hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সহিহ মুসলিম

১৯. ত্বলাক্ব

صحيح مسلم

১৯/ পরিচ্ছেদঃ সম্মতি ব্যতীত ঋতুমতীকে ত্বলাক্ব প্রদান হারাম, যদি ত্বলাক্ব দেয় তবে ত্বলাক্ব হয়ে যাবে এবং ত্বলাক্ব প্রদানকারীকে রাজ‘আতের (স্ত্রী ফিরিয়ে নেয়ার) নির্দেশ দিতে হবে

৩৫৫৬

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنِي يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، عَنِ ابْنِ عُلَيَّةَ، عَنْ يُونُسَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ، سِيرِينَ عَنْ يُونُسَ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ قُلْتُ لاِبْنِ عُمَرَ رَجُلٌ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ وَهْىَ حَائِضٌ فَقَالَ أَتَعْرِفُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ فَإِنَّهُ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ وَهْىَ حَائِضٌ فَأَتَى عُمَرُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلَهُ فَأَمَرَهُ أَنْ يَرْجِعَهَا ثُمَّ تَسْتَقْبِلَ عِدَّتَهَا ‏.‏ قَالَ فَقُلْتُ لَهُ إِذَا طَلَّقَ الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ وَهْىَ حَائِضٌ أَتَعْتَدُّ بِتِلْكَ التَّطْلِيقَةِ فَقَالَ فَمَهْ أَوَإِنْ عَجَزَ وَاسْتَحْمَقَ

(মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন সূত্রে) ইউনুস ইবনু জুবায়ের (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘উমার (রাঃ)-কে বললামঃ এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর হায়য অবস্থায় তাকে ত্বলাক্ব দিল। (এর হুকুম কি?)। তিনি বললেন, তুমি ‘‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)-কে জান কি সে তাঁর স্ত্রীকে হায়য অবস্থায় ত্বলাক্ব দিয়েছিল? তখন ‘উমার (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি তাকে হুকুম করলেন যে, সে (ইবনু ‘উমার) তাকে (স্ত্রী) রাজ’আত করে নিবে। এরপর তার ‘ইদ্দাতের (নিশ্চয়তাযুক্ত সময়ের) প্রতীক্ষায় থাকবে। ইউনুস (রহঃ) বলেন, তখন আমি তাকে (ইবনু ‘উমারকে) বললাম, কোন পুরুষ যখন তার স্ত্রীকে হায়য অবস্থায় ত্বলাক্ব দিবে তখন ঐ ত্বলাক্বটি হিসাবে গণনা করা হবে কি? তিনি বললেন, তবে আর কি যদি নাকি সে অক্ষম হয়ে গিয়ে থাকে কিংবা বোকামি করে থাকে (তাহলে কি তার এ কাজের পরিণতি দেখা দিবে না?) (ই.ফা. ৩৫২৮, ই.সে. ৩৫২৭)

৩৫৫৭

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ سَمِعْتُ يُونُسَ بْنَ جُبَيْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، يَقُولُ طَلَّقْتُ امْرَأَتِي وَهْىَ حَائِضٌ فَأَتَى عُمَرُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لِيُرَاجِعْهَا ‏.‏ فَإِذَا طَهَرَتْ فَإِنْ شَاءَ فَلْيُطَلِّقْهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَقُلْتُ لاِبْنِ عُمَرَ أَفَاحْتَسَبْتَ بِهَا قَالَ مَا يَمْنَعُهُ ‏.‏ أَرَأَيْتَ إِنْ عَجَزَ وَاسْتَحْمَقَ

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি আমার স্ত্রীকে ত্বলাক্ব দিলাম- তখন সে হায়য অবস্থায় ছিল। তখন ‘উমার (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট গিয়ে তাঁর কাছে বিষয়টি আলোচনা করলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ সে যেন তাকে রাজ’আত করে নেয়। পরে যখন সে (হায়য হতে) পবিত্র হবে তখন ইচ্ছা করলে তাকে ত্বলাক্ব দিবে। রাবী ইউনুস (রহঃ) বলেন, আমি ইবনু ‘উমার (রাঃ)-কে বললাম, সেটি (ত্বলাক্ব) কি হিসাব করা হবে? তিনি বললেন, কোন্‌ বিষয়ে তাকে বাধা দিবে- বলত যদি সে অপরাগ হইয়ে থাকে এবং আহ্‌ম্মকি করে থাকে। (ই.ফা. ৩৫২৯, ই.সে. ৩৫২৮)

৩৫৫৯

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ سِيرِينَ، أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عُمَرَ، قَالَ طَلَّقْتُ امْرَأَتِي وَهْىَ حَائِضٌ فَأَتَى عُمَرُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ ‏ "‏ مُرْهُ فَلْيُرَاجِعْهَا ثُمَّ إِذَا طَهَرَتْ فَلْيُطَلِّقْهَا ‏" ‏.‏ قُلْتُ لاِبْنِ عُمَرَ أَفَاحْتَسَبْتَ بِتِلْكَ التَّطْلِيقَةِ قَالَ فَمَهْ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আমার স্ত্রীকে হায়য অবস্থায় ত্বলাক্ব দেই। ‘উমার (রাঃ) বিষয়টি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে উল্লেখ করলে তিনি বললেন, তাঁকে আদেশ কর সে যেন তাঁর স্ত্রীকে রাজ’আত করে। পরে যখন সে পবিত্র হবে তখন যেন সে (ইচ্ছা করলে) তাকে পবিত্র অবস্থায় ত্বলাক্ব দেয়। আমি ইবনু ‘উমার (রাঃ)-কে বললাম, তবে কি হায়য অবস্থায় প্রদত্ত ত্বলাক্বটি কি আপনি কি হিসাবে ধরবেন? তিনি বললেন, তবে কী করব। (ই.ফা. ৩৫৩১, ই.সে. ৩৫৩০)

৩৫৪৫

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، رُمْحٍ - وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى - قَالَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا لَيْثٌ، وَقَالَ الآخَرَانِ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، - عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّهُ طَلَّقَ امْرَأَةً لَهُ وَهْىَ حَائِضٌ تَطْلِيقَةً وَاحِدَةً فَأَمَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُرَاجِعَهَا ثُمَّ يُمْسِكَهَا حَتَّى تَطْهُرَ ثُمَّ تَحِيضَ عِنْدَهُ حَيْضَةً أُخْرَى ثُمَّ يُمْهِلَهَا حَتَّى تَطْهُرَ مِنْ حَيْضَتِهَا فَإِنْ أَرَادَ أَنْ يُطَلِّقَهَا فَلْيُطَلِّقْهَا حِينَ تَطْهُرُ مِنْ قَبْلِ أَنْ يُجَامِعَهَا فَتِلْكَ الْعِدَّةُ الَّتِي أَمَرَ اللَّهُ أَنْ يُطَلَّقَ لَهَا النِّسَاءُ ‏.‏ وَزَادَ ابْنُ رُمْحٍ فِي رِوَايَتِهِ وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ إِذَا سُئِلَ عَنْ ذَلِكَ قَالَ لأَحَدِهِمْ أَمَّا أَنْتَ طَلَّقْتَ امْرَأَتَكَ مَرَّةً أَوْ مَرَّتَيْنِ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَمَرَنِي بِهَذَا وَإِنْ كُنْتَ طَلَّقْتَهَا ثَلاَثًا فَقَدْ حَرُمَتْ عَلَيْكَ حَتَّى تَنْكِحَ زَوْجًا غَيْرَكَ وَعَصَيْتَ اللَّهَ فِيمَا أَمَرَكَ مِنْ طَلاَقِ امْرَأَتِكَ ‏.‏ قَالَ مُسْلِمٌ جَوَّدَ اللَّيْثُ فِي قَوْلِهِ تَطْلِيقَةً وَاحِدَةً ‏.‏

নাফি’ (রহঃ) সূত্রে ‘‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি তাঁর এক স্ত্রীকে হায়য অবস্থায় এক ত্বলাক্ব দিয়ে দেন। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে হুকুম দিলেন যেন সে স্ত্রীকে রাজ’আত করে নেয়। অতঃপর পবিত্র হওয়ার পরে পুনঃ আর একটি হায়য হওয়া পর্যন্ত তাকে নিজের কাছে রেখে দিবে। এরপর তার (এ পরবর্তী) হায়য হতে পবিত্র হওয়া পর্যন্ত তাকে অবকাশ দিবে। তখন যদি তাকে ত্বলাক্ব দেয়ার ইচ্ছা হয় তবে পবিত্র হবার সময় তার সঙ্গে যৌন সঙ্গম করার আগে তাকে ত্বলাক্ব দিবে। এটাই হল সে ‘ইদ্দাত যার প্রতি লক্ষ্য রেখে স্ত্রীদের ত্বলাক্ব প্রদানের আদেশ আল্লাহ দিয়েছেন।

........ ইবনু রুম্‌হ (রহঃ) তার রিওয়ায়াতে অধিক বলেছেন- এবং এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসিত হলে ‘‘আবদুল্লাহ (রাঃ) তাদের (প্রশ্নকর্তাদের) যে কাউকে বলতেন : দেখ, তুমি তোমার স্ত্রীকে (যতক্ষণ) একবার কিংবা দু’বার ত্বলাক্ব দিলে তা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে এরূপ (রাজ’আত) করার নির্দেশ দিয়েছেন। আর তুমি তাকে তিন ত্বলাক্ব দিয়ে দিলে তবে সে (স্ত্রী) তোমার জন্য হারাম হয়ে যাবে- যতক্ষণ না তুমি ব্যতীত অন্য কাউকে সে বিয়ে করে। আর তোমার স্ত্রীকে ত্বলাক্ব দেয়ার ব্যাপারে আল্লাহ তোমাকে বিধান দিয়েছিলেন তাতে তুমি তাঁর প্রতি অবাধ্যতা দেখালে।
ইমাম মুসলিম (রহঃ) বলেছেনঃ রাবী লায়স (রহঃ) (কুতায়বাহ্‌ প্রমুখের শায়খ) তার ‘একটি ত্বলাক্ব’ কথাটি স্পষ্ট করে দিয়ে উত্তম কাজ করেছেন। (ই.ফা. ৩৫১৭, ই.সে. ৩৫১৬)

৩৫৪৪

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ وَهْىَ حَائِضٌ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مُرْهُ فَلْيُرَاجِعْهَا ثُمَّ لْيَتْرُكْهَا حَتَّى تَطْهُرَ ثُمَّ تَحِيضَ ثُمَّ تَطْهُرَ ثُمَّ إِنْ شَاءَ أَمْسَكَ بَعْدُ وَإِنْ شَاءَ طَلَّقَ قَبْلَ أَنْ يَمَسَّ فَتِلْكَ الْعِدَّةُ الَّتِي أَمَرَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ يُطَلَّقَ لَهَا النِّسَاءُ‏"‏ ‏.‏

নাফি’ (রহঃ)-এর সূত্রে ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সময়কালে তিনি (ইবনু ‘উমার) তাঁর স্ত্রীকে হায়য অবস্থায় ত্বলাক্ব দিলেন। তখন ‘উমার (রাঃ)-এ বিষয়ে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট জিজ্ঞেস করলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বললেন, তাকে [‘‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)-কে] আদেশ কর, যেন সে তাকে (স্ত্রীকে) রাজ’আত করে (পুনঃ স্ত্রীরূপে গ্রহণ করে) নেয়। অতঃপর তার (হায়য হতে) পবিত্র হবার পরে পুনঃ হায়য এবং তার পরে পুনঃ পবিত্র (তুহর) হওয়া পর্যন্ত তাকে স্থিতাবস্থায় রেখে দেয়। এরপর পরবর্তী সময় তার ইচ্ছা হলে তাকে (স্ত্রী রূপে) রেখে দিবে। আর ইচ্ছে হলে সহবাসের পূর্বে তাকে ত্বলাক্ব দিবে। এটা হল সে ‘ইদ্দাত যার প্রতি লক্ষ্য রেখে স্ত্রীদের ত্বলাক্ব দেয়ার জন্য মহান আল্লাহ আদেশ করেছেন।[৫৬] (ই.ফা. ৩৫১৬, ই.সে. ৩৫১৫[ক])
[৫৬] “হে নাবী তোমরা যখন তোমাদের স্ত্রীদেরকে ত্বলাক্ব দিতে ইচ্ছে কর, তখন তাদের ত্বলাক্ব দিও ‘ইদ্দাতের প্রতি লক্ষ্য রেখে......” –(সূরাহ্ আত্ ত্বলাক্ব ৬৫ : ১)। এ আয়াতের প্রতি ইশারা করে।

৩৫৪৯

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنِي عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنِي يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، - وَهُوَ ابْنُ أَخِي الزُّهْرِيِّ - عَنْ عَمِّهِ، أَخْبَرَنَا سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، قَالَ طَلَّقْتُ امْرَأَتِي وَهْىَ حَائِضٌ فَذَكَرَ ذَلِكَ عُمَرُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَتَغَيَّظَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَالَ ‏ "‏ مُرْهُ فَلْيُرَاجِعْهَا حَتَّى تَحِيضَ حَيْضَةً أُخْرَى مُسْتَقْبَلَةً سِوَى حَيْضَتِهَا الَّتِي طَلَّقَهَا فِيهَا فَإِنْ بَدَا لَهُ أَنْ يُطَلِّقَهَا فَلْيُطَلِّقْهَا طَاهِرًا مِنْ حَيْضَتِهَا قَبْلَ أَنْ يَمَسَّهَا فَذَلِكَ الطَّلاَقُ لِلْعِدَّةِ كَمَا أَمَرَ اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏ وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ طَلَّقَهَا تَطْلِيقَةً وَاحِدَةً فَحُسِبَتْ مِنْ طَلاَقِهَا وَرَاجَعَهَا عَبْدُ اللَّهِ كَمَا أَمَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

সালিম ইবনু ‘‘আবদুল্লাহ (রহঃ) সুত্র থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেছেন, আমি আমার স্ত্রীকে ত্বলাক্ব দিলাম- তখন সে ঋতুমতী ছিল। ‘উমার (রাঃ) তা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উল্লেখ করলেন। ফলে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাগান্বিত হলেন। পরে বললেন, তাকে আদেশ কর সে যেন তাকে রাজ’আত করে নেয়- যতক্ষণ না যে হায়েয কালে তাকে ত্বলাক্ব দিয়েছে সেটি ব্যতীত আর একটি হায়েযে সে ঋতুমতী হয়। তখন যদি তাকে ত্বলাক্ব দেয়া তার মনঃপুত হয় তবে যেন তার হায়য থেকে পবিত্র হওয়া অবস্থায় তার সঙ্গে যৌন সঙ্গম করার আগে তাকে ত্বলাক্ব দেয়। তিনি আরো বললেন, এটিই হল ‘ইদ্দাতের (সময় নির্ণয়ের) জন্য ত্বলাক্ব প্রদান যেমন আল্লাহ হুকুম করেছেন। (সালিম বলন) ‘‘আবদুল্লাহ (রাঃ) তাকে এক ত্বলাক্ব দিয়েছিলেন। সেটি তার ত্বলাক্ব গণনা করা হল (অর্থাৎ এক ত্বলাক্ব ধরা হল) এবং রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নির্দেশ অনুসারে ‘‘আবদুল্লাহ (রাঃ) তাকে (স্ত্রীকে রাজ’আত করে নিয়েছিলেন।) (ই.ফা. ৩৫২১, ই.সে. ৩৫২০)

৩৫৪৮

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، طَلَّقَ امْرَأَتَهُ وَهْىَ حَائِضٌ فَسَأَلَ عُمَرُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَهُ أَنْ يَرْجِعَهَا ثُمَّ يُمْهِلَهَا حَتَّى تَحِيضَ حَيْضَةً أُخْرَى ثُمَّ يُمْهِلَهَا حَتَّى تَطْهُرَ ثُمَّ يُطَلِّقَهَا قَبْلَ أَنْ يَمَسَّهَا فَتِلْكَ الْعِدَّةُ الَّتِي أَمَرَ اللَّهُ أَنْ يُطَلَّقَ لَهَا النِّسَاءُ ‏.‏ قَالَ فَكَانَ ابْنُ عُمَرَ إِذَا سُئِلَ عَنِ الرَّجُلِ يُطَلِّقُ امْرَأَتَهُ وَهْىَ حَائِضٌ يَقُولُ أَمَّا أَنْتَ طَلَّقْتَهَا وَاحِدَةً أَوِ اثْنَتَيْنِ ‏.‏ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَمَرَهُ أَنْ يَرْجِعَهَا ثُمَّ يُمْهِلَهَا حَتَّى تَحِيضَ حَيْضَةً أُخْرَى ثُمَّ يُمْهِلَهَا حَتَّى تَطْهُرَ ثُمَّ يُطَلِّقَهَا قَبْلَ أَنْ يَمَسَّهَا وَأَمَّا أَنْتَ طَلَّقْتَهَا ثَلاَثًا فَقَدْ عَصَيْتَ رَبَّكَ فِيمَا أَمَرَكَ بِهِ مِنْ طَلاَقِ امْرَأَتِكَ ‏.‏ وَبَانَتْ مِنْكَ ‏.‏

নাফি’ (রহঃ)-এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু ‘উমার (রাঃ) তাঁর স্ত্রীকে তার ঋতুকালীন অবস্থায় ত্বলাক্ব দিলেন। তখন ‘উমার (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে (এ বিষয়ে) জিজ্ঞেস করলে তিনি তাঁকে (ইবনু ‘উমারকে) হুকুম দিলেন যে, স্ত্রীকে সে রাজ’আত (পুনঃগ্রহণ) করে নিবে। এরপর তাকে অপর একটি ঋতুতে ঋতুমতী হওয়া পর্যন্ত অবকাশ দিবে। অতঃপর (ঋতু হতে) পবিত্র হওয়া পর্যন্ত তাকে অবকাশ দিবে। পরে তার সঙ্গে যৌন সঙ্গম করার আগেই তাকে ত্বলাক্ব দিবে। এটাই হল সে ‘ইদ্দাত যার প্রতি লক্ষ্য রেখে স্ত্রীদের ত্বলাক্ব দেয়ার জন্য মহামহীয়ান আল্লাহ হুকুম করেছেন। রাবী (নাফি’) বলেন, পরবর্তীতে স্ত্রীর হায়য অবস্থায় ত্বলাক্ব প্রদানকারী পুরুষ (এর মাসাআলা) সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করা হলে ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলতেন, যদি তুমি এক কিংবা দু’ত্বলাক্ব দিয়ে থাক, নিশ্চই রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে হুকুম দিয়েছেন যে, সে তাকে রাজ’আত করে নিবে। অতঃপর আর একটি হায়েযে ঋতুমতী হওয়া পর্যন্ত তাকে অবকাশ দিবে, এরপর পবিত্রতা (তুহর) পর্যন্ত তাকে অবকাশ দিবে। অতঃপর স্পর্শ (যৌন সঙ্গম) করার আগেই ত্বলাক্ব দিবে (যদি ইচ্ছা কর)। আর যদি তুমি তাকে তিন ত্বলাক্ব দিয়ে থাক তবে তুমি তোমার প্রতিপালকের অবাধ্য হয়েছো- তোমার স্ত্রীকে ত্বলাক্ব দেয়ার ব্যাপারে তিনি তোমাকে যে আদেশ করেছেন সে ব্যাপারে এবং সে স্ত্রী তোমার সঙ্গ হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। (ই.ফা. ৩৫২০, ই.সে ৩৫১৯)

৩৫৪৭

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ نَحْوَهُ وَلَمْ يَذْكُرْ قَوْلَ عُبَيْدِ اللَّهِ لِنَافِعٍ ‏.‏ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى فِي رِوَايَتِهِ فَلْيَرْجِعْهَا ‏.‏ وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ فَلْيُرَاجِعْهَا ‏.‏

‘উবায়দুল্লাহ (রহঃ) সূত্রে এ সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তবে নাফি’ (রহঃ)-এর উদ্দেশ্যে, ‘উবায়দুল্লাহ (রহঃ)-এর বক্তব্যটি এতে উল্লেখিত হয়নি।

এছাড়া ইবনুল মুসান্না (রাঃ) তার রিওয়ায়াতে বলেছেন (আরবী) ‘সে যেন প্রত্যাহার করে’ এবং আবূ বকর (রহঃ) বলেছেন (আরবী) ‘সে যেন ফিরিয়ে নেয়’। (ই.ফা. ৩৫১৯, ই.সে. ৪৫১৮)

৩৫৪৬

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ طَلَّقْتُ امْرَأَتِي عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهْىَ حَائِضٌ فَذَكَرَ ذَلِكَ عُمَرُ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ "‏ مُرْهُ فَلْيُرَاجِعْهَا ثُمَّ لْيَدَعْهَا حَتَّى تَطْهُرَ ثُمَّ تَحِيضَ حَيْضَةً أُخْرَى فَإِذَا طَهُرَتْ فَلْيُطَلِّقْهَا قَبْلَ أَنْ يُجَامِعَهَا أَوْ يُمْسِكْهَا فَإِنَّهَا الْعِدَّةُ الَّتِي أَمَرَ اللَّهُ أَنْ يُطَلَّقَ لَهَا النِّسَاءُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ قُلْتُ لِنَافِعٍ مَا صَنَعَتِ التَّطْلِيقَةُ قَالَ وَاحِدَةٌ اعْتَدَّ بِهَا ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে আমি আমার স্ত্রীকে ত্বলাক্ব দিলাম, তখন সে ঋতুমতী ছিল। ‘উমার (রাঃ) বিষয়টি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে আলোচনা করলে তিনি বললেন, তাকে আদেশ কর সে যেন তাকে রাজ’আত (পুনঃগ্রহণ) করে। অতঃপর পবিত্র হয়ে পুনরায় আর একটি মাসিকে ঋতুমতী হওয়া পর্যন্ত তাকে স্থিতাবস্থায় রেখে দিবে। পরে যখন পবিত্র হবে তখন তার সঙ্গে যৌন সঙ্গম করার আগে (যৌন সঙ্গম মুক্ত তুহর কালে) তাকে ত্বলাক্ব দিবে কিংবা তাকে (স্ত্রীরূপে) রেখে দিবে। কেননা, এটাই হল সে ‘ইদ্দাত যার প্রতি লক্ষ্য রেখে স্ত্রীদের ত্বলাক্ব দেয়ার জন্য আল্লাহ তা’আলা আদেশ করেছেন।

রাবী ‘উবায়দুল্লাহ (রহঃ) বলেন, আমি শায়খ নাফি’ (রহঃ)-কে বললাম ধার্য করা হল। (ই.ফা. ৩৫১৮, ই.সে. ৩৫১৭)

৩৫৫০

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنِيهِ إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ رَبِّهِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنِي الزُّبَيْدِيُّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ قَالَ ابْنُ عُمَرَ فَرَاجَعْتُهَا وَحَسَبْتُ لَهَا التَّطْلِيقَةَ الَّتِي طَلَّقْتُهَا ‏.‏

(পূর্বোক্ত সানাদের ন্যায়) যুহরী (রহঃ) সূত্রে ঐ সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

তবে এতে রাবী (সরাসরি ইবনু ‘উমারের উক্তি উদ্ধৃত করে) বলেছেন যে, ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেছেন, পরে আমি তাকে রাজ’আত করে নিলাম এবং তাকে যে ত্বলাক্বটি দিয়েছিলাম তা তার জন্য একটি ত্বলাক্বরূপে হিসাব করা হল। (ই.ফা. ৩৫২২, ই.সে. ৩৫২১)

৩৫৫২

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ حَكِيمٍ الأَوْدِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ، - وَهُوَ ابْنُ بِلاَلٍ - حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ وَهْىَ حَائِضٌ فَسَأَلَ عُمَرُ عَنْ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ "‏ مُرْهُ فَلْيُرَاجِعْهَا حَتَّى تَطْهُرَ ثُمَّ تَحِيضَ حَيْضَةً أُخْرَى ثُمَّ تَطْهُرَ ثُمَّ يُطَلِّقَ بَعْدُ أَوْ يُمْسِكَ ‏"‏ ‏.‏

‘আবদুল্লাহ ইবনু দীনার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু ‘উমার (রাঃ) সম্পর্কে বর্ণনা করেন যে, তিনি নিজের স্ত্রীকে- যখন সে হায়য অবস্থায় ছিল- ত্বলাক্ব দিলেন। তখন ‘উমার (রাঃ) এ বিষয়ে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, তাঁকে হুকুম কর যেন সে তাকে (স্ত্রীকে) রাজ’আত করে নেয়। অবশেষে সে আর একটি হায়েযে ঋতুমতী হবার পরে আবার পবিত্র হলে, তখন তাকে ত্বলাক্ব দিবে কিংবা (স্ত্রীরূপে) রেখে দিবে। (ই.ফা. ৩৫২৪, ই.সে. ৩৫২৩)

৩৫৫১

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ - وَاللَّفْظُ لأَبِي بَكْرٍ - قَالُوا حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، مَوْلَى آلِ طَلْحَةَ عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ وَهْىَ حَائِضٌ فَذَكَرَ ذَلِكَ عُمَرُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ "‏ مُرْهُ فَلْيُرَاجِعْهَا ثُمَّ لْيُطَلِّقْهَا طَاهِرًا أَوْ حَامِلاً ‏"‏ ‏.‏

সালিম (রহ) সূত্রে ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নিজের স্ত্রীকে তার ঋতুবতী অবস্থায় ত্বলাক্ব দিলেন। তখন ‘উমার (রাঃ) বিষয়টি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সকাশে আলোচনা করলেন। তিনি বললেন, তাঁকে আদেশ কর যেন সে তাকে রাজ’আত করে নেয়। পরে যেন তাকে তুহর (পবিত্র) অবস্থায় কিংবা গর্ভাবস্থায় (অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে) ত্বলাক্ব দেয়।[৫৭] (ই.ফা. ৩৫২৩, ই.সে. ৩৫২২)
[৫৭] এ বর্ণনার প্রেক্ষিতে উম্মাতের ইজমা হল, হায়য অবস্থায় ত্বলাক্ব দেয়া হারাম। আর ত্বলাক্ব দিলে গুনাহগার হবে। হাদীসে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রুজু তথা ত্বলাক্ব প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেয়াতে স্পষ্টভাবে জানা গেল যে, ত্বলাক্ব পতিত হয়েছে এবং রাজ’আত করা ‘মুসতাহাব’। এটাও স্পষ্ট হল যে, ত্বলাক্ব প্রদানের স্থান তুহুর তথা পবিত্র অবস্থা। আর হাদীসের শেষে যে, ত্বলাক্ব দিবে তুহুর বা গর্ভাবস্থায় এ দ্বারা জানা গেল যে, গর্ভাবস্থায় ত্বলাক্ব প্রদান জায়িয। ইমাম শফি’ঈ এবং অধিকাংশ ‘আলিম যেমন ত্বাউস, হাসান, ইবনু সীরীন ও অন্যান্যদের মতও এটাই।

৩৫৫৩

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ، سِيرِينَ قَالَ مَكَثْتُ عِشْرِينَ سَنَةً يُحَدِّثُنِي مَنْ لاَ أَتَّهِمُ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ ثَلاَثًا وَهْىَ حَائِضٌ فَأُمِرَ أَنْ يُرَاجِعَهَا فَجَعَلْتُ لاَ أَتَّهِمُهُمْ وَلاَ أَعْرِفُ الْحَدِيثَ حَتَّى لَقِيتُ أَبَا غَلاَّبٍ يُونُسَ بْنَ جُبَيْرٍ الْبَاهِلِيَّ ‏.‏ وَكَانَ ذَا ثَبَتٍ فَحَدَّثَنِي أَنَّهُ سَأَلَ ابْنَ عُمَرَ فَحَدَّثَهُ أَنَّهُ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ تَطْلِيقَةً وَهْىَ حَائِضٌ فَأُمِرَ أَنْ يَرْجِعَهَا - قَالَ - قُلْتُ أَفَحُسِبَتْ عَلَيْهِ قَالَ فَمَهْ ‏.‏ أَوَإِنْ عَجَزَ وَاسْتَحْمَقَ.

ইবনু সীরীন (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, বিশ বছর আমি এ অবস্থায় অবস্থান করলাম যে, আমি অবিশ্বস্ত মনে করি না এমন লোক আমাকে এ মর্মে হাদীস শোনাচ্ছিল যে, ইবনু ‘উমার (রাঃ) তাঁর স্ত্রী ঋতুবতী অবস্থায় তাকে তিন ত্বলাক্ব দেয়ার পরে তাকে রাজ’আত করে নেয়ার জন্য তিনি আদিষ্ট হয়েছিলেন। আমি এ বর্ণনাকারীদের প্রতি অনাস্থা ও সন্দেহ পোষণ করছিলাম না অথচ আমি ছিলাম প্রকৃত হাদীসের পরিচয় লাভে বঞ্চিত। অবশেষে আমি আবূ গাল্লাব ইউনুস ইবনু জুবায়র আল বাহিলী (রহঃ)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম। তিনি ছিলেন স্থিরমতি-আস্থাভাজন। তিনি আমাকে হাদীস বর্ণনা করলেন যে, তিনি (নিজে) ইবনু ‘উমার (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি (ইবনু ‘উমার) তাঁকে হাদীস বর্ণনা করলেন যে, তিনি তাঁর স্ত্রীকে তার হায়য চলাকালে এক ত্বলাক্ব দিয়েছিলেন। তখন তাকে রাজ’আত করে নেয়ার জন্য তিনি আদিষ্ট হলেন। তিনি (আবূ গাল্লাব) বলেছেন, তবে আর কী! যদি নাকি তিনি (ইবনু ‘উমার) অপারগ হয়ে থাকেন ও নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিয়ে থাকেন। (তাতে কার কী আসে যায়)। (ই.ফা. ৩৫২৫, ই.সে. ৩৫২৪)

৩৫৫৪

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو الرَّبِيعِ، وَقُتَيْبَةُ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ نَحْوَهُ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فَسَأَلَ عُمَرُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَهُ ‏.‏

(পূর্বোক্ত সানাদের রাবী) আইয়ুব (রহঃ)-এর সূত্রে ঐ সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি বলেছেন ..... ‘উমার (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি তাকে হুকুম করলেন। (ই.ফা. ৩৫২৬, ই.সে. ৩৫২৫)

৩৫৫৫

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، عَنْ أَيُّوبَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ فِي الْحَدِيثِ فَسَأَلَ عُمَرُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ فَأَمَرَهُ أَنْ يُرَاجِعَهَا حَتَّى يُطَلِّقَهَا طَاهِرًا مِنْ غَيْرِ جِمَاعٍ وَقَالَ ‏ "‏ يُطَلِّقُهَا فِي قُبُلِ عِدَّتِهَا ‏"‏ ‏.‏

আইয়ুব (রহঃ)-এর সূত্রে এ সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

এ সানাদের হাদীসে রাবী বলেছেন, পরে ‘উমার (রাঃ) এ বিষয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি তাকে পুনঃগ্রহণ করে নেয়ার জন্য তাঁর (ইবনু ‘উমারের) প্রতি আদেশ প্রদান করলেন। যাতে অবশেষে তাকে (স্ত্রীকে) যৌন সঙ্গমবিহীন তুহর (পবিত্র) অবস্থায় ত্বলাক্ব দিতে পারে। তিনি (নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) আরো বললেন, তার (স্ত্রীর) ‘ইদ্দাত (এর সময়) এর পূর্ব ভাগে (আগমন কালে) তাকে ত্বলাক্ব দিবে। (ই.ফা. ৩৫২৭, ই.সে. ৩৫২৬)

৩৫৫৮

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ، سِيرِينَ قَالَ سَأَلْتُ ابْنَ عُمَرَ عَنِ امْرَأَتِهِ الَّتِي، طَلَّقَ فَقَالَ طَلَّقْتُهَا وَهْىَ حَائِضٌ فَذُكِرَ ذَلِكَ لِعُمَرَ فَذَكَرَهُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ "‏ مُرْهُ فَلْيُرَاجِعْهَا فَإِذَا طَهَرَتْ فَلْيُطَلِّقْهَا لِطُهْرِهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَرَاجَعْتُهَا ثُمَّ طَلَّقْتُهَا لِطُهْرِهَا ‏.‏ قُلْتُ فَاعْتَدَدْتَ بِتِلْكَ التَّطْلِيقَةِ الَّتِي طَلَّقْتَ وَهْىَ حَائِضٌ قَالَ مَا لِيَ لاَ أَعْتَدُّ بِهَا وَإِنْ كُنْتُ عَجَزْتُ وَاسْتَحْمَقْتُ ‏.‏

আনাস ইবনু সীরীন (রহঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘উমার (রাঃ)-কে তার সে স্ত্রী সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম যাকে তিনি ত্বলাক্ব দিয়েছিলেন। তিনি বললেন, তাকে আমি ত্বলাক্ব দিয়েছিলাম- যখন সে হায়য অবস্থায় ছিল। আমি বিষয়টি ‘উমার (রাঃ)-এর কাছে উল্লেখ করলে তিনি তা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আলোচনা করলেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তাকে আদেশ কর সে যেন তার স্ত্রীকে পুনঃগ্রহণ করে নেয়। পরে যখন সে পাক হবে তখন যেন সে (ইচ্ছা করলে) তার পাক অবস্থায় তাকে ত্বলাক্ব দেয়। ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেন, আমি তাকে বললাম, তবে কি হায়য অবস্থায় প্রদত্ত ত্বলাক্বটি কি আপনি হিসাবে ধরবেন? তিনি বললেন, আমি কেন সেটা গণনায় ধরবো না? যদি আমি অক্ষম হই অথবা নির্বুদ্ধিতা প্রকাশ করি (তাহলে কি আমার এ কাজ গণনায় আসবে না?) ( ই.ফা. ৩৫৩০, ই.সে. ৩৫২৯)

৩৫৬০

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنِيهِ يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، ح وَحَدَّثَنِيهِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ، بِشْرٍ حَدَّثَنَا بَهْزٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّ فِي، حَدِيثِهِمَا ‏ "‏ لِيَرْجِعْهَا ‏"‏ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِهِمَا قَالَ قُلْتُ لَهُ أَتَحْتَسِبُ بِهَا قَالَ فَمَهْ ‏.‏

(পূর্বোক্ত সানাদের ন্যায়) শু’বাহ্ (রহঃ) সূত্রে এ সানাদ থেকে বর্ণিতঃ

তবে এ দুজনের হাদীসে (আরবী)-এর স্থলে (আরবী) (তাকে ফিরিয়ে আনে) রয়েছে এবং এদের হাদীসে আরো রয়েছে যে, আনাস (রহঃ) বলেন, আমি বললাম, আপনি কি সেটি হিসাবে ধরবেন? তিনি বললেন, তবে আর কী হবে? (ই.ফা. ৩৫৩২, ই.সে. ৩৫৩১)

৩৫৬১

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عُمَرَ، يُسْأَلُ عَنْ رَجُلٍ، طَلَّقَ امْرَأَتَهُ حَائِضًا فَقَالَ أَتَعْرِفُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ فَإِنَّهُ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ حَائِضًا فَذَهَبَ عُمَرُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرَهُ الْخَبَرَ فَأَمَرَهُ أَنْ يُرَاجِعَهَا قَالَ لَمْ أَسْمَعْهُ يَزِيدُ عَلَى ذَلِكَ لأَبِيهِ‏.‏

ইবনু ত্বাউস (রহঃ)-এর পিতা (ত্বাউস) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি স্ত্রীকে হায়য অবস্থায় ত্বলাক্ব প্রদানকারী পুরুষ (এর মাসআলা) সম্পর্কে ইবনু ‘উমার (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসিত হতে শুনলেন। তখন ইবনু ‘উমার (রাঃ) বললেন, তুমি ‘‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার কে জান কি? লোকটি বলল, হাঁ। ইবনু ‘উমার (রাঃ) বললেন, তিনি তো তাঁর স্ত্রীকে হায়য অবস্থায় ত্বলাক্ব দিয়েছিলেন। তখন ‘উমার (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট গিয়ে তাঁকে সংবাদ অবহিত করলে তিনি তাকে (স্ত্রীকে) পুনঃগ্রহণ করে নেয়ার জন্য তাঁকে আদেশ প্রদান করলেন। ইবনু ত্বাউস (রহঃ) বলেন, আমি তাঁকে (পিতাকে) এর অধিক বলতে শুনিনি। (ই.ফা. ৩৫৩৩, ই.সে. ৩৫৩২)

৩৫৬২

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَيْمَنَ، مَوْلَى عَزَّةَ يَسْأَلُ ابْنَ عُمَرَ وَأَبُو الزُّبَيْرِ يَسْمَعُ ذَلِكَ كَيْفَ تَرَى فِي رَجُلٍ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ حَائِضًا فَقَالَ طَلَّقَ ابْنُ عُمَرَ امْرَأَتَهُ وَهْىَ حَائِضٌ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلَ عُمَرُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ وَهْىَ حَائِضٌ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لِيُرَاجِعْهَا ‏"‏ ‏.‏ فَرَدَّهَا وَقَالَ ‏"‏ إِذَا طَهَرَتْ فَلْيُطَلِّقْ أَوْ لِيُمْسِكْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ابْنُ عُمَرَ وَقَرَأَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ فَطَلِّقُوهُنَّ فِي قُبُلِ عِدَّتِهِنَّ ‏.‏

আবূ যুবায়র (রহঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ‘আয্যাহ্-এর মাওলা (আযাদকৃত গোলাম) ‘আবদুর রহমান ইবনু আয়মান (রহঃ)-কে ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর কাছে প্রশ্ন করতে শুনলেন, আবূ যুবায়র (রহঃ) তখন শুনছিলেন– “যে ব্যক্তি তার স্ত্রীকে হায়য অবস্থায় ত্বলাক্ব দিল তার তার সম্পর্কে আপনার অভিমত কী?” ইবনু উমার (রাঃ) বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে ইবনু ‘উমার (রাঃ) তাঁর স্ত্রীকে ত্বলাক্ব দিল যখন সে ঋতুমতী ছিল। ‘উমার (রাঃ) এ বিষয়ে রসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট জিজ্ঞেস করলেন। তিনি বললেন, ‘‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) তার স্ত্রীকে হায়য অবস্থায় তাকে ত্বলাক্ব দিয়েছে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বললেন, সে যেন তাকে পুনঃগ্রহণ করে নেয়। সুতরাং (এভাবে) তিনি তাকে (স্ত্রীকে) ফিরিয়ে নিলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বললেন, যখন (হায়য হতে) পবিত্র হয়ে যাবে তখন (ইচ্ছা করলে) যেন ত্বলাক্ব দেয় কিংবা রেখে দেয়।

ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেন, এবং (এ সময়) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিলাওয়াত করলেনঃ (অর্থ) “হে নাবী! তোমরা যখন তোমাদের স্ত্রীদের ত্বলাক্ব দিতে ইচ্ছা কর তখন তাদের ত্বলাক্ব দিও তাদের ‘ইদ্দাতের (সময় আগমনের) অগ্রভাগে”- (সূরাহ্ আত্ ত্বলাক্ব ৬৫ : ১)। ( ই.ফা. ৩৫৩৪, ই.সে. ৩৫৩৩)

৩৫৬৩

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، ‏.‏ نَحْوَ هَذِهِ الْقِصَّةِ ‏.‏

আবূ যুবায়র (রহঃ)-এর সূত্রে ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

পূর্বোক্ত বর্ণনার ন্যায় রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা. ৩৫৩৫, ই.সে. ৩৫৩৪)

৩৫৬৪

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَيْمَنَ، مَوْلَى عُرْوَةَ يَسْأَلُ ابْنَ عُمَرَ وَأَبُو الزُّبَيْرِ يَسْمَعُ بِمِثْلِ حَدِيثِ حَجَّاجٍ وَفِيهِ بَعْضُ الزِّيَادَةِ ‏.‏ قَالَ مُسْلِمٌ أَخْطَأَ حَيْثُ قَالَ عُرْوَةَ إِنَّمَا هُوَ مَوْلَى عَزَّةَ ‏.‏

আবূ যুবায়র (রহঃ)-এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ‘উরওয়াহ্ (রহঃ)-এর আযদকৃত গোলাম ‘আবদুর রহমান ইবনু আয়মান (রাঃ)-কে ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর নিকট জিজ্ঞেস করতে শুনেছেন আর আবূ যুবায়র (রহঃ) তখন হাজ্জাজ (রহঃ)-এর হাদীসের অনুরূপ শুনছিলেন এবং তাতে কিছু অধিক তথ্য রয়েছে।

ইমাম মুসলিম (রহঃ) বলেন, ‘উরওয়ার মাওলা বলে রাবী বিচ্যুতির শিকার হয়েছেন। মূলত হবে ‘আয্যার মাওলা। (ই.ফা. ৩৫৩৬, ই.সে. ৩৫৩৫)
১৯/ পরিচ্ছেদঃ তিন ত্বলাক্ব প্রসঙ্গে

৩৫৬৭

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ طَاوُسٍ، أَنَّ أَبَا الصَّهْبَاءِ، قَالَ لاِبْنِ عَبَّاسٍ هَاتِ مِنْ هَنَاتِكَ أَلَمْ يَكُنِ الطَّلاَقُ الثَّلاَثُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبِي بَكْرٍ وَاحِدَةً فَقَالَ قَدْ كَانَ ذَلِكَ فَلَمَّا كَانَ فِي عَهْدِ عُمَرَ تَتَايَعَ النَّاسُ فِي الطَّلاَقِ فَأَجَازَهُ عَلَيْهِمْ ‏.‏

আবূ আস্‌ সাহ্‌বা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ইবনু ‘‘আব্বাস (রাঃ)-কে বলেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও আবূ বকর (রাঃ)-এর সময়ে কি তিন ত্বলাক্বকে এক ত্বলাক্ব ধরা হত? তিনি বলেন, হাঁ এরুপই ছিল। তবে ‘উমার (রাঃ)-এর যমানায় লোকেরা বেধড়ক ও উপর্যুপরি ত্বলাক্ব দিতে লাগল। অতঃপর তিনি সেটিকে যথার্থভাবে কার্যকর করেন (অর্থাৎ তিন ত্বলাকে পরিণত করেন।) [৫৯] (ই.ফা. ৩৫৩৯, ই.সে. ৩৫৩৮)
[৫৯] কোন ব্যক্তি যদি, তার স্ত্রীকে বলে “তোমার উপর তিন তালাক" তবে এর হুকুম সম্পর্কে উলামায়ে কিরামের মাঝে মতভেদ আছে। (ক) ইমাম শাফিঈ, মালিক, ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) এবং জমহুর তথা অধিকাংশের মতে "তিন তালাক পতিত হবে।" (খ) ত্বাউস (রহ.) আহলে যাহির এর মতে “তার উপর এক তালাক বর্তাবে।" এর স্বপক্ষে হাজ্জাজ বিন আরত্বাতা এবং মুহাম্মাদ বিন ইসহাক্ব থেকেও একটি রিওয়ায়াত বর্ণিত আছে। আর এ সকল হাদীসের আলোকে এ মতটিই শক্তিশালী। এক বৈঠকে এক সঙ্গে তিন তালাক দিলে, এক তালাক গণ্য হবে। আর তিন মাসে তুহর অবস্থায় তিন তালাক দিলে তিন তালাক বলে গণ্য করা হয়।

৩৫৬৫

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ رَافِعٍ - قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ ابْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ الطَّلاَقُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبِي بَكْرٍ وَسَنَتَيْنِ مِنْ خِلاَفَةِ عُمَرَ طَلاَقُ الثَّلاَثِ وَاحِدَةً فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ إِنَّ النَّاسَ قَدِ اسْتَعْجَلُوا فِي أَمْرٍ قَدْ كَانَتْ لَهُمْ فِيهِ أَنَاةٌ فَلَوْ أَمْضَيْنَاهُ عَلَيْهِمْ ‏.‏ فَأَمْضَاهُ عَلَيْهِمْ ‏.‏

ইবনু ‘‘আব্বাস (রাঃ)-এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে এবং আবূ বকর (রাঃ)-এর যুগে ও ‘উমার (রাঃ)-এর খিলাফাতের প্রথম দু’ বছর পর্যন্ত তিন ত্বলাক্ব এক ত্বলাক্ব সাব্যস্ত হত। পরে ‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) বললেন, লোকেরা একটি বিষয়ে অতি ব্যস্ততা দেখিয়েছে যাতে তাদের ধৈর্যের (ও সুযোগ গ্রহণের) অবকাশ ছিল। এখন যদি বিষয়টি তাদের জন্য কার্যকর সাব্যস্ত করে দেই...(তবে তা-ই কল্যাণকর হবে)। সুতরাং তিনি তা তাদের জন্য বাস্তবায়িত ও কার্যকর সাব্যস্ত করলেন। [৫৮] (ই.ফা. ৩৫৩৭, ই.সে. ৩৫৩৬)
[৫৮] ইসলামের প্রথমিক যুগ থেকে শুরু করে ‘উমার (রাঃ)-এর যুগ পর্যন্ত তিন ত্বলাক্ব গণনা করা হতো। অতঃপর মানুষের মধ্যে ত্বলাক্ব প্রদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ার ধমকী স্বরূপে এক বৈঠকে প্রদত্ত ত্বলাক্বকে তিন ত্বলাক্ব হিসেবেই গণ্য করার নির্দেশ জারি করা হয়। যা ছিল রাজনৈতিক ও সাময়িক।
(তাহতবী হাশিয়াহ্ দুর্রে মুখতার ৬ষ্ঠ খন্ড ১১৫ পৃষ্ঠা বৈরূত ছাপা, জামিউর রূমূজ ১ম খণ্ড ৫০২ পৃষ্ঠা মাজমাউল আনহর শারহ মুনতাফাল আবহর ২য় খণ্ড ৬ পৃষ্ঠা, দুর্রূল মুনতাফা ফী শারহিল মুলতাকা ২য় খণ্ড ৬ পৃষ্ঠা)

৩৫৬৬

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ رَافِعٍ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ أَبَا الصَّهْبَاءِ، قَالَ لاِبْنِ عَبَّاسٍ أَتَعْلَمُ أَنَّمَا كَانَتِ الثَّلاَثُ تُجْعَلُ وَاحِدَةً عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَبِي بَكْرٍ وَثَلاَثًا مِنْ إِمَارَةِ عُمَرَ ‏.‏ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ نَعَمْ ‏.‏

ত্বাউস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ আস্ সাহ্বা (রহঃ) ইবনু ‘‘আব্বাস (রাঃ)-কে বললেন, আপনার সে সব (বিরল ও অভিনব প্রকৃতির হাদীস) হতে কিছু উপস্থাপন করুন না! রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং আবূ বকর (রাঃ)-এর যুগে তিন ত্বলাক্ব কি এক (ত্বলাক্ব) ছিল না? তিনি বললেন, ‘তা ছিল তো’; পরে যখন ‘উমার (রাঃ)-এর যুগে লোকেরা বেধড়ক ও উপর্যুপরি ত্বলাক্ব দিতে লাগল তখন ‘উমার (রাঃ) সেটিকে (অর্থাৎ তিন ত্বলাক্বের যথার্থ বিধি)- তাদের জন্য কার্যকর করলেন। (ই.ফা. ৩৫৩৮, ই.সে. ৩৫৩৭)
১৯/ পরিচ্ছেদঃ ত্বলাক্বের নিয়্যাত না করে স্ত্রীকে ‘হারাম’ সাব্যস্ত করলে তার উপর কাফ্ফারাহ্ ওয়াজিব হবে

৩৫৬৯

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بِشْرٍ الْحَرِيرِيُّ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ، - يَعْنِي ابْنَ سَلاَّمٍ - عَنْ يَحْيَى، بْنِ أَبِي كَثِيرٍ أَنَّ يَعْلَى بْنَ حَكِيمٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ، قَالَ إِذَا حَرَّمَ الرَّجُلُ عَلَيْهِ امْرَأَتَهُ فَهْىَ يَمِينٌ يُكَفِّرُهَا وَقَالَ ‏{‏ لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ‏}‏

সা’ঈদ ইবনু জুবায়র (রহঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন, কোন পুরুষ তার স্ত্রীকে নিজের জন্য হারাম (ঘোষণা) করলে তা কসম সাব্যস্ত হবে, তার কাফ্ফারাহ্ আদায় করবে। তিনি আরো বলেছেন, তোমাদের জন্য রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ রয়েছে। (ই.ফা. ৩৫৪১, ই.সে. ৩৫৪০)

৩৫৬৮

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هِشَامٍ، - يَعْنِي الدَّسْتَوَائِيَّ - قَالَ كَتَبَ إِلَىَّ يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ يُحَدِّثُ عَنْ يَعْلَى بْنِ حَكِيمٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ فِي الْحَرَامِ يَمِينٌ يُكَفِّرُهَا ‏.‏ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ ‏{‏ لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ‏}‏ ‏.‏

সা’ঈদ ইবনু জুবায়র (রহঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে (লিখিতরূপে) বর্ণনা করেছেন যে, তিনি (সা’ঈদ) বলেছেন যে, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) স্ত্রীকে নিজের জন্য হারাম করা সম্বন্ধে বলতেন যে, তা কসম (ইয়ামীন) সাব্যস্ত হবে, তার কাফ্ফারাহ্ আদায় করবে।
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) (এ প্রসঙ্গে) আরো বলেছেন, (পবিত্র কুরআনের) (আরবী) (আয়াত উদ্ধৃত করে) “তোমাদের জন্য রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ। “ (সূরাহ্ আল আহ্যাব ৩৩:২১) (ই.ফা. ৩৫৪০, ই.সে. ৩৫৩৯)

৩৫৭০

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، أَنَّهُ سَمِعَ عُبَيْدَ بْنَ عُمَيْرٍ، يُخْبِرُ أَنَّهُ سَمِعَ عَائِشَةَ، تُخْبِرُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَمْكُثُ عِنْدَ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ فَيَشْرَبُ عِنْدَهَا عَسَلاً قَالَتْ فَتَوَاطَأْتُ أَنَا وَحَفْصَةُ أَنَّ أَيَّتَنَا مَا دَخَلَ عَلَيْهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَلْتَقُلْ إِنِّي أَجِدُ مِنْكَ رِيحَ مَغَافِيرَ أَكَلْتَ مَغَافِيرَ فَدَخَلَ عَلَى إِحْدَاهُمَا فَقَالَتْ ذَلِكَ لَهُ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ بَلْ شَرِبْتُ عَسَلاً عِنْدَ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ وَلَنْ أَعُودَ لَهُ ‏"‏ ‏.‏ فَنَزَلَ ‏{‏ لِمَ تُحَرِّمُ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكَ‏}‏ إِلَى قَوْلِهِ ‏{‏ إِنْ تَتُوبَا‏}‏ لِعَائِشَةَ وَحَفْصَةَ ‏{‏ وَإِذْ أَسَرَّ النَّبِيُّ إِلَى بَعْضِ أَزْوَاجِهِ حَدِيثًا‏}‏ لِقَوْلِهِ ‏"‏ بَلْ شَرِبْتُ عَسَلاً ‏"‏ ‏.‏

‘উবায়দ ইবনু ‘উমায়র (রহঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ‘আয়িশা (রাঃ)-কে এ মর্মে হাদীসের খবর প্রদান করতে শুনেছেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (আসর পরবর্তী সময় হুজরা সমূহে আবর্তন কালে) যায়নাব বিনত জাহশ (রাঃ) -এর গৃহে অবস্হান করে সেখানে মধূ পান করেন। ‘আয়িশা (রাঃ) বললেন, আমি ও হাফ্সাহ্ মিলে এরূপ যুক্তি-পরামর্শ করলাম যে, আমাদের দু’জনের মাঝে যার কাছেই নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (প্রথমে) আগমন করবেন সে বলবে- “আমি আপনার মুখে ‘মাগাফীর’-এর দুর্গন্ধ পাচ্ছি।[৬০] আপনি মাগাফীর খেয়েছেন।” পরে তিনি এদের কোন একজনের কাছে গেলে সে তাঁকে অনুরূপ বলল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন,... বরং আমি তো যায়নাব বিনত জাহ্শ-এর ঘরে মধু পান করেছি এবং পুনরায় কখনো পান করব না। তখন নাযিল হল- (অর্থ) “হে নাবী! আল্লাহ আপনার জন্য যা বৈধ করেছেন, আপনি তা হারাম করছেন কেন? আপনি আপনার স্ত্রীদের সন্তুষ্টি কামনা করছেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। আল্লাহ তোমাদের শপথ হতে মুক্তি লাভের ব্যবস্হা করেছেন। আল্লাহ তোমাদের সহায়; তিনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। স্মরণ কর-নাবী তাঁর স্ত্রীদের একজনকে গোপনে কিছু বলেছিলেন। অতঃপর যখন সে তা অন্যকে বলে দিয়েছিল এবং আল্লাহ নাবীকে তা জানিয়ে দিয়েছিলেন, তখন নবী এ বিষয় কিছু ব্যক্ত করলেন; কিছু অব্যক্ত রাখলেন। যখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা তার সে স্ত্রীকে জানালেন তখন সে বলল, কে আপনাকে তা অবহিত করল? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমাকে অবহিত করেছেন তিনি যিনি সর্বজ্ঞ, সম্যক অবগত। যদি তোমরা উভয়ে অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন কর, যেহেতু তোমাদের হৃদয় ঝুঁকে পড়েছে- আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করবেন”- (সূরাহ্ আত্ তাহ্রীমঃ ৬৬ : ১-৪)। এতে “যদি তোমরা উভয়ে তাওবাহ্ কর (অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন কর) দ্বারা ‘আয়িশাহ্ ও হাফ্সাহ্ (রাঃ) উদ্দেশ্য। এবং “যখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর স্ত্রীদের একজনকে তিনি গোপনে কিছু বলেছিলেন”- দ্বারা ‘বরং আমি মধুপান করেছি এবং আর কখনো পান করবো না উদ্দেশ্য”। (ই.ফা. ৩৫৪২, ই.সে. ৩৫৪১)
[৬০] মাগাফীর হল এক প্রকার গাছ যা খুবই দুর্গন্ধযুক্ত।

৩৫৭১

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ وَهَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُحِبُّ الْحَلْوَاءَ وَالْعَسَلَ فَكَانَ إِذَا صَلَّى الْعَصْرَ دَارَ عَلَى نِسَائِهِ فَيَدْنُو مِنْهُنَّ فَدَخَلَ عَلَى حَفْصَةَ فَاحْتَبَسَ عِنْدَهَا أَكْثَرَ مِمَّا كَانَ يَحْتَبِسُ فَسَأَلْتُ عَنْ ذَلِكَ فَقِيلَ لِي أَهْدَتْ لَهَا امْرَأَةٌ مِنْ قَوْمِهَا عُكَّةً مِنْ عَسَلٍ فَسَقَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْهُ شَرْبَةً فَقُلْتُ أَمَا وَاللَّهِ لَنَحْتَالَنَّ لَهُ ‏.‏ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِسَوْدَةَ وَقُلْتُ إِذَا دَخَلَ عَلَيْكِ فَإِنَّهُ سَيَدْنُو مِنْكِ فَقُولِي لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَكَلْتَ مَغَافِيرَ فَإِنَّهُ سَيَقُولُ لَكِ لاَ ‏.‏ فَقُولِي لَهُ مَا هَذِهِ الرِّيحُ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَشْتَدُّ عَلَيْهِ أَنْ يُوجَدَ مِنْهُ الرِّيحُ - فَإِنَّهُ سَيَقُولُ لَكِ سَقَتْنِي حَفْصَةُ شَرْبَةَ عَسَلٍ ‏.‏ فَقُولِي لَهُ جَرَسَتْ نَحْلُهُ الْعُرْفُطَ وَسَأَقُولُ ذَلِكَ لَهُ وَقُولِيهِ أَنْتِ يَا صَفِيَّةُ فَلَمَّا دَخَلَ عَلَى سَوْدَةَ قَالَتْ تَقُولُ سَوْدَةُ وَالَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ لَقَدْ كِدْتُ أَنْ أُبَادِئَهُ بِالَّذِي قُلْتِ لِي وَإِنَّهُ لَعَلَى الْبَابِ فَرَقًا مِنْكِ فَلَمَّا دَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَكَلْتَ مَغَافِيرَ قَالَ ‏"‏ لاَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ فَمَا هَذِهِ الرِّيحُ قَالَ ‏"‏ سَقَتْنِي حَفْصَةُ شَرْبَةَ عَسَلٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ جَرَسَتْ نَحْلُهُ الْعُرْفُطَ ‏.‏ فَلَمَّا دَخَلَ عَلَىَّ قُلْتُ لَهُ مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ دَخَلَ عَلَى صَفِيَّةَ فَقَالَتْ بِمِثْلِ ذَلِكَ فَلَمَّا دَخَلَ عَلَى حَفْصَةَ قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلاَ أَسْقِيكَ مِنْهُ قَالَ ‏"‏ لاَ حَاجَةَ لِي بِهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ تَقُولُ سَوْدَةُ سُبْحَانَ اللَّهِ وَاللَّهِ لَقَدْ حَرَمْنَاهُ ‏.‏ قَالَتْ قُلْتُ لَهَا اسْكُتِي ‏.‏

হিশামের পিতা (‘উরওয়াহ্) সূত্রে ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিষ্ট দ্রব্য (হালুয়া) ও মধু পছন্দ করতেন। তাঁর নিয়ম ছিল- ‘আসরের সলাত আদায়ের পরে স্ত্রীদের ঘরে ঘরে এক চক্কর গিয়ে আসতেন এবং তাদের সান্নিধ্য-সন্নিকটে গমন করতেন। এভাবে তিনি হাফ্সাহ্ (রাঃ)-এর কাছে গেলেন এবং তাঁর কাছে স্বাভাবিক-ভাবে আবদ্ধ থাকার সময়ের চেয়ে অধিক সময় আবদ্ধ রইলেন। আমি (‘আয়িশাহ্) এ বিষয় জিজ্ঞেস করলে আমাকে বলা হল- তাকে (হাফসাকে) তাঁর গোত্রের কোন মহিলা এক পাত্র মধু হাদিয়া দিয়েছিল। তাই সে তা থেকে কিছু রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে পান করিয়েছিল। (‘আয়িশাহ্ বলেন) আমি বললাম, ওহে! আল্লাহর কসম! আমি অবশ্যই তাঁর জন্য কৌশলের ফাঁদ পাতব। আমি বিষয়টি সাওদাহ্-এর সঙ্গে আলোচনা করলাম এবং তাঁকে বললাম, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তোমার কাছে আগমন করলে তিনি তো তোমার সন্নিকটে আসবেন, তখন তুমি তাঁকে বলবে, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আপনি মাগাফীর খেয়েছেন। তখন তিনি তো তোমাকে বলবেন- ‘না’। তখন তুমি তাঁকে বলবে, (তবে) এ দুর্গন্ধ কিসের?- আর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট হতে দুর্গন্ধ পাওয়া যাবে- এটা ছিল তাঁর কাছে অতি অসহনীয় বিষয়। তখন তিনি তোমাকে বলবেন- হাফসাহ্ আমাকে মধুর শরবত পান করিয়েছে। তুমি তখন তাঁকে বলবে, ‘ঐ মধুর মৌমাছি- উরফুত (গাছের কষ) চুষেছে।” আর আমিও তাঁকে এভাবেই বলব। আর তুমিও হে সাফিয়্যাহ্! তাই বলবে। পরে যখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাওদাহ্ (রাঃ)-এর কাছে গেলেন- ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, সাওদাহ্ (রাঃ)-এর বর্ণনা- “কসম সে সত্তার যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই! তুমি আমাকে যা কিছু বলেছিলে তা তাঁর কাছে প্রকাশ করেই দিচ্ছিলাম প্রায়- তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন দরজায়- তোমার ভয়ে (তা আর করা হল না)। পরে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর নিকটবর্তী হলে সে বলল, “হে আল্লাহ্‌র রসূল! আপনি মাগাফীর খেয়েছেন? তিনি বললেন, ‘না’। সে (সাওদাহ্) বলল, “তবে এ ঘ্রাণ কিসের? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হাফ্সাহ্ আমাকে মধুর শরবত পান করিয়েছে। সাওদাহ্ বলল, (তবে-তাই) তার মৌমাছি উরফুত বা মাগাফিরের ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করেছে।” পরে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নিকট আগমন করলে আমিও তাঁকে অনুরুপ বললাম। অতঃপর সাফিয়্যাহ্ (রাঃ)-এর কাছে গেলে সেও অনুরুপ বলল। পরে (আবার) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাফ্সাহ্-এর নিকট গেলে সে বলল, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমি কি আপনাকে তা পান করতে দিব না? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, “তার প্রতি আমার কোন চাহিদা নেই।”

‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, সাওদাহ্ (রাঃ) বলতে লাগল, ‘আল্লাহর কসম! আমরা তো তাকে (একটি প্রিয় পানীয় হতে) বঞ্চিত করে দিয়েছি। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, চুপ থাক। (ই.ফা. ৩৫৪৩, ই.সে. ৩৫৪২)

৩৫৭২

সহিহ হাদিস
قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ إِبْرَاهِيمُ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ بِشْرِ بْنِ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، بِهَذَا سَوَاءً وَحَدَّثَنِيهِ سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.‏

আবূ উসামাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমাকে অবিকল এ হাদীস শুনিয়েছেন। সূওয়ায়দ ইবনু সা’ঈদ (রহঃ) ‘আলী ইবনু মিস্হার ও হিশাম ইবনু ‘উরওয়াহ্ (রহঃ)-এর সূত্রে ঐ সানাদে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা. ৩৫৪৩, ই.সে. ৩৫৪৩)
১৯/ পরিচ্ছেদঃ ইখ্তিয়ার প্রদান করলে ত্বলাক্বের নিয়্যাত না করলে ত্বলাক্ব হবে না

৩৫৭৬

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْثَرٌ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ قَدْ خَيَّرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ نَعُدَّهُ طَلاَقًا ‏.‏

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে ইখ্‌তিয়ার দিয়েছিলেন। কিন্তু আমরা তা ত্বলাক্ব মনে করিনি। (ই.ফা. ৩৫৪৭, ই.সে. ৩৫৪৭)

৩৫৭৮

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَيَّرَ نِسَاءَهُ فَلَمْ يَكُنْ طَلاَقًا‏.‏

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সহধর্মিনীগণকে ইখ্‌তিয়ার প্রদান করেছিলেন। কিন্তু তা (ইখ্‌তিয়ার প্রদান করা) ত্বলাক্ব বলে গণ্য হয় নি। (ই.ফা. ৩৫৪৯, ই.সে. ৩৫৪৯)

৩৫৭৯

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، وَإِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ خَيَّرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاخْتَرْنَاهُ فَلَمْ يَعُدَّهُ طَلاَقًا ‏.‏

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদিগকে ইখ্‌তিয়ার প্রদান করেছিলেন। এরপর আমরা তাঁকে গ্রহণ করলাম। এটা আমাদের উপর ত্বলাক্ব বলে গন্য হয় নি। (ই.ফা. ৩৫৫০, ই.সে. ৩৫৫০)

৩৫৮০

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ خَيَّرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاخْتَرْنَاهُ فَلَمْ يَعْدُدْهَا عَلَيْنَا شَيْئًا ‏.‏

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে ইখ্‌তিয়ার প্রদান করেছিলেন। এরপর আমরা তাকে গ্রহণ করলাম। এটা আমাদের উপর ত্বলাক্ব বলে গণ্য হয় নি। (ই.ফা. ৩৫৫১, ই.সে. ৩৫৫১)

৩৫৭৭

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي، خَالِدٍ عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ مَا أُبَالِي خَيَّرْتُ امْرَأَتِي وَاحِدَةً أَوْ مِائَةً أَوْ أَلْفًا بَعْدَ أَنْ تَخْتَارَنِي وَلَقَدْ سَأَلْتُ عَائِشَةَ فَقَالَتْ قَدْ خَيَّرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَفَكَانَ طَلاَقًا.

মাসরূক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার স্ত্রীকে ইখ্‌তিয়ার প্রদানে আমার কোন পরোয়া নেই- একবার শতবার কিংবা হাজারবার যদি সে আমাকে পছন্দ করে থাকে। আর আমি ‘আয়িশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করেছি। তিনি বলেছেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে ইখ্‌তিয়ার প্রদান করেছিলেন। এতে কি ত্বলাক্ব হয়ে গিয়েছে? (না এতে ত্বলাক্ব হয় নি)। (ই.ফা. ৩৫৪৮, ই.সে. ৩৫৪৮)

৩৫৭৪

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا سُرَيْجُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ عَبَّادٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ مُعَاذَةَ الْعَدَوِيَّةِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَسْتَأْذِنُنَا إِذَا كَانَ فِي يَوْمِ الْمَرْأَةِ مِنَّا بَعْدَ مَا نَزَلَتْ ‏{‏ تُرْجِي مَنْ تَشَاءُ مِنْهُنَّ وَتُؤْوِي إِلَيْكَ مَنْ تَشَاءُ‏}‏ فَقَالَتْ لَهَا مُعَاذَةُ فَمَا كُنْتِ تَقُولِينَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا اسْتَأْذَنَكِ قَالَتْ كُنْتُ أَقُولُ إِنْ كَانَ ذَاكَ إِلَىَّ لَمْ أُوثِرْ أَحَدًا عَلَى نَفْسِي ‏.‏

মূ’আযাহ্‌ আল ‘আদাবিয়্যাহ্‌ (রহঃ)-এর সূত্রে ‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, “আপনি তাদের (স্ত্রীদের) মধ্যে যাকে ইচ্ছা দূরে সরিয়ে রাখতে পারেন এবং যাকে ইচ্ছা আপনার নিকট স্হান দিতে পারেন”- (সূরাহ্‌ আল আহযাব ৩৩ : ৫১) আয়াত নাযিল হবার পরে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কোন এক স্ত্রীর পালার দিনে (অন্যদের জন্য) আমাদের নিকট হতে অনুমতি চাইতেন। তখন মু’আযাহ্‌ (রহঃ) তাকে বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনার নিকট অনুমতি চাইলে আপনি তাঁকে কী বলতেন? তিনি বললেন, আমি বলতাম : এ বিষয়টি আমার অধিকারে থাকলে তো কাউকে আমি আমার উপর অগ্রাধিকার দিতাম না। (অর্থাৎ অনুমতি প্রার্থনার বিষয়টি অধিকারমূলক ছিল না। বরং তা ছিল নৈতিক ও রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সৌজন্যমূলক আচরণ মাত্র। সুতরাং সেখানে অনুমতি না দেওয়ার অবকাশ ছিল না। অন্যথায় আমি অনুমতি প্রদানে রাযী হতাম না। (ই.ফা. ৩৫৪৫, ই.সে. ৩৫৪৫)

৩৫৮২

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ دَخَلَ أَبُو بَكْرٍ يَسْتَأْذِنُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَوَجَدَ النَّاسَ جُلُوسًا بِبَابِهِ لَمْ يُؤْذَنْ لأَحَدٍ مِنْهُمْ - قَالَ - فَأُذِنَ لأَبِي بَكْرٍ فَدَخَلَ ثُمَّ أَقْبَلَ عُمَرُ فَاسْتَأْذَنَ فَأُذِنَ لَهُ فَوَجَدَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم جَالِسًا حَوْلَهُ نِسَاؤُهُ وَاجِمًا سَاكِتًا - قَالَ - فَقَالَ لأَقُولَنَّ شَيْئًا أُضْحِكُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوْ رَأَيْتَ بِنْتَ خَارِجَةَ سَأَلَتْنِي النَّفَقَةَ فَقُمْتُ إِلَيْهَا فَوَجَأْتُ عُنُقَهَا ‏.‏ فَضَحِكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ ‏"‏ هُنَّ حَوْلِي كَمَا تَرَى يَسْأَلْنَنِي النَّفَقَةَ ‏"‏ ‏.‏ فَقَامَ أَبُو بَكْرٍ إِلَى عَائِشَةَ يَجَأُ عُنُقَهَا فَقَامَ عُمَرُ إِلَى حَفْصَةَ يَجَأُ عُنُقَهَا كِلاَهُمَا يَقُولُ تَسْأَلْنَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا لَيْسَ عِنْدَهُ ‏.‏ فَقُلْنَ وَاللَّهِ لاَ نَسْأَلُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَيْئًا أَبَدًا لَيْسَ عِنْدَهُ ثُمَّ اعْتَزَلَهُنَّ شَهْرًا أَوْ تِسْعًا وَعِشْرِينَ ثُمَّ نَزَلَتْ عَلَيْهِ هَذِهِ الآيَةُ ‏{‏ يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُلْ لأَزْوَاجِكَ‏}‏ حَتَّى بَلَغَ ‏{‏ لِلْمُحْسِنَاتِ مِنْكُنَّ أَجْرًا عَظِيمًا‏}‏ قَالَ فَبَدَأَ بِعَائِشَةَ فَقَالَ ‏"‏ يَا عَائِشَةُ إِنِّي أُرِيدُ أَنْ أَعْرِضَ عَلَيْكَ أَمْرًا أُحِبُّ أَنْ لاَ تَعْجَلِي فِيهِ حَتَّى تَسْتَشِيرِي أَبَوَيْكِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ وَمَا هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَتَلاَ عَلَيْهَا الآيَةَ قَالَتْ أَفِيكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَسْتَشِيرُ أَبَوَىَّ بَلْ أَخْتَارُ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَالدَّارَ الآخِرَةَ وَأَسْأَلُكَ أَنْ لاَ تُخْبِرَ امْرَأَةً مِنْ نِسَائِكَ بِالَّذِي قُلْتُ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ لاَ تَسْأَلُنِي امْرَأَةٌ مِنْهُنَّ إِلاَّ أَخْبَرْتُهَا إِنَّ اللَّهَ لَمْ يَبْعَثْنِي مُعَنِّتًا وَلاَ مُتَعَنِّتًا وَلَكِنْ بَعَثَنِي مُعَلِّمًا مُيَسِّرًا ‏"‏ ‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবূ বকর (রাঃ) এসে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকটে উপস্হিত হওয়ার অনুমতি প্রার্থনা করলেন। তিনি তাঁর দরজায় অনেক লোককে উপবিষ্ট দেখতে পেলেন। তবে তাদের কাউকে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি। তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, এরপর তিনি আবূ বকর (রাঃ)-কে প্রবেশের অনুমতি প্রদান করলে তিনি প্রবেশ করলেন। এরপর ‘উমার (রাঃ) এলেন এবং তিনি অনুমতি প্রার্থনা করলেন। তখন তাঁকেও প্রবেশের অনুমতি প্রদান করা হল। তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে চিন্তাযুক্ত ও নীরব বসে থাকতে দেখলেন আর তখন তাঁর চতুষ্পার্শ্বে তাঁর সহধর্মিনীগণ উপবিষ্টা ছিলেন। তিনি [বর্ণানাকারী জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)] বলেন, ‘উমার (রাঃ) বললেনঃ নিশ্চয়ই আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকটে এমন কথা বলব যা তাঁকে হাসাবে। এরপর তিনি বললেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আপনি যদি খারিজাহ্‌-এর কন্যাকে [‘উমার (রাঃ)-এর স্ত্রী] আমার কাছে খোরপোষ তলব করতে দেখতেন তাহলে (তৎক্ষণাৎ) আপনি তাঁর দিকে অগ্রসর হয়ে তার স্কন্ধে আঘাত করতেন। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হেসে উঠলেন এবং বললেন, আমার চতূপার্শে তোমরা যাদের দেখতে পাচ্ছ তারা আমার কাছে খোরপোষ দাবী করছে। অমনি আবূ বকর (রাঃ) ‘আয়িশা (রাঃ)-এর দিকে ছুটলেন এবং তাঁর গর্দানে আঘাত করলেন। ‘উমার (রাঃ) ও দাঁড়িয়ে গেলেন এবং হাফ্‌সাহ্‌ (রাঃ)-এর দিকে অগ্রসর হয়ে তাঁর ঘাড়ে আঘাত করলেন। তাঁরা উভয়ে বললেন, তোমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এমন জিনিস দাবী করছে যা তাঁর কাছে নেই। তখন তাঁরা (নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহধর্মিনীগণ) বললেন, আল্লাহর কসম! আমরা আর কখনো রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এমন জিনিস চাইব না যা তাঁর কাছে নেই। এরপর তিনি তাঁদের (তাঁর সহধর্মিনীগণের) থেকে একমাস কিংবা ঊনত্রিশ দিন পৃথক রইলেন। এরপর তাঁর প্রতি এই আয়াত নাযিল হল- (অর্থ) “হে নাবী! আপনি আপনার সহধর্মিনীদের বলে দিন, তোমরা যদি পার্থিব জীবনের ভোগ ও এর বিলাসিতা কামনা কর, তাহলে এসো আমি তোমাদের ভোগ-বিলাসের ব্যবস্হা করে দেই এবং সৌজন্যের সাথে তোমাদের বিদায় করে দিই। আর যদি তোমরা আল্লাহ, তাঁর রসূল ও পরকালকে কামনা কর তাহলে তোমাদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ণা আল্লাহ তাদের জন্য মহা প্রতিদান প্রস্তুত করে রেখেছেন।” (সূরাহ্ আহযাবঃ ৩৩ : ২৮-২৯)। তিনি [জাবির (রা)] বলেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আয়িশা (রাঃ)-কে দিয়ে (আয়াতের নির্দেশ তামীল করতে) শুরু করলেন। তখন তিনি বললেন, হে ‘আয়িশাহ্‌! আমি তোমার কাছে একটি (শুরত্বপূর্ণ) বিষয়ে আলাপ করতে চাই। তবে সে বিষয়ে তোমার পিতা-মাতার সঙ্গে পরামর্শ না করে তোমার ত্বরিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করাই আমি পছন্দ করি। তিনি বললেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আপনার ব্যাপারে আমি কি আমার পিতা-মাতার কাছে পরামর্শ নিতে যাব? (এর কোন প্রয়োজন নেই)। না, বরং আমি আল্লাহ, তাঁর রসূল ও আখিরাতকেই বেছে নিয়েছি। তবে আপনার সকাশে আমার একান্ত নিবেদন, আমি যা বলেছি সে সম্পর্কে আপনি আপনার অন্যান্য সহধর্মিনীগণের কারো কাছে ব্যক্ত করবেন না। তিনি বললেন, তাঁদের যে কেউ সে বিষয় আমাকে জিজ্ঞেস করলে আমি অবশ্যই তাঁকে তা বলে দিব। কারণ আল্লাহ আমাকে কঠোরতা আরোপকারী ও অত্যাচারীরূপে নয় বরং সহজ পন্হায় (শিক্ষাদানকারী) হিসেবে প্রেরণ করেছেন। (ই.ফা. ৩৫৫৩, ই.সে. ৩৫৫৩)

৩৫৭৩

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، ح وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى التُّجِيبِيُّ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، أَنَّ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَمَّا أُمِرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِتَخْيِيرِ أَزْوَاجِهِ بَدَأَ بِي فَقَالَ ‏"‏ إِنِّي ذَاكِرٌ لَكِ أَمْرًا فَلاَ عَلَيْكِ أَنْ لاَ تَعْجَلِي حَتَّى تَسْتَأْمِرِي أَبَوَيْكِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ قَدْ عَلِمَ أَنَّ أَبَوَىَّ لَمْ يَكُونَا لِيَأْمُرَانِي بِفِرَاقِهِ قَالَتْ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ قَالَ ‏{‏ يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُلْ لأَزْوَاجِكَ إِنْ كُنْتُنَّ تُرِدْنَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا وَزِينَتَهَا فَتَعَالَيْنَ أُمَتِّعْكُنَّ وَأُسَرِّحْكُنَّ سَرَاحًا جَمِيلاً * وَإِنْ كُنْتُنَّ تُرِدْنَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَالدَّارَ الآخِرَةَ فَإِنَّ اللَّهَ أَعَدَّ لِلْمُحْسِنَاتِ مِنْكُنَّ أَجْرًا عَظِيمًا‏}‏ قَالَتْ فَقُلْتُ فِي أَىِّ هَذَا أَسْتَأْمِرُ أَبَوَىَّ فَإِنِّي أُرِيدُ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَالدَّارَ الآخِرَةَ ‏.‏ قَالَتْ ثُمَّ فَعَلَ أَزْوَاجُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِثْلَ مَا فَعَلْتُ ‏.‏

আবূ সালামাহ্ ইবনু ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রহঃ)-এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

‘আয়িশা (রাঃ) বলেছেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর স্ত্রীদের ইখ্তিয়ার প্রদানে আদিষ্ট হলে বিষয়টি আমাকে দিয়ে সুচনা করলেন। তিনি বললেন, “আমি তোমার কাছে একটি বিষয় উপস্হাপন করছি, তোমার পিতা-মাতার সঙ্গে পরামর্শ না করা পর্যন্ত তুমি তাতে তাড়াহুড়া না করলে তোমার কোন লোকসান হবে না।” ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিশ্চিত অবগত ছিলেন যে, আমার মা-বাপ আমাকে তাঁর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটাবার পরামর্শ দিতে প্রস্তুত হবেন না। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (ইখতিয়ারের বিষয়ের বিবরণ প্রদানে) বললেন, আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেছেনঃ “হে নাবী! আপনি আপনার স্ত্রীদের বলে দিন! তোমরা যদি পার্থিব জীবন ও তার ভূষণ কামনা কর, তবে এসো আমি তোমাদের ভোগ-সামগ্রীর ব্যবস্হা করে দেই এবং সৌজন্যের সঙ্গে তোমাদের বিদায় দেই। আর যদি তোমরা আল্লাহ, তাঁর রসূল ও আখিরাত কামনা কর তবে তোমাদের মধ্যে যারা সৎকর্মশীল আল্লাহ তাদের জন্য মহা প্রতিদান প্রস্তুত রেখেছেন”- (সূরাহ্ আল আহ্যাব ৩৩ : ২৮-২৯)। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি বললামঃ এ ব্যাপারে আবার আমার মা-বাপের সঙ্গে পরামর্শ করব? আমি তো আল্লাহ এবং তাঁর রসূল ও আখিরাতকেই ইখ্তিয়ার করছি”। তিনি বলেন, পরে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অন্যান্য স্ত্রীগণ তেমনই করেন যেমন আমি করেছিলাম। (ই.ফা. ৩৫৪৪, ই.সে. ৩৫৪৪)

৩৫৭৫

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنَاهُ الْحَسَنُ بْنُ عِيسَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا عَاصِمٌ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ نَحْوَهُ ‏.‏

‘আসিম (রহঃ)-এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

পূর্বোক্ত সানাদে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা. ৩৫৪৬, ই.সে. ৩৫৪৬)

৩৫৮১

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنِي أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ زَكَرِيَّاءَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، وَعَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، بِمِثْلِهِ‏.‏

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে আসওয়াদ (রহঃ)-এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

মাসরূক (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের অনুরুপ বর্ণিত আছে। (ই.ফা. ৩৫৫২, ই.সে. ৩৫৫২)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন