HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
হজ কিভাবে মাবরূর হবে
লেখকঃ নুমান বিন আবুল বাশার
৪
দুই : হজের প্রস্ত্ততি গ্রহণ।মানসিকভাবে তৈরি হওয়াই সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্ত্ততি যা হাজীকে শরিয়ত সম্মত পদ্ধতিতে হজ পালনে সহায়তা করে এবং হজকে হজে মাবরুরে পরিণত করে।
* যে বিষয়গুলির প্রস্ত্ততি বিষেশভাবে গ্রহণ করতে হবে তা হলঃ
(ক) সকল শর্ত পূরণ করে আন্তরিক তাওবার মাধ্যমে বান্দা তার ও আল্লাহরর মাঝে সম্পর্ককে ঠিক করে নিবে।
(খ) আল্লাহ কাছে সাহায্য প্রার্থনা করবে, তার কাছে তাওফিক কামনা করবে, তার নিকট নিজের দুর্বলতা ও অক্ষমতা প্রকাশ করবে, তাকে ভয় করবে, তার রহমতের আশাও রাখবে। হজের জন্য বস্ত্তগত প্রস্ত্ততির সাথে সাথে এগুলোর অতি প্রয়োজন। কারণ একজন মুসলিমের জন্য শুধুমাত্র বস্ত্তগত প্রস্ত্ততির উপর নির্ভরশীল হওয়া ঠিক নয়।
(গ) হুকূকুল ইবাদ বা মানুষের পাওনা ও অধিকার সমূহ পরিশোধ করবে। যথা গচ্ছিত সম্পদ ফেরৎ দিবে, ঋণ পরিশোধ করবে, পরিশোধে অপরাগতায় সময় চেয়ে নিবে।
ঘ) অসীয়ত লিখে যাওয়া। অর্থ্যাত মৃত্যু হলে তার পরিবার পরিজন কি করবে ইত্যাদি লিখে কারো কাছে রেখে যাবে। কারণ সফর হলো জীবন মরণের ঝুকি।
(ঙ) ফিরে আসা পর্যন্ত পারিবারিক যাবতীয় খরচাদির ব্যবস্থা করবে। ভাল উপদেশ ও দিক নির্দেশনা দিয়ে যাবে, প্রতিনিধি নির্বাচন করে যাবে। তাহলে চিন্তা মুক্ত হয়ে হজ পালন করা সম্ভব হয়।
(চ) উপযুক্ত বাহনের ব্যবস্থা করা, বৈধ উত্তম পাথেয় সংগ্রহ করা, অবৈধ পাথেয় হজ গৃহীত হওয়ার প্রতিবন্ধক। ইমাম তাবারানি (র.) বর্ণনা করেন :
إذا خرج الرجل حاجا بنفقة طيبة ووضع رحله في الغرز فنادي لبيك اللهم لبيك ناداه من السماء لبيك وسعديك، زادك حلال، وراحلتك حلال، وحجك مبرور، وإذا خرج بالنفقة الخبيثة فوضع رجله في الغرز فنادى : لبيك، ناداه مناد من السماء لا لبيك ولا سعديك، زادك حرام، ...
মানুষ যখন বৈধ পন্থায় উপার্জিত পাথেয় নিয়ে হজে বের হয় এবং বাহনে পা রেখে বলে লাববাইক আল্লাহুম্মা লাববাইক!!হে আল্লাহ! তোমার দরবারে উপস্থিত। তখন আসমান হতে তাকে শুভেচ্ছা ও অভ্যর্থনা জানানো হয়, এই বলে অভিনন্দিত করা হয়, ‘‘তোমার উপস্থিতি কল্যাণকর হোক, হালাল তোমার পাথেয়, বৈধ তোমার বাহন এবং সফল তোমার হজ।’’ আর যে অবৈধ পথে উপার্জিত পাথেয় নিয়ে হজে বের হয়ে বাহনে পা রেখে যখন সে বলে লাববাইক! তখন আসমান হতে জনৈক ঘোষক তাকে তিরস্কার করে বলে দূর হ! হতভাগা দূর হ!! তোর পাথেয় হারাম তোর খরচ খরচাও হারাম এবং তোর হজ ও নিস্বফল।
বর্তমান যুগে আমরা অবৈধ উপার্জনের প্রতি ঝুকে পড়েছি এবং সন্দেহযুক্ত সম্পদের ব্যাপকতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। তবে আল্লাহ যার প্রতি রহম করেন সে ব্যতিত। অতএব প্রত্যেক বান্দার উচিত তার প্রভুকে ভয় করে চলা এবং নবী করিম (ﷺ) এর এই বাণী স্বরন রাখা ‘‘আল্লাহ তাআলা পবিত্র, তিনি একমাত্র পবিত্র বস্ত্তই গ্রহণ করেন।’’ [ইমাম তাবারানি : মুজামুল আওসাত - ৫২২৪]
হজ সফরে বের হওয়ার পূর্বে নিজের জন্য প্রয়োজনীয় খরচ-খরচার জন্য বেশি পরিমানে বৈধ টাকা পয়সা সাথে নেয়া যাতে অন্যের নিকট হাত পাততে না হয় এবং গরীব বা যাদের পাথেয় নেই, বা বা পাথেয় হারিয়েছে তাদের সহযোগিতা করা যায়।
(ছ) সৎ সফর সঙ্গী নির্বাচন করতে হবে। দূর্বল হয়ে পড়লে সে যেন সহযোগিতা করতে পারে, ভুলে গেলে স্বরণ করিয়ে দিতে পারে, কোন বিষয়ে অজানা থাকলে জানিতে দিতে পারে, সৎ কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ করতে পারে।
* হজের সময় দু’ধরনের সাথী নির্বাচন থেকে বিরত থাকবে।
১. অসৎ সঙ্গী। যে নাফরমানীতে লিপ্ত করে এবং অন্যায় কাজে সাহায্য করে।
২. বখাটে সঙ্গী। যারা এমন কাজে সময় ব্যয় করে যা পরকালে তাদের কোন উপকারে আসে না।
(জ) হজের মাসায়িল ও আদব সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন ও সফরের বিধিবিধান জানা। যেন কখন কোথায় কছর পড়তে হবে এবং কখন কোথায় দুই নামাজ একত্রে পড়তে হবে, কখন তায়াম্মুম করা যাবে ও মোজার উপর মাসেহ করা যাবে ইত্যাদি মাসায়েল জেনে নেয়া।
এ বিষয়ে আপনাকে সাহায্য করবে এমন সব উপকরণ ও এ সম্পর্কীয় পুস্তকাদি সঙ্গে নেওয়া এবং হজ ও ভৌগলিক স্থান সম্পর্কে অভিজ্ঞ আলেমের সফর সঙ্গী হওয়া।
* যে বিষয়গুলির প্রস্ত্ততি বিষেশভাবে গ্রহণ করতে হবে তা হলঃ
(ক) সকল শর্ত পূরণ করে আন্তরিক তাওবার মাধ্যমে বান্দা তার ও আল্লাহরর মাঝে সম্পর্ককে ঠিক করে নিবে।
(খ) আল্লাহ কাছে সাহায্য প্রার্থনা করবে, তার কাছে তাওফিক কামনা করবে, তার নিকট নিজের দুর্বলতা ও অক্ষমতা প্রকাশ করবে, তাকে ভয় করবে, তার রহমতের আশাও রাখবে। হজের জন্য বস্ত্তগত প্রস্ত্ততির সাথে সাথে এগুলোর অতি প্রয়োজন। কারণ একজন মুসলিমের জন্য শুধুমাত্র বস্ত্তগত প্রস্ত্ততির উপর নির্ভরশীল হওয়া ঠিক নয়।
(গ) হুকূকুল ইবাদ বা মানুষের পাওনা ও অধিকার সমূহ পরিশোধ করবে। যথা গচ্ছিত সম্পদ ফেরৎ দিবে, ঋণ পরিশোধ করবে, পরিশোধে অপরাগতায় সময় চেয়ে নিবে।
ঘ) অসীয়ত লিখে যাওয়া। অর্থ্যাত মৃত্যু হলে তার পরিবার পরিজন কি করবে ইত্যাদি লিখে কারো কাছে রেখে যাবে। কারণ সফর হলো জীবন মরণের ঝুকি।
(ঙ) ফিরে আসা পর্যন্ত পারিবারিক যাবতীয় খরচাদির ব্যবস্থা করবে। ভাল উপদেশ ও দিক নির্দেশনা দিয়ে যাবে, প্রতিনিধি নির্বাচন করে যাবে। তাহলে চিন্তা মুক্ত হয়ে হজ পালন করা সম্ভব হয়।
(চ) উপযুক্ত বাহনের ব্যবস্থা করা, বৈধ উত্তম পাথেয় সংগ্রহ করা, অবৈধ পাথেয় হজ গৃহীত হওয়ার প্রতিবন্ধক। ইমাম তাবারানি (র.) বর্ণনা করেন :
إذا خرج الرجل حاجا بنفقة طيبة ووضع رحله في الغرز فنادي لبيك اللهم لبيك ناداه من السماء لبيك وسعديك، زادك حلال، وراحلتك حلال، وحجك مبرور، وإذا خرج بالنفقة الخبيثة فوضع رجله في الغرز فنادى : لبيك، ناداه مناد من السماء لا لبيك ولا سعديك، زادك حرام، ...
মানুষ যখন বৈধ পন্থায় উপার্জিত পাথেয় নিয়ে হজে বের হয় এবং বাহনে পা রেখে বলে লাববাইক আল্লাহুম্মা লাববাইক!!হে আল্লাহ! তোমার দরবারে উপস্থিত। তখন আসমান হতে তাকে শুভেচ্ছা ও অভ্যর্থনা জানানো হয়, এই বলে অভিনন্দিত করা হয়, ‘‘তোমার উপস্থিতি কল্যাণকর হোক, হালাল তোমার পাথেয়, বৈধ তোমার বাহন এবং সফল তোমার হজ।’’ আর যে অবৈধ পথে উপার্জিত পাথেয় নিয়ে হজে বের হয়ে বাহনে পা রেখে যখন সে বলে লাববাইক! তখন আসমান হতে জনৈক ঘোষক তাকে তিরস্কার করে বলে দূর হ! হতভাগা দূর হ!! তোর পাথেয় হারাম তোর খরচ খরচাও হারাম এবং তোর হজ ও নিস্বফল।
বর্তমান যুগে আমরা অবৈধ উপার্জনের প্রতি ঝুকে পড়েছি এবং সন্দেহযুক্ত সম্পদের ব্যাপকতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। তবে আল্লাহ যার প্রতি রহম করেন সে ব্যতিত। অতএব প্রত্যেক বান্দার উচিত তার প্রভুকে ভয় করে চলা এবং নবী করিম (ﷺ) এর এই বাণী স্বরন রাখা ‘‘আল্লাহ তাআলা পবিত্র, তিনি একমাত্র পবিত্র বস্ত্তই গ্রহণ করেন।’’ [ইমাম তাবারানি : মুজামুল আওসাত - ৫২২৪]
হজ সফরে বের হওয়ার পূর্বে নিজের জন্য প্রয়োজনীয় খরচ-খরচার জন্য বেশি পরিমানে বৈধ টাকা পয়সা সাথে নেয়া যাতে অন্যের নিকট হাত পাততে না হয় এবং গরীব বা যাদের পাথেয় নেই, বা বা পাথেয় হারিয়েছে তাদের সহযোগিতা করা যায়।
(ছ) সৎ সফর সঙ্গী নির্বাচন করতে হবে। দূর্বল হয়ে পড়লে সে যেন সহযোগিতা করতে পারে, ভুলে গেলে স্বরণ করিয়ে দিতে পারে, কোন বিষয়ে অজানা থাকলে জানিতে দিতে পারে, সৎ কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ করতে পারে।
* হজের সময় দু’ধরনের সাথী নির্বাচন থেকে বিরত থাকবে।
১. অসৎ সঙ্গী। যে নাফরমানীতে লিপ্ত করে এবং অন্যায় কাজে সাহায্য করে।
২. বখাটে সঙ্গী। যারা এমন কাজে সময় ব্যয় করে যা পরকালে তাদের কোন উপকারে আসে না।
(জ) হজের মাসায়িল ও আদব সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন ও সফরের বিধিবিধান জানা। যেন কখন কোথায় কছর পড়তে হবে এবং কখন কোথায় দুই নামাজ একত্রে পড়তে হবে, কখন তায়াম্মুম করা যাবে ও মোজার উপর মাসেহ করা যাবে ইত্যাদি মাসায়েল জেনে নেয়া।
এ বিষয়ে আপনাকে সাহায্য করবে এমন সব উপকরণ ও এ সম্পর্কীয় পুস্তকাদি সঙ্গে নেওয়া এবং হজ ও ভৌগলিক স্থান সম্পর্কে অভিজ্ঞ আলেমের সফর সঙ্গী হওয়া।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন