মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
প্রতিটি মাযহাবে ইসলামের আলেমগণ ফিক্বহের কিতাবসমূহে মুরতাদের বিধানের অধীনে ইসলাম বিধ্বংসী বিষয়সমূহ এবং কিসের মাধ্যমে মুরতাদ হয় সে ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। তাঁদের কেউ কেউ আবার যে কারণে মানুষ মুরতাদ হয় সেগুলোর দৃষ্টান্ত দিতে গিয়ে অতিরঞ্জন করেছেন। আল্লাহর নিকট আমরা আশ্রয় চাচ্ছি। যার সংখ্যা কর্ম ও বর্জনসহ কয়েকশ’ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু আব্দিল-ওয়াহহাব (রাহিমাহুল্লাহ) দশটি বিধ্বংসী বিষয়ে সেগুলোর নির্যাস বলে দিলেন। যা তাওহীদগুচ্ছ ও অন্যান্য বইতে উল্লিখিত হয়েছে।
আমরা এখানে বিশেষ করে এমন কিছু চরিত্রের কথা উল্লেখ করবো যেগুলো করা তাওহীদের কালিমাদ্বয় বিরোধী। যার দরুন এগুলো উচ্চারণ করলে এবং এগুলোর কাজ করলেও কোন সাওয়াব হবে না। সেগুলোর কিয়দংশ নিম্নরূপ:
প্রথমতঃ
দুনিয়ার কিছু বিদ্যমান বস্তুকে আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন বলে অস্বীকার করা অথবা দুনিয়ার কিছু পরিচালনা ও তসরুফকে প্রকৃতি ও আকস্মিকতার সাথে সম্পৃক্ত করা। কারণ, এটি প্রতিপালকের উপর আঘাতের শামিল এবং এটি এক আল্লাহর জন্য পরিপূর্ণ তসরুফ সাব্যস্ত করা এবং সে জন্য যে তিনি ইবাদাতের একমাত্র উপযুক্ত সে বিষয়ক মুসলিম আক্বীদা বিরোধী।
দ্বিতীয়তঃ
আল্লাহর কিছু পরিপূর্ণ গুণাবলীকে অস্বীকার করা। যেমন: জ্ঞান, জীবন, চিরসংরক্ষণ, পরাক্রমশীলতা, শ্রবণ ও দর্শন। কারণ, এটি হলো চরম অবমাননা। যা একজন প্রতিপালকের ইবাদতের উপযুক্ত হওয়া বিরোধী। তেমনিভাবে এমন কোন ত্রুটিকে সাব্যস্ত করা যা থেকে আল্লাহ নিজকে পবিত্র করেছেন। যেমন: তন্দ্রা, নিদ্রা, ভুলে যাওয়া, যুলম, সন্তান, অংশীদার ইত্যাদি। কারণ, এটি সেই পরিপূর্ণতা বিরোধী যার মাধ্যমে তিনি সকল সৃষ্টির ইবাদাতের উপযুক্ত হয়েছেন।
তৃতীয়তঃ
কোন কোন সৃষ্টিকে স্রষ্টার কতক বিশেষত্বে বিশেষিত করা। যেমন: গাইবের খবর জানা, সার্বিক ক্ষমতা, জগতের মধে পরিপূর্ণ তসরুফ করা এবং আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া সৃষ্টি ও তৈরির করার ওপর ক্ষমতা রাখা। কারণ, এটি হলো আল্লাহর সাথে এ সৃষ্টিকে অংশীদার করা এবং সেটিকে স্রষ্টার মর্যাদায় উন্নীত করা। এটি মূলতঃ আল্লাহর জন্য চরম অবমাননা।
চতুর্থতঃ
সব ইবাদাত কিংবা কিছুর উপযুক্ত হওয়াকে রবের জন্য না করা। যেমন: এ বিশ্বাস করা যে, আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করা যাবে না ও তাঁকে ডাকা যাবে না। তাঁর নিকট সাহায্য চাওয়ার তিনি উপযুক্ত নন। অথবা এটির কোন গুরুত্ব নেই কিংবা তাতে কোন ফায়েদা নেই বলে বিশ্বাস করা। অনুরূপভাবে এটি বিধান সেই ব্যক্তিরও যে কিছু কিছু ইবাদাতকে নিয়ে ঠাট্টা করে অথবা মুসল্লীদেরকে নিয়ে বিদ্রূপ করে কিংবা যে কোন আনুগত্যকে আঁকড়ে ধরা ব্যক্তিদেরকে নিয়ে মশকারা করে। কারণ, এটি শরি‘আতকে খাট করা। আর তা শাহাদাতাইনের পরিপন্থী।
পঞ্চমতঃ
যে ব্যক্তি বিশ্বাস করে যে, কোন কোন মানুষের বিধান ও নিয়ম তৈরি করার সুযোগ রয়েছে এবং এমন বিধানাবলী রচনা করার যা শরীয়তকে পরিবর্তন করে দেয়। যেমন: ব্যভিচার বা সুদকে জায়িয করা, শরীয়তের কোন শাস্তিকে বাতিল করা। যেমন: হত্যাকারী হত্যা ও চোরের হাত কাটা এবং যাকাতকে পরিবর্তন করা ও ফরয বা যে কোন ইবাদাতকে পরিবর্তন করা। তেমনিভাবে আল্লাহর শরীয়ত ছাড়া যে কোন বিধানের ফায়সালা গ্রহণ করা এবং আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান ব্যতিরেকে বিচার করা। যে ব্যক্তি এটি ও এমন কিছু বিশ্বাস করলো সে যেন রবের শরীয়তের উপর প্রশ্ন তুললো। আর সে ধারণা করলো যে, এটি অপূর্ণাঙ্গ ও অসঙ্গতিপূর্ণ অথবা আল্লাহর বিধান ছাড়া অন্যটি তাঁর বিধানের চেয়ে উত্তম। এটি চরম দোষ যা খাঁটি তাওহীদের সাথে একত্র হয় না।
ষষ্ঠতঃ
ইবাদাতের কোন প্রকারকে আল্লাহ ছাড়া অন্যকে সোপর্দ করা। এটিই এ যুগের কবরপূজারীদের শিরক। সুতরাং যে কোন মৃত ব্যক্তিকে ডাকলো অথবা তাকে আশা করলো কিংবা তার অন্তরকে তার সাথে লাগিয়ে রাখলো অথবা তাকে আল্লাহকে ভালোবাসার ন্যায় ভালোবাসলো কিংবা তার জন্য ঝুঁকলো অথবা কবর ইত্যাদির পাশে গিয়ে নত ও বিনয়ী হলো কিংবা তার কবর তাওয়াফ করলো বা তার জন্য যবাই করলো অথবা অন্য কোন ইবাদাত করলো তাহলে সে তার সাক্ষ্য : “আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন মা’বূদ নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল” বাতিল করে দিলো। ইতিপূর্বে উলূহিয়্যাত ও ইবাদাতের অর্থ সংক্রান্ত এবং তার মধ্যকার কিছু জিনিস নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সপ্তমতঃ
আল্লাহর শত্রুদের সাথে বন্ধুত্ব রাখা এবং তাদেরকে ভালোবাসা ও কাছে টানা উপরন্তু তাদের মর্যাদা বাড়ানো এবং বিশ্বাস করা যে, তারা সত্যের উপর রয়েছে অথবা তারা মুসলিম অপেক্ষা সম্মান ও মর্যাদা পাওয়ার বেশি হকদার। চাই তারা আহলে কিতাব হোক কিংবা মূর্তিপূজারী অথবা যুগবাদী। কারণ, তাদের আনুগত্য এবং তাদেরকে সম্মান ও মর্যাদা দেয়া ইঙ্গিত করে যে, নিশ্চয়ই তারা সত্যের উপর রয়েছে এবং তাদের বিপরীত মুসলিমরা পথভ্রষ্ট ও ভুলে আছে অথবা তাদেরকে সম্মান করা তাদের দুনিয়া ও দুনিয়াবী জ্ঞানকে সম্মান করা প্রমাণ করে। আর এ সবই সাক্ষ্যের মূল প্রেরণা বিরোধী।
অষ্টমতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর রিসালাত অথবা তাঁর শরীয়তে ছিন্দান্বেষণ করা কিংবা তাঁকে মিথ্যারোপ করা অথবা তাঁর খিয়ানত বা তাঁর প্রতি নাযিলকৃত ওহী লুকানোর দাবি করা। তেমনিভাবে তাঁকে প্রকাশ্যে গালি দেয়া বা তাঁর দোষ ধরা কিংবা তাঁর জীবনী, তাঁর আমল, তাঁর অবস্থা বা তাঁর কোন কর্মকে নিয়ে ঠাট্টা করা এবং এরূপ কিছু করা যা ভেতর থেকে তাঁর রিসালাতকে অস্বীকার করার প্রমাণ বহন করে। কারণ, তাঁর ভেতর ছিদ্রান্বেষণ মানে তাঁর রবের ছিদ্রান্বেষণ। যেহেতু তিনিই তাঁকে রাসূল করে পাঠিয়েছেন এবং তাঁকে এ রিসালাত বহনকারী বানিয়েছেন। আর এটি শাহাদাতাইনের বাক্যের বিরোধীও বটে।
নবম:
কুর‘আনের ছিদ্রান্বেষণ করা যা আল্লাহর বাণী। যেমন: মুশরিকদের দাবি করা যে, নিশ্চয় কুর‘আন যাদু কিংবা কবিতা অথবা পূর্ববর্তীদের কাহিনী মাত্র বা তা মিথ্যা বানোয়াট। তেমনিভাবে যে ধারণা করে যে, এটি মানুষের কথা অথবা তার মুজিযা হওয়াকে অস্বীকার করে বা এর ন্যায় কিছু এনে এর বিরোধিতা করার চেষ্টা করে কিংবা এটি করা সম্ভব বলে মনে করে অথবা এর কিছু সূরা বা মুতাওয়াতির আয়াতকে অস্বীকার করে তাহলে সে কাফির এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি মিথ্যারোপকারী। আর এটি তাওহীদের কালিমা পরিপন্থী।
দশমতঃ গায়েবের কোন কিছুকে অস্বীকার করা যার প্রতি ঈমান আনতে আল্লাহ তা‘আলা আদেশ করেছেন এবং তা প্রমাণিত ও সত্য বলে নিজ কিতাবে ও তাঁর রাসূলের মুখে সংবাদ দিয়েছেন। যেমন: ফিরিশতাগণ, কিতাবসমূহ, রাসূলগণ, মৃত্যুর পরের পুনরুত্থান, শরীরগুলোকে একত্রিত করা, জান্নাত ও জাহান্নাম। তেমনিভাবে কবরের আযাব ও শান্তি ইত্যাদি। কেউ যদি এগুলোর কোন কিছুকে অস্বীকার করে সে যেন আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে মিথ্যাবাদী বানালো। এটি রিসালাত ও রিসালাতের অধীন বিষয়ের প্রতি বিরাট আঘাত এবং শাহাদাতাইনের আবশ্যকীয় বিষয়ের বিরোধীও বটে।
আমি শাহাদাতাইন সম্পর্কীয় এবং যার মাধ্যমে এগুলোর বাস্তবায়ত সম্ভব সে জাতীয় এতটুকু কথা বলে ক্ষান্ত হচ্ছি। যে ব্যক্তি এ ব্যাপারে আরো বিস্তারিত জানতে চায় সে তা দা’ওয়াতে ইমামগণের কিতাবসমূহে পেয়ে যাবে। তেমনিভাবে সে তা তাঁদের পূর্ববর্তী মুসলিম আলিমদের কিতাবেও পেয়ে যাবে। আল্লাহ তা‘আলা সর্বজ্ঞানী ও হিকমতপূর্ণ।মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এবং তাঁর পরিবারবর্গ ও সাথীদের উপর আল্লাহর পক্ষ থেকে শান্তি ও রহমত বর্ষিত হোক।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/47/8
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।