hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সংক্ষিপ্ত হজ, উমরা ও যিয়ারত

লেখকঃ নু‘মান আবুল বাশার

২২
পঞ্চম. সা‘ঈ
সঠিকভাবে সা‘ঈর কাজ সম্পন্ন করবেন নিচের নিয়মে

১. সাফা পাহাড়ের নিকটবর্তী হলে বলবেন,

«إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللهِ، أَبْدَأُ بِمَا بَدَأَ اللهُ بِهِ» .

(ইন্নাস্‌সাফা ওয়াল মারওয়াতা মিন শাআইরিল্লাহ। আবদাউ বিমা বাদাআল্লাহু বিহী।)

“নিশ্চয় সাফা মারওয়া আল্লাহর নিদর্শন। আমি শুরু করছি আল্লাহ যা দিয়ে শুরু করেছেন।” [সহীহ মুসলিম ১/৮৮৮।]

২. এরপর সাফা পাহাড়ে উঠে বাইতুল্লাহর দিকে মুখ করে দাঁড়াবেন [সহীহ মুসলিম, হদীস নং ১২১৮।] এবং আল্লাহর একত্ববাদ, বড়ত্ব ও প্রশংসার ঘোষণা দিয়ে বলবেন,

«اللهُ أَكْبَرُ، اللهُ أَكْبَرُ، اللهُ أَكْبَرُ، لاَ إِلهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ اْلَحمْدُ يحيى ويميتُ وَهَوُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ، لاَ إِلهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، أَنْجَزَ وَعْدَهُ، وَنَصَرَ عَبْدَهُ، وَهَزَمَ الأَحْزَابَ وَحْدَهُ»

(আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারীকালাহু লাহুল্ মুল্কু ওয়ালাহুল হাম্দু ইউহয়ী ওয়া ইয়ুমীতু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারীকালাহু আনজাযা ওয়াদাহু, ওয়া নাছারা আবদাহু ওয়া হাযামাল আহযাবা ওয়াহদাহ্।)

“আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান! [নাসাঈ ২/৬২৪; মুসনাদে আহমদ: ৩/৩৮৮।] আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই, তিনি এক। তাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই। প্রশংসাও তাঁর। তিনি জীবন ও মৃত্যু দেন। আর তিনি সকল বিষয়ের ওপর ক্ষমতাবান। আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই, তিনি এক। তাঁর কোন শরীক নেই। তিনি তাঁর অঙ্গীকার পূর্ণ করেছেন; তাঁর বান্দাকে সাহায্য করেছেন এবং একাই শত্রু-দলগুলোকে পরাজিত করেছেন।” [নাসাঈ ২/২২৪; সহীহ মুসলিম, হদীস নং ২/২২২।]

৩. দো‘আ করার সময় উভয় হাত তুলে দো‘আ করবেন। [আবূ দাউদ: ১/৩৫১।]

৪. উল্লিখিত দো‘আটি এবং দুনিয়া-আখিরাতের জন্য কল্যাণকর যেকোনো দো‘আ সামর্থ্য অনুযায়ী তিন বার পড়বেন। নিয়ম হলো: উপরের দো‘আটি একবার পড়ে তার সাথে সামর্থ্য অনুযায়ী অন্য দো‘আ পড়বেন। তারপর আবার ঐ দো‘আটি পড়ে তার সাথে অন্য দো‘আ পড়বেন। এভাবে তিন বার করবেন।’ কারণ, হাদীসে স্পষ্ট উল্লিখিত হয়েছে, ‘তারপর তিনি এর মাঝে দো‘আ করেছেন। অনুরূপ তিনবার করেছেন। [সহীহ মুসলিম, হদীস নং ২১৩৭।] সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে সাফা-মারওয়ায় পাঠ করার বিবিধ দো‘আ বর্ণিত হয়েছে। [উদাহরণস্বরূপ দ্র. বাইহাকী: ৫/৪৯-৫০।]

৫. সাফা পাহাড়ে দো‘আ শেষ হলে মারওয়ার দিকে যাবেন। যেসব দো‘আ আপনার মনে আসে এবং আপনার কাছে সহজ মনে হয় তা-ই পড়বেন। সাফা থেকে নেমে কিছু দূর এগোলেই উপরে ও ডানে-বামে সবুজ বাতি জ্বালানো দেখবেন। একে বাতনে ওয়াদী (উপত্যকার কোল) বলা হয়। এই জায়গাটুকুতে পুরুষ হাজীগণ দৌঁড়ানোর মতো করে দ্রুত গতিতে হেঁটে যাবেন। পরবর্তী সবুজ বাতির আলামত সামনে পড়লে চলার গতি স্বাভাবিক করবেন। তবে মহিলারা এই জায়গাটুকুতেও চলার গতি স্বাভাবিক রাখবেন। সবুজ দুই আলামতের মাঝে চলার সময় নিচের দো‘আটি পড়বেন,

«رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ، إِنَّكَ أَنْتَ الأَعَزُّ الأَكْرَمُ

(রাব্বিগফির্ ওয়ারহাম্, ইন্নাকা আন্তাল আ‘য়ায্যুল আকরাম্।)

“হে আমার রব, আমাকে ক্ষমা করুন এবং রহম করুন। নিশ্চয় আপনি অধিক শক্তিশালী ও সম্মানিত।” [ইবন আবী শাইবা: ৪/৬৮; বাইহাকী: ৫/৯৫; তাবারানী, আদ-দো‘আ: ৮৭০; আলবানী, হিজ্জাতুন নবী পৃ. ১২০।]

৬. এখান থেকে স্বাভাবিক গতিতে হেঁটে মারওয়া পাহাড়ে উঠবেন। মারওয়া পাহাড়ের নিকটবর্তী হলে, সাফায় পৌঁছার পূর্বে যে আয়াতটি পড়েছিলেন, তা পড়তে হবে না।

৭. মারওয়ায় উঠার পরে কা‘বাঘরের দিকে মুখ করে দুই হাত তুলে আল্লাহর একত্ববাদ, বড়ত্ব ও প্রশংসার ঘোষণাসহ সাফার মতো এখানেও দো‘আ করবেন। [নাসাঈ, হাদীস নং ৪৭৯২।]

৮. মারওয়া থেকে নেমে সাফায় আসার পথে সবুজ বাতির কাছে পৌঁছলে সেখান থেকে আবার দ্রুত গতিতে চলবেন। পরবর্তী সবুজ বাতির কাছে পৌঁছলে চলার গতি স্বাভাবিক করবেন।

৯. সাফা পাহাড়ে এসে কা‘বাঘরের দিকে মুখ করে উভয় হাত তুলে আগের মত যিকির ও দো‘আ করবেন। সাফা মারওয়া উভয়টি দো‘আ কবুলের জায়গা। তাই উভয় জায়গাতে বিশেষভাবে দো‘আ করার চেষ্টা করবেন।

১০. একই নিয়মে সা‘ঈর বাকি চক্করগুলোও আদায় করবেন।

সা‘ঈ সংক্রান্ত জ্ঞাতব্য:

সা‘ঈ করার সময় জামা‘আত দাঁড়িয়ে গেলে কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করবেন।

সা‘ঈ করার সময় ক্লান্ত হয়ে পড়লে বসে আরাম করবেন। এতে সা‘ঈর কোনো ক্ষতি হবে না।

শেষ সা‘ঈ-অর্থাৎ সপ্তম সা‘ঈ-মারওয়াতে গিয়ে শেষ করবেন।

সা‘ঈতে অযু শর্ত নয়। তবে অযু বা পবিত্র অবস্থায় থাকা মুস্তাহাব। [ফাতাওয়া ইবন বায: ৫/২৬৪।]

তাওয়াফ শেষ করার পর যদি কোন মহিলার হায়েয শুরু হয়ে যায়, তবে তিনি সা‘ঈ করতে পারবেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন