hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সহিহ মুসলিম

২৩. মুসাকাহ (পানি সেচের বিনিময়ে ফসলের একটি অংশ প্রদান)

صحيح مسلم

২৩/ পরিচ্ছেদঃ ফল এবং শস্যের একটি অংশের বিনিময়ে মুসাকাহ্ ও মু’আমালাহ্

৩৮৫৪

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، - وَاللَّفْظُ لِزُهَيْرٍ - قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، - وَهُوَ الْقَطَّانُ - عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَلَ أَهْلَ خَيْبَرَ بِشَطْرِ مَا يَخْرُجُ مِنْهَا مِنْ ثَمَرٍ أَوْ زَرْعٍ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খাইবারবাসীদের উৎপন্ন ফল-ফসলের আধাআধি শর্তে খাইবারের জমি বর্গা দিয়েছিলেন। (ই. ফা. ৩৮১৮, ই. সে. ৩৮১৭)

৩৮৫৫

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، - وَهُوَ ابْنُ مُسْهِرٍ - أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ، اللَّهِ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ أَعْطَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَيْبَرَ بِشَطْرِ مَا يَخْرُجُ مِنْ ثَمَرٍ أَوْ زَرْعٍ فَكَانَ يُعْطِي أَزْوَاجَهُ كَلَّ سَنَةٍ مِائَةَ وَسْقٍ ثَمَانِينَ وَسْقًا مِنْ تَمْرٍ وَعِشْرِينَ وَسْقًا مِنْ شَعِيرٍ فَلَمَّا وَلِيَ عُمَرُ قَسَمَ خَيْبَرَ خَيَّرَ أَزْوَاجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُقْطِعَ لَهُنَّ الأَرْضَ وَالْمَاءَ أَوْ يَضْمَنَ لَهُنَّ الأَوْسَاقَ كُلَّ عَامٍ فَاخْتَلَفْنَ فَمِنْهُنَّ مَنِ اخْتَارَ الأَرْضَ وَالْمَاءَ وَمِنْهُنَّ مَنِ اخْتَارَ الأَوْسَاقَ كُلَّ عَامٍ فَكَانَتْ عَائِشَةُ وَحَفْصَةُ مِمَّنِ اخْتَارَتَا الأَرْضَ وَالْمَاءَ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খাইবারের জমি উৎপন্ন ফল ও ফসলের আধাআধির শর্তে দিয়েছিলেন। তিনি নিজ স্ত্রীদেরকে বছর প্রতি একশ’ ওসাক প্রদান করতেন। তম্মধ্যে আশি ওসাক খুরমা আর বিশ ওসাক যব। ‘উমার (রাঃ) যখন খলীফা হন তখন খাইবারের জমি তিন ভাগে ভাগ করে দেন। তিনি নবী সহধর্মিণীদেরকে ইখ্‌তিয়ার দেন যে, তাঁরা ভূমি ও পানি নিবেন। (অর্থাৎ- নিজেদের দায়িত্বে চাষাবাদের ব্যবস্থা করবেন) অথবা বার্ষিক হারে ওসাক গ্রহণ করবেন। তাঁরা এ ব্যাপারে ভিন্নভিন্ন মত গ্রহণ করেন। তাঁদের মধ্যে কেউ ভূমি ও পানি নিলেন আর কেউ বার্ষিক হারে ওসাক গ্রহণ করলেন। ‘আয়িশাহ্ ও হাফ্সাহ্ (রাঃ) ভূমি ও পানি নিয়েছিলেন। ( ই. ফা. ৩৮১৯, ই. সে. ৩৮১৮)

৩৮৫৬

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَلَ أَهْلَ خَيْبَرَ بِشَطْرِ مَا خَرَجَ مِنْهَا مِنْ زَرْعٍ أَوْ ثَمَرٍ ‏.‏ وَاقْتَصَّ الْحَدِيثَ بِنَحْوِ حَدِيثِ عَلِيِّ بْنِ مُسْهِرٍ وَلَمْ يَذْكُرْ فَكَانَتْ عَائِشَةُ وَحَفْصَةُ مِمَّنِ اخْتَارَتَا الأَرْضَ وَالْمَاءَ وَقَالَ خَيَّرَ أَزْوَاجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُقْطِعَ لَهُنَّ الأَرْضَ وَلَمْ يَذْكُرِ الْمَاءَ ‏.‏

আবদুল্লাহ্‌ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খাইবারের জমি খাইবারবাসীদের উৎপন্ন শস্য ও ফলের অর্ধেকের শর্তে ব্যবস্থা দিয়েছিলেন এরপর হাদীসটি ‘আলী ইবনু মুসহিরের বর্ণিত হাদীসের ন্যায় বর্ণনা করেন। তবে এ কথাটি তিনি উল্লেখ করেননি যে, ‘আয়িশাহ্ ও হাফ্সাহ (রাঃ) জমি ও পানি নিয়েছিলেন। তিনি এ কথা বলেছেন যে, ‘উমার (রাঃ) নবী সহধর্মিণীদের ইখতিয়ার দেন জমি নিতে, তবে সেখানে পানির উল্লেখ করেননি। ( ই. ফা. ৩৮২০, ই. সে. ৩৮১৯ )

৩৮৫৯

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ رَافِعٍ - قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ عُمَرَ، بْنَ الْخَطَّابِ أَجْلَى الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى مِنْ أَرْضِ الْحِجَازِ وَأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمَّا ظَهَرَ عَلَى خَيْبَرَ أَرَادَ إِخْرَاجَ الْيَهُودِ مِنْهَا وَكَانَتِ الأَرْضُ حِينَ ظُهِرَ عَلَيْهَا لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ وَلِلْمُسْلِمِينَ فَأَرَادَ إِخْرَاجَ الْيَهُودِ مِنْهَا فَسَأَلَتِ الْيَهُودُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُقِرَّهُمْ بِهَا عَلَى أَنْ يَكْفُوا عَمَلَهَا وَلَهُمْ نِصْفُ الثَّمَرِ فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ نُقِرُّكُمْ بِهَا عَلَى ذَلِكَ مَا شِئْنَا ‏"‏ ‏.‏ فَقَرُّوا بِهَا حَتَّى أَجْلاَهُمْ عُمَرُ إِلَى تَيْمَاءَ وَأَرِيحَاءَ ‏.‏

ইবনু ’উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) ইয়াহূদী ও নাসারাদেরকে হিজাজের মাটি থেকে বিতাড়িত করে দেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন খাইবার জয় করেন তখন তিনি তাদের তথা হতে বের করে দিতে চেয়েছিলেন। খাইবার যখন বিজিত হলো তখন তা আল্লাহ্‌, তাঁর রসূল ও মুসলিমদের সম্পত্তি হিসেবে পরিণত হয়। তাই তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইয়াহূদীদের বিতাড়িত করার ইচ্ছা পোষণ করেন। পরে ইয়াহূদীরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এসে তথায় তাদের থাকার অনুমতি প্রার্থনা করে এই শর্তে যে, তারা শ্রম বিনিয়োগ করবে এবং উৎপাদিত ফলের অর্ধেক নিবে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যতদিন এ শর্তের উপর আমাদের ইচ্ছা, থাকার অনুমতি দিলাম। এরপর তারা তথায় রয়ে গেল। পরে ’উমার (রাঃ)তাদের ‘তায়মা’ ও ‘আরীহায়’ বিতাড়িত করেন। (ই. ফা. ৩৮২৩, ই. সে. ৩৮২২)

৩৮৫৭

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ اللَّيْثِيُّ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ لَمَّا افْتُتِحَتْ خَيْبَرُ سَأَلَتْ يَهُودُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُقِرَّهُمْ فِيهَا عَلَى أَنْ يَعْمَلُوا عَلَى نِصْفِ مَا خَرَجَ مِنْهَا مِنَ الثَّمَرِ وَالزَّرْعِ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ أُقِرُّكُمْ فِيهَا عَلَى ذَلِكَ مَا شِئْنَا ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ سَاقَ الْحَدِيثَ بِنَحْوِ حَدِيثِ ابْنِ نُمَيْرٍ وَابْنِ مُسْهِرٍ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ وَزَادَ فِيهِ وَكَانَ الثَّمَرُ يُقْسَمُ عَلَى السُّهْمَانِ مِنْ نِصْفِ خَيْبَرَ فَيَأْخُذُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْخُمُسَ ‏.‏

’আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, খাইবার বিজয়ের পর ইয়াহূদীরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট নিবেদন করে তাদের শ্রমের বিনিময়ে তাদেরকে তথায় থাকতে দেয়ার জন্যে এই শর্তে যে, উৎপন্ন ফসল ও ফলের অর্ধেক তারা পাবে। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ উপরোক্ত শর্তে যতদিন আমরা চাই ততদিনের জন্যে থাকার অনুমতি দিলাম। এরপরে ’আবদুল্লাহ থেকে ইবনু নুমায়র ও ইবনু মুসহিরের বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে তাতে এতটুকু বাড়তি আছে যে, খাইবারের প্রাপ্ত ফলকে কয়েক ভাগে ভাগ করা হত। আর তা থেকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাঁচ ভাগের এক ভাগ গ্রহণ করতেন। (ই. ফা. ৩৮২১, ই. সে. ৩৮২০)

৩৮৫৮

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنَا ابْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ دَفَعَ إِلَى يَهُودِ خَيْبَرَ نَخْلَ خَيْبَرَ وَأَرْضَهَا عَلَى أَنْ يَعْتَمِلُوهَا مِنْ أَمْوَالِهِمْ وَلِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَطْرُ ثَمَرِهَا ‏.‏

’আবদুল্লাহ্ ইবনু ’উমার (রাঃ) সুত্রে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ

খাইবারের বাগান ও যমীন খাইবারের ইয়াহূদীদেরকে এ শর্তে প্রদান করেন যে, তারা নিজেদের মাল খরচ করে তাতে কাজ করবে, আর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার ফলের অর্ধেক প্রাপ্ত হবেন। (ই. ফা. ৩৮২২, ই. সে. ৩৮২১)
২৩/ পরিচ্ছেদঃ ফলজ বৃক্ষ রোপন ও ফসল ফলানোর ফাযীলাত

৩৮৬০

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَغْرِسُ غَرْسًا إِلاَّ كَانَ مَا أُكِلَ مِنْهُ لَهُ صَدَقَةٌ وَمَا سُرِقَ مِنْهُ لَهُ صَدَقَةٌ وَمَا أَكَلَ السَّبُعُ مِنْهُ فَهُوَ لَهُ صَدَقَةٌ وَمَا أَكَلَتِ الطَّيْرُ فَهُوَ لَهُ صَدَقَةً وَلاَ يَرْزَؤُهُ أَحَدٌ إِلاَّ كَانَ لَهُ صَدَقَةٌ ‏"‏ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে কোন মুসলিম ফলজ বৃক্ষ রোপন করবে তা থেকে যা কিছু খাওয়া হয় তা তার জন্য দান স্বরূপ, যা কিছু চুরি হয় তাও দান স্বরূপ, বন্য জন্তু যা খেয়ে নেয় তাও দান স্বরূপ। পাখী যা খেয়ে নেয় তাও দান স্বরূপ। আর কেউ কিছু নিয়ে গেলে তাও তার জন্য দান স্বরূপ। (ই. ফা. ৩৮২৪, ই. সে. ৩৮২৩)

৩৮৬১

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ عَلَى أُمِّ مُبَشِّرٍ الأَنْصَارِيَّةِ فِي نَخْلٍ لَهَا فَقَالَ لَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ مَنْ غَرَسَ هَذَا النَّخْلَ أَمُسْلِمٌ أَمْ كَافِرٌ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَتْ بَلْ مُسْلِمٌ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ لاَ يَغْرِسُ مُسْلِمٌ غَرْسًا وَلاَ يَزْرَعُ زَرْعًا فَيَأْكُلَ مِنْهُ إِنْسَانٌ وَلاَ دَابَّةٌ وَلاَ شَىْءٌ إِلاَّ كَانَتْ لَهُ صَدَقَةٌ ‏"‏ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উম্মু মুবাশ্‌শির নাখীয়া নাম্নী এক আনসারী মহিলার খেজুর বাগানে প্রবেশ করেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, এই খেজুর গাছ কি কোন মুসলিম ব্যক্তি লাগিয়েছে, না কোন কাফির ব্যক্তি? মহিলা উত্তর দিল মুসলিম। তিনি বললেন, “যে কোন মুসলিম গাছ লাগায় বা ক্ষেত করে, আর তা থেকে মানুষ কিংবা জীব জন্তু অথবা অন্য কিছুতে ভক্ষণ করে, তবে তা তার পক্ষে দান স্বরূপ। (ই. ফা. ৩৮২৫, ই. সে. ৩৮২৪)

৩৮৬২

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، وَابْنُ أَبِي خَلَفٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا رَوْحٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ لاَ يَغْرِسُ رَجُلٌ مُسْلِمٌ غَرْسًا وَلاَ زَرْعًا فَيَأْكُلَ مِنْهُ سَبُعٌ أَوْ طَائِرٌ أَوْ شَىْءٌ إِلاَّ كَانَ لَهُ فِيهِ أَجْرٌ ‏"‏ ‏.‏ وَقَالَ ابْنُ أَبِي خَلَفٍ طَائِرٌ شَىْءٌ ‏.‏

জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি যে, কোন মুসলিম যদি বৃক্ষ রোপণ করে বা ক্ষেত করে, আর তা থেকে কোন হিংস্র জন্তু কিংবা পাখী অথবা অন্য কিছুতে খেয়ে নেয় তবে এর জন্যে সে সাওয়াব পাবে। ইবনু আবূ খালাফ (রহঃ) বলেছেন – পাখী বা এমন কিছু। (ই. ফা. ৩৮২৬, ই. সে. ৩৮২৫)

৩৮৬৫

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْغُبَرِيُّ، - وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى - قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَغْرِسُ غَرْسًا أَوْ يَزْرَعُ زَرْعًا فَيَأْكُلُ مِنْهُ طَيْرٌ أَوْ إِنْسَانٌ أَوْ بَهِيمَةٌ إِلاَّ كَانَ لَهُ بِهِ صَدَقَةٌ ‏"‏ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন মুসলিম যদি বৃক্ষ রোপন কিংবা ফসল উৎপাদন করে আর তা থেকে পাখী কিংবা মানুষ অথবা চতুষ্পদ জন্তু অথবা পাখী কিছু খায় তবে তা তার পক্ষ থেকে সাদাকাহ্‌ স্বরূপ হবে। (ই. ফা. ৩৮২৯, ই. সে. ৩৮২৮)

৩৮৬৬

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ نَخْلاً لأُمِّ مُبَشِّرٍ - امْرَأَةٍ مِنَ الأَنْصَارِ - فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَنْ غَرَسَ هَذَا النَّخْلَ أَمُسْلِمٌ أَمْ كَافِرٌ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا مُسْلِمٌ ‏.‏ بِنَحْوِ حَدِيثِهِمْ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদা উম্মু মুবাশ্‌শির নাম্নী এক আনসারী মহিলার খেজুর বাগানে গমন করেন। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করেন, এ খেজুর গাছ কে লাগিয়েছে, কোন মুসলিম ব্যক্তি না কোন কাফির ব্যক্তি? তারা বলল, একজন মুসলিম। এরপর উপরে উল্লিখিত রাবীদের বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই. ফা. ৩৮৩০, ই. সে. ৩৮২৯)

৩৮৬৩

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ إِسْحَاقَ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ دَخَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَى أُمِّ مَعْبَدٍ حَائِطًا فَقَالَ ‏"‏ يَا أُمَّ مَعْبَدٍ مَنْ غَرَسَ هَذَا النَّخْلَ أَمُسْلِمٌ أَمْ كَافِرٌ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَتْ بَلْ مُسْلِمٌ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَلاَ يَغْرِسُ الْمُسْلِمُ غَرْسًا فَيَأْكُلَ مِنْهُ إِنْسَانٌ وَلاَ دَابَّةٌ وَلاَ طَيْرٌ إِلاَّ كَانَ لَهُ صَدَقَةً إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ ‏"‏ ‏.‏

জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদা উম্মু মা’বাদ- এর বাগানে ঢুকলেন। তখন তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে উম্মু মা’বাদ! এ গাছ কে লাগিয়েছে? কোন মুসলিম ব্যক্তি না কোন কাফির? সে জানাল, মুসলিম। তিনি বললেন, কোন মুসলিম যদি কোন গাছ লাগায়, আর তা থেকে মানুষ কিংবা চতুষ্পদ জন্তু অথবা পাখী খেয়ে নেয়, তবে কিয়ামাতের দিন পর্যন্ত তা তার জন্য সদাকাহ হিসাবে থাকবে। (ই. ফা. ৩৮২৭, ই. সে. ৩৮২৬)

৩৮৬৪

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، وَإِسْحَاقُ، بْنُ إِبْرَاهِيمَ جَمِيعًا عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، ح وَحَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا عَمَّارُ بْنُ مُحَمَّدٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، كُلُّ هَؤُلاَءِ عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، ‏.‏ زَادَ عَمْرٌو فِي رِوَايَتِهِ عَنْ عَمَّارٍ، وَأَبُو كُرَيْبٍ فِي رِوَايَتِهِ عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، فَقَالاَ عَنْ أُمِّ مُبَشِّرٍ، وَفَى رِوَايَةِ ابْنِ فُضَيْلٍ عَنِ امْرَأَةِ، زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ وَفِي رِوَايَةِ إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، قَالَ رُبَّمَا قَالَ عَنْ أُمِّ مُبَشِّرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَرُبَّمَا لَمْ يَقُلْ وَكُلُّهُمْ قَالُوا عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِ حَدِيثِ عَطَاءٍ وَأَبِي الزُّبَيْرِ وَعَمْرِو بْنِ دِينَارٍ ‏.‏

আবূ বাক্র ইবনু আবূ শাইবাহ্, আবূ কুরায়ব, ইসহাক্ ইবনু ইব্রাহীম ও ‘আম্‌র আন্ নাকিদ (রহঃ) হাফস্ ইবনু গিয়াস (রহঃ) হতে, আবূ কুরায়ব ও ইসহাক্ ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) একসাথে আবূ মু’আবিয়াহ্ (রাঃ) থেকে, ‘আমর আন্ নাকিদ (রহঃ) ‘আম্মার ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ) হতে এবং আবূ বাক্র ইবনু আবূ শাইবাহ্ (রহঃ) ইবনু ফুযায়ল (রহঃ) হতে এবং এরা প্রত্যেকেই আ’মাশ-এর সূত্রে জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তবে ‘আম্মার (রহঃ) হতে ‘আমরের বর্ণনায় ও মু’আবিয়াহ থেকে আবূ বাকরের বর্ণনায় উম্মু মুবাশ্শির (রাঃ)- এর নাম বাড়তি এসেছে। আর ইবনু ফুযায়লের বর্ণনায় যায়িদ ইবনু হারিসার স্ত্রীর নাম যোগ করা হয়েছে। আর মু’আবিয়ার থেকে ইসহাকের যে বর্ণনা তাতে তিনি কখনও বা তার নাম বাদ দিয়েই বর্ণনা করেন। আর তাঁরা সকলেই নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে ঐ রূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন, যেরূপ বর্ণনা করেছেন ‘আতা’(রহঃ), আবূ যুবায়র ও আমর ইবনু দীনার (রহঃ)। (ই. ফা. ৩৮২৮, ই. সে. ৩৮২৭)
২৩/ পরিচ্ছেদঃ প্রাকৃতিক দুর্যোগে নষ্ট হয়ে যাওয়া ফলের মূল্য ছেড়ে দেয়া

৩৮৬৯

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ بَيْعِ ثَمَرِ النَّخْلِ حَتَّى تَزْهُوَ ‏.‏ فَقُلْنَا لأَنَسٍ مَا زَهْوُهَا قَالَ تَحْمَرُّ وَتَصْفَرُّ ‏.‏ أَرَأَيْتَكَ إِنْ مَنَعَ اللَّهُ الثَّمَرَةَ بِمَ تَسْتَحِلُّ مَالَ أَخِيكَ

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

খেজুরের রং পরিবর্তন হয়ে পরিপক্ক হওয়ার পূর্বে তা বিক্রি করতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন। আমরা আনাস (রাঃ)- কে জিজ্ঞেস করলাম, রং পরিবর্তন হওয়া বলতে কী বুঝায়? তিনি বললেন, লাল রং বা হলদে রং ধারণ করা। বল তো দেখি, আল্লাহ যদি ফল নষ্ট করে দেন তবে কোন অধিকারে তোমার ভাইয়ের কাছ থেকে অর্থ কিরূপে হালাল করতে পার? (ই. ফা. ৩৮৩৩, ই. সে. ৩৮৩২)

৩৮৭০

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مَالِكٌ، عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ، عَنْ أَنَسِ، بْنِ مَالِكٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ بَيْعِ الثَّمَرَةِ حَتَّى تُزْهِيَ قَالُوا وَمَا تُزْهِيَ قَالَ تَحْمَرُّ ‏.‏ فَقَالَ إِذَا مَنَعَ اللَّهُ الثَّمَرَةَ فَبِمَ تَسْتَحِلُّ مَالَ أَخِيكَ

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন ফলের রং পরিবর্তন হওয়ার আগে বিক্রি করতে। তারা বলল, রং পরিবর্তন হওয়ার মানে কী? তিনি বললেন, লাল রং ধারণ করা। এরপর তিনি বললেন, আল্লাহ যদি ফল ক্ষতিগ্রস্ত করে দেন তাহলে কিসের বিনিময়ে তুমি তোমার ভাইয়ের অর্থ গ্রহণ করবে? (ই. ফা. ৩৮৩৪, ই. সে. ৩৮৩৩)

৩৮৭১

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِنْ لَمْ يُثْمِرْهَا اللَّهُ فَبِمَ يَسْتَحِلُّ أَحَدُكُمْ مَالَ أَخِيهِ ‏"‏ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ যদি ফলের মধ্যে পূর্ণতা দান না করেন তাহলে কিভাবে তোমাদের একজন অপর ভাইয়ের অর্থ বৈধ করবে? (ই. ফা. ৩৮৩৫, ই. সে. ৩৮৩৪)

৩৮৬৭

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَنَّ أَبَا الزُّبَيْرِ، أَخْبَرَهُ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ إِنْ بِعْتَ مِنْ أَخِيكَ ثَمَرًا ‏"‏‏.‏ ح. وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، حَدَّثَنَا أَبُو ضَمْرَةَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لَوْ بِعْتَ مِنْ أَخِيكَ ثَمَرًا فَأَصَابَتْهُ جَائِحَةٌ فَلاَ يَحِلُّ لَكَ أَنْ تَأْخُذَ مِنْهُ شَيْئًا بِمَ تَأْخُذُ مَالَ أَخِيكَ بِغَيْرِ حَقٍّ ‏"‏‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তুমি যদি তোমার কোন এক ভাইয়ের নিকট ফল বিক্রি করো, তারপর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তা বিনষ্ট হয়ে যায়, তবে তার থেকে কিছু আদায় করা তোমার জন্যে হালাল নয়। তোমার ভাইয়ের অর্থ না-হকভাবে কিরূপে গ্রহণ করবে? (ই. ফা. ৩৮৩১, ই. সে. ৩৮৩০)

৩৮৭২

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْحَكَمِ، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ دِينَارٍ، وَعَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ الْعَلاَءِ، - وَاللَّفْظُ لِبِشْرٍ - قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ حُمَيْدٍ الأَعْرَجِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَتِيقٍ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّوسلم أَمَرَ بِوَضْعِ الْجَوَائِحِ ‏.‏ قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ - وَهْوَ صَاحِبُ مُسْلِمٍ - حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ بِشْرٍ عَنْ سُفْيَانَ بِهَذَا ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ ফলের মূল্য গ্রহণ না করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
ইব্‌রাহীম (রহঃ) সুফ্‌ইয়ানের সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই. ফা. ৩৮৩৬, ই. সে. ৩৮৩৫)

৩৮৬৮

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنَا حَسَنٌ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ ‏.‏

ইবনু জুরায়জ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু জুরায়জ (রহঃ) হতে উক্ত সানাদে অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই. ফা. ৩৮৩২, ই. সে. ৩৮৩১)
২৩/ পরিচ্ছেদঃ ঋণের কিছু অংশ ছেড়ে দেয়া মুস্তাহাব

৩৮৭৭

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، أَخْبَرَنَا يُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ،لا عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ كَعْبَ بْنَ مَالِكٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، تَقَاضَى دَيْنًا لَهُ عَلَى ابْنِ أَبِي حَدْرَدٍ بِمِثْلِ حَدِيثِ ابْنِ وَهْبٍ ‏.‏

কা‘ব ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি একদিন ‘আলী ইবনু আবূ হাদরাদের নিকটে তার প্রাপ্য ঋণের তাগাদা করেন। এরপর তিনি ইবনু ওয়াহ্‌বের বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই. ফা. ৩৮৪১, ই. সে. ৩৮৪০)

৩৮৭৮

সহিহ হাদিস
قَالَ مُسْلِمٌ وَرَوَى اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، حَدَّثَنِي جَعْفَرُ بْنُ رَبِيعَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ، هُرْمُزَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّهُ كَانَ لَهُ مَالٌ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي حَدْرَدٍ الأَسْلَمِيِّ فَلَقِيَهُ فَلَزِمَهُ فَتَكَلَّمَا حَتَّى ارْتَفَعَتْ أَصْوَاتُهُمَا فَمَرَّ بِهِمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ "‏ يَا كَعْبُ ‏"‏ ‏.‏ فَأَشَارَ بِيَدِهِ كَأَنَّهُ يَقُولُ النِّصْفَ فَأَخَذَ نِصْفًا مِمَّا عَلَيْهِ وَتَرَكَ نِصْفًا ‏.‏

কা‘ব ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ হাদরাদ আসলামীর নিকট কিছু মাল পাওনা ছিলেন। তিনি তার সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং শক্ত তাগাদা দেন। উভয়ে পরস্পর কথাবার্তা বলেন এবং এক পর্যায়ে শোরগোল সৃষ্টি হয়। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উভয়ের কাছে এলেন এবং কা‘বকে ডেকে হাতের ইশারায় বললেন , অর্ধেক। সুতরাং কা‘ব (রাঃ) ঋণের অর্ধেক গ্রহণ করেন এবং অর্ধেক পরিত্যাগ করেন। (ই. ফা. ৩৮৪১, ই. সে. ৩৮৪০)

৩৮৭৬

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، أَخْبَرَهُ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ تَقَاضَى ابْنَ أَبِي حَدْرَدٍ دَيْنًا كَانَ لَهُ عَلَيْهِ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْمَسْجِدِ فَارْتَفَعَتْ أَصْوَاتُهُمَا حَتَّى سَمِعَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ فِي بَيْتِهِ فَخَرَجَ إِلَيْهِمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى كَشَفَ سِجْفَ حُجْرَتِهِ وَنَادَى كَعْبَ بْنَ مَالِكٍ فَقَالَ ‏"‏ يَا كَعْبُ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ فَأَشَارَ إِلَيْهِ بِيَدِهِ أَنْ ضَعِ الشَّطْرَ مِنْ دَيْنِكَ ‏.‏ قَالَ كَعْبٌ قَدْ فَعَلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ قُمْ فَاقْضِهِ ‏"‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু কা‘ব ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর আমলে একদা মাসজিদের মধ্যে ইবনু আবূ হাদরাদ নামীয় এক ব্যক্তির নিকট স্বীয় প্রাপ্য ঋণের তাগাদা করেন। উভয়ের আওয়াজ উচ্চ হতে থাকে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সে আওয়াজ ঘর থেকে শুনতে পান এবং ঘরের পর্দা উঠিয়ে বাইরে তাদের নিকট চলে আসেন। তিনি কা‘বকে ডেকে বললেন, হে কা‘ব! তিনি বললেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমি উপস্থিত আছি। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাতের ইশারায় তাকে তার প্রাপ্য ঋণের অর্ধভাগ ক্ষমা করে দিতে বললেন। কা‘ব (রাঃ) বললেনঃ হে আল্লাহর রসূল! আমি তাই করলাম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (ঋণ গ্রহীতাকে) বললেন, যাও অবশিষ্ট (বাকী অর্ধেক) পরিশোধ করো। (ই. ফা. ৩৮৪০, ই. সে. ৩৮৩৯)

৩৮৭৩

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ بُكَيْرٍ، عَنْ عِيَاضِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي، سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ أُصِيبَ رَجُلٌ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي ثِمَارٍ ابْتَاعَهَا فَكَثُرَ دَيْنُهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ تَصَدَّقُوا عَلَيْهِ ‏"‏ ‏.‏ فَتَصَدَّقَ النَّاسُ عَلَيْهِ فَلَمْ يَبْلُغْ ذَلِكَ وَفَاءَ دَيْنِهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِغُرَمَائِهِ ‏"‏ خُذُوا مَا وَجَدْتُمْ وَلَيْسَ لَكُمْ إِلاَّ ذَلِكَ ‏"‏ ‏.‏

আবূ সা‘ঈদ খুদ্‌রী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সময়ে এক ব্যক্তির ক্রয় করা ফল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অনেক ঋণী হয়ে পড়ে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমরা তাকে সাহায্য কর। লোকজন তাকে সাহায্য করল, কিন্তু প্রাপ্ত ঋণ পরিশোধের পরিমাণ হলো না। তারপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার পাওনাদারদের বললেন, যা তোমরা পেয়েছ তা গ্রহণ কর; এর অতিরিক্ত আর পাবে না। (ই. ফা. ৩৮৩৭, ই. সে. ৩৮৩৬)

৩৮৭৫

সহিহ হাদিস
وَحَدَّثَنِي غَيْرُ، وَاحِدٍ، مِنْ أَصْحَابِنَا قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ، حَدَّثَنِي أَخِي، عَنْ سُلَيْمَانَ، - وَهُوَ ابْنُ بِلاَلٍ - عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي الرِّجَالِ، مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ أُمَّهُ، عَمْرَةَ بِنْتَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَتْ سَمِعْتُ عَائِشَةَ، تَقُولُ سَمِعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَوْتَ خُصُومٍ بِالْبَابِ عَالِيَةً أَصْوَاتُهُمَا وَإِذَا أَحَدُهُمَا يَسْتَوْضِعُ الآخَرَ وَيَسْتَرْفِقُهُ فِي شَىْءٍ وَهُوَ يَقُولُ وَاللَّهِ لاَ أَفْعَلُ ‏.‏ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَيْهِمَا فَقَالَ ‏ "‏ أَيْنَ الْمُتَأَلِّي عَلَى اللَّهِ لاَ يَفْعَلُ الْمَعْرُوفَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ فَلَهُ أَىُّ ذَلِكَ أَحَبَّ ‏.‏

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদা দরজার নিকটে দু’ব্যক্তির উচ্চ কণ্ঠে ঝগড়া শুনতে পান। তাদের একজন অন্যজনের নিকট কোন এক বিষয়ে অব্যাহতি দেয়ার ও সদয় হওয়ার আবেদন করছে। আর অপরজন বলছে যে, আল্লাহ্‌র শপথ! আমি তা করতে পারব না। এরপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বের হয়ে তাদের দু’জনের কাছে গেলেন এবং বললেন, পুণ্যের কাজ না করার জন্যে আল্লাহ্‌র নামে শপথকারী কোথায়? একজন বলল, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমি। এরপর তিনি বললেন, সে যেটি চায় করতে পারে।[১৭] (ই. ফা. ৩৮৩৯, ই. সে. ৩৮৩৮)
[১৭] ‘সে যেটি চায় করতে পারে’-এর অর্থ হলো সাওয়াবের কাজে কোন জোর নেই। তবে হাদীসের মর্মবাণী হলো, ভাল কাজ না করার শপথ অপছন্দনীয়, তবে কেউ এরূপ শপথ করে বসলে উত্তম হলো, শপথ (কসম) ভেঙ্গে ফেলা এবং কাফফারা আদায় করে দেয়া। (সহীহ মুসলিম- মুখতাসার শারহে, আল্লামা ওয়াহীদুজ্জামান, ৪ র্থ খণ্ড, ১৮৮ পৃঃ)

৩৮৭৪

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنِي يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ الأَشَجِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ ‏.‏

বুকায়র ইবনুল আশাজ্জ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

বুকায়র ইবনুল আশাজ্জ (রহঃ) হতে উক্ত সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেন। (ই. ফা. ৩৮৩৮, ই. সে. ৩৮৩৭)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন