hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সহিহ মুসলিম

১৭. বিবাহ

صحيح مسلم

১৭/ পরিচ্ছেদঃ দৈহিক ও আর্থিক দিক থেকে সামর্থ্য ব্যক্তির বিবাহ করা মুস্তাহাব, আর্থিক অস্বচ্ছল ব্যক্তি সওম পালন করবে

৩২৯৩

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ، عُمَيْرٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ دَخَلْنَا عَلَيْهِ وَأَنَا أَحْدَثُ الْقَوْمِ، بِمِثْلِ حَدِيثِهِمْ وَلَمْ يَذْكُرْ فَلَمْ أَلْبَثْ حَتَّى تَزَوَّجْتُ ‏.

আবদুর রহমান ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা ‘আবদুল্লাহ (ইবনু মাস’ঊদ) (রাঃ)-এর নিকট গেলাম এবং আমি ছিলাম দলের মধ্যে সব চাইতে তরুন। ..... উপরের হাদীসের অনুরূপ। তবে এ সূত্রে “অতঃপর আমি বিয়ে করতে আর বিলম্ব করিনি” কথাটুকু উল্লেখ নেই। (ই.ফা. ৩২৬৮, ই.সে. ৩২৬৬)

৩২৯২

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ دَخَلْتُ أَنَا وَعَمِّي، عَلْقَمَةُ وَالأَسْوَدُ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ وَأَنَا شَابٌّ، يَوْمَئِذٍ فَذَكَرَ حَدِيثًا رُئِيتُ أَنَّهُ حَدَّثَ بِهِ، مِنْ أَجْلِي قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ أَبِي مُعَاوِيَةَ وَزَادَ قَالَ فَلَمْ أَلْبَثْ حَتَّى تَزَوَّجْتُ ‏.

আবদুর রহমান ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আমার চাচা ‘আলক্বামাহ্‌ ও আল আসওয়াদ (রহঃ) ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) এর নিকট গেলাম। এ সময় আমি যুবক ছিলাম। তিনি একটি হাদীস উল্লেখ করলেন। আমি বুঝতে পারলাম যে, তিনি আমাকে লক্ষ্য করেই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ। এ বর্ণনায় আরো আছে, “অতঃপর আমি বিয়ে করতে আর বিলম্ব করিনি।” (ই.ফা. ৩২৬৭, ই.সে. ৩২৬৫)

৩২৯৪

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ الْعَبْدِيُّ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ نَفَرًا، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم سَأَلُوا أَزْوَاجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَنْ عَمَلِهِ فِي السِّرِّ فَقَالَ بَعْضُهُمْ لاَ أَتَزَوَّجُ النِّسَاءَ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُهُمْ لاَ آكُلُ اللَّحْمَ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُهُمْ لاَ أَنَامُ عَلَى فِرَاشٍ ‏.‏ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ‏.‏ فَقَالَ ‏ "‏ مَا بَالُ أَقْوَامٍ قَالُوا كَذَا وَكَذَا لَكِنِّي أُصَلِّي وَأَنَامُ وَأَصُومُ وَأُفْطِرُ وَأَتَزَوَّجُ النِّسَاءَ فَمَنْ رَغِبَ عَنْ سُنَّتِي فَلَيْسَ مِنِّي ‏"‏ ‏.

আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কতিপয় সহাবী নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহধর্মিণীদের নিকট তাঁর গোপন ‘ইবাদাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। তাঁদের মধ্যে কেউ বললেন, আমি কখনও বিয়ে করব না, কেউ বললেন, আমি কখনও গোশ্‌ত খাব না, কেউ বললেন, আমি কখনও বিছানায় ঘুমাব না। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর প্রশংসা ও গুনাগান করলেন এবং বললেনঃ “লোকদের কী হল যে, তারা এরূপ এরূপ বলছে? অথচ আমি তো সলাতও আদায় করি আবার নিদ্রাও যাই, সওম পালন করি এবং ইফ্‌ত্বারও করি এবং বিয়েও করেছি। অতএব যে ব্যক্তি আমার সুন্নত থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, সে আমার কেউ নয়।” (ই.ফা. ৩২৬৯, ই.সে. ৩২৬৭)

৩২৯৬

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنِي أَبُو عِمْرَانَ، مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ زِيَادٍ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ، شِهَابٍ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، قَالَ سَمِعْتُ سَعْدًا، يَقُولُ رُدَّ عَلَى عُثْمَانَ بْنِ مَظْعُونٍ التَّبَتُّلُ وَلَوْ أُذِنَ لَهُ لاَخْتَصَيْنَا ‏.

সা’ঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি সা’দ (ইবনু আবূ ওয়াক্কাস) (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি- ‘উসমান ইবনু মায’ঊন (রাঃ)-এর কৌমার্যব্রত অবলম্বনের প্রস্তাব (রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কর্তৃক) প্রত্যাখ্যাত হয়। তাকে অনুমতি দেয়া হলে আমরা অবশ্যই নিজেদের খোজা করে নিতাম। (ই.ফা. ৩২৭১, ই.সে. ৩২৬৯)

৩২৮৯

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَمُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ الْهَمْدَانِيُّ جَمِيعًا عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، - وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، - عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، قَالَ كُنْتُ أَمْشِي مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بِمِنًى فَلَقِيَهُ عُثْمَانُ فَقَامَ مَعَهُ يُحَدِّثُهُ فَقَالَ لَهُ عُثْمَانُ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَلاَ نُزَوِّجُكَ جَارِيَةً شَابَّةً لَعَلَّهَا تُذَكِّرُكَ بَعْضَ مَا مَضَى مِنْ زَمَانِكَ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ لَئِنْ قُلْتَ ذَاكَ لَقَدْ قَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ مَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمُ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ لَهُ وِجَاءٌ ‏"‏ ‏.

আলক্বামাহ্‌ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘আবদুল্লাহ (ইবনু মাস’ঊদ) (রাঃ)-এর সঙ্গে মিনায় পৌঁছলাম। এ সময় ‘উসমান (ইবনু ‘আফ্‌ফান) (রাঃ) এসে তাঁর সাথে মিলিত হলেন। তখন তিনি তাঁর সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলতে লাগলেন। ‘উসমান (রাঃ) তাঁকে বললেন, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! আমরা কি আপনার সঙ্গে এমন একটি যুবতী মেয়ের বিয়ে দিব না, যে হয়ত আপনার অতীত কিছু স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দিবে? রাবী বলেন, ‘আবদুল্লাহ (ইবনু মাস’ঊদ) (রাঃ) বললেন, আপনি যদি এ কথা বলেন তবে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের বলেছেনঃ “হে যুব সমাজ! তোমাদের মধ্যে যে দাম্পত্য জীবনের ব্যয়ভার বহন করতে সক্ষম সে যেন বিবাহ করে। কারণ তা (বিবাহ) দৃষ্টিকে নিচু করে এবং লজ্জাস্থানকে সুরক্ষিত করে। আর যে সক্ষম নয় তার সিয়াম পালন করা উচিত। কারণ তা তার জন্য যৌন কামনা দমনকারী।” (ই.ফা. ৩২৬৪, ই.সে. ৩২৬১)

৩২৯৫

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ - وَاللَّفْظُ لَهُ - أَخْبَرَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ، الْمُسَيَّبِ عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، قَالَ رَدَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى عُثْمَانَ بْنِ مَظْعُونٍ التَّبَتُّلَ وَلَوْ أَذِنَ لَهُ لاَخْتَصَيْنَا ‏.

সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলু্ল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘উসমান ইবনু মায’ঊন (রাঃ)-এর নারী সাহচর্য থেকে দূরে থাকার ইচ্ছাকে প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি যদি তাকে অনুমতি দিতেন, তবে আমরা নিজেদের খোজা হয়ে যেতাম।[৪৫] (ই.ফা. ৩২৭০, ই.সে. ৩২৬৮)
[৪৫] এ হাদীসে এ ইঙ্গিত করেছে যে, লোকেরা নিজস্বে মতানুসারে খাসি হওয়াকে বৈধ জানতেন, অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন অনুমতি না দিলেন তখন এর হারাম হওয়া প্রমাণিত হল। অতঃপর তারা নিজস্ব মত পরিত্যাগ করলেন। ক্বিয়ামাত পর্যন্ত সৎকর্মশীল উম্মাতের নীতি ও তরীকা এটাই যে, যখন রসূলু্ল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীস পেয়ে যাবে তখন নিজেদের মত হোক বা কোন পীর, মুজতাহিদ বা ইমামের মত হোক না কেন তাকে সালাম জানিয়ে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীসের উপর ‘আমাল করবে। আর যে ব্যক্তি এ নীতিতে বিশ্বাসী নয় সে সালফে সালিহীনের নীতির উপর নেই।

৩২৯৭

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا حُجَيْنُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ، شِهَابٍ أَنَّهُ قَالَ أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، أَنَّهُ سَمِعَ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ، يَقُولُ أَرَادَ عُثْمَانُ بْنُ مَظْعُونٍ أَنْ يَتَبَتَّلَ، فَنَهَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلَوْ أَجَازَ لَهُ ذَلِكَ لاَخْتَصَيْنَا ‏.

সা’ঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন, ‘উসমান ইবনু মায’ঊন (রাঃ) কৌমার্যব্রত অবলম্বনের প্রস্তাব করলে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে (তা করতে) নিষেধ করে দেন। তিনি যদি তাঁকে অনুমতি দিতেন তবে অবশ্যই আমরা নিজেদের খোজা করে নিতাম। (ই.ফা. ৩২৭২, ই.সে. ৩২৭০)

৩২৯০

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، قَالَ إِنِّي لأَمْشِي مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ بِمِنًى إِذْ لَقِيَهُ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ فَقَالَ هَلُمَّ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ فَاسْتَخْلاَهُ فَلَمَّا رَأَى عَبْدُ اللَّهِ أَنْ لَيْسَتْ لَهُ حَاجَةٌ - قَالَ - قَالَ لِي تَعَالَ يَا عَلْقَمَةُ - قَالَ - فَجِئْتُ فَقَالَ لَهُ عُثْمَانُ أَلاَ نُزَوِّجُكَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ جَارِيَةً بِكْرًا لَعَلَّهُ يَرْجِعُ إِلَيْكَ مِنْ نَفْسِكَ مَا كُنْتَ تَعْهَدُ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ لَئِنْ قُلْتَ ذَاكَ ‏.‏ فَذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ أَبِي مُعَاوِيَةَ ‏.

‘আলক্বামাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ)-এর সাথে মিনায় হাঁটছিলাম। এ সময় ‘উসমান ইবনু ‘আফ্‌ফান (রাঃ) তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করলেন। রাবী বলেন, তিনি বললেনঃ হে আবূ ‘আবদুর রহমান! এখানে আসুন। রাবী বলেন, তিনি তাকে একান্তে ডেকে নিলেন এবং ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) যখন দেখলেন গোপনীয়তার কোন প্রয়োজন নেই তখন তিনি আমাকে বললেন, হে ‘আলক্বামাহ্‌! আসো, তখন আমি তাদের সাথে যোগ দিলাম। ‘উসমান (রাঃ) তাঁকে বললেন, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! আমরা কি তোমাকে একটি কুমারী মেয়ের সাথে বিবাহ দিব না, হয়ত সে তোমার অতীত স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দিবে? ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, আপনি যদি তাই বলেন,...অবশিষ্ট বর্ণনা আবূ মু’আবিয়ার হাদীসের অনুরূপ। (ই.ফা. ৩২৬৫, ই.সে. ৩২৬২)

৩২৯১

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ مَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمُ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ لَهُ وِجَاءٌ ‏"‏ ‏.

‘আবদুল্লাহ (ইবনু মাস’ঊদ) (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের বলেছেনঃ হে যুব সমাজ! তোমাদের মধ্যে যে বৈবাহিক জীবনের ব্যয়ভার বহনে সক্ষম সে যেন বিয়ে করে। কারণ তা দৃষ্টিকে নিচু করে দেয় এবং লজ্জাস্থানকে সংরক্ষণ করে। আর যে (ভরণপোষনে) সমর্থ নয়, তাকে অবশ্যই সওম পালন করতে হবে। কারণ তা তার যৌবন কামনা দমনকারী। (ই.ফা. ৩২৬৬, ই.সে. ৩২৬৩)
১৭/ পরিচ্ছেদঃ কোন মহিলাকে দেখে কোন পুরুষের মনে যৌন কামনা জাগ্রত হলে সে যেন তার স্ত্রীর সাথে অথবা ক্রীতদাসীর সাথে গিয়ে মিলিত হয়

৩২৯৯

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا حَرْبُ بْنُ أَبِي، الْعَالِيَةِ حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَأَى امْرَأَةً ‏.‏ فَذَكَرَ بِمِثْلِهِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فَأَتَى امْرَأَتَهُ زَيْنَبَ وَهْىَ تَمْعَسُ مَنِيئَةً ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ تُدْبِرُ فِي صُورَةِ شَيْطَانٍ ‏.

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি স্ত্রীলোক দেখলেন...উপরের হাদীসের অনুরূপ। তবে এতে আছেঃ “তিনি নিজ স্ত্রী যায়নাব (রাঃ)-এর নিকট এলেন, তখন তিনি একটি চামড়া পাকা করছিলেন” এবং “সে শায়ত্বানের বেশে চলে যায়” উল্লেখ নেই। (ই.ফা. ৩২৭৪, ই.সে. ৩২৭২)

৩২৯৮

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَأَى امْرَأَةً فَأَتَى امْرَأَتَهُ زَيْنَبَ وَهْىَ تَمْعَسُ مَنِيئَةً لَهَا فَقَضَى حَاجَتَهُ ثُمَّ خَرَجَ إِلَى أَصْحَابِهِ فَقَالَ ‏ "‏ إِنَّ الْمَرْأَةَ تُقْبِلُ فِي صُورَةِ شَيْطَانٍ وَتُدْبِرُ فِي صُورَةِ شَيْطَانٍ فَإِذَا أَبْصَرَ أَحَدُكُمُ امْرَأَةً فَلْيَأْتِ أَهْلَهُ فَإِنَّ ذَلِكَ يَرُدُّ مَا فِي نَفْسِهِ ‏"‏ ‏.

জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক মহিলাকে দেখলেন। তখন তিনি তাঁর স্ত্রী যায়নাব –এর নিকট আসলেন। তিনি তখন তার একটি চামড়া পাকা করায় ব্যস্ত ছিলেন এবং রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজের প্রয়োজন পূরণ করলেন। অতঃপর বের হয়ে সাহাবীগণের নিকট এসে তিনি বললেনঃ স্ত্রীলোক সামনে আসে শায়ত্বানের বেশে এবং ফিরে যায় শায়ত্বানের বেশে। অতএব তোমাদের কেউ কোন স্ত্রীলোক দেখতে পেলে সে যেন তার স্ত্রীর নিকট আসে। কারণ তা তার মনের ভেতর যা রয়েছে তা দূর করে দেয়।[৪৬] (ই.ফা. ৩২৭৩, ই.সে. ৩২৭১)
[৪৬] স্ত্রীলোকের শয়তানের আকৃতিতে আসার অর্থ হল, কৃপ্রবৃত্তিকে উস্কে দেয় ও যিনার প্রতি উৎসাহিত করে এবং যিনা তথা স্ত্রী সহবাস করার আস্বাদকে স্মরণ করে দেয় যা শায়ত্বানী প্রভাব।

৩৩০০

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَعْيَنَ، حَدَّثَنَا مَعْقِلٌ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، قَالَ قَالَ جَابِرٌ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ إِذَا أَحَدُكُمْ أَعْجَبَتْهُ الْمَرْأَةُ فَوَقَعَتْ فِي قَلْبِهِ فَلْيَعْمِدْ إِلَى امْرَأَتِهِ فَلْيُوَاقِعْهَا فَإِنَّ ذَلِكَ يَرُدُّ مَا فِي نَفْسِهِ ‏"‏ ‏.

জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের কারো যদি কোন স্ত্রীলোক দেখে মনে কিছু উদয় হয় তখন সে যেন তার স্ত্রীর নিকট আসে এবং তার সাথে মিলিত করে। এতে তার মনে যা আছে তা দূর করে। (ই.ফা. ৩২৭৫, ই.সে. ৩২৭৩)
১৭/ পরিচ্ছেদঃ মুত্‌‘আহ্‌ বিবাহ বৈধ ছিল, পরে তা বাতিল করা হয়, অতঃপর বৈধ করা হয়, আবার বাতিল করা হয় এবং ক্বিয়ামাত পর্যন্ত স্থির থাকবে

৩৩০৪

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، قَالَ سَمِعْتُ الْحَسَنَ بْنَ مُحَمَّدٍ، يُحَدِّثُ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، وَسَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ، قَالاَ خَرَجَ عَلَيْنَا مُنَادِي رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ أَذِنَ لَكُمْ أَنْ تَسْتَمْتِعُوا ‏.‏ يَعْنِي مُتْعَةَ النِّسَاءِ ‏.

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ ও সালামাহ্‌ ইবনুল আক্‌ওয়া’ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তারা উভয়ে বলেন, আমাদের সামনে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ঘোষক বেরিয়ে এসে বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তোমাদের মুত্‌’আহ্‌ বিবাহ করার অনুমতি দিয়েছেন। (ই.ফা. ৩২৭৯, ই.সে. ৩২৭৭)

৩৩০১

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي وَوَكِيعٌ، وَابْنُ، بِشْرٍ عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ قَيْسٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ، يَقُولُ كُنَّا نَغْزُو مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيْسَ لَنَا نِسَاءٌ فَقُلْنَا أَلاَ نَسْتَخْصِي فَنَهَانَا عَنْ ذَلِكَ ثُمَّ رَخَّصَ لَنَا أَنْ نَنْكِحَ الْمَرْأَةَ بِالثَّوْبِ إِلَى أَجَلٍ ثُمَّ قَرَأَ عَبْدُ اللَّهِ ‏{‏ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تُحَرِّمُوا طَيِّبَاتِ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكُمْ وَلاَ تَعْتَدُوا إِنَّ اللَّهَ لاَ يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ‏}‏ ‏.

ক্বায়স (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে জিহাদে অংশগ্রহণ করতাম এবং আমাদের সঙ্গে আমাদের স্ত্রীগণ থাকত না। আমরা বললাম, আমরা কি খাসী হব না? তিনি আমাদের তা থেকে নিষেধ করলেন। অতঃপর তিনি পরিধেয় বস্ত্র দানের বিনিময়ে আমাদের নির্দিষ্ট কালের জন্য নারীদের বিবাহ করার রুখ্‌সত দিলেন। অতঃপর ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) পাঠ করলেনঃ “হে মু’মিনগণ! আল্লাহ তোমাদের জন্য উৎকৃষ্ট যেসব বস্তু হালাল করেছেন, সে সমুদয়কে তোমরা হারাম করো না এবং সীমালঙ্ঘন করো না আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না”- (সূরা আল মায়িদাহ্‌ ৫:৮৭)। (ই.ফা. ৩২৭৬, ই.সে. ৩২৭৪)

৩৩০৫

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنِي أُمَيَّةُ بْنُ بِسْطَامَ الْعَيْشِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، - يَعْنِي ابْنَ زُرَيْعٍ - حَدَّثَنَا رَوْحٌ، - يَعْنِي ابْنَ الْقَاسِمِ - عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ، وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَتَانَا فَأَذِنَ لَنَا فِي الْمُتْعَةِ ‏.

সালামাহ্‌ ইবনুল আক্‌ওয়া’ (রাযিঃ) ও জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিকট এলেন এবং আমাদের মুত্‌’আর (সাময়িক বিবাহের) অনুমতি দিলেন। (ই.ফা. ৩২৮০, ই.সে. ৩২৭৮)

৩৩০৮

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا حَامِدُ بْنُ عُمَرَ الْبَكْرَاوِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، - يَعْنِي ابْنَ زِيَادٍ - عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، قَالَ كُنْتُ عِنْدَ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ فَأَتَاهُ آتٍ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَابْنُ الزُّبَيْرِ اخْتَلَفَا فِي الْمُتْعَتَيْنِ فَقَالَ جَابِرٌ فَعَلْنَاهُمَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ نَهَانَا عَنْهُمَا عُمَرُ فَلَمْ نَعُدْ لَهُمَا ‏.

আবূ নায্‌রাহ্‌ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর নিকত উপস্থিত ছিলাম। এক ব্যক্তি তার নিকট এসে বলল, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) ও ইবনু যুবায়র (রাঃ) দু’ প্রকারের মুত্‌’আহ্‌ (তামাত্তু’ হাজ্জ ও মুত্‌’আহ্‌ বিবাহ)নিয়ে পরস্পর মতবিরোধ করেছেন। তখন জাবির (রাঃ) বললেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপস্থিতিতে দু’ প্রকারের মুত্‌’আহ করেছি। অতঃপর ‘উমার (রাঃ) আমাদের উভয়টিই করতে নিষেধ করলেন। অতএব আমরা তা আর করেনি। (ই .ফা. ৩২৮৩, ই.সে. ৩২৮১)

৩৩১১

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، فُضَيْلُ بْنُ حُسَيْنٍ الْجَحْدَرِيُّ حَدَّثَنَا بِشْرٌ، - يَعْنِي ابْنَ مُفَضَّلٍ - حَدَّثَنَا عُمَارَةُ بْنُ غَزِيَّةَ، عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ سَبْرَةَ، أَنَّ أَبَاهُ، غَزَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَتْحَ مَكَّةَ قَالَ فَأَقَمْنَا بِهَا خَمْسَ عَشْرَةَ - ثَلاَثِينَ بَيْنَ لَيْلَةٍ وَيَوْمٍ - فَأَذِنَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي مُتْعَةِ النِّسَاءِ فَخَرَجْتُ أَنَا وَرَجُلٌ مِنْ قَوْمِي وَلِي عَلَيْهِ فَضْلٌ فِي الْجَمَالِ وَهُوَ قَرِيبٌ مِنَ الدَّمَامَةِ مَعَ كُلِّ وَاحِدٍ مِنَّا بُرْدٌ فَبُرْدِي خَلَقٌ وَأَمَّا بُرْدُ ابْنِ عَمِّي فَبُرْدٌ جَدِيدٌ غَضٌّ حَتَّى إِذَا كُنَّا بِأَسْفَلِ مَكَّةَ أَوْ بِأَعْلاَهَا فَتَلَقَّتْنَا فَتَاةٌ مِثْلُ الْبَكْرَةِ الْعَنَطْنَطَةِ فَقُلْنَا هَلْ لَكِ أَنْ يَسْتَمْتِعَ مِنْكِ أَحَدُنَا قَالَتْ وَمَاذَا تَبْذُلاَنِ فَنَشَرَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنَّا بُرْدَهُ فَجَعَلَتْ تَنْظُرُ إِلَى الرَّجُلَيْنِ وَيَرَاهَا صَاحِبِي تَنْظُرُ إِلَى عِطْفِهَا فَقَالَ إِنَّ بُرْدَ هَذَا خَلَقٌ وَبُرْدِي جَدِيدٌ غَضٌّ ‏.‏ فَتَقُولُ بُرْدُ هَذَا لاَ بَأْسَ بِهِ ‏.‏ ثَلاَثَ مِرَارٍ أَوْ مَرَّتَيْنِ ثُمَّ اسْتَمْتَعْتُ مِنْهَا فَلَمْ أَخْرُجْ حَتَّى حَرَّمَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.

রাবী’ ইবনু সাব্‌রাহ্‌ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তাঁর পিতা মক্কা বিজয়াভিযানে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন। তিনি বলেন, আমরা তথায় ১৫ দিন অর্থাৎ পূর্ণ ১৩ দিন এবং এক দিন ও এক রাত অবস্থান করি। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের মুত্‌’আর অনুমতি দিলেন। তখন আমি এবং আমার গোত্রের এক ব্যক্তি বেরিয়ে পড়লাম। আমি তার তুলনায় আকর্ষণীয় চেহারার অধিকারী ছিলাম এবং সে ছিল প্রায় কুৎসিত। আমাদের উভয়ের সাথে একটি করে চাদর ছিল। আমার চাদরটি ছিল পুরাতন এবং আমার চাচাত ভাইয়ের চাদরটি ছিল সম্পূর্ণ নতুন। অবশেষে আমরা মাক্কার নিম্নভূমিতে অথবা উচ্চভূমিতে পৌঁছে একটি যুবতী মেয়ের সাক্ষাৎ পেলাম, যাকে দেখতে উঠতি বয়সের চালাক এবং লম্বাঘাড় বিশিষ্ট উষ্ট্রীর মত। আমরা প্রস্তাব দিলাম, আমাদের দু’জনের কারো সাথে তোমার মুত্‌’আহ বিবাহ কি সম্ভব? সে বলল, তোমরা কী বিনিময় দিবে? তাদের প্রত্যেকে কে নিজ নিজ চাদর মেলে ধরল। সে তাদের উভয়ের দিকে তাকাতে লাগল। আমার সঙ্গীও তার দিকে তাকাল। যখন স্ত্রীলোকটির দিকে তাকিয়ে বলল, তার এ চাদর পুরাতন এবং আমার চাদর একেবারে নতুন। স্ত্রীলোকটি তিনবার কি দু’বার বলল, তার চাদরটি গ্রহনে কোন ক্ষতি নেই। অতঃপর আমি তাকে মুত্‌’আহ বিবাহ করলাম এবং রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা হারাম ঘোষণা না করা পর্যন্ত ফিরে আসিনি। (ই.ফা. ৩২৮৬, ই.সে. ৩২৮৪)

৩৩১৬

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الرَّبِيعِ بْنِ سَبْرَةَ بْنِ مَعْبَدٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي رَبِيعَ بْنَ سَبْرَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، سَبْرَةَ بْنِ مَعْبَدٍ أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ فَتْحِ مَكَّةَ أَمَرَ أَصْحَابَهُ بِالتَّمَتُّعِ مِنَ النِّسَاءِ - قَالَ - فَخَرَجْتُ أَنَا وَصَاحِبٌ لِي مِنْ بَنِي سُلَيْمٍ حَتَّى وَجَدْنَا جَارِيَةً مِنْ بَنِي عَامِرٍ كَأَنَّهَا بَكْرَةٌ عَيْطَاءُ فَخَطَبْنَاهَا إِلَى نَفْسِهَا وَعَرَضْنَا عَلَيْهَا بُرْدَيْنَا فَجَعَلَتْ تَنْظُرُ فَتَرَانِي أَجْمَلَ مِنْ صَاحِبِي وَتَرَى بُرْدَ صَاحِبِي أَحْسَنَ مِنْ بُرْدِي فَآمَرَتْ نَفْسَهَا سَاعَةً ثُمَّ اخْتَارَتْنِي عَلَى صَاحِبِي فَكُنَّ مَعَنَا ثَلاَثًا ثُمَّ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِفِرَاقِهِنَّ ‏.

সাব্‌রাহ্‌ ইবনু মা’বাদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কা বিজয়ের বছর তাঁর সাহাবীগণকে স্ত্রীলোকদের সাথে মুত্‌’আর অনুমতি দেন। সাব্‌রাহ্‌ (রাঃ) বলেন, তখন আমি এবং সুলায়ম গোত্রের আমার এক সাথী বের হয়ে পড়লাম এবং শেষ পর্যন্ত আমি গোত্রের এক যুবতীকে পেয়ে গেলাম। সে ছিল দীর্ঘাঙ্গী যুবতী উটনীর ন্যায়। আমরা তার নিকট মুত্‌’আহ্‌ বিবাহের প্রস্তাব দিলাম এবং আমাদের চাদর তার সামনে পেশ করলাম। তখন সে তাকিয়ে দেখল এবং আমাকে আমার সঙ্গীর তুলনায় সুন্দর দেখতে পেল, অপরদিকে আমার চাদরের তুলনায় আমার সঙ্গীর চাদর উৎকৃষ্টতর দেখল। সে মনে মনে কিছুক্ষণ চিন্তা করল। অতঃপর আমার সঙ্গীর চাইতে আমাকে অগ্রাধিকার দিল। তারা আমাদের সাথে তিনদিনের মুত্‌’আহ্‌ করল। অতঃপর রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের বিদায় করে দেয়ার জন্য আমাদের নির্দেশ দিলেন।(ই.ফা. ৩২৯১, ই.সে. ৩২৮৯)

৩৩২২

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، وَالْحَسَنِ، ابْنَىْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ عَنْ أَبِيهِمَا، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ مُتْعَةِ النِّسَاءِ يَوْمَ خَيْبَرَ وَعَنْ أَكْلِ لُحُومِ الْحُمُرِ الإِنْسِيَّةِ ‏.

আলী ইবনু আবূ তালিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খায়বরের যুদ্ধের দিন মুত্‌’আহ্‌ ও গৃহপালিত গাধার গোশ্‌ত নিষিদ্ধ করেছেন।(ই.ফা. ৩২৯৭, ই.সে. ৩২৯৫)

৩৩২৪

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، - قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، - عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ الْحَسَنِ، وَعَبْدِ اللَّهِ، ابْنَىْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ عَنْ أَبِيهِمَا، عَنْ عَلِيٍّ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ نِكَاحِ الْمُتْعَةِ يَوْمَ خَيْبَرَ وَعَنْ لُحُومِ الْحُمُرِ الأَهْلِيَّةِ ‏.

আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খায়বারের যুদ্ধের দিন মুত্‌’আহ্‌ এবং গৃহপালিত গাধার গোশত নিষিদ্ধ করেছেন। (ই.ফা. ৩২৯৯, ই.সে. ৩২৯৭)

৩৩২০

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، قَالَ ابْنُ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ، قَامَ بِمَكَّةَ فَقَالَ إِنَّ نَاسًا - أَعْمَى اللَّهُ قُلُوبَهُمْ كَمَا أَعْمَى أَبْصَارَهُمْ - يُفْتُونَ بِالْمُتْعَةِ - يُعَرِّضُ بِرَجُلٍ - فَنَادَاهُ فَقَالَ إِنَّكَ لَجِلْفٌ جَافٍ فَلَعَمْرِي لَقَدْ كَانَتِ الْمُتْعَةُ تُفْعَلُ عَلَى عَهْدِ إِمَامِ الْمُتَّقِينَ - يُرِيدُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - فَقَالَ لَهُ ابْنُ الزُّبَيْرِ فَجَرِّبْ بِنَفْسِكَ فَوَاللَّهِ لَئِنْ فَعَلْتَهَا لأَرْجُمَنَّكَ بِأَحْجَارِكَ ‏.‏ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ فَأَخْبَرَنِي خَالِدُ بْنُ الْمُهَاجِرِ بْنِ سَيْفِ اللَّهِ أَنَّهُ بَيْنَا هُوَ جَالِسٌ عِنْدَ رَجُلٍ جَاءَهُ رَجُلٌ فَاسْتَفْتَاهُ فِي الْمُتْعَةِ فَأَمَرَهُ بِهَا فَقَالَ لَهُ ابْنُ أَبِي عَمْرَةَ الأَنْصَارِيُّ مَهْلاً ‏.‏ قَالَ مَا هِيَ وَاللَّهِ لَقَدْ فُعِلَتْ فِي عَهْدِ إِمَامِ الْمُتَّقِينَ ‏.‏ قَالَ ابْنُ أَبِي عَمْرَةَ إِنَّهَا كَانَتْ رُخْصَةً فِي أَوَّلِ الإِسْلاَمِ لِمَنِ اضْطُرَّ إِلَيْهَا كَالْمَيْتَةِ وَالدَّمِ وَلَحْمِ الْخِنْزِيرِ ثُمَّ أَحْكَمَ اللَّهُ الدِّينَ وَنَهَى عَنْهَا ‏.‏ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ وَأَخْبَرَنِي رَبِيعُ بْنُ سَبْرَةَ الْجُهَنِيُّ أَنَّ أَبَاهُ قَالَ قَدْ كُنْتُ اسْتَمْتَعْتُ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم امْرَأَةً مِنْ بَنِي عَامِرٍ بِبُرْدَيْنِ أَحْمَرَيْنِ ثُمَّ نَهَانَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْمُتْعَةِ ‏.‏ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ وَسَمِعْتُ رَبِيعَ بْنَ سَبْرَةَ يُحَدِّثُ ذَلِكَ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَأَنَا جَالِسٌ ‏.

উরওয়াহ্‌ ইবনু যুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) মাক্কায় (ভাষণ দিতে) দাঁড়িয়ে বললেন, কিছু লোক এমন আছে আল্লাহ্‌ তা’আলা যেমন তাদের চোখ অন্ধ করে দিয়েছেন তেমনি অন্তরকেও অন্ধ করে দিয়েছেন। তারা মুত্‌’আর পক্ষে ফাতাওয়া দেয়। এ কথা বলে তিনি এক ব্যক্তির প্রতি ইঙ্গিত করলেন। সে ব্যক্তি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)। তাঁকে ডেকে বললেন, তুমি একটি অসভ্য ও কাণ্ডজ্ঞানহীন ব্যক্তি। আমার জীবনের শপথ! ইমামুল মুত্তাক্বীন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে মুত্‌’আহ্‌ প্রচলিত ছিল। ইবনু যুবায়র (রাঃ) তাকে বললেন, আপনি নিজে একবার করে দেখুন। আল্লাহর শপথ! আপনি যদি তা (মুত্‌’আহ্‌) করেন তাহলে আপনার জন্য নির্ধারিত পাথর দিয়েই আপনাকে রজম (পাথর নিক্ষেপে হত্যা) করব।
ইবনু শিহাব (রহঃ) বলেন, খালিদ ইবনুল মুজাহির ইবনু সাইফুল্লাহ (রহঃ) আমাকে জানিয়েছেন যে, তিনি এক ব্যক্তির নিকট বসা ছিলেন। এ সময় এক ব্যক্তি এসে তাকে মুত্‌’আহ্‌ সম্পর্কে ফাতাওয়া জিজ্ঞেস করে। তিনি তাকে মুত্‌’আর অনুমতি দিলেন। ইবনু আবূ ‘আম্‌রাহ্‌ আল আনসারী (রাঃ) তাকে বললেন থামুন। সে বলল, কেন? আল্লাহর শপথ! ইমামুল মুত্তাকীন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে তা করা হত।
ইবনু আবূ ‘আম্‌রাহ্‌ (রাঃ) বললেন, ইসলামের প্রাথমিক যুগে নিরুপায় অবস্থায় তার অনুমতি ছিল (যেমন নিরুপায় অবস্থায়) মৃত জীব, রক্ত ও শূকরের (গোশ্‌ত ভক্ষণের) ন্যায়। অতঃপর আল্লাহ্‌ তার দীনকে শক্তিশালী এবং সুদৃঢ় করলেন এবং তা নিষিদ্ধ করলেন।
ইবনু শিহাব (রহঃ) বলেন, রাবী’ ইবনু সাব্‌রাহ্‌ আল জুহানী আমাকে জানিয়েছেন যে, তাঁর পিতা বলেছেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে আমি দু’টি লাল চাদরের বিনিময়ে ‘আমির গোত্রের একটি স্ত্রীলোকের সাথে মুত্‌আহ্‌ করেছিলাম। অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের মুত্‌আহ্‌ করতে নিষেধ করেন।
ইবনু শিহাব (রহঃ) আরও বলেন, আমি রাবী’ ইবনু সাব্‌রাহ্‌কে ‘উমার ইবনু ‘আব্‌দুল ‘আযীয (রহঃ)-এর নিকট তা বর্ণনা করতে শুনেছি, আমি তখন (সেখানে) বসা ছিলাম। (ই.ফা. ৩২৯৫, ই.সে. ৩২৯৩)

৩৩২৫

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنِ الْحَسَنِ، وَعَبْدِ اللَّهِ، ابْنَىْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ عَنْ أَبِيهِمَا، عَنْ عَلِيٍّ، أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ، يُلَيِّنُ فِي مُتْعَةِ النِّسَاءِ فَقَالَ مَهْلاً يَا ابْنَ عَبَّاسٍ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْهَا يَوْمَ خَيْبَرَ وَعَنْ لُحُومِ الْحُمُرِ الإِنْسِيَّةِ ‏.

আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি শুনতে পেলেন যে, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) নারীদের সাথে মুত্‌’আর ব্যাপারে কিছুটা শিথিলতা প্রদর্শন করেছেন। ‘আলী (রাঃ) বললেন, থামো, হে ইবনু ‘আব্বাস! কারণ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খায়বারের যুদ্ধের দিন মুত্‌’আহ্‌ ও গৃহপালিত গাধার গোশ্‌ত নিষিদ্ধ করেছেন। (ই.ফা. ৩৩০০, ই.সে. ৩২৯৮)

৩৩০৯

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عُمَيْسٍ، عَنْ إِيَاسِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ رَخَّصَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ أَوْطَاسٍ فِي الْمُتْعَةِ ثَلاَثًا ثُمَّ نَهَى عَنْهَا ‏.

ইয়াস ইবনু সালামাহ্ (রহঃ) থেকে তার পিতার সুত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি(পিতা) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আওত্বাস যুদ্ধের বছর তিন দিনের জন্য মুত্’আহ্ বিবাহের অনুমতি দিয়েছিলেন। অতঃপর তিনি তা নিষিদ্ধ করেন। (ই.ফা. ৩২৮৪, ই.সে. ৩২৮২)

৩৩০২

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ مِثْلَهُ وَقَالَ ثُمَّ قَرَأَ عَلَيْنَا هَذِهِ الآيَةَ ‏.‏ وَلَمْ يَقُلْ قَرَأَ عَبْدُ اللَّهِ ‏.

ইসমা’ঈল ইবনু আবূ খালিদ (রহঃ) থেকে এ সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। অতঃপর তিনি উক্ত আয়াত পাঠ করলেন। তিনি বলেননি যে, ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) পড়েছেন।’ (ই.ফা. ৩২৭৭, ই.সে. ৩২৭৫)

৩৩০৭

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ كُنَّا نَسْتَمْتِعُ بِالْقُبْضَةِ مِنَ التَّمْرِ وَالدَّقِيقِ الأَيَّامَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبِي بَكْرٍ حَتَّى نَهَى عَنْهُ عُمَرُ فِي شَأْنِ عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ ‏.

আবু যুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি : আমরা এক মুঠো খেজুর অথবা ময়দার বিনিময়ে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে এবং আবূ বকর (রাঃ)-এর যুগে মুত’আহ্ বিবাহ করতাম। শেষ পর্যন্ত ‘উমার (রাঃ) ‘আম্‌র ইবনু হুরায়স–এর বিষয়টিকে কেন্দ্র করে তা নিষিদ্ধ করেন।[৪৮] (ই. ফা. ৩২৮২, ই.সে. ৩২৮০)
[৪৮] ‘আম্‌র ইবন হুরায়স কুফায় তার মুক্তদাসীকে মুত্’আহ বিবাহ করেন। এর ফলে সে গর্ভবতী হলে তাকে নিয়ে ‘আম্‌র ইবন হুরায়স ‘উমার ফারুক (রহঃ) কাছে উপস্থিত হন, এ সময় তিনি মুত্’আহ্ বিবাহ কে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেন।

৩৩০৩

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ قَالَ كُنَّا وَنَحْنُ شَبَابٌ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلاَ نَسْتَخْصِي وَلَمْ يَقُلْ نَغْزُو ‏.

ইসমা’ঈল (রহঃ) থেকে এ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

উক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। এতে ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, আমরা ছিলাম যুবক। তাই আমরা বললাম, ইয়া রসূলুল্লাহ! আমরা কি খাসী হব না? এতে ‘জিহাদ’ শব্দের উল্লেখ নেই। (ই.ফা. ৩২৭৮, ই.সে. ৩২৭৬)

৩৩১০

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ سَبْرَةَ الْجُهَنِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، سَبْرَةَ أَنَّهُ قَالَ أَذِنَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْمُتْعَةِ فَانْطَلَقْتُ أَنَا وَرَجُلٌ إِلَى امْرَأَةٍ مِنْ بَنِي عَامِرٍ كَأَنَّهَا بَكْرَةٌ عَيْطَاءُ فَعَرَضْنَا عَلَيْهَا أَنْفُسَنَا فَقَالَتْ مَا تُعْطِي فَقُلْتُ رِدَائِي ‏.‏ وَقَالَ صَاحِبِي رِدَائِي ‏.‏ وَكَانَ رِدَاءُ صَاحِبِي أَجْوَدَ مِنْ رِدَائِي وَ كُنْتُ أَشَبَّ مِنْهُ فَإِذَا نَظَرَتْ إِلَى رِدَاءِ صَاحِبِي أَعْجَبَهَا وَإِذَا نَظَرَتْ إِلَىَّ أَعْجَبْتُهَا ثُمَّ قَالَتْ أَنْتَ وَرِدَاؤُكَ يَكْفِينِي ‏.‏ فَمَكَثْتُ مَعَهَا ثَلاَثًا ثُمَّ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ مَنْ كَانَ عِنْدَهُ شَىْءٌ مِنْ هَذِهِ النِّسَاءِ الَّتِي يَتَمَتَّعُ فَلْيُخَلِّ سَبِيلَهَا ‏"‏ ‏.

রাবী’ ইবনু সাবরাহ্ আল জুহানী (রহঃ) থেকে তাঁর পিতা সাবরাহ (রাযিঃ)–এর সুত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের মুত্’আর অনুমতি দিলেন। অতঃপর আমি ও অপর এক ব্যক্তি বানূ ‘আমির গোত্রের একটি মহিলার নিকট গেলাম। সে ছিল দেখতে লম্বা ঘাড় বিশিষ্ট তরুণ উষ্ট্রীর ন্যায়। আমরা নিজেদেরকে তার নিকট (মুত্’আহ্ বিবাহের জন্য) পেশ করলাম। সে বলল, আমাকে কী দিবে? আমি বললাম , আমার চাদর। আমার সাথীও বলল আমার চাঁদর। আমার চাদরের তুলনায় আমার সঙ্গীর চাদরটি বেশি উৎকৃষ্টতর; কিন্তু আমি ছিলাম তুলনায় কম বয়সের যুবক। সে যখন আমার সঙ্গীর চাদরের প্রতি তাকায় তখন তা তার পছন্দ হয় এবং বলল, তুমি এবং তোমার চাদর ই আমার জন্য যথেষ্ট। অতএব আমি তার সাথে তিন দিন অতিবাহিত করলাম। অতপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ কারো কাছে মুত্’আহ্ বিবাহের সূত্রে কোন স্ত্রী লোক থাকলে সে যেন তার পথ ছেড়ে দেয় (ত্যাগ করে)। (ই.ফা. ৩২৮৫, ই.সে. ৩২৮৩)

৩৩০৬

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنَا الْحَسَنُ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ قَالَ عَطَاءٌ قَدِمَ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ مُعْتَمِرًا فَجِئْنَاهُ فِي مَنْزِلِهِ فَسَأَلَهُ الْقَوْمُ عَنْ أَشْيَاءَ ثُمَّ ذَكَرُوا الْمُتْعَةَ فَقَالَ نَعَمِ اسْتَمْتَعْنَا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ ‏.

‘আত্বা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) ‘উমরাহ্ পালন করতে এলেন। তখন আমরা তাঁর আবাসে তাঁর নিকট গেলাম। লোকেরা তাঁর নিকট বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞেস করল। অতঃপর তারা মুত’আহ্ সম্পর্কে উল্লেখ করলে তিনি বলেন, হাঁ, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে এবং আবূ বকর (রাঃ) ও ‘উমার (রাঃ)-এর যুগে মুত্’আহ(বিবাহ) করেছি।[৪৭] (ই.ফা. ৩২৮১, ই.সে. ৩২৭৯)
[৪৭] পরিভাষায় একটি নিদির্ষ্টি কালের জন্য মুহরের বিনিময়ে কোন মহিলার সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করা। নিদির্ষ্ট সময় পার হওয়ার সাথে সাথেই বিবাহের চুক্তি বাতিল গণ্য হয় এবং ত্বলাক্ব প্রদান ব্যতীতই স্ত্রী বিবাহ বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে যায়।
ইসলাম আবির্ভাবের পূর্বে আরবদের মাঝে এ ধরনের বিবাহের ব্যাপক প্রচলন ছিল এবং ইসলামের প্রাথমিক অবস্থায় ইসলামী শারী’আতেও এটা জায়িয ছিল। আরব সমাজে প্রতিষ্ঠিত অন্যান্য কুপ্রথার ন্যায় মুত্’আহ্ বিবাহের মতো কুপ্রথাকেও রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ধীরে ধীরে বিলুপ্তি সাধন করেন। ৭ম হিজরীতে ১ম বার নিষিদ্ধ করেন, এরপর আওত্বাস যুদ্ধের সময় তিনদিনের জন্য অনুমতি দেন এবং পরে হারাম ঘোষণা করেন।
অতঃপর বিদায় হজ্জের সময় চিরকালের জন্য ইহা হারাম ঘোষণা করেন। অথচ এ হাদিসে দেখা যাচ্ছে, লোকেরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে এবং আবু বাক্র (রাযিঃ) ও ‘উমার (রাযিঃ)-এর যুগে মুত’আহ বিবাহ করেছেন। এখানে উদ্দেশ্য হল যে সকল লোকদের কাছে রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর মুত্’আহ্ বিবাহ রহিত হওয়ার ফরমান পৌঁছেনি তারা মুত্’আহ্ বিবাহ করেছেন। অন্যথায় যাদের কাছে রহিত হওয়ার খবর পৌঁছেছিল তারা একে হারাম বিশ্বাস করতেন এবং এ থেকে পরহেয করতেন। সুতরাং না জানার কারনে মুত্’আহ করা দলিল হতে পারে না, যদিও তারা জীবনের শেষ পর্যন্ত তা করুন না কেন। বরং তাদের কথা ও কাজ দলিল হিসেবে গ্রহীত হবে যাদের নিকট বিদায় হজ্জের সময়কার নিষেধাজ্ঞা পৌঁছেছে। এরপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইন্তেকাল ফরমান এবং এ সময়ের মধ্যে তা বৈধ হওয়ার কথা বলেন নি আর এই অবস্থায় তিনি পরপারে পাড়ি জমান। সুতরাং এর প্রতি প্রত্যাবর্তন এবং আমল করা জরুরী।

৩৩১২

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ صَخْرٍ الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا عُمَارَةُ بْنُ غَزِيَّةَ، حَدَّثَنِي الرَّبِيعُ بْنُ سَبْرَةَ الْجُهَنِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ الْفَتْحِ إِلَى مَكَّةَ ‏.‏ فَذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ بِشْرٍ ‏.‏ وَزَادَ قَالَتْ وَهَلْ يَصْلُحُ ذَاكَ وَفِيهِ قَالَ إِنَّ بُرْدَ هَذَا خَلَقٌ مَحٌّ ‏.

সাবরাহ আল জুহানী (রাযিঃ)-এর সুত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা মাক্কাহ্ বিজয়ের বছর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে মাক্কায় রওনা হলাম ..... বাকী অংশ উপরোক্ত হাদিসের অনুরূপ। তবে এতে রয়েছে, স্ত্রীলোকটি বলল, ‘‘এটা কি ঠিক হবে? তার চাদরটি পুরাতন এবং ছিঁড়ে গেছে।’’ (ই.ফা. ৩২৮৭, ই.সে. ৩২৮৫)

৩৩১৩

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنِي الرَّبِيعُ بْنُ سَبْرَةَ الْجُهَنِيُّ، أَنَّ أَبَاهُ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ، كَانَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ "‏ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي قَدْ كُنْتُ أَذِنْتُ لَكُمْ فِي الاِسْتِمْتَاعِ مِنَ النِّسَاءِ وَإِنَّ اللَّهَ قَدْ حَرَّمَ ذَلِكَ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ فَمَنْ كَانَ عِنْدَهُ مِنْهُنَّ شَىْءٌ فَلْيُخَلِّ سَبِيلَهُ وَلاَ تَأْخُذُوا مِمَّا آتَيْتُمُوهُنَّ شَيْئًا‏"‏ ‏.

সাবরাহ আল জুহানী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে ছিলেন। তিনি বললেন, হে লোক সকল! আমি তোমাদেরকে স্ত্রীলোকদের সাথে মুত্’আহ্ বিবাহের অনুমতি দিয়েছিলাম। কিন্তু অচিরেই আল্লাহ্ তা‘আলা তা হারাম করেছেন ক্বিয়ামাতের দিন পর্যন্ত। অতএব যার নিকট এ ধরনের বিবাহ সূত্রে কোন স্ত্রীলোক আছে, সে যেন তার পথ ছেড়ে দেয়। আর তোমরা তাদের যা কিছু দিয়েছ তা কেড়ে দিও না। (ই.ফা. ৩২৮৮, ই.সে. ৩২৮৬)

৩৩১৪

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ عُمَرَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَائِمًا بَيْنَ الرُّكْنِ وَالْبَابِ وَهُوَ يَقُولُ بِمِثْلِ حَدِيثِ ابْنِ نُمَيْرٍ ‏.

‘আব্দুল ‘আযীয ইবনু ‘উমার (রাযিঃ) থেকে এ সুত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি [সাবরাহ আল জুহানী (রাঃ)] বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে (কা’বার) দরজা ও রুকনের মাঝে দাড়িয়ে বলতে শুনেছি ..... বাকীঅংশ উপরোক্ত হাদিসের অনুরূপ। (ই.ফা. ৩২৮৯, ই.সে. ৩২৮৭)

৩৩১৫

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ الرَّبِيعِ بْنِ سَبْرَةَ الْجُهَنِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْمُتْعَةِ عَامَ الْفَتْحِ حِينَ دَخَلْنَا مَكَّةَ ثُمَّ لَمْ نَخْرُجْ مِنْهَا حَتَّى نَهَانَا عَنْهَا‏.

‘আবদুল মালিক ইবনু রাবী’ ইবনু সাবরাহ আল জুহানী (রহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তাঁর পিতা ও দাদা থেকে বর্ণিতঃ

তিনি(দাদা) বলেন, মক্কা বিজয়ের বছর আমাদের মাক্কায় প্রবেশকালে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের মুত্‌’আহ্‌ বিবাহের অনুমতি দান করেন। তিনি আমাদের তা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত (নারী সঙ্গ ত্যাগ করে) বের হয়ে আসিনি।(ই.ফা. ৩২৯০, ই.সে. ৩২৮৮)

৩৩১৭

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ سَبْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ نِكَاحِ الْمُتْعَةِ ‏.

রাবী’ ইবনু সাবরাহ (রহঃ) থেকে তার পিতার সুত্র থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুত্‌’আহ্‌ (বিবাহ) করতে নিষেধ করেছেন।(ই.ফা. ৩২৯২, ই.সে. ৩২৯০)

৩৩১৮

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ الرَّبِيعِ، بْنِ سَبْرَةَ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى يَوْمَ الْفَتْحِ عَنْ مُتْعَةِ النِّسَاءِ‏.

রাবী’ ইবনু সাবরাহ (রহঃ) থেকে তাঁর পিতার সুত্র থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাক্কাহ্ বিজয়ের দিন মুত্’আহ্ নিষিদ্ধ করেন।(ই.ফা. ৩২৯৩, ই.সে. ৩২৯১)

৩৩১৯

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنِيهِ حَسَنٌ الْحُلْوَانِيُّ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ سَبْرَةَ الْجُهَنِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الْمُتْعَةِ زَمَانَ الْفَتْحِ مُتْعَةِ النِّسَاءِ وَأَنَّ أَبَاهُ كَانَ تَمَتَّعَ بِبُرْدَيْنِ أَحْمَرَيْنِ.

রাবী’ ইবনু সাবরাহ আল জুহানী (রহঃ) থেকে তাঁর পিতার সুত্র থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাক্কাহ্ বিজয়ের কালে স্ত্রীলোকদের সাথে মুত্’আহ্ করতে নিষেধ করেছেন। তাঁর পিতা দু’টি লাল চাদরের বিনিময়ে মুত্’আহ্ করেছিলেন।(ই.ফা. ৩২৯৪, ই.সে. ৩২৯২)

৩৩২১

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنِي سَلَمَةَ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَعْيَنَ، حَدَّثَنَا مَعْقِلٌ، عَنِ ابْنِ أَبِي عَبْلَةَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، قَالَ حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سَبْرَةَ الْجُهَنِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الْمُتْعَةِ وَقَالَ ‏ "‏ أَلاَ إِنَّهَا حَرَامٌ مِنْ يَوْمِكُمْ هَذَا إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَمَنْ كَانَ أَعْطَى شَيْئًا فَلاَ يَأْخُذْهُ ‏"‏ ‏.

রাবী’ ইবনু সাবরাহ আল জুহানী (রহঃ) তাঁর পিতার সুত্র থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুত্’আহ্ নিষিদ্ধ করেছেন এবং বলেছেন, সাবধান! আজকের এ দিন থেকে ক্বিয়ামাত পর্যন্ত মুত্’আহ্ হারাম। যে কেউ (ইতোপূর্বে) মুত্’আহ্ বাবদ যা কিছু দিয়েছে, সে যেন তা ফেরত না দেন। (ই.ফা. ৩২৯৬, ই.সে. ৩২৯৪)

৩৩২৩

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنَاهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ الضُّبَعِيُّ، حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ، عَنْ مَالِكٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ سَمِعَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، يَقُولُ لِفُلاَنٍ إِنَّكَ رَجُلٌ تَائِهٌ نَهَانَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ يَحْيَى عَنْ مَالِكٍ ‏.

মালিক (রহঃ) থেকে এ সুত্র থেকে বর্ণিতঃ

অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। এ সুত্রে আছে, মুহাম্মাদ ইবনু ‘আলী বলেন, তিনি ‘আলী ইবনু আবূ ত্বালিব (রাঃ)-কে জনৈক ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে বলতে শুনেছেন, তুমি তো সৎপথ থেকে বিচ্যুত। কেননা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষিদ্ধ করেছেন ..... উক্ত হাদিসের অনুরূপ। (ই.ফা. ৩২৯৮, ই.সে. ৩২৯৬)

৩৩২৬

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنِ الْحَسَنِ، وَعَبْدِ اللَّهِ، ابْنَىْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ عَنْ أَبِيهِمَا، أَنَّهُ سَمِعَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، يَقُولُ لاِبْنِ عَبَّاسٍ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ مُتْعَةِ النِّسَاءِ يَوْمَ خَيْبَرَ وَعَنْ أَكْلِ لُحُومِ الْحُمُرِ الإِنْسِيَّةِ ‏.

‘আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে লক্ষ্য করে ‘আলী (রাঃ)–কে বলতে শুনেছেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খায়বারের যুদ্ধের দিন মুত্’আহ্ এবং গৃহপালিত গাধার গোশত নিষিদ্ধ করেছেন। (ই.ফা. ৩৩০১, ই.সে. ৩২৯৯)
১৭/ পরিচ্ছেদঃ কোন মহিলাকে তার ফুফুর কিংবা তার খালার সাথে একত্রে বিবাহ করা হারাম

৩৩২৮

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحِ بْنِ الْمُهَاجِرِ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ عِرَاكِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ أَرْبَعِ نِسْوَةٍ أَنْ يُجْمَعَ بَيْنَهُنَّ الْمَرْأَةِ وَعَمَّتِهَا وَالْمَرْأَةِ وَخَالَتِهَا ‏.

আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চারজন মহিলা গ্রহণের ব্যাপারে এ নিষেধাজ্ঞা করেছেন যে, তাদের যেন কোন স্ত্রীলোক ও তার ফুফুকে এবং কোন স্ত্রীলোক ও তার খালাকে একত্র করা না হয়। (ই.ফা. ৩৩০৩, ই.সে. ৩৩০১)

৩৩২৭

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ‏ "‏ لاَ يُجْمَعُ بَيْنَ الْمَرْأَةِ وَعَمَّتِهَا وَلاَ بَيْنَ الْمَرْأَةِ وَخَالَتِهَا‏"‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন স্ত্রীলোক ও তার ফুফুকে এবং কোন স্ত্রীলোক ও তার খালাকে একত্র (একত্রে বিবাহ) করা যাবে না। (ই.ফা. ৩৩০২, ই.সে. ৩৩০০)

৩৩২৯

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، - قَالَ ابْنُ مَسْلَمَةَ مَدَنِيٌّ مِنَ الأَنْصَارِ مِنْ وَلَدِ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ - عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ ذُؤَيْبٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ لاَ تُنْكَحُ الْعَمَّةُ عَلَى بِنْتِ الأَخِ وَلاَ ابْنَةُ الأُخْتِ عَلَى الْخَالَةِ ‏"‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে বলতে শুনেছি : ভাইঝির উপর তার ফুফুকে বিবাহ করা যাবে না। অনুরূপভাবে খালার উপর বোনঝিকে বিবাহ করা যাবে না। (ই.ফা. ৩৩০৪, ই.সে. ৩৩০২)

৩৩৩০

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي قَبِيصَةُ بْنُ ذُؤَيْبٍ الْكَعْبِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَجْمَعَ الرَّجُلُ بَيْنَ الْمَرْأَةِ وَعَمَّتِهَا وَبَيْنَ الْمَرْأَةِ وَخَالَتِهَا ‏.‏ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ فَنُرَى خَالَةَ أَبِيهَا وَعَمَّةَ أَبِيهَا بِتِلْكَ الْمَنْزِلَةِ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন মহিলা ও তার খালাকে একত্রে বিবাহ করতে নিষেধ করেছেন।
রাবী শিহাব (রহঃ) বলেন, আমরা মনে করি, পিতার খালা ও পিতার ফুফু এ পর্যায়ের। (ই.ফা. ৩৩০৫, ই.সে. ৩৩০৩)

৩৩৩১

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنِي أَبُو مَعْنٍ الرَّقَاشِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ يَحْيَى، أَنَّهُ كَتَبَ إِلَيْهِ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لاَ تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ عَلَى عَمَّتِهَا وَلاَ عَلَى خَالَتِهَا ‏"‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন মহিলাকে বিবাহ করা যাবে না তার ফুফুর উপরে। (ই.ফা. ৩৩০৬, ই.সে. ৩৩০৪)

৩৩৩২

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ شَيْبَانَ، عَنْ يَحْيَى، حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ‏.

আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ। (ই.ফা. ৩৩০৭, ই.সে. ৩৩০৫)

৩৩৩৪

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنِي مُحْرِزُ بْنُ عَوْنِ بْنِ أَبِي عَوْنٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي، هِنْدٍ عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ تُنْكَحَ الْمَرْأَةُ عَلَى عَمَّتِهَا أَوْ خَالَتِهَا أَوْ أَنْ تَسْأَلَ الْمَرْأَةُ طَلاَقَ أُخْتِهَا لِتَكْتَفِئَ مَا فِي صَحْفَتِهَا فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ رَازِقُهَا ‏.

আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ফুফুর উপরে তার ভাইঝিকে এবং খালার উপরে তার বোনঝিকে বিবাহ করতে এবং কোন মহিলাকে তার নিজের পাত্র পূর্ণ করার জন্য তার বোনের ত্বলাক্বের দাবী করতে নিষেধ করেছেন। কারণ আল্লাহই তার রিয্‌কদাতা। (ই.ফা. ৩৩০৯, ই.সে. ৩৩০৭)

৩৩৩৩

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ لاَ يَخْطُبُ الرَّجُلُ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ وَلاَ يَسُومُ عَلَى سَوْمِ أَخِيهِ وَلاَ تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ عَلَى عَمَّتِهَا وَلاَ عَلَى خَالَتِهَا وَلاَ تَسْأَلُ الْمَرْأَةُ طَلاَقَ أُخْتِهَا لِتَكْتَفِئَ صَحْفَتَهَا وَلْتَنْكِحْ فَإِنَّمَا لَهَا مَا كَتَبَ اللَّهُ لَهَا ‏"‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি যেন তার (মুসলিম) ভাইয়ের বিবাহের প্রস্তাবের উপর প্রস্তাব না দেয়, তার ভাইয়ের দরদাম করার উপর দিয়ে দরদাম না করে। ফুফুর উপরে তার ভাইঝিকে এবং খালার উপরে তার বোনঝিকে বিবাহ করা যাবে না। কোন স্ত্রীলোক যেন নিজের পাত্র ভরে নেয়ার জন্য তার বোনের (অন্য স্ত্রী লোকের) ত্বলাক্ব দাবী না করে, বরং সে বিবাহ করুক। কারণ আল্লাহ তার জন্য যা নির্ধারণ করেছেন, সে তা পাবেই। (ই.ফা. ৩৩০৮, ই.সে. ৩৩০৬)

৩৩৩৫

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ وَأَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى وَابْنِ نَافِعٍ - قَالُوا أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُجْمَعَ بَيْنَ الْمَرْأَةِ وَعَمَّتِهَا وَبَيْنَ الْمَرْأَةِ وَخَالَتِهَا ‏.

আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন কোন মহিলা ও তার ফুফুকে একত্র করতে এবং কোন মহিলা ও তার খালাকে একত্র করতে। (ই.ফা. ৩৩১০, ই.সে. ৩৩০৮)

৩৩৩৬

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، حَدَّثَنَا وَرْقَاءُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ ‏.

‘আমর ইবনু দীনার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদে অনুরূপ বর্ণিত হয়ছে। (ই.ফা. ৩৩১১, ই.সে. ৩৩০৯)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন