hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

নবীর সুন্নতকে আঁকড়ে ধরা ও তার প্রভাব

লেখকঃ শাইখ মুহাম্মদ সালিহ আল-‘উসাইমীন রহ.

১০
প্রথম প্রশ্ন: হে সম্মানিত শাইখ! আমি এক মসজিদের ইমাম; কিন্তু আমি সে মসজিদে নামায পড়ি না। আমার অপারগতা হলো: আমার দায়িত্ব খুবই কষ্টকর, আর মসজিদটি আমার বাড়ি থেকে অনেক দূরে। সুতরাং আমি যে বেতন নেই তার হুকুম কি? প্রকাশ থাকে যে, আমাদের এখানে অনেকেই আছে যারা আমার মত এ কাজ করে থাকে। আমার ও আমার মত অন্যান্যদের জন্য আপনার উপদেশ কি?
জবাব: আল্লাহ আপনাকে বরকত দান করুন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা প্রশ্ন। কিছু মানুষ মসজিদে সরকারী ইমাম বা মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব নেয়, কিন্তু ঠিক মত সে দায়িত্ব পালন করে না, অথচ নিয়মিত বেতন ভোগ করেন। অন্য কাউকে অর্ধেক বা এর চেয়ে কম বেতন দিয়ে এ কাজ চালিয়ে যান।

শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়া রহ. “আল ইখতিয়ারাত” এ “ওয়াকফ” অধ্যয়ে উল্লেখ করেছেন, এ ধরণের কাজ অন্যায়ভাবে সম্পদ ভক্ষণ। সে নিজে একই কাজে অধিক বেতন ভোগ করেন, অথচ অন্যকে তার চেয়ে কম দিয়ে এ কাজ চালিয়ে যান। শাইখ রহ. সঠিক কথাই বলেছেন।

আর যদি জামাত তরক করে এবং তার পক্ষ্য থেকে অন্য কেউ জামাত কায়েম না করে তবে তা আরো জঘন্য কাজ। সে নামায না পড়ালে তার জন্য উক্ত মসজিদের ইমাম হওয়া জায়েয নেই। অন্য কেউ ইমামতির দায়িত্ব নিবে।

এ প্রসঙ্গে আরো বলছি: যে সব চাকুরীজিবিরা কর্মস্থলে আসতে বিলম্ব করে বা অনুপস্থিত থাকে, অথচ হাজিরা খাতায় সঠিক সময় উল্লেখ করে, বা সময় শেষ হওয়ার আগে অফিস থেকে বের হয়ে যায়, তাদের এ ধরণের কাজ করা হারাম, এটা আমানতের পরিপন্থী।

আমরা যদি ধরি যে, সাপ্তাহিক উপস্থিতির পরিমাণ হলো ৩৫ ঘণ্টা, কিন্তু সে প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে বিলম্ব করল, ফলে ৩৫ ঘণ্টা থেকে ৫ ঘণ্টা কমে গেল। তাহলে কিভাবে তার পূর্ণ বেতন নেয়া জায়েয হবে? ঠিক একই ব্যক্তিকে যদি তার নির্ধারিত ১০০ টাকা বেতন থেকে কিছু টাকা কর্তন করে রাখলে সে কি তা চাইবে না? তাহলে কেন তার কাছ থেকে ওয়াদাপূরণ ও নিয়মানুবর্তিতা চাওয়া হবে না? একথা সকলেই জানে যে, কেউ সময়মত উপস্থিত ও প্রস্থানের অভ্যাস গড়ে তুললে এটা তার জন্য কঠিন নয়। কিন্তু নিজেকে অলস হিসেবে গড়ে তুললে তার জন্য অর্পিত দায়িত্ব পালন করা দুরূহ ব্যাপার হয়ে পড়বে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন:

قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : «الْمُؤْمِنُ الْقَوِيُّ، خَيْرٌ وَأَحَبُّ إِلَى اللهِ مِنَ الْمُؤْمِنِ الضَّعِيفِ، وَفِي كُلٍّ خَيْرٌ احْرِصْ عَلَى مَا يَنْفَعُكَ، وَاسْتَعِنْ بِاللهِ وَلَا تَعْجَزْ، وَإِنْ أَصَابَكَ شَيْءٌ، فَلَا تَقُلْ لَوْ أَنِّي فَعَلْتُ كَانَ كَذَا وَكَذَا، وَلَكِنْ قُلْ قَدَرُ اللهِ وَمَا شَاءَ فَعَلَ، فَإِنَّ لَوْ تَفْتَحُ عَمَلَ الشَّيْطَانِ»

“মজবুত ঈমানদান আল্লাহর নিকট দুর্বল ঈমানদার অপেক্ষা উত্তম ও প্রিয়। অবশ্য প্রত্যেকের মধ্যেই ভালো বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। তোমার পক্ষে যা উপকারী ও কল্যাণকর, সে ব্যাপারে আগ্রহী হও। আল্লাহর নিকট সাহায্য কামনা করো। হিম্মতহারা হয়ো না, কোনো বিপদে পড়লে এরূপ বলো না, যদি এটা করতাম তাহলে এরূপ হতো (বা হতো না)। বরং এ কথা বলো: আল্লাহর তাকদীরে এটাই ছিল। তিনি যা চেয়েছেন তাই হয়েছে। কারণ “যদি” শব্দ শয়তানের কাজ উন্মুক্ত করে দেয়”। [মুসলিম, হাদীস নং ২৬৬৪।]

আল-কুরআনে এসেছে:

﴿ إِنَّ خَيۡرَ مَنِ ٱسۡتَ‍ٔۡجَرۡتَ ٱلۡقَوِيُّ ٱلۡأَمِينُ ٢٦ ﴾ [ القصص : ٢٦ ]

“নিশ্চয় আপনি যাদেরকে মজুর নিযুক্ত করবেন তাদের মধ্যে সে উত্তম, যে শক্তিশালী বিশ্বস্ত।” [সূরা আল-কাসাস: ২৬]

যে ব্যক্তি কাজে না গিয়ে বিছানায় এক বা দু’ঘণ্টা ঘুমিয়ে থাকে তাহলে তার আমানতদারিতা কোথায়? প্রত্যেক মানুষের জন্য ওয়াজিব হলো, সে নিজের হিসেব নিজে নিবে এবং আল্লাহকে ভয় করবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন