মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
দুআ-মুনাজাতে নবী রাসূলের অসীলা দেয়া একটি পর্যালোচনা
লেখকঃ আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান
১৩
দুআ কবুল হওয়ার জন্য আল্লাহ তাআলার নাম ও গুণাবলী ব্যতীত অন্য কিছুর অসীলা দেয়ার কোন প্রয়োজন নেই।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/246/13
আল্লাহ তাআলা বলেন :
(আরবি)
আর যখন আমার বান্দারা তোমাকে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে, আমি তো নিশ্চয় নিকটবর্তী। আমি প্রার্থনাকারীর ডাকে সাড়া দেই, যখন সে আমাকে ডাকে। সুতরাং তারা যেন আমার ডাকে সাড়া দেয় এবং আমার প্রতি ঈমান আনে। আশা করা যায় তারা সঠিক পথে চলবে। (সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৬)
যখন আল্লাহ তাআলা বান্দার নিকটবর্তী তখন তাঁর নৈকট্য অর্জনের জন্য ভিন্ন কোন অসীলা বা মাধ্যম গ্রহণ করার কোন প্রয়োজন নেই, তখন
মানুষ সরাসরি আল্লাহ তাআলার কাছে তার সকল প্রার্থনা নিবেদন করবে কোন মাধ্যম বা অসীলা ব্যতীত। এটাই ইসলামের একটি বৈশিষ্ট্য ও মহান শিক্ষা। আল্লাহ তাআলার কাছে দুআ-প্রার্থনায় কোন অনুনোমোদিত মাধ্যম গ্রহণ করার দরকার নেই মোটেই। বরং অসীলার ধারণাগুলো মানুষকে শিরক বিদআতের দিকেই নিয়ে যায়।
দুআ-প্রার্থনায় মাধ্যম বা অসীলা গ্রহণ একটি বিজাতীয় বিষয়। হিন্দু, বৌদ্ধ খৃষ্টানসহ অন্যান্য ধর্মের লোকেরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে মূর্তি, পাদ্রী ও ধর্ম যাজকদের মাধ্যম বা অসীলা হিসাবে গ্রহণ করে থাকে। এ দিকের বিবেচনায় এটি একটি কুফরী সংস্কৃতি। যা কোন মুসলমান অনুসরণ করতে পারে না। তারা অসীলার ভাবনা থেকেই পৌত্তলিকতার প্রবর্তন করেছে।
নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নাম, মর্তবা, সম্মান-মর্যাদার অসীলা দিয়ে দুআ করা সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা কোন প্রমাণ নাযিল করেননি।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো তার নাম, মর্যাদা, সম্মান দিয়ে দুআ করতে বলেননি।
অপরদিকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর পর কোন সাহাবী বা তাবেয়ীন তার নাম, মর্যাদার অসীলা দিয়ে দুআ করেননি। সাহাবায়ে কেরাম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমাদের চেয়ে অনেক বেশী ভালোবাসতেন। অনেক বেশী সম্মান করতেন। তাকে অনেক বেশী জেনেছেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে কখনো তার নাম বা মর্যাদার অসীলা দিয়ে দুআ করেননি। যদি তার নাম বা মর্যাদার অসীলা দিয়ে দুআ করাটা শরীয়ত সম্মত হত, ভাল কাজ হত, তাহলে তিনি অবশ্যই তা আমাদের বলে যেতেন। তিনি ইসলাম শিক্ষা দিতে, দাওয়াত ও তাবলীগের দায়িত্ব পালনে কোন অলসতা করেননি। অতি সামান্য বিষয়ও তিনি তার উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন।
দুআ-মুনাজাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অসীলা গ্রহণ যদি কোন নেক আমল হত, তাহলে তিনি তার সাহাবীদের বলে যেতেন।
তাঁর মৃত্যুর পর তার কোন সাহাবী এ রকম অসীলা দিয়ে দুআ করেননি। বরং তারা এটাকে জায়েয মনে করার কোন প্রয়োজনও অনুভব করেননি।
কেয়ামতের সময় বা শেষ বিচারে আল্লাহ আমাদের প্রশ্ন করবেন, আল্লাহ তাআলার রাসূল যা কিছু নিয়ে এসেছিল তোমাদের কাছে, তা তোমরা কতটুকু গ্রহণ করেছ?
আল্লাহ তাআলা বলেন :
(আরবি)
আর সেদিন আল্লাহ তাদের ডেকে বলবেন, তোমরা রাসূলদের কী উত্তর দিয়েছিলে? (সূরা কাসাস : ৬৫)
আল্লাহ তাআলা আরো বলেন :
(আরবি)
সুতরাং আমি অবশ্যই তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করব যাদের নিকট রাসূল পাঠানো হয়েছিল। এবং অবশ্যই আমি রাসূলদের জিজ্ঞাসাবাদ করব। (সূরা আরাফ, আয়াত ৬)
অতএব, আল্লাহ তাআলা আমাদের কখনো প্রশ্ন করবেন না, তোমরা অমুক ইমাম, পীর, মুরব্বী, আকাবির বা উস্তাদের কথা মেনে নিয়েছিলে কি না। বা অমান্য করেছ কি না?
তাই কুরআন ও সহীহ হাদীস মানা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব। এর বাইরে তৃতীয় কোন সূত্র দিয়ে দীনি বিষয় প্রমাণিত হবে না।
আল্লাহ তাআলা যুগে যুগে নবী ও রাসূলদের পাঠিয়েছেন তাদের অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার তাওহীদকে ধারণ করার জন্য।
তিনি তাদের নামের অসীলা দিয়ে দুআ-মুনাজাত করে শিরকের পথ খোলার জন্য কখনো নবী রাসূল প্রেরণ করেননি।
আমাদের পক্ষ থেকে কেয়ামত পর্যন্ত তাঁর রাসূল মুহাম্মাদের উপর, তাঁর পরিবার পরিজন ও সাহাবীদের উপর হৃদয় নিংড়ানো হাজার হাজার সালাত ও সালাম নিবেদিত হোক।
আল্লাহ আমাদের সকলকে বিশুদ্ধ তাওহীদ গ্রহণ করে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ ও সুন্নাহ আঁকড়ে ধরে দীনে ইসলামে অটল থাকার তাওফীক দিন।
সমাপ্ত
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/246/13
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।