hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

নবীর সুন্নতকে আঁকড়ে ধরা ও তার প্রভাব

লেখকঃ শাইখ মুহাম্মদ সালিহ আল-‘উসাইমীন রহ.

১৮
নবম প্রশ্ন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী "إن اللَّهَ خَلَقَ آدَمَ عَلَى صُورَتِهِ" এর সালফে সালেহীনদের সঠিক ব্যাখ্যা কি? দয়া করে জানাবেন, আল্লাহ আপনাদেরকে উত্তম প্রতিদান দিন।
জবাব: প্রশ্নটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রশ্নটির জন্য নয়, বরং আমাদের জন্য ফরয হলো: আল্লাহর সিফাত সম্পর্কে কুরআন ও হাদীসে যেভাবে এসেছে সেভাবেই ঈমান আনা। আমরা একথা জিজ্ঞেস করব না: কিভাবে? কেন? কেননা এ সব গায়েবী বিষয়ে প্রশ্ন করা ও গভীরে প্রবেশ করা কখনো কখনো মানুষকে ধ্বংস করে, ফলে সে এ সবকে অস্বীকার করে বা একটা রূপ দিতে চেষ্টা করে।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী " إن اللَّهَ خَلَقَ آدَمَ عَلَى صُورَتِهِ " “আল্লাহ আদম আলাইহি সালামকে তাঁর আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন” অন্য রেওয়ায়েতে এসেছে: «إن الله خلق آدم على صورة الرحمن» “আল্লাহ আদম আলাইহিস সালামকে রহমানের আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন” [বুখারী, হাদীস নং ৬২২৭।] এ শব্দ বুখারীতে এসেছে। সাহাবা কিরামগণ কি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এর অর্থ জিজ্ঞেস করেছেন নাকি তারা এগুলোকে গ্রহণ করেছেন ও আত্মসমর্পণ করেছেন? জবাবে বলব, তারা নিশ্চয় দ্বিতীয়টি করেছেন অর্থাৎ তারা এগুলোকে কবুল করেছেন। আমরা একথা জানি না যে, কোনো সাহাবা বলেছে: “হে আল্লাহর রাসূল সুরত দ্বারা উদ্দেশ্য কি”? বরং তারা কোনো প্রশ্ন না করে কবুল করেছেন। এ ক্ষেত্রে তারা একটি মূলনীতি বানিয়ে নিয়েছেন, সেটা হলো: আল্লাহকে কোনো কিছুর মত মনে না করা। কেননা আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:

﴿ لَيۡسَ كَمِثۡلِهِۦ شَيۡءٞۖ وَهُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡبَصِيرُ ١١ ﴾ [ الشورى : ١١ ]

“তাঁর (আল্লাহর) মত কিছু নেই, আর তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।” [সূরা আশ-শূরা: ১১]

এমনকি যদিও আমরা কোনো সূরত বা রূপের কথা বলি তবুও একথা দৃঢ়ভাবে বলা যায় যে, তিনি মাখলুকের রূপের সাথে সামঞ্জস্য রাখেন না। আর আদম আলাইহিস সালাত ওয়াসসালামের আকৃতি আল্লাহর আকৃতির সদৃশ নয়।

তোমরা লক্ষ্য করেছ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী:

«أَوَّلُ زُمْرَةٍ تَدْخُلُ الجَنَّةَ عَلَى صُورَةِ القَمَرِ لَيْلَةَ البَدْرِ»

“প্রথম যে দলটি জান্নাতে প্রবেশ করবে তাদের চেহারা পূর্ণিমা রাতের চাঁদের ন্যায় হবে” [বুখারী, হাদীস নং ৩২৪৫, মুসলিম, হাদীস নং ২৮৩৪।]

এখানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপরিউক্ত বাণী দ্বারা কি সদৃশ অত্যাবশ্যক করে? আমরা বিশ্বাস করি যে, আল্লাহ তা‘আলা আদম আলাইহিস সালামকে তাঁর আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন, তবে নিম্নোক্ত আয়াতে হাকীমের দ্বারা প্রমাণিত যে তা কোনো সদৃশ ছাড়া:

﴿ لَيۡسَ كَمِثۡلِهِۦ شَيۡءٞۖ وَهُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡبَصِيرُ ١١ ﴾ [ الشورى : ١١ ]

“তাঁর (আল্লাহর) মত কিছু নেই, আর তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।” [সূরা আশ-শূরা: ১১]

কিছু সালাফ উলামায়ে কিরাম বলেছেন: এখানে আকৃতি বলতে বুঝানো হয়েছে: আল্লাহ তা‘আলা এ সূরত বা রূপটি সর্বোত্তম অবয়বে পছন্দ করেছেন। তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন, তাকে আকৃতি দান করেছেন এবং পুনর্বিন্যাস করেছেন। অতএব আল্লাহ যে আকৃতিকে নিজে যথাযথ তত্ত্বাবধান করেছেন তাকে অসুন্দর গালি দেওয়া বা তাকে আঘাত করা সমীচিন নয়।

তবে প্রথম মতটিই বেশী নিরাপদ। কেননা দ্বিতীয় মতে তা’বীল বা অপব্যাখ্যার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। অতএব আমরা একথা গ্রহণ করব যে, আল্লাহ তা‘আলা আদম আলাইহিস সালামকে তাঁর আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন, তবে কোনো সদৃশ ব্যতীত।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন