HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
কীভাবে আমরা সন্তানদের লালন-পালন করব
লেখকঃ আখতারুজ্জামান মুহাম্মদ সুলাইমান
৫
হারাম কাজ থেকে নিবৃত্ত রাখা১। সন্তানদের সর্বদা কুফুরী কালাম, গালি দেওয়া, অভিশাপ দেওয়া এবং আজে-বাজে কথা বলা থেকে উপযুক্ত উপদেশের মাধ্যমে নিবৃত্ত রাখতে হবে। আর মিষ্টি ভাষায় তাদের এটা শিক্ষা দিতে হবে যে, কুফুরী কাজ হারাম; এর ফলে চিরস্থায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করতে হবে। তাদের সম্মুখে সর্বদা আমাদের জিহ্বাকে সংযত রাখতে হবে, যাতে আমরা তাদের সম্মুখে উত্তম আদর্শ হতে পারি।
২। সন্তানদের সর্ব প্রকার জুয়া খেলা থেকে নিবৃত্ত রাখতে হবে। যেমন- তাস, পাশা, দাবা, লুডু, কেরাম ইত্যাদি। যদিও শুরুতে সাধারণভাবেই সময় কাটানোর জন্য খেলা করা হোক না কেন, পরিণামে তা জুয়ায় রূপান্তরিত হয়। ফলে একে অন্যের সাথে শত্রুতার সৃষ্টি হয়। তা তাদের ব্যক্তিগত টাকা-পয়সা ও সময়কে নষ্ট করে এবং সাথে সাথে সালাত নষ্টকারী কাজও বটে।
৩। সন্তানদের আজেবাজে পত্রিকা পড়া থেকে নিবৃত্ত রাখতে হবে। সাথে সাথে অশ্লীল ছবি, ডিটেকটিভ ও যৌন গল্প পড়া থেকে নিবৃত্ত রাখতে হবে এবং ঐ জাতীয় সিনেমা, টেলিভিশন, ভিডিও দেখা থেকেও নিষেধ করতে হবে। কারণ, ঐ জাতীয় ছবিসমূহ তাদের চরিত্রকে কলুষিত ও ভবিষ্যতকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করে তোলে।
৪। সন্তানকে ধূমপান ও মাদকদ্রব্য ব্যবহারের ব্যাপারে নিষেধ করতে হবে। আর তাকে বুঝাতে হবে যে, সমস্ত চিকিৎসকগণের মিলিত মতামত হলো, ঐ সমস্ত জিনিস শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে এবং যক্ষ্মা ও ক্যান্সারের প্রধান কারণ। ধূমপান দাঁতকে নষ্ট করে, মুখে দুর্গন্ধ আনয়ন করে এবং বক্ষ ব্যাধির কারণ হয়। এতে কোনো উপকারিতাই নেই। তাই তা পান করা ও বিক্রয় করা হারাম। এর পরিবর্তে কোনো ফল বা লবণাক্ত কোনো দ্রব্যাদি খেতে পরামর্শ দেওয়া উচিৎ।
৫। সন্তানদের সর্বদা কথায় ও কাজে সত্যবাদী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাদের সম্মুখে কখনো মিথ্যা কথা বলা যাবে না, যদিও তা হাসি ঠাট্টাচ্ছলে বলা হোক না কেন। তাদের সাথে কোনো ওয়াদা করলে তা পালনে সচেষ্ট হতে হবে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«مَنْ قَالَ لصَبِيٍّ تَعالَ هَاكَ ( خُذْ ) ثُمَّ لَمْ يُعْطِهِ فَهِيَ كِذْبَةٌ»
“যে ব্যক্তি কোনো বাচ্চাকে বলে, এসো তোমাকে কিছু দিব। তারপর যদি তাকে না দেওয়া হয় তবে সে মিথ্যাবাদী”। [মুসনাদ আহমাদ, হাদীস নং ৯৮৩৬।]
৬। সন্তানদের কোনো হারাম মাল, যেমন- ঘুষ, সুদ, চুরি-ডাকাতি, ধোঁকার পয়সায় আহার করালে এবং লালন পালন করলে সেসব সন্তানরা অসুখী, অবাধ্য ও নানা ধরনের পাপে লিপ্ত হবে।
৭। সন্তানদের উপর ধ্বংসের বা গযবের দো‘আ করা উচিৎ নয়। কারণ দো‘আ ভালো ও মন্দ উভয় অবস্থাতেই কবুল হয়ে যায়। ফলে তারা আরো বেশি গোমরাহ হয়ে যাবে। বরং এ কথা বলা উত্তম যে, আল্লাহ তোমার সংশোধন করুন।
৮। আল্লাহর সাথে শির্ক করা থেকে সাবধান করতে হবে। তাদেরকে জানাতে হবে যে, মৃত কোনো ব্যক্তির নিকট দো‘আ চাওয়া, তাদের নিকট কোনো সাহায্য ভিক্ষা করা শির্ক, তারাও আল্লাহর বান্দা, কারো কোনো ভালো কিংবা মন্দ করার কোনো ক্ষমতা তাদের নেই।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَلَا تَدۡعُ مِن دُونِ ٱللَّهِ مَا لَا يَنفَعُكَ وَلَا يَضُرُّكَۖ فَإِن فَعَلۡتَ فَإِنَّكَ إِذٗا مِّنَ ٱلظَّٰلِمِينَ ١٠٦ ﴾ [ يونس : ١٠٦ ]
“আল্লাহ ছাড়া এমন কাউকে ডেকো না যে না তোমার কোনো উপকার করতে পারে আর না কোনো ক্ষতি করতে পারে। যদি তা কর তবে নিশ্চয় তুমি যালিমদের (মুশরিকদের) অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে “ [সূরা ইউনুস, আয়াত: ১০৬]
২। সন্তানদের সর্ব প্রকার জুয়া খেলা থেকে নিবৃত্ত রাখতে হবে। যেমন- তাস, পাশা, দাবা, লুডু, কেরাম ইত্যাদি। যদিও শুরুতে সাধারণভাবেই সময় কাটানোর জন্য খেলা করা হোক না কেন, পরিণামে তা জুয়ায় রূপান্তরিত হয়। ফলে একে অন্যের সাথে শত্রুতার সৃষ্টি হয়। তা তাদের ব্যক্তিগত টাকা-পয়সা ও সময়কে নষ্ট করে এবং সাথে সাথে সালাত নষ্টকারী কাজও বটে।
৩। সন্তানদের আজেবাজে পত্রিকা পড়া থেকে নিবৃত্ত রাখতে হবে। সাথে সাথে অশ্লীল ছবি, ডিটেকটিভ ও যৌন গল্প পড়া থেকে নিবৃত্ত রাখতে হবে এবং ঐ জাতীয় সিনেমা, টেলিভিশন, ভিডিও দেখা থেকেও নিষেধ করতে হবে। কারণ, ঐ জাতীয় ছবিসমূহ তাদের চরিত্রকে কলুষিত ও ভবিষ্যতকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করে তোলে।
৪। সন্তানকে ধূমপান ও মাদকদ্রব্য ব্যবহারের ব্যাপারে নিষেধ করতে হবে। আর তাকে বুঝাতে হবে যে, সমস্ত চিকিৎসকগণের মিলিত মতামত হলো, ঐ সমস্ত জিনিস শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে এবং যক্ষ্মা ও ক্যান্সারের প্রধান কারণ। ধূমপান দাঁতকে নষ্ট করে, মুখে দুর্গন্ধ আনয়ন করে এবং বক্ষ ব্যাধির কারণ হয়। এতে কোনো উপকারিতাই নেই। তাই তা পান করা ও বিক্রয় করা হারাম। এর পরিবর্তে কোনো ফল বা লবণাক্ত কোনো দ্রব্যাদি খেতে পরামর্শ দেওয়া উচিৎ।
৫। সন্তানদের সর্বদা কথায় ও কাজে সত্যবাদী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাদের সম্মুখে কখনো মিথ্যা কথা বলা যাবে না, যদিও তা হাসি ঠাট্টাচ্ছলে বলা হোক না কেন। তাদের সাথে কোনো ওয়াদা করলে তা পালনে সচেষ্ট হতে হবে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«مَنْ قَالَ لصَبِيٍّ تَعالَ هَاكَ ( خُذْ ) ثُمَّ لَمْ يُعْطِهِ فَهِيَ كِذْبَةٌ»
“যে ব্যক্তি কোনো বাচ্চাকে বলে, এসো তোমাকে কিছু দিব। তারপর যদি তাকে না দেওয়া হয় তবে সে মিথ্যাবাদী”। [মুসনাদ আহমাদ, হাদীস নং ৯৮৩৬।]
৬। সন্তানদের কোনো হারাম মাল, যেমন- ঘুষ, সুদ, চুরি-ডাকাতি, ধোঁকার পয়সায় আহার করালে এবং লালন পালন করলে সেসব সন্তানরা অসুখী, অবাধ্য ও নানা ধরনের পাপে লিপ্ত হবে।
৭। সন্তানদের উপর ধ্বংসের বা গযবের দো‘আ করা উচিৎ নয়। কারণ দো‘আ ভালো ও মন্দ উভয় অবস্থাতেই কবুল হয়ে যায়। ফলে তারা আরো বেশি গোমরাহ হয়ে যাবে। বরং এ কথা বলা উত্তম যে, আল্লাহ তোমার সংশোধন করুন।
৮। আল্লাহর সাথে শির্ক করা থেকে সাবধান করতে হবে। তাদেরকে জানাতে হবে যে, মৃত কোনো ব্যক্তির নিকট দো‘আ চাওয়া, তাদের নিকট কোনো সাহায্য ভিক্ষা করা শির্ক, তারাও আল্লাহর বান্দা, কারো কোনো ভালো কিংবা মন্দ করার কোনো ক্ষমতা তাদের নেই।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَلَا تَدۡعُ مِن دُونِ ٱللَّهِ مَا لَا يَنفَعُكَ وَلَا يَضُرُّكَۖ فَإِن فَعَلۡتَ فَإِنَّكَ إِذٗا مِّنَ ٱلظَّٰلِمِينَ ١٠٦ ﴾ [ يونس : ١٠٦ ]
“আল্লাহ ছাড়া এমন কাউকে ডেকো না যে না তোমার কোনো উপকার করতে পারে আর না কোনো ক্ষতি করতে পারে। যদি তা কর তবে নিশ্চয় তুমি যালিমদের (মুশরিকদের) অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে “ [সূরা ইউনুস, আয়াত: ১০৬]
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন