hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মোরা বড় হতে চাই

লেখকঃ আহসান হাবীব ইমরোজ

২৭
ছোট থাকবো না মোরা চিরদিন
ছোট থাকবো না মোরা চিরদিন

চলো একটু বেড়িয়ে আসি সেই ১৯৪৫/৪৬ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র হল সলিমুল্লাহ হলে। সেখানে বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হচ্ছে। ডায়াসে আছেন হল ছাত্র সংসদের সভাপতি,পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ডক্টর মোয়াজ্জেম হোসেন। কি আশ্চর্য ব্যাপার দেখ, একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে প্রায় প্রতিটি বিষয়েই প্রথম স্থান অধিকার করেছে। বাংলা রচনা, বাংলা বিতর্ক, বাংলা বক্তৃতা, বাংলা উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিটি বিষয়ে সে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। আর শুধু কি তাই! সর্বাধিক আইটেমে প্রথম হওয়ার সুবাদে আবার একটি বিশেষ পুরস্কার। দেখ কেমন পাতলা ছিপছিপে চেহারা . চোখে চশমা, মাথায় তুর্কী টুপি, শেরওয়ানী ও চোস্ত পাজামা পরিহিত ছেলেটি। ডায়াস থেকে একটি বিষয়ে প্রথম হওয়ার জন্য তার নাম ঘোষিত হচ্ছে, সেই পুরস্কার নিয়ে নিজ আসনে বসতে বসতে আবার তার নাম ঘোষিত হচ্ছে। সবকটি বিষয়ের প্রথম শুধুমাত্র আজকে যেন সেই ছেলেটির জন্যই উৎসর্গীকৃত। ডায়াস – টু -নিজ চেয়ার বারংবার ওঠানামা করতে সেই ছেলেটি খুবই কর্মক্লান্ত। অথচ বিজয়ের ভাস্বরজ্যোতি তার মুখে দেদীপ্যমান ছেলেটির কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলছে। পারঙ্গমতা দেখে মনে হয়, এ নিয়েই বুঝি কাটে তার সারা দিনরাত। কিন্তু না, পড়ালেখাতে সে সমানতালে কৃতিত্বপূর্ন -মেট্রিকে সে সম্মিলিত মেধাতালিকায় ৫ম এবং আই,এ পরীক্ষায় ৬ষ্ঠ স্থান অধিকার করে। শুধু কি তাই, ইংরেজি অনার্সে ফার্স্টক্লাস ফার্স্ট আর মাস্টার্সেও ফার্স্টক্লাস। অতঃপর চল্লিশ বৎসর বয়সে একজন নামকরা কৃতিছাত্র হিসাবে তিনি ক্যামব্রীজ থেকে পি এইচ ডি করেন। নাহ! তোমাদের বোধহয় আর তর সইছেনা। কে এই ছেলেটি? তিনি হলেন সৈয়দ আলী আশরাফ। হ্যাঁ – হ্যাঁ তিনিই হলেন মরহুম ডক্টর সৈয়দ আলী আশরাফ, বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি লেভেলের বিশ্ববিদ্যালয় দারুল ইহসানের প্রতিষ্ঠাতা ভিসি। ১৯৯৮ সালের ৭ আগস্ট তিনি এই নশ্বর দুনিয়া চেড়ে চলে গেছেন চিরদিনের তরে। তিনি এক রত্নগর্ভা মায়ের সন্তান, তারা পাঁচ ভাই পাঁচ বোন ছিলেন। বড় ভাই অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসান –জাতীয় অধ্যাপক ও সাবেক রাজশাহী এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি (মরহুম), দ্বিতীয় অধ্যাপক সৈয়দ আলী রেজা প্রখ্যাত হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার,অধ্যাপক সৈয়দ আলী নকী দারুল ইহসানের বর্তমান প্রোভিসি, সৈয়দ আলী তকী এক সময়কার বাংলার শিক্ষক। এসো আমরাও এই মহাপুরুষের মতো হওয়ার জন্য চেষ্টা করি।

ইন্টারনেট বদলে দিয়েছে পশ্চিমা কিশোরদের জীবনযাত্রা। বেসবল, বাস্কেটবল, টেনিস নিয়ে মেতে থাকা কিশোর কিশোরীরা এখন মেতে থাকছে কম্পিউটার নিয়ে। যারা একটু সৃজনশীল তারা ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ওয়েবপেজ ডিজাইন, ওয়েব হোস্টিং নিয়ে। রিসার্চ কম্পিউটার ইকোনমিক্স নামের একটি সংস্থার হিসাবে গোটা আমেরিকার প্রায় লক্ষাধিক কিশোর কিশোরী এখন ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে কিছু না কিছু উপার্জন করছে। ইন্টারনেট থেকে আয় করে রীতিমত ধনকুবের হওয়ার উদাহরনটা কিন্তু অন্যদিকে। ৮ থেকে ১৮ বছর বয়সী ১০০ জন ইন্টাপ্রেনউয়ার এর ওপর জরিপ চালিয়ে দেখেছে ইয়ং বিজ ম্যাগাজিন। শীর্ষস্থানীয় ৪ জন কিশোর উদ্যোক্তার গড় আয় প্রায় চার লক্ষ ৩৩ হাজার ডলার। এরা সবাই ইন্টারনেট থেকে লাখপতি হয়েছে ই-কমার্স আর ওয়েব ডিজাইনের কাজ করে। অবশ্য লাখপতিদের সবাই যে খুব ভেবেচিন্তে কাজ শুরু করেছে তা নয়। সামান্য মেধা, সামান্য আলাপ, সামান্য এডভেঞ্চার থেকেই শুরু অনেক সময় অসামান্য ঘটনার নায়ক হয়ে গেছে তারা। অন্তত মাইকেল ফারডিকের ক্ষেত্রে তো এক্সিডেন্টই ছিল সমস্ত ঘটনার উৎস। ১৯৯৭ সালে সে সময় মাইকেল ফারডিকের বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর। কানাডার টরেন্টোতে বাবা-মায়ের সাথে থাকতো সে। স্রেফ মজা করার জন্য বাড়ির গ্যারেজে বসে বসে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সে।

ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে সে বিষয়ে কিছু লেখা আর ছবি ছিল সে সাইটে। এ সাইটেই একবার ভিজিট করতে আসে ১৬ বছরের অষ্ট্রেলিয়ান কিশোর মাইকেল হেম্যান। চ্যাট রুম থেকে ধীরে ধীরে আলাপ জমে ওঠে পনের ষোল বছরের দুই সমমনা কিশোরের মধ্যে। এ আকস্মিক আলাপ থেকেই এক সময় বেরিয়ে আসে হেল্প সাইট তৈরির আইডিয়া।

১০০ ডলার খরচ করে মাই ডেস্কটপ ডট কম নামের একটি ডোমেইনে নেম কেনে ফারডিক আর হেম্যান মিলে। ওয়েবসাইটে দেয়ার জন্য উইন্ডোজ সংক্রান্ত টিপস, গেমস আর অন্য ইনফরমেশনের গুলো নিজেরাই জোগাড় করে এখান -ওখান থেকে। ওয়েব সাইট হোস্ট করার জন্য যে সার্ভার স্পেস দরকার তাও ম্যানেজ করা হয় একটি কোম্পানির সঙ্গে কথা বলে। কোম্পানি বিনা পয়সায় তাদের ওয়েবসাইটের জন্য জায়গা করে দেবে, বিনিময়ে সাইটে দেখাতে হবে ওই কোম্পানির বিজ্ঞাপন। একমত হয়ে কাজ শুরু করে দেয় দুই কিশোর। তাদের চোখে তখন এডভেঞ্চারের নেশা।

অথচ বিস্ময়ের বিষয় হলো, পৃথিবীর দুই প্রান্তের এ দুজন কিশোর কিন্তু এতো বড় একটা কাজের আগে সামনাসামনি একবার দেখাও করেনি। এমনকি টেলিফোনেও মাত্র দুই একবার কথা হয়েছে তাদের। ই-মেইলে তাদের পরিচয়, ই-মেইলে আলাপ ই-মেইলেই সখ্যতা। আজ থেকে পাচঁ বছর আগেও এমন কিছু কারো ভাবনাতেই আসতোনা। ১৯৯৮ তেই মাই ডেস্কটপ ডট কমে দর্শনার্থীও সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় মাসে ১০ হাজার। বুদ্ধি করে একটা এডভার্টাইজিং ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করে তারা। ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখানো বাবদ মাসে আয় করতে থাকে হাজার হাজার ডলার। মাইক্রোসফট উইনজিপের মতো কোম্পানিও বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করে তাদের সঙ্গে। এ সময়ই তাদের সুবিধার জন্য অস্ট্রেলিয়ার ছেড়ে কানাডায় চলে আসে হেম্যান। কানাডায় আসার পর দুই কিশোর মিলে আরো বড়সড়ো করে তোলে সাইটের কার্যক্রম। তাদের সাইটে দর্শক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় মাসে ১০ লাখ। মাসিক উপার্জন হয়ে দাড়ায় ৩০ হাজার ডলার। ইন্টারনেট ডট-কম নামের একটা প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি থেকে এ সময় প্রস্তাব আসে মাই ডেস্কটপ ডট-কম কিনে নেয়ার। অনেক আলাপ আলোচনার পর নিজেদের শখের কোম্পানিকে অন্যের হাতে তুলে ফারডিক -হেম্যান। বিনিময় মূল্যটা অবশ্য ঠিকই বুঝে নেয় তারা। প্রাথমিকভাবে দুজনের ভাগে পড়ে ৪ মিলিয়ন ডলার করে। সঙ্গে ইন্টারনেট ডট-কম কোম্পানির কিছু শেয়ার। কোম্পানির লাভ যাতো বাড়বে, সারা জীবন ধরে তার একটা লভ্যাংশ পেতেই থাকবে এ দুই কিশোর।

চড়া দামে মাই ডেস্কটপ ডট-কম বিক্রির পরে স্বাভাবিকভাবে মিডিয়ার কাছে হট আইটেমে পরিণত হয় ফারডিক হেম্যান। নিজেদের অভিজ্ঞতার ব্যাপারে বিভিন্ন জায়গায় পয়সার বিনিময়ে লেকচার দিতে শুরু করে তারা। সঙ্গে যোগ দেয় ফারডিকের গার্লফ্রেন্ড ক্যারোইরো। মেয়েদেরকে কি করে আরো প্রযুক্তিমুখী করা যায় সে বিষয়ে কাজ করতো ক্যরোইরো। এভাবেই এক সময় মাইক্রোসফটের এক কর্তাব্যাক্তির নজরে পড়ে যায় তারা। ফারডিক আর ক্যারোইরোর চাকুরির ব্যবস্থা করা হয় মাইক্রোসফটে। কিশোর-কিশোরীরা কি ধরনের সফটওয়্যার পছন্দ করে, কি ধরনের গেমস খেলে, কোন ধরনের ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করে সে বিষয়ে নতুন প্রজন্মের দৃষ্টিভঙ্গি মাইক্রোসফটকে জানানো হবে তাদের কাজ। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী মাইক্রোসফট তাদের পরবর্তী সফটওয়্যার গেমস বা ওয়েব সার্ভিসগুলোকে আরো আকর্ষণীয় করে সাজিয়ে তুলবে। তবে মাইক্রোসফটের চাকরি নিয়েই কিন্তু শুধু মেতে নেই ফারডিক। বাইবাডি ডট-কম নামের আরেকটা ওয়েবসাইট খুলেছে সে। আলাদা একটা অফিস ভাড়া করেছে। ২০ জন কর্মচারী এখন কাজ করছে ১৮ বছর বয়সী এই কিশোরের কোম্পানিতে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, ছেলের প্রজেক্ট অংশ নেয়ার জন্য এনসিআর কোম্পানির ম্যানেজিং পার্টনারের কাজ ছেড়ে বাইবাডি ডট- কমের প্রধান নির্বাহী হিসাবে যোগ দিয়েছেন ৪৫ বছর বয়সী মাইকেলের বাবা।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন