HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলাম
লেখকঃ শাইখ আব্দুর রাজ্জাক ইবন আব্দুল মুহসিন আল-বদর
১১
ইসলাম নারীদের নিরাপত্তার গ্যারান্টিইসলাম নারীদের জন্য এমন সব নিয়ম-নীতি ও বিধি-নিষেধ দিয়েছেন, যা পালন করলে একজন নারী তার পবিত্রতা রক্ষা করতে সক্ষম হয়, সতীত্ব ঠিক থাকে এবং ইজ্জত সম্মান রক্ষা পায়। আল্লাহ তা‘আলা নারীদের পর্দা করার নির্দেশ দেন, তাদের ঘরে অবস্থান করার নির্দেশ দেন, তাদের নগ্ন-পর্দাহীন, সুগন্ধি লাগিয়ে ও সেজে-গুজে ঘর থেকে বের হতে ও কোথা সফর করতে নিষেধ করে। এছাড়াও নারী পুরুষের এক সাথে মেলা মেশা, তাদের সাথে পর্দাহীন কথাবার্তা থেকে নিষেধ করেন।
আর এসব আদেশ নিষেধ ও বিধি-বিধান এজন্য রাখা হয়েছে যাতে নারীরা তাদের ফিতনা ফ্যাসাদ, অশ্লীল কার্যকলাপ, হতে রক্ষা করতে পারে। তাদের সতীত্বের ওপর যাতে কোনো প্রকার আঘাত না আসে। আল্লাহ তা‘আলা নারীদের সম্ভ্রম রক্ষায় যে সব বিধি বিধান আরোপ করেছে তা নিম্নরূপ:
এক. পর্দা
এর অর্থ হলো, নারীরা তাদের পুরো শরীর ও হাত-পা চেহারা ডেকে রাখবে, যাতে অপরিচিত কোনো লোক তাদের শরীরের কোনো অঙ্গ দেখতে না পায়। তাদের সৌন্দর্য অবলোকন করতে না পারে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّبِيُّ قُل لِّأَزۡوَٰجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَآءِ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ يُدۡنِينَ عَلَيۡهِنَّ مِن جَلَٰبِيبِهِنَّۚ ذَٰلِكَ أَدۡنَىٰٓ أَن يُعۡرَفۡنَ فَلَا يُؤۡذَيۡنَۗ وَكَانَ ٱللَّهُ غَفُورٗا رَّحِيمٗا ٥٩﴾ [ الاحزاب : ٥٩ ]
“হে নবী, তুমি তোমার স্ত্রীদেরকে কন্যাদেরকে ও মুমিনদেরকে মুমিনদের নারীদেরকে বল, তারা যেন তাদের জিলবাবের কিছু অংশ নিজেদের উপর ঝুলিয়ে দেয়, তাদেরকে চেনার ব্যাপারে এটাই সবচেয়ে কাছাকাছি পন্থা হবে। ফলে তাদেরকে কষ্ট দেওয়া হবে না। আল্লাহ তা‘আলা অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৫৯]
﴿وَإِذَا سَأَلۡتُمُوهُنَّ مَتَٰعٗا فَسَۡٔلُوهُنَّ مِن وَرَآءِ حِجَابٖۚ ذَٰلِكُمۡ أَطۡهَرُ لِقُلُوبِكُمۡ وَقُلُوبِهِنَّۚ وَمَا كَانَ لَكُمۡ أَن تُؤۡذُواْ رَسُولَ ٱللَّهِ وَلَآ أَن تَنكِحُوٓاْ أَزۡوَٰجَهُۥ مِنۢ بَعۡدِهِۦٓ أَبَدًاۚ إِنَّ ذَٰلِكُمۡ كَانَ عِندَ ٱللَّهِ عَظِيمًا﴾ [ الاحزاب : ٥٣ ]
“আর যখন নবীপত্নীদের কাছে তোমরা কোনো সামগ্রী চাইবে, তখন পর্দার আড়াল থেকে চাইবে; এটি তোমাদের ও তাদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্র। আর আল্লাহর রাসূলকে কষ্ট দেওয়া এবং তার (মৃত্যুর) পর তার স্ত্রীদেরকে বিয়ে করা কখনো তোমাদের জন্য সঙ্গত নয়। নিশ্চয় এটি আল্লাহর কাছে গুরুতর অপরাধ।” [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৫৩]
দুই. কোনো প্রকার প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহিরে যাওয়া নিষিদ্ধ:
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَقَرۡنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجۡنَ تَبَرُّجَ ٱلۡجَٰهِلِيَّةِ ٱلۡأُولَىٰۖ﴾ [ الاحزاب : ٣٣ ]
“আর তোমরা তোমাদের নিজ গৃহে অবস্থান করবে এবং প্রাক-জাহেলী যুগের মতো সৌন্দর্য প্রদর্শন করো না।” [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৩৩]
ইমাম তিরমিযী তার সুনানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,
«المرأة عورة، فإذا خرجت استشرفها الشيطان»
“নারীরা হলো, লজ্জাবতী তারা যখন ঘর থেকে বের হয় শয়তান তাদের দিকে মাথা উচু করে দেখে।” [তিরমিযী, হাদীস নং ১১৭৩]
তিন. কোনো প্রয়োজনে কারো সাথে কথা বলতে হলে যেন কর্কশ ভাষায় কথা বলে, তাদের সাথে নরম ও কোমল ভাষায় কথা বলবে না:
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿فَلَا تَخۡضَعۡنَ بِٱلۡقَوۡلِ فَيَطۡمَعَ ٱلَّذِي فِي قَلۡبِهِۦ مَرَضٞ وَقُلۡنَ قَوۡلٗا مَّعۡرُوفٗا﴾ [ الاحزاب : ٣٢ ]
“তবে (পরপুরুষের সাথে) কোমল কণ্ঠে কথা বল না। তাহলে যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে সে প্রলুব্ধ হয়। আর তোমরা ন্যায় সংগত কথা বলবে।” [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৩২]
চার. কোনো পুরুষের সাথে একান্ত হতে পারবে না
সহীহ বুখারী ও মুসলিমে আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لايخلونَّ رجل بامرأة إلاَّ مع ذي محرم»
“কোনো পুরুষ যেন কোনো মহিলার সাথে মুহরিম ছাড়া একাকার না হয়।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫২৩৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৩৪১।]
পাঁচ. পুরুষদের সাথে মেলা-মেশা করা হতে বিরত থাকবে:
হাদীস দ্বারা প্রমাণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«خير صفوف النساء آخرها، وشرُّها أولها»
“মহিলাদের জন্য উত্তম কাতার হলো, শেষ কাতার আর ক্ষতিকর কাতার হলো, প্রথম কাতার।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৪০।]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাত আদায় করতে মসজিদে যায় তখন আদেশ দেন যাতে তারা পুরুষদের সাথে মিশে। সুতরাং মসজিদের বাইরে তাদের সাথে মেশার কোনো অবকাশই থাকে না। নারীর পুরুষের সাথে মেলা-মেশা করলে অনেক ক্ষতি ও বিপদের সম্ভাবনা থাকে। পূর্বে এ বিষয়ে কিছু আলোচনা করা হয়েছে।
ছয়. মুহরিম ছাড়া কোথাও সফর করতে যাবে না
সহীহ মুসলিমে আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لا يحلُّ لامرأة أن تسافر إلاَّ ومعها ذو محرم منها»
“একজন নারীর জন্য তার মুহরিম ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া হালাল নয়”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৩৩৮]
সাত. ঘর থেকে বের হওয়ার সময় সাজ সজ্জা ও সুগন্ধি লাগিয়ে বের হবে না
ইমাম মুসলিম তার সহীহ-তে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,
«إذا شهدت إحداكنَّ المسجدَ فلا تَمسَّ طيباً»
তোমাদের নারীদের থেকে কেউ যদি মসজিদে আসে সে যেন কোনো ধরনের সুগন্ধি ব্যবহার না করে।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৪৩।]
ইমাম আহমদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,
«أيما امرأة استعطرت ثم خرجت، فمرَّت على قوم ليجدوا ريحها فهي زانية، وكلُّ عين زانية»
“যদি কোনো নারী সুগন্ধি ব্যবহার করে ঘর থেকে বের হয়, অতঃপর সে মানুষ যাতে তার থেকে সুগন্ধি অনভব করে সে জন্য সে মানুষের পাশ দিয়ে অতিক্রম করে, তা হলে সেও একজন ব্যভিচারিনী এবং তার প্রতিটি দৃষ্টি ব্যভিচারী।” [আহমাদ, হাদীস নং ৪১৮।]
আট. তার দিকে কোনো পুরুষলোক তাকালে তার প্রতি কোনো ভ্রূক্ষেপ করবে না
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَلَا يَضۡرِبۡنَ بِأَرۡجُلِهِنَّ لِيُعۡلَمَ مَا يُخۡفِينَ مِن زِينَتِهِنَّۚ﴾ [ النور : ٣١ ]
“আর তারা যে নিজেদের গোপন সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য সজোরে পাদচারণা না করে।” [সূরা আন-নূর, আয়াত: ৩১]
নয়. পুরুষদের দিকে তাকানোর থেকে দৃষ্টি অবনত রাখবে:
নারীরা পুরুষদের দিকে তাকাবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَقُل لِّلۡمُؤۡمِنَٰتِ يَغۡضُضۡنَ مِنۡ أَبۡصَٰرِهِنَّ وَيَحۡفَظۡنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبۡدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنۡهَاۖ﴾ [ النور : ٣١ ]
“আর মুমিন নারীদেরকে বল, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জা-স্থানের হিফাযত করবে। আর যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না।” [সূরা আন-নূর, আয়াত: ৩১]
দশ. আল্লাহর ইবাদত ও তার নির্দেশাবলীর হিফাযত করবে
﴿وَأَقِمۡنَ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتِينَ ٱلزَّكَوٰةَ وَأَطِعۡنَ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥٓۚ إِنَّمَا يُرِيدُ ٱللَّهُ لِيُذۡهِبَ عَنكُمُ ٱلرِّجۡسَ أَهۡلَ ٱلۡبَيۡتِ وَيُطَهِّرَكُمۡ تَطۡهِيرٗا﴾ [ الاحزاب : ٣٣ ]
“আর তোমরা সালাত কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং আল্লাহ ও তার রাসূলের আনুগত্য কর। হে নবী পরিবার, আল্লাহ তো কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতাকে দূরীভূত করতে এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করতে।” [সূরা আন-নূর, আয়াত: ৩৩]
আল্লাহ তা‘আলা নারীদের জন্য যেসব বিধি-বিধান দিয়েছে, তা সবই নারীদের নিরাপত্তা ও তাদের মান সম্মানের হিফাযত করার জন্যই দিয়েছেন। সুতরাং এ কথা বলা বাহুল্য যে, আল্লাহ তা‘আলার নি‘আমত অনুগ্রহ নারীদের ওপর অসংখ্য ও অনেক বেশি। ফলে ইসলামের মধ্যেই তাদের জন্য নিহিত রয়েছে তাদের কল্যাণ। একমাত্র ইসলামই নিশ্চিত করছে তাদের নিরাপত্তা এবং গ্যারান্টি দিয়েছে তাদের মান মর্যাদা রক্ষার। ইসলাম নারীদের থেকে যাবতীয় ফিতনা ফ্যাসাদ দূর করেছে, যাতে তারা দুনিয়াতে পাক-পবিত্র জীবন যাপন করতে পারে এবং তারা যাতে কোনো প্রকার ধ্বংস বিপদ ও নিরাপত্তা হীনতার সম্মুখীন না হতে হয়। ইসলাম তাদের রক্ষা করে সব ধরনের ভ্রান্তি, বিকৃতি ও ভ্রষ্টতা হতে।
হ্যাঁ, ইসলাম একজন মুসলিম নারীকে সর্বাধিক সম্মানে ভূষিত করেছে, তাকে সর্বোত্তম নিরাপত্তা দিয়েছে এবং ইসলাম তার জন্য পাক-পবিত্র জীবনের দায়িত্ব নিয়েছে। তার নিদর্শন হলো, পবিত্রতা, আলামত হলো, পরিশুদ্ধতা আর ঝাণ্ডা হলো, উত্তম চরিত্র ও উন্নত সংস্কৃতি। একজন নারী যতক্ষণ পর্যন্ত দীন ইসলামকে আঁকড়ে ধরে রাখবে, আল্লাহর দেওয়া বিধান মেনে চলবে, নবীর অনুকরণ করবে, ইসলাম ও শরী‘আতের বিধানের ওপর অটল বিশ্বাস রাখবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সে আত্ম-মর্যদাশীল, উন্নত চরিত্রের অধিকারী ও উত্তম জাতি হিসেবেই পরিগণিত হবে। এতে সে দুনিয়াতে সফলতা ও প্রশান্তি লাভ করবে আর কিয়ামতের দিন মহান সাওয়াব ও বিনিময়ের অধিকারী হবে। ইমাম আহমদ আব্দুর রহমান ইবন আউফ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إذا صلَّت المرأة خَمسَها، وصامت شهرها، وحصنت فرجها، وأطاعت بعلَها، دخلت من أيِّ أبواب الجنَّة شاءت»
“নারীরা যখন পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করবে, রমযানের সাওম রাখবে, লজ্জাস্থানের সংরক্ষণ করবে, এবং স্বামীর অনুকরণ করবে, জান্নাতের যে কোনো দরজা দিয়ে চায়, সে প্রবেশ করতে পারবে।” [সহীহ ইবন হিব্বান, হাদীস নং ৪১৬৩।]
হাদীসে নারীদের জন্য জান্নাতের পথকে কতই না সহজ করা হয়েছে। একজন নারী যখন উল্লেখিত দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন যাপন করবে, তখন তার জন্য জান্নাতের সব দরজাগুলো খুলে দেওয়া হবে।
﴿وَٱللَّهُ يُرِيدُ أَن يَتُوبَ عَلَيۡكُمۡ وَيُرِيدُ ٱلَّذِينَ يَتَّبِعُونَ ٱلشَّهَوَٰتِ أَن تَمِيلُواْ مَيۡلًا عَظِيمٗا ٢٧﴾ [ النساء : ٢٧ ]
“আর আল্লাহ চান তোমাদের তাওবা কবুল করতে। আর যারা প্রবৃত্তির অনুসরণ করে তারা চায় যে, তোমরা প্রবলভাবে (সত্য পথ থেকে) বিচ্যুত হও।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ২৭]
অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো, বর্তমান যুগে মুসলিম নারীরা গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার। ইসলামের শত্রুরা আজ তাদেরকে ষড়যন্ত্রের জাল হিসেবে ব্যবহার করছে। প্রগতিবাদ, নারী-স্বাধীনতা, সমান অধিকার ইত্যাদি ভুয়া শ্লোগান তুলে নারীদেরকে তাদের লক্ষবস্তুতে পরিণত করছে। তাদের ইজ্জত, সম্মান, আত্মমর্যাদা ও পবিত্রতা ধ্বংসের নিমিত্তে, তারা ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে নানাবিধ অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা আজ পর্দার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে, নারীদের ঘর থেকে বের করে রাস্তায় নামিয়ে নারী ও পুরুষের অবাধ মেলামেশাকে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন প্রচার মাধ্যম, পেপার পত্রিকা, বাদ্যযন্ত্র, ইত্যাদিতে নারীদের বিভিন্ন ধরণের উলঙ্গ ও নোংরা ছবি প্রদর্শন করার মাধ্যমে আজ তাদের কলঙ্কিত করছে। এসব দেখে মুসলিম নারীরাও আজ ঘরে থাকতে অনীহা প্রকাশ করছে। তারা বিজাতি, ইয়াহুদি ও খৃষ্টানদের অনুকরণ করতে আরম্ভ করছে। পর্দাকে তারা আজ তাদের উন্নতির পথে বাধা এবং আল্লাহর দেওয়া বিধানকে তারা তাদের জন্য জেলখানার শিকল মনে করছে। এর পরিণতি যে কত খারাব হচ্ছে, তা যে কোনো সুবিবেচক বলতেই হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে।
আর এসব আদেশ নিষেধ ও বিধি-বিধান এজন্য রাখা হয়েছে যাতে নারীরা তাদের ফিতনা ফ্যাসাদ, অশ্লীল কার্যকলাপ, হতে রক্ষা করতে পারে। তাদের সতীত্বের ওপর যাতে কোনো প্রকার আঘাত না আসে। আল্লাহ তা‘আলা নারীদের সম্ভ্রম রক্ষায় যে সব বিধি বিধান আরোপ করেছে তা নিম্নরূপ:
এক. পর্দা
এর অর্থ হলো, নারীরা তাদের পুরো শরীর ও হাত-পা চেহারা ডেকে রাখবে, যাতে অপরিচিত কোনো লোক তাদের শরীরের কোনো অঙ্গ দেখতে না পায়। তাদের সৌন্দর্য অবলোকন করতে না পারে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّبِيُّ قُل لِّأَزۡوَٰجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَآءِ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ يُدۡنِينَ عَلَيۡهِنَّ مِن جَلَٰبِيبِهِنَّۚ ذَٰلِكَ أَدۡنَىٰٓ أَن يُعۡرَفۡنَ فَلَا يُؤۡذَيۡنَۗ وَكَانَ ٱللَّهُ غَفُورٗا رَّحِيمٗا ٥٩﴾ [ الاحزاب : ٥٩ ]
“হে নবী, তুমি তোমার স্ত্রীদেরকে কন্যাদেরকে ও মুমিনদেরকে মুমিনদের নারীদেরকে বল, তারা যেন তাদের জিলবাবের কিছু অংশ নিজেদের উপর ঝুলিয়ে দেয়, তাদেরকে চেনার ব্যাপারে এটাই সবচেয়ে কাছাকাছি পন্থা হবে। ফলে তাদেরকে কষ্ট দেওয়া হবে না। আল্লাহ তা‘আলা অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৫৯]
﴿وَإِذَا سَأَلۡتُمُوهُنَّ مَتَٰعٗا فَسَۡٔلُوهُنَّ مِن وَرَآءِ حِجَابٖۚ ذَٰلِكُمۡ أَطۡهَرُ لِقُلُوبِكُمۡ وَقُلُوبِهِنَّۚ وَمَا كَانَ لَكُمۡ أَن تُؤۡذُواْ رَسُولَ ٱللَّهِ وَلَآ أَن تَنكِحُوٓاْ أَزۡوَٰجَهُۥ مِنۢ بَعۡدِهِۦٓ أَبَدًاۚ إِنَّ ذَٰلِكُمۡ كَانَ عِندَ ٱللَّهِ عَظِيمًا﴾ [ الاحزاب : ٥٣ ]
“আর যখন নবীপত্নীদের কাছে তোমরা কোনো সামগ্রী চাইবে, তখন পর্দার আড়াল থেকে চাইবে; এটি তোমাদের ও তাদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্র। আর আল্লাহর রাসূলকে কষ্ট দেওয়া এবং তার (মৃত্যুর) পর তার স্ত্রীদেরকে বিয়ে করা কখনো তোমাদের জন্য সঙ্গত নয়। নিশ্চয় এটি আল্লাহর কাছে গুরুতর অপরাধ।” [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৫৩]
দুই. কোনো প্রকার প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহিরে যাওয়া নিষিদ্ধ:
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَقَرۡنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجۡنَ تَبَرُّجَ ٱلۡجَٰهِلِيَّةِ ٱلۡأُولَىٰۖ﴾ [ الاحزاب : ٣٣ ]
“আর তোমরা তোমাদের নিজ গৃহে অবস্থান করবে এবং প্রাক-জাহেলী যুগের মতো সৌন্দর্য প্রদর্শন করো না।” [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৩৩]
ইমাম তিরমিযী তার সুনানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,
«المرأة عورة، فإذا خرجت استشرفها الشيطان»
“নারীরা হলো, লজ্জাবতী তারা যখন ঘর থেকে বের হয় শয়তান তাদের দিকে মাথা উচু করে দেখে।” [তিরমিযী, হাদীস নং ১১৭৩]
তিন. কোনো প্রয়োজনে কারো সাথে কথা বলতে হলে যেন কর্কশ ভাষায় কথা বলে, তাদের সাথে নরম ও কোমল ভাষায় কথা বলবে না:
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿فَلَا تَخۡضَعۡنَ بِٱلۡقَوۡلِ فَيَطۡمَعَ ٱلَّذِي فِي قَلۡبِهِۦ مَرَضٞ وَقُلۡنَ قَوۡلٗا مَّعۡرُوفٗا﴾ [ الاحزاب : ٣٢ ]
“তবে (পরপুরুষের সাথে) কোমল কণ্ঠে কথা বল না। তাহলে যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে সে প্রলুব্ধ হয়। আর তোমরা ন্যায় সংগত কথা বলবে।” [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৩২]
চার. কোনো পুরুষের সাথে একান্ত হতে পারবে না
সহীহ বুখারী ও মুসলিমে আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لايخلونَّ رجل بامرأة إلاَّ مع ذي محرم»
“কোনো পুরুষ যেন কোনো মহিলার সাথে মুহরিম ছাড়া একাকার না হয়।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫২৩৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৩৪১।]
পাঁচ. পুরুষদের সাথে মেলা-মেশা করা হতে বিরত থাকবে:
হাদীস দ্বারা প্রমাণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«خير صفوف النساء آخرها، وشرُّها أولها»
“মহিলাদের জন্য উত্তম কাতার হলো, শেষ কাতার আর ক্ষতিকর কাতার হলো, প্রথম কাতার।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৪০।]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাত আদায় করতে মসজিদে যায় তখন আদেশ দেন যাতে তারা পুরুষদের সাথে মিশে। সুতরাং মসজিদের বাইরে তাদের সাথে মেশার কোনো অবকাশই থাকে না। নারীর পুরুষের সাথে মেলা-মেশা করলে অনেক ক্ষতি ও বিপদের সম্ভাবনা থাকে। পূর্বে এ বিষয়ে কিছু আলোচনা করা হয়েছে।
ছয়. মুহরিম ছাড়া কোথাও সফর করতে যাবে না
সহীহ মুসলিমে আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لا يحلُّ لامرأة أن تسافر إلاَّ ومعها ذو محرم منها»
“একজন নারীর জন্য তার মুহরিম ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া হালাল নয়”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৩৩৮]
সাত. ঘর থেকে বের হওয়ার সময় সাজ সজ্জা ও সুগন্ধি লাগিয়ে বের হবে না
ইমাম মুসলিম তার সহীহ-তে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,
«إذا شهدت إحداكنَّ المسجدَ فلا تَمسَّ طيباً»
তোমাদের নারীদের থেকে কেউ যদি মসজিদে আসে সে যেন কোনো ধরনের সুগন্ধি ব্যবহার না করে।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৪৩।]
ইমাম আহমদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,
«أيما امرأة استعطرت ثم خرجت، فمرَّت على قوم ليجدوا ريحها فهي زانية، وكلُّ عين زانية»
“যদি কোনো নারী সুগন্ধি ব্যবহার করে ঘর থেকে বের হয়, অতঃপর সে মানুষ যাতে তার থেকে সুগন্ধি অনভব করে সে জন্য সে মানুষের পাশ দিয়ে অতিক্রম করে, তা হলে সেও একজন ব্যভিচারিনী এবং তার প্রতিটি দৃষ্টি ব্যভিচারী।” [আহমাদ, হাদীস নং ৪১৮।]
আট. তার দিকে কোনো পুরুষলোক তাকালে তার প্রতি কোনো ভ্রূক্ষেপ করবে না
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَلَا يَضۡرِبۡنَ بِأَرۡجُلِهِنَّ لِيُعۡلَمَ مَا يُخۡفِينَ مِن زِينَتِهِنَّۚ﴾ [ النور : ٣١ ]
“আর তারা যে নিজেদের গোপন সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য সজোরে পাদচারণা না করে।” [সূরা আন-নূর, আয়াত: ৩১]
নয়. পুরুষদের দিকে তাকানোর থেকে দৃষ্টি অবনত রাখবে:
নারীরা পুরুষদের দিকে তাকাবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَقُل لِّلۡمُؤۡمِنَٰتِ يَغۡضُضۡنَ مِنۡ أَبۡصَٰرِهِنَّ وَيَحۡفَظۡنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبۡدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنۡهَاۖ﴾ [ النور : ٣١ ]
“আর মুমিন নারীদেরকে বল, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জা-স্থানের হিফাযত করবে। আর যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না।” [সূরা আন-নূর, আয়াত: ৩১]
দশ. আল্লাহর ইবাদত ও তার নির্দেশাবলীর হিফাযত করবে
﴿وَأَقِمۡنَ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتِينَ ٱلزَّكَوٰةَ وَأَطِعۡنَ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥٓۚ إِنَّمَا يُرِيدُ ٱللَّهُ لِيُذۡهِبَ عَنكُمُ ٱلرِّجۡسَ أَهۡلَ ٱلۡبَيۡتِ وَيُطَهِّرَكُمۡ تَطۡهِيرٗا﴾ [ الاحزاب : ٣٣ ]
“আর তোমরা সালাত কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং আল্লাহ ও তার রাসূলের আনুগত্য কর। হে নবী পরিবার, আল্লাহ তো কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতাকে দূরীভূত করতে এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করতে।” [সূরা আন-নূর, আয়াত: ৩৩]
আল্লাহ তা‘আলা নারীদের জন্য যেসব বিধি-বিধান দিয়েছে, তা সবই নারীদের নিরাপত্তা ও তাদের মান সম্মানের হিফাযত করার জন্যই দিয়েছেন। সুতরাং এ কথা বলা বাহুল্য যে, আল্লাহ তা‘আলার নি‘আমত অনুগ্রহ নারীদের ওপর অসংখ্য ও অনেক বেশি। ফলে ইসলামের মধ্যেই তাদের জন্য নিহিত রয়েছে তাদের কল্যাণ। একমাত্র ইসলামই নিশ্চিত করছে তাদের নিরাপত্তা এবং গ্যারান্টি দিয়েছে তাদের মান মর্যাদা রক্ষার। ইসলাম নারীদের থেকে যাবতীয় ফিতনা ফ্যাসাদ দূর করেছে, যাতে তারা দুনিয়াতে পাক-পবিত্র জীবন যাপন করতে পারে এবং তারা যাতে কোনো প্রকার ধ্বংস বিপদ ও নিরাপত্তা হীনতার সম্মুখীন না হতে হয়। ইসলাম তাদের রক্ষা করে সব ধরনের ভ্রান্তি, বিকৃতি ও ভ্রষ্টতা হতে।
হ্যাঁ, ইসলাম একজন মুসলিম নারীকে সর্বাধিক সম্মানে ভূষিত করেছে, তাকে সর্বোত্তম নিরাপত্তা দিয়েছে এবং ইসলাম তার জন্য পাক-পবিত্র জীবনের দায়িত্ব নিয়েছে। তার নিদর্শন হলো, পবিত্রতা, আলামত হলো, পরিশুদ্ধতা আর ঝাণ্ডা হলো, উত্তম চরিত্র ও উন্নত সংস্কৃতি। একজন নারী যতক্ষণ পর্যন্ত দীন ইসলামকে আঁকড়ে ধরে রাখবে, আল্লাহর দেওয়া বিধান মেনে চলবে, নবীর অনুকরণ করবে, ইসলাম ও শরী‘আতের বিধানের ওপর অটল বিশ্বাস রাখবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সে আত্ম-মর্যদাশীল, উন্নত চরিত্রের অধিকারী ও উত্তম জাতি হিসেবেই পরিগণিত হবে। এতে সে দুনিয়াতে সফলতা ও প্রশান্তি লাভ করবে আর কিয়ামতের দিন মহান সাওয়াব ও বিনিময়ের অধিকারী হবে। ইমাম আহমদ আব্দুর রহমান ইবন আউফ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إذا صلَّت المرأة خَمسَها، وصامت شهرها، وحصنت فرجها، وأطاعت بعلَها، دخلت من أيِّ أبواب الجنَّة شاءت»
“নারীরা যখন পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করবে, রমযানের সাওম রাখবে, লজ্জাস্থানের সংরক্ষণ করবে, এবং স্বামীর অনুকরণ করবে, জান্নাতের যে কোনো দরজা দিয়ে চায়, সে প্রবেশ করতে পারবে।” [সহীহ ইবন হিব্বান, হাদীস নং ৪১৬৩।]
হাদীসে নারীদের জন্য জান্নাতের পথকে কতই না সহজ করা হয়েছে। একজন নারী যখন উল্লেখিত দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন যাপন করবে, তখন তার জন্য জান্নাতের সব দরজাগুলো খুলে দেওয়া হবে।
﴿وَٱللَّهُ يُرِيدُ أَن يَتُوبَ عَلَيۡكُمۡ وَيُرِيدُ ٱلَّذِينَ يَتَّبِعُونَ ٱلشَّهَوَٰتِ أَن تَمِيلُواْ مَيۡلًا عَظِيمٗا ٢٧﴾ [ النساء : ٢٧ ]
“আর আল্লাহ চান তোমাদের তাওবা কবুল করতে। আর যারা প্রবৃত্তির অনুসরণ করে তারা চায় যে, তোমরা প্রবলভাবে (সত্য পথ থেকে) বিচ্যুত হও।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ২৭]
অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো, বর্তমান যুগে মুসলিম নারীরা গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার। ইসলামের শত্রুরা আজ তাদেরকে ষড়যন্ত্রের জাল হিসেবে ব্যবহার করছে। প্রগতিবাদ, নারী-স্বাধীনতা, সমান অধিকার ইত্যাদি ভুয়া শ্লোগান তুলে নারীদেরকে তাদের লক্ষবস্তুতে পরিণত করছে। তাদের ইজ্জত, সম্মান, আত্মমর্যাদা ও পবিত্রতা ধ্বংসের নিমিত্তে, তারা ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে নানাবিধ অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা আজ পর্দার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে, নারীদের ঘর থেকে বের করে রাস্তায় নামিয়ে নারী ও পুরুষের অবাধ মেলামেশাকে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন প্রচার মাধ্যম, পেপার পত্রিকা, বাদ্যযন্ত্র, ইত্যাদিতে নারীদের বিভিন্ন ধরণের উলঙ্গ ও নোংরা ছবি প্রদর্শন করার মাধ্যমে আজ তাদের কলঙ্কিত করছে। এসব দেখে মুসলিম নারীরাও আজ ঘরে থাকতে অনীহা প্রকাশ করছে। তারা বিজাতি, ইয়াহুদি ও খৃষ্টানদের অনুকরণ করতে আরম্ভ করছে। পর্দাকে তারা আজ তাদের উন্নতির পথে বাধা এবং আল্লাহর দেওয়া বিধানকে তারা তাদের জন্য জেলখানার শিকল মনে করছে। এর পরিণতি যে কত খারাব হচ্ছে, তা যে কোনো সুবিবেচক বলতেই হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন