)

৫২২

সহিহ হাদিস
عَن زَيْدِ بن أَرْقَمَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم مَنْ لَمْ يَأْخُذْ مِنْ شَارِبِهِ فَلَيْسَ مِنَّا

যায়দ বিন আরকাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “যে ব্যক্তি তার মোছ ছাঁটে না, সে আমার দলভুক্ত নয়।” (আহমাদ ১৯২৬৩, তিরমিযী ২৭৬১, নাসাঈর কুবরা ১৪, তাবরানী ৪৮৯৩-৪৮৯৬, সহীহুল জামে’ ৬৫৩৩নং)

৫২৩

সহিহ হাদিস
عَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم قَالَ أَعْفُوا اللِّحَى وَخُذُوا الشَّوَارِبَ وَغَيِّرُوا شَيْبَكُمْ وَلَا تَشَبَّهُوا بِالْيَهُودِ وَالنَّصَارَى

আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “তোমরা দাড়ি বাড়াও, মোছ ছোট কর, পাকা চুলে (কালো ছাড়া অন্য) খেযাব লগাও এবং ইয়াহুদ ও নাসারার সাদৃশ্য অবলম্বন করো না।” (আহমাদ ৮৬৭২, সহীহুল জামে’ ১০৬৭নং)

৫২৪

সহিহ হাদিস
عَنْ اِبْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم خَالِفُوا الْمُشْرِكِينَ أَحْفُوا الشَّوَارِبَ وَأَوْفُوا اللِّحَى

আব্দুল্লাহ বিন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “তোমরা মুশরিকদের অন্যথাচরণ কর। তোমরা মোছ ছেঁটে ফেল এবং দাড়ি ছেড়ে দাও।” (বুখারী ৫৮৯২-৫৮৯৩, মুসলিম ৬২৫নং)

৫২০

সহিহ হাদিস
وَعَن عَائِشَة رَضِيَ اللهُ عَنهَا قَالَتْ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم عَشْرٌ مِنَ الفِطْرَةِ : قَصُّ الشَّارِبِ وَإِعْفَاءُ اللِّحْيَةِ وَالسِّوَاكُ وَاسْتِنْشَاقُ المَاءِ وَقَصُّ الأَظْفَارِ وَغَسْلُ البَرَاجِمِ وَنَتفُ الإِبْطِ وَحَلْقُ العَانَةِ وَانْتِقَاصُ المَاءِ قَالَ الرَّاوِي : وَنَسِيْتُ العَاشِرَةَ إِلاَّ أَنْ تَكُونَ المَضمَضَةُ قَالَ وَكِيعٌ - وَهُوَ أحَدُ رُواتِهِ - انْتِقَاصُ المَاءِ : يَعَني الاسْتِنْجَاءِ رواه مسلم

আয়েশা (রা:) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “দশটি কাজ প্রকৃতিগত আচরণ (১) গোঁফ ছেটে ফেলা। (২) দাড়ি বাড়ানো। (৩) দাঁতন করা। (৪) নাকে পানি দিয়ে নাক পরিস্কার করা। (৫) নখ কাটা। (৬) আঙ্গুলের জোড়সমূহ ধোয়া। (৭) বগলের লোম তুলে ফেলা। (৮) গুপ্তাঙ্গের লোম পরিস্কার করা। (৯) পানি দ্বারা ইস্তেঞ্জ (শৌচকর্ম) করা।” বর্ণনাকারী বলেন, ১০নং আচরণটি ভুলে গেছি, তবে মনে হয়, তা কুল্লি করা হবে। বর্ণনাকারী অকী’ বলেন, ‘ইন্তিকাসুল মা’ মনে পানি দিয়ে ইস্তেঞ্জা করা। (মুসলিম ৬২৭নং)
দাড়ি বাড়নো মনেঃ তার কিছুই না কাটা। আঙ্গুলের জোড় মানেঃ আঙ্গুলের গাট।

৫২৫

সহিহ হাদিস
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم جُزُّوا الشَّوَارِبَ وَأَرْخُوا اللِّحَى خَالِفُوا الْمَجُوسَ

আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “মোছ ছেঁটে ও দাড়ি রেখে অগ্নিপূজকদের বৈপরীত্য কর।” (মুসলিম ৬২৬নং)

৫২৬

সহিহ হাদিস
عَن أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ أَنَسٌ وُقِّتَ لَنَا فِى قَصِّ الشَّارِبِ وَتَقْلِيمِ الأَظْفَارِ وَنَتْفِ الإِبْطِ وَحَلْقِ الْعَانَةِ أَنْ لاَ نَتْرُكَ أَكْثَرَ مِنْ أَرْبَعِينَ لَيْلَةً

আনাস থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘মোছ ছাঁটা, নখ কাটা, নাভির নিচের লোম চাঁছা এবং বেগলের লোম তুলে ফেলার ব্যাপারে আমাদেরকে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে যাতে আমরা সে সব চল্লিশ দিনের বেশী ছেড়ে না রাখি।’ (মুসলিম ৬২২নং)
/ পরিচ্ছেদঃ চুল পাকার মাহাত্ম্য

৫২৭

সহিহ হাদিস
عَن كعب بن مرة قال قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم مَنْ شَابَ شَيْبَةً فِي الإِسْلاَمِ فِي سَبِيلِ اللهِ كَانَتْ لَهُ نُورًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ

কা’ব বিন মুরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “যে ব্যক্তির ইসলামে (জিহাদ, আল্লাহর ভয় প্রভৃতির কারণে) একটি চুল পাকে, সেই ব্যক্তির জন্য ঐ সাদা চুলটি কিয়ামতের দিন জ্যোতি হবে।” (আহমদ ১৮২৩২, তিরমিযী ১৬৩৪, নাসাঈ ৩১৪৪, সিলসিলাহ সহীহাহ ১২৪৪ নং)

৫২৮

সহিহ হাদিস
عَن عَبْدِ اللهِ بْنِ عمرو قال قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم الشَّيْبُ نُورُ المُؤْمِنِ لاَيَشِيبُ رَجُلٌ شَيْبَةً فِي الإسْلاَمِ إلاَّ كانَتْ لَهُ بِكُلِّ شَيْبَةٍ حَسَنَةٌ وَرُفعَ بِهَا دَرَجَةً

আব্দুল্লাহ বিন আম্‌র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “শুভ্ৰ কেশ মুমিনের নুর (জ্যোতি)। ইসলামে যে ব্যক্তিরই একটি কেশ শুভ্র হবে, সেই ব্যক্তির প্রত্যেক শুভ্ৰ কেশের পরিবর্তে একটি করে নেকী লাভ হবে এবং একটি করে মর্যাদায় সে উন্নীত হবে।” (বাইহাকীর শুআবুল ঈমান ৬৩৮৭, সলসিলাহ সহীহাহ ১২৪৩ নং)

৫২৯

সহিহ হাদিস
عَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: "لَا تَنْتِفُوا الشَّيْبَ فَإِنَّهُ نُورٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَنْ شَابَ شَيْبَةً فِي الْإِسْلَامِ كُتِبَ لَهُ بِهَا حَسَنَةٌ وَحُطَّ عَنهُ بِهَا خَطِيئَةٌ وَرُفِعَ له بها درجة"

আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “তোমরা শুভ্ৰ কেশ তুলে ফেলো না। কেননা তা কিয়ামতের দিনে নূর (জ্যোতি) হবে। ইসলামে যে ব্যক্তির একটি কেশ শুভ্র হবে, সেই ব্যক্তির প্রত্যেক শুভ্ৰ কেশের পরিবর্তে আল্লাহ তার জন্য একটি করে নেকী লিপিবদ্ধ করবেন, একটি করে গোনাহ ঝরিয়ে দেবেন এবং একটি করে মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন।” (ইবনে হিব্বান ২৯৮৫, সহীহ তারগীব ২০৯৬নং)
/ পরিচ্ছেদঃ পবিত্র থাকার নির্দেশ

৫৩০

সহিহ হাদিস
عَن عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم قَالَ ثَلاَثَةٌ لاَ تَقْرَبُهُمُ الْمَلاَئِكَةُ جِيفَةُ الْكَافِرِ وَالْمُتَضَمِّخُ بِالْخَلُوقِ وَالْجُنُبُ إِلاَّ أَنْ يَتَوَضَّأَ

আম্মার বিন য়্যাসির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূল (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “(রহমতের) ফিরিশুাবর্গ তিন ব্যক্তির নিকটবর্তী হন না; কাফেরের দেহ, খালুক মাখা ব্যক্তি এবং নাপাক ব্যক্তি; যদি উযু না করে।” (আবু দাউদ ৪১৮২নং)

৫৩১

সহিহ হাদিস
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْهُمَا قَالَ: ্রثَلَاثَةٌ لَا تَقْرَبُهُمُ الْمَلَائِكَةُ: الْجُنُبُ وَالسُّكْرَانِ وَالْمُتَضَمِّخُ بِالْخَلُوقِ

ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

“(রহমতের) ফিরিশুাবর্গ তিন ব্যক্তির নিকটবর্তী হন না; নাপাক ব্যক্তি, নেশাগ্রস্ত (মাতাল) ব্যক্তি এবং খালুক মাখা ব্যক্তি।” (বাযযার, সহীহ তারগীব ১৭৪, ২৩৭৪নং)
* খালুক হল, জাফরান প্রভৃতি থেকে প্রস্তুত মহিলাদের ব্যবহার্য একপ্রকার সুগন্ধিদ্রব্য বিশেষ। এটি ব্যবহার করলে দেহে বা পোশাকে লালচে হলুদ রং প্রকাশ পায়। তাই তা পুরুষদের জন্য ব্যবহার নিষিদ্ধ।
/ পরিচ্ছেদঃ অপবিত্র দেহ অস্পৃশ্য নয়

৫৩২

সহিহ হাদিস
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ أَنَّهُ لَقِيَهُ النَّبِىُّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم فِى طَرِيقٍ مِنْ طُرُقِ الْمَدِينَةِ وَهُوَ جُنُبٌ فَانْسَلَّ فَذَهَبَ فَاغْتَسَلَ فَتَفَقَّدَهُ النَّبِىُّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم فَلَمَّا جَاءَهُ قَالَ أَيْنَ كُنْتَ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ يَا رَسُولَ اللهِ لَقِيتَنِى وَأَنَا جُنُبٌ فَكَرِهْتُ أَنْ أُجَالِسَكَ حَتَّى أَغْتَسِلَ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم سُبْحَانَ اللهِ إِنَّ الْمُؤْمِنَ لاَ يَنْجُسُ

বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ

একদা আবু হুরাইরাহ (রাঃ) -এর সাথে মহানবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর মদীনার এক পথে দেখা হল। সে সময় আবু হুরাইরাহ (রাঃ) অপবিত্রাবস্থায় ছিলেন। তিনি সরে গিয়ে গোসল ক’রে এলেন। নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কোথায় গিয়েছিলে আবু হুরাইরাহ!” তিনি বললেন, ‘আমি অপবিত্র ছিলাম। তাই সেই অবস্থায় আপনার সাথে বসাটাকে অপছন্দ করলাম।’ নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, “সুবহানাল্লাহ! মু’মিন অপবিত্র হয় না।” (বুখারী ২৮৩, মুসলিম ৮৫০নং)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন