রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যতক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের মনের মধ্যে আকর্ষণ থাকে ততক্ষণ কুরআন পাঠ করো। আর যখন (মন) বিকর্ষিত হয়ে পড়ে তখন উঠে যাবে। (ই. ফা. ৬৫৩৬, ই. সে. ৬৫৮৮)

তিনি বলেন, কোন একদিন ভোরে আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসলাম। তিনি বলেন, একদা তিনি কুরআনের একটি আয়াতের ব্যাপারে দু’ লোকের মতপার্থক্যের আওয়াজ শুনতে পেয়ে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের মাঝে আসলেন, এ অবস্থায় তাঁর চেহারায় রাগের বহিঃপ্রকাশ হচ্ছিল। তিনি বললেন, তোমাদের পূর্ববর্তীরা একমাত্র আল্লাহর কিতাবে দ্বিমত করার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে। (ই. ফা. ৬৫৩৪, ই. সে. ৬৫৮৬)

তিনি বলেন, ছোটবেলা আমরা কূফাতে ছিলাম। তখন জুনদুব (রাঃ) বলেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা কুরআন পাঠ করতে থাকো...... তাঁদের দু‘জনের হাদীসের ন্যায়। (ই. ফা. ৬৫৩৭, ই. সে. ৬৫৮৯)

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা কুরআন পাঠ করতে থাকো যতক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের হৃদয়ে তার প্রতি আকর্ষণ থাকে। আর যখন তোমরা তাতে মতভেদ করবে তখন উঠে যাবে। (ই. ফা. ৬৫৩৫, ই. সে. ৬৫৮৭)

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিলাওয়াত করলেনঃ “তিনিই তোমার প্রতি এ কিতাবকে অবতীর্ণ করেছেন, যার কতক আয়াত সুস্পষ্ট মজবুত সাংবিধানিক; এগুলো কিতাবের মূলনীতি আর অন্যগুলো অস্পষ্ট। যাদের হৃদয়ে বক্রতা রয়েছে, শুধু তারাই ফিতনাহ্ এবং ভুল ব্যাখ্যার জন্য যা অস্পষ্ট তার অনুকরণ করে। মূলতঃ আল্লাহ ভিন্ন অন্য কেউ এর ব্যাখ্যা জানে না; আর যারা ‘ইল্‌মে সুগভীর তারা বলে, আমরা এতে বিশ্বাস করি, সবই আমাদের রবের নিকট থেকে সত্য এবং বুদ্ধিমান ছাড়া আর কেউ উপদেশ গ্রহণ করে না” – (সূরাহ্ আ-লি ‘ইমরান ৩ : ৭)। তিনি (‘আয়িশাহ্) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা সেসব লোকদের দেখতে পাবে যারা অস্পষ্ট আয়াতের অর্থের অনুসরণ করে, এরাই সেসব ব্যক্তি, যাদের কথা আল্লাহ আলোচনা করেছেন, সুতরাং তোমরা তাদের থেকে সতর্ক থাক। (ই. ফা. ৬৫৩৩, ই. সে. ৬৫৮৫)

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহর নিকট সর্বাপেক্ষা মন্দ সে লোক, যে সর্বাপেক্ষা বাক-বিতণ্ডাকারী। (ই.ফা. ৬৫৩৮, ই. সে. ৬৫৯০)

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের আগের লোকের নীতি-আদর্শ পুরোপুরিভাবে অনুকরণ করবে, এক বিঘত এক বিঘতের সঙ্গে ও হাত হাতের সঙ্গে, এমনকি তারা যদি গোসর্পের গর্তে ঢুকে থাকে তবুও তোমরা তাদের অনুকরণ করবে। আমরা আবেদন করলাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! তারা কি ইয়াহূদী ও নাসারা? তিনি বলেন, তবে আর কারা? (ই.ফা. ৬৫৩৯, ই. সে. ৬৫৯১)

যায়দ ইবনু আসলাম (রহঃ) হতে আমাদের কিছু সংখ্যক সহাবা (রাঃ) এ সূত্রে তার হুবহু হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই. ফা. ৬৫৩৯, ই. সে. ৬৫৯২)

‘আতা ইবনু ইয়াসার (রহঃ)-এর সানাদে যায়দ ইবনু আসলাম (রহঃ) তাঁর হুবহু হাদীস উল্লেখ করেছেন। (ই. ফা. ৬৫৩৯, ই. সে. ৬৫৯৩)

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অতিরিক্ত চাটুকারীরা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে গেছে। তিনি এ কথাটি তিনবার বলেছেন। (ই. ফা. ৬৫৪০, ই. সে. ৬৫৯৪)