HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
সোনামনিদের হাদীস শিক্ষা আসর-১
লেখকঃ আলী হাসান তৈয়ব
১০
অহংকার করো না‘আব্দুল্লাহ ইবন মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সালালাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ مِنْ كِبْرٍ» قَالَ رَجُلٌ : إِنَّ الرَّجُلَ يُحِبُّ أَنْ يَكُونَ ثَوْبُهُ حَسَنًا وَنَعْلُهُ حَسَنَةً، قَالَ : «إِنَّ اللهَ جَمِيلٌ يُحِبُّ الْجَمَالَ، الْكِبْرُ بَطَرُ الْحَقِّ، وَغَمْطُ النَّاسِ»
‘যার মনে একটি অণু পরিমাণও অহংকার থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ উপস্থিত একজন জানতে চাইলো, ‘হে আল্লাহর রাসূল, যদি কেউ এমন পছন্দ করে যে তার পোশাক ও জুতা সুন্দর দেখাক’। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘আল্লাহ নিজেই সুন্দর এবং তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন। অহংকার মানে, সত্যকে প্রত্যাখান করা ও মানুষকে ছোট করে দেখা।’ [মুসলিম : ৯১]
বন্ধুরা, নিশ্চয় শুনেছ ‘অহংকার পতনের মূল’। আজ আমরা সেই অহংকার বিষয়ে আলোচনা করব। অহংকার একটি ঘৃণিত চরিত্র যা উদ্ধত ইবলিসের বৈশিষ্ট্য। সর্বপ্রথম যে অহংকার করেছিল আল্লাহ ও তাঁর সৃষ্টিজগতের প্রতি সে অভিশপ্ত ইবলিস শয়তান। যখন আল্লাহ তাকে আদেশ করেছিলেন আদম আলাইহিস সালামকে সিজদা করতে সে অহংকারের বশে সিজদা করতে অস্বীকার করেছিল। সে আগুনের তৈরি বলে সে নিজেকে উত্তম আর মাটির তৈরি বলে আদমকে অধম ভেবেছিল। তাই সংক্ষেপে বললে অহংকার বলতে বুঝায় অন্যকে ছোট আর নিজেকে বড় ভাবা। নিজেকে উত্তম আর অন্যকে অধম মনে করা। অহংকার এমন একটি পাপের স্বভাব যার বিন্দু পরিমাণই অপরাধ হিসেবে যথেষ্ট। সামান্য অহংকারই মানুষকে জাহান্নামে নিয়ে যাবে।
আমরা নানাভাবে অহংকার প্রকাশ করি, যখন কেউ সত্য গ্রহণে অস্বীকৃতি জানাই কিংবা অপ্রয়োজনে তর্কে জড়াই। সত্য অনুধাবনের পরও কেবল সত্য উপস্থাপনকারীর সঙ্গে অহং দেখিয়ে সত্য গ্রহণ করি না। যুগে যুগে অনেক ব্যক্তি ও গোষ্ঠী শুধু অহংকারের দরুণ সত্য থেকে বঞ্চিত হয়ে নিজের সর্বোচ্চ ক্ষতি করেছে। তেমনি যখন কেউ নিজেই নিজের সৌন্দর্য ও রূপে আহ্লাদিত হই, ভালো খাবার ও পোশাকের কারণে বড়াই করি; নিজেকে মানুষের কাছে বড় করে মেলে ধরি আর অন্যকে করি তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য; তখনও আমরা অহংকার করি।
অহংকার কেন এত বড় অপরাধ? কারণ, আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও অহংকার সাজে না। আমরা অহংকার করি কোন দুঃসাহসে? আমরা কত দুর্বল, কত অক্ষম তা কি একটু চিন্তা করে দেখেছি? তাহলে তো মনে কোনো অহংকারের উদয় হতে পারে না। আমাদের জন্ম কত দুর্বলভাবে। জন্মের পর আমরা কত অসহায় থাকি। মায়ের সাহায্য ছাড়া কিছুই করতে পারি না। যখন বড় হয়ে যৌবনে পৌঁছি, তারুণ্যে টগবগ করি তখনও আমাদের অসহায়ত্ব তখনো অবশিষ্ট থাকে। দেখ না, আল্লাহ আমাদের দেহে যে শৃঙ্খলাব্যবস্থা রেখেছেন তার সামান্য ব্যত্যয় হলেই আমরা কত অসহায় বোধ করি। সামান্য জ্বর-সর্দি হলেই দুনিয়াকে বিস্বাদ মনে হয়। যত ক্ষমতাবান, শক্তিশালী আর ধনীই হই না কেন আল্লাহ চাইলে মুহূর্তেই আমাকে অক্ষম বানাতে পারেন। পারেন আমার জীবনপ্রদীপ নিভিয়ে নিথর করে দিতে।
আল্লাহ আমাদের সে কথাই স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন কুরআনে,
﴿ وَلَا تُصَعِّرۡ خَدَّكَ لِلنَّاسِ وَلَا تَمۡشِ فِي ٱلۡأَرۡضِ مَرَحًاۖ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُحِبُّ كُلَّ مُخۡتَالٖ فَخُورٖ ١٨ وَٱقۡصِدۡ فِي مَشۡيِكَ وَٱغۡضُضۡ مِن صَوۡتِكَۚ إِنَّ أَنكَرَ ٱلۡأَصۡوَٰتِ لَصَوۡتُ ٱلۡحَمِيرِ ١٩ ﴾ [ لقمان : ١٨، ١٩ ]
‘অহংকারবশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করো না, পৃথিবীতে গর্বভরে পদচারণা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না। জমিনে চলার সময় তুমি মধ্যমপন্থা অবলম্বন করো এবং কণ্ঠস্বর নিচু করো।’ {সূরা লুকমান : ১৮-১৯}
মনে রাখবে, অহংকারীকে কেউ পছন্দ করে না। অহংকারী সবার কাছেই ঘৃণার পাত্র। পক্ষান্তরে বিনয়ী, সভ্য, ভদ্র ও শান্ত ব্যক্তিকে সবাই পছন্দ করে।
«لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ مِنْ كِبْرٍ» قَالَ رَجُلٌ : إِنَّ الرَّجُلَ يُحِبُّ أَنْ يَكُونَ ثَوْبُهُ حَسَنًا وَنَعْلُهُ حَسَنَةً، قَالَ : «إِنَّ اللهَ جَمِيلٌ يُحِبُّ الْجَمَالَ، الْكِبْرُ بَطَرُ الْحَقِّ، وَغَمْطُ النَّاسِ»
‘যার মনে একটি অণু পরিমাণও অহংকার থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ উপস্থিত একজন জানতে চাইলো, ‘হে আল্লাহর রাসূল, যদি কেউ এমন পছন্দ করে যে তার পোশাক ও জুতা সুন্দর দেখাক’। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘আল্লাহ নিজেই সুন্দর এবং তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন। অহংকার মানে, সত্যকে প্রত্যাখান করা ও মানুষকে ছোট করে দেখা।’ [মুসলিম : ৯১]
বন্ধুরা, নিশ্চয় শুনেছ ‘অহংকার পতনের মূল’। আজ আমরা সেই অহংকার বিষয়ে আলোচনা করব। অহংকার একটি ঘৃণিত চরিত্র যা উদ্ধত ইবলিসের বৈশিষ্ট্য। সর্বপ্রথম যে অহংকার করেছিল আল্লাহ ও তাঁর সৃষ্টিজগতের প্রতি সে অভিশপ্ত ইবলিস শয়তান। যখন আল্লাহ তাকে আদেশ করেছিলেন আদম আলাইহিস সালামকে সিজদা করতে সে অহংকারের বশে সিজদা করতে অস্বীকার করেছিল। সে আগুনের তৈরি বলে সে নিজেকে উত্তম আর মাটির তৈরি বলে আদমকে অধম ভেবেছিল। তাই সংক্ষেপে বললে অহংকার বলতে বুঝায় অন্যকে ছোট আর নিজেকে বড় ভাবা। নিজেকে উত্তম আর অন্যকে অধম মনে করা। অহংকার এমন একটি পাপের স্বভাব যার বিন্দু পরিমাণই অপরাধ হিসেবে যথেষ্ট। সামান্য অহংকারই মানুষকে জাহান্নামে নিয়ে যাবে।
আমরা নানাভাবে অহংকার প্রকাশ করি, যখন কেউ সত্য গ্রহণে অস্বীকৃতি জানাই কিংবা অপ্রয়োজনে তর্কে জড়াই। সত্য অনুধাবনের পরও কেবল সত্য উপস্থাপনকারীর সঙ্গে অহং দেখিয়ে সত্য গ্রহণ করি না। যুগে যুগে অনেক ব্যক্তি ও গোষ্ঠী শুধু অহংকারের দরুণ সত্য থেকে বঞ্চিত হয়ে নিজের সর্বোচ্চ ক্ষতি করেছে। তেমনি যখন কেউ নিজেই নিজের সৌন্দর্য ও রূপে আহ্লাদিত হই, ভালো খাবার ও পোশাকের কারণে বড়াই করি; নিজেকে মানুষের কাছে বড় করে মেলে ধরি আর অন্যকে করি তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য; তখনও আমরা অহংকার করি।
অহংকার কেন এত বড় অপরাধ? কারণ, আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও অহংকার সাজে না। আমরা অহংকার করি কোন দুঃসাহসে? আমরা কত দুর্বল, কত অক্ষম তা কি একটু চিন্তা করে দেখেছি? তাহলে তো মনে কোনো অহংকারের উদয় হতে পারে না। আমাদের জন্ম কত দুর্বলভাবে। জন্মের পর আমরা কত অসহায় থাকি। মায়ের সাহায্য ছাড়া কিছুই করতে পারি না। যখন বড় হয়ে যৌবনে পৌঁছি, তারুণ্যে টগবগ করি তখনও আমাদের অসহায়ত্ব তখনো অবশিষ্ট থাকে। দেখ না, আল্লাহ আমাদের দেহে যে শৃঙ্খলাব্যবস্থা রেখেছেন তার সামান্য ব্যত্যয় হলেই আমরা কত অসহায় বোধ করি। সামান্য জ্বর-সর্দি হলেই দুনিয়াকে বিস্বাদ মনে হয়। যত ক্ষমতাবান, শক্তিশালী আর ধনীই হই না কেন আল্লাহ চাইলে মুহূর্তেই আমাকে অক্ষম বানাতে পারেন। পারেন আমার জীবনপ্রদীপ নিভিয়ে নিথর করে দিতে।
আল্লাহ আমাদের সে কথাই স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন কুরআনে,
﴿ وَلَا تُصَعِّرۡ خَدَّكَ لِلنَّاسِ وَلَا تَمۡشِ فِي ٱلۡأَرۡضِ مَرَحًاۖ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُحِبُّ كُلَّ مُخۡتَالٖ فَخُورٖ ١٨ وَٱقۡصِدۡ فِي مَشۡيِكَ وَٱغۡضُضۡ مِن صَوۡتِكَۚ إِنَّ أَنكَرَ ٱلۡأَصۡوَٰتِ لَصَوۡتُ ٱلۡحَمِيرِ ١٩ ﴾ [ لقمان : ١٨، ١٩ ]
‘অহংকারবশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করো না, পৃথিবীতে গর্বভরে পদচারণা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না। জমিনে চলার সময় তুমি মধ্যমপন্থা অবলম্বন করো এবং কণ্ঠস্বর নিচু করো।’ {সূরা লুকমান : ১৮-১৯}
মনে রাখবে, অহংকারীকে কেউ পছন্দ করে না। অহংকারী সবার কাছেই ঘৃণার পাত্র। পক্ষান্তরে বিনয়ী, সভ্য, ভদ্র ও শান্ত ব্যক্তিকে সবাই পছন্দ করে।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন