hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সমাজ সংস্কারে সঠিক আকীদার গুরুত্ব

লেখকঃ ড. মোহাম্মাদ মানজুরে ইলাহী

সহীহ ও সঠিক ইসলামী আকীদার বৈশিষ্ট্য:
সহীহ ইসলামী আকীদার গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে নিম্নরূপ:

এ আকীদা বিশুদ্ধ উৎস থেকে গৃহীত: কেননা আল কুরআন, সহীহ সুন্নাহ ও সালাফে সালেহীনের ইজমা‘ এর ওপর এর ভিত্তি স্থাপিত। এ তিনটির প্রত্যেকটিই হচ্ছে ইসলামী শরী‘আতের প্রামাণ্য দলীল, যা অকাট্য। কিন্তু অন্যান্য ফির্কা, মতবাদ ও ধর্মে এ বৈশিষ্ট্য নেই। কেননা শিয়াদের আকীদার উৎস হচ্ছে তাদের ইমামগণের বাণী, মুতাকাল্লিমীনের কাছে ‘আকল বা বিবেকই হচ্ছে সবচেয়ে বড় উৎস। সুফীদের কাছে কাশফ, ইলহাম ও স্বপ্ন অন্যতম উৎস। সমাজতন্ত্র ও ধর্ম নিরপেক্ষতাবাদের মত মতাবাদসমূহে মানব মস্তিষ্ক নিঃসৃত বিভ্রান্ত চিন্তা-চেতনাই হচ্ছে প্রধান উৎস। আর ইয়াহুদী ও নাসারাদের ধর্মগুরু ও পাদ্রীরাই দীন ও আকীদার জ্ঞানের উৎস, যাদেরকে তারা রব বানিয়ে নিয়েছে।

আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেওয়া তথ্যের প্রতি পরিপূর্ণ-স্বীকৃতি জ্ঞাপন এ আকীদার অন্যতম বৈশিষ্ট্য:

কেননা আকীদা হচ্ছে ঈমান বিল গায়ব এর অন্তর্গত, যার জ্ঞান অন্য কোনো পন্থায় অর্জন করা সম্ভব নয়। এজন্যই শারহে আকীদাতুত ত্বহাওয়িয়্যাহ গ্রন্থে বলা হয়েছে:

( ولا تثبت قدم الإسلام إلا على ظهر التسليم والاستسلام )

অর্থাৎ মেনে নেয়া ও আত্মসমর্পণ ছাড়া ইসলামের ভিত মজবুত হয় না।

ইসলামী আকীদা ভিন্ন অন্যত্র আমরা দেখি- সেখানে আছে মানব রচিত মতের আধিপত্য, অহী নির্ভর জ্ঞানের পরিবর্তে শুধুমাত্র আকল ও রায়ের প্রাধান্য এবং হিদায়াতের পরিবর্তে প্রবৃত্তি অনুসরণের প্রাধান্য।

সহীহ ইসলামী আকীদা মানুষের সুস্থ বিবেক এবং তার প্রকৃতি, ফিতরাত ও স্বভাবের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। এদিক ইঙ্গিত করেই ইমাম ইবন তাইমিয়া বলেন,

( العقل السليم لا يعارض النقل الصحيح )

অর্থাৎ কুপ্রবৃত্তি, সংশয় ও প্ররোচনা মুক্ত সুস্থ বিবেক ত্রুটিমুক্ত, বিশুদ্ধ ও অহী-নির্ভর দলীলের বিরোধী হয় না।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবীগণ এবং তাদের অনুসারী ইমামগণ ও পরবর্তীকালের সকল মুসলিমদের কাছে এ আকীদার স্বরূপ একই ছিল। সুতরাং কুরআন-সুন্নাহ’য় যার সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই কিংবা সালাফে সালেহীন যে বিষয়ে কোনো বক্তব্য রাখেন নি আকীদার এমন কোনো মৌলিক বিষয় নেই।

সহীহ ইসলামী আকীদার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি অত্যন্ত সুস্পষ্ট, বোধগম্য ও জটিলতামুক্ত, যা বুঝা আলেম কিংবা সাধারণ শ্রেণির মানুষ কারো পক্ষেই কষ্টকর নয়। কুরআন ও সুন্নাহ’য় আকীদা বিষয়ক এমন অনেক দলীল রয়েছে যা সহজেই শ্রোতাকে আশ্বস্ত ও মুগ্ধ করে। কুরআন বিশেষভাবে এক্ষেত্রে অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করেছে। যেমন, আল্লাহ বলেন,

﴿وَهُوَ ٱلَّذِي يَبۡدَؤُاْ ٱلۡخَلۡقَ ثُمَّ يُعِيدُهُۥ وَهُوَ أَهۡوَنُ عَلَيۡهِۚ وَلَهُ ٱلۡمَثَلُ ٱلۡأَعۡلَىٰ فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۚ وَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلۡحَكِيمُ ٢٧﴾ [ الروم : ٢٧ ]

“আর তিনিই সৃষ্টির সূচনা করেন তারপর তিনিই এর পুনরাবৃত্তি করবেন। আর এটা তো তার জন্য অধিকতর সহজ। আসমান ও যমীনে সর্বোচ্চ মর্যাদা তাঁরই এবং তিনি পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়”। [আর-আর-রূম, আয়াত: ২৭]

তিনি আরো বলেন,

﴿لَوۡ كَانَ فِيهِمَآ ءَالِهَةٌ إِلَّا ٱللَّهُ لَفَسَدَتَاۚ فَسُبۡحَٰنَ ٱللَّهِ رَبِّ ٱلۡعَرۡشِ عَمَّا يَصِفُونَ ٢٢﴾ [ الانبياء : ٢٢ ]

“যদি আসমান ও যমীনে আল্লাহ ছাড়া বহু ইলাহ থাকত তবে উভয়ই ধ্বংস হয়ে যেত। সুতরাং তারা যা বলে, ‘আরশের রব আল্লাহ তা থেকে পবিত্র ও মহান”। [সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ২২]

এ আকীদা অসামঞ্জস্যতা ও পরস্পর বিরোধিতা থেকে মুক্ত। এদিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহ বলেন,

﴿أَفَلَا يَتَدَبَّرُونَ ٱلۡقُرۡءَانَۚ وَلَوۡ كَانَ مِنۡ عِندِ غَيۡرِ ٱللَّهِ لَوَجَدُواْ فِيهِ ٱخۡتِلَٰفٗا كَثِيرٗا ٨٢﴾ [ النساء : ٨٢ ]

“তারা কি কুরআন নিয়ে গবেষণা করে না? আর যদি তা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো পক্ষ থেকে হত, তবে অবশ্যই তারা এতে অনেক বৈপরীত্য দেখতে পেত”। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৮২]

পক্ষান্তরে বাতিল আকীদাসমূহে অসামঞ্জস্যতা খুব সহজেই চোখে পড়ে। কেননা এগুলোর মধ্যে রয়েছে পরস্পর বিরোধিতা ও নানা বৈপরীত্য।

এ আকীদা পৃথিবীর সকল সময়ে, স্থানে ও অবস্থায় সকল জাতির উপযোগী। ফলে যে কোনো দিক থেকেই এ আকীদা বৈষম্যের কালিমা থেকে মুক্ত।

এ আকীদা চিরন্তন ও স্থায়ী। কেননা আল্লাহর নাযিলকৃত কুরআন ও শরী‘আহ চিরন্তন ও স্থায়ী। আল্লাহ বলেন,

﴿ إِنَّا نَحۡنُ نَزَّلۡنَا ٱلذِّكۡرَ وَإِنَّا لَهُۥ لَحَٰفِظُونَ ٩ ﴾ [ الحجر : ٩ ]

“নিশ্চয় আমরা কুরআন নাযিল করেছি, আর আমিই তার হিফাযতকারী”। [সূরা আল-হিজর, আয়াত: ৯]

সহীহ ইসলামী আকীদার অন্যতম আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি মুসলিমদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ ও সংঘবদ্ধ করে। আকীদার সুদৃঢ় বন্দন টুটে গিয়ে বহুবিধ বিভ্রান্ত আকীদার অনুসারী হওয়ার কারণেই আজ মুসলিম বিশ্বে চরম অনৈক্য, বিভেদ ও হতাশা বিরাজ করছে।

দুনিয়া ও আখিরাতের যে কোনো কল্যাণকর জ্ঞান ও বিদ্যার সাথে এ আকীদার কোনো বিরোধ ও দ্বন্দ্ব নেই। সেজন্যই তাওহীদ ও শার‘ঈ জ্ঞানের পাশাপাশি ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য সকল উপকারী জ্ঞান চর্চার প্রতিও ইসলাম উদ্বুদ্ধ করেছে।

এ আকীদা হৃদয়, আত্মা ও দেহের সকল প্রয়োজন পূরণের ক্ষেত্রে একটা চমৎকার সমতা রক্ষা করেছে। এমনটি ঘটে নি যে, শুধু এক দিকের দাবী পূরণ করতে গিয়ে জীবনের অন্য সকল দিককে উপেক্ষা করা হয়েছে।

সহীহ ইসলামী আকীদা সুস্থ বিবেক ও আকলকে স্বীকৃতি প্রদান করে, এর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে এবং তা যাতে কোনোক্রমেই অক্ষম ও অকার্যকর হয়ে না পড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখে। এজন্যেই আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বারবার সত্যকে উপলব্ধি করার জন্য মানব বিবেককে কার্যকর করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছেন। তিনি মানুষকে আসমান ও যমীনের সৃষ্টিতত্ত্বের বিষয়ে চিন্তা ও গবেষণা করার নির্দেশ দিয়েছেন। বিশ্ব চরাচরে আল্লাহর মহান নিদর্শনাবলী নিয়ে গবেষণা করে উপদেশ লাভের প্রতি উৎসাহ দিয়েছেন। যারা চিন্তা-ভাবনা না করে পূর্ব-পুরুষদের অন্ধ অনুকরণ করে, তাদের নিন্দা করেছেন। তবে এর পাশাপাশি তিনি আকল ও বিবেকের কাজের পরিধি নির্ধারণ করে দিয়েছেন, যাতে মানুষ ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বিষয়সমূহে আকলকে কাজে লাগায় এবং অতীন্দ্রিয় বিষয়ে অহীর জ্ঞানের উপর নির্ভর করে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন