HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মিশকাতুল মাসাবিহ

১০. পর্ব-১০. আল্লাহ তা‘আলার নামসমূহ

مشكاة المصابيح

১০/ পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

২২৮৭

সহিহ হাদিস
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «إِنَّ لِلّٰهِ تَعَالٰى تِسْعَةً وَتِسْعِينَ اسْمًا مِائَةً إِلَّا وَاحِدًا مَنْ أَحْصَاهَا دَخَلَ الْجَنَّةَ». وَفِىْ رِوَايَةٍ: «وَهُوَ وِتْرٌ يُحِبُّ الْوِتْرَ». (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলার নিরানব্বই- এক কম একশ’টি নাম রয়েছে। যে ব্যক্তি এ নামগুলো মুখস্থ করবে সে জান্নাতে যাবে। অপর বর্ণনায় আছে, তিনি বিজোড়, (তাই) বিজোড়কে ভালবাসেন। (বুখারী, মুসলিম)[১]
[১] সহীহ : বুখারী ২৭৩৬, ৭৩৯২, মুসলিম ২৬৭৭, তিরমিযী ৩৫০৬, ইবনু মাজাহ ৩৮৬০, আহমাদ ৭৬২৩, আদ্ দা‘ওয়াতুল কাবীর ২৯২, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৯৮১৬, ইবনু হিববান ৮১৭, সহীহ আল জামি‘ ২১৬৬।
১০/ পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

২২৮৯

সহিহ হাদিস
وَعَن بُرَيْدَةَ: أَنَّ رَسُوْلَ اللّٰهِ ﷺ سَمِعَ رَجُلًا يَقُولُ: اللّٰهُمَّ إِنِّىْ أَسْأَلُكَ بِأَنَّكَ أَنْتَ اللّٰهُ لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ الْأَحَدُ الصَّمَدُ الَّذِىْ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَه كُفُوًا أَحَدٌ فَقَالَ: «دَعَا اللّٰهَ بِاسْمِهِ الْأَعْظَمِ الَّذِىْ إِذَا سُئِلَ بِه أَعْطٰى وَإِذَا دُعِىَ بِه أَجَابَ». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ وَأَبُو دَاوُدَ

বুরায়দাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার এক ব্যক্তিকে বলতে শুনলেন, ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি এবং জানি যে, তুমিই আল্লাহ। তুমি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে আর কোন মা‘বূদ নেই। তুমি এক ও অনন্য। তুমি অমুখাপেক্ষী ও স্বনির্ভর। যিনি কাউকে জন্মও দেননি। কারো থেকে জন্মও নন। যার কোন সমকক্ষ নেই।’ তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, এ ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলাকে তার ইস্‌মে আ‘যম বা সর্বাধিক বড় ও সম্মানিত নামে ডাকল। এ নামে ডেকে তাঁর কাছে কেউ কিছু প্রার্থনা করলে, তিনি তাকে তা দান করেন এবং কেউ ডাকলে তিনি তার ডাকে সাড়া দেন। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ)[১]
[১] সহীহ : আবূ দাঊদ ১৪৯৩, তিরমিযী ৩৪৭৫, ইবনু মাজাহ ৩৮৫৭, আহমাদ ২২৯১৫, ইবনু হিব্বান ৮৯১, শু‘আবূল ঈমান ২৩৬৬, সহীহ আত্ তারগীব ১৬৪০।

২২৯১

হাসান লিগাইরিহি
وَعَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ يَزِيدَ رَضِيَ اللّٰهُ عَنْهَا أَنَّ النَّبِىَّ ﷺ قَالَ: اسْمُ اللّٰهِ الْأَعْظَمُ فِىْ هَاتَيْنِ الْاٰيَتَيْنِ: ﴿وَإِلٰهُكُمْ إِلٰهٌ وَّاحِدٌ لَا إِلٰهَ إِلَّا هُوَ الرَّحْمٰنُ الرَّحِيْمُ﴾ وفاتحة ﴿اٰلِ عِمْرَانَ﴾ : ﴿الٓمْ اَللهُ لَا إِلٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّوْمُ﴾ رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِىُّ

আসমা বিনতু ইয়াযীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহর ইস্‌মে আ‘যম এই দু’ আয়াতের মধ্যে রয়েছে, ওয়া ইলা-হুকুম ইলা-হূ ওয়া-হিদ, লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়ার রহমা-নুর রহীম।

এছাড়াও সূরা আ-লি ‘ইমরান-এর শুরুতে আলিফ লা-ম মী-ম আল্ল-হু লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যূম। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ, ইবনু মাজাহ, দারিমী)[১]
[১] হাসান লিগয়রিহী : আবূ দাঊদ ১৪৯৬, তিরমিযী ৩৪৭৮, ইবনু মাজাহ ৩৮৫৫, ইবনু আবী শায়বাহ্ ২৯৩৬৩, দারিমী ৩৪৩২, মু‘জামুল কাবীর ৪৪০, সহীহ আত্ তারগীব ১৬৪২, সহীহ আল জামি‘ ৯৮০।

২২৮৮

দুর্বল হাদিস
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «إِنَّ لِلّٰهِ تَعَالٰى تِسْعَةً وَتِسْعِينَ اسْمًا مَنْ أَحْصَاهَا دَخَلَ الْجَنَّةَ هُوَ اللّٰهُ الَّذِىْ لَا إِلٰهَ هُوَ الرَّحْمٰنُ الرَّحِيمُ الْمَلِكُ الْقُدُّوسُ السَّلَامُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ الْغَفَّارُ الْقَهَّارُ الْوَهَّابُ الرَّزَّاقُ الْفَتَّاحُ الْعَلِيمُ الْقَابِضُ الْبَاسِطُ الْخَافِضُ الرَّافِعُ الْمُعِزُّ الْمُذِلُّ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ الْحَكَمُ الْعَدْلُ اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ الْحَلِيمُ الْعَظِيمُ الْغَفُورُ الشَّكورُ العَلِىُّ الكَبِيرُ الحَفِيظُ المُقِيتُ الْحَسِيبُ الْجَلِيلُ الْكَرِيمُ الرَّقِيبُ الْمُجِيبُ الْوَاسِعُ الْحَكِيمُ الْوَدُودُ الْمَجِيدُ الْبَاعِثُ الشَّهِيدُ الْحَقُّ الْوَكِيلُ الْقَوِىُّ الْمَتِينُ الْوَلِىُّ الْحَمِيدُ الْمُحْصِى الْمُبْدِئُ الْمُعِيدُ الْمُحْيِىُ المُمِيتُ الحَىُّ القَيُّومُ الوَاجِدُ المَاجِدُ الْوَاحِدُ الأحَدُ الصَّمَدُ الْقَادِرُ الْمُقْتَدِرُ الْمُقَدِّمُ الْمُؤَخِّرُ الْأَوَّلُ الْاٰخِرُ الظَّاهِرُ الْبَاطِنُ الْوَالِى الْمُتَعَالِى الْبَرُّ التَّوَّابُ الْمُنْتَقِمُ العَفُوُّ الرَّؤوْفُ مَالِكُ الْمُلْكِ ذُو الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ الْمُقْسِطُ الْجَامِعُ الْغَنِىُّ الْمُغْنِى الْمَانِعُ الضَّارُّ النَّافِعُ النُّورُ الْهَادِى الْبَدِيعُ الْبَاقِى الْوَارِثُ الرَّشِيْدُ الصَّبُورُ». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ والبيهقىُّ فِى الدَّعْوَاتِ الْكَبِيْرِ. وَقَالَ التِّرْمِذِىُّ: هٰذَا حَدِيْثٌ غَرِيْبٌ

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলার নিরানব্বইটি নাম রয়েছে। যে ব্যক্তি এ নামগুলো মুখস্থ করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। যে নামগুলোর মধ্যে একটি নাম আল্ল-হ- যিনি ছাড়া আর কোন মা‘বূদ নেই। আর্ রহমান- দয়াময় বা মেহেরবান। যার দয়া বা মেহেরবানী সাড়া বিশ্বকে ছেয়ে আছে। আর্ রহীম- করুণা বা বিশেষ দয়ার অধিকারী, যে করুণা শুধু মু’মিনদের প্রতি করা হয়। আল মালিক- রাজাধিরাজ, বাদশাহ। আল কুদ্দূস- অতি পাক-পবিত্র, ধ্বংস বা কোন অপশক্তি তাঁকে স্পর্শ করতে পারে না। আস্ সালা-ম- শান্তিময় ও নিরাপদ, কোনরূপ অশান্তি তাঁকে ছুঁতে পারে না। আল মু’মিন- নিরাপত্তাদাতা বা নিরাপদকারী। আল মুহায়মিনু- রক্ষণাবেক্ষণকারী। আল ‘আযীয- প্রভাবশালী, অন্যের ওপর বিজয়ী। আল জাব্বা-র- কঠিন-কঠোর, শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে সংশোধনকারী। আল মুতাকাব্বিরু- অহংকারের অধিকারী, যাঁর জন্য অহংকার করাই শোভা পায়।

আল খ-লিক্ব- স্রষ্টা। আল বা-রী- ত্রুটিহীন সৃষ্টিকারী। আল মুসাব্বির- প্রকল্পক ও নকশা অংকনকারী, ডিজাইনার। আল গাফফা-র- বড় ক্ষমাশীল, যিনি অপরাধ ঢেকে রাখেন এবং অসংখ্য অপরাধ ক্ষমা করতে দ্বিধাবোধ করেন না। আল কহহা-র- সকল বস্ত্ত যাঁর ক্ষমতার অধীন, অর্থাৎ- ক্ষমতা প্রয়োগে যাঁর কোন প্রতিবন্ধকতা নেই। আল ওয়াহহা-ব- বড় দাতা, যাঁর দান অসীম। আর্ রাযযা-ক- রিযকদাতা। আল ফাত্‌তা-হ- যিনি প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সৃষ্টির মীমাংসাকারী, বিপদমুক্তকারী। আল ‘আলীম- বড় জ্ঞাতা, যিনি পূর্বাপর সবকিছু জানেন। আল, ক্ব-বিয- রিযক ইত্যাদির সংকোচনকারী। আল বা-সিত্ব- রিযকসহ ইত্যাদির সম্প্রসারণকারী। আল খ-ফিয- যিনি নীচে নামান। আর্ র-ফি‘উ- যিনি উপরে উঠান। আল মু‘ইযযু- সম্মান ও পূর্ণতা দানকারী। আল মুযিল্লু- অপমান ও অপূর্ণতা দানকারী। আস্ সামী‘উ- সর্বশ্রোতা, উচ্চস্বর-নিম্বস্বর সকল স্বরের শ্রোতা। আল বাসীর- দর্শক, ছোট-বড় সকল বস্ত্তর।

আল হাকাম- নির্দেশ দানকারী, বিধানকর্তা। আল ‘আদলু- ন্যায়বিচারক, যিনি যা উচিত তা-ই করেন। আল লাত্বীফ- যিনি সৃষ্টির যখন যা আবশ্যক তা করে দেন; অনুগ্রহকারী, সূক্ষ্মদর্শী বা যিনি অতি সূক্ষ্ম বিষয় সম্পর্কেও অবগত। আল খবীর- যিনি গুপ্ত রহস্যাদি সম্পর্কে অবগত। আল হালীম- ধৈর্যশীল, যিনি অপরাধ জেনেও সহজে শাস্তি দেন না। আল ‘আযীম- বিরাট মহাসম্মানী। আল গাফূর- যিনি অপরাধ গোপন রাখেন এবং অতি জঘন্য অপরাধও ক্ষমা করেন। আশ্ শাকূর- কৃতজ্ঞ, যিনি অল্পে বেশী পুরস্কার দেন। আল ‘আলীয়্যু- সর্বোচ্চ সমাসীন; সর্বোপরি। আল কাবীর- বিরাট, মহান, ধারণার ঊর্ধে বড়। আল হাফীয- বড় রক্ষাকারী, যিনি বান্দাদের সব বিষয় লক্ষ্য রাখেন। আল মুক্বীতু- খাদ্যদাতা; দৈহিক ও আত্মিক শক্তিদাতা। আল হাসীবু- যিনি অন্যের জন্য যথেষ্ট হন; যিনি যার জন্য যা যথেষ্ট তা দান করেন।

আল জালীলু- গৌরবান্বিত, মহিমান্বিত; যাঁর মহিমা অতুলনীয়। আল কারীমু- বড় দাতা, আশার অধিক দাতা; যিনি বিনা চাওয়ায় দান করেন। আর্ রক্বীবু- যিনি সকলের সকল বিষয় লক্ষ্য রাখেন এবং সর্বদা নখদর্পণে থাকেন। আল মুজীবু- উত্তরদাতা, যিনি ডাকে সাড়া দেন। আল ওয়া-সি‘উ- সম্প্রসারণকারী; যাঁর দান, জ্ঞান, দয়া ও রাজ্য বিপুল ও সম্প্রসারিত। আল হাকীমু- প্রজ্ঞাবান তত্ত্বজ্ঞানী, যিনি প্রতিটি বিষয় উত্তমরূপে ও নিখুঁতভাবে সমাধা করেন। আল ওয়াদূদু- যিনি বান্দার কল্যাণকে পছন্দ করেন। আল মাজীদু- অসীম অনুগ্রহকারী। আল বা-‘ইসু- প্রেরক, রসূল প্রেরণকারী, রিযক প্রেরণকারী, কবর থেকে হাশরে প্রেরণকারী। আশ্ শাহীদু- বান্দার প্রতিটি কাজের সাক্ষী, যিনি প্রকাশ্য বিষয় অবগত, আল হাক্কু- সত্য ও সত্য প্রকাশকারী, যিনি প্রজ্ঞা অনুসারে কাজ করেন। আল ওয়াকীলু- কার্যকারক, যিনি বান্দাদের কাজের যোগানদাতা। আল কবিয়্যু- শক্তিবান, শক্তির অধিকারী। আল মাতীনু- বড় ক্ষমতাবান, যার ওপর কারো কোন প্রকার ক্ষমতা নেই। আল ওয়ালিয়্যু- যিনি মু’মিনদের অভিভাবক, ভালবাসেন ও সাহায্য করেন।

আল হামীদু- প্রশংসিত, একমাত্র প্রশংসার যোগ্য। আল মুহসী- হিসাবরক্ষক, বান্দারা যা করে তিনি তার পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব রাখেন। আল মুব্‌দিউ- বিনা নমুনায় স্রষ্টা, যিনি মডেল না দেখে সৃষ্টি করেন। আল মু‘ঈদু- মৃত্যুর পর পুনঃসৃষ্টিকারী। যার পুনঃ সৃষ্টি, যিনি বিনা মডেলে সৃষ্টি করেন। আল মুহীউ- পুনরায় জীবিতকারী, আল মুমীতু- পুনরায় মৃত্যু দানকারী, যার পুনরায় সৃষ্টি করার ক্ষমতা আছে। আল হাইয়্যু- চিরঞ্জীব, আল কইয়্যূমু- স্বয়ং প্রতিষ্ঠিত, চিরস্থায়ী। আল ওয়া-জিদু- যিনি যাই চান তাই পান। আল মা-জীদু- বড় দাতা। আল ওয়া-হিদুল আহাদু- একক ও অদ্বিতীয়, যাঁর কোন শারীক নেই। আস্ সামাদু- প্রধান, প্রভু; যিনি কারো মুখাপেক্ষী নন কিন্তু সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী। আল ক-দিরু- ক্ষমতাবান, যিনি ক্ষমতা প্রয়োগে কারো মুখাপেক্ষী নন। আল মুকতাদিরু- সকলের ওপর যাঁর ক্ষমতা রয়েছে, সার্বভৌম, যাঁর বিধান চরম। আল মুকদ্দিমু- যিনি যাকে চান নিকটে করেন এবং আগে বাড়ান। আল মুআখখিরু- যিনি যাকে চান দূরে রাখেন বা পিছনে করেন। আল আও্ওয়ালু- প্রথম, অনাদি। আল আ-খিরু- সর্বশেষ, অনন্ত। আয্ যা-হিরু- যিনি ব্যক্ত, প্রকট গুণে ও নিদর্শনে। আল বা-ত্বিনু- যিনি গুপ্ত সত্তাতে। আল ওয়া-লিয়্যু- অভিভাবক, মুরুব্বী।

আল মুতা‘আ-লিয়্যু- সর্বোপরি। আল বাররু- মুহসিন, অনুগ্রহকারী। আত্ তাও্ওয়া-বু- তাওবাহ্ কবূলকারী, যিনি অপরাধে অনুশোচনাকারীর প্রতি পুনঃঅনুগ্রহ করেন। আল মুনতাকিমু- প্রতিশোধ গ্রহণকারী। আল আফুব্বু- বড়ই ক্ষমাশীল। আর্ রঊফু- বড়ই দয়ালু। মালিকুল মুল্‌ক- রাজাধিরাজ, যাঁর রাজ্যে তিনি যা ইচ্ছা তা করতে পারেন। যুল্ জালা-লি ওয়াল ইকর-ম- মহিমা ও সম্মানের অধিকারী। আল মুকসিত্বু- অত্যাচার দমনকারী, উৎপীড়ক থেকে উৎপীড়িতের প্রতিশোধ গ্রহণকারী। আল জা-মি‘উ- কিয়ামাতে বান্দাদের একত্রকারী অথবা সর্বগুণের অধিকারী।

আল গনিয়্যু- বেনিয়াজ, যিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। আল মুগনিয়্যু- যিনি কাউকেও কারো মুখাপেক্ষী হতে বাঁচিয়ে রাখেন। আল মা-নি‘উ- বিপদে বাধাদানকারী। আয্ যাররু- যিনি ক্ষতি করার ক্ষমতা রাখেন। আন্ না-ফি‘উ- উপকারী, যিনি উপকারের ক্ষমতা রাখেন। আন্ নূরু- আলোকোজ্জ্বল, প্রভা, প্রভাকর। আল হা-দিয়ু- পথপ্রদর্শক (যারা তাঁর অনুসরণ করে তাদের)। আল বাদী‘উ- অদ্বিতীয়, অনুপম অথবা যিনি বিনা আদর্শে গড়েন। আল বা-ক্বী- যিনি সর্বদা আছেন, সৃষ্টি ধ্বংসের পরেও যিনি থাকবেন। আল ওয়া-রিসু- উত্তরাধিকারী, সকল শেষ হবে আর তিনি সকলের উত্তরাধিকারী হবেন। আর্ রশীদু- কারো পরামর্শ বা জিজ্ঞাসু ছাড়া যাঁর কাজ উত্তম ও ভাল হয়। আস্ সাবূরু- বড়ই ধৈর্যশীল। (তিরমিযী, বায়হাক্বী-দা‘ওয়াতুল কাবীর; তিরমিযী বলেন, হাদীসটি গরীব)[১]
[১] য‘ঈফ : তিরমিযী ৩৫০৭, মুসতাদারাক লিল হাকিম ৪১, আদ্ দা‘ওয়াতুল কাবীর ২৯৩, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৯৮১৭, শু‘আবূল ঈমান ১০১, সহীহ ইবনু হিববান ৮০৮, য‘ঈফাহ্ ২৫২৩, য‘ঈফ আল জামি‘ ১৯৪৫। কারণ এর সানাদে আল ওয়ালীদ ইবনু মুসলিম একজন মুদাল্লিস রাবী।

২২৯২

সহিহ হাদিস
وَعَنْ سَعْدَ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: دَعْوَةُ ذِى النُّونِ إِذا دَعَا رَبَّه وَهُوَ فِىْ بَطْنِ الْحُوتِ ﴿لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّىْ كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِيْنَ﴾ لَمْ يَدْعُ بِهَا رَجُلٌ مُسْلِمٌ فِىْ شَىْءٍ إلاَّ استجابَ لَه. رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِىُّ

সা‘দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মাছওয়ালা নাবী ইউনুস (আঃ) মাছের পেটে গিয়ে যখন দু‘আ পড়েছিলেন তা হলো এই ‘‘লা- ইলা-হা ইল্লা- আন্তা সুবহা-নাকা ইন্নী কুনতু মিনায্ যোয়া-লিমীন’’ অর্থাৎ- ‘‘তুমি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মা‘বূদ নেই। তুমি পবিত্র, আমি হচ্ছি যালিম বা অত্যাচারী অপরাধী’’- (সূরা ইউনুস ১০ : ৮৭)।

যে কোন মুসলিমই যে কোন ব্যাপারে এ দু‘আ পাঠ করবে, তার দু‘আ নিশ্চয়ই গৃহীত হবে। (আহমদ, তিরমিযী)[১]
[১] সহীহ : তিরমিযী ৩৫০৫, আহমাদ ১৪৬২, মুসতাদারাক লিল হাকিম ১৮৬২, শু‘আবূল ঈমান ৬১১, আল কালিমুত্ব ত্বইয়্যিব ১২৩, সহীহ আত্ তারগীব ১৬৪৪, সহীহ আল জামি‘ ৩৩৮৩।

২২৯০

সহিহ হাদিস
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: كُنْتُ جَالِسًا مَعَ النَّبِىِّ ﷺ فِى الْمَسْجِدِ وَرَجُلٌ يُصَلِّىْ فَقَالَ: اَللّٰهُمَّ إِنِّىْ أَسْأَلُكَ بِأَنَّ لَكَ الْحَمْدَ لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ الْحَنَّانُ الْمَنَّانُ بَدِيعُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ يَا حَىُّ يَا قَيُّومُ أَسْأَلُكَ فَقَالَ النَّبِىُّ ﷺ: «دَعَا اللّٰهَ بِاسْمِهِ الْأَعْظَمِ الَّذِىْ إِذَا دُعِىَ بِه أَجَابَ وَإِذَا سُئِلَ بِه أَعْطٰى». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِىُّ وَابْنُ مَاجَهْ

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদিন আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে মাসজিদে নাবাবীতে বসে ছিলাম। তখন জনৈক ব্যক্তি সলাত আদায় করছিল এবং সলাতের পর বলছিল, হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি। কারণ তোমারই জন্য সব প্রশংসা। তুমি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মা‘বূদ নেই। তুমিই সবচেয়ে বড় দয়ালু, বড়দাতা। তুমিই আসমান জমিনের স্রষ্টা। হে মর্যাদা ও দান করার মালিক! হে চিরঞ্জীব, হে প্রতিষ্ঠাতা! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করি। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যে আল্লাহকে ইস্মে আ‘যম-এর সাথে ডাকে তিনি তাতে সাড়া দেন এবং যখন তাঁর কাছে প্রার্থনা করা হয় তখন তিনি তা দান করেন। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ)[১]
[১] সহীহ : আবূ দাঊদ ১৪৯৫, তিরমিযী ৩৪৭৫, নাসায়ী ১৩০০, আহমাদ ১২২০৫, ইবনু আবী শায়বাহ্ ২৯৩৬১, ইবনু মাজাহ ৩৮৫৮, ইবনু হিববান ৮৯৩, সহীহ আত্ তারগীব ১৬৪১।
১০/ পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

২২৯৩

সহিহ হাদিস
عَنْ بُرَيْدَةَ قَالَ: دَخَلْتُ مَعَ رَسُولِ اللّٰهِ ﷺ الْمَسْجِدَ عِشَاءً فَإِذَا رَجُلٌ يَقْرَأُ وَيَرْفَعُ صَوْتَه فَقُلْتُ: يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ أَتَقُولُ: هٰذَا مُرَاءٍ؟ قَالَ: «بَلْ مُؤْمِنٌ مُنِيبٌ» قَالَ: وَأَبُو مُوسَى الْأَشْعَرِىُّ يَقْرَأُ وَيَرْفَعُ صَوْتَه فَجَعَلَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ يَتَسَمَّعُ لِقِرَاءَتِه ثُمَّ جَلَسَ أَبُو مُوسٰى يَدْعُو فَقَالَ: اَللّٰهُمَّ إِنِّىْ أُشْهِدُكَ أَنَّكَ أَنْتَ اللّٰهُ لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ أَحَدًا صَمَدًا لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَّه كُفُوًا أَحَدٌ فَقَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «لَقَدْ سَأَلَ اللّٰهَ بِاسْمِهِ الَّذِىْ إِذَا سُئِلَ بِه أَعْطٰى وَإِذَا دُعِىَ بِه أَجَابَ» قُلْتُ: يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ أُخْبِرُه بِمَا سَمِعْتُ مِنْكَ؟ قَالَ: «نَعَمْ» فَأَخْبَرْتُه بِقَوْلِ رَسُولِ اللّٰهِ ﷺ فَقَالَ لِىْ: أَنْتَ الْيَوْمَ لِىْ أَخٌ صَدِيقٌ حَدَّثْتَنِىْ بِحَدِيثِ رَسُولِ اللّٰهِ ﷺ. رَوَاهُ رَزِيْنٌ

বুরায়দাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একবার আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে ‘ইশার সলাতের সময় মাসজিদে প্রবেশ করলাম। তখন দেখি জনৈক ব্যক্তি (সলাতে) কুরআন পড়ছেন এবং তার নিজের গলার স্বর উচ্চ করছেন। আমি তখন বললাম, হে আল্লাহর রসূল! এভাবে (সলাতে) কুরআন পড়াকে কি আপনি রিয়া বা প্রদর্শনী বলবেন? উত্তরে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললন, না। বরং এ ব্যক্তি একজন বিনয়ী মু’মিন। বুরায়দাহ্ (রাঃ) বলেন, আবূ মূসা আল আশ্‘আরীই কুরআন পড়ছিলেন এবং তা উচ্চৈঃস্বরে পড়ছিলেন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কিরাআত শুনছিলেন। তারপর আবূ মূসা বসে এ দু‘আ করতে লাগলেন, ‘‘হে আল্লাহ! আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, তুমি আল্লাহ, তুমি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মা‘বূদ নেই, তুমি এক ও তুমি সকলের নির্ভরস্থল, অমুখাপেক্ষী। যিনি কাউকে জন্মও দেননি, কারো থেকে জন্মও নন এবং যার কোন সমকক্ষও নেই।’’

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, নিশ্চয়ই সে আল্লাহর ঐ নামের সাথে তাঁর কাছে প্রার্থনা করল, যে নাম ধরে যখন যা প্রার্থনা করা হয়, তখন তিনি তা দান করেন এবং ঐ নামের সাথে যখন তাঁকে ডাকে, তখন তিনি সে ডাকে সাড়া দেন। বুরায়দাহ্ (রাঃ) বলেন, তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি কি তাকে এটা বলব, যা আপনার কাছে শুনলাম? রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হ্যাঁ (বলো)। অতঃপর আমি তাঁকে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা বলেছেন তা বলে শুনালাম। তখন আবূ মূসা (রাঃ) আমাকে বললেন, আজ থেকে আপনি আমার প্রিয় ভাই। কারণ আপনি আমাকে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সব কথা শুনালেন। (রযীন)[১]
[১] সহীহ : আহমাদ ২২৯৫২।

২২৯৪

সহিহ হাদিস
عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «أَفْضَلُ الْكَلَامِ أَرْبَعٌ: سُبْحَانَ اللّٰهِ وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ وَلَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَاللّٰهُ أَكْبَرُ وَفِىْ رِوَايَةٍ: أَحَبُّ الْكَلَامِ إِلَى اللّٰهِ أَرْبَعٌ: سُبْحَانَ اللّٰهِ وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ وَلَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَاللّٰهُ أَكْبَرُ لَا يَضُرُّكَ بِأَيِّهِنَّ بَدَأْتَ». رَوَاهُ مُسْلِمٌ

সামুরাহ্ ইবনু জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সর্বোত্তম (মর্যাদাপূর্ণ) কালাম বা বাক্য হলো চারটি- (১) সুবহা-নাল্ল-হ [আল্লাহ পবিত্র], (২) ওয়াল হামদুলিল্লা-হ [আল্লাহর জন্য প্রশংসা], (৩) ওয়ালা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ [আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মা‘বূদ নেই], (৪) ওয়াল্ল-হু আকবার [আল্লাহ সর্বাপেক্ষা মহান]।

অন্য এক বর্ণনায় আছে, আল্লাহর নিকট সর্বাপেক্ষা প্রিয় বাক্য চারটি- (১) সুবহা-নাল্ল-হ, (২) আল হামদুলিল্লা-হ, (৩) লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ও (৪) ওয়াল্ল-হু আকবার। এ চারটি কালিমার যে কোন একটি প্রথমে (আগ-পিছ করে) বললে তাতে তোমার কোন ক্ষতি হবে না। (মুসলিম)[১]
[১] সহীহ : মুসলিম ২১৩৭, ইবনু মাজাহ ৩৮১১, ইবনু আবী শায়বাহ্ ২৯৮৬৮, আবূ দাঊদ ৪৯৫৮, আহমাদ ২০১০৭, মু‘জামুল আওসাত ৭৭১৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৯৩১০, শু‘আবূল ঈমান ৫৯৪, ইবনু হিববান ৮৩৬, আল কালিমুত্ব ত্বইয়্যিব ১০, সহীহ আত্ তারগীব ১৫৪৬, সহীহ আল জামি‘ ৮৭৪।
১০/ পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

২২৯৭

সহিহ হাদিস
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: مَنْ قَالَ حِينَ يُصْبِحُ وَحِينَ يُمْسِىْ: سُبْحَانَ اللّٰهِ وَبِحَمْدِه مِائَةَ مَرَّةٍ لَمْ يَأْتِ أَحَدٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِأَفْضَلَ مِمَّا جَاءَ بِه إِلَّا أَحَدٌ قَالَ مِثْلَ مَا قَالَ أَوْ زَادَ عَلَيْهِ). (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় একশ’বার পড়বে ‘সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াবিহামদিহী’ (অর্থাৎ- আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করি তাঁর প্রশংসার সাথে)- কিয়ামাতের দিন তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ বাক্য নিয়ে কেউ উপস্থিত হতে পারবে না, সে ব্যক্তি ব্যতীত যে এর সমপরিমাণ বা এর চেয়ে বেশি পড়বে। (বুখারী, মুসলিম)[১]
[১] সহীহ : মুসলিম ২৬৯২, তিরমিযী ৩৪৬৯, আহমাদ ৮৮৫৫, আল কালিমুত্ব ত্বইয়্যিব ১৭, সহীহ আত্ তারগীব ৬৫৩, সহীহ আল জামি‘ ৬৪২৫।

২২৯৫

সহিহ হাদিস
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «لَأَنْ أَقُولَ: سُبْحَانَ اللّٰهِ وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ وَلَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَاللّٰهُ أَكْبَرُ أَحَبُّ إِلَىَّ مِمَّا طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ». رَوَاهُ مُسْلِمٌ

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সুবহা-নাল্ল-হ [আল্লাহ পবিত্র], ওয়াল হাম্‌দুলিল্লা-হ [আল্লাহর জন্য প্রশংসা], ওয়ালা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ [আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মা‘বূদ নেই], ওয়াল্ল-হু আকবার [আল্লাহ সর্বাপেক্ষা মহান] বলা, আমার কাছে সমগ্র বিশ্ব অপেক্ষাও বেশি প্রিয়। (বুখারী, মুসলিম)[১]
[১] সহীহ : মুসলিম ২৬৯৫, তিরমিযী ৩৫৯৭, ইবনু আবী শায়বাহ্ ২৯৪১২, আদ্ দা‘ওয়াতুল কাবীর ১৪২, শু‘আবূল ঈমান ৫৯২, ইবনু হিববান ৮৩৪, আল কালিমুত্ব ত্বইয়্যিব ৯, সহীহ আত্ তারগীব ১৫৪৫, সহীহ আল জামি‘ ৫০৩৭।

২৩০০

সহিহ হাদিস
وَعَنْ أَبِىْ ذَرٍّ قَالَ: سُئِلَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ أَيُّ الْكَلَامِ أَفْضَلُ؟ قَالَ: «مَا اصْطَفَى اللّٰهُ لِمَلَائِكَتِه: سُبْحَانَ اللّٰهِ وَبِحَمْدِه». رَوَاهُ مُسْلِمٌ

আবূ যার গিফারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একবার রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করা হলো, কোন্ কালাম (বাক্য) সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ? এ কথা শুনে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যে কালাম আল্লাহ তা‘আলা তাঁর মালায়িকাহ’র (ফেরেশতাগণের) জন্য পছন্দ করেছেন তা হলো, ‘সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াবিহামদিহী’। (মুসলিম)[১]
[১] সহীহ : মুসলিম ২৭৩১, তিরমিযী ৩৫৯৩, সহীহ আত্ তারগীব ১৫৩৮।

২২৯৬

সহিহ হাদিস
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «مَنْ قَالَ: سُبْحَانَ اللّٰهِ وَبِحَمْدِه فِىْ يَوْمٍ مِائَةَ مَرَّةٍ حُطَّتْ خَطَايَاهُ وَإِنْ كَانَتْ مِثْلَ زَبَدِ الْبَحْرِ». (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

[আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি দৈনিক একশ’বার পড়বে ‘সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াবিহামদিহী’ (অর্থাৎ- আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করি তাঁর প্রশংসার সাথে)- তার গুনাহসমূহ যদি সমুদ্রের ফেনার মতো বেশি হয় তবুও তা মাফ করে দেয়া হবে। (বুখারী, মুসলিম)[১]
[১] সহীহ : বুখারী ৬৪০৫, মুসলিম ২৬৯১, মুয়াত্ত্বা মালিক ৭১৩, ইবনু হিববান ৮২৯, সহীহ আল জামি‘ ৬৪৩১, তিরমিযী ৩৪৬৬, ইবনু আবী শায়বাহ্ ২৯৪১৭, ইবনু মাজাহ ৩৮১২, আহমাদ ৮০০৯, সহীহ আত্ তারগীব ১৫৯০।

২৩০২

সহিহ হাদিস
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «مَنْ قَالَ: لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَحْدَه لَا شَرِيْكَ لَه لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ فِىْ يَوْمٍ مِائَةَ مَرَّةٍ كَانَتْ لَه عَدْلَ عَشْرِ رِقَابٍ وَكُتِبَتْ لَه مِائَةُ حَسَنَةٍ وَمُحِيَتْ عَنْهُ مِائَةُ سَيِّئَةٍ وَكَانَتْ لَه حِرْزًا مِنَ الشَّيْطَانِ يَوْمَه ذٰلِكَ حَتّٰى يُمْسِىَ وَلَمْ يَأْتِ أَحَدٌ بِأَفْضَلَ مِمَّا جَاءَ بِه إِلَّا رَجُلٌ عَمِلَ أَكْثَرَ مِنْهُ». (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি দিনে একশ’বার পড়বে

‘‘লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহূ লা- শারীকা লাহূ লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুওয়া ‘আলা- কুল্লি শাইয়িন কদীর’’

(অর্থাৎ- আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মা‘বূদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শারীক নেই, তাঁরই রাজত্ব, তাঁরই প্রশংসা এবং তিনি হচ্ছেন সকল বিষয়ের উপর ক্ষমতাবান)

তার দশটি গোলাম মুক্ত করে দেয়ার সমপরিমাণ সাওয়াব হবে। তার জন্য একশ’ নেকী লেখা হবে, তার একশ’টি গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে, তার জন্য এ দু‘আ ঐ দিনের সন্ধ্যা পর্যন্ত শয়তান হতে বেঁচে থাকার জন্য রক্ষাকবচ হবে এবং সে যে কাজ করেছে তার চেয়ে উত্তম কাজ অন্য কেউ করতে পারবে না, কেবল ঐ ব্যক্তি ছাড়া যে এর চেয়ে বেশী পড়বে। (বুখারী, মুসলিম)[১]
[১] সহীহ : বুখারী ৩২৯৩, মুসলিম ২৬৯১, মুয়াত্ত্বা মালিক ৭১২, তিরমিযী ৩৪৬৮, ইবনু মাজাহ ৩৭৯৮, আহমাদ ৮০০৮, আল কালিমুত্ব ত্বইয়্যিব ৬, সহীহ আত্ তারগীব ৬৫৪, সহীহ আল জামি‘ ৬৪৩৭।

২২৯৯

সহিহ হাদিস
وَعَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِىْ وَقَّاصٍ: قَالَ: كُنَّا عِنْدَ رَسُولِ اللّٰهِ ﷺ فَقَالَ: «أَيَعْجِزُ أَحَدُكُمْ أَنْ يَكْسِبَ كُلَّ يَوْمٍ أَلْفَ حَسَنَةٍ؟» فَسَأَلَه سَائِلٌ مِنْ جُلَسَائِه: كَيْفَ يَكْسِبُ أَحَدُنَا أَلْفَ حَسَنَةٍ؟ قَالَ: «يُسَبِّحُ مِائَةَ تَسْبِيحَةٍ فَيُكْتَبُ لَه أَلْفُ حَسَنَةٍ أَوْ يُحَطُّ عَنهُ أَلْفُ خَطِيْئَةٍ». رَوَاهُ مُسْلِمٌ وَفِىْ كِتَابِه: فِىْ جَمِيعِ الرِّوَايَاتِ عَنْ مُوسَى الْجُهَنِىِّ: «أَوْ يُحَطُّ» قَالَ أَبُوْ بَكْرِ الْبَرْقَانِىْ وَرَوَاهُ شُعْبَةُ وَأَبُو عَوَانَةَ وَيَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقطَّان عَن مُوسٰى فَقَالُوْا: «وَيُحَطُّ» بِغَيْر أَلْفٍ هَكَذَا فِىْ كِتَابِ الْحُمَيْدِىْ

সা‘দ ইবনু আবূ ওয়াককাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদিন আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে ছিলাম। এ সময় তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তোমাদের কেউ কি একদিনে এক হাজার নেকী অর্জন করতে সক্ষম? তার সাথে বসা লোকদের কেউ বললেন, আমাদের কেউ কিভাবে একদিনে এক হাজার নেকী আদায় করতে সক্ষম হবেন? তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, কেউ যদি একদিনে একশ’বার ‘‘সুবহা-নাল্ল-হ’’ পড়ে তাহলে এতে তার জন্য এক হাজার নেকী লেখা হবে অথবা তার এক হাজার গুনাহ মাফ করা হবে। (মুসলিম)[১]
[১] সহীহ : মুসলিম ২৬৯৮, তিরমিযী ৩৪৬৩, ইনু হিববান ৮২৫, আদ্ দা‘ওয়াতুল কাবীর ১৪৯, শু‘আবূল ঈমান ৫৯৩, আল কালিমুত্ব ত্বইয়্যিব ১১, সহীহাহ্ ৩৬০২, সহীহ আত্ তারগীব ১৫৪৪, সহীহ আল জামি‘ ২৬৬৫।

২৩০৩

সহিহ হাদিস
وَعَنْ أَبِىْ مُوسَى الْأَشْعَرِىِّ قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللّٰهِ ﷺ فِىْ سَفَرٍ فَجَعَلَ النَّاسُ يَجْهَرُونَ بِالتَّكْبِيرِ فَقَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «يَا أَيُّهَا النَّاسُ ارْبَعُوا عَلَى انْفُسِكُمْ إِنَّكُمْ لَا تَدْعُونَ أَصَمَّ وَلَا غَائِبًا إِنَّكُمْ تَدْعُونَ سَمِيعًا بَصِيرًا وَهُوَ مَعَكُمْ وَالَّذِىْ تَدْعُونَه أَقْرَبُ إِلٰى أَحَدِكُمْ مِنْ عُنُقِ رَاحِلَتِه» قَالَ أَبُو مُوسٰى: وَأَنَا خَلْفَه أَقُولُ: لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللّٰهِ فِىْ نَفْسِىْ فَقَالَ: «يَا عَبْدَ اللّٰهِ بْنَ قَيْسٍ أَلَا أَدُلُّكَ عَلٰى كَنْزٍ مِنْ كُنُوزِ الْجَنَّةِ؟» فَقُلْتُ: بَلٰى يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ قَالَ: «لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللّٰهِ». (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

আবূ মূসা আল আশ্‘আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক সফরে আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে ছিলাম। লোকেরা তখন উচ্চৈঃস্বরে তাকবীর বলছিল। (তাকবীর শুনে) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে লোকেরা! তোমরা তোমাদের নাফসের উপর রহম করো। কেননা তোমরা তাকবীরের মাধ্যমে কোন বধিরকে বা কোন অনুপস্থিত সত্তাকে ডাকছ না, তোমরা ডাকছ এমন সত্তাকে যিনি তোমাদের সব কথা শুনেন ও দেখেন। তিনি তোমাদের সাথেই আছেন। তোমরা যাঁকে ডাকছ তিনি তোমাদের প্রত্যেকের বাহনের গর্দান থেকেও বেশি নিকটে। আবূ মূসা আল আশ্‘আরী বলেন, আমি তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পিছনে চুপে চুপে বলছিলাম ‘‘লা- হাওলা ওয়ালা- ক্যুওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ’’ (অর্থাৎ- আল্লাহর সাহায্য ছাড়া আমার কোন উপায় নেই)। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু কায়স! (আবূ মূসার ডাক নাম) আমি কি তোমাকে জান্নাতের ভাণ্ডারগুলোর একটি ভাণ্ডারের সন্ধান দেব না? আমি বললাম, অবশ্যই দেবেন, হে আল্লাহর রসূল! তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, সেটা হলো ‘‘লা- হাওলা ওয়ালা- ক্যুওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ’’। (বুখারী, মুসলিম)[১]
[১] সহীহ : বুখারী ৪২০৫, মুসলিম ২৭০৪।

২৩০১

সহিহ হাদিস
وَعَن جوَيْرِية أَنَّ النَّبِىَّ ﷺ خَرَجَ مِنْ عِنْدِهَا بُكْرَةً حِينَ صَلَّى الصُّبْحَ وَهِىَ فِىْ مَسْجِدِهَا ثُمَّ رَجَعَ بَعْدَ أَنْ أَضْحٰى وَهِىَ جَالِسَةٌ قَالَ: «مَا زِلْتِ عَلَى الْحَالِ الَّتِىْ فَارَقْتُكِ عَلَيْهَا؟» قَالَتْ: نَعَمْ قَالَ النَّبِىُّ ﷺ: «لَقَدْ قُلْتُ بَعْدَكِ أَرْبَعَ كَلِمَاتٍ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ لَوْ وُزِنَتْ بِمَا قُلْتِ مُنْذُ الْيَوْمِ لَوَزَنَتْهُنَّ: سُبْحَانَ اللّٰهِ وَبِحَمْدِه عَدَدَ خَلْقِه وَرِضَاءَ نَفْسِه وَزِنَةَ عَرْشِه وَمِدَادَ كَلِمَاتِه». رَوَاهُ مُسْلِمٌ

উম্মুল মু’মিনীন জুওয়াইরিয়্যাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদিন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের সলাতের পর খুব ভোরে তাঁর নিকট হতে বের হলেন। তখন জুওয়াইরিয়্যাহ্ নিজ সলাতের জায়গায় বসা। তারপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন ফিরে আসলেন তখন সূর্য বেশ উপরে উঠে এসেছে। আর জুওয়াইরিয়্যাহ্ তখনো সলাতের জায়গায় বসে আছেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁকে বললেন, আমি তোমার কাছ থেকে চলে যাওয়ার সময় যে অবস্থায় তুমি ছিলে, এখনো কি সে অবস্থায় আছ? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমার কাছ থেকে যাওয়ার পর আমি মাত্র চারটি কালিমাহ্ তিনবার পড়েছি, যদি তুমি এ পর্যন্ত যা পড়েছ তার সাথে আমার পড়া কালাম ওযন দেয়া হয় তাহলে এর ওযনই বেশি হবে। (বাক্যগুলো হলো)

‘‘সুবহা-নাল্ল-হি ওয়া বিহামদিহী, ‘আদাদা খলকিহী, ওয়া রিযা- নাফসিহী, ওয়া যিনাতা ‘আরশিহী, ওয়া মিদা-দা কালিমা-তিহী’’

(অর্থাৎ- আল্লাহ তা‘আলার পূত-পবিত্রতা বর্ণনা করি তাঁর প্রশংসার সাথে, তাঁর সৃষ্টির সংখ্যা পরিমাণ, তাঁর সন্তুষ্টি পরিমাণ, তার ‘আরশের ওযন পরিমাণ ও তাঁর বাক্যসমূহের সংখ্যা পরিমাণ।)। (মুসলিম)[১]
[১] সহীহ : মুসলিম ২৭২৬, আদ্ দা‘ওয়াতুল কাবীর ১২৭, শু‘আবূল ঈমান ৫৯৬, সহীহ আদাবুল মুফরাদ ৫০৪/৬৪৭, আল কালিমুত্ব ত্বইয়্যিব ১২, সহীহাহ্ ২১৫৬, সহীহ আত্ তারগীব ১৫৭৪, সহীহ আল জামি‘ ৫১৩৯, ইবনু খুযায়মাহ্ ৭৫৩।

২২৯৮

সহিহ হাদিস
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «كَلِمَتَانِ خَفِيفَتَانِ عَلَى اللِّسَانِ ثَقِيلَتَانِ فِى الْمِيزَانِ حَبِيبَتَانِ إِلَى الرَّحْمٰنِ: سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِه سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيْمِ». (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

[আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দু’টি খুব সংক্ষিপ্ত বাক্য যা বলতে সহজ অথচ (সাওয়াবের) পাল্লায় ভারী এবং আল্লাহর নিকট পছন্দনীয়, তা হলো ‘‘সুবহা-নাল্ল-হি ওয়া বিহামদিহী, সুবহা-নাল্ল-হিল ‘আযীম’’। (বুখারী, মুসলিম)[১]
[১] সহীহ : বুখারী ৬৬৮২, মুসলিম ২৬৯৪, তিরমিযী ৩৪৬৭, ইবনু মাজাহ ৩৮০৬, ইবনু আবী শায়বাহ্ ২৯৪১৩, আহমাদ ৭১৬৭, শু‘আবূল ঈমান ৫৮৫, ইবনু হিববান ৮৪১, আল কালিমুত্ব ত্বইয়্যিব ৮, সহীহ আত্ তারগীব ১৫৩৭, সহীহ আল জামি‘ ৪৫৭২।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন