HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মিশকাতুল মাসাবিহ

. পর্ব-৯ঃ দু‘আ

مشكاة المصابيح

/ পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

২২২৬

সহিহ হাদিস
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «إِذَا دَعَا أَحَدُكُمْ فَلَا يَقُلِ: اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِىْ إِنْ شِئْتَ وَلٰكِنْ لِيَعْزِمْ وَلْيُعَظِّمِ الرَّغْبَةَ فَإِنَّ اللّٰهَ لَا يَتَعَاظَمُه شَىْءٌ أعْطَاهُ». رَوَاهُ مُسْلِمٌ

[আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ যখন দু‘আ করে, সে যেন এটা না বলে, হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করে দাও যদি তুমি ইচ্ছা রাখো। বরং সে যেন দৃঢ়চিত্তে ও পূর্ণ আগ্রহের সাথে দু‘আ করে। কেননা কোন কিছু দান করতে আল্লাহর অসাধ্য কোন কিছু নেই। (মুসলিম)[১]
[১] সহীহ : মুসলিম ২৬৭৯, আল আদাবুল মুফরাদ ৬০৭, সহীহ আল জামি‘ ৫৩০।

২২২৪

সহিহ হাদিস
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «اَللّٰهُمَّ إِنِّىْ اتَّخَذْتُ عِنْدَكَ عَهْدًا لَنْ تُخْلِفَنِيهِ فَإِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ فَأَىُّ الْمُؤْمِنِينَ اٰذَيْتُه شَتَمْتُه لَعَنْتُه جَلَدْتُه فَاجْعَلْهَا لَه صَلَاةً وَزَكَاةً وَقُرْبَةً تُقَرِّبُه بِهَا إِلَيْكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ». (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

[আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে একটি ওয়া‘দা কামনা করছি, (আমার বিশ্বাস) সে ওয়া‘দাপানে কক্ষনো তুমি আমাকে বিমুখ করবে না। আমি তো মানুষ মাত্র। তাই আমি কোন মু’মিনকে কষ্ট দিয়েছি, গালি দিয়েছি, অভিশাপ দিয়েছি বা মেরেছি- আমার এ কাজকে তুমি তার জন্য কিয়ামাতের দিন রহমত, পবিত্রতা ও তোমার নৈকট্য লাভের উপায় বানিয়ে দাও। (বুখারী, মুসলিম)[১]
[১] সহীহ : বুখারী ৬৩৬১, মুসলিম ২৩০১, ইবনু আবী শায়বাহ্ ২৯৫৪৮, আহমাদ ৯৮০২, দারিমী ২৮০৭, সহীহাহ্ ৩৯৯৯, সহীহ আল জামি‘ ১২৭৩।

২২২৭

সহিহ হাদিস
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «يُسْتَجَابُ لِلْعَبْدِ مَا لَمْ يَدْعُ بِإِثْمٍ أَوْ قَطِيعَةِ رَحِمٍ مَا لَمْ يَسْتَعْجِلْ». قِيلَ: يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ مَا الِاسْتِعْجَالُ؟ قَالَ: «يَقُولُ: قَدْ دَعَوْتُ وَقَدْ دَعَوْتُ فَلَمْ أَرَ يُسْتَجَابُ لِىْ فَيَسْتَحْسِرُ عِنْدَ ذٰلِكَ وَيَدَعُ الدُّعَاءَ». رَوَاهُ مُسْلِمٌ

[আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বান্দার (প্রতিটি) দু‘আ কবূল করা হয়, যে পর্যন্ত না সে গুনাহের কাজের জন্য অথবা আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করার জন্য এবং তাড়াহুড়া করে দু‘আ করে। জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রসূল! তাড়াহুড়া কি? তিনি বললেন, (দু‘আ করে) এমনভাবে বলা যে, আমি (এই) দু‘আ করেছি। আমি (তার জন্য) দু‘আ করেছি। আমার দু‘আ তো কবূল হতে দেখছি না। অতঃপর সে নিরাশ হয়ে পড়ে এবং দু‘আ করা ছেড়ে দেয়। (মুসলিম)[১]
[১] সহীহ : মুসলিম ২৭৩৫, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৬৪২৯, সহীহ ইবনু হিববান ৮৮১, আল আদাবুল মুফরাদ ৬৫৪, সহীহ আল জামি‘ ৭৭০৫।

২২২৫

সহিহ হাদিস
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «إِذَا دَعَا أَحَدُكُمْ فَلَا يقُلْ: اَللّٰهُمَّ اغفِرْ لِىْ إِنْ شِئتَ اِرْحَمْنِىْ إِنْ شِئْتَ اُرْزُقْنِىْ إِنْ شِئْتَ وَلِيَعْزِمْ مَسْأَلَتَه إِنَّه يَفْعَلُ مَا يَشَآءُ وَلَا مُكْرِهَ لَه». رَوَاهُ البُخَارِىُّ

[আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন আল্লাহর কাছে দু‘আ করার সময় এ কথা না বলে যে, হে আল্লাহ! তোমার ইচ্ছা হলে আমাকে ক্ষমা করে দাও। তুমি যদি ইচ্ছা কর আমার প্রতি দয়া করো। তুমি যদি ইচ্ছা কর আমাকে রিযক দান করো। বরং সে দৃঢ়তার সাথে দু‘আ করবে (চাইবে)। তিনি যা ইচ্ছা তা-ই প্রদান করেন। তাঁকে দিয়ে জোরপূর্বক কোন কিছু করাতে সক্ষম নয় বা তাকে বাধা দেয়ার কেউ নেই। (বুখারী)[১]
[১] সহীহ : বুখারী ৭৪৭৭, আবূ দাঊদ ১৪৮৩, তিরমিযী ৩৪৯৭, ইবনু মাজাহ ৩৮৫৪, মুয়াত্ত্বা মালিক ৭২২, ইবনু আবী শায়বাহ্ ২৯১৬৩, আহমাদ ৮২৩৭, মু‘জামুস্ সগীর লিত্ব ত্ববারানী ১৭০, সহীহ ইবনু হিববান ৯৭৭, সহীহ আল জামি‘ ৭৭৬৩।

২২২৮

সহিহ হাদিস
وَعَنْ أَبِىْ الدَّرْدَاءِ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «دَعْوَةُ الْمُسْلِمِ لِأَخِيهِ بِظَهْرِ الْغَيْبِ مُسْتَجَابَةٌ عِنْدَ رَأْسِه مَلَكٌ مُوَكَّلٌ كُلَّمَا دَعَا لِأَخِيهِ بِخَيْرٍ قَالَ الْمَلَكُ الْمُوَكَّلُ بِه: اٰمِينَ وَلَكَ بِمِثْلٍ». رَوَاهُ مُسْلِمٌ

আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন মুসলিম তার কোন মুসলিম ভাইয়ের জন্য তার অনুপস্থিতিতে দু‘আ করলে ওই দু‘আ কবূল করা হয়। দু‘আকারীর মাথার পাশে একজন মালাক (ফেরেশতা) নিয়োজিত থাকেন। যখন সে তার ভাইয়ের জন্য (কল্যাণের) দু‘আ করে; সে নিযুক্ত মালাক সাথে সাথে বলেন ‘আমীন’ এবং তোমার জন্যও অনুরূপ হোক। (মুসলিম)[১]
[১] সহীহ : মুসলিম ২৭৩৩, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৬৪৩১, সহীহ আল জামি‘ ৬২৩৫।

২২২৯

সহিহ হাদিস
وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «لَا تَدْعُوْا عَلٰى اَنْفُسِكُمْ وَلَا تَدْعُوْا عَلٰى أَوْلَادِكُمْ لَا تُوَافِقُوْا مِنَ اللّٰهِ سَاعَةً يُسْأَلُ فِيهَا عَطَاءً فَيَسْتَجِيبَ لَكُمْ» رَوَاهُ مُسْلِمٌ وَذَكَرَ حَدِيثَ ابْنِ عَبَّاسٍ: «اتَّقِ دَعْوَةَ الْمَظْلُومِ». فِىْ كِتَابِ الزَّكَاةِ

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের নিজেদের জন্য বদ্দু‘আ করো না। বদ্দু‘আ করো না তোমরা তোমাদের সন্তান-সন্ততির জন্য, বদ্দু‘আ করো না তোমরা তোমাদের ধন-সম্পদের জন্য; আর বদ্দু‘আটি এমন এক সময়ের সাথে মিলিত হয়ে যায় যে সময় আল্লাহর কাছে কোন কিছু চাওয়া হয়, আর আল্লাহ তখন তা কবূল করেন। (মুসলিম; আর ইবনু ‘আব্বাস-এর হাদীসে যাকাত পর্বে উল্লেখ করা হয়েছে ‘‘মাযলূমের বদ্দু‘আ হতে বেঁচে থাকো’’)[১]
[১] সহীহ : মুসলিম ৩০০৯, আবূ দাঊদ ১৫৩২, সহীহ আত্ তারগীব ১৬৫৪, সহীহ আল জামি‘ ১৫০০।

২২২৩

সহিহ হাদিস
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «لِكُلِّ نَبِىِّ دَعْوَةٌ مُسْتَجَابَةٌ فَتَعَجَّلَ كُلُّ نَبِىِّ دَعْوَتَه وَإِنِّىْ اِخْتَبَأْتُ دَعْوَتِىْ شَفَاعَةً لِأُمَّتِىْ إِلٰى يَوْمِ القِيَامَةِ فَهِىَ نَائِلَةٌ إِنْ شَآءَ اللّٰهُ مَنْ مَاتَ مِنْ أُمَّتِىْ لَا يُشْرِكُ بِاللّٰهِ شَيْئًا». رَوَاهُ مُسْلِمٌ وَلِلْبُخَارِىِّ أَقْصَرُ مِنْهُ

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেক নাবীকেই একটি (বিশেষ) কবূলযোগ্য দু‘আ করার অধিকার দেয়া রয়েছে। প্রত্যেক নাবীই সেই দু‘আর ব্যাপারে (দুনিয়াতেই) তাড়াহুড়া করেছেন। কিন্তু আমি আমার উম্মাতের শাফা‘আত হিসেবে আমার দু‘আ কিয়ামাত পর্যন্ত স্থগিত করে রেখেছি। ইনশা-আল্ল-হ! আমার উম্মাতের প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে আমার এ দু‘আ এমন উপকৃত হবে, যে আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে শারীক না করে মৃত্যুবরণ করেছে। (মুসলিম; তবে বুখারীতে এর চেয়ে কিছু কম বর্ণনা করা হয়েছে)[১]
[১] সহীহ : বুখারী ৬৩০৪, মুসলিম ১৯৯, তিরমিযী ৩৬০২, ইবনু মাজাহ ৪৩০৭, আহমাদ ৭৭১৪, মু‘জামুল আওসাত ১৭২৭, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৫৮৩৭, শু‘আবূল ঈমান ৩০৮, সহীহ আল জামি‘ ৫১৭৬।
/ পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

২২৩৪

হাসান লিগাইরিহি
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «إِنَّ الدُّعَاءَ يَنْفَعُ مِمَّا نَزَلَ وَمِمَّا لَمْ يَنْزِلْ فَعَلَيْكُمْ عِبَادَ اللّٰهِ بِالدُّعَاءِ». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ

আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিঃসন্দেহে দু‘আ ঐ সব কিছুর জন্যই কল্যাণকামী যা সংঘটিত হয়েছে এবং যা এখনো সংঘটিত হয়নি । সুতরাং হে আল্লাহর বান্দাগণ! তোমরা দু‘আ করাকে নিজের প্রতি খুবই জরুরী মনে করবে বা যত্নবান হবে। (তিরমিযী)[১]
[১] হাসান লিগয়রিহী : তিরমিযী ৩৫৪৭, মুসতাদারাক লিল হাকিম ১৮১৫, সহীহ আত্ তারগীব ১৬৩৪, সহীহ আল জামি‘ ৩৪০৯।

২২৩৫

দুর্বল হাদিস
وَرَوَاهُ أَحْمَدُ عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ. وَقَالَ التِّرْمِذِىُّ هٰذَا حَدِيْثٌ غَرِيْبٌ

ইমাম আহমদ (রহঃ) মু‘আয ইবনু জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

হতে বর্ণনা করেন। ইমাম তিরমিযী বলেন, হাদীসটি গরীব।[১]
[১] য‘ঈফ : আহমাদ ২২০৪৪, মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ২০১, য‘ঈফ আত্ তারগীব ১০১৪, য‘ঈফ আল জামি‘ ৪৭৮৫। কারণ এর সানাদে বিচ্ছিন্নতা রয়েছে। শাহর ইবনু হাওশাব মু‘আয ইবনু জাবাল (রাঃ) হতে বর্ণনা করেননি।

২২৩০

সহিহ হাদিস
عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «الدُّعَاءُ هُوَ الْعِبَادَةُ» ثُمَّ قَرَأَ: ﴿وَقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُوْنِىْ أَسْتَجِبْ لَكُمْ﴾ رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِىُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِىُّ وَابْنُ مَاجَهْ

নু‘মান ইবনু বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দু‘আই (মূল) ‘ইবাদাত। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কুরআনের এ আয়াত তিলাওয়াত করলেন, ‘‘এবং তোমাদের রব বলেছেন, তোমরা আমার নিকট দু‘আ করো, আমি তোমাদের দু‘আ কবূল করব।’’ (আহমদ, তিরমিযী, আবূ দাঊদ, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ)[১]
[১] সহীহ : আবূ দাঊদ ১৪৭৯, তিরমিযী ২৯৬৯, ইবনু মাজাহ ৩৮২৮, ইবনু আবী শায়বাহ্ ২৯১৬৭, আহমাদ ১৮৩৫২, মু‘জামুস্ সগীর লিত্ব ত্ববারানী ১০৪১, মুসতাদারাক লিল হাকিম ১৮০২, শু‘আবূল ঈমান ১০৭০, সহীহ ইবনু হিববান ৮৯০, আদাবুল মুফরাদ ৭১৪/৫৫৩, সহীহ আত্ তারগীব ১৬২৭, সহীহ আল জামি‘ ৩৪০৭।

২২৩১

দুর্বল হাদিস
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «الدُّعَاءُ مُخُّ الْعِبَادَةِ». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দু‘আ হলো ‘ইবাদাতের মগজ বা মূলবস্ত্ত। (তিরমিযী)[১]
[১] য‘ঈফ : তিরমিযী ৩৩৭১, মু‘জামুল আওসাত ৩১৯৬, য‘ঈফ আত্ তারগীব ১০১৬, য‘ঈফ আল জামি‘ ৩০০৩। কারণ এর সানাদে ইবনু লাহ্ই‘আহ্ একজন দুর্বল রাবী।

২২৩৩

হাসান লিগাইরিহি
وَعَنْ سَلْمَانَ الْفَارِسِىِّ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «لَا يَرُدُّ الْقَضَاءَ إِلَّا الدُّعَاءُ وَلَا يَزِيدُ فِى الْعُمْرِ إِلَّا الْبِرُّ». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ

সালমান আল ফারিসী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দু‘আ ছাড়া অন্য কিছুই তাকদীদের লিখনকে পরিবর্তন করতে পারে না এবং নেক ‘আমাল ছাড়া অন্য কিছু বয়স বাড়াতে পারে না। (তিরমিযী)[১]
[১] হাসান লিগায়রিহী : তিরমিযী ২১৩৯, মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ৬১২৮, সহীহাহ্ ১৫৪, সহীহ আত্ তারগীব ১৬৩৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৮৭।

২২৩২

হাসান হাদিস
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «لَيْسَ شَىْءٌ أَكْرَمَ عَلَى اللّٰهِ مِنَ الدُّعَاءِ». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ، وَابْنُ مَاجَهْ. وَقَالَ التِّرْمِذِىُّ : هٰذَا حَدِيْثٌ حَسَنٌ غَرِيْبٌ

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহর নিকট দু‘আর চেয়ে কোন জিনিসের অধিক মর্যাদা (উত্তম) নেই। (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ; ইমাম তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান ও গরীব)[১]
[১] হাসান : তিরমিযী ৩৩৭০, ইবনু মাজাহ ৩৭২৯, আহমাদ ৮৭৪৮, মু‘জামুল আওসাত ৩৭০৬, মুসতাদারাক লিল হাকিম ১৮০১, আদ্ দা‘ওয়াতুল কাবীর ৩, শু‘আবূল ঈমান ১০৭১, ইবনু হিববান ৮৭০, আল আদাবুল মুফরাদ ৭২২/৫৫২, সহীহ আত্ তারগীব ১৬২৯।

২২৩৬

হাসান হাদিস
وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «مَا مِنْ أَحَدٍ يَدْعُوْ بِدُعَاءٍ إِلَّا اٰتَاهُ اللّٰهُ مَا سَأَلَ أَوْ كَفَّ عَنْهُ مِنَ السُّوءِ مِثْلَه مَا لَمْ يَدْعُ بِإِثْمٍ أَوْ قَطِيعَةِ رِحْمٍ». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে কোন ব্যক্তি আল্লাহর কাছে কোন দু‘আ করলে আল্লাহ তা‘আলা তার হয়ত সে দু‘আ কবূল করেন অথবা এরূপ কোন বিপদকে তার ওপর থেকে দূরে সরিয়ে দেন, যদি সে কোন গুনাহের অথবা আত্মীয়তার সম্পর্কচ্ছেদের জন্য দু‘আ না করে। (তিরমিযী)[১]
[১] হাসান : তিরমিযী ৩৩৮১, আহমাদ ১৪৮৭৯, মু‘জামুল আওসাত লিত্ব ত্ববারানী ৩৭৭২, সহীহ আল জামি‘ ৫৬৭৮।
/ পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

২২৪০

হাসান হাদিস
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «مَنْ سَرَّهٗ أَنْ يَسْتَجِيبَ اللّٰهُ لَهٗ عِنْدَ الشَّدَائِدِ فَلْيُكْثِرِ الدُّعَاءَ فِى الرَّخَاءِ». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ وَقَالَ: هٰذَا حَدِيْثٌ غَرِيْبٌ

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি চায় বিপদাপদে আল্লাহ তার দু‘আ কবূল করুন। সে যেন তার সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের সময়েও আল্লাহর নিকট বেশি বেশি দু‘আ করে। (তিরমিযী; তিনি বলেন, হাদীসটি গরীব)[১]
[১] হাসান : তিরমিযী ৩৩৮২, সহীহাহ্ ৫৯৩, সহীহ আত্ তারগীব ১৬২৮, সহীহ আল জামি‘ ৬২৯০।

২২৩৮

সহিহ হাদিস
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «مَنْ لَمْ يَسْأَلِ اللّٰهَ يَغْضَبْ عَلَيْهِ». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর নিকট কামনা (দু‘আ) করে না, আল্লাহ তার ওপর রাগান্বিত হন। (তিরমিযী)[১]
[১] সহীহ : তিরমিযী ৩৩৭৩, সহীহ আল জামি‘ ২৪১৮, আহমাদ ৯৭০১, মু‘জামুল আওসাত লিত্ব ত্ববারানী ২৪৩১, সহীহাহ্ ২৬৫৪, সহীহ আল জামি‘ ২৪১৮, শু‘আবূল ঈমান ১০৬৫।

২২৪২

সহিহ হাদিস
وَعَنْ مَالِكِ بْنِ يَسَارٍ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «إِذَا سَأَلْتُمُ اللّٰهَ فَاسْأَلُوهُ بِبُطُونِ أَكُفِّكُمْ وَلَا تَسْأَلُوهُ بِظُهُورِهَا

মালিক ইবনু ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা যখন আল্লাহর কাছে দু‘আ করবে, তখন হাতের ভিতরের (তালুর) দিক দিয়ে দু‘আ করবে, হাতের উপরের দিক (পিছন দিক) দিয়ে দু‘আ করবে না।[১]
[১] সহীহ : আবূ দাঊদ ১৪৮৬, ইবনু আবী শায়বাহ্ ২৯৪০৫, সহীহাহ্ ৫৯৫, সহীহ আল জামি‘ ৫৯৩।

২২৩৭

খুবই দুর্বল
وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «سَلُوا اللّٰهَ مِنْ فَضْلِه فَإِنَّ اللّٰهَ يُحِبُّ أَنْ يُسْأَلَ وَأَفْضَلُ الْعِبَادَةِ انْتِظَارُ الْفَرَجِ». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ وَقَالَ هٰذَا حَدِيْثٌ غَرِيْبٌ

‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহর কাছে তাঁর অনুগ্রহ কামনা করো। কেননা আল্লাহ তাঁর কাছে প্রার্থনা করাকে পছন্দ করেন। আর ‘ইবাদাতের (দু‘আর) সর্বোত্তম দিক হলো স্বচ্ছলতার অপেক্ষা করা। (তিরমিযী; তিনি বলেন, হাদীসটি গরীব)[১]
[১] খুবই দুর্বল : তিরমিযী ৩৫৭১, মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ১০০৮৮, শু‘আবূল ঈমান ১০৮৬, য‘ঈফাহ্ ৪৯২, য‘ঈফ আত্ তারগীব ১০১৫, য‘ঈফ আল জামি‘ ৩২৭৮। কারণ এর সানাদে হাম্মাদ বিন ওয়াকিদ মাহফূয রাবী নয়।

২২৩৯

দুর্বল হাদিস
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللّٰهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «مَنْ فُتِحَ لَهٗ مِنْكُمْ بَابُ الدُّعَاءِ فُتِحَتْ لَهٗ أَبْوَابُ الرَّحْمَةِ وَمَا سُئِلَ اللّٰهُ شَيْئًا يَعْنِىْ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ أَنْ يُسْأَلَ الْعَافِيَةَ». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ

আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে যার জন্য দু‘আর দরজা খোলা, তার জন্য রহমতের দরজাও খোলা। আর আল্লাহর নিকট কুশল ও নিরাপত্তা কামনা করা ব্যতীত আর কোন কিছু কামনা করা এত প্রিয় নয়। (তিরমিযী)[১]
[১] য‘ঈফ : তিরমিযী ৩৫৪৮, য‘ঈফ আত্ তারগীব ১০১৩, য‘ঈফ আল জামি‘ ৫৭২০। কারণ এর সানাদে ‘আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকর আল কুরাশী স্মৃতিশক্তিগত ত্রুটির কারণে একজন দুর্বল রাবী।

২২৪৩

দুর্বল হাদিস
وَفِىْ رِوَايَةِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: سَلُوا اللّٰهَ بِبُطُونِ أَكُفِّكُمْ وَلَا تَسْأَلُوهُ بِظُهُورِهَا فَإِذَا فَرَغْتُمْ فَامْسَحُوْا بِهَا وُجُوْهَكُمْ. رَوَاهُ دَاوُدَ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলার কাছে হাতের তালুর দিক দিয়ে দু‘আ করো, হাতের পিছনের দিক দিয়ে করো না। আর দু‘আ শেষ হবার পর হাতকে মুখম-লের সাথে মুছে নিবে। (আবূ দাঊদ)[১]
[১] য‘ঈফ : আবূ দাঊদ ১৪৮৫, আদ্ দা‘ওয়াতুল কাবীর ৩০৯, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৩১৫১, য‘ঈফ আল জামি‘ ৩২৭৪। কারণ এর সবগুলো সানাদ খুবই দুর্বল। আর এর সানাদে ‘আবদুল মালিক একজন দুর্বল রাবী।

২২৪১

হাসান লিগাইরিহি
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «ادْعُوا اللّٰهَ وَأَنْتُمْ مُوقِنُونَ بِالْإِجَابَةِ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللّٰهَ لَا يَسْتَجِيبُ دُعَاءً مِنْ قَلْبٍ غَافِلٍ لَاهٍ». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ وَقَالَ: هٰذَا حَدِيْثٌ غَرِيْبٌ

[আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা দু‘আ কবূল হওয়ার দৃঢ়তা ও নিশ্চয়তা মনে রেখেই আল্লাহ তা‘আলার নিকট দু‘আ কর। জেনে রেখ, আল্লাহ তা‘আলা অবহেলাকারী আস্থাহীন মনের দু‘আ কবূল করেন না। (তিরমিযী; তিনি বলেন, হাদীসটি গরীব)[১]
[১] হাসান লিগয়রিহী : তিরমিযী ৩৪৭৯, আল মু‘জামুল আওসাত লিত্ব ত্ববারানী ৫১০৯, মুসতারাক লিল হাকিম ১৮১৭, আদ্ দা‘ওয়াতুল কাবীর ৩৮২, সহীহ আত্ তারগীব ১৬৫৩, সহীহ আল জামি‘ ২৪৫।

২২৪৫

দুর্বল হাদিস
وَعَنْ عُمَرَ قَالَ: كَانَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ إِذَا رَفَعَ يَدَيْهِ فِى الدُّعَاءِ لَمْ يَحُطَّهُمَا حَتّٰى يَمْسَحَ بِهِمَا وَجْهَه. رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ

উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন দু‘আর জন্য হাত উঠাতেন, (দু‘আ শেষে) হাত দিয়ে তিনি নিজের মুখমন্ডল মুছে নেয়া ছাড়া হাত নামাতেন না। (তিরমিযী)[১]
[১] য‘ঈফ : তিরমিযী ৩৩৮৬, মু‘জামুল আওসাত লিত্ব ত্ববারানী ৭০৫৩, মুসতাদারাক লিল হাকিম ১৯৬৭, ইরওয়া ৪৩৩, য‘ঈফ আল জামি‘ ৪৪১২। কারণ এর সানাদে হাম্মাদ ইবনু ‘ঈসা আল জুহানী একজন দুর্বল রাবী।

২২৪৪

সহিহ হাদিস
وَعَن سَلْمَانَ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «إِنَّ رَبَّكُمْ حَيِيٌّ كَرِيمٌ يَسْتَحْيِىْ مِنْ عَبْدِه إِذَا رَفَعَ يَدَيْهِ إِلَيْهِ أَنْ يَرُدَّهُمَا صِفْرًا». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَالْبَيْهَقِىُّ فِى الدَّعْوَاتِ الْكَبِيْرِ

সালমান ফারসী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের প্রতিপালক অত্যন্ত লজ্জাশীল ও দয়ালু। বান্দা যখন তাঁর কাছে কিছু চেয়ে হাত উঠায় তখন তার হাত (দু‘আ কবূল না করে) খালি ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করেন। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ, বায়হাক্বী- দা‘ওয়াতুল কাবীর)[১]
[১] সহীহ : আবূ দাঊদ ১৪৮৮, তিরমিযী ৩৫৫৬, মু‘কামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ৬১৪৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৩১৪৬, সহীহ ইবনু হিববান ৮৭৬, সহীহ আল জামি‘ ১৭৫৭, সহীহ আত্ তারগীব ১৬৩৫।

২২৪৬

সহিহ হাদিস
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللّٰهُ عَنْهَا قَالَتْ: كَانَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ يَسْتَحِبُّ الْجَوَامِعَ مِنَ الدُّعَاءِ وَيَدَعُ مَا سِوٰى ذٰلِكَ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরিপূর্ণ (ব্যাপক অর্থবোধক দুনিয়া এবং আখিরাতকে শামিল করে) দু‘আ করাকে পছন্দ করতেন এবং এছাড়া অন্য দু‘আ অধিকাংশ সময় পরিহার করতেন। (আবূ দাঊদ)[১]
[১] সহীহ : আবূ দাঊদ ১৪৮২, সহীহ আল জামি‘ ৪৯৪৯, ইবনু আবী শায়বাহ্ ২৯১৬৫।

২২৪৭

খুবই দুর্বল
وَعَنْ عَبْدِ اللّٰهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «إِنْ أَسْرَعَ الدُّعَاءِ إِجَابَةً دَعْوَةُ غَائِبٍ لِغَائِبٍ». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ وَأَبُو دَاوُدَ

আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অনুপস্থিত লোকের জন্য অনুপস্থিত লোকের দু‘আ খুব তাড়াতাড়ি কবূল হয়। (তিরমিযী ও আবূ দাঊদ)[১]
[১] খুবই দুর্বল : আবূ দাঊদ ১৫৩৫, তিরমিযী ১৯৮০, ইবনু আবী শায়বাহ্ ২৯১৫৯, মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ৭৪, য‘ঈফ আত্ তারগীব ১৮২৩, য‘ঈফ আল জামি‘ ৮৪১। কারণ এর সানাদে ‘আবদুর রহমান ইবনু যিয়াদ একজন দুর্বল রাবী।

২২৪৮

দুর্বল হাদিস
وَعَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ اسْتَأْذَنْتُ النَّبِىَّ ﷺ فِى الْعُمْرَةِ فَأَذِنَ لِىْ وَقَالَ: «أَشْرِكْنَا يَا أُخَىُّ فِىْ دُعَائِكَ وَلَا تَنْسَنَا». فَقَالَ كَلِمَةً مَا يَسُرُّنِىْ أَنَّ لِىَ بِهَا الدُّنْيَا. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِىُّ وَانْتَهَتْ رِوَايَتُه عِنْدَ قَوْلِه «وَلَا تَنْسَنَا

‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একবার আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে ‘উমরাহ্ করার অনুমতি চাইলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে ‘উমরার জন্য অনুমতি দিলেন এবং বললেন, হে আমার ছোট ভাই! তোমার দু‘আয় আমাদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করো এবং আমাদেরকে ভুলে যেও না। ‘উমার (রাঃ) বলেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে এমন একটি কথা বললেন, যার বিনিময়ে আমাকে সারা দুনিয়া দিয়ে দেয়া হয়, তবুও আমি এত খুশি হতাম না। (আবূ দাঊদ, তিরমিযী; কিন্তু তিরমিযীতে ‘আমাকে ভুলে যেও না’ পর্যন্ত বর্ণিত হয়েছে)[১]
[১] য‘ঈফ : আবূ দাঊদ ১৪৯৮, তিরমিযী ৩৫৬২, রিয়াযুস্ সলিহীন ৩৭৮। কারণ এর সানাদে ‘আসিম ইবনু ‘উবায়দুল্লাহ্ একজন দুর্বল রাবী।

২২৫১

দুর্বল হাদিস
عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «لِيَسْأَلْ أَحَدُكُمْ رَبَّه حَاجَتَه كُلَّهَا حَتّٰى يَسْأَلَه شِسْعَ نَعْلِه إِذَا انْقَطَعَ

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের প্রত্যেকেই যেন স্বীয় প্রতিপালকের কাছে তার সকল প্রয়োজনের ব্যাপারে প্রার্থনা করে। এমনকি যখন তার জুতার ফিতা ছিঁড়ে যায়, সে সময়ও যেন তাঁর কাছে চায়।[১]
[১] য‘ঈফ : তিরমিযী ৩৬০৪, শু‘আবূল ঈমান ১০৭৯, সহীহ ইবনু হিব্বান ৮৯৪, য‘ঈফাহ্ ১৩৬২, য‘ঈফ আল জামি‘ ৪৯৪৯।

২২৫০

হাসান হাদিস
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «ثَلَاثُ دَعَوَاتٍ مُسْتَجَابَاتٍ لَا شَكَّ فِيهِنَّ: دَعْوَةُ الْوَالِدِ وَدَعْوَةُ الْمُسَافِرِ وَدَعْوَةُ الْمَظْلُومِ». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ

[আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিঃসন্দেহে তিন লোকের দু‘আ কবূল হয়। (১) পিতার দু‘আ, (২) মুসাফিরের দু‘আ এবং (৩) মাযলূমের (পীড়িতের) দু‘আ। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ, ইবনু মাজাহ)[১]
[১] হাসান : আবূ দাঊদ ১৫৩৬, তিরমিযী ১৯০৫, ইবনু মাজাহ ৩৮৬২, ইবনু আবী শায়বাহ্ ২৯৮৩০, মু‘জামুল আওসাত ২৪, শু‘আবূল ঈমান ৩৩২৩, সহীহ ইবনু হিব্বান ২৬৯৯, সহীহ আল আদাবুল মুফরাদ ২৪/৩২, রিয়াযুস্ সলিহীন ৯৮৭, সহীহাহ্ ৫৯৬, সহীহ আত্ তারগীব ৩১৩২।

২২৫২

দুর্বল হাদিস
زَادَ فِىْ رِوَايَةٍ عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِىِّ مُرْسَلًا «حَتّٰى يَسْأَلَهُ الْمِلْحَ وَحَتّٰى يَسْأَلَه شِسْعَه إِذَا انْقَطَعَ». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ

সাবিত আল বুনানী থেকে বর্ণিতঃ

এর এক মুরসাল বর্ণনায় এ অংশটুকু বেশি রয়েছে যে, তাঁর কাছে যেন লবণও প্রার্থনা করে, এমনকি নিজের জুতার ফিতা ছিঁড়ে গেলেও যেন তাঁর নিকট প্রার্থনা করে। (তিরমিযী)[১]
[১] য‘ঈফ : তিরমিযী ৩৬০৪, য‘ঈফাহ্ ১৩৬২।

২২৪৯

দুর্বল হাদিস
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «ثَلَاثَةٌ لَا تُرَدُّ دَعْوَتُهُمْ: الصَّائِمُ حِينَ يُفْطِرُ وَالْإِمَامُ الْعَادِلُ وَدَعْوَةُ الْمَظْلُومِ يَرْفَعُهَا اللّٰهُ فَوْقَ الْغَمَامِ وَتُفْتَحُ لَهَا أَبْوَابُ السَّمَاءِ وَيَقُولُ الرَّبُّ: وَعِزَّتِىْ لَأَنْصُرَنَّكِ وَلَوْ بَعْدَ حِيْنٍ». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিন লোকের দু‘আ ফিরিয়ে দেয়া হয় না। (১) সায়িমের (রোযাদারের) দু‘আ- যখন সে ইফতার করে, (২) ন্যায়পরায়ণ শাসকের দু‘আ এবং (৩) মাযলূমের বা অত্যাচারিতের দু‘আ। অত্যাচারিতের দু‘আকে আল্লাহ তা‘আলা মেঘমালার উপর উঠিয়ে নেন এবং তার জন্য আকাশের দরজা খুলে দেয়া হয়। আর আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘‘আমার ইজ্জতের কসম! নিশ্চয়ই আমি তোমায় সাহায্য করব কিছু সময় দেরি হলেও। (তিরমিযী)[১]
[১] য‘ঈফ : তিরমিযী ৩৫৯৮, আহমাদ ৮০৪৩, আদ্ দা‘ওয়াতুল কাবীর ৬৫০, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৬৩৯৩, ইবনু হিব্বান ৮৭৪, য‘ঈফ আত্ তারগীব ১৩১৬, য‘ঈফ আল জামি‘ ২৫৯২। কিন্তু হাদীসের প্রথম অংশটুকু الإمام العادل-এর স্থলে المسافر দিয়ে সহীহ সূত্রে প্রমাণিত।
/ পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

২২৫৬

সহিহ হাদিস
وَعَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللّٰهُ عَنْهُمَا قَالَ: الْمَسْأَلَةُ أَنْ تَرْفَعَ يَدَيْكَ حَذْوَ مَنْكِبَيْكَ أَوْ نَحْوِهِمَا وَالِاسْتِغْفَارُ أَنْ تُشِيرَ بِأُصْبُعٍ وَاحِدَةٍ وَالِابْتِهَالُ أَنْ تَمُدَّ يَدَيْكَ جَمِيعًا. وَفِىْ رِوَايَةٍ قَالَ: وَالْاِبْتِهَالُ هَكَذَا وَرَفَعَ يَدَيْهِ وَجَعَلَ ظُهُورَهُمَا مِمَّا يَلِىْ وَجْهَه. رَوَاهُ أَبُوْ دَاوُدَ

ইকরিমাহ্ (রহঃ) ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, আল্লাহর কাছে কিছু চাওয়ার নিয়ম হলো, নিজের হাত দু’টি কাঁধ পর্যন্ত অথবা কাঁধের কাছাকাছি পর্যন্ত উঠাবে। আর আল্লাহর কাছে ইস্তিগফার বা ক্ষমা চাওয়ার নিয়ম হলো, নিজের (শাহাদাত) আঙ্গুল উঠিয়ে ইশারা করবে এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করার নিয়ম হলো, তোমার পুরো হাত প্রসারিত করবে। অন্য এক বর্ণনায় আছে, তিনি বলেছেন, প্রার্থনা করবে এভাবে- এরপর তিনি নিজের দু’হাত উপরের দিকে উঠিয়ে ধরলেন এবং হাতের তালুর দিক নিজের মুখমন্ডলে মাসাহ করলেন। (আবূ দাঊদ)[১]
[১] সহীহ : আবূ দাঊদ ১৪৮৯, ১৪৯০, আদ্ দা‘ওয়াতুল কাবীর ৩১৩, সহীহ আল জামি‘ ৬৬৯৪।

২২৫৭

দুর্বল হাদিস
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّه يَقُولُ: إِنَّ رَفْعَكُمْ أَيْدِيَكُمْ بِدْعَةٌ مَا زَادَ رَسُولِ اللّٰهِ ﷺ عَلٰى هٰذَا يَعْنِىْ إِلَى الصَّدْرِ. رَوَاهُ أَحْمَدُ

আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, (দু‘আর সময়) তোমাদের হাত বেশি উপরে উঠিয়ে ধরা বিদআত (বিদাত)। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কক্ষনো সিনা থেকে বেশি উপরে হাত উঠাতেন না। (আহমদ)[১]
[১] য‘ঈফ : আহমাদ ৫২৬৪। কারণ এর সানাদে বিশ্র ইবনু হার্ব একজন দুর্বল রাবী।

২২৫৮

সহিহ হাদিস
وَعَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ قَالَ: كَانَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ إِذَا ذَكَرَ أَحَدًا فَدَعَا لَه بَدَأَ بِنَفْسِه رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ وَقَالَ هٰذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ

উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কারো জন্য দু‘আ করার সময় প্রথমে নিজের জন্য দু‘আ করতেন। (তিরমিযী; তিনি বলেন, হাদীসটি হাসান গরীব ও সহীহ)[১]
[১] সহীহ : তিরমিযী ৩৩৮৫, সহীহ আল জামি‘ ৪৭২৩।

২২৫৫

দুর্বল হাদিস
وَعَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ النَّبِىَّ ﷺ كَانَ إِذَا دَعَا فَرَفَعَ يَدَيْهِ مَسَحَ وَجْهَه بِيَدَيْهِ. رَوَى الْبَيْهَقِىُّ الْأَحَادِيثَ الثَّلَاثَةَ فِىْ «الدَّعْوَاتِ الْكَبِيْرِ

সায়িব ইবনু ইয়াযীদ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাত উঠিয়ে দু‘আ করার সময় হাত দিয়ে মুখমন্ডলে মাসাহ করতেন।

উপরোল্লিখিত তিনটি হাদীস ইমাম বায়হাক্বী (রহঃ) তাঁর ‘‘দা‘ওয়াতুল কাবীর’’-এ বর্ণনা করেছেন।[১]
[১] য‘ঈফ : আবূ দাঊদ ১৪৯২, আহমাদ ১৭৯৪৩, মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ৬৩১, আদ্ দা‘ওয়াতুল কাবীর ৩১০, য‘ঈফ আল জামি‘ ৪৩৯৯। কারণ এর সানাদে হাফস্ ইবনু হাশিম একজন মাজহূল রাবী। আর ইবনু লাহ্ই‘আহ্ একজন দুর্বল রাবী।

২২৫৪

হাসান হাদিস
وَعَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ عَنِ النَّبِىِّ ﷺ قَالَ: كَانَ يَجْعَلُ أصْبَعَيْهِ حِذَاءَ مَنْكِبَيْهِ وَيَدْعُوْ

সাহল ইবনু সা‘দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার হাতের আঙ্গুল কাঁধ সমান উঠিয়ে দু‘আ করতেন।[১]
[১] হাসান : আদ্ দা‘ওয়াতুল কাবীর ৩১১।

২২৫৯

সহিহ হাদিস
وَعَنْ أَبِىْ سَعِيدٍ الْخُدْرِىِّ أَنَّ النَّبِىَّ ﷺ قَالَ: «مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَدْعُو بِدَعْوَةٍ لَيْسَ فِيهَا إِثْمٌ وَلَا قَطِيعَةُ رَحِمٍ إِلَّا أَعْطَاهُ اللّٰهُ بِهَا إِحْدٰى ثَلَاثٍ: إِمَّا أَنْ يُعَجِّلَ لَه دَعْوَتَه وَإِمَّا أَنْ يَدَّخِرَهَا لَه فِى الْاٰخِرَةِ وَإِمَّا أَنْ يَصْرِفَ عَنْهُ مِنَ السُّوْءِ مِثْلَهَا» قَالُوْا: إِذَنْ نُكْثِرُ قَالَ: «اَللهُ أَكْثَرُ». رَوَاهُ أَحْمَدُ

আবূ সা‘ঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন মুসলিম দু‘আ করার সময় কোন গুনাহের অথবা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নের দু‘আ না করলে অবশ্যই আল্লাহ তা‘আলা তাকে এ তিনটির একটি দান করেন। (১) হয়তো তাকে তার কাঙ্ক্ষিত সুপারিশ দুনিয়ায় দান করেন, (২) অথবা তা তার পরকালের জন্য জমা রাখেন এবং (৩) অথবা তার মতো কোন অকল্যাণ বা বিপদাপদকে তার থেকে দূরে করে দেন। সাহাবীগণ বললেন, তবে তো আমরা অনেক বেশি লাভ করব। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আল্লাহ এর চেয়েও বেশি দেন। (আহমদ)[১]
[১] সহীহ : ইবনু আবী শায়বাহ্ ২৯১৭০, সহীহ আদাবুল মুফরাদ ৫৫০/৭১০, সহীহ আত্ তারগীব ১৬৩৩, আহমাদ ১১১৩৩, শু‘আবূল ঈমান ১০৯০।

২২৬০

জাল হাদিস
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللّٰهُ عَنْهُمَا عَنِ النَّبِىِّ ﷺ قَالَ «خَمْسُ دَعَوَاتٍ يُسْتَجَابُ لَهُنَّ: دَعْوَةُ الْمَظْلُومِ حَتّٰى يَنْتَصِرَ وَدَعْوَةُ الْحَاجِّ حَتّٰى يَصْدُرَ وَدَعْوَةُ الْمُجَاهِدِ حَتّٰى يَقْعُدَ وَدَعْوَةُ الْمَرِيضِ حَتّٰى يَبْرَأَ وَدَعْوَةُ الْأَخِ لِأَخِيهِ بِظَهْرِ الْغَيْبِ». ثُمَّ قَالَ: «وَأَسْرَعُ هٰذِهِ الدَّعْوَاتِ إِجَابَةً دَعْوَةً الْأَخِ لِأَخِيهِ بِظَهْرِ الْغَيْبِ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِى الدَّعَوَاتِ الْكَبِيرِ

আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ পাঁচ লোকের দু‘আ কবূল করা হয়। (১) মাযলূম বা অত্যাচারিতের দু‘আ- যতক্ষণ পর্যন্ত প্রতিশোধ গ্রহণ করা না হয়, (২) হজ সমাপনকারীর দু‘আ- বাড়ী ফিরে না আসা পর্যন্ত, (৩) মুজাহিদের দু‘আ- যতক্ষণ না বসে পড়ে, (৪) রোগীর দু‘আ- যতক্ষণ না সে সুস্থতা লাভ করে এবং (৫) এক মুসলিম ভাইয়ের দু‘আ অপর মুসলিম ভাইয়ের জন্য তার অনুপস্থিতিতে। এরপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, এ সব দু‘আর মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত কবূল হয় এক (মুসলিম) ভাইয়ের দু‘আ তার আর এক ভাইয়ের জন্য তার অনুপস্থিতিতে। (বায়হাক্বী- দা‘ওয়াতুল কাবীর)[১]
[১] মাওযূ‘ : আদ্ দা‘ওয়াতুল কাবীর ৬৭১, শু‘আবূল ঈমান ১০৮৭, য‘ঈফাহ্ ১৩৬৪, য‘ঈফ আল জামি‘ ২৮৫০। কারণ এর সানাদে ‘আবদুর রহীম একজন মিথ্যুক রাবী।

২২৫৩

সহিহ হাদিস
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: كَانَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِى الدُّعَاءِ حَتّٰى يُرٰى بَيَاضُ إِبِطَيْهِ

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুয়ার সময় নিজের হাত উঠাতেন এমনকি তখন তাঁর বগলের উজ্জ্বলতা প্রকাশ পেত। [১]
[১] সহিহ, মুসলিম ৮৯৫, ইবনু আবী শায়বাহ ২৯৬৭৮

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন