HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মিশকাতুল মাসাবিহ

১১. পর্ব-১১ঃ হজ্জ

مشكاة المصابيح

১১/ পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

২৫০৮

সহিহ হাদিস
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: الْعُمْرَةُ إِلَى الْعُمْرَةِ كَفَّارَةٌ لِمَا بَيْنَهُمَا وَالْحَجُّ الْمَبْرُورُ لَيْسَ لَه جَزَاءٌ إِلَّا الْجَنَّةُ. (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

[আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এক ‘উমরা হতে অপর ‘উমরা পর্যন্ত সময়ের জন্য (গুনাহের) কাফফারাহ স্বরূপ আর কবূলযোগ্য হজ্জের প্রতিদান জান্নাত ব্যতীত আর কিছু নয়। (বুখারী ও মুসলিম)[১]
[১] সহীহ : বুখারী ১৭৭৩, মুসলিম ১৩৪৯, নাসায়ী ২৬২৯, তিরমিযী ৯৩৩, ইবনু মাজাহ ২৮৮৮, মুয়াত্ত্বা মালিক ১২৫৭, ইবনু আবী শায়বাহ্ ১২৬৩৯, আহমাদ ৯৯৪৮, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ২৫১৩, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮৭২৪, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩৬৯৬, সহীহ আল জামি‘ ৪১৩৬।

২৫০৬

সহিহ হাদিস
وَعَنْهُ قَالَ: سُئِلَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: أَىُّ الْعَمَلِ أَفْضَلُ؟ قَالَ: إِيمَانٌ بِاللّٰهِ وَرَسُوْلِه قِيلَ: ثُمَّ مَاذَا؟ قَالَ: الْجِهَادُ فِىْ سَبِيلِ اللّٰهِ». قِيلَ: ثُمَّ مَاذَا؟ قَالَ: حَجٌّ مَبْرُوْرٌ. (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

[আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করা হলো, কোন্ ‘আমাল সর্বোত্তম? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের ওপর বিশ্বাস স্থাপন। আবার জিজ্ঞেস করা হলো, তারপরে কোন্ ‘আমাল? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদ করা। আবারও জিজ্ঞেস করা হলো, এরপর কোনটি? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ‘হজ্জে মাবরুর’ অর্থাৎ- কবূলযোগ্য হজ্জ। (বুখারী ও মুসলিম)[১]
[১] সহীহ : বুখারী ২৬, মুসলিম ৮৩, তিরমিযী ১৬৫৮, ইবনু আবী শায়বাহ্ ১৯৩৫২, আহমাদ ৭৫৯০, দারিমী ২৪৩৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৮৪৮৩, শু‘আবুল ঈমান ৩৭৯৩, সহীহ ইবনু হিব্বান ৪৫৯৮। তবে দারিমীর সানাদটি দুর্বল।

২৫০৫

সহিহ হাদিস
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ:: خَطَبَنَا رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ فَقَالَ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ فُرِضَ عَلَيْكُمُ الْحَجُّ فَحُجُّوْا» فَقَالَ رَجُلٌ: أَكُلَّ عَامٍ يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ؟ فَسَكَتَ حَتّٰى قَالَهَا ثَلَاثًا فَقَالَ: لَوْ قُلْتُ: نَعَمْ لَوَجَبَتْ وَلَمَا اسْتَطَعْتُمْ ثُمَّ قَالَ: ذَرُوْنِىْ مَا تَرَكْتُكُمْ فَإِنَّمَا هَلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ بِكَثْرَةِ سُؤَالِهِمْ وَاخْتِلَافِهِمْ عَلَى انْبِيَائِهِمْ فَإِذَا أَمَرْتُكُمْ بِشَىْءٍ فَأْتُوا مِنْهُ مَا اسْتَطَعْتُمْ وَإِذَا نَهَيْتُكُمْ عَنْ شَىْءٍ فَدَعُوْهُ. رَوَاهُ مُسْلِمٌ

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের উদ্দেশে ভাষণ দানকালে বললেন, হে মানবমণ্ডলী! আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের ওপর হজ্জ ফরয করেছেন, সুতরাং তোমরা হজ্জ পালন করবে। তখন এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রসূল! এটা (হজ্জ পালন) কি প্রত্যেক বছরই? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) চুপ থাকলেন। লোকটি এভাবে তিনবার জিজ্ঞেস করলো। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আমি যদি হ্যাঁ বলতাম, তবে তা (হজ্জ প্রতি বছর) ফরয হয়ে যেতো, যা তোমরা (প্রতি বছর হজ্জ পালন করতে) পারতে না। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যে ব্যাপারে আমি তোমাদেরকে কিছু বলিনি সে ব্যাপারটি সেভাবে থাকতে দাও। কেননা তোমাদের পূর্বের লোকেরা বেশি বেশি প্রশ্ন করে ও তাদের নাবীদের সাথে মতবিরোধ করার কারণে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। তাই আমি যখন তোমাদেরকে কোন বিষয়ে নির্দেশ করবো তা যথাসাধ্য পালন করবে এবং যে বিষয়ে নিষেধ করবো তা পরিত্যাগ করবে। (মুসলিম)[১]
[১] সহীহ : মুসলিম ১৩৩৭, নাসায়ী ২৬১৯, আহমাদ ১০৬০৭, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ২৫০৮, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩৭০৪, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮৬১৫, ইরওয়া ৯৮০।

২৫০৯

সহিহ হাদিস
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «إِنَّ عُمْرَةً فِىْ رَمَضَانَ تَعْدِلُ حَجَّةً». (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রমাযান মাসে ‘উমরা পালন (সাওয়াবের দিক দিয়ে) হজ্জের সমতুল্য। (বুখারী ও মুসলিম)[১]
[১] সহীহ : বুখারী ১৭৮২, মুসলিম ১২৫৬, ইবনু মাজাহ ২৯৯৪, ইবনু আবী শায়বাহ্ ১৩০২৮, আহমাদ ২৮০৮, মু‘জামুল আওসাত লিত্ব ত্ববারানী ৪৪২৮, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩৭০০, ইরওয়া ৮৬৯, ১৫৮৭, সহীহ আল জামি‘ ৪০৯৭।

২৫০৭

সহিহ হাদিস
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «مَنْ حَجَّ لِلّٰهِ فَلَمْ يَرْفُثْ وَلَمْ يَفْسُقْ رَجَعَ كَيَوْمِ وَلَدَتْهُ أُمُّه. (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

[আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক আল্লাহরই (সন্তুষ্টির) জন্য হজ্জ করেছে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বলেনি বা অশ্লীল কাজকর্ম করেনি। সে লোক হজ্জ হতে এমনভাবে বাড়ী (নিস্পাপ হয়ে) ফিরবে যেন সেদিনই তার মা তাকে প্রসব করেছে। (বুখারী ও মুসলিম)[১]
[১] সহীহ : বুখারী ১৫২১, মুসলিম ১৩৫০, ইবনু আবী শায়বাহ্ ১২৬৪০, আহমাদ ৭১৩৬, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ২৫১৪, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১০৩৮৪, শু‘আবুল ঈমান ৩৭৯৪, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩৬৯৪।

২৫১২

সহিহ হাদিস
وَعَنْهُ قَالَ: أَتٰى رَجُلٌ النَّبِىَّ ﷺ فَقَالَ: إِنَّ أُخْتِىْ نَذَرَتْ أَنْ تَحُجَّ وَإِنَّهَا مَاتَتْ فَقَالَ النَّبِىُّ ﷺ: «لَوْ كَانَ عَلَيْهَا دَيْنٌ أَكَنْتَ قَاضِيَه؟ قَالَ: نَعَمْ قَالَ: فَاقْضِ دَيْنَ اللّٰهِ فَهُوَ أَحَقُّ بِالْقَضَاءِ. (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

[‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক লোক নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রসূল! আমার বোন হজ্জ পালন করার জন্য মানৎ করেছিলেন; কিন্তু (তা আদায় করার আগেই) তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমার বোনের কোন ঋণ থাকলে তুমি তা পরিশোধ করতে কিনা? সে বললো, হ্যাঁ আদায় করতাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তবে তুমি আল্লাহর ঋণ পরিশোধ করো; কেননা তা আদায় করা অধিক উপযোগী। (বুখারী ও মুসলিম)[১]
[১] সহীহ : বুখারী ৬৬৯৯, মুসলিম ১১৪৮, নাসায়ী ২৬৩২, আহমাদ ২১৪০, দারিমী ২৩৭৭, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ৩০৪১, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৯৮৫৩।

২৫১১

সহিহ হাদিস
وَعَنْهُ قَالَ: إِنَّ امْرَأَةً مِنْ خَثْعَمَ قَالَتْ: يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّ فَرِيْضَةَ اللهِ عَلٰى عَلٰى عِبَادِه فِى الْحَجِّ أَدْرَكَتْ أَبِىْ شَيْخًا كَبِيْرًا لَا يَثْبُتُ عَلَى الرَّاحِلَةِ أَفَأَحُجُّ عَنْهُ؟ قَالَ: نَعَمْ وَذٰلِكَ فِىْ حَجَّةِ الْوَدَاعِ. (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

[‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একবার খাস্‘আম গোত্রের এক মহিলা জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রসূল! বান্দাদের ওপর আল্লাহ তা‘আলার ফরয করা হজ্জ আমার পিতার ওপরও বর্তেছে, কিন্তু আমার পিতা অতিশয় বৃদ্ধ, যিনি সওয়ারীর উপরে বসে থাকতে পারে না। তাই আমি কি তার পক্ষ হতে হজ্জ আদায় করতে পারি? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, হ্যাঁ, পারো। এটা বিদায় হজ্জের ঘটনা। (বুখারী ও মুসলিম)[১]
[১] সহীহ : বুখারী ১৫১৩, মুসলিম ১৩৩৫, আবূ দাঊদ ১৮০৯, আহমাদ ৩৩৭৫, দারিমী ১৮৭৫, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ৩০৩৬, মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ৭২২, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩৯৯৬, ইরওয়া ২৬২।

২৫১৪

সহিহ হাদিস
وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: اِسْتَأْذَنْتُ النَّبِىَّ ﷺ فِى الْجِهَادِ. فَقَالَ: «جِهَادُكُنَّ الْحَجُّ». (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একবার আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট জিহাদে যাবার জন্য অনুমতি চাইলাম, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তোমাদের জিহাদ হলো হজ্জ/হজ। (বুখারী ও মুসলিম)[১]
[১] সহীহ : বুখারী ২৮৭৫, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৭৮০৩, সহীহ আল জামি‘ ৩১০২, ইরওয়া ৯৮১।

২৫১৫

সহিহ হাদিস
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: لَا تُسَافِرُ امْرَأَةٌ مَسِيرَةَ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ إِلَّا وَمَعَهَا ذُوْ مَحْرَمٍ. (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন মহিলা কোন মাহরাম ব্যতীত একদিন ও এক রাতের পথও সফর করবে না। (বুখারী ও মুসলিম)[১]
[১] সহীহ : বুখারী ১০৮৮, মুসলিম ১৩৩৯, তিরমিযী ১১৭০, আহমাদ ৭২২২, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ২৫২৬, মুসতাদরাক লিল হাকিম ১৬১৬, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৫৪১০।

২৫১৬

সহিহ হাদিস
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: وَقَّتَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ لِأَهْلِ الْمَدِينَةِ: ذَا الْحُلَيْفَةِ وَلِأَهْلِ الشَّامِ: الْجُحْفَةَ وَلِأَهْلِ نَجْدٍ: قَرْنَ الْمَنَازِلِ وَلِأَهْلِ الْيَمَنِ: يَلَمْلَمَ فَهُنَّ لَهُنَّ وَلِمَنْ أَتٰى عَلَيْهِنَّ مِنْ غَيْرِ أَهْلِهِنَّ لِمَنْ كَانَ يُرِيدُ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ فَمَنْ كَانَ دُونَهُنَّ فَمُهَلُّه مِنْ أَهْلِه وَكَذَاكَ وَكَذَاكَ حَتّٰى اَهْلُ مَكَّةَ يُهِلُّوْنَ مِنْهَا. (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাদীনাবাসীদের জন্যে ‘যুলহুলায়ফাহ্’-কে, শাম বা সিরিয়াবাসীদের জন্য ‘জুহফাহ্’-কে আর নাজদবাসীদের জন্য ‘ক্বরনুল মানাযিল’-কে এবং ইয়ামানবাসীদের জন্য ‘ইয়ালাম্‌লাম্’-কে মীকাত নির্দিষ্ট করেছেন। এসব স্থানগুলো এ সকল স্থানের লোকজনের জন্য আর অন্য স্থানের লোকেরা যখন এ স্থান দিয়ে আসবে তাদের জন্য, যারা হজ্জ বা ‘উমরার ইচ্ছা করে। আর যারা এ সীমার ভিতরে অবস্থান করবে, তাদের ইহ্রামের স্থান হবে তাদের ঘর- এভাবে ক্রমান্বয়ে কাছাকাছি লোকেরা স্বীয় বাড়ি হতে এমনকি মাক্কাবাসীরা ইহরাম বাঁধবে মক্কা হতেই। (বুখারী ও মুসলিম)[১]
[১] সহীহ : বুখারী ১৫২৬, মুসলিম ১১৮১, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ২৫৯০, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮৯২২।

২৫১৮

সহিহ হাদিস
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: اعْتَمَرَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ أَرْبَعُ عُمَرٍ كُلُّهُنَّ فِىْ ذِى الْقَعْدَةِ إِلَّا الَّتِىْ كَانَتْ مَعَ حَجَّتِه: عُمْرَةً مِنَ الْحُدَيْبِيَةِ فِىْ ذِى الْقَعْدَةِ وَعُمْرَةً مِنَ الْعَامِ الْمُقْبِلِ فِىْ ذِى الْقَعْدَةِ وَعُمْرَةً مِنَ الْجِعْرَانَةِ حَيْثُ قَسَّمَ غَنَائِمَ حُنَيْنٍ فِىْ ذِى الْقَعْدَةِ وَعُمْرَةً مَعَ حَجَّتِه. (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মোট চারবার ‘উমরা পালন করেছেন। হজ্জের সাথে ‘উমরা ছাড়া প্রত্যেকটি ‘উমরা পালন করেছেন যিলকদ মাসে। এক ‘উমরা করেছেন হুদায়বিয়াহ্ নামক স্থান হতে যিলকদ মাসে (আগমনকারী বৎসরে), আর এক ‘উমরা করেছেন জি‘রানাহ্ নামক স্থান থেকে, যেখানে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হুনায়ন যুদ্ধেলব্ধ গনীমাতের মাল বণ্টন করেছিলেন যিলকদ মাসে। আর এক ‘উমরা তিনি পালন করেছেন (দশম হিজরীতে তাঁর বিদায়) হজ্জের মাসে। (বুখারী ও মুসলিম)[১]
[১] সহীহ : বুখারী ৪১৪৮, মুসলিম ১২৫৩, আবূ দাঊদ ১৯৯৪, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮৭৩৮, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩৭৬৪।

২৫১৩

সহিহ হাদিস
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: لَا يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِاِمْرَأَةٍ وَلَا تُسَافِرَنَّ امْرَأَةٌ إِلَّا وَمَعَهَا مَحْرَمٌ. فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ اكْتُتِبْتُ فِىْ غَزْوَةِ كَذَا وَكَذَا وَخَرَجَتِ امْرَأَتِىْ حَاجَّةً قَالَ: اِذْهَبْ فَاحْجُجْ مَعَ اِمْرَأَتِكَ. (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

[‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন পুরুষ যেন কক্ষনো কোন স্ত্রীলোকের সাথে এক জায়গায় নির্জনে একত্র না হয়, আর কোন স্ত্রীলোক যেন কক্ষনো আপন কোন মাহরাম ব্যতীত একাকিনী সফর না করে। তখন এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রসূল! অমুক অমুক যুদ্ধে আমার নাম লেখানো হয়েছে। আর আমার স্ত্রী একাকিনী হজ্জের উদ্দেশে বের হয়েছে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যাও তুমি তোমার স্ত্রীর সাথে হজ্জ করো। (বুখারী ও মুসলিম)[১]
[১] সহীহ : বুখারী ৩০০৬, মুসলিম ১৩৪১, আহমাদ ১৯৩৪, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ২৫২৯, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১০১৩৪, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩৭৫৭।

২৫১০

সহিহ হাদিস
وَعَنْهُ قَالَ: إِنَّ النَّبِىَّ ﷺ لَقِىَ رَكْبًا بِالرَّوْحَاءِ فَقَالَ: «مَنِ الْقَوْمُ؟» قَالُوا: الْمُسْلِمُونَ. فَقَالُوا: مَنْ أَنْتَ؟ قَالَ: «رَسُوْلُ اللّٰهِ» فَرَفَعَتْ إِلَيْهِ امْرَأَةٌ صَبِيًّا فَقَالَتْ: أَلِهٰذَا حَجٌّ؟ قَالَ: نَعَمْ وَلَكِ أَجْرٌ. رَوَاهُ مُسْلِمٌ

[‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (হজের সফরে) ‘রওহা’ নামক জায়গায় এক আরোহী দলের সাক্ষাৎ পেলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেন, এরা কারা? তারা বললো, ‘আমরা মুসলিম’। অতঃপর তারা জিজ্ঞেস করলো, ‘আপনি কে?’ তিনি বললেন, (আমি) আল্লাহর রসূল! তখন একজন মহিলা একটি শিশুকে উঠিয়ে ধরলেন এবং বললেন, (হে আল্লাহর রসূল!) এর কি হজ্জ হবে? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, হ্যাঁ, তবে সাওয়াব হবে তোমার। (মুসলিম)[১]
[১] সহীহ : মুসলিম ১৩৩৬, আবূ দাঊদ ১৭৩৬, নাসায়ী ২৬৪৫, ইবনু আবী শায়বাহ্ ১৪৮৭৮, আহমাদ ১৮৯৮, ইরওয়া ৯৮৫।

২৫১৯

সহিহ হাদিস
وَعَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ: اعْتَمَرَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ فِىْ ذِى الْقَعْدَةِ قَبْلَ أَنْ يَحُجَّ مَرَّتَيْنِ. رَوَاهُ الْبُخَارِىُّ

বারা ইবনু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (দশম হিজরীতে তাঁর বিদায়) হজ্জ পালন করার আগে যিলকদ মাসে দু’বার ‘উমরা করেছিলেন। (বুখারী)[১]
[১] সহীহ : বুখারী ১৭৮১।

২৫১৭

সহিহ হাদিস
وَعَنْ جَابِرٍ عَنْ رَسُولِ اللّٰهِ ﷺ قَالَ: «مُهَلُّ أَهْلِ الْمَدِينَةِ مِنْ ذِى الْحُلَيْفَةِ وَالطَّرِيقُ الْاٰخَرُ الْجُحْفَةُ وَمُهَلُّ أَهْلِ الْعِرَاقِ مِنْ ذَاتِ عِرْقٍ وَمُهَلُّ أَهْلِ نَجْدٍ قَرْنٌ وَمُهَلُّ أَهْلِ الْيَمَنِ يَلَمْلَمُ». رَوَاهُ مُسْلِمٌ

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ মাদীনাবাসীদের মীকাত হলো ‘যুলহুলায়ফাহ্’। অন্য পথে (সিরিয়ার পথে) প্রবেশ করলে ‘জুহফাহ্’, ইরাকবাসীদের মীকাত হলো ‘যা-তু ‘ইরক্ব’ এবং নাজদবাসীদের মীকাত হলো ‘ক্বরনুল মানাযিল’ এবং ইয়ামানবাসীদের মীকাত হলো ‘ইয়ালাম্‌লাম্। (মুসলিম)[১]
[১] সহীহ : মুসলিম ১১৮২।
১১/ পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

২৫২৩

হাসান হাদিস
وَعَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: مَنْ أَرَادَ الْحَجَّ فَلْيُعَجِّلْ». رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ والدَّارِمِىُّ

[‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি হজ্জ পালনের ইচ্ছা পোষণ করেছে সে যেন তাড়াতাড়ি হজ্জ পালন করে। (আবূ দাঊদ ও দারিমী)[১]
[১] হাসান : আবূ দাঊদ ১৭৩২, ইবনু মাজাহ ২৮৮৩, আহমাদ ১৯৭৪, দারিমী ১৪২৫, মুসতাদ্রাক লিল হাকিম ১৬৪৫, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮৬৯৪, ইরওয়া ৬০০৩, সহীহ আল জামি‘ ৬০০৩।

২৫২২

দুর্বল হাদিস
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: لَا صَرُوْرَةَ فِى الْإِسْلَامِ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ

আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও) হজ্জ পালন না করে থাকা ইসলামে নেই। (আবূ দাঊদ)[১]
[১] য‘ঈফ : আবূ দাঊদ ১৭২৯, আহমাদ ২৮৪৪, মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ১১৫৯৫, মুসতাদ্রাক লিল হাকিম ১৬৪৪, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৯৭৬৮, য‘ঈফাহ্ ৬৮৫, য‘ঈফ আল জামি‘ ৬২৯৬। কারণ এর সনদে ‘উমার ইবনু ‘আত্বা একজন দুর্বল রাবী।

২৫২১

দুর্বল হাদিস
وَعَنْ عَلِىٍّ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: مَنْ مَلَكَ زَادًا وَرَاحِلَةً تُبَلِّغُه إِلٰى بَيْتِ اللّٰهِ وَلَمْ يَحُجَّ فَلَا عَلَيْهِ أَنْ يَمُوتَ يَهُودِيًّا أَوْ نَصْرَانِيًّا وَذٰلِكَ أَنَّ اللّٰهَ تَبَارَكَ وَتَعَالٰى يَقُولُ: وَلِلهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِليْهِ سَبِيْلًا رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ وَقَالَ: هٰذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ. وَفِى اسْنَادِه مَقَالٌ وَهِلَالُ بْنُ عَبْدِ اللّٰهِ مَجْهُولٌ والْحَارِثُ يُضَعَّفُ فِى الحَدِيْثِ

আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ‘বায়তুল্লাহ’ পৌঁছার পথের খরচের মালিক হয়েছে অথচ হজ্জ পালন করেনি সে ইয়াহূদী বা খ্রীস্টান হয়ে মৃত্যুবরণ করুক এতে কিছু যায় আসে না। আর এটা এ কারণে যে, আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘‘মানুষের জন্য বায়তুল্লাহর হজ্জ পালন করা ফরয, যে ব্যক্তি ওখানে পৌঁছার সামর্থ্য লাভ করেছে।’’

(তিরমিযী; তিনি বলেছেন, এটি গরীব। এর সনদে কথা আছে। এর এক রাবী হিলাল ইবনু ‘আব্দুল্লাহ মাজহূল বা অপরিচিত এবং অপর রাবী হারিস য‘ঈফ বা দুর্বল।)[১]
[১] য‘ঈফ : তিরমিযী ৮১২, শু‘আবুল ঈমান ৩৬৯২, য‘ঈফ আত্ তারগীব ৭৫৩। কারণ এর সনদে হিলাল ইবনু ‘আব্দুল্লাহ একজন মাজহূল রাবী আর হারিস আল আ‘ওয়ার একজন দুর্বল রাবী।[১] য‘ঈফ : তিরমিযী ৮১২, শু‘আবুল ঈমান ৩৬৯২, য‘ঈফ আত্ তারগীব ৭৫৩। কারণ এর সনদে হিলাল ইবনু ‘আব্দুল্লাহ একজন মাজহূল রাবী আর হারিস আল আ‘ওয়ার একজন দুর্বল রাবী।

২৫২৫

সহিহ হাদিস
وَرَوَاهُ أَحْمَدُ وَابْنُ مَاجَهْ عَنْ عُمَرَ إِلٰى قَوْلِه خُبْثَ الْحَدِيْدِ

আহমাদ ও ইবনু মাজাহ ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

হতে ‘‘লোহার ময়লা’’ পর্যন্ত বর্ণনা করেছেন।[১]
[১] সহীহ : ইবনু মাজাহ ২৮৮৭, আহমাদ ১৬৭, শু‘আবুল ঈমান ৩৮০১, সহীহাহ্ ১২০০, সহীহ আল জামি‘ ২৮৯৯।

২৫২৪

হাসান সহিহ
وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: تَابِعُوْا بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ فَإِنَّهُمَا يَنْفِيَانِ الْفَقْرَ وَالذُّنُوبَ كَمَا يَنْفِى الْكِيْرُ خَبَثَ الْحَدِيدِ وَالذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ وَلَيْسَ لِلْحَجَّةِ الْمَبْرُورَةِ ثَوَابٌ إِلَّا الْجَنَّةَ. رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ وَالنَّسَائِىُّ

‘আব্দুল্লাহ ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হজ্জ ও ‘উমরা সাথে সাথে করো। কারণ এ দু’টি দারিদ্র্য ও গুনাহ এমনভাবে দূর করে, যেমনভাবে হাঁপর লোহা ও সোনা-রূপার ময়লা দূর করে। কবূলযোগ্য হজ্জের সাওয়াব জান্নাত ব্যতীত আর কিছু নয়। (তিরমিযী ও নাসায়ী)[১]
[১] হাসান সহীহ : নাসায়ী ২৬৩১, তিরমিযী ৮১০, ইবনু আবী শায়বাহ্ ১২৬৩৮, আহমাদ ৩৬৬৯, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ২৫১২, মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ১০৪০৬, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩৬৯৩, সহীহ আত্ তারগীব ১১০৫।

২৫২৬

খুবই দুর্বল
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِىِّ ﷺ فَقَالَ: يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ مَا يُوجِبُ الْحَجَّ؟ قَالَ: الزَّادُ وَالرَّاحِلَةُ. رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ وَابْن مَاجَهْ

‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রসূল! কিসে (কোন বস্ত্ততে) হজ্জ ফরয করে? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, পথ খরচ ও বাহনে। (তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ)[১]
[১] খুবই দুর্বল : তিরমিযী ৮১৩, ইবনু মাজাহ ২৮৯৬, ইরওয়া ৯৮৮, ইবনু আবী শায়বাহ্ ১৫৭০৩, য‘ঈফ আত্ তারগীব ৭১৫। কারণ এর সনদে ইব্রাহীম ইবনু ইয়াযীদ একজন দুর্বল রাবী।

২৫২০

সহিহ হাদিস
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ اللّٰهَ كَتَبَ عَلَيْكُمُ الْحَجَّ». فَقَامَ الْأَقْرَعُ بْنُ حَابِسٍ فَقَالَ: أَفِىْ كُلِّ عَامٍ يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ؟ قَالَ: لَوْ قُلْتُهَا: نَعَمْ لَوَجَبَتْ وَلَوْ وَجَبَتْ لَمْ تَعْمَلُوا بِهَا وَلَمْ تَسْتَطِيْعُوْا وَالْحَجُّ مَرَّةٌ فَمَنْ زَادَ فَتَطَوُّعٌ. رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالنَّسَائِىُّ وَالدَّارِمِىُّ

আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হে মানবজাতি! আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের ওপর হজ্জ ফরয করেছেন। এটা শুনে আক্বরা‘ ইবনু হাবিস দাঁড়িয়ে বললেন, হে আল্লাহর রসূল! এটা (হজ্জ/হজ) কি প্রতি বছর? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যদি আমি বলতাম হ্যাঁ, তবে তা (প্রত্যেক বছর) ফরয হয়ে যেতো। আর যদি ফরয হয়ে যেতো, তোমরা তা সম্পাদন করতে না এবং করতে সমর্থও হতে না। হজ্জ (জীবনে ফরয) একবারই। যে বেশী করলো সে নফল করলো। (আহমাদ, নাসায়ী, ও দারিমী)[১]
[১] সহীহ : আবূ দাঊদ ১৭২১, নাসায়ী ২৬২০, দারিমী ১৭৮৮, আহমাদ ২৩০৪, মুসতাদ্রাক লিল হাকিম ৩১৫৫, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮৬১৭।

২৫৩০

মুনকার
وَعَنْهُ قَالَ: وَقَّتَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ لِأَهْلِ الْمَشْرِقِ الْعَقِيقَ. رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ وَأَبُو دَاوُدَ

[‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পূর্বদিকের অধীবাসীদের (‘ইরাকীদের) জন্যে ‘আক্বীক্ব নামক স্থানকে (ইহরাম বাঁধার জন্য) মীকাত নির্ধারণ করেছেন। (তিরমিযী ও আবূ দাঊদ)[১]
[১] মুনকার : আবূ দাঊদ ১৭৪০, তিরমিযী ৮৩২, ইবনু আবী শায়বাহ্ ১৪০৬৯, আহমাদ ৩২০৫, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮৯১৮, ইরওয়া ১০০২। কারণ এর সনদে ইয়াযীদ ইবনু আবী যিয়াদ একজন দুর্বল রাবী।

২৫২৭

হাসান লিগাইরিহি
وَعَنْهُ قَالَ: سَأَلَ رَجُلٌ رَسُوْلَ اللّٰهِ ﷺ فَقَالَ: مَا الْحَاجُّ؟ فَقَالَ: «اَلشَّعِثُ التَّفْلُ». فَقَامَ اٰخَرُ فَقَالَ: يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ أَىُّ الْحَجِّ أَفْضَلُ؟ قَالَ: الْعَجُّ وَالثَّجُّ. فَقَامَ اٰخَرُ فَقَالَ: يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ مَا السَّبِيلُ؟ قَالَ: زَادٌ وَرَاحِلَةٌ رَوَاهُ فِىْ شَرْحِ السُّنَّةِ. وَرَوَى ابْنُ مَاجَهْ فِىْ سُنَنِه إِلَّا أَنَّه لَمْ يَذْكُرِ الْفَصْلَ الْأَخِيْرَ

[‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক লোক রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলেন, হাজী কে? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যে লোকের (ইহরাম বাঁধার জন্য) অগোছালো চুল এবং সুগন্ধিহীন শরীর। এরপর অপর ব্যক্তি দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রসূল! কোন্ হজ্জ উত্তম? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ‘লাব্বায়কা’ বলার সাথে আওয়াজ সুউচ্চ করা এবং (কুরবানীর) রক্ত প্রবাহিত করা। তারপর অপর (তৃতীয়) ব্যক্তি দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রসূল! কুরআনে বর্ণিত ‘সাবীল’ (সামর্থ্য রাখে)-এর অর্থ কি? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, পথের খরচ ও বাহন। [ইমাম বাগাবী (রহঃ) শারহুস্ সুন্নাহ-তে এবং ইবনু মাজাহ তাঁর সুনানে বর্ণনা করেছেন, তবে তিনি শেষের অংশ বর্ণনা করেননি।][১]
[১] হাসান লিগয়রিহী : তিরমিযী ২৯৯৮, ইবনু মাজাহ ২৮৯৬, ইবনু আবী শায়বাহ্ ১৫৭০৩, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮৬৩৭, শারহুস্ সুন্নাহ ১৮৪৭, সহীহ আল জামি‘ ১১০১, সহীহ আত্ তারগীব ১১৩১।

২৫২৯

সহিহ হাদিস
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: إِنَّ رَسُوْلَ اللّٰهِ ﷺ سَمِعَ رَجُلًا يَقُولُ لَبَّيْكَ عَنْ شُبْرُمَةَ قَالَ: «مَنْ شُبْرُمَةُ؟» قَالَ: أَخٌ لِىْ أَوْ قَرِيبٌ لِىْ قَالَ: أَحَجَجْتَ عَنْ نَفْسِكَ؟ قَالَ: لَا قَالَ: «حُجَّ عَنْ نَفْسِكَ ثُمَّ حُجَّ عَنْ شُبْرُمَةَ». رَوَاهُ الشَّافِعِىُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ

‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে বলতে শুনলেন, আমি শুব্রম্নমাহ্’র পক্ষ হতে (হজ্জ/হজ পালনের উদ্দেশে) উপস্থিত হয়েছি। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, শুব্রম্নমাহ্ কে? সে বললো, আমার ভাই অথবা বললো, আমার নিকটাত্মীয়। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেন, তুমি নিজের হজ্জ করেছো কি? সে বললো, জি না। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তবে (প্রথমে) নিজের হজ্জ করো। পরে শুবরুমাহ্’র পক্ষ হতে হজ্জ করবে। (শাফি‘ঈ, আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহ)[১]
[১] সহীহ : আবূ দাঊদ ১৮১১, ইবনু মাজাহ ২৯০৩, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ৩০৩৯, মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ১২৪১৯, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩৯৮৮, ইরওয়া ৯৯৪।

২৫৩২

দুর্বল হাদিস
وَعَنْ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللّٰهِ ﷺ يَقُولُ: مَنْ أَهَلَّ بِحَجَّةٍ أَوْ عُمْرَةٍ مِنَ الْمَسْجِدِ الْأَقْصٰى إِلَى الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ غُفِرَ لَه مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِه وَمَا تَأَخَّرَ أَوْ وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ

উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি মাসজিদে আক্বসা থেকে মাসজিদে হারামের দিকে হজ্জ বা ‘উমরার ইহরাম বাঁধবে তার পূর্বের ও পরের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। অথবা তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, তার জন্যে জান্নাত অবধারিত হবে। (আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহ)[১]
[১] য‘ঈফ : আবূ দাঊদ ১৭৪১, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮৯২৬, য‘ঈফাহ্ ২১১, য‘ঈফ আল জামি‘ ৫৪৯৩। কারণ হাদীসটি মুয্ত্বরিব এবং এর সনদে হাকীমাহ্ একজন মাজহূল রাবী। ইমাম বুখারী (রহঃ)-ও হাদীসটিকে দুর্বল বলেছেন ।

২৫২৮

সহিহ হাদিস
وَعَنْ أَبِىْ رَزِينٍ الْعُقَيْلِىِّ أَنَّه أَتَى النَّبِىَّ ﷺ فَقَالَ: يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ إِنَّ أَبِىْ شَيْخٌ كَبِيرٌ لَا يَسْتَطِيعُ الْحَجَّ وَلَا الْعُمْرَةَ وَلَا الظَّعْنَ قَالَ: حُجَّ عَنْ أَبِيكَ وَاعْتَمِرْ. رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِىُّ وَقَالَ التِّرْمِذِىُّ: هٰذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ

আবূ রযীন আল ‘উক্বায়লী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি একবার নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমার পিতা অতিশয় বৃদ্ধ, হজ্জ ও ‘উমরা করার সামর্থ্য রাখে, না বাহনে বসতে পারেন না। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তুমি তোমার পিতার পক্ষ হতে হজ্জ ও ‘উমরা করে দাও। [তিরমিযী, আবূ দাঊদ ও নাসায়ী; ইমাম তিরমিযী (রহঃ) বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ][১]
[১] সহীহ : আবূ দাঊদ ১৮১০, নাসায়ী ২৬২১, তিরমিযী ৯৩০, ইবনু মাজাহ ২৯০৬, ইবনু আবী শায়বাহ্ ১৫০০৭, আহমাদ ১৬১৮৪, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ৩০৪০।

২৫৩১

সহিহ হাদিস
وَعَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللّٰهِ ﷺ وَقَّتَ لِأَهْلِ الْعِرَاقِ ذَاتَ عِرْقٍ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِىُّ

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘ইরাকবাসীদের জন্য ‘‘যাতু ‘ইরক্ব’’-কে মীকাত নির্ধারণ করেছেন। (আবূ দাঊদ ও নাসায়ী)[১]
[১] সহীহ : আবূ দাঊদ ১৭৩৯, ইরওয়া ৯৯৯।
১১/ পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

২৫৩৩

সহিহ হাদিস
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: كَانَ أَهْلُ الْيَمَنِ يَحُجُّوْنَ فَلَا يَتَزَوَّدُونَ وَيَقُولُونَ: نَحْنُ الْمُتَوَكِّلُونَ فَإِذَا قَدِمُوا مَكَّةَ سَأَلُوا النَّاسَ فَأَنْزَلَ اللّٰهُ تَعَالٰى: ﴿وَتَزَوَّدُوْا فإِنَّ خَيْرَ الزَّادِ التَّقْوٰى﴾. رَوَاهُ البُخَارِىُّ

আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইয়ামানবাসীরা হজ্জ পালন করতো অথচ পথের খরচ সঙ্গে নিত না। আর বলতো, আমরা আল্লাহর ওপর ভরসাকারী। কিন্তু মাক্কায় পৌঁছে মানুষের কাছে ভিক্ষা চাইতো, তখন আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াত নাযিল করেন, ‘‘ওয়াতাযাও ওয়াদূ ফাইন্না খয়রায্ যা-দিত্ তাক্বওয়া-’’ অর্থাৎ- তোমরা পথের খরচ সাথে নাও, উত্তম পাথেয় তো তাক্বওয়া বা আল্লাহভীতি (অর্থাৎ- অন্যের নিকট ভিক্ষা না করা)। (বুখারী)[১]
[১] সহীহ : বুখারী ১৫২৩, আবূ দাঊদ ১৭৩০।

২৫৩৪

সহিহ হাদিস
وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قُلْتُ: يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ عَلَى النِّسَاءِ جِهَادٌ؟ قَالَ: «نَعَمْ عَلَيْهِنَّ جِهَادٌ لَا قِتَالَ فِيهِ: الْحَجُّ وَالْعُمْرَةُ». رَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসূল! মহিলাদের ওপর কি জিহাদ ফরয? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, হ্যাঁ, তাদের ওপর এমন জিহাদ ফরয যাতে সশস্ত্র যুদ্ধ নেই- আর তা হলো হজ্জ ও ‘উমরা। (ইবনু মাজাহ)[১]
[১] সহীহ : নাসায়ী ২৯০১, ইবনু আবী শায়বাহ্ ১২৬৫৫, দারাকুত্বনী ২৭১৬, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮৭৫৮, ইবনু মাজাহ ২৯০১, ইরওয়া ৯৮১।

২৫৩৫

দুর্বল হাদিস
وَعَنْ أَبِىْ أُمَامَةَ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: مَنْ لَمْ يَمْنَعْهُ مِنَ الْحَجِّ حَاجَةٌ ظَاهِرَةٌ أَوْ سُلْطَانٌ جَائِرٌ أَوْ مَرَضٌ حَابِسٌ فَمَاتَ وَلَمْ يَحُجَّ فَلْيَمُتْ إِنْ شَاءَ يَهُودِيًّا وَإِنْ شَاءَ نَصْرَانِيًّا. رَوَاهُ الدَّارِمِىُّ

আবূ উমামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সুস্পষ্ট অভাব অথবা অত্যাচারী শাসকের বাধা, অথবা সাংঘাতিক রোগে আক্রান্ত হওয়া ছাড়া হজ্জ পালন না করে মৃত্যুপথে যাত্রা করেছে, সে যেন মৃত্যুবরণ করে ইয়াহূদী হয়ে অথবা নাসারা হয়ে। (দারিমী)[১]
[১] য‘ঈফ : দারিমী ১৮২৬, য‘ঈফ আত্ তারগীব ৭৫৪। কারণ এর সনদে লায়স ইবনু আবী সুলায়ম একজন দুর্বল রাবী।

২৫৩৭

সহিহ হাদিস
وَعَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللّٰهِ ﷺ يَقُولُ: «وَفْدُ اللّٰهِ ثَلَاثَةٌ الْغَازِىْ وَالْحَاجُّ وَالْمُعْتَمِرُ». رَوَاهُ النَّسَائِىُّ وَالْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيمَانِ

[আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহর প্রতিনিধি বা মেহমান হলো তিন ব্যক্তি। গাযী (ইসলামের জন্যে সশস্ত্র যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী), হাজী ও ‘উমরা পালনকারী। (নাসায়ী ও বায়হাক্বী- শু‘আবুল ঈমান-এ রয়েছে)[১]
[১] সহীহ : নাসায়ী ২৬২৫, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ২৫১১, মুসতাদরাক লিল হাকিম ১৬১১, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১০৩৮৭, শু‘আবুল ঈমান ৩৮০৮, সহীহ আল জামি‘ ৭১১২।

২৫৩৮

জাল হাদিস
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «إِذَا لَقِيتَ الْحَاجَّ فَسَلِّمْ عَلَيْهِ وَصَافِحْهُ وَمُرْهُ أَنْ يَسْتَغْفِرَ لَكَ قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ بَيْتَه فَإِنَّه مَغْفُورٌ لَه. رَوَاهُ أَحْمَدُ

আব্দুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তুমি কোন হাজীর সাক্ষাৎ পাবে তাকে সালাম দিবে, মুসাফাহা করবে আর তাকে অনুরোধ জানাবে, তিনি যেন তোমার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান তার ঘরে প্রবেশের পূর্বেই। কারণ তিনি (হাজী) ক্ষমাপ্রাপ্ত ব্যক্তি। (আহমাদ)[১]
[১] মাওযূ‘ : আহমাদ ৫৩৭১, য‘ঈফাহ্ ২৪১১, য‘ঈফ আল জামি‘ ৬৮৯। কারণ এর সনদে ইবনুল বায়লামানী মিথ্যার অপবাদপ্রাপ্ত একজন রাবী। আর মুহাম্মাদ ইবনু আল হারিস একজন দুর্বল রাবী।

২৫৩৯

সহিহ লিগাইরিহি
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «مَنْ خَرَجَ حَاجًّا أَوْ مُعْتَمِرًا أَوْ غَازِيًا ثُمَّ مَاتَ فِىْ طَرِيقِه كَتَبَ اللّٰهُ لَه أَجْرَ الْغَازِىْ وَالْحَاجِّ وَالْمُعَتَمِرِ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি হজ্জ/হজ, ‘উমরা অথবা আল্লাহর পথে জিহাদের উদ্দেশে বের হবে আর পথেই মৃত্যুবরণ করবে; আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য গাযী, হাজী বা ‘উমরা পালনকারীর সাওয়াব ধার্য করবেন। (বায়হাক্বী ‘‘শু‘আবুল ঈমান’’ গ্রন্থে অত্র হাদীসটি বর্ণনা করেছেন)[১]
[১] সহীহ লিগয়রিহী : শু‘আবুল ঈমান ৩৮০৬, সহীহ আত্ তারগীব ১১১৪।

২৫৩৬

দুর্বল হাদিস
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ ﷺ أَنَّه قَالَ: الْحَاجُّ وَالْعُمَّارُ وَفْدُ اللّٰهِ إِنْ دَعَوْهُ أَجَابَهُمْ وَإِنِ اسْتَغْفَرُوْهُ غَفرَ لَهُمْ. رَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ হজ্জ ও ‘উমরাহকারী হলো আল্লাহর দা‘ওয়াতী কাফেলা বা মেহমানী দল। অতএব তারা যদি আল্লাহর কাছে দু‘আ করেন, তিনি তা কবূল করেন। আর যদি তারা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান, তিনি তাদেরকে ক্ষমা করে দেন। (ইবনু মাজাহ)[১]
[১] য‘ঈফ : ইবনু মাজাহ ২৮৯২, মু‘জামুল আওসাত লিত্ব ত্ববারানী ৬৩১১, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১০৩৮৮, শু‘আবুল ঈমান ৩৮১১, য‘ঈফ আত্ তারগীব ৬৯৩। কারণ এর সনদে রাবী সলিহ ইবনু ‘আব্দুল্লাহ একজন মুনকারুল হাদীস।
১১/ পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

২৫৪৪

সহিহ হাদিস
وَعَنْ أَنَسٍ ؓ قَالَ: كُنْتُ رَدِيفَ أَبِىْ طَلْحَةَ وَإِنَّهُمْ لَيَصْرُخُونَ بِهِمَا جَمِيعًا: اَلْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ. رَوَاهُ البُخَارِىُّ

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি একই সওয়ারীতে আবূ ত্বলহাহর সাথে পিছনে বসেছিলাম, তখন সাহাবীগণ সম্মিলিতভাবে হজ্জ ও ‘উমরার জন্যে উচ্চস্বরে তালবিয়াহ্ পাঠ করছিলেন। (বুখারী)[১]
[১] সহীহ : বুখারী ২৯৮৬, আহমাদ ১২৬৭৮, মু‘জামুল আওসাত লিত্ব ত্ববারানী ৮১৪।

২৫৪৩

সহিহ হাদিস
وَعَنْ أَبِىْ سَعِيدٍ الْخُدْرِىِّ قَالَ: خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللّٰهِ ﷺ نَصْرُخُ بِالْحَجِّ صُرَاخًا. رَوَاهُ مُسْلِمٌ

আবূ সা‘ঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে (হজের উদ্দেশে) বের হলাম এবং উচ্চস্বরে তালবিয়াহ্ বলতে থাকলাম। (মুসলিম)[১]
[১] সহীহ : মুসলিম ১২৪৭, আহমাদ ১১০১৪, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮৯৯৭।

২৫৪৫

সহিহ হাদিস
وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللّٰهِ ﷺ عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ فَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ وَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِحَجٍّ وَعُمْرَةٍ وَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِالْحَجِّ وَأَهَلَّ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ بِالْحَجِّ فَأَمَّا مَنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ فَحَلَّ وَأَمَّا مَنْ أَهَلَّ بِالْحَجِّ أَوْ جَمَعَ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ فَلَمْ يَحِلُّوْا حَتّٰى كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ. (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, বিদায় হজ্জের বছর আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে (হজের উদ্দেশে) রওয়ানা হলাম। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ শুধু ‘উমরার জন্য ইহরাম বেঁধেছিলেন, আবার কেউ কেউ হজ্জ ও ‘উমরা উভয়ের জন্যে ইহরাম বেঁধেছিলেন, আবার কেউ কেউ শুধু হজ্জের জন্য ইহরাম বেঁধেছিলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুধু হজ্জের জন্য ইহরাম বেঁধেছিলেন। অতঃপর যারা শুধু ‘উমরার ইহরাম বেঁধেছিলেন তারা (তাওয়াফ ও সা‘ঈর পর) হালাল হয়ে গেলেন (অর্থাৎ- ইহরাম খুলে ফেললেন)। আর যারা শুধু হজ্জ অথবা হজ্জ ও ‘উমরা উভয়ের জন্য ‘ইহরাম’ বেঁধেছিলেন তারা কুরবানীর দিন আসা পর্যন্ত হালাল হননি। (বুখারী ও মুসলিম)[১]
[১] সহীহ : বুখারী ১৫৬২, মুসলিম ১২১১, আবূ দাঊদ ১৭৭৯, মুয়াত্ত্বা মালিক ১২০৪, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮৭৩৫, ইরওয়া ১০০৩।

২৫৪৬

সহিহ হাদিস
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللّٰهُ عَنْهُمَا قَالَ: تَمَتَّعَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ فِىْ حَجَّةِ الْوَدَاعِ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ بَدَأَ فَأهَلَّ بِالْعُمْرَةِ ثُمَّ أَهَلَّ بِالْحَجِّ. (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

আব্দুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হজ্জের সাথে ‘উমরারও উপকারিতা লাভ করেছিলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এভাবে শুরু করেছিলেন যে, প্রথমে ‘উমরার তালবিয়াহ্ পাঠ করেছিলেন, এরপর হজ্জের তালবিয়াহ্। (বুখারী ও মুসলিম)[১]
[১] সহীহ : বুখারী ১৬৯১, মুসলিম ১২২৭, আবূ দাঊদ ১৮০৫, নাসায়ী ২৭৩২, আহমাদ ৬২৪৭।

২৫৪০

সহিহ হাদিস
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللّٰهُ عَنْهَا قَالَتْ: كُنْتُ أُطَيِّبُ رَسُوْلَ اللّٰهِ ﷺ لِإِحْرَامِه قَبْلَ أَنْ يُحْرِمَ وَلِحِلِّه قَبْلَ أَنْ يَطُوفَ بِالْبَيْتِ بِطِيبٍ فِيهِ مِسْكٌ كَأَنِّىْ أَنْظُرُ إِلٰى وَبِيصِ الطِّيبِ فِىْ مَفَارِقِ رَسُولِ اللّٰهِ ﷺ وَهُوَ مُحْرِمٌ. (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তাঁর ইহরামের জন্য ইহরাম বাঁধার পূর্বে এবং ইহরাম খোলার জন্যে (দশ তারিখে) বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করার পূর্বে সুগন্ধি লাগাতাম, এমন সুগন্ধি যাতে মিস্‌ক থাকতো। আমি যেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সিঁথিতে এখনো সুগন্ধি দ্রব্যের উজ্জ্বলতা দেখতে পাচ্ছি অথচ তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইহরাম অবস্থায় ছিলেন। (বুখারী ও মুসলিম)[১]
[১] সহীহ : বুখারী ১৫৩৯, মুসলিম ১১৮৯-১১৯১, নাসায়ী ২৬৯৩, মুয়াত্ত্বা মালিক ১১৭৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮৯৫২, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩৭৬৬, ইরওয়া ১০৪৭।

২৫৪২

সহিহ হাদিস
وَعَنْهُ قَالَ: كَانَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ إِذَا أَدْخَلَ رِجْلَه فِى الْغَرْزِ وَاسْتَوَتْ بِه نَاقَتُه قَائِمَةً أَهَلَّ مِنْ عِنْدِ مَسْجِدِ ذِى الْحُلَيْفَةِ. (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

[‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (বিদায় হজ্জের সময়) যখন যুলহুলায়ফাহ্ মাসজিদের নিকট নিজের পা রিকাবে রাখার পর উটনী তাঁকে নিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়েছিল তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তালবিয়াহ্ পাঠ করেছিলেন। (বুখারী ও মুসলিম)[১]
[১] সহীহ : বুখারী ২৮৫৬, মুসলিম ১১৮৭, আহমাদ ৪৮৪২।

২৫৪১

সহিহ হাদিস
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللّٰهُ عَنْهُمَا قَالَ: سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللّٰهِ ﷺ يُهِلُّ مُلَبِّدًا يَقُولُ: «لَبَّيْكَ اَللّٰهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لَا شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لَا شَرِيْكَ لَكَ». لَا يَزِيدُ عَلٰى هَؤُلَاءِ الْكَلِمَاتِ. (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

আব্দুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মাথার চুল জড়ানো অবস্থায় তালবিয়াহ্ বলতে শুনেছি,

‘‘লাব্বায়ক আল্লা-হুম্মা লাব্বায়ক, লাব্বায়কা লা- শারীকা লাক লাব্বায়ক, ইন্নাল হাম্‌দা ওয়ান্ নি‘মাতা লাকা ওয়াল মুল্‌ক, লা- শারীকা লাকা’’

অর্থাৎ- ‘‘হে আল্লাহ! আমি তোমার দরবারে উপস্থিত হয়েছি! আমি তোমার খিদমাতে উপস্থিত হয়েছি। তোমার কোন শারীক নেই। আমি তোমার দরবারে উপস্থিত। সব প্রশংসা, অনুগ্রহের দান তোমারই এবং সমগ্র রাজত্বও তোমারই, তোমার কোন শারীক নেই।’’

এ কয়টি কথার বেশি কিছু তিনি বলেননি। (বুখারী ও মুসলিম)[১]
[১] সহীহ : বুখারী ৫৯১৫, মুসলিম ১১৮৪, আবূ দাঊদ ১৮১২, নাসায়ী ২৭৪৮, তিরমিযী ৮২৫, ইবনু মাজাহ ২৯১৮, মুয়াত্ত্বা মালিক ১১৯২, ইবনু আবী শায়বাহ্ ১৩৪৬২, আহমাদ ৪৮২১, দারিমী ১৮৪৯, দারাকুত্বনী ২৪৪৯, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৯০২৬, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩৭৯৯।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন