মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
ইসলামী জ্ঞান তাপসগণ আকীদার আরো বেশ কটি সমার্থক শব্দ উল্লেখ করেছেন। যেমন,
তাওহীদ: আকীদা বিষয়ক গ্রন্থকে অনেক আলেম ‘তাওহীদগ্রন্থ’ নামে অভিহিত করেছেন। যেমন, ইমাম বুখারীর ‘‘কিতাবুত তাওহীদ’’, আবূ আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ ইবন খাফীফের ‘‘ই‘তিকাদুত তাওহীদ’’, ইবন মান্দার এর ‘‘আত-তাওহীদ ওয়া মা‘রিফাতু আসমাইল্লাহ’’, ইবন খুযায়মাহ এর ‘‘কিতাবুত তাওহীদ’’।
আস সুন্নাহ: আকীদাকে ‘সুন্নাহ’ নামেও এজন্যই অভিহিত করা হয় যে, এর অনুসারীরা দৃঢ়ভাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসারী ছিলেন। আকীদা বিষয়ক বহু গ্রন্থকে অনেক আলেম ‘‘সুন্নাহ গ্রন্থ’’ নামে উল্লেখ করেছেন। যেমন, ইমাম আহমাদের ‘‘কিতাবুস সুন্নাহ গ্রন্থ’’, আসরামের ‘‘আস-সুন্নাহ গ্রন্থ’’, ইমাম আবূ দাঊদের ‘‘আস সুন্নাহ গ্রন্থ’’, ইবন আবি আসিম এর ‘‘আস সুন্নাহ গ্রন্থ’’ ইত্যাদি।
আশ-শারী‘আহ: এটি যদিও একটি ব্যাপক শব্দ এবং এটি দ্বারা পূর্ণ ইসলামকেই বুঝানো হয় তা সত্ত্বে আলেমদের কেউ কেউ আকীদা শাস্ত্র বুঝাতে ‘শারীয়াহ’ শব্দ ব্যবহার করেছেন। যেমন, ইমাম আজুররীর ‘‘আশ-শারী‘আহ গ্রন্থ’’, ইমাম ইবন বাত্তাহ এর ‘‘আল ইবানাহ ‘আন শারী‘আতিল ফিরকাহ আন-নাজিয়াহ...’’ ইত্যাদি।
আল-ঈমান: আলেমদের মধ্যে অনেকেই তাদের আকীদার উপর লিখিত গ্রন্থের শিরোনামে ‘‘আল-ঈমান’’ ব্যবহার করেছেন। যেমন, আবূ উবাইদ কাসিম ইবন সাল্লাম এর ‘‘আল ঈমান গ্রন্থ’’, ইবন মান্দাহ এর ‘‘কিতাবুল ঈমান’’ ইত্যাদি।
উসূলুদ্দীন: কেউ কেউ এ শব্দটি আকীদা বুঝাতে ব্যবহার করেছেন। যেমন, আবূ মানুসর আল-বাগদাদীর ‘‘উসূলুদ্দীন গ্রন্থ’’, ইবন বাত্তাহ এর ‘‘আশ-শারহু ওয়াল ইবানাহ ‘আলা উসূলিস সুন্নাহ ওয়াদ্দিয়ানাহ’’, আবুল হাসান আল-আশ‘আরীর ‘‘আল-ইবানাহ ‘আন উসূলিদ্দিয়ানাহ’’ ইত্যাদি।
আল-ফিকহুল আকবার: ইমাম আবূ হানিফা কর্তৃক লিখিত গ্রন্থের নাম ছিল ‘‘আল ফিকহুল আকবার’’ যা তিনি আকীদা বিষয়ে লিখেছিলেন।
এছাড়া মুতাকাল্লিমীনগণ আকীদা শাস্ত্রকে ‘‘ইলমুল কালাম’’ এবং দার্শনিকগণ ‘‘আল-ফালসাফা আল-ইসলামিয়্যাহ’’ বা ইসলামী দর্শন, ‘‘আল-ইলাহিয়্যাত’’ ও ‘‘ম্যাটাফিজিক্স’’ নামে অভিহিত করেছেন।
শেষোক্ত এ নামগুলো সম্পর্কে ড. নাসের আল-আকলসহ আরো অনেকে বলেন যে, ইসলামী আকীদাকে এ সকল নামে অভিহিত করা মোটেই শুদ্ধ নয়। এর কারণ বর্ণনায় মুহাম্মাদ ইবরাহীম আল-হামাদ বলেন,
لأن علم الكلام مصدره عقول البشر وهو مبني على فلسفات الهنود واليونان، والتوحيد مصدره الوحي، وعلم الكلام حيرة واضطراب وجهل وشك ولهذا ذمه السلف، والتوحيد علم ويقين وإيمان ....... ولأن الفلسفة مبناها على الأوهام والأباطيل والعقليات الخيالية والتصورات الخرافية .
“কেননা ইলমুল কালামের উৎস হলো মানব বুদ্ধি-বিবেক, যা হিন্দু ও গ্রিক দর্শন নির্ভর। পক্ষান্তরে তাওহীদের মূল উৎস হলো অহী। তাছাড়া ইলমুল কালামের মধ্যে রয়েছে অস্থিরতা, ভারসাম্যহীনতা, অজ্ঞতা ও সংশয়-সন্দেহ। এজন্যই সালাফে সালেহীন ইলমুল কালামের নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন। আর তাওহীদ হলো জ্ঞান, দৃঢ় বিশ্বাস ও ঈমান নির্ভর,….. আরেকটি কারণ এও বলা যেতে পারে যে, দর্শনের ভিত্তি অনুমান, বাতিল আকীদা, কাল্পনিক চিন্তা ও কু-সংস্কারচ্ছন্ন ধারণার ওপর স্থাপিত”।
ইমাম হারাওয়ী ذم الكلام وأهله নামে ৫ খণ্ডের একটি বই এবং ইমাম গায্যালী تهافت الفلاسفة নামে একটি বই রচনা করেছেন। এছাড়া ‘ইলমুল কালাম’ ও ‘ফালসাফা’ যে সঠিক ইসলামী আকীদার প্রতিনিধিত্ব করে না, সে বিষয়ে ইমাম ইবন তাইমিয়া ও ইবনুল কাইয়্যেমসহ আরো বহু মুসলিম স্কলার বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/62/7
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।