hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

নবী ﷺ যেভাবে হজ করেছেন (জাবের রা. যেমন বর্ণনা করেছেন)

লেখকঃ শাইখ মুহাম্মাদ নাসেরুদ্দীন আল-আলবানী – রাহেমাহুল্লাহ –

২৪
হজের পর আয়েশা রা. এর উমরা পালন
১০৫- জাবের রা. বলেন, ‘আয়েশা রা. ঋতুবতী হলেন। তখন বায়তুল্লাহ্র তাওয়াফ ছাড়া তিনি হজের আর সব আমল সম্পন্ন করলেন।’ [. বুখারী, মুসনাদে আহমদ।]

১০৬- তিনি বলেন, ‘যখন তিনি পবিত্র হলেন, তখন কা‘বার তাওয়াফ করলেন এবং সাফা-মারওয়ায় সা‘ঈ করলেন।’

১০৭- অতপর রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন,

قَدْ حَلَلْتِ مِنْ حَجِّكِ وَعُمْرَتِكِ جَمِيعًا

‘তুমি তোমার হজ ও উমরা উভয়টি থেকে হালাল হয়ে গিয়েছ।’ [. মুসলিম, আবূ দাউদ, নাসাঈ।]

১০৮- আয়েশা রা. বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, ‘আপনারা সবাই হজ ও উমরা করে যাবেন আর আমি কি শুধু হজ করে যাব?’ [. বুখারী, মুসনাদে আহমদ। অন্য হাদীসে রয়েছে, লোকেরা দুই ইবাদাতের নেকী নিয়ে ফিরবে আর আমি কি এক কাজের নেকী নিয়ে ফিরবো?] তিনি বললেন,

إِنَّ لَكِ مِثْلَ مَا لَهُمْ

‘তোমারও তাদের মতই হজ ও উমরা হয়ে গিয়েছে।’ [. মুসনাদে আহমদ।]

১০৯- আয়েশা রা. বললেন, ‘আমি মনে কষ্ট পাচ্ছি, কেননা, আমি তো শুধু হজের পরে বায়তুল্লাহ্র তাওয়াফ করেছি।’ [. মুসলিম, আবূ দাউদ, নাসাঈ, মুসনাদে আহমদ।]

১১০- জাবের রা. বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ ﷺ নরম স্বভাবের লোক ছিলেন। যখন আয়েশা. কিছু কামনা করতেন, তিনি সেদিকে লক্ষ্য রাখতেন।’ [. মুসলিম।]

১১১- রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন,

فَاذْهَبْ بِهَا يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ فَأَعْمِرْهَا مِنَ التَّنْعِيمِ

‘হে আবদুর রহমান! তুমি তাকে নিয়ে যাও এবং তাকে তানঈম থেকে উমরা করাও।’ [. ইবন আববাস রা. বলেন ‘আল্লাহর শপথ! মুশরিকদের প্রথা বাতিল করার জন্য রাসূলুল্লাহ ﷺ আয়েশা রা. কে যিলহজ মাসে উমরা করিয়েছেন। কুরাইশ গোত্র ও তাদের অনুসারীরা বলতো, ‘যখন উটের লোম গজিয়ে বেশি হবে, পৃষ্ঠদেশ সুস্থ হবে এবং সফর মাস প্রবেশ করবে তখনই উমরাকারির উমরা সহীহ হবে’। তারা যিলহজ ও মুহররম শেষ হওয়ার পূর্বে উমরা হারাম মনে করত’ (আবূ দাউদ : ১৯৮৭)।]

১১২- অতপর, ‘আয়েশা রা. হজের পরে উমরা করলেন।’ [. বুখারী, মুসনাদে আহমদ।] ‘তারপর ফিরে এলেন।’ [. মুসনাদে আহমদ।] ‘আর এটা ছিল হাসবার রাতে [. সেটি হচ্ছে আইয়ামে তাশরীকের পরের রাত্রি। অর্থাৎ ১৪ তারিখের রাত। এটাকে মুহাস্সাবের রাতও বলা হয়। রাসূলুল্লাহ ﷺ ও সাহাবীগণ ১৪ তারিখের রাত এ স্থানে যাপন করেছিলেন। যেসব জায়গায় পূর্বে শিরক বা কুফরী কর্ম অথবা আল্লাহর শত্রুতা প্রকাশ করা হত সেসব জায়গায় রাসূলুল্লাহ ﷺ ইচ্ছাকৃতভাবে ইসলামের নিদর্শনসমূহ প্রকাশ করেছেন। এই মর্মে তিনি মিনায় বলেন, ‘আমরা আগামীকাল বনূ কিনানার খায়ফে (অর্থাৎ মুহাস্সাব তথা হাসবা নামক স্থানে) যেতে চাচ্ছি, যেখানে তারা কুফরীকর্মের ওপর অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছিল, আর তা ছিল এই যে, কুরাইশ ও বনূ কিনানা, বনূ হাশিম ও বনূ আবদুল মুত্তালিবের বিরুদ্ধে এই মর্মে শপথ করেছিল যে, তাদের সাথে তারা বৈবাহিক সম্পর্ক কায়েম করবে না, বেচাকেনা করবে না, যতক্ষণ না তারা নবীকে তাদের কাছে সোপর্দ করে (বুখারী : ১৫৯০)। ইবনুল কায়্যিম রহ. বলেন, ‘এটাই ছিল রাসূলুল্লাহ ﷺ এর অভ্যাস যে, তিনি কুফরের নিদর্শনের স্থানসমূহে তাওহীদের নিদর্শন প্রকাশ করতেন (যাদুল মা‘আদ)।]।’ [. মুসলিম।]

১১৩- জাবের রা. বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ ﷺ বিদায় হজে নিজের বাহনে আরোহন করে বায়তুল্লাহ্র তাওয়াফ করলেন এবং নিজের বাঁকা লাঠি দিয়ে হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ করলেন, যাতে লোকজন তাঁকে দেখতে পায় এবং তিনি ওপরে থেকে তাদের তত্ত্বাবধান করতে পারেন। আর যাতে তারা তাঁর কাছে জিজ্ঞেস করতে পারে। কেননা লোকজন তাঁকে ঘিরে রেখেছিল।’ [. মুসলিম, আবূ দাউদ, মুসনাদে আহমদ।]

১১৪- জাবের রা. বলেন, ‘এক মহিলা তার একটি বাচ্চা তাঁর সামনে উঁচু করে ধরে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, এর কি হজ হবে? তিনি বললেন,

نَعَمْ وَلَكِ أَجْرٌ

‘হ্যাঁ, আর তোমার জন্য রয়েছে পুরস্কার।’ [. তিরমিযী, ইবন মাজা। বাচ্চাটিকে বহন করা এবং তাকে মুহরিমরা যেসব কাজ থেকে বিরত থাকে সেসব কাজ থেকে বিরত রাখার বিনিময়ে এই নেকী (নাববী রহ.)।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন