hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে যাকাতের ভূমিকা

লেখকঃ মোঃ এনামুল হক

১৬
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে যাকাত ব্যবস্থার সফলতার সম্ভাবনা
যাকাত ব্যবস্থা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতিতে কাঙ্খিত ভূমিকা রাখার সামর্থ বিষয়ে বলা যায়, এদেশের মেজরিটি পার্সেন্ট দরিদ্র মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নযনের মাধ্যমে তাদের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটানোর মতো অর্থনৈতিক যোগান এদেশের বিভিন্ন খাত থাকে যাকাত পর্যাপ্ত পরিমাণে পাবে কিনা বা পাওয়া সম্ভব কিনা সেটা আলোচনার প্রয়োজন।

ব্যক্তির হাতে মজুদ নগদ অর্থ, গৃহে বা ব্যাংকে রাখা স্বর্ণালংকার ও গোপনে রাখা ডলার/পাউন্ড বাদে শুধু ব্যাংকে সঞ্চিত মেয়াদি আমানত বা ফিক্সড ডিপোজিটের কথাই উল্লেখ করা যায় যা নূন্যতম এক বছরের জন্য রাখা হয়। বাংলাদেশের সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধিনে বাংলাদেশ ব্যুরো অব স্ট্যাটাসটিকস প্রকাশিত “Statistical yearbook of Bangladesh” এর তথ্যানুসারে ১৯৯৫-৯৬ অর্থ বছরে দেশে মেয়াদী সঞ্চয়ের পরিমাণ ছিল নিম্নরূপ:

ক. তফসীল ব্যাংকসমূহের সঞ্চয়= ৩১,২৩১.১৭ কোটি টাকা

খ. পোষ্টাল সেভিংস সমূহের সঞ্চয়= ০৬,৩২১.৪৭ কোটি টাকা

গ. সকারের সঞ্চয় প্রকল্পে = ৬২,২৮৬.৮০ কোটি টাকা

সর্বমোট = ৯৯,৮৩৯.৪৪ কোটি টাকা

শতকরা ২.৫% যাকাত ধরলে এর যাকাত আসে প্রায় ২,৪৯৬ কোটি টাকা। অনুরূপভাবে এদেশের ছাহিবে নিসাব পরিমাণ ফসলের অধিকারী ব্যক্তিদের কাছ থেকে ওশর আদায় করলে তার পরিমাণ দাঁড়াবে আরো অন্তত: ১,০০০ কোটি টাকার বেশি। সবকিছু বাদ দিলেও দেখা যাচ্ছে শুধু মেয়াদী আমানত এবং ফসলে ওশর থেকে প্রায় ৩৫০০ কোটি টাকা আসা সম্ভব। [. শাহ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, ইসলামী অর্থনীতি নির্বাচিত প্রবন্ধ।]

এছাড়া এখনও অনেকগুলো খাত আছে যেখান থেকে যাকাত আসা সম্ভব। আর এই পরিসংখ্যান হলো এখন থেকে প্রায় এক যুগেরও আগের। বর্তমানে তো এই অর্থের পরিমাণ আরো বেশি আসতে বাধ্য।

বাংলাদেশের ১৬ লাখ পরিবার রয়েছে ছিন্নমূল ও ঠিকানাহীন। এছাড়া আরো ৩২ লাখ পরিবার রয়েছে যাদের সামান্য আশ্রয় থাকলেও কোন জমি জমা নেই। এবার যদি প্রতি বছর এদেশের ৫,০৩৫ টি ইউনিয়ন ও পৌর ওয়ার্ড এর মধ্যে ৩৫০০ কোটি টাকা ভাগ করে দেয়া হয় তাহলে প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌর ওয়ার্ড পাবে প্রায় ৬৯ লক্ষ টাকা। এই টাকা হতে ৪০ হাজার করে যদি একেকটি পরিবারকে দিয়ে দেওয়া হয় তাহলে উক্ত পরিবারের স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য আর কোন সমস্যা থাকে না। আর প্রতি বছর প্রতিটি পৌর ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের ১৫০ জন ব্যক্তি এভাবে টাকা পেয়ে স্বাবলম্বী হতে থাকলে দশ বছরে বাংলাদেশ দারিদ্রমুক্ত হয়ে যাবে। [. মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান, দারিদ্র বিমোচন ও মানব সেবায় বিশ্ব নবীর আদর্শ।]

প্রভুত সম্ভাবনাময় আমাদের এ সুজলা সোনার বাংলাদেশ। এখানে আছে প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য্য, বনজ সম্পদ, পশু সম্পদ, পানি সম্পদ, আর সব চাইতে বড় হলো ১৫ কোটি মানব সম্পদ। কিন্তু, এ সব সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার না থাকায় বৈষম্যমূলক বণ্টননীতির কারণে সম্পদের অদক্ষ ব্যবহারের ফলে আমরা আস্তে আস্তে অসীম সম্ভাবনা থাকার পরেও প্রতিনিয়ত দারিদ্রের সাথে লড়াই করছি, হাত পাতছি পাশ্চাত্যের কাছে। আর তারা আমাদেরকে ইচ্ছা মতো যতটুকু না ঋণ দিচ্ছে তার চাইতে বেশি দিচ্ছে উপদেশ। যা আমাদের জাতির অস্তিত্বকে সংকটের মুখে দাঁড় করাচ্ছে। তারা আমাদেরকে উপদেশ দিচ্ছে আন্তর্জাতিক ভিক্ষার ঝুলি ‘‘ম্যালথাসের দেশ উন্নয়নের টেস্ট কেস’’ ইত্যাদি ইত্যাদি।

শুধু তাই নয়, বিশ্ব ব্যাংকের বিশেষজ্ঞরা আমাদেরকে আরো বলছে, Success in solving its (Bangladesh) economics problem would be a convincing evidence that no other country in the world need face extreme poverty.

অথচ এক সময় এদেশ ছিল পৃথিবীর মানুষের স্বপ্নের আবাসভুমি। শোনা যায় শায়েস্তা খাঁর আমলে টাকায় ৮মন চাউল পাওয়া যেত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে বাংলাদেশ সহযোগিতা করত। আর আজ; যে দেশের মাটিতে সোনা ফলে, যে দেশের গাছে গাছে দেখা যায় নানান রকম ফুল-ফলের সমাহার, যে দেশের নদী, খাল বিলগুলোতে দেখা যায় রূপালী মাছের সমাহার, যে দেশে আছে ৩০ কোটি হাত; সে দেশের সংসদে বৈদেশিক ঋণ ছাড়া বাজেট পেশ হয় না। বন্যার্তদের সহযোগিতা করা যায় না, নদী-খাল-বিল খনন হয় না। সে দেশের মায়েরা মাত্র দু‘মুঠো অন্নের জ্বালায়, এক প্রস্থ কাপড়ের জন্য, একটুখানি মাথা গুঁজার ঠাই এর জন্য অসুস্থ সন্তান-সন্তুতি, বাবা মায়ের স্বামীর চিকিৎসার জন্য নিজেদের সতীত্বকে পর্যন্ত বিক্রি করে, নিজের গর্ভজাত সন্তানকে মাত্র ২০০ টাকায় বিক্রি করে দেয়। অথচ বেশি কিছু নয় শুধুমাত্র যাকাত ব্যবস্থার পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসরণের মাধ্যমে ১০ বছর বা আরও কম সময়ের এদেশকে সম্পূর্ণরূপে ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত করা সম্ভব। গৃহহীনের গৃহ, বস্ত্রহীনদের বস্ত্র, ক্ষধার্তকে অন্ন রোগগ্রস্থকে সুস্থতা, ঋণগ্রস্তকে ঋণ পরিশোধের নিশ্চয়তা, বৃদ্ধ, অসহায় বনী আদমকে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা দেওয়ার মাধ্যমে এ দেশকে আর্থ-সামাজিক উন্নতির স্বর্ণ শিখরে আরোহন করতে সক্ষম শুধু ইসলাম প্রদত্ত যাকাত ব্যবস্থা। চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি খুন-রাহজানি, যিনা-ব্যভিচার, ধর্ষণ-লুণ্ঠন, জোরদখল, টেন্ডারবাজী, আত্মসাৎ, শ্রেণী বৈষম্যসহ সকল প্রকার সমাজ বিধ্বংসী কাজ নিরসনকল্পে সুখী সমৃদ্ধশালী দেশ-জাতি পৃথিবী গঠনে সক্ষম একমাত্র যাকাত ব্যবস্থাই।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন