মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
মানুষকে যেখানে দাফন করা হয় তার নাম কবর। দুনিয়ায় এটাই তার সর্বশেষ ঠিকানা। যখন দাফন করা হয়, জীবিতদের সাথে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং সে চলে যায় অদৃশ্য জগতে। মানুষ অনেকটা অসহায় এবং আল্লাহর তাকদীরের কাছে অপারগ হয়ে প্রস্থান করে কবরের জগতে। মৃত্যুর বিভীষিকা, কবরের চাপ অতঃপর ফিরিশতাদের প্রশ্ন, হাশরের ময়দানে উত্থান, হিসাব-নিকাশ ও কিসাস অর্থাৎ যুলুমের বদলা নেকীর বিনিময় কিংবা পাপের বোঝা গ্রহণ করে এবং ডান হাত কিংবা বাঁ হাতে আমলনামা প্রাপ্তির গভীর উৎকণ্ঠার মতো নিদারুণ অবস্থার সম্মুখীন হয় পর পর। মৃত এ ব্যক্তিকে কাণ্ডজ্ঞানহীন মূর্খ কবর পূজারী কতিপয় জীবিত মানুষের অন্তরে মহা শক্তিধর হিসেবে পেশ করে শয়তান, ফলে তারা দো‘আ, সুপারিশ ও কল্যাণ লাভ করার আশায় ছুটে যায় তাদের কবরে, পেশ করে টাকা-পয়সা, বিভিন্ন নজর-নেওয়াজ ও ত্যাগ-কুরবানী।
আমাদের পূর্ববর্তী উম্মতকে শয়তান এভাবেই গোমরাহ ও পথভ্রষ্ট করেছে, সত্যকে আড়াল করে তাদের সামনে তুলে ধরেছে বাতিলকে। আল্লাহ তা‘আলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রেরণ করে সে মূর্খতা ও অন্ধকার উম্মত থেকে দূর করেন। তিনি কবর যিয়ারত সম্পূর্ণ নিষেধ করে দেন, যেন জাহেলী কুসংস্কার, শির্কী আকীদা, বিচ্যুতি ও শয়তানী সংশয় থেকে তাদের অন্তর সফেদ ও পরিচ্ছন্ন হয়। অতঃপর যখন তাদের আকীদা পরিশুদ্ধ ও পরিপক্ব হলো, তাওহীদের আলোয় তাদের হৃদয়-কুন্দর ভরে গেল, তিনি ঘোষণা দিলেন:
«كنت نهيتكم عن زيارة القبور فزوروها» مسلم و زاد الترمذي : «فإنها تذكركم الآخرة»، وعند أبي داود : «فإن في زيارتها تذكرة» . ولفظ النسائي : «نهيتكم عن زيارة القبور، فمن أراد أن يزور فليزر، ولا تقولوا هُجراً»
“আমি তোমাদেরকে কবর যিয়ারত থেকে নিষেধ করেছিলাম, তোমরা তা যিয়ারত কর”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৯৭৭] ইমাম তিরমিযী অতিরিক্ত বর্ণনা করেন: “কারণ তা আখেরাত স্মরণ করিয়ে দেয়”। [তিরমিযী, হাদীস নং ১০৫৪] ইমাম আবু দাউদ তার পরিবর্তে বলেন: “কারণ তার যিয়ারত করায় উপদেশ রয়েছে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৩২৩৫] ইমাম নাসাঈ-এর বর্ণনা করা শব্দ হচ্ছে: “কবর যিয়ারত থেকে তোমাদেরকে নিষেধ করেছিলাম, অতএব, যে যিয়ারত করার ইচ্ছা করে সে যিয়ারত করুক, তবে তোমরা বেহুদা কথা বল না”। [নাসাঈ, হাদীস নং ২০৩১]
তিনি উম্মতকে সতর্ক করে বলেন, যেন তারা দূর আগামীতে শয়তানের বিস্মৃতি ও প্রতারণায় সঠিক পথহারা না হয়:
«لعن الله اليهود والنّصارى اتخذوا قبور أنبيائهم مساجد» و في مسند الإمام أحمد : «اللهم لا تجعل قبري وثنا ، لعن الله قوما اتخذوا قبور أنبيائهم مساجد»
“আল্লাহ ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানদের লা‘নত করুন, তারা তাদের নবীদের কবরকে মসজিদ বানিয়েছে”। [সহীহ বুখারী ও মুসলিম।] আবু হুরায়রা থেকে ইমাম আহমদ বর্ণনা করেন: “হে আল্লাহ আমার কবরকে প্রতিমা [অর্থাৎ মুর্তি ও প্রতিমার নিকট যেসব ইবাদাত আঞ্জাম দেওয়া হয়, সেসব থেকে আমার কবরকে হিফাযত কর, যেন আমার কবরে কেউ নজর-নেয়াজ ও মান্নত না করে, কেউ বসে ইতিকাফ না করে, কেউ দো‘আ ও ফরিয়াদ না করে এবং কেউ কেবলা ও কাবা না বানায়। এ জাতীয় কর্মকাণ্ড পূর্ববর্তীদের কবরে সংঘটিত হত, তাই সেসব থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উম্মতকে সতর্ক করেছেন।] বানিও না, আল্লাহ সে জাতিকে লা‘নত করুন, যারা তাদের নবীদের কবরকে মসজিদ বানায়”। [আহমদ, হাদীস (১২/৩১৪), আলবানি হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। দেখুন: তাহযিরুস সাজিদ: (পৃ. ২৪), যদিও ইবন রজব ফাতহুল বারী: (২/৪৪১) গ্রন্থে বলেছেন, তার সনদের সমস্যা আছে।]
কবর যিয়ারত করার বৈধতা থেকে কেউ যেন তার উপর নির্মাণ করা, তাকে ঘিরে বসা ও তা ইবাদাত খানায় পরিণত করার ভ্রান্তিতে লিপ্ত না হয় তাই আরো সতর্কতা অবলম্বন করেন। আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন,
«أن يبنى على القبور , أو يقعد عليه , أويصلى عليها»
“কবরের উপর নির্মাণ করা, তার উপর বসা অথবা তার উপর সালাত পড়া থেকে”। [আবু ইয়ালা আল-মুসিলি বিশুদ্ধ সনদে স্বীয় মুসনাদ: (৩/৬৭) গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন, আরো দেখুন ইবন মাজাহ।]
আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু আবুল হাইয়াজ আল-আসাদীকে বলেন, আমি কি তোমাকে সে কাজের জন্য প্রেরণ করব, যার জন্য আমার অন্তরঙ্গ বন্ধু আমাকে প্রেরণ করেছেন?
«اذهب فلا تدع تمثالا إلا طمسته , ولا قبرا مشرفا إلا سويته»
“যাও, কোনো মূর্তি রাখবে না অবশ্যই তা ধ্বংস কর, আর না রাখবে কোনো উঁচু কবর, অবশ্যই তা বরাবর কর”। [সহীহ মুসলিম (৯/৬১)]
জাবের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন:
«أن يجص القبر، وأن يقعد عليه، وأن يبنى عليه» . رواه أحمد، ومسلم، والنسائي، وأبو داود، والترمذي وصححه . ولفظه : «نهى أن تجصص القبور، وأن يكتب عليها، وأن يبنى عليها، وأن توطأ» . وفي لفظ النسائي : «أن يبنى على القبر، أو يزاد عليه، أو يجص، أو يكتب عليه» .
“যেন কবর পাকা (বা টাইলস) করা না হয়, তার উপর বসা না হয় এবং তার উপর ঘর নির্মাণ করা না হয়”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৯৪, (২/৬৬৭); আহমদ (৩/২৯৫, ৩৩৯, ৩৩২) ও (৬/২৯৯)] ইমাম তিরমিযী বলেন: “কবর পাকা করা, তার উপর লিখা, তার উপর নির্মাণ করা এবং তা পায়ে পিষ্ট করতে নিষেধ করেছেন”। [তিরমিযী, হাদীস নং ১০৫২) ও (৩/৩৫৯)] নাসাঈর শব্দ হচ্ছে: “কবরের উপর নির্মাণ করা অথবা তার উপর বৃদ্ধি করা অথবা তা পাকা করা অথবা তার উপর লিখা থেকে নিষেধ করেছেন”। [নাসাঈ (৪/৮৮)]
কবরকে সম্মান জানিয়ে দামি বস্তু সেখানে ব্যয় করা শরী‘আতের দৃষ্টিতে বৈধ নয়, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুধু এতটুকু প্রমাণিত আছে যে, তিনি কবরের উপর মাটি দিয়েছেন এবং কিছু ছোট পাথর দিয়েছেন যেন মাটি তার উপর বসে যায়, তার অতিরিক্ত করা সীমালঙ্ঘন ও বাড়াবাড়ি। তাই কবরের উপর থেকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনমূলক সকল বস্তু সরিয়ে ফেলার নির্দেশ করেছেন তিনি, হোক সেটা ইট-পাথর, প্লাস্টার, মার্বেল, সিরামিক অথবা কোনো খনিজ দ্রব্য।
মুদ্দাকথা: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুরুতে কবর যিয়ারত থেকে নিষেধ করেছেন, পরবর্তীতে তার অনুমতি দিয়েছেন হিকমত বর্ণনা করাসহ: “তোমরা কবর যিয়ারত কর, কারণ তা আখেরাত স্মরণ করিয়ে দেয়”। [সহীহ মুসলিম।] কাদি ইয়াদ বলেন: “উপদেশ গ্রহণ করার নিমিত্তে কবর যিয়ারত করা বৈধ, বড়ত্ব প্রকাশ, প্রতিযোগিতা ও মাতম করার উদ্দেশ্য নয়, যেমন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “বেহুদা কথা বল না”। [মুয়াত্তা মালিক, আহমদ ও নাসাঈ।] কাদি ইয়াদ বলেন: “আখেরাত স্মরণ করিয়ে দেয়া ব্যতীত কবর যিয়ারত করার কোনো কারণ আমি জানি না”। [দেখুন, শারহু মুসলিম লিল আবি (৩/৩৯৬)]
কীভাবে কবর যিয়ারত করব সেটাও রয়েছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শে। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের শেষাংশে ‘বাকি করবস্থান’-এ যেতেন। সেখানে তিনি বলতেন:
«السلام عليكم دار قوم مؤمنين وأتاكم ما توعدون، غداً مُؤَجَّلُون وإنّا إن شاء الله بكم لاحقون . اللهم اغفر لأهل بقيع الغرقد»
“হে মুমিনদের বাড়ি-ঘরের অধিবাসীগণ তোমাদের ওপর সালাম, তোমাদের যা ওয়াদা করা হয়েছিল সামনে হাযির হয়েছে, (আমাদের পরিণতিও তোমাদের পরিণতির মতো হবে) তবে আমরা আগামীকাল পর্যন্ত অবকাশ প্রাপ্ত। আর আমরা অবশ্যই আল্লাহর ইচ্ছায় তোমাদের সাথে মিলিত হবো। হে আল্লাহ, তুমি বাকী‘ আল-গারকাদের অধিবাসীদের ক্ষমা কর”। [সহীহ মুসলিম।] অনুরূপ আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা যখন জানতে চান, কীভাবে কবর যিয়ারত করবেন, তিনি বলেন, বল:
«السلام على أهل الديار من المؤمنين والمسلمين يرحم الله المستقدمين منّا والمستأخرين ، وإنّا إن شاء الله بكم لاحقون . وفي رواية : أسأل الله لنا ولكم العافية» . رواه مسلم
“হে মুমিন ও মুসলিমদের বাড়ি-ঘরের অধিবাসীগণ, আমাদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তীদের ওপর আল্লাহ রহম করুন, আমরা অবশ্যই আল্লাহর ইচ্ছায় তোমাদের সাথে মিলিত হবো”। অপর বর্ণনায় এসেছে: “আল্লাহর নিকট আমাদের জন্য ও তোমাদের জন্য নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি”। [সহীহ মুসলিম।]
এভাবে আমাদেরকে তিনি কবর যিয়ারত করার নিয়ম বাতলে দেন; কিন্তু শয়তান মূর্খ ও বিপথগামীদের নিকট শির্ককে সুন্দরভাবে পেশ করে, তারা কবরে গিয়ে বলে: হে আমার সায়্যেদ অমুক (মৃত), আমাকে সাহায্য কর; তার নিকট বিভিন্ন প্রয়োজন পেশ করে, যা কবিরা গুনাহ ও শির্ক।
অতএব, যে যিয়ারত করবে সে যিয়ারত করার কারণও গ্রহণ করবে অর্থাৎ উপদেশ। আর এটা হাসিল হয় যে কোনো কবর যিয়ারত দ্বারা, নিকট আত্মীয় কিংবা দূর সম্পর্কীয় বলে কোনো কথা নেই। মূল উদ্দেশ্য উপদেশ গ্রহণ করা, মানুষের শেষ পরিণতি মাটির গর্ত ভিন্ন কিছু নয়। মৃত ব্যক্তি মুমিন হলে কবর প্রশস্ত করা হয়, কাফির হলে সংকীর্ণ করা হয়। সুতরাং কবর যিয়ারত করার জন্য দূর কোথাও যাওয়া কিংবা দীর্ঘ সফর করার অর্থ নেই, কারণ যে কোনো কবরের পাশে দাঁড়ালে উপদেশ হাসিল হয়। হ্যাঁ, যদি স্বীয় পিতা, মাতা বা কোনো সন্তানের কবর যিয়ারত করা হয়, তাহলে উপদেশ গ্রহণ গভীর হয়, দলীল আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর হাদীস, তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মায়ের কবর যিয়ারত করেন, তিনি নিজে কাঁদেন এবং যারা পাশে ছিল তাদের কাঁদান। অতঃপর তিনি বলেন:
«استأذنت ربي أن أستغفر لها فلم يُؤذن لي و استأذنته في أن أزور قبرها فأذن لي ، فزوروا القبور فإنها تذكر الموت» .
“আমি আমার রবের নিকট অনুমতি চেয়েছি যে, আমার মায়ের জন্য ইস্তেগফার করব, তিনি আমাকে অনুমতি দেন নি, আমি তার কবর যিয়ারত করার অনুমতি চেয়েছি, তিনি আমাকে তার অনুমতি দেন। অতএব, তোমরা কবর যিয়ারত কর, কারণ তা মৃত্যুকে স্মরণ করিয়ে দেয়”। [সহীহ মুসলিম।]
কেউ বলতে পারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উহুদের শহীদদের কবর যিয়ারত করেছেন -এটা কি দীর্ঘ সফর নয়? না, এটা দীর্ঘ সফর নয়। উহুদ মদীনার পাহাড়সমূহ থেকে একটি পাহাড়, উহুদের শহীদদের কবর মদীনার নিকটবর্তী, তার জন্য দীর্ঘ সফর করার প্রয়োজন হয় না, মদীনা থেকে কেউ উহুদ গেলে বলা হয় না সফরে গিয়েছে। দ্বিতীয়তঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের নিকট গিয়েছেন মৃত্যুর পূর্বে দো‘আ ও ইস্তেগফার করার উদ্দেশ্যে, যেমন সহীহ বুখারীতে উকবাহ ইবন আমের থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন:
«صلّى رسول الله صلى الله عليه وسلم على قتلى أُحد بعد ثماني سنين كالمودّع للأحياء والأموات ... »
“মৃত ও জীবিতদের বিদায় জানানোর মতো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আট বছর পর উহুদের শহীদদের জন্য দো‘আ করেছেন”। [সহীহ বুখারী, কিতাবুল মাগাযী।]
অনুরূপ তিনি ‘বাকি কবরস্থান’ যিয়ারত করেছেন আল্লাহর নির্দেশে। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত দীর্ঘ হাদীসে রয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
“জিবরীল আমার নিকট এসে বলেন: আপনার রব আপনাকে নির্দেশ করছেন বাকি‘র অধিবাসীদের নিকট আসুন এবং তাদের জন্য দো‘আ করুন”। [সহীহ মুসলিম।]
অতএব, উহুদ ও বাকি‘র ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আদিষ্ট ছিলেন, সেখানে তিনি তাদের জন্য ইস্তেগফার করেন। তাদের থেকে বরকত হাসিল কিংবা নিজের প্রয়োজন পেশ করার জন্য যান নি, সেখানে পৌঁছার জন্য তার দীর্ঘ সফর ও আসবাব-পত্রসহ প্রস্তুতি গ্রহণ ছিল না। কোনো কিতাবে উল্লেখ নেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইবরাহীম কিংবা মূসা কিংবা কোনো নবীর কবর যিয়ারত করার জন্য দীর্ঘ সফর করেছেন, অথচ তাদের কবরের জায়গা তিনি জানতেন। অনুরূপ কোনো সাহাবী থেকে প্রমাণিত নয় যে, কবর যিয়ারত করার জন্য তারা দীর্ঘ সফর করেছেন। এটা কীভাবে সম্ভব যেখানে তিনি নিজে বলেছেন: “তিনটি মসজিদ ব্যতীত দীর্ঘ সফর করা যাবে না”। [সহীহ বুখারী ও মুসলিম।]
এভাবেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় উম্মতকে তাওহীদ বিনষ্টকারী প্রত্যেক বস্তু থেকে সতর্ক করেছেন, সাহাবীগণ তার আদর্শ বাস্তবায়ন করেছেন অক্ষরে অক্ষরে; কিন্তু শয়তান তার পুরনো পদ্ধতি বেছে নেয় মানুষকে পথহারা করার নিমিত্তে নতুন লেভেল দিয়ে, কবরের দিকে ধাবিত করার বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে, ইসলাম থেকে ছিটকে পড়া কিংবা কুমতলব নিয়ে ইসলাম গ্রহণ করা কতিপয় অনুসারীকে দিয়ে মিথ্যা রচনা করে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীস বলে প্রচার করে, সাথে যুক্ত করা হয় আজগুবি অনেক ফযীলত। কতক নাম মাত্র আলেম না বুঝে সেগুলো প্রচার করে, তাতে বিধৃত মনগড়া ফযীলতের প্রতি উদ্বুদ্ধ করে এবং যারা তার থেকে সতর্ক করে তাদের বিরুদ্ধাচরণে লিপ্ত হয়!
আল্লাহ তা‘আলা ইসলাম সুরক্ষার অংশ হিসেবে তাওহীদের ধারক আলেমদের তাদের পশ্চাতে দাঁড় করিয়ে দেন, তারা উম্মতকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর আরোপ করা মিথ্যাচার সম্পর্কে সতর্ক করেন। বানোয়াট জাল হাদীসসমূহের অসারতা তুলে ধরেন, কুরআন ও সহীহ হাদীসের দাবির সাথে তার বৈপরীত্য প্রমাণ করেন, যেন প্রকৃত মুসলিম ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সত্যিকার অনুসারীরা তার আদর্শের ওপর অটল থাকে। বক্ষ্যমাণ পুস্তিকা সে ধারাবাহিকতার অংশ বিশেষ। আল্লাহ আমাদেরকে কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর অনুসরণ করার তাওফীক দিন।
অনুবাদক
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/296/2
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।