hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

প্রশ্নোত্তরে রমযান ও ঈদ

লেখকঃ অধ্যাপক মোঃ নূরুল ইসলাম

৩৫
৮-ঈদের খুৎবা
প্রশ্ন ২১১: ঈদের খুৎবা কখন দিতে হয়?

উঃ সালাত শেষে সালাম ফিরানোর পর (আর জুমু‘আর খুৎবা দিতে হয় সালাতের আগে)। (মুসলিম)

প্রশ্ন ২১২ : ঈদের খুৎবা শ্রবণ ফরয, ওয়াজিব নাকি মুস্তাহাব?

উঃ মুস্তাহাব। আর জুমু‘আর খুৎবা শোনা ওয়াজিব। তবে যারা ঈদের খুৎবা না শুনে চলে যাবে তাদের গোনাহ না হলেও তারা ঈদের গুরুত্বপূর্ণ দু‘আ ও ফযীলত থেকে বঞ্চিত হবে।

প্রশ্ন ২১৩ : কি শব্দ দ্বারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুৎবা শুরু করতেন?

উঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সমস্ত খুৎবাই ‘‘আলহামদু লিল্লাহ’’ বাক্য দ্বারা শুরু করতেন।

প্রশ্ন ২১৪ : ঈদের খুৎবায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কী বলতেন?

উঃ প্রথমে তিনি সালাত শেষে মুসুল্লীদের দিকে মুখ করে দাঁড়াতেন। অতঃপর খুৎবা দেয়া শুরু করতেন। খুৎবাতে তিনি ওয়াজ-নসীহত করতেন, উপদেশ দিতেন এবং বিভিন্ন নির্দেশও দিতেন। আর এ অবস্থায় মানুষেরা তাদের কাতারে বসে থাকত। (বুখারী)

ইমাম নববী (রহ.) বলেন, ঈদুল ফিতরে খুৎবায় ফিত্‌রা এবং ঈদুল আযহার খুৎবায় কুরবানী মাসআলা-মাসায়েল আলোচনা করা উচিত।

প্রশ্ন ২১৫ : খুৎবা কি একটি ধরাবাধা গদ? যা ইমাম সাহেব ঈদগাহে পড়বেন?

উঃ না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুগের চাহিদা অনুসারে সময়োপযোগী বক্তৃতা করতেন। ঐ বৃক্তৃতাই ছিল খুৎবা। আমাদেরও তাই করা উচিত। এজন্য সুন্নাত হলো খুৎবা দেয়া, খুৎবা দেখে দেখে পড়া নয়।

প্রশ্ন ২১৬ : খুৎবা কি বাংলায় দেয়া জায়েয হবে?

উঃ হা, তা জায়েয আছে।

হারামাইন শরীফাইনের ইমাম শেখ আবদুল্লাহ সুবাইল বলেছেন, প্রত্যেক জাতি তার নিজের ভাষায় খুৎবা দিবে। যাতে খুৎবায় যে উপদেশ দেয়া হয় তা যেন মুসল্লীরা বুঝতে পারে, উপকৃত হতে পারে।

টিভি চ্যানেল এটিএন বাংলার ইসলামী অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক দেশ বরেণ্য আলেম অধ্যক্ষ সাইয়্যেদ কামালুদ্দীন জাফরী ঢাকাস্থ উত্তরার আযমপুরস্থ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ জামে মাসজিদে বাংলায় খুৎবা দিয়ে থাকেন।

তাছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় এখন কিছু কিছু মাসজিদে বাংলায় খুৎবা দেয়া শুরু হয়েছে।

প্রশ্ন ২১৭ : ঈদের খুৎবা শেষে দু‘আ কি ইমাম সাহেবের সাথে জামাতবদ্ধভাবে নাকি একাকী-কোনটি সুন্নাত তরীকা?

উঃ সুন্নাত হলো একাকী মুনাজাত করা। ফরয, জুমু‘আ ও ঈদের সালাতের পর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জীবনে কখনো ইমামের সাথ জামাতবদ্ধভাবে দু‘আ করেননি। তবে বৃষ্টির সালাত, কুনূতে নাযিলা ও বিতরের সালাতের শেষে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইমাম ও মুক্তাদীরা জামাতবদ্ধ হয়ে দু‘আ মুনাজাত করেছেন।

আর ফরয সালাতের পর যেহেতু দু‘আ কবূল হয় সেহেতু আমাদেরও উচিত নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাত তারীকায় একাকী মুনাজাত করা। আর হৃদয়ের সমস্ত আবেদন নিবেদন ও হাজত সে মুহূর্তে আল্লাহর কাছে পেশ করা। চট্টগ্রামের হাটহাজারী কওমী মাদরাসা, টঙ্গীর বিশ্ব এজতেমা, নরসিংদীর জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মাদরাসা, একই জেলার রায়পুরাস্থ সিরাজ নগর উম্মুল কুরা মাদরাসা, ও মাক্কা-মদীনায় ইমাম-মুক্তাদীগণ ফরয সালাতের শেষে সম্মিলিত দু‘আ করেন না। প্রত্যেকে একাকী দু‘আ করে থাকেন। আর এটাই হল সুন্নাত তরীকা।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন