hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কবর যিয়ারত সংক্রান্ত কতিপয় জাল ও দুর্বল হাদীস

লেখকঃ শাইখ হাম্মাদ ইবন মুহাম্মাদ আল-আনসারী আল-খাযরাজী আস-সা‘দী

লেখকের ভূমিকা
সকল প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য। সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তার পরিবার ও তার সকল সাথীর উপর। অতঃপর, আমার নিকট একটি প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়, যার ভাষা ছিল নিম্নরূপ:

দু’জন ব্যক্তি ঝগড়ায় জড়িয়েছে যে, কারো জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মসজিদ ব্যতীত শুধু কবর যিয়ারত করার নিয়তে সফর করা জায়েয কি না, বিষয়টি আমাদের বুঝিয়ে বলুন, আল্লাহ আপনাদেরকে হিফাযত করুন?

উত্তর: ইসলামের শুরুতে কবর যিয়ারত করা নিষেধ ছিল। কারণ তখন মানুষ সবেমাত্র মূর্তিপূজা ত্যাগ করে মুসলিম হয়েছে, অতঃপর তা রহিত করে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:

«كنتُ نهيتكم عن زيارة القبور، فزوروها فإنها تذكركم الآخرة»

“আমি তোমাদেরকে কবর যিয়ারত থেকে নিষেধ করেছিলাম, তোমরা তা যিয়ারত কর। কারণ, কবর আখেরাতকে স্মরণ করিয়ে দেয়”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৯৭৭; আবু দাউদ, হাদীস নং ৩২৩৫; তিরমিযী, হাদীস নং ১০৫৪; নাসাঈ (৪/৮৯); আহমদ (৫/৩৫৬)। এ ছাড়া অন্যান্য মুহাদ্দিসগণও বুরাইদা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।]

তিনি শুধু পুরুষদের জন্য কবর যিয়ারত বৈধ করেন। ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর হাদীসের [শাইখ (লেখক) বলেছেন: ইবন আব্বাস থেকে আবু সালেহ সূত্রে বর্ণিত হাদীসটি সহীহ, আবু সালেহ সম্পর্কে বলা হয়েছে, সে উম্মে হানীর মাওলা বাযাম। কেউ বলেছেন, বাযাম হচ্ছে মিজান বসরী, বাযামের পরিচয় যাই মানি হাদীসটি সহীহ। কারণ বাযাম থেকে যদি মুহাম্মাদ ইবন যাহাদাহ বর্ণনা করেন, তার হাদীস মুহাদ্দিসদের নিকট সহীহ হিসেবে স্বীকৃত। এ হাদীস বাযাম থেকে, তবে তার থেকে যদি কালবি বা তার মতো কোনো বর্ণনা করে সেটা সহীহ নয়। আর আমরা যদি আবু সালেহকে, মিজান বসরী মানি তবুও হাদিসের বিশুদ্ধতায় দ্বিমত নেই, কারণ সে মুহাদ্দিসদের নিকট নির্ভরযোগ্য, তার সনদে ইনকিতা (বিছিন্নতা), তাদলিস (অস্পষ্টতা) ও ইরসাল (সাহাবীকে উহ্য রাখার দোষ) নেই।] কারণে নারীদের জন্য তা কিয়ামত পর্যন্ত নিষিদ্ধই থাকে, যা বর্ণনা করেছেন আবু দাউদ, তিরমিযী ও অন্যান্য মুহাদ্দিসগণ:

«لعن رسول الله زائرات القبور»

“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবর যিয়ারতকারী নারীদের লা‘নত করেছেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৩২৩৬; তিরমিযী, হাদীস নং ৩২০; নাসাঈ (৪/৯৫); ইবন মাজাহ, হাদীস নং ১৫৭৫। সবাই হাদীসটি ইবন আব্বাসের ছাত্র আবু সালেহ সূত্রে বর্ণনা করেছেন। আবু সালেহ উম্মে হানীর মাওলা (গোলাম) ছিলেন।আবু সালেহ এর স্বপক্ষে (অপর দু’জন সাহাবী থেকে বর্ণিত) দু’টি শাহিদ হাদীস রয়েছে, একটি বর্ণনা করেছেন তিরমিযী, হাদীস নং ১০৫৬ ও ইবন মাজাহ, হাদীস নং ১৫৭৬ উমার ইবন আবু সালামাহ থেকে, সে তার বাবা আবু সালামাহ সূত্রে, হাদীসটি মারফু: «لعن الله زوارات القبور» .“আল্লাহ কবর যিয়ারতকারী নারীদের উপর লা‘নত করেছেন”।অপর হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ইবন মাজাহ, হাদীস নং ১৫৭৪; বুখারী, ‘তারিখুল কাবির’ গ্রন্থে (৩/২৯); আহমদ (৩/৪৪২-৪৪৩); ইবন আবি শাইবাহ (৩/৩৪৫)। আব্দুর রহমান ইবন বুহমান সূত্রে, সে আব্দুর রহমান ইবন হাসসান থেকে, সে পিতা হাসসান থেকে: «لعن رسول الله زوارات القبور» .“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবর যিয়ারতকারী নারীদের ওপর লা‘নত করেছেন”।]

আরো হারাম করেন নির্দিষ্ট কবর যিয়ারত করার উদ্দেশ্য দীর্ঘ সফর। ইমাম বুখারী ও মুসলিম আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করেন:

«لا تشدّ الرحال إلا إلى ثلاثة مساجد …»

“তিনটি মসজিদ ব্যতীত কোনো বস্তুর দিকে (সাওয়াবের উদ্দেশ্যে) বাহন (গাড়ি) হাঁকানো যাবে না”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১১৮৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৩৯৭।]

শেষের হাদীস থেকে তিনটি মসজিদের জন্য সাওয়াবের উদ্দেশ্যে দীর্ঘ সফর করা বৈধ প্রমাণিত হয়: মসজিদুল হারাম, মসজিদুন নবী ও মসজিদুল আকসা।

বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত সহীহ হাদীসের ভাষ্য -তিনটি মসজিদ ব্যতীত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কবর যিয়ারত করার উদ্দেশ্যে সফর করা বৈধ নয় অর্থাৎ যদি যিয়ারতকারী নবীর মসজিদ ব্যতীত শুধু কবর যিয়ারত করার উদ্দেশ্য করে। যদি মসজিদ যিয়ারত করার উদ্দেশ্যে সফর করে, অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কবর যিয়ারত করে কোনো সমস্যা নেই, এরূপ করা বৈধ, কারণ পূর্বের হাদীস থেকে জেনেছি পুরুষদের জন্য কবর যিয়ারত করা বৈধ।

এ ছাড়া নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে স্পষ্ট কোনো কথা ও কর্ম বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত হয় নি, যা প্রমাণ করে নির্দিষ্ট কবরের জন্য সফর করা বৈধ, হোক সেটা তার কবর কিংবা কারো কবর। কোনো সাহাবী ও তাদের অনুসারী কোনো আদর্শ পুরুষ সম্পর্কে জানা যায় নি, যিনি শুধু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিংবা কারো কবর যিয়ারত করার জন্য দীর্ঘ সফর করেছেন।

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে একটি মারফু হাদীসে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«من عمل عملا ليس عليه أمرنا فهو رد»

“যে এমন কোনো আমল করল যার ওপর আমাদের আদর্শ নেই তা প্রত্যাখ্যাত”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১১৮৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৩৯৭।] অতএব, সকল কল্যাণ আদর্শ পূর্বসূরিদের আনুগত্যে এবং সকল অনিষ্ট পরবর্তীদের নতুন আবিষ্কারে।

এটাই প্রকৃত সত্য ও সঠিক ফায়সালা, তবে পরবর্তী কতক লোক, যারা ইলমের সাথে সম্পৃক্ত, শুধু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কবর কিংবা অন্য কারো কবর যিয়ারত করার উদ্দেশ্যে দীর্ঘ সফর করাকে বৈধ বলেন, এমন কতিপয় দলীলের ওপর ভিত্তি করে, যা হয়তো বানোয়াট অথবা খুব দুর্বল, যেসব হাদীস দ্বারা শর‘ঈ বিধান প্রমাণিত হয় না। হাদীস বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের নিকট যা স্বীকৃত নীতি, আমি হাদীস বিশারদ ইমামদের উক্তিসহ এখানে তা উল্লেখ করছি, আল্লাহর সাহায্যের ওপর ভরসা করে বলছি: সাওয়াবের নিয়তে দীর্ঘ সফর করা যারা বৈধ বলেন, তাদের দলীল চৌদ্দটি হাদীস, যার একটিও তাদের দাবির পক্ষে দলীল হিসেবে পেশ করা বৈধ নয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন