HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আল-কুরআনুল কারীমের অর্থানুবাদ প্রেক্ষাপট ও আবশ্যকীয় জ্ঞান

লেখকঃ আলী হাসান তৈয়ব

কুরআনী বিধান বাস্তবায়নে হাদীসের ভূমিকা বিকল্পহীন :
যদিও কুরআন মাজীদে শরীয়তের মৌলিক বিধানাবলির বর্ণনা আছে। কিন্তু তা এত সংক্ষিপ্ত যে, শুধু কুরআনের ওপর ভিত্তি করে সেগুলির বাস্তবায়ন প্রায় অসম্ভব। এরূপ অনেক বিধি-বিধান রয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ দু’একটি উল্লেখ করা যায় :

ক. ‘সালাত’ তথা নামায সম্পর্কে কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে,

﴿ وَأَقِيمُواْ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتُواْ ٱلزَّكَوٰةَ وَٱرۡكَعُواْ مَعَ ٱلرَّٰكِعِينَ ٤٣ ﴾ [ البقرة : ٤٣ ]

‘আর তোমরা সালাত কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং রুকূকারীদের সাথে রুকূ কর।’ {সূরা আল-বাকারা, আয়াত : ৪৩}

কিন্তু সালাতের ওয়াক্তসমূহ রাকাতের সংখ্যা, কেরা’তের তাফসীল, শর্তাদি, সালাত ভঙ্গের কারণসমূহ এবং সালাতের সঠিক নিয়ম-পদ্ধতি ইত্যাদির বিস্তারিত বর্ণনা জানতে হাদীসই ভরসা।

খ. কুরআন মাজীদে যাকাতের ব্যাপারে বলা হয়েছে,

﴿ وَءَاتُواْ ٱلزَّكَوٰةَ ﴾ [ البقرة : ٤٣ ]

‘এবং তোমরা যাকাত আদায় কর’। {সূরা আল-বাকারা, আয়াত : ৪৩} কিন্তু যাকাত কী? এর নেছাব কত? কখন তা আদায় করতে হবে? কতটুকু আদায় করা জরুরী? ইত্যাদি শুধু হাদীস থেকেই আমরা জানি। হাদীস ছাড়া এসব জানার কোনো উপায় নেই।

গ. কুরআন মাজীদে সাওম বা রোযা সম্পর্কে বলা হয়েছে,

﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ كُتِبَ عَلَيۡكُمُ ٱلصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِكُمۡ لَعَلَّكُمۡ تَتَّقُونَ ١٨٣ ﴾ [ البقرة : ١٨٣ ]

‘হে মুমিনগণ! তোমাদের ওপর সিয়াম ফরয করা হয়েছে, যেমন ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর, যেন তোমরা পরহেযগার হতে পার’। {সূরা আল-বাকারা, আয়াত : ১৮৩}

কিন্তু সিয়াম ফরয হওয়ার জন্য শর্তাদি কী? সিয়াম ভঙ্গের কারণসমূহ কী? সিয়ামাবস্থায় কী কী বৈধ? ইত্যাদি আরো অনেক বিধি-বিধানের বিস্তারিত বর্ণনা শুধু হাদীস থেকেই পাওয়া যায়।

ঘ. কুরআন মাজীদে হজ সম্পর্কে বলা হয়েছে,

﴿ وَلِلَّهِ عَلَى ٱلنَّاسِ حِجُّ ٱلۡبَيۡتِ مَنِ ٱسۡتَطَاعَ إِلَيۡهِ سَبِيلٗاۚ وَمَن كَفَرَ فَإِنَّ ٱللَّهَ غَنِيٌّ عَنِ ٱلۡعَٰلَمِينَ ٩٧ ﴾ [ ال عمران : ٩٧ ]

‘আর সামর্থ্যবান মানুষের ওপর আল্লাহর জন্য বায়তুল্লাহর হজ করা ফরয। আর যে কুফরী করে, তবে আল্লাহ তো নিশ্চয় সৃষ্টিকুল থেকে অমুখাপেক্ষী। আর এ ঘরের হজ করা হ’ল মানুষের ওপর আল্লাহর প্রাপ্য, যে লোকের সামর্থ্য রয়েছে এ পর্যন্ত পৌঁছার’। {সূরা আলে ইমরান, আয়াত : ৯৭}

কিন্তু জীবনে হজ কত বার ফরয? হজ্জের রুকুন কী? হজ আদায়ের সঠিক নিয়ম কী? ইত্যাদি হজ ও উমরা সম্পর্কীয় আরো অনেক বিধানের বিস্তারিত বর্ণনা শুধু হাদীসেই রয়েছে।

ঙ. পানাহারের বস্তু সামগ্রীর কিছুকে হালাল ও অন্য কিছুকে হারাম ঘোষণা করে অবশিষ্ট বস্তুনিচয় সম্পর্কে কুরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমাদের জন্য পবিত্র বস্তুসমূহ হালাল করা হয়েছে’। অন্য স্থানে আছে ‘অপবিত্র বস্তুসমূহ হারাম করা হয়েছে’। কিন্তু কোন বস্তু হালাল ও পবিত্র, আর কোনটি অপবিত্র ও হারাম, এসবের বিস্তারিত বর্ণনা আমরা জানতে পাই শুধু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথা ও কাজ থেকেই।

চ. কুরআন মাজীদে চুরি করার শাস্তি বলা হয়েছে ‘হাত কেটে ফেলা। কিন্তু কী পরিমাণ মাল চুরি করলে? এবং কতটুকু হাত কাটা হবে? ইত্যাদি বিষয়ের বিস্তারিত বর্ণনা শুধু হাদীসেই আমরা পেয়ে থাকি।

ছ. কুরআন মাজীদে মদপান হারাম বলা হয়েছে। কিন্তু সকল মাদকদ্রব্যের বিধান কী হবে? নেশাযুক্ত বস্তু পরিমাণে কমবেশি হলে কী বিধান হবে? ইত্যাদি মদ সংক্রান্ত অনেক বিধানের বিস্তারিত বর্ণনা শুধু হাদীসে পাওয়া যায়।

জ. কুরআন মাজীদে মহিলাদের মীরাছ সম্পর্কে বলা হয়েছে, একজন হলে সে অর্ধেক সম্পত্তি পাবে, আর যদি দুয়ের অধিক হয়, তখন দুই তৃতীয়াংশ পাবে। কিন্তু দুজন হলে কতটুকু পাবে তা আর কুরআনে নেই, তা শুধু হাদীসেই পাওয়া যায়। এছাড়া মীরাছ সম্পর্কিত আরো অনেক বিধান আমরা শুধু হাদীস থেকেই নিই।

ঝ. কুরআন মাজীদে সুদকে কঠোরভাবে নিষেধ করে একে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। এ থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। কিন্তু কোন ধরনের লেনদেন সুদের অন্তর্ভুক্ত আর কোনটি নয়- এসব ব্যাপারে হাদীসেই বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। [. হারুন আযিযী নদভী, হাদীস কি ও কেন ?]

এমনিভাবে শরীয়তের আরো অনেক বিধি-বিধান রয়েছে যেগুলি সম্পর্কে কুরআন মাজীদে সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করা হয়েছে। অথচ হাদীসেই পাওয়া যায় তার বিস্তারিত বিবরণ। এমতাবস্থায় যে বা যারাই হাদীসকে বাদ দিয়ে কুরআন বুঝার বা কুরআনী বিধানাবলি বাস্তবায়নের চেষ্টা করবে, তারা যে স্পষ্ট গোমরাহ ও পথভ্রষ্ট, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

কেন নয়, আল্লাহ তা‘আলা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে যেসব দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছিলেন তার অন্যতম ছিল মানুষকে পবিত্র কুরআন শিক্ষা দেওয়া এবং তার বক্তব্য তাদের কাছে সুস্পষ্ট করে দেওয়া। যেমন আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন,

﴿ كَمَآ أَرۡسَلۡنَا فِيكُمۡ رَسُولٗا مِّنكُمۡ يَتۡلُواْ عَلَيۡكُمۡ ءَايَٰتِنَا وَيُزَكِّيكُمۡ وَيُعَلِّمُكُمُ ٱلۡكِتَٰبَ وَٱلۡحِكۡمَةَ وَيُعَلِّمُكُم مَّا لَمۡ تَكُونُواْ تَعۡلَمُونَ ١٥١ ﴾ [ البقرة : ١٥١ ]

‘যেভাবে আমি তোমাদের মধ্যে একজন রাসূল প্রেরণ করেছি তোমাদের মধ্য থেকে, যে তোমাদের কাছে আমার আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করে, তোমাদেরকে পবিত্র করে এবং কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেয়। আর তোমাদের শিক্ষা দেয় এমন কিছু যা তোমরা জানতে না।’ {সূরা আল-বাকারা, আয়াত : ১৫১}

শায়খ ইবন তাইমিয়া রহ. বলেন, এটা জানা দরকার যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবীদের কাছে কুরআনের অর্থ বলে দিয়েছেন যেমন তিনি তাঁদের কাছে এর শব্দসমূহ বর্ণনা করেছেন। কেননা আল্লাহর বাণী,

﴿ وَأَنزَلۡنَآ إِلَيۡكَ ٱلذِّكۡرَ لِتُبَيِّنَ لِلنَّاسِ مَا نُزِّلَ إِلَيۡهِمۡ وَلَعَلَّهُمۡ يَتَفَكَّرُونَ ٤٤ ﴾ [ النحل : ٤٤ ]

‘এবং তোমার প্রতি নাযিল করেছি কুরআন, যাতে তুমি মানুষের জন্য স্পষ্ট করে দিতে পার যা তাদের প্রতি নাযিল হয়েছে। আর যাতে তারা চিন্তা করে।’ {সূরা আন-নাহল, আয়াত : ৪৪} এই আয়াতটি কুরআনের শব্দ এবং তার ব্যাখ্যা উভয়টাকেই শামিল করে। [. ড. ইহসান আমীন, আত-তাফসীর বিল মা’ছুর ওয়া তাতবিরুহূ।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন