hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সহজ হজ্জ ও ওমরাহ্‌ নির্দেশিকা

লেখকঃ শাইখ আখতারুল আমান

১৬
ঈদুল আযহার বিধি-বিধান
অনুবাদঃ আখতারুল আমান

হে আমার মুসলিম ভাই! আল্লাহর প্রশংসা করুন এজন্য যে, তিনি আপনাকে এই মহান দিন পাওয়ার তাওফীক দিয়েছেন। আপনার বয়স দীর্ঘায়িত করেছেন যাতে করে দিন ও মাস সমূহের আবর্তণ-প্রবর্তণ প্রত্যক্ষ করতে পারেন এবং আল্লাহর নৈকট্য বিধান কারি আমল ও কথা স্বীয় আত্মার জন্য পেশ করতে পারেন। ঈদ হল এই উম্মতের বৈশিষ্ট এবং দ্বীনের প্রকাশ্য আলামত সমুহের অন্যতম। উহা ইসলামের অন্যতম প্রতীক। সুতরাং আপনার উচিত উহার প্রতি গুরুত্বারোপ ও সম্মান প্রদর্শন করা। আল্লাহ তাঞ্চয়ালা বলেনঃ ذَلِكَ وَمَنْ يُعَظِّمْ شَعَائِرِ اللهِ فَإنَّهاَ مِنْ تَقْوَي القُلُوْبِ ঞ্ছএটাই আল্লাহর বিধান আর কেউ আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মর্যাদা রক্ষা করলে তাতো তার অন্তরের তাকওয়ারই ফল।ঞ্জ (হজ্জঃ৩২)

নিম্নে আপনার জন্য সংক্ষেপে ঈদের কতিপয় বিধি-বিধান সন্নিবেশিত করা হলঃ

তাকবীর পাঠ করা: আরাফা দিবসের ফজর হতে তাকবীর শুরু করে তাশরীকের শেষ দিন তথা ১৩ যুলহজ্ব পর্যন্ত চলবে। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ وَاذْكُرُوا اللهَ فِيْ أياَّمٍ مَّعْدُوْدَاتٍ ঞ্ছতোমরা আল্লাহকে স্মরণ কর নির্ধারিত কয়েকটি দিনে।ঞ্জ (বাকারাহঃ ২০৩)

তাকবীর পাঠের পদ্ধতি: (তাকবীর হলঃ)

الله اكبر الله اكبر لا إله إلا الله والله اكبر الله اكبر ولله الحمد

ঞ্ছআল্লাহ আকবার আল্লাহ আকবার লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়াল্লাহ আকবার আল্লাহ আকবার ওয়াল্লিাহিল হামদ।ঞ্জ

আল্লাহর সম্মান ও এবং তার ইবাদত ও শুকরিয়া প্রকাশ স্বরুপ পুরুষদের জন্য মসজিদে, বাজারে, ঘর-বাড়ীতে এবং নামাযের পরে উক্ত তাকবীর উচ্চ স্বরে পড়া বিধি সম্মত।

২) কুরবানীর পশু যবেহ করা:

কুরবানী ঈদের নামাযের আগে নয় পরে করতে হয়। কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ ঞ্ছযে ব্যক্তি ঈদের নামাযের আগে কুরবানীর পশু যবেহ করে ফেলে সে যেন উহার স্থলে আরেকটি পশু যবেহ করে, আর যে ঈদের পূর্বে যবেহ করেনি সে নামাযের পর জ্ঞবিসমিল্লাহঞ্চ বলে যবেহ করবে।ঞ্জ (বুখারী ও মুসলিম)

তাকবীর হলঃ যবেহ করার দিনসমূহঃ

যবেহের সময় হল ঈদের চারদিন। কুরবানীর দিন ও তাশরীকের দিন গুলি। কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে প্রমাণিত, তিনি বলেন: كل أيام التشريق ذبح ঞ্ছতাশরীকের প্রতিটি দিন যবেহ করার দিন।ঞ্জ (আহমাদ প্রভৃতি, শাইখ আলবানী হাদীসটিকে বিশুদ্ধ বলেছেন। (দ্রঃ সিলসিলাতুল আহাদীস আস সাহীহা, হা/২৪৭৬) উল্লেখ্য, ঈদের পরবর্তী তিন দিনকে (১১,১২ ও ১৩ তারিখকে) তাশরীকের দিন বলে।

৩) গোসল করা, (পুরুষদের) জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করা, কোন অপচয় ছাড়াই উত্তম কাপড় পরিধান করা, কাপড় টাখনার নীচে ঝুলিয়ে পরবে না ও দাড়ি কামাবে না কেননা এরূপ সম্পূর্ণ হারাম। মহিলাদের ঈদগাহে যাওয়া বৈধ, তবে বেপর্দা বেহায়া হয়ে নয় এবং পুরুষদের সামনে সুগন্ধি ব্যবহার করে নয়। মুসলিম মহিলার জন্য বড় দোষের কথা যে, সে ছালাতে বা এধরণের কোন ভাল কাজে যাবে অথচ সে আল্লাহর নাফারমানিতে লিপ্ত হবে! বেপর্দা হবে, পুরুষদের সামনে সুগন্ধি ব্যবহার ইত্যাদি অবৈধ কাজে লিপ্ত হবে?

৪) কুরবানীর মাংস ভক্ষণ করাঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদগাহ থেকে ফিরে আসার পুর্বে কিছুই খেতেন না। ঈদগাহ থেকে ফিরে এসে নিজের কুরবানীর মাংস খেতেন।

৫) সম্ভব হলে ঈদগাহে হেঁটে যাওয়াঃ সুন্নত হল ঈদগাহে গিয়ে নামায আদায় করা। তবে যদি কোন ওযর থাকে যেমন বৃষ্টি ইত্যাদি তবে ঈদ মসজিদেই পড়তে পারে।

৬) মুসলমানদের সাথে নামায আদায় করা, এবং খুৎবায় উপস্থিত থাকা মুস্তাহাব। শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়া (রহঃ)প্রমূখদের মতে ঈদের ছালাত আদায় করা ওয়াজিব। কেননা আল্লাহ তাআলা বলেন: فصل لربك وانحر অর্থ: ঞ্ছতুমি তোমার প্রতিপালকের জন্য ছালাত আদায় কর এবং ক্বুরবানী কর।ঞ্জ (আল কাওসারঃ১২)

এ ছালাত শরীয়ত সম্মত ওযর ব্যতিত কারো যিম্মা থেকে রহিত হবে না। মহিলাগণও মুসলমানদের সাথে ঈদের ছালাতে উপস্থিত হবে। এমনকি ঋতুবতী মহিলারাও উপস্থিত হবে, তবে তারা নামাযের স্থান পরিত্যাগ করবে।

৭) রাস্তা পরিবর্তন করা: মুস্তাহাব হল এক রাস্তা দিয়ে ঈদগাহে যাওয়া এবং অপর রাস্তা দিয়ে ফিরে আসা। (বুখারী)

ঈদের শুভেচ্ছা প্রদান করা: ঈদের শুভেচ্ছায় এইকথা বলা যায়ঃ

( تَقَبَّلَ اللهُ مِناَّ وَمِنْكَ ) অর্থঃ আল্লাহ আমাদের ও আপনাদের থেকে নেক আমল গ্রহণ করুন। (দ্রঃ ফাতহুল বারী ও তামামুল মিন্নাহ)

এক্ষেত্রে মানুষ কিছু কিছু ভুলে লিপ্ত হয় তন্মধ্যে কতিপয় নিম্নরূপঃ

ক) এক সাথে সমস্বরে তাকবীর পাঠ করা অথবা কোন তাকবীর পাঠকারীর পিছনে সমস্বরে তাকবীর বলা।

খ) ঈদের দিনে হারাম খেল-তামাশায় লিপ্ত হওয়া: যেমন, গান-বাজনা, বিভিন্ন ফিলম দেখা, মাহরাম নয় এমন মহিলাদের সাথে পুরুষদের মেলামেশা করা... ইত্যাদি গর্হিত কাজ সম্পাদন করা।

গ) কুরবানী করার পুর্বে চুল অথবা নখ কাটা। কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা থেকে নিষেধ করেছেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন