HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মিশকাতুল মাসাবিহ

. পর্ব-৪ঃ সলাত

مشكاة المصابيح

/ পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

৫৬৯

সহিহ হাদিস
وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ بَيْنَ الْعَبْدِ وَبَيْنَ الْكُفْرِ تَرْكُ الصَّلَاةِ. رَوَاهُ مُسْلِمٌ

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ (মু’মিন) বান্দা ও কুফরীর মধ্যে পার্থক্য হল সলাত পরিত্যাগ করা। [১]
[১] সহীহ : মুসলিম ৮২, আবূ দাঊদ ৪৬৭৮, নাসায়ী ৪৬৪, তিরমিযী ২৬২০, ইবনু মাজাহ্ ১০৭৮।

৫৬৬

সহিহ হাদিস
وَعَنْ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ إِنَّ رَجُلًا أَصَابَ مِنْ امْرَأَةٍ قُبْلَةً فَأَتَى النَّبِيَّ ﷺ فَأَخْبَرَه فَأَنْزَلَ اللهُ تَعَالى أَقِمِ الصَّلَاةَ طَرَفَىِ النَّهَارِ وَزُلَفًا مِنَ اللَّيْلِ إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ فَقَالَ الرَّجُلُ يَا رَسُولَ اللهِ أَلِي هَذَا قَالَ لِجَمِيعِ أُمَّتِي كُلِّهِمْ وَفِىْ رَوَايَةٍ لِّمَنْ عَمِلَ بِهَا مِنْ اُمَّتِىْ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

‘আবদুল্লাহ (বিন মাস’উদ) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি এক মহিলাকে চুমু দিয়েছিল । তারপর সে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এসে বিষয়টি বলল। এ সময়ে আল্লাহ্‌ ওয়াহী নাযিল করেনঃ “সালাত ক্বায়িম কর দিনের দু’ অংশে, রাতের কিছু অংশে । নিশ্চয় নেক কাজ পাপ কাজকে দূর করে দেয়” (সুরাহ হূদ ১১:১১৪) । [১]
[১] সহীহ : বুখারী ৫২৬, মুসলিম ২৭৬৩, তিরমিযী ৩১১৪, ইবনু মাজাহ্ ৪২৫৪, আহমাদ ৩৬৫৩, সহীহ ইবনু হিব্বান ১৭২৯।

৫৬৫

সহিহ হাদিস
وَعَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ أَرَأَيْتُمْ لَوْ أَنَّ نَهَرًا بِبَابِ أَحَدِكُمْ يَغْتَسِلُ فِيهِ كُلَّ يَوْمٍ خَمْسًا هل يُبْقى مِنْ دَرَنِه شَىْءٌ قَالُوا لَا يُبْقى مِنْ دَرَنِه شَيْئٌ قَالَ فَذلِكَ مَثَلُ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ يَمْحُو اللهُ بِهِنَّ الْخَطَايَا. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (সাহাবীগণের উদ্দেশ্যে ) বললেন, আচ্ছা বল তো, তোমাদের কারো বাড়ীর দরজার কাছে যদি একটি নদী থাকে, যাতে সে নদীতে পাঁচবার গোসল করে তাহলে কি তার শরীরে কোন ময়লা থাকতে পারে? সাহাবীগ্ণ উত্তরে বললেন, না কোন ময়লা থাকতে পারে না। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, এ দৃষ্টান্ত হল পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের। এ পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায়কারীর গুনাসমূহ আল্লাহ্‌ ক্ষমা করে দেন । [১]
[১] সহীহ : বুখারী ৫২৮, মুসলিম ৬৬৭, নাসায়ী ৪৬২, তিরমিযী ২৮৬৮, আহমাদ ৮৯২৪, সহীহ ইবনু হিব্বান ১৭২৬, ইরওয়া ১৫, সহীহ আত্ তারগীব ৩৫২।

৫৬৭

সহিহ হাদিস
وَعَنْ أَنَسِ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنِّي أَصَبْتُ حَدًّا فَأَقِمْهُ عَلَيَّ قَالَ وَلَمْ يَسْأَلْهُ عَنْهُ قَالَ وَحَضَرَتِ الصَّلَاةُ فَصَلّى مَعَ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ فَلَمَّا قَضَى النَّبِيُّ ﷺ الصَّلَاةَ قَامَ الرَّجُلُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنِّي أَصَبْتُ حَدًّا فَأَقِمْ فِيَّ كِتَابَ اللهِ قَالَ أَلَيْسَ قَدْ صَلَّيْتَ مَعَنَا قَالَ نَعَمْ قَالَ فَإِنَّ اللهَ قَدْ غَفَرَ لَكَ ذَنْبَكَ أَوْ قَالَ حَدَّكَ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

আনাস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক লোক এসে বলল, হে আল্লাহর রসূল ! আমি ‘হাদ্দ’ যোগ্য-এর কাজ (অপরাধ) করে ফেলেছি। আমার উপর তা প্রয়োগ করুন। বর্ণনাকারী বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার অপরাধ সম্পর্কে কিছুই জিজ্ঞেস করলেন না। বরং সলাতের ওয়াক্ত হয়ে গেলে নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাত আদায় করলেন। লোকটিও রসূলের সাথে সলাত আদায় করল। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাত শেষ করলে লোকটি দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমি হাদ্দ-এর কাজ করেছি। আমার উপর আল্লাহর কিতাবের নির্দিষ্ট হাদ্দ জারী করুন। উত্তরে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তুমি কি আমাদের সাথে সলাত আদায় করনি। লোকটি বলল, হ্যাঁ, করেছি। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, (এ সলাতের মাধ্যমে) আল্লাহ তোমার গুনাহ বা হাদ্দ মাফ করে দিয়েছেন। [১]
[১] সহীহ : বুখারী ৬৮২৩, মুসলিম ২৭৬৪।

৫৬৮

সহিহ হাদিস
وَعَنِ ابْنِ مَسْعُوْدٍ قَالَ سَأَلْتُ النَّبِيَّ ﷺ أَيُّ الْعَمَلِ أَحَبُّ إِلَى اللهِ قَالَ الصَّلَاةِ لَوَقْتِهَا قُلْتُ ثُمَّ أَيٌّ قَالَ ثُمَّ بِرُّ الْوَالِدَيْنِ قُلْتُ ثُمَّ أَيٌّ قَالَ الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللهِ قَالَ حَدَّثَنِىْ بِهِنَّ وَلَوِ اسْتَزَدْتُه لَزَادَنِي. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

[‘আবদুল্লাহ (রাঃ)] ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন্ কাজ (‘আমাল) আল্লাহর কাছে বেশী প্রিয়? তিনি( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, সঠিক সময়ে সলাত আদায় করা। আমি বললাম, এরপর কোন্ কাজ? তিনি বললেন, মা-বাবার সাথে সদ্ব্যবহার করা। আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, এরপর কোন্ কাজ? তিনি বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদ করা। রাবী [ইবনু মাস’উদ(রহঃ)] বলেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে এসব উত্তর দিলেন। আমি যদি আরও জিজ্ঞেস করতাম, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে আরও কথা বলতেন। [১]
[১] সহীহ : বুখারী ৫২৭, মুসলিম ৮৫, নাসায়ী ৬১০, আহমাদ ৩৮৯০, ইরওয়া ১১৯৮, সহীহ আত্ তারগীব ৩৯৭।

৫৬৪

সহিহ হাদিস
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ الصَّلَوَاتُ الْخَمْسُ وَالْجُمُعَةُ إِلَى الْجُمُعَةِ وَرَمَضَانُ إِلى رَمَضَانَ مُكَفِّرَاتٌ مَا بَيْنَهُنَّ إِذَا اجْتُنِبَتِ الْكَبَائِرُ. رَوَاهُ مُسْلِمٌ

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পাঁচ ওয়াক্ত সালাত, এক জুমু’আহ হতে অপর জুমু’আহ পর্যন্ত এবং এক রমযান হতে আরেক রমযান পর্যন্ত সব গুনাহের কাফ্‌ফারাহ্‌ হয়, যদি কাবীরাহ গুনাহ সমূহ বেঁচে থাকা হয়। [১]
[১] সহীহ : মুসলিম ২৩৩, আহমাদ ৯১৯৭, সহীহাহ্ ৩৩২২, সহীহ আল জামি‘ ৩৮৭৫, সহীহ আত তারগীব ৬৮৪।
/ পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৫৭৩

নির্ণীত নয়
وَفِىْ الْمَصَابِيْحِ عَنْ سَبْرَةَ بْنِ مَعْبَدٍ

সাবরাহ্ ইবনু মা‘বাদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

কিন্তু মাসাবীহ-তে সাবরাহ্ বিন মা’বাদ হতে বর্ণিত হয়েছে।

৫৭৪

সহিহ হাদিস
وَعَنْ بُرَيْدَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ الْعَهْدُ الَّذِي بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ الصَّلَاةُ فَمَنْ تَرَكَهَا فَقَدْ كَفَرَ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِـيُِّ وابن مَاجَةَ

বুরায়দাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমাদের ও তাদের (মুনাফিকদের) মধ্যে যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে, তা হল সলাত। অতএব যে সলাত পরিত্যাগ করবে, সে (প্রকাশ্যে) কুফরী করল (অর্থাৎ কাফির হয়ে যাবে)। [১]

৫৭১

সহিহ হাদিস
وَعَنْ أَبِيْ أُمَامَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ صَلُّوا خَمْسَكُمْ وَصُومُوا شَهْرَكُمْ وَأَدُّوا زَكَاةَ أَمْوَالِكُمْ وَأَطِيعُوا ذَا أَمْرِكُمْ تَدْخُلُوا جَنَّةَ رَبِّكُمْ. رَوَاهُ أَحْمَد وَالتِّرْمِذِيُّ

আবূ উমামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের উপর ফারয্ করা পাঁচ ওয়াক্ত সলাত আদায় কর, তোমাদের জন্য নির্দিষ্ট করা মাসটির সিয়াম (রোযা) পালন কর, আদায় কর তোমাদের ধন- সম্পদের যাকাত এবং তোমাদের নেতৃবৃন্দের অনুগত্য কর। তাহলে তোমাদের রবের জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। [১]
[১] সহীহ : আহমাদ ২১৬৫৭, তিরমিযী ৬১৬, সিলসিলাহ্ আস্ সহীহাহ্ ৮৬৭।

৫৭২

হাসান হাদিস
وَعَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مُرُوا أَوْلَادَكُمْ بِالصَّلَاةِ وَهُمْ أَبْنَاءُ سَبْعِ سِنِينَ وَاضْرِبُوهُمْ عَلَيْهَا وَهُمْ أَبْنَاءُ عَشْرٍ وَفَرِّقُوا بَيْنَهُمْ فِي الْمَضَاجِعِ. رَوَاهُ أَبُوْ دَاوٗدَ وَكَذَا رَوَاهُ فِىْ شَرْحِ السُّنَّةِ عَنْهُ

আমর ইবনু শু‘আয়ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমার সন্তানদের বয়স সাত বছরে পৌছবে তখন তাদেরকে সলাত আদায়ের জন্য নির্দেশ দিবে। আর (সলাত আদায় করার জন্য) তাদের শাস্তি দিবে যখন তারা দশ বছরে পৌছবে এবং তাদের ঘুমানোর স্থান পৃথক করে দিবে। [১] শারহে সুন্নাহ- তে এভাবে রয়েছে।
[১] হাসান : আবূ দাঊদ ৪৯৫, সহীহুল জামি‘ ৫৮৬৮, আহমাদ ২/১৮০ ও ১৮৭।

৫৭০

সহিহ হাদিস
عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ خَمْسُ صَلَوَاتٍ افْتَرَضَهُنَّ اللّهُ تَعَالى مَنْ أَحْسَنَ وُضُوءَهُنَّ وَصَلَّاهُنَّ لِوَقْتِهِنَّ وَأَتَمَّ رُكُوعَهُنَّ وَخُشُوعَهُنَّ كَانَ لَه عَلَى اللهِ عَهْدٌ أَنْ يَغْفِرَ لَه وَمَنْ لَمْ يَفْعَلْ فَلَيْسَ لَه عَلَى اللهِ عَهْدٌ إِنْ شَاءَ غَفَرَ لَه وَإِنْ شَاءَ عَذَّبَه. رَوَاهُ أَحْمَد وأَبُوْ دَاوٗدَ وروى مالك وَالنَّسَائِـيُِّ نحوه

‘উবাদাহ্ ইবনুস্ সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পাঁচ ওয়াক্ত সলাত, যা আল্লাহ তা’আলা (বান্দার জন্য) ফারয্ করেছেন। যে ব্যক্তি এ সলাতের জন্য ভালভাবে উযূ করবে, সঠিক সময়ে আদায় করবে এবং এর রুকূ’ ও খুশুকে পরিপূর্ণরূপে করবে, তার জন্য আল্লাহর ওয়া’দা রয়েছে যে, তিনি তাকে ক্ষমা করে দিবেন। আর যে তা না করবে, তার জন্য আল্লাহর ওয়া’দা নেই। ইচ্ছা করলে তিনি ক্ষমা করে দিতে পারেন আর ইচ্ছা করলে শাস্তিও দিতে পারেন। [৫৮৩] মালিক এবং নাসায়ী অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। [১]
[১] সহীহ : আহমাদ ২২৭০৪, আবূ দাঊদ ৪২৫, মালিক ১৪, নাসায়ী ৪৬১, সহীহ আত্ তারগীব ৩৭০।
/ পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

৫৭৬

হাসান হাদিস
وَعَنْ أَبِيْ ذَرٍّ أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ خَرَجَ زَمَنَ الشِّتَاءِ وَالْوَرَقُ يَتَهَافَتُ فَأَخَذَ بِغُصْنَيْنِ مِنْ شَجَرَةٍ قَالَ فَجَعَلَ ذلِكَ الْوَرَقُ يَتَهَافَتُ قَالَ فَقَالَ يَا أَبَا ذَرٍّ قُلْتُ لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ إِنَّ الْعَبْدَ الْمُسْلِمَ لَيُصَلِّ الصَّلَاةَ يُرِيدُ بِهَا وَجْهَ اللهِ فَتَهَافَتُ عَنْهُ ذُنُوبُه كَمَا تَهَافَتُ هذَا الْوَرَقُ عَنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ. رَوَاهُ أَحْمَد

আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক শীতের সময়ে নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বের হলেন, আর তখন গাছের পাতা ঝরে পড়ছিল । তিনি একটি গাছের দু’টি ডাল ধরে নাড়া দিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, তাতে গাছের পাতা ঝরতে লাগল। আবূ যার (রহঃ) বলেন, তখন তিনি আমাকে ডাকলেন, হে আবূ যার! উত্তরে আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল ! আমি উপস্থিত। তিনি বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহর কোন মুসলিম বান্দা যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির বিধানের জন্য খালিস মনে সলাতে আদায় করে, আর জ়ীবন থেকে তার গুনাহসমূহ এভাবে ঝরে পড়তে থাকে যেভাবে গাছের পাতা ঝরে পড়ে। [১]
[১] হাসান : আহমাদ ২১০৪৬, সহীহ আত্ তারগীব ৩৮৪। যদিও তার সানাদে মুযাহিম ইবনু মু‘আবিয়াহ্ (রাঃ)আয্ যববী নামে একজন অপরিচিত রাবী রয়েছে, এরপরও মুনযিরী এর সানাদকে হাসান বলেছেন।

৫৭৫

সহিহ হাদিস
عَنْ عَبْدِ الله بْنِ مَسْعُوْدٍ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ ﷺ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنِّي عَالَجْتُ امْرَأَةً فِي أَقْصَى الْمَدِينَةِ وَإِنِّي أَصَبْتُ مِنْهَا مَا دُونَ أَنْ أَمَسَّهَا فَأَنَا هذَا فَاقْضِ فِيَّ مَا شِئْتَ فَقَالَ لَه عُمَرُ لَقَدْ سَتَرَكَ اللّهُ لَوْ سَتَرْتَ نَفْسَكَ قَالَ وَلَمْ يَرُدَّ النَّبِيُّ ﷺ شَيْئًا فَقَامَ الرَّجُلُ فَانْطَلَقَ فَأَتْبَعَهُ النَّبِيُّ ﷺ رَجُلًا فَدَعَاهُ وَتَلَا عَلَيْهِ هذِهِ الْآيَةَ أَقِمِ الصَّلَاةَ طَرَفَىِ النَّهَارِ وَزُلَفًا مِّنَ اللَّيْلِ إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ ذلِكَ ذِكْرَاى لِلذَّاكِرِينَ فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ الْقَوْمِ يَا نَبِيَّ اللهِ هذَا لَه خَاصَّةً قَالَ بَلْ لِلنَّاسِ كَافَّةً. رَوَاهُ مُسْلِمٌ

আবদুল্লাহ (রাঃ) বিন মাস্‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক লোক নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমি মাদীনার উপকন্ঠে এক মহিলার সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হওয়া ছাড়া আর সব রসাস্বাদন করেছি। আমি আপনার দরবারে উপস্থিত, তাই আমার প্রতি এ অপরাধের কারণে যা শাস্তি বিধান করার তা আপনি করুন। ‘উমার (রহঃ) বললেন, আল্লাহ তোমার অপরাধ ঢেকে রেখেছিলেন। তুমি নিজেও তা ঢেকে রাখতে (আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে, তবে তা উত্তম হত)। বর্ণনাকারী (‘আবদুল্লাহ) বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার কথার কোন উত্তর দিলেন না। তাই লোকটি উঠে চলে যেতে লাগল। অতঃপর নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার পিছনে লোক পাঠিয়ে তাকে ডেকে আনলেন এবং তার সামনে এ আয়াত পাঠ করলেন- (অর্থ) “সলাত কায়িম কর দিনের দু’অংশে, রাতের কিছু অংশে। নিশ্চয়ই নেক কাজ বদ কাজকে দূর করে দেয়, উপদেশ গ্রহণকারী জন্য এটা একটা উপদেশ”- (সূরাহ্ হূদঃ ১১:১১৪) । এ সময়ে উপস্থিত এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর নাবী ! এ হুকুম কি বিশেষভাবে তার জন্য। উত্তরে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, না, বরং সকল মানুষের জন্যই। [১]
[১] সহীহ : মুসলিম ২৭৬৩, সহীহ আত্ তারগীব ৩১৬৩, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৭০৮৫, তিরমিযী ৩১১২।

৫৭৭

হাসান সহিহ
وَعَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدِ الْجُهَنِىِّ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَنْ صَلّى سَجْدَتَيْنِ لَا يَسْهُوْ فِيْهِمَا غَفَرَ الله ُلَه مَا تَقدَّمَ مِنْ ذَنْبِه. رَوَاهُ أَحْمَد والْبَيْهَقِىُّ وَالْبَيْهَقِىُّ

যায়দ বিন খালিদ আল জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যে ব্যক্তি দু’ রাক্‌‘আত সলাত আদায় করেছে, আর এতে ভুল করেনি, আল্লাহ তার অতীত জীবনের সব গুনাহ (সগীরাহ্‌) ক্ষমা করে দিবেন। [১]
[১] হাসান সহীহ : আহমাদ ২১১৮৩, আবূ দাঊদ ৯০৫, সহীহ আত্ তারগীব ২২৮।

৫৭৯

সহিহ হাদিস
وَعَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ شَقِيقٍ قَالَ كَانَ أَصْحَابُ رَسُوْل اللهِﷺ لَا يَرَوْنَ شَيْئًا مِنَ الْأَعْمَالِ تَرْكُه كُفْرٌ غَيْرَ الصَّلَاةِ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ

আবদুল্লাহ বিন শাক্বীক্ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহাবীগণ সলাত ছাড়া অন্য কোন ‘আমাল পরিত্যাগ করাকে কুফ্‌রী বলে মনে করতেন না। [১]
1] সহীহ : তিরমিযী ২৬২২, সহীহ আত্ তারগীব ৫৬৫।

৫৭৮

দুর্বল হাদিস
وَعَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو بْنِ الْعَاصِ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ أَنَّه ذَكَرَ الصَّلَاةَ يَوْمًا فَقَالَ «مَنْ حَافَظَ عَلَيْهَا كَانَتْ لَه نُورًا وَبُرْهَانًا وَنَجَاةً يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَنْ لَمْ يُحَافِظْ عَلَيْهَا لَمْ يَكُنْ لَه نُورٌ وَلَا بُرْهَانٌ وَلَا نَجَاةٌ وَكَانَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَعَ قَارُونَ وَفِرْعَوْنَ وَهَامَانَ وَأُبَيِّ بْنِ خَلَفٍ». رَوَاهُ أَحْمَد وَالدَّارِمِيُّ والْبَيْهَقِىُّ في شُعَبِ الْإِيْمَانِ

আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর ইবনুল ‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদিন সলাত সম্পর্কে আলোচনা প্রসঙ্গে বললেন: যে ব্যক্তি সলাতের হিফাযাত করবে, তা ক্বিয়ামাতের দিন তার জন্য জ্যোতি, দলীল ও মুক্তির উপায় হবে। আর যে ব্যক্তি সলাতের হিফাযাত করবে না, তার জন্য এটা জ্যোতি, দলীল ও মুক্তির কারণ হবে না। ক্বিয়ামাতের দিন সে কারূন, ফির‘আওন, হামান ও উবাই বিন খালাফ-এর সাথে থাকবে। [১]
[১] য‘ঈফ : আহমাদ ৬৫৪০, দারিমী ২৭২১, য‘ঈফ আত্ তারগীব ৩১২, বায়হাক্বী- শু‘আবুল ঈমান ২৫৬৫।

৫৮০

হাসান লিগাইরিহি
وَعَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ قَالَ أَوْصَانِي خَلِيلِي أَنْ لَا تُشْرِكْ بِاللهِ شَيْئًا وَإِنْ قُطِّعْتَ وَحُرِّقْتَ وَلَا تَتْرُكْ صَلَاةً مَكْتُوبَةً مُتَعَمِّدًا فَمَنْ تَرَكَهَا مُتَعَمِّدًا فَقَدْ بَرِئَتْ مِنْهُ الذِّمَّةُ وَلَا تَشْرَبِ الْخَمْرَ فَإِنَّهَا مِفْتَاحُ كُلِّ شَرٍّ. رَوَاهُ ابن مَاجَةَ

আবুদ্ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার বন্ধু (রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) আমাকে উপদেশ দিয়েছেন : (১) তুমি আল্লাহর সাথে কাউকে শারীক করবে না, যদিও তোমাকে খন্ড-বিখন্ড করা হয় বা আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়, (২) ইচ্ছা করে কোন ফার্‌য সলাত ত্যাগ করবে না’। যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে ফার্‌য সলাত ত্যাগ করবে তার উপর থেকে ইসলাম প্রদত্ত নিরাপত্তা উঠে যাবে, (৩) মদ পান করবে না। কারণ মদ হচ্ছে সকল মন্দের চাবিকাঠি। [১]
[১] হাসান লিগয়রিহী : ইবনু মাজাহ্ ৪০৩৪, সহীহ আত্ তারগীব ৫৬৭। যদিও এর সানাদে শাহ্র ইবনু হাওশাব দুর্বল রাবী রয়েছে কিন্তু তার শাহিদ বর্ণনা থাকায় তা হাসানের স্তরে উন্নীত হয়েছে।
/ পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

৫৮১

সহিহ হাদিস
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ قَالَ رَسُولَ اللهِ ﷺ وَقْتُ الظُّهْرِ إِذَا زَالَتِ الشَّمْسُ وَكَانَ الرَّجُلُ كَطُولِه مَا لَمْ يَحْضُرِ الْعَصْرُ وَوَقْتُ الْعَصْرِ مَا لَمْ تَصْفَرَّ الشَّمْسُ وَوَقْتُ صَلَاةِ الْمَغْرِبِ مَا لَمْ يَغِبِ الشَّفَقُ وَوَقْتُ صَلَاةِ الْعِشَاءِ إِلى نِصْفِ اللَّيْلِ الْأَوْسَطِ وَوَقْتُ صَلَاةِ الصُّبْحِ مِنْ طُلُوعِ الْفَجْرِ مَا لَمْ تَطْلُعِ الشَّمْسُ فَإِذَا طَلَعَتِ الشَّمْسُ فَأَمْسِكْ عَنِ الصَّلَاةِ فَإِنَّهَا تَطْلُعُ بَيْنَ قَرْنَيْ شَيْطَانٍ . رَوَاهُ مُسْلِمٌ

আবদুল্লাহ বিন ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: সূর্য ঢলে পড়ার সাথে যুহরের সলাতের ওয়াক্ত শুরু হয় এবং মানুষের ছায়া যখন তার দৈর্ঘ্যের সমান হয়, তখন ‘আস্‌রের সলাতের ওয়াক্ত উপস্থিত হয়। ‘আস্‌রের সলাতের ওয়াক্ত যুহরের সলাতের পর থেকে যে পর্যন্ত সূর্য হলদে রং ধারণ না করে এবং সূর্যাস্তের পর থেকে পশ্চিমাকাশের লালিমা মিশে যাবার আগ পর্যন্ত মাগরিবের সলাতের ওয়াক্ত থাকে। আর ‘ইশার সলাতের ওয়াক্ত মাগরিবের সলাতের পর থেকে শুরু করে মধ্যরাত পর্যন্ত। ফাজরের সলাতের ওয়াক্ত ফা্‌জর অর্থাৎ সুবহে সাদিকের উদিত হবার পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত। অতঃপর সূর্যোদয় হতে শুরু করলে সলাত হতে বিরত থাকবে। কেননা সূর্যোদয় হয় শায়ত্বনের দু’শিং-এর মধ্য দিয়ে। [১]
[১] সহীহ : মুসলিম ৬১২, আহমাদ ৬৯৬৬, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৭১২, সহীহ ইবনু হিব্বান ১৪৭৩।

৫৮২

সহিহ হাদিস
وَعَنْ بُرَيْدَةَ قَالَ اِنَّ رَجُلًا سَأَلَ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ عَنْ وَقْتِ الصَّلَاةِ فَقَالَ لَه صَلِّ مَعَنَا هَذَيْنِ يَعْنِي الْيَوْمَيْنِ فَلَمَّا زَالَتِ الشَّمْسُ أَمَرَ بِلَالًا فَأَذَّنَ ثُمَّ أَمَرَه فَأَقَامَ الظُّهْرَ ثُمَّ أَمَرَه فَأَقَامَ الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ بَيْضَاءُ نَقِيَّةٌ ثُمَّ أَمَرَه فَأَقَامَ الْمَغْرِبَ حِينَ غَابَتِ الشَّمْسُ ثُمَّ أَمَرَه فَأَقَامَ الْعِشَاءَ حِينَ غَابَ الشَّفَقُ ثُمَّ أَمَرَه فَأَقَامَ الْفَجْرَ حِينَ طَلَعَ الْفَجْرُ فَلَمَّا أَنْ كَانَ الْيَوْمُ الثَّانِي أَمَرَه فَأَبْرِدْ بِالظُّهْرِ فَأَبْرَدَ بِهَا فَأَنْعَمَ أَنْ يُبْرِدَ بِهَا وَصَلَّى الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ أَخَّرَهَا فَوْقَ الَّذِي كَانَ وَصَلَّى الْمَغْرِبَ قَبْلَ أَنْ يَغِيبَ الشَّفَقُ وَصَلَّى الْعِشَاءَ بَعْدَمَا ذَهَبَ ثُلُثُ اللَّيْلِ وَصَلَّى الْفَجْرَ فَأَسْفَرَ بِهَا ثُمَّ قَالَ أَيْنَ السَّائِلُ عَنْ وَقْتِ الصَّلَاةِ فَقَالَ الرَّجُلُ أَنَا يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ وَقْتُ صَلَاتِكُمْ بَيْنَ مَا رَأَيْتُمْ. رَوَاهُ مُسْلِمٌ

বুরায়দাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক লোক রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট সলাতের ওয়াক্ত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল। তিনি বললেন, আমাদের সাথে এ দু’ দিন সলাত আদায় কর। প্রথমদিন সূর্য ঢলে পড়লে তিনি বিলাল (রাঃ)-কে হুকুম দিলেন আযান দিতে। বিলাল (রাঃ) আযান দিলেন। এরপর তিনি নির্দেশ দিলে বিলাল (রাঃ) যুহরের সলাতের ইক্বামাত দিলেন। অতঃপর (‘আস্‌রের সময়) তিনি বিলাল (রাঃ)-কে নির্দেশ দিলে তিনি ‘আস্‌রের সলাতের ইক্বামাত দিলেন। তখনও সূর্য বেশ উঁচুতে ও পরিষ্কার সাদা। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিলাল (রাঃ)-কে নির্দেশ দিলে তিনি মাগরিবের ইক্বামাত দিলেন। তখন সূর্য দেখা যাচ্ছে না। এরপর বিলাল (রাঃ)-কে নির্দেশ দিলে তিনি ‘ইশার সলাতের ইক্বামাত দিলেন, যখন মাত্র লালিমা অদৃশ্য হল। তারপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিলাল (রাঃ)-কে নির্দেশ দিলে তিনি ফাজরের সলাতের ইক্বামাত দিলেন। তখন ঊষা (সুবহে সাদিক) দেখা দিয়েছে। যখন দ্বিতীয় দিন এলো তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিলাল (রাঃ)-কে নির্দেশ দিলেন, যুহরের সলাত ঠান্ডা পড়া পর্যন্ত দেরী করতে। বিলাল দেরী করলেন। রোদের তাপ ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত দেরী করলেন। তারপর ‘আস্‌রের সলাত আদায় করলেন। সূর্য তখন উঁচুতে অবস্থিত, কিন্তু সলাতে পূর্বের দিনের চেয়ে বেশী দেরী করলেন। মাগরিবের সলাত আদায় করলেন লালিমা অদৃশ্য হবার কিছুক্ষণ আগে। আর এ দিন ‘ইশার সলাত আদায় করলেন রাতের এক তৃতীয়াংশ শেষ হবার পর। অতঃপর ফাজরের সলাত আদায় করলেন বেশ পরিষ্কার হওয়ার পর। সবশেষে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, সলাতের ওয়াক্ত সম্পর্কে জিজ্ঞাসাকারী ব্যক্তি কোথায়? সে বলল, হে আল্লাহর রসূল! এই যে আমি। তিনি বললেন, তোমাদের জন্য সলাত আদায় করার ওয়াক্ত হল, তোমরা যা (দু’ সীমা) দেখলে তার মধ্যস্থলে। [১]
[১] সহীহ : মুসলিম ৬১৩, ইবনু মাজাহ্ ৬৬৭, তিরমিযী ১৫২, সহীহ ইবনু খুযাইমাহ্ ৩২৩, সহীহ ইবনু হিব্বান ১৪৯২, আহমাদ ২২৯৫৫।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন