HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আল-কুরআনুল কারীমের অর্থানুবাদ প্রেক্ষাপট ও আবশ্যকীয় জ্ঞান

লেখকঃ আলী হাসান তৈয়ব

সংক্ষেপে তরজমা ও তাফসীরের ভূত-ভবিষ্যত :
বাংলা ভাষায় পবিত্র কুরআনের অনুবাদ শুরুর ধারাবাহিকতায়ই শুরু হয়েছে তাফসীর সংকলন ও এর অনুবাদের কাজ। ওপরে প্রকাশকালের হিসেবে মোটামুটি প্রথম থেকে নিয়ে এ পর্যন্ত প্রকাশিত প্রায় সবগুলো অনুবাদ ও তাফসীরের নামই তালিকাভুক্ত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সঠিক বা ভ্রান্ত চিন্তা কিংবা অনুবাদ ও তাফসীরের মান বিবেচনায় আনা হয় নি। গবেষণার খাতিরে সবগুলোই এখানে সমভাবে উল্লেখিত হয়েছে। যাতে করে পাঠকগণ সুবিধেমত নিজের পছন্দের অনুবাদ বা তাফসীর এ তালিকা থেকে খুঁজে নিতে পারেন।

সন্দেহ নেই উপর্যুক্ত সকল তাফসীরকারক ও অনুবাদক নিজ নিজ মেধা, যোগ্যতা ও আন্তরিকতার জন্য ধন্যবাদার্হ। বিশেষত বিংশশতাব্দীর আগে যারাই এ কাজ করেছেন তাদেরকে নানা প্রতিকূলতা ও বাধা উজিয়ে এ কাজ করতে হয়েছে। তাঁরা নিজেদের শ্রম ও সময় কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির নিমিত্তে কাজে লাগিয়ে এ জাতির সেবা করেছেন। অনেকেই নিজের গাঁটের টাকা খরচ করে অনুবাদ বা তাফসীর প্রকাশ করেছেন। আল্লাহ তাঁদের সকলকে উত্তম বিনিময় দান করুন।

আলহামদুলিল্লাহ পূর্ববর্তীদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে বর্তমানেও বাংলা ভাষায় কুরআনের তরজমা ও তাফসীরের কাজ অব্যাহত রয়েছে। তবে বর্তমানে যেমন ইচ্ছে করলেই যে কেউ তথ্যের প্রাচুর্য লাভ করতে পারেন, পূর্বে তেমন ছিল না। আগেকার দিনে কাঙ্ক্ষিত কিতাব বা উদ্ধৃতি গ্রন্থ সংগ্রহ করা চাট্টিখানি কথা ছিল না। তাঁরা অনেকেই খেয়ে না খেয়ে, নিজের উপার্জন ও জীবিকার প্রতি না তাকিয়ে প্রচণ্ড আবেগ ও নিষ্ঠার সঙ্গে এ কাজ করেছেন। বর্তমানে আগ্রহী পাঠকের জন্য আরবী ও ইংরেজি ভাষায় পবিত্র কুরআনের অসংখ্য আকর গ্রন্থ বিদ্যমান। বাংলায়ও তেমন এ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। বর্তমানে মাকতাবা শামেলা ও ইন্টারনেট সেবার সৌজন্যে আরবীর সব রেফারেন্স বই ক্লিক করলেই সংগ্রহ করা সম্ভব। পাশাপাশি বাংলাতেও অনুবাদ ও তাফসীরের বিশাল এক ভাণ্ডার গড়ে উঠেছে।

পূর্বের কিছু কিছু তাফসীর বা অনুবাদে সঠিক তথ্য না পাবার কারণে কিংবা বিভ্রান্ত চেতনালালন হেতু কিছু ভুলচুক পাওয়া বিচিত্র নয়। তাই পাঠকের উচিত হবে সেসব তথ্যবিভ্রাট এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল-চুক সম্পর্কে সচেতন থাকা। বিজ্ঞ আলিমদের সাহায্য নিলে কাজটি সহজেই সম্পন্ন করতে পারবেন।

বাকি রইল পবিত্র কুরআনের বাংলা অনুবাদ ও তাফসীরের ভবিষ্যৎ সংকট ও সম্ভাবনা কথা। সে ব্যাপারে মোটা দাগে বলা যায়, ভবিষ্যতে আধুনিক মিডিয়া ও প্রচারমাধ্যম কাজে লাগিয়ে বিভ্রান্ত ফিরকা এবং ইসলামের চির শত্রুরা অনুবাদ ও তাফসীরের নামে কিছু ভেজাল ঢুকাবার চেষ্টা করে যাবে। এটাই স্বাভাবিক। যেমনটি তারা অতীতেও করেছে। কিন্তু কুরআনকে কিয়ামত পর্যন্ত অক্ষত ও অবিকৃত রাখার দায়িত্ব যেহেতু খোদ এর নাযিলকারী আল্লাহই নিয়েছেন তাই এ ব্যাপারে উদ্বেগের কিছু নেই। তবে তাদের খপ্পরে যেন কেউ না পড়েন সে চেষ্টা করে যেতে হবে হকপন্থী সকল মুসলিমকে। কারণ, যখন সঠিক তথ্য পাওয়া দুরূহ ছিল তখনই যেহেতু কুরআনের নির্মল আলোয় ভেজাল ঢুকানো যায় নি, সেখানে বর্তমান এই মুক্ততথ্যের হালজামানা, যখন এক ক্লিকেই হাদীসের সবলতা-দুর্বলতা এবং তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে সে যুগে এ কাজ আদৌ সহজ নয়।

তবে বাইরে থেকে অনুবাদ বা তাফসীরে বিভ্রান্তির অনুপ্রবেশ নিয়ে চিন্তিত হবার কারণ না থাকলেও উদ্বেগ বরং ঘরের শত্রু বিভীষণদের নিয়ে। ছদ্মরূপী মুসলিমদের নিয়ে। আরেকটি উদ্বেগের বিষয়, পূর্বে যেমন উল্লেখ করা হয়েছে যে কুরআন কোনো সাধারণ গ্রন্থ নয় এবং খোদ আরবী ভাষার পণ্ডিত তদুপরি নাযিলের প্রেক্ষাপট প্রত্যক্ষকারী সাহাবীদেরও কুরআন বুঝতে রাসূলুল্লাহর সাহায্য নিতে হয়েছে, সেখানে যদু-মধুরা কেউ এর তাফসীর বা অনুবাদে হাত দিতে সমস্যা হওয়াই স্বাভাবিক। বাংলা কুরআনের অনুবাদ ও তাফসীর সামনে রেখে কুরআন তাফসীরে প্রয়োজনীয় যোগ্যতা অর্জন না করেই অনেকে জাগতিক স্বার্থে এ দুরূহ কাজে হাত দেবার এই ভয়ঙ্কর প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কুরআনের তাফসীর করতে চাইলে অবশ্যই তাকে মূল আরবী থেকে সরাসরি আরবী তাফসীর ও হাদীসগ্রন্থসমূহের সহযোগিতায় তা করতে হবে। অন্যথায় তিনি যত বড় বিদ্বানই হোন না কেন কুরআনে মর্মার্থ অনুধাবনের প্রয়োজনীয়তা এবং এর শিক্ষা প্রচারে কাজ করে যেতে পারেন। তবে কিছুতেই নিজে মুফাসসির তথা কুরআনের ব্যাখ্যাতা বা ভাষ্যকার হতে পারেন না। ইদানীং অনেককেই দেখা যাচ্ছে কুরআন শুদ্ধভাবে পড়তে জানেন না, আরবী উদ্ধৃতি গ্রন্থসমূহ রোমন্থন তো দূরের কথা, আরবী নেড়ে ইবারত তথা হরকতবিহীন বাক্যের মর্মোদ্ধার করতে পারেন না, অথচ তাকে মুফাসসির আখ্যা দেয়া হচ্ছে কিংবা তিনি নিজে ইচ্ছে মত তাফসীর রচনার দুর্গম পথে যাত্রা শুরু করেছেন। এ কারণেই একজন কুরআন সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞানসম্পন্ন লোক ভাই গিরিশচন্দ্র সেনের অনুবাদকে ‘প্রথম সঠিক’ অনুবাদ বলার মতো বালখিল্য দেখাবার অবকাশ পান। এ ব্যাপারে আমাদের যেমন সতর্ক থাকতে হবে, তেমনি সজাগ করতে হবে অন্যদেরও। এ ক্ষেত্রে যারা আল্লাহর বাণী বুঝেন, যারা ইলমে ওহীর ধারক-বাহক তাঁদেরকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। যারা কুরআন বুঝেন না কিংবা যারা আরবী তথা কুরআনী শিক্ষা অর্জন করতে পারেন নি, তাদেরকে পূর্বোক্ত শ্রেণীর সাহায্য নিয়েই কুরআন অনুধাবনের চেষ্টা করতে হবে।

আল্লাহ তা‘আলা সবাইকে পবিত্র কুরআন বিশুদ্ধভাবে পড়া, সঠিকভাবে এর মর্ম উপলব্ধি করা এবং তদনুযায়ী জীবন পরিচালনার তাওফীক দান করুন। আমীন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন