hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সহজ হজ্জ ও ওমরাহ্‌ নির্দেশিকা

লেখকঃ শাইখ আখতারুল আমান

১৫
পছন্দনীয় আমলসমূহঃ
হজ্জ্বব্রত ও উমরাহ্‌ পালন করাঃ হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্নিত, বাসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) বলেন: জ্ঞএক উমরাহ্‌ থেকে অপর উমরাহ্‌র মাঝে সংঘটিত পাপ-সমূহ এমনিই বিমোচিত হয়। আর মাকবুল হজ্জ্বের বিনিময় নিশ্চিতভাবে জান্নাত।ঞ্চ (বুখারী ও মুসলিম)

যাবতীয় সৎকাজ অধিকহারে আদায় করাঃ যেমন- নামাজ, রোজা, সাদকাহ্‌ (দান), কুরআন তেলাওয়াত, যিকির, নিকটাত্মীয়ের সাথে সদাচার, সৎকাজের আদেশ এবং অসৎ কাজে নিষেধ, তওবা, ইস্তেগফার (ক্ষমাপ্রার্থনা) ইত্যাদি। কেননা সৎ আমলের প্রতিদান এইদিন গুলিতে যেমন অধিক হারে বৃদ্ধি পায়, তেমনি সৎ আমলই অল্লাহ্‌র মাগফিরাত ও রহ্‌মতকে নির্দিষ্ট করে।

রোজা রাখাঃ ইমাম নবুবী (রঃ) বলেন: জ্ঞএই দিনগুলিতে রোজা পালন করা মুস্তাহাব। বিশেষ করে যে ব্যক্তি হজ্জ্বে যায়নি তার জন্য আরাফাত দিবস তথা ৯ই জিলহজ্জ্বে রোজা রাখা মুস্তাহাব।ঞ্চ হযরত আবু ক্বাতাদাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, বাসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) বলেন: জ্ঞআরাফাত দিবসের রোজা আগত এবং বিগত এক বছরের পাপ বিমোচন করে।ঞ্চ (সহীহ্‌ মুসলিম)

ক্বুরবানী করাঃ ঈদের দিন বা আইয়ামে তাশরীকে (জিল হজ্জ্বের ১১, ১২ ও ১৩ তারিখ) ক্বুরবানী করা। ক্বুরবানী আমাদের পিতা ইব্রাহিম (আঃ)-এর সুন্নত, যখন আল্লাহ্‌ তাঁকে ঈসমাইল (আঃ) এর বিনিময়ে একটি বিরাট কুরবানী দান করেছিলেন। আল্লাহ্‌ বলেন: فصل لربك وانحر জ্ঞআপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ুন ও ক্বুরবানী করুন।ঞ্চ(কাউছার-৩)

রাসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) বলেন: জ্ঞতোমাদের কেহ যদি জিলহজ্জ্বের চাঁদ দেখে এবং ক্বুরবানী করার ইচ্ছা করে তাহলে সে যেন ক্বুরবানী পর্যন্ত স্বীয় চুল, নখ ইত্যাদি কর্তন থেকে বিরত থাকে।ঞ্চ (মুসলিম)

তাকবীর বলাঃ নির্দিষ্ট এবং অনির্দিষ্ট তাকবীর উঁচু আওয়াজে বলা। মহিলাগন নীচু আওয়াজে বলবে। তাকবীর এককভাবে বলা সুন্নত, দলবদ্ধ হয়ে সমস্বরে বলা অবৈধ। কেননা এরূপ তাকবীর বলা বাসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ), তাঁর সাহাবা এবং পূণ্যাত্মা পূর্বসূরীদের থেকে প্রমানিত নয়।

ক)অনির্দিষ্ট তাকবীরঃ অর্থাৎ সময় বা স্থান নির্দিষ্ট না করা। যেমন- বাড়ী, মসজিদ, বাজার ইত্যাদি স্থানে। জিলহজ্জ্বের প্রথম দিন থেকে নিয়ে ঈদের দিন পর্যন্ত যে কোন সময় এই তাকবীর চলতে থাকবে। ইমাম বুখারী (রঃ) বলেন: হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) এবং হযরত আবুহুরায়রা (রাঃ) এই দিনগুলোতে তাকবীর বলতে বলতে বাজারে যেতেন এবং তাদের দেখে লোকেরাও তাকবীর বলত।

খ)নির্দিষ্ট তাকবীরঃ অর্থাৎ নির্দিষ্টভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর তাকবীর বলা। এরূপ তাকবীর আরাফাত দিবসের ৯ই জিলহজ্জ্ব ফজর নামাজ থেকে শুরু হয়ে চলতে থাকবে জ্ঞআইয়্যামে তাশরিকঞ্চ তথা ১৩ই জিলহজ্জ্ব দিবসের শেষ পর্যন্ত। ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রঃ) বলেন: তাকবীরের ব্যাপারে বিশুদ্ধ মত হলো যাতে পূর্বসূরী অধিকাংশ সাহাবা, ফিকাহ্‌বিদ এবং ইমাম ঐক্যমত তা হলো- জ্ঞতাকবীর আরাফাত দিবসের ফজর থেকে শুরু হয়ে আইয়ামে তাশরীকের শেষ দিবস পর্যন্ত প্রত্যেক নামাযের পর বলতে হবে।ঞ্চ

তাকবীরঃ الله أكبر، الله أكبر، لاإله إلا الله، والله أكبر الله أكبر ولله الحمد

উচ্চারণঃ আল্লাহু আক্‌বার, আল্লাহু আক্‌বার, লাইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আক্‌বার ওয়া লিল্লাহিল হাম্‌দ।

ঈদগাহে গিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করা। খুতবায় উপস্থিত থেকে তা থেকে উপকৃত হওয়া।

উল্লেখ্য যে, ঈদ হলো কল্যাণময় আমল ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের দিন। সুতরাং উহাকে অন্যায় অশ্লীলতা ও পাপাচার যেমন- গান-বাদ্য, নগ্ন ফিল্ম, মাদকদ্রব্য ইত্যাদি দ্বারা কুলষিত করবে না, যা পূর্বকৃত সৎ আমলসমূহ বিনষ্টের কারণ হতে পারে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন