মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
গামা পাহলোয়ান আর কবি আল্লামা ইকবাল ছিলেন এক জায়গার মানুষ; সেই সূত্রে উভয়ের মধ্যে বন্ধুত্বও ছিল। খিলাফত আন্দোলনের এক সভায় উভয়েই উপস্থিত। হঠাৎ কবি দাঁড়িয়ে বললেন, এইবার গামা সাহেব বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের কর্তব্য সম্পর্কে কিছু বলবেন। সকলে হৈ চৈ করে উঠলো ‘হ্যাঁ ’, ‘হ্যাঁ’ শুনব, আমরা গামা সাহেবের বক্তৃতা শুনবো। গামা সাহেবের না-না আর্তচিৎকার সকলের উৎসাহের বন্যায় ভেসে গেল। অগত্যা তিনি উঠলেন; অতি কষ্টে বললেন, “ ভাই সকল, আপনারা দেহের শক্তি বাড়ানোর জন্য হামেশা সকাল-সন্ধ্যা কুস্তি করবেন। কাঁপা গলায় এ কয়টি কথা বলতে বলতে তিনি বসে পড়লেন। রুমাল দিয়ে কপালের ঘাম মুছতে মুছতে বললেন, রোজ সকালে আমি একহাজার বৈঠক দেই এক জররা ঘাম দেখা যায়না, আর এই শ্বশুরের পুত কবি আমাকে কি মুশকিলে ফেলেছিল যে আমার শরীর ঘামে ভিজে যাচ্ছে।” ওপরের কৌতুকটি থেকে আমরা কি শিক্ষা পাই? আমরা শিক্ষা পাই শারীরিক শক্তিতে একজন যতই বলীয়ান হোক না কেন জ্ঞানের শক্তিতে যদি সে দক্ষ না হয়, তবে কত অসহায় হয়ে যেতে পারে। এবার নিচের উদাহরণ থেকে শিখবো শারীরিক শক্তিতে দুর্বল হয়েও কেমন করে মানুষ ইচ্ছাশক্তি বলে বলীয়ান হয়ে বড় হতে পারে।
১৯৭৪ সালের কথা। ২১ বছর বয়সী এক কোরিয়ান তরুনী তার প্রথম সন্তান প্রসব করলেন। মায়োবানি মরণ যন্ত্রণায় ছটফট করছিল, একজন ইন্টার্নী ডাক্তার তার চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ছিল। অবশেষে ৯ পাউন্ড ওজনের এক পুত্রসন্তান ভুমিষ্ট হল। কিন্তু একি, নবজাতকের কন্ঠে কোন সাড়া নেই। আঁৎকে উঠলো ডাক্তার, কিছুক্ষণ চেষ্টা করেও বিশেষ ফল হলনা। শিশুটির শরীর নীল হয়ে গেল। “ আমি দুঃখিত ও আর বেঁচে নেই”, ডাক্তার শিশুটির পিতামাতাকে সমবেদনা জানিয়ে, একটি কাপড়ে মৃত শিশুকে জড়িয়ে তাকে তুলে দিয়ে বিদায় নিলেন। ব্যথিত পিতা ইয়ং জাং চুং নিজের প্রথম সন্তানের কবর খুঁড়তে বাইরে যাওয়ার পরই মায়োবানি পাগলের মত কাপড়ে জড়ানো দেহটি বুকে জড়িয়ে ধরে পরম প্রশান্তিতে আস্তে আস্তে ঘুমিয়ে পড়ল। প্রায় দু ’ঘন্টা পর মায়োবানি জেগে উঠল, তার কোলে সন্তান হঠাৎ নড়ে উঠেছে। শিশুর গায়ের চামড়া এখন গোলাপী বর্ণ ধারণ করেছে। ক্রমে তার নিঃশ্বাসের শব্দও পাওয়া গেল এবং হঠাৎ কাঁদতে শুরু করল শিশুটি। চিৎকার করে উঠল মায়োবানি, আমার সন্তান বেঁচে আছে! এই অলৌকিক শিশুটির নাম হান-কী। জন্মমুহূর্তে ডাক্তারের ভুলের কারণে হান-কীর ব্রেনের গুরুত্বপূর্ণ নার্ভ কেটে যাওয়ায় সে সেরেব্রাল পালসি রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। ওর বয়স দুই বছর হওয়ার পরও সে হাঁটতে বা ভালমত কথা বলতে পারে না, মাথা সোজা রাখতে পারে না, হাতের আঙুল মুঠো করতে বা নাড়তে পারে না। উদ্বিগ্ন মা ১৯৭৮ সালে চার বছর বয়সী হান-কীকে বড় ডাক্তার দেখালেন। ডাক্তার সেরেব্রাল পালসি শনাক্ত করে বললেন, এ রোগ কখনো ভাল হয় না। কিন্তু মায়োবনি তার সন্তানকে উপযুক্ত মানুষ করে গড়ে তুলতে আবারো সংকল্পবদ্ধ হলেন।তিনি প্রতিবন্ধী শিশুদের স্কুলে হান-কীকে ভর্তি করার জন্য খোঁজখবর নিতে গেলেন। দেখলেন শিশুদের চেয়ারের সাথে শিকল দিয়ে বেধে রাখা হয়েছে। না হান -কীকে এ অবস্থার দিকে তিনি ভাবতেও পারেন না। মায়োবানি হান-কীকে একজন ডাক্তারের কাছে নিয়ে তার আইকিউ টেষ্ট করলেন, ডাক্তার দেখলেন শিশুটির আইকিউ গড় সাধারণ শিশুদের চাইতে অনেক ওপরে এবং সে খুব বুদ্ধিমান। মায়ের আত্মবিশ্বাস গেল বেড়ে। এরপর তিনি ডাক্তারের দেয়া আইকিউ রিপোর্টসহ হান-কীকে প্রাইমারী স্কুলে ভর্তি করাতে সক্ষম হলেন। পরের দিন মায়োবানি তার ৬৫ পাউন্ড ওজনের পুত্রকে কাঁধে নিয়ে স্কুলে আনা-নেয়া করতে লাগলেন। দেখে লোকজন হাসাহাসি করে কিন্তু মায়োবনি অটল অবিচল। হান-কী অতিকষ্টে পাখির মত পেন্সিল ধরতে পারত এবং প্রচন্ড অধ্যবসায়ের সাথে সে কাগজে আঁচড় কেটে সঠিক উত্তরটি লিখত। স্কুলে ওর চার বছর পার হওয়ার পর এবং একসময় নিজের পায়ে হাঁটতে চেষ্টা করেও সফল হল সে। মায়োবনি ওর সর্বক্ষণের সঙ্গী বন্ধু। এ ছাড়া আর সবাই হান-কীকে এড়িয়ে চলে ওর অদ্ভুত আচরণের জন্য। এভাবে বছরের পর বছর গড়িয়ে একসময় সবাইকে অবাক করে দিয়ে উচ্চ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষায় পাস করে সে। মায়োবানির স্বপ্নের পালে জোর হাওয়া লাগে এবার। সিউল ন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি কোরিয়ার সবচে ‘মর্যাদাশীল বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে ৫ হাজার সীটের জন্য পাঁচ লক্ষাধিক ছাত্র পরীক্ষা দেয়। অর্থাৎ প্রতি আসনের জন্য একশ জন। এখানে ভর্তি পরীক্ষায় প্রথমবারে অনুত্তীর্ণ হয়েও দমল না হান-কী। পরের বছর ১৯৯৩ সালে এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করল হান-কী। প্রথমবারের মত একজন সেরেব্রাল পালসি রোগী সিউল ন্যাশনাল বিম্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ করে নিলে। হান-কী জাতীয় বীরের মত মর্যাদা পেল। কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম য়ং সাম নিজে টেলিফোন করে অভিনন্দন জানালেন তাকে। ১৯৯৪ সালের মে মাসে সিউলের সেজং কালচারাল সেন্টারে এক জমকালো অনুষ্ঠানে কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী লী ইয়ং ডাক মঞ্চ থেকে মাইকে মায়োবানির নাম ঘোষণা করলেন এবং হল ভর্তি হর্ষোৎফুল্ল দর্শকরা অভিনন্দিত করল তাকে। প্রধানমন্ত্রী তার হাতে ‘প্যারেন্ট অব দি ইয়ার ‘সার্টিফিকেট তুলে দিলেন। ১৯৯৫ সালে ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় বছরে হান-কী সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে একাডেমিক স্কলারশিপ লাভ করে।
চলো এবার, ভূগোল শাস্ত্রে মুসলমানদের অবদান নিয়ে কিছু বলি। ভূগোল শাস্ত্রে তাদের অনন্য অবদানের পিছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে হজ্জ পালন। প্রত্যেক সামর্থবান মুসলিমের জন্য হজ্জ ফরয,আর তাই সারাবিশ্বের মুসলিমদের কাছে মক্কা তথা আরব ভৌগোলিকভাবেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত: মক্কাকে কেন্দ্র করে নানা প্রকার ভুল-চিত্র অঙ্কিত হতে থাকে। অবশেষে, খলিফা আল মামুনের প্রচেষ্টায় আল খারেজিমী ঊনসত্তরজন ভূতত্ত্ববিদসহ কঠোর সাধনা করে একখানি ‘সুরাত আল আরদ ‘বা দুনিয়ার বাস্তব রূপ দাঁড় করান। এটাই পরবর্তীকালে পৃথিবীর মানচিত্র অঙ্কনে মডেল হিসাবে কাজ করে। তাতে পৃথিবীর আবহাওয়ার তারতম্য অনুসারে সাতটি ইকলিম বা মন্ডলে ভাগ করা হয়েছিল। আজ আমরা সাগরবেষ্টিত সপ্ত-মহাদেশে বিভক্ত যে পৃথিবীর বাস্তব রূপের সাথে পরিচিত, তার নির্ভুল পরিকল্পনা মুসলিম ভুতত্ত্ববিদদের হাতেই রচিত হয়েছিল এগারো –শ’বৎসর আগে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/671/24
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।