HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

লেখকঃ আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান

প্রথমত: কুরআন থেকে:
আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীন পৃথিবী ও তার মধ্যে যা কিছু আছে সে সম্পর্কে বলেন,

﴿وَمَا خَلَقۡنَا ٱلسَّمَآءَ وَٱلۡأَرۡضَ وَمَا بَيۡنَهُمَا بَٰطِلٗاۚ ﴾ [ص: ٢٧ ]

“আর আমি আকাশ ও পৃথিবী ও -এ দুয়ের মাঝে যা কিছু আছে তা অনর্থক সৃষ্টি করি নি।” [সূরা সাদ, আয়াত: ২৭]

আল্লাহ তা‘আলার এ বাণীতে আমরা দেখলাম যে তিনি আকাশ ও পৃথিবীর প্রতিটি বস্তু সম্পর্কে তার বান্দাদেরকে দিয়েছেন ইতিবাচক ধারণা; তার সৃষ্টির কোনো কিছুই অনর্থক নয়। প্রতিটি বস্তু মানুষের কল্যাণের জন্য সৃষ্ট। আমরা পৃথিবীর অনেক কিছু দেখেই মন্তব্য করে থাকি যে, কেন যে আল্লাহ এ বিষয়টি সৃষ্টি করলেন? সৃষ্টিবস্তুতে স্থিত ইতিবাচক দিকগুলো বুঝে না আসার কারণে আমরা এ জাতীয় প্রশ্ন করে থাকি। কুরআনের দাবি অনুযায়ী এ রকম মন্তব্য করা বা ধারণা করা অশুদ্ধ। আল্লাহ তা‘আলা সে সকল ঈমানদারদের প্রশংসা করেছেন যারা বিশ্বাস করে যে, আল্লাহ তা‘আলা তার সৃষ্টির কোনো কিছুই অনর্থক সৃষ্টি করেন নি। আল্লাহ তাআলা বলেন,

﴿ٱلَّذِينَ يَذۡكُرُونَ ٱللَّهَ قِيَٰمٗا وَقُعُودٗا وَعَلَىٰ جُنُوبِهِمۡ وَيَتَفَكَّرُونَ فِي خَلۡقِ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ رَبَّنَا مَا خَلَقۡتَ هَٰذَا بَٰطِلٗا﴾ [ ال عمران : ١٩١ ]

“যারা আল্লাহকে স্মরণ করে দাঁড়িয়ে, বসে ও কাত হয়ে এবং আসমানসমূহ ও পৃথিবীর সৃষ্টি সম্পর্কে চিন্তা করে, বলে, হে আমাদের রব আপনি এসব অনর্থক সৃষ্টি করেন নি।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৯১]

এ আয়াতে আমরা দেখলাম যে, আল্লাহ তার ঐ সকল বান্দাদের প্রশংসা করেছেন যারা সকল সৃষ্টি সম্পর্কে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে।

তিনি আরো বলেন,

﴿هُوَ ٱلَّذِي خَلَقَ لَكُم مَّا فِي ٱلۡأَرۡضِ جَمِيعٗا﴾ [ البقرة : ٢٩ ]

“তিনিই সৃষ্টি করেছেন পৃথিবীর সকল কিছু তোমাদের কল্যাণের জন্য।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২৯]

আল্লাহ তা‘আলার এ রকম বাণী রয়েছে কুরআনের বহু স্থানে। এ সকল আয়াত দিয়ে তিনি পৃথিবীর সকল সৃষ্টি সম্পর্কে মানুষকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করার শিক্ষা দিয়েছেন।

আল্লাহ তা‘আলা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিকে এত পছন্দ করেন যে, একটি নেতিবাচক বিষয়কে শুধু বাদ দিয়েই তিনি ক্ষান্ত হন না; বরং তিনি সেটিকে সম্পূর্ণ উল্টিয়ে ইতিবাচকে পরিণত করে দেন।

আল্লাহ বলেন,

﴿ إِلَّا مَن تَابَ وَءَامَنَ وَعَمِلَ عَمَلٗا صَٰلِحٗا فَأُوْلَٰٓئِكَ يُبَدِّلُ ٱللَّهُ سَيِّ‍َٔاتِهِمۡ حَسَنَٰتٖۗ وَكَانَ ٱللَّهُ غَفُورٗا رَّحِيمٗا ٧٠﴾ [ الفرقان : ٦٩ ]

“তবে যে তাওবা করে, ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে। পরিণামে আল্লাহ তাদের পাপগুলোকে পুণ্য দ্বারা পরিবর্তন করে দেন। আল্লাহ অতীব ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” [সূরা আল-ফুরকান, আয়াত: ৬৯]

দেখুন এ আয়াতে, যারা অসৎ ও কুকর্ম থেকে তাওবাহ করে ঈমান আনবে তাদের ক্ষমা করে দেওয়াটা একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি হিসাবে যথেষ্ট ছিল; কিন্তু তিনি ঈমান ও তাওবার কারণে পাপগুলোকে শুধু ক্ষমাই করে দেন না; বরং তা পূণ্যে রূপান্তরিত করে দেন। পাপগুলোকে তার জন্য উপকারী বস্তুতে পরিণত করে দেন।

অনেক স্বামী তার স্ত্রীকে নিয়ে সমস্যায় পড়েন। স্ত্রীর কোনো কিছুই পছন্দ হয় না। সামান্য পান থেকে চুন খসলে অনেকে তাদের স্ত্রীকে তালাক দিয়ে বসেন। তারা মনে করেন, যখন তাকে ভালো লাগে না তখন তার সাথে বসবাস করে সুখের সাক্ষাৎ পাওয়া সম্ভব হবে না। এটা নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। আল্লাহ তা‘আলা এ প্রকৃতির দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বারণ হতে বলেছেন।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَعَاشِرُوهُنَّ بِٱلۡمَعۡرُوفِۚ فَإِن كَرِهۡتُمُوهُنَّ فَعَسَىٰٓ أَن تَكۡرَهُواْ شَيۡ‍ٔٗا وَيَجۡعَلَ ٱللَّهُ فِيهِ خَيۡرٗا كَثِيرٗا ﴾ [ النساء : ١٩ ]

“আর তোমরা তাদের সাথে সদ্ভাবে বসবাস কর। আর যদি তোমরা তাদেরকে অপছন্দ কর, তবে এমনও হতে পারে যে, তোমরা কোনো কিছুকে অপছন্দ করছ আর আল্লাহ তাতে অনেক কল্যাণ রাখবেন।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১৯]

সূরা আন-নূরে বর্ণিত বিষয়টির প্রতি খেয়াল করুন। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহার অপবাদের ঘটনা ঘটল। মুসলিম সমাজ এ নিয়ে বড় বিপদে পড়ে গেল। এমনকি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অত্যন্ত চিন্তিত, ব্যথিত হলেন। এমন একটি অপবাদের ঘটনা না ঘটাই কাম্য ছিল; কিন্তু আল্লাহ বিপজ্জনক এ ঘটনাকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখার নির্দেশ দিলেন।

তিনি বললেন,

﴿إِنَّ ٱلَّذِينَ جَآءُو بِٱلۡإِفۡكِ عُصۡبَةٞ مِّنكُمۡۚ لَا تَحۡسَبُوهُ شَرّٗا لَّكُمۖ بَلۡ هُوَ خَيۡرٞ لَّكُمۡۚ﴾ [ النور : ١١ ]

“নিশ্চয় যারা এ অপবাদ রটনা করেছে, তারা তোমাদেরই একটি দল। এটাকে তোমরা তোমাদের জন্য অকল্যাণকর মনে করো না; বরং এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর।” [সূরা আন-নূর, আয়াত: ১১]

এ রকম শত শত ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের শিক্ষা রয়েছে কুরআনের বহু আয়াতে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন