মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
হাদীছ ও সুন্নাহের কিতাবসমূহে একজন পাঠক নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণীসমূহ হতে অনেক অনেক বাণী পাবে যা এ দু’টি শাহাদাতের ফযীলতকে এবং যে বাস্তবায়ন করে তার জন্য জান্নাত, আল্লাহর সন্তুষ্টি, সফলতা এবং আল্লাহর আযাব ও তাঁর ক্রোধ থেকে নাজাতকে অর্ন্তভুক্ত করে। সে সব হাদীসসমূহ থেকে একটি হাদীস উবাদাহ বিন সামেত রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত: নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,যে ব্যক্তি এ সাক্ষ্য দান করল যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন সত্য ইলাহ নেই। তিনি একক। তাঁর কোন শরীক নেই। মুহাম্মদ তাঁর বান্দা ও রাসূল। এবং ঈসা আল্লাহর বান্দা ও রাসূল, তিনি তাঁর এমন এক কালিমা যা তিনি মরিয়ামের প্রতি প্রেরণ করেছেন এবং তিনি তাঁরই পক্ষ থেকে প্রেরিত রুহ বা আত্মা। জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য, তাকে আল্লাহ তাআলা জান্নাতে দাখিল করবেন। তার আমল যাই হোক না কেন।বুখারী ও মুসলিম। অন্য বর্ণনায় আছে,জান্নাতের আটটি দরজার যে দরজা দিয়ে সে জান্নাতে যেতে চাইবে, আল্লাহ তাকে সেই দরজা দিয়েই জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।সহীহ মুসলিম ও অন্যান্য গ্রন্থে উসমান রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে মারফু হিসাবে বর্ণিত:যে ব্যক্তি এ বিশ্বাস সহকারে মৃত্যু বরণ করবে যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোনো সত্য মাবুদ নেই, সে জান্নতে প্রবেশ করবে।আর আবু হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ব্যতীত আর কোন সত্য উপাস্য নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল, -যে কোনো বান্দা সন্দেহাতীতভাবে এই দু’টি বিষয়ের সাক্ষ্যদানকারী অবস্থায় আল্লাহ তাআলার সাক্ষাৎ করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।উবাদাহ ইবন সামেত রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে আরো বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি,যে ব্যক্তি এ সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল, আল্লাহ তার ওপর জাহান্নাম হারাম করে দিবেন।আনাস ইবন মালেক রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মু‘আয ইবন জাবালকে বলেছেন:যে বান্দা এই সাক্ষ্য দিবে যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো সত্য ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর বান্দা ও রাসূল, আল্লাহ তাকে জাহান্নামের জন্য হারাম করে দিবেন।ইতবান ইবন মালিক রাযিয়াল্লাহু আনহু এর দীর্ঘ হাদীসে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:যে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলে আল্লাহ তাআলা তার জন্যে জাহান্নাম হারাম করে দিয়েছেন।উপরোক্ত হাদীসগুলো সহীহ বুখারী ও মুসলিম শরীফ বা তার যে কোনো একটিতে রয়েছে। কালেমা দু’টি বাস্তবায়ন করার ফযীলতের ব্যাপারে হাদীসগুলোর অর্থ সুস্পষ্ট। যেমন এর ওপর জান্নাতে প্রবেশ করা, জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেয়া এবং জাহান্নাম হারাম করে দেয়া নির্ভর করে। আর এর ওপর জাহান্নাম থেকে পরিত্রান পাওয়াও নির্ভর করে। যেমন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,যে ব্যক্তি সকালে অথবা সন্ধ্যায় এই দুআ পাঠ করবে, اللهم إني أصبحت أشهدك وأشهد حملة عرشك، وأنبياءك وملائكتك وجميع خلقك بأنك أنت الله لا إله إلا أنت، وأن محمدا عبدك ورسولك “হে আল্লাহ্! তোমার নামে আমি সকাল করেছি। তোমাকে সাক্ষী রাখছি, তোমার আরশ বহন কারী ফেরেশতা, সকল নবী, ফেরেশতাকুল এবং তোমার সমস্ত সৃষ্টি জগতকে সাক্ষী রেখে বলছি, নিশ্চয়ই তুমি আল্লাহ্, তুমি ছাড়া কোন সত্য মা’বুদ নেই এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তোমার বান্দা ও রাসূল, যে ব্যক্তি এটি পাঠ করবে, আল্লাহ তার একচতুর্থাংশ জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে দিবেন। যে ব্যক্তি তা দু’বার পাঠ করবে, আল্লাহ তার অর্ধাংশ জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে দিবেন। আর যে ব্যক্তি তিনবার পাঠ করবে, আল্লাহ তার তিন চতুর্থাংশ জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে দিবেন এবং যে ব্যক্তি তা চারবার পাঠ করবে, আল্লাহ তাকে সম্পূর্ণরূপে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে দিবেন”।ইমাম তিরমিযী ও আবু দাউদ হাদীসটি আনাস রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন। এই পবিত্র বাক্যের ফযীলতে আরো বর্ণিত হয়েছে যে, সমস্ত গুনাহের বিপরীতে এর পাল্লা ভারী হয়ে যাবে। বরং সমস্ত সৃষ্টির বিপরীতে তবে যাকে আল্লাহ চান তা ছাড়া। ইবনে হিব্বান ও হাকেম আবু সাঈদ খুদরী রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,মূসা আলাইহিস সালাম বলেন, “হে আমার রব! আমাকে এমন জিনিস শিক্ষা দিন যা দ্বারা আমি আপনাকে স্মরণ করব এবং আপনাকে ডাকবো। তিনি বলেন, ‘হে মূসা! তুমি لا إله إلا الله বল। তিনি বললেন, হে আমার রব, তোমার সব বান্দাই তো এটা বলে। অপর বর্ণনায় তিনি বলেন, তুমি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তবে আমি এমন একটি বস্তু চেয়েছি যা দ্বারা তুমি আমাকে বিশেষায়িত করবে। তিনি বললেন, হে মূসা! সপ্তাকাশ এবং আমি ব্যতীত তাতে যা কিছু আছে তা আর সাত তবক যমীন যদি এক পাল্লায় রাখা হয় এবং আরেক পাল্লায় যদি শুধু لا إله إلا الله থাকে তাহলে لا إله إلا الله -এর পাল্লাই বেশী ভারী হবে।ইমাম আহমাদ ইবন হান্বাল রাহিমাহুল্লাহ আব্দুল্লাহ ইবন আমর রাযিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন,নুহ আলাইহিস সালাম তাঁর পুত্রকে মরার সময় বলেছিলেন, আমি তোমাকে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলার আদেশ দিচ্ছি। কেননা সাত আসমান ও সাত যমীন যদি এক পাল্লায় রাখা হয় এবং আরেক পাল্লায় লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ রাখা হয়, তাহলে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর পাল্লা ভারী হবে। সাত আসমান ও সাত যমীনকে যদি একদিকে রাখা হয় এবং লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহকে আরেক দিকে রাখা হয়, তাহলে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ তাকে পরাভূত করে ফেলবে।ইমাম তিরমিযী এবং অন্যান্য ইমাম আব্দুল্লাহ্ ইবন আমর রাযিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে কাগজের টুকরা ওয়ালার হাদীস বর্ণনা করেছেন, যাকে কিয়ামতের দিন ডাকা হবে।অতঃপর তার সামনে গুনাহের ৯৯টি রেজিষ্টার খোলা হবে। অতঃপর তার জন্য একটি কাগজের টুকরা বের করা হবে। তাতে রয়েছে: أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ অর্থাৎ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ব্যতীত কোনো সত্য উপাস্য নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল। অতঃপর রেজিষ্টারগুলো এক পাল্লায় রাখা হবে এবং কাগজের টুকরটি অপর পাল্লায় রাখা হবে। তখন রেজিষ্টারগুলোর পাল্লা হালকা হবে এবং কাগজের টুকরাটির পাল্লা ভারী হবে।
প্রিয় পাঠক! আপনি দেখছেন যে, উপরোক্ত সহীহ হাদীসগুলো এই পবিত্র বাক্যটির ধারক ও বাহককে নাজাত ও সাফল্যের কথা জানিয়ে দিচ্ছে। তবে এটি বাস্তবায়ন করা এবং এর দাবি অনুযায়ী আমল করা জরুরী। এ সাধারণ ও শর্তহীন দলীলগুলো অন্যান্য ঐসব দলীলের সাথে মিলিয়ে বুঝতে হবে, যাতে সাক্ষ্য দু’টি উচ্চারণ করার সাথে সাথে বান্দার মধ্যে ইখলাস বিদ্যমান থাকা, সত্যবাদী হওয়া...ইত্যাদি বিষয়ের শর্তারোপ করা হয়েছে। যাতে কালেমা দু’টির সাক্ষ্য বান্দার আমল ও আচরণে প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/47/3
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।