hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সহিহ মুসলিম

. কোরআনের মর্যাদাসমূহ ও এতদসংশ্লিষ্ট বিষয়

صحيح مسلم

/ পরিচ্ছেদঃ কুরআন সংরক্ষণে যত্নবান হওয়ার নির্দেশ, অমুক আয়াত ভুলে গিয়েছি বলার অপছন্দনীয়তা ও আমাকে ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে বলার বৈধতা প্রসঙ্গে

১৭২২

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم سَمِعَ رَجُلاً يَقْرَأُ مِنَ اللَّيْلِ فَقَالَ ‏ "‏ يَرْحَمُهُ اللَّهُ لَقَدْ أَذْكَرَنِي كَذَا وَكَذَا آيَةً كُنْتُ أَسْقَطْتُهَا مِنْ سُورَةِ كَذَا وَكَذَا ‏"‏ ‏.

'আয়িশাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতের বেলা জনৈক ব্যক্তিকে কুরআন মাজীদ তিলাওয়াত করতে শুনে বললেনঃ আল্লাহ তার প্রতি রহম করুন। সে আমাকে অমুক অমুক সূরার অমুক অমুক আয়াত স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যা আমি অমুক সূরাহ্ থেকে বাদ দেয়ার উপক্রম করেছিলাম। (ই.ফা. ১৭০৭, ই.সে. ১৭১৪)

১৭২৩

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَسْتَمِعُ قِرَاءَةَ رَجُلٍ فِي الْمَسْجِدِ ‏.‏ فَقَالَ ‏ "‏ رَحِمَهُ اللَّهُ لَقَدْ أَذْكَرَنِي آيَةً كُنْتُ أُنْسِيتُهَا ‏"‏ ‏.

'আয়িশাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদিন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাসজিদে জনৈক ব্যক্তির কুরআন তিলাওয়াত শুনেছিলেন। (তাঁর তিলাওয়াত শুনে) তিনি বললেনঃ আল্লাহ তাঁর প্রতি রহম করুন। সে আমাকে এমন একটি আয়াত স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যা আমার স্মৃতি থেকে ভুলিয়ে দেয়া হয়েছিল। (ই.ফা. ১৭০৮, ই.সে. ১৭১৫)

১৭২৪

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِنَّمَا مَثَلُ صَاحِبِ الْقُرْآنِ كَمَثَلِ الإِبِلِ الْمُعَقَّلَةِ إِنْ عَاهَدَ عَلَيْهَا أَمْسَكَهَا وَإِنْ أَطْلَقَهَا ذَهَبَتْ ‏"‏ ‏.

'আবদুল্লাহ ইবনু 'উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কুরআন হিফ্‌যকারীর দৃষ্টান্ত হ'ল পা বাঁধা উট। যদি এর মালিক এটির প্রতি লক্ষ্য রাখে তাহলে ধরে রাখতে পারবে। আর যদি তার বাঁধন খুলে দেয় তাহলে সেটি ছাড়া পেয়ে চলে যাবে। (ই.ফা. ১৭০৯, ই.সে. ১৭১৬)

১৭২৫

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا يَحْيَى، وَهُوَ الْقَطَّانُ ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي كُلُّهُمْ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ أَيُّوبَ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ الْمُسَيَّبِيُّ حَدَّثَنَا أَنَسٌ، - يَعْنِي ابْنَ عِيَاضٍ - جَمِيعًا عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، كُلُّ هَؤُلاَءِ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ ‏.‏ بِمَعْنَى حَدِيثِ مَالِكٍ وَزَادَ فِي حَدِيثِ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ ‏ "‏ وَإِذَا قَامَ صَاحِبُ الْقُرْآنِ فَقَرَأَهُ بِاللَّيْلِ وَالنَّهَارِ ذَكَرَهُ وَإِذَا لَمْ يَقُمْ بِهِ نَسِيَهُ ‏"

'আবদুল্লাহ ইবনু 'উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হাদীসের অনুরূপ অর্থবোধক হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে মূসা ইবনু 'উক্ববাহ্ বর্ণিত হাদীসে এতটুকু অধিক বর্ণনা করা হয়েছে যে, “কুরআনের হাফিয যদি রাতে ও দিনে কুরআন মাজীদ পড়ে তাহলে তা স্মরণ রাখতে পারে, অন্যথায় ভুলে যায়।" (ই.ফা. ১৭১০, ই.সে. ১৭১৭)

১৭২৬

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ بِئْسَمَا لأَحَدِهِمْ يَقُولُ نَسِيتُ آيَةَ كَيْتَ وَكَيْتَ بَلْ هُوَ نُسِّيَ اسْتَذْكِرُوا الْقُرْآنَ فَلَهُوَ أَشَدُّ تَفَصِّيًا مِنْ صُدُورِ الرِّجَالِ مِنَ النَّعَمِ بِعُقُلِهَا ‏"‏ ‏.

'আবদুল্লাহ ইবনু মাস'ঊদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যদি কেউ এভাবে বলে যে, আমি অমুক অমুক আয়াত ভুলে গিয়েছি তাহলে তা তার জন্য খুবই খারাপ। বরং তাকে তো ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। তোমরা কুরআনকে স্মরণ রাখ। কারণ কুরআন মানুষের হৃদয় থেকে পা বাঁধা পলায়নপর চতুষ্পদ জন্তুর চেয়েও অধিক পলায়নপর। ছাড়া পেলেই পালিয়ে যায় অর্থাৎ স্মরণ রাখার চেষ্টা না করলেই ভুলে যায়। (ই.ফা. ১৭১১, ই.সে. ১৭১৮)

১৭২৭

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي وَأَبُو مُعَاوِيَةَ ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، - وَاللَّفْظُ لَهُ - قَالَ أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ تَعَاهَدُوا هَذِهِ الْمَصَاحِفَ - وَرُبَّمَا قَالَ الْقُرْآنَ - فَلَهُوَ أَشَدُّ تَفَصِّيًا مِنْ صُدُورِ الرِّجَالِ مِنَ النَّعَمِ مِنْ عُقُلِهِ ‏.‏ قَالَ وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لاَ يَقُلْ أَحَدُكُمْ نَسِيتُ آيَةَ كَيْتَ وَكَيْتَ بَلْ هُوَ نُسِّيَ ‏"‏ ‏.

শাক্বীক্ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) বলেছেনঃ এই পবিত্র গ্রন্থের আবার কখনো বলেছেন এ কুরআনের রক্ষণাবেক্ষণ কর। কেননা মানুষের মন থেকে তা এক পা বাঁধা চতুষ্পদ জন্তুর চেয়েও (অধিক বেগে) পলায়নপর। ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) আরও বর্ণনা করেছেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন এ কথা না বলে যে, আমি (কুরআন মাজীদের) অমুক অমুক আয়াত ভুলে গিয়েছি। বরং তার থেকে আয়াতগুলো বিস্মৃত হয়ে গিয়েছে (এরূপ বলা উত্তম)। (ই.ফা. ১৭১২, ই.সে. ১৭১৯)

১৭২৮

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنِي عَبْدَةُ، بْنُ أَبِي لُبَابَةَ عَنْ شَقِيقِ بْنِ سَلَمَةَ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ مَسْعُودٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ بِئْسَمَا لِلرَّجُلِ أَنْ يَقُولَ نَسِيتُ سُورَةَ كَيْتَ وَكَيْتَ أَوْ نَسِيتُ آيَةَ كَيْتَ وَكَيْتَ بَلْ هُوَ نُسِّيَ ‏"‏ ‏.

শাক্বীক্ব ইবনু সালামাহ্‌ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদকে বলতে শুনেছি। তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেনঃ কোন ব্যক্তির পক্ষে এরূপ কথা বলা খুবই খারাপ যে, সে অমুক অমুক সুরাহ্‌ বা অমুক অমুক আয়াত ভুলে গিয়েছে। বরং বলবে যে ঐগুলো (সুরাহ্‌ বা আয়াত) তাকে ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। (ই.ফা. ১৭১৩, ই.সে. ১৭২০)

১৭২৯

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَرَّادٍ الأَشْعَرِيُّ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ بُرَيْدٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ تَعَاهَدُوا هَذَا الْقُرْآنَ فَوَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَهُوَ أَشَدُّ تَفَلُّتًا مِنَ الإِبِلِ فِي عُقُلِهَا ‏"‏ ‏.‏ وَلَفْظُ الْحَدِيثِ لاِبْنِ بَرَّادٍ.

আবূ মূসা (আশ’আরী) (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা কুরআন হিফ্‌যের প্রতি লক্ষ্য রাখ। যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ আমি সে মহান সত্তার শপথ করে বলছি, কুরআনের মুখস্থ সুরাহ্‌ বা আয়াতসমূহ মানুষের মন থেকে পা বাঁধা উটের চেয়েও অধিক পলায়নপর (অর্থাৎ কুরআন মাজীদের মুখস্থ সুরাহ্‌ বা আয়াত তাড়াতাড়ি বিস্মৃতিতে চলে যায়)। (ই.ফা. ১৭১৪, ই.সে. ১৭২১)
/ পরিচ্ছেদঃ কুরআন পাঠের আওয়াজে মাধুর্য সৃষ্টি করা মুস্তাহাব

১৭৩৭

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ رُشَيْدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا طَلْحَةُ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لأَبِي مُوسَى ‏ "‏ لَوْ رَأَيْتَنِي وَأَنَا أَسْتَمِعُ لِقِرَاءَتِكَ الْبَارِحَةَ لَقَدْ أُوتِيتَ مِزْمَارًا مِنْ مَزَامِيرِ آلِ دَاوُدَ ‏"‏ ‏.

আবূ মূসা (আল আশ’আরী) (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ মূসা (রাঃ)-কে উদ্দেশ্য করে বললেনঃ গতরাতে আমি যখন তোমার কুরআন পাঠ শুনছিলাম তখন তুমি যদি আমাকে দেখতে তাহলে খুব খুশী হতে। তোমাকে তো দাউদ-এর মত সুমিষ্ট কণ্ঠস্বর দেয়া হয়েছে। (ই.ফা. ১৭২২, ই.সে. ১৭২৯)

১৭৩৫

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ - عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ مِثْلَ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ غَيْرَ أَنَّ ابْنَ أَيُّوبَ قَالَ فِي رِوَايَتِهِ ‏ "‏ كَإِذْنِهِ ".

আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু কাসীর বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে পার্থক্য এতটুকু যে, ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু আইয়ূব তার বর্ণনাতে (আরবী) শব্দটা অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ১৭২০, ই.সে. ১৭২৭)

১৭৩৬

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، - وَهُوَ ابْنُ مِغْوَلٍ - عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ قَيْسٍ أَوِ الأَشْعَرِيَّ أُعْطِيَ مِزْمَارًا مِنْ مَزَامِيرِ آلِ دَاوُدَ ‏"‏ ‏.

বুরায়দাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আবদুল্লাহ ইবনু ক্বায়স অথবা বলেছেন (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) (আবূ মূসা) আল আশ’আরী-কে দাউদ-এর মতো মিষ্টি কণ্ঠ দান করা হয়েছে। (ই.ফা. ১৭২১, ই.সে. ১৭২৮)

১৭৩৪

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا هِقْلٌ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَا أَذِنَ اللَّهُ لِشَىْءٍ كَأَذَنِهِ لِنَبِيٍّ يَتَغَنَّى بِالْقُرْآنِ يَجْهَرُ بِهِ ‏"‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন নবী কর্তৃক সুমিষ্ট কণ্ঠে উচ্চঃস্বরে কুরআন তিলাওয়াত করা আল্লাহ তা’আলা যেভাবে শুনেন অন্য কিছুই আর সেভাবে শুনেন না। (ই.ফা. ১৭১৯, ই.সে. ১৭২৬)

১৭৩০

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ مَا أَذِنَ اللَّهُ لِشَىْءٍ مَا أَذِنَ لِنَبِيٍّ يَتَغَنَّى بِالْقُرْآنِ ‏"‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পর্যন্ত এর সানাদ সূত্রটি পৌছিয়েছেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন নবীর উত্তম ও মিষ্টি করে কুরআন তিলাওয়াত আল্লাহ তা’আলা যেভাবে শুনে থাকেন অন্য কোন জিনিস সেভাবে শুনেন না। (ই.ফা.১৭১৫, ই.সে. ১৭২২)

১৭৩২

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنِي بِشْرُ بْنُ الْحَكَمِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، - وَهُوَ ابْنُ الْهَادِ - عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ مَا أَذِنَ اللَّهُ لِشَىْءٍ مَا أَذِنَ لِنَبِيٍّ حَسَنِ الصَّوْتِ يَتَغَنَّى بِالْقُرْآنِ يَجْهَرُ بِهِ ‏"‏ ‏.

আবূ হুরায়রাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন, মহান আল্লাহ এতটা খুশি হন না যতটা খুশি হয়ে থাকেন সুকণ্ঠের অধিকারী কোন নবীর প্রতি যিনি সুললিত কণ্ঠে ও সশব্দে তা তিলাওয়াত করে থাকেন। [৩৬] (ই.ফা. ১৭১৭, ই.সে। ১৭২৪)
[৩৬] মহান আল্লাহ্ আরশে সমুন্নত (মহান আল্লাহ আরশের উপরে আছেন, তিনি আরশে বসে আছেন বা সমাসীন কথাটি ভুল) সুরাহ্ আল বাক্বারাহ্-এর আয়াত নং ২৫৫। এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, আল্লাহ্ নিরাকার নন বরং তাঁর আঁকার আছে। তবে কোন প্রানী বা বস্তুর সাথে তুলনা করা যাবে না।

১৭৩১

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، ح وَحَدَّثَنِي يُونُسُ، بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ قَالَ ‏ "‏ كَمَا يَأْذَنُ لِنَبِيٍّ يَتَغَنَّى بِالْقُرْآنِ ‏"‏ ‏.

হারমালাহ্ ইবনু ইয়াহ্ইয়া, ইউনুস ইবনু ‘আবদুল আ’লা (রহঃ) ..... উভয়ে ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে একই সানাদ সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেন, যেমন তিনি (আল্লাহ) শুনে থাকেন সুস্পষ্ট স্বরে কুরআন তিলাওয়াতকারী নবীর তিলাওয়াত। (ই.ফা. ১৭১৬, ই.সে. ১৭২৩)

১৭৩৩

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنِي ابْنُ أَخِي ابْنِ وَهْبٍ، حَدَّثَنَا عَمِّي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عُمَرُ بْنُ، مَالِكٍ وَحَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ عَنِ ابْنِ الْهَادِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ مِثْلَهُ سَوَاءً وَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَلَمْ يَقُلْ سَمِعَ ‏.

ইবনুল হাদ (রহঃ) থেকে একই সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে এ হাদীসে তিনি (আরবী) (রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন) উল্লেখ করেছেন এবং (আরবী) (রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন) উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ১৭১৮, ই.সে। ১৭২৪)
/ পরিচ্ছেদঃ মাক্কার বিজয়ের দিবসে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর সূরাহ্‌ আল ফাত্‌হ পাঠ করার উল্লেখ প্রসঙ্গে আলোচনা

১৭৩৯

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مُغَفَّلٍ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ عَلَى نَاقَتِهِ يَقْرَأُ سُورَةَ الْفَتْحِ ‏.‏ قَالَ فَقَرَأَ ابْنُ مُغَفَّلٍ وَرَجَّعَ ‏.‏ فَقَالَ مُعَاوِيَةُ لَوْلاَ النَّاسُ لأَخَذْتُ لَكُمْ بِذَلِكَ الَّذِي ذَكَرَهُ ابْنُ مُغَفَّلٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.

‘আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফ্‌ফাল (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন আমি দেখেছি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর উটনীর পিঠে বসে সুরাহ্‌ আল ফাতহ্‌ পাঠ করেছেন। মু’আবিয়াহ্‌ ইবনু কুর্‌রাহ্‌ বর্ণনা করেছেন, অতঃপর ‘আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফ্‌ফাল ‘তারজী’সহ (সুরাহ্‌ আল ফাতহ্‌) পাঠ করে শুনালাম। মু’আবিয়াহ্‌ বলেছেন, লোকজন জমায়েত হওয়ার আশঙ্কা না থাকলে ‘আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফ্‌ফাল নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর অনুকরন করে যেভাবে (সুরাহ্‌টি পাঠ করে) শুনিয়েছেন সেভাবে শুনাতাম। (ই.ফা. ১৭২৪, ই.সে. ১৭৩১)

১৭৩৮

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، وَوَكِيعٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مُغَفَّلٍ الْمُزَنِيَّ، يَقُولُ قَرَأَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَامَ الْفَتْحِ فِي مَسِيرٍ لَهُ سُورَةَ الْفَتْحِ عَلَى رَاحِلَتِهِ فَرَجَّعَ فِي قِرَاءَتِهِ ‏.‏ قَالَ مُعَاوِيَةُ لَوْلاَ أَنِّي أَخَافُ أَنْ يَجْتَمِعَ عَلَىَّ النَّاسُ لَحَكَيْتُ لَكُمْ قِرَاءَتَهُ ‏.

'আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফ্‌ফাল আল মুযানী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের বছরে সফরকালে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সওয়ারীতে বসে সুরাহ্‌ আল ফাত্‌হ পড়ছিলেন। আর ক্বিরআতে তিনি ‘তারজী’ (দ্বিরুক্তি) করছিলেন। মু’আবিয়াহ্‌ ইবনু কুর্‌রাহ্‌ বলেছেন- আমি যদি আমার পাশে অধিক মাত্রায় লোকজনের জমায়েত হওয়ার আশঙ্কা না করতাম তাহলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেভাবে ক্বিরআত করেছিলেন সেভাবে ক্বিরআত করে তোমাদেরকে শুনাতাম। (ই.ফা. ১৭২৩, ই.সে. ১৭৩০)

১৭৪০

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنَاهُ يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ الْحَارِثِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، ح وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ، اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ حَدَّثَنَا أَبِي قَالاَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ وَفِي حَدِيثِ خَالِدِ بْنِ الْحَارِثِ قَالَ عَلَى رَاحِلَةٍ يَسِيرُ وَهُوَ يَقْرَأُ سُورَةَ الْفَتْحِ ‏.

শু’বাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইয়াহইয়া ইবনু হাবীব আল হারিসী এবং উবায়দুল্লাহ ইবনু মুআয (রহঃ) ..... শুবাহ (রহঃ) থেকে একই সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে খালিদ ইবনু হারিস বর্ণিত হাদীসে তিনি বলেছেন : তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সওয়ারীতে বসে সূরাহ আল ফাত্হ পড়তে পড়তে পথ অতিক্রম করছিলেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৭২৫, ইসলামীক সেন্টার ১৭৩২)
/ পরিচ্ছেদঃ কুরআন তিলাওয়াতের সময় ‘সাকীনাহ্‌’ বা প্রশান্তি অবতরণ

১৭৪২

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى - قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ، جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ، يَقُولُ قَرَأَ رَجُلٌ الْكَهْفَ وَفِي الدَّارِ دَابَّةٌ فَجَعَلَتْ تَنْفِرُ فَنَظَرَ فَإِذَا ضَبَابَةٌ أَوْ سَحَابَةٌ قَدْ غَشِيَتْهُ قَالَ فَذَكَرَ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ "‏ اقْرَأْ فُلاَنُ فَإِنَّهَا السَّكِينَةُ تَنَزَّلَتْ عِنْدَ الْقُرْآنِ أَوْ تَنَزَّلَتْ لِلْقُرْآنِ ‏"‏ ‏.

আবূ ইসহাক্ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি বারা ইবনু ‘আযিব (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, জনৈক ব্যক্তি সুরাহ্‌ আল কাহ্‌ফ পড়ছিল। তখন লোকটি দেখতে পেল একখণ্ড মেঘ তাঁকে পরিবেষ্টন করে নিয়েছে। বারা ইবনু ‘আযিব বর্ণনা করেছেন যে, লোকটি বিষয়টি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে বললেন। তিনি তাকে উদ্দেশ্য করে বল্লেনঃ হে অমুক! তুমি সুরাটি পড়তে থাক। কারণ এটি ছিল আল্লাহর রহমাত বা প্রশান্তি যা কুরআন তিলাওয়াতের কারণে বা কুরআন তিলাওয়াতের জন্য অবতীর্ণ হয়েছিল। (ই.ফা. ১৭২৭, ই.সে. ১৭৩৪)

১৭৪১

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ كَانَ رَجُلٌ يَقْرَأُ سُورَةَ الْكَهْفِ وَعِنْدَهُ فَرَسٌ مَرْبُوطٌ بِشَطَنَيْنِ فَتَغَشَّتْهُ سَحَابَةٌ فَجَعَلَتْ تَدُورُ وَتَدْنُو وَجَعَلَ فَرَسُهُ يَنْفِرُ مِنْهَا فَلَمَّا أَصْبَحَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ ‏ "‏ تِلْكَ السَّكِينَةُ تَنَزَّلَتْ لِلْقُرْآنِ ‏"‏ ‏.

বারা ইবনু ‘আযিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি সুরাহ্‌ আল কাহ্‌ফ পড়ছিল। সে সময় তাঁর কাছে মজবুত লম্বা দু’টি রশি দিয়ে একটি ঘোড়া বাঁধা ছিল। এ সময় একখণ্ড মেঘ তাঁর মাথার উপরে হাজির হ’ল। মেঘ খণ্ডটি ঘুরছিল এবং নিকটবর্তী হচ্ছিল। এ দেখে তার ঘোড়াটি ছুটে পালাচ্ছিল। সকাল বেলা সে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে ঐ বিষয়টি বর্ণনা করল। এসব কথা শুনে তিনি বললেনঃ এটি ছিল (আল্লাহর তরফ থেকে) রহমাত বা প্রশান্তি যা কুরআন পাঠের কারণে অবতীর্ণ হয়েছিল। (ই.ফা. ১৭২৬, ই.সে. ১৭৩৩)

১৭৪৪

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنِي حَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، وَحَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، - وَتَقَارَبَا فِي اللَّفْظِ - قَالاَ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ الْهَادِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ خَبَّابٍ، حَدَّثَهُ أَنَّ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ حَدَّثَهُ أَنَّ أُسَيْدَ بْنَ حُضَيْرٍ بَيْنَمَا هُوَ لَيْلَةً يَقْرَأُ فِي مِرْبَدِهِ إِذْ جَالَتْ فَرَسُهُ فَقَرَأَ ثُمَّ جَالَتْ أُخْرَى فَقَرَأَ ثُمَّ جَالَتْ أَيْضًا قَالَ أُسَيْدٌ فَخَشِيتُ أَنْ تَطَأَ يَحْيَى فَقُمْتُ إِلَيْهَا فَإِذَا مِثْلُ الظُّلَّةِ فَوْقَ رَأْسِي فِيهَا أَمْثَالُ السُّرُجِ عَرَجَتْ فِي الْجَوِّ حَتَّى مَا أَرَاهَا - قَالَ - فَغَدَوْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ بَيْنَمَا أَنَا الْبَارِحَةَ مِنْ جَوْفِ اللَّيْلِ أَقْرَأُ فِي مِرْبَدِي إِذْ جَالَتْ فَرَسِي ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اقْرَإِ ابْنَ حُضَيْرٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَقَرَأْتُ ثُمَّ جَالَتْ أَيْضًا ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اقْرَإِ ابْنَ حُضَيْرٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَقَرَأْتُ ثُمَّ جَالَتْ أَيْضًا ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اقْرَإِ ابْنَ حُضَيْرٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَانْصَرَفْتُ ‏.‏ وَكَانَ يَحْيَى قَرِيبًا مِنْهَا خَشِيتُ أَنْ تَطَأَهُ فَرَأَيْتُ مِثْلَ الظُّلَّةِ فِيهَا أَمْثَالُ السُّرُجِ عَرَجَتْ فِي الْجَوِّ حَتَّى مَا أَرَاهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ تِلْكَ الْمَلاَئِكَةُ كَانَتْ تَسْتَمِعُ لَكَ وَلَوْ قَرَأْتَ لأَصْبَحَتْ يَرَاهَا النَّاسُ مَا تَسْتَتِرُ مِنْهُمْ ‏"‏ ‏.

আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একরাতে উসায়দ ইবনু হুযায়র তার ঘোড়ার আস্তাবলে কুরআন মাজীদ পাঠ করছিলেন। এমন সময় তার ঘোড়া লাফঝাপ দিতে শুরু করল। তিনি (কিছুক্ষণ পর) পুনরায় পাঠ করতে থাকলে ঘোড়াটিও পুনরায় লাফঝাপ দিতে শুরু করল। (কিছুক্ষণ পর) তিনি আবার পাঠ করলেন এবারও ঘোড়াটি লাফ দিল। উসায়দ ইবনু হুযায়র বলেন- এতে আমি আশঙ্কা করলাম যে, ঘোড়াটি (শায়িত ছেলে) ইয়াহ্‌ইয়াকে পদপিষ্ট করতে পারে। তাই আমি উঠে তার কাছে গেলাম। হঠাৎ আমার মাথার উপর সামিয়ানার মত কিছু দেখতে পেলাম। তার ভিতরে অনেকগুলো প্রদীপের মত জিনিস আলোকিত করে আছে। অতঃপর এগুলো উপরের দিকে শূন্যে উঠে গেল এবং আমি আর তা দেখতে পেলাম না। তিনি বলেছেনঃ পরদিন সকালে আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে গিয়ে বললাম, হে আল্লাহর রসুল! গতকাল রাতে আমি আমার ঘোড়ার আস্তাবলে কুরআন মাজীদ পাঠ করছিলাম। এমতাবস্থায় আমার ঘোড়াটি হঠাৎ লাফঝাপ দিতে শুরু করল। এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে ইবনু হুযায়র! তুমি পাঠ করতে থাকতে। আমি পাঠ করে সমাপ্ত করলাম। ইয়াহ্‌ইয়া ঘোড়াটির পাশেই ছিল। তাই ঘোড়াটি তাকে পদদলিত করে ফেলতে পারে আমি আশঙ্কা করলাম (এবং এগিয়ে গেলাম)। তখন আমি মেঘপুঞ্জের মত কিছু দেখতে পেলাম যার মধ্যে প্রদীপের মত কোন জিনিস আলো দিচ্ছিল। এটি উপর দিকে উঠে গেল এমনকি তা আমার দৃষ্টির আড়াল হয়ে গেল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এসব শুনে বললেনঃ ওসব ছিল মালায়িকাহ্‌ (ফেরেশতাগণ)। তারা তোমার কুরআন শ্রবণ করছিল; তুমি যদি পড়তে থাকতে তাহলে ভোর পর্যন্ত তারা থাকত। আর লোকজন তাদেরকে দেখতে পেত। তারা লোকজনের দৃষ্টির আড়াল হত না। (ই.ফা. ১৭২৯, ই.সে. ১৭৩৬)

১৭৪৩

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، وَأَبُو دَاوُدَ قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ، يَقُولُ ‏.‏ فَذَكَرَا نَحْوَهُ غَيْرَ أَنَّهُمَا قَالاَ تَنْقُزُ ‏.

আবূ ইসহাক্ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি বারা ইবনু ‘আযিবকে বলতে শুনেছি। এতটুকু বর্ণনা করার পর উভয়েই পূর্ব বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে তারা (আরবী) শব্দ উল্লেখ করেছেন। (ই.ফা. ১৭২৮, ই.সে. ১৭৩৫)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন