HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
সোনামনিদের হাদীস শিক্ষা আসর-১
লেখকঃ আলী হাসান তৈয়ব
৯
গীবত বা পরচর্চা থেকে বিরত থাকোআবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের উদ্দেশে বললেন,
«أَتَدْرُونَ مَا الْغِيبَةُ؟» قَالُوا : اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، قَالَ : «ذِكْرُكَ أَخَاكَ بِمَا يَكْرَهُ» قِيلَ أَفَرَأَيْتَ إِنْ كَانَ فِي أَخِي مَا أَقُولُ؟ قَالَ : «إِنْ كَانَ فِيهِ مَا تَقُولُ، فَقَدِ اغْتَبْتَهُ، وَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِيهِ فَقَدْ بَهَتَّهُ»
‘তোমরা জানো গীবত কী? সাহাবীগণ বললেন, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমার ভাই সম্পর্কে তোমার এমন আলোচনা যা সে অপছন্দ করে। বলা হলো, আমার ভাইয়ের মধ্যে যদি তা সত্যিই থাকে তাহলে সে ব্যাপারে আপনি কী বলবেন? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যদি তার মধ্যে সে দোষ থাকে তবেই তো তুমি তার গীবত করলে। আর যদি তার মধ্যে সে দোষ না থাকে তবে তুমি তাকে অপবাদ দিলে।’ [মুসলিম : ২৫৮৯]
ছোট্ট বন্ধুরা, খেয়াল করলে দেখবে আমরা বাসায় বা বিদ্যালয়ে কিংবা খেলার মাঠে বা যে কোনো সভায় কয়েকজন একত্রিত হলে খুব সাধারণভাবেই অন্যের আড়ালে বা অগোচরে মন্দ কথা বলি। কটু বা অপ্রিয় বাক্য উচ্চারণ করি। আবার গল্প জমাতে কিংবা হাসির তোড়ে অপরের দোষ-ত্রুটিও চর্চা করি। এ কাজের নামই গীবত বা পরচর্চা। আমাদের কেউ পরচর্চা করলে তুমি যদি তাকে বলো ভাই, গীবত করতে নেই। এটা তো খুবই গর্হিত কাজ। দেখবে সে বলবে, আরে, এটা আবার গীবত হয় কী করে; ও তো সত্যিই এমন দোষের অধিকারী।
এ হাদীস থেকে আমরা জানতে পারছি, সত্যিই যদি আলোচনা করা ব্যক্তি ওই দোষের অধিকারী হন তবেই না সেটাকে গীবত বলে গণ্য করা হবে। অন্যথায় সেটা অপবাদের শামিল হবে! আর কারো প্রতি অপবাদ আরোপ করা তো আরও ভয়ঙ্কর অপরাধ। দেখ, গীবত একটি হারাম কাজ। পরনিন্দা বা পরচর্চা করা কবীরা গুনাহ। শুধু ইসলাম কেন সকল ধর্ম এমনকি সব সমাজের দৃষ্টিতেই পরচর্চা নিন্দনীয় কাজ। পরচর্চার মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক নষ্ট হয়। সমাজে সৃষ্টি হয় অশান্তি আর অনাচার। দয়াময় আল্লাহ কী বলছেন দেখ,
﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱجۡتَنِبُواْ كَثِيرٗا مِّنَ ٱلظَّنِّ إِنَّ بَعۡضَ ٱلظَّنِّ إِثۡمٞۖ وَ لَا تَجَسَّسُواْ وَلَا يَغۡتَب بَّعۡضُكُم بَعۡضًاۚ أَيُحِبُّ أَحَدُكُمۡ أَن يَأۡكُلَ لَحۡمَ أَخِيهِ مَيۡتٗا فَكَرِهۡتُمُوهُۚ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَۚ إِنَّ ٱللَّهَ تَوَّابٞ رَّحِيمٞ ١٢ ﴾ [ الحجرات : ١٢ ]
‘হে মুমিনগণ, তোমরা অধিক অনুমান থেকে দূরে থাক। নিশ্চয় কোনো কোনো অনুমান তো পাপ। আর তোমরা গোপন বিষয় অনুসন্ধান করো না এবং একে অপরের গীবত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশ্ত খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো তা অপছন্দই করে থাক। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ অধিক তাওবা কবূলকারী, অসীম দয়ালু।’ {সূরা আল-হুজুরাত, আয়াত : ১২}
অর্থাৎ পবিত্র কুরআনে কোনো ভাইয়ের অসাক্ষাতে তার দোষচর্চা তথা গীবত করাকে তার গোশত খাওয়ার তুল্য ঘোষণা করা হয়েছে! একবার ভেবে দেখ, এর চেয়ে বড় খারাপ কাজ দুনিয়াতে আর কী হতে পারে? অথচ কী অবলীলায় না আমরা এই কাজটি করে থাকি। আল্লাহ মাফ করুন গীবত ছাড়া তো আমাদের কোনো আসরই জমে না। দেখ, তুমি যদি সালাত না আদায় করে থাক, সাওম পালন না করে থাক যার ফলে গুনাহ করে ফেল, তবে যখনই তোমার বুঝ হবে আল্লাহর কাছে নিষ্ঠার সঙ্গে তওবা করলে আল্লাহ মাফ করে দেবেন। কিন্তু গীবতের মতো কবীরা গুনাহ করলে মাফ চাইলেও আল্লাহ ক্ষমা করবেন না হয়তো। যাবৎ না তুমি ওই ভাইয়ের কাছ থেকে মাফ চেয়ে নিচ্ছো। কারণ, দোষচর্চার মধ্য দিয়ে তুমি তার হক নষ্ট করেছো। অতএব তার কাছ থেকেই মাফ নিতে হবে।
অতএব চলো পরনিন্দা আর গীবত করা থেকে বিরত থাকি এবং গীবতকারীর নিকট মাপ চেয়ে নিজেকে আখেরাতের জন্য তৈরি করি।
«أَتَدْرُونَ مَا الْغِيبَةُ؟» قَالُوا : اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، قَالَ : «ذِكْرُكَ أَخَاكَ بِمَا يَكْرَهُ» قِيلَ أَفَرَأَيْتَ إِنْ كَانَ فِي أَخِي مَا أَقُولُ؟ قَالَ : «إِنْ كَانَ فِيهِ مَا تَقُولُ، فَقَدِ اغْتَبْتَهُ، وَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِيهِ فَقَدْ بَهَتَّهُ»
‘তোমরা জানো গীবত কী? সাহাবীগণ বললেন, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমার ভাই সম্পর্কে তোমার এমন আলোচনা যা সে অপছন্দ করে। বলা হলো, আমার ভাইয়ের মধ্যে যদি তা সত্যিই থাকে তাহলে সে ব্যাপারে আপনি কী বলবেন? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যদি তার মধ্যে সে দোষ থাকে তবেই তো তুমি তার গীবত করলে। আর যদি তার মধ্যে সে দোষ না থাকে তবে তুমি তাকে অপবাদ দিলে।’ [মুসলিম : ২৫৮৯]
ছোট্ট বন্ধুরা, খেয়াল করলে দেখবে আমরা বাসায় বা বিদ্যালয়ে কিংবা খেলার মাঠে বা যে কোনো সভায় কয়েকজন একত্রিত হলে খুব সাধারণভাবেই অন্যের আড়ালে বা অগোচরে মন্দ কথা বলি। কটু বা অপ্রিয় বাক্য উচ্চারণ করি। আবার গল্প জমাতে কিংবা হাসির তোড়ে অপরের দোষ-ত্রুটিও চর্চা করি। এ কাজের নামই গীবত বা পরচর্চা। আমাদের কেউ পরচর্চা করলে তুমি যদি তাকে বলো ভাই, গীবত করতে নেই। এটা তো খুবই গর্হিত কাজ। দেখবে সে বলবে, আরে, এটা আবার গীবত হয় কী করে; ও তো সত্যিই এমন দোষের অধিকারী।
এ হাদীস থেকে আমরা জানতে পারছি, সত্যিই যদি আলোচনা করা ব্যক্তি ওই দোষের অধিকারী হন তবেই না সেটাকে গীবত বলে গণ্য করা হবে। অন্যথায় সেটা অপবাদের শামিল হবে! আর কারো প্রতি অপবাদ আরোপ করা তো আরও ভয়ঙ্কর অপরাধ। দেখ, গীবত একটি হারাম কাজ। পরনিন্দা বা পরচর্চা করা কবীরা গুনাহ। শুধু ইসলাম কেন সকল ধর্ম এমনকি সব সমাজের দৃষ্টিতেই পরচর্চা নিন্দনীয় কাজ। পরচর্চার মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক নষ্ট হয়। সমাজে সৃষ্টি হয় অশান্তি আর অনাচার। দয়াময় আল্লাহ কী বলছেন দেখ,
﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱجۡتَنِبُواْ كَثِيرٗا مِّنَ ٱلظَّنِّ إِنَّ بَعۡضَ ٱلظَّنِّ إِثۡمٞۖ وَ لَا تَجَسَّسُواْ وَلَا يَغۡتَب بَّعۡضُكُم بَعۡضًاۚ أَيُحِبُّ أَحَدُكُمۡ أَن يَأۡكُلَ لَحۡمَ أَخِيهِ مَيۡتٗا فَكَرِهۡتُمُوهُۚ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَۚ إِنَّ ٱللَّهَ تَوَّابٞ رَّحِيمٞ ١٢ ﴾ [ الحجرات : ١٢ ]
‘হে মুমিনগণ, তোমরা অধিক অনুমান থেকে দূরে থাক। নিশ্চয় কোনো কোনো অনুমান তো পাপ। আর তোমরা গোপন বিষয় অনুসন্ধান করো না এবং একে অপরের গীবত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশ্ত খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো তা অপছন্দই করে থাক। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ অধিক তাওবা কবূলকারী, অসীম দয়ালু।’ {সূরা আল-হুজুরাত, আয়াত : ১২}
অর্থাৎ পবিত্র কুরআনে কোনো ভাইয়ের অসাক্ষাতে তার দোষচর্চা তথা গীবত করাকে তার গোশত খাওয়ার তুল্য ঘোষণা করা হয়েছে! একবার ভেবে দেখ, এর চেয়ে বড় খারাপ কাজ দুনিয়াতে আর কী হতে পারে? অথচ কী অবলীলায় না আমরা এই কাজটি করে থাকি। আল্লাহ মাফ করুন গীবত ছাড়া তো আমাদের কোনো আসরই জমে না। দেখ, তুমি যদি সালাত না আদায় করে থাক, সাওম পালন না করে থাক যার ফলে গুনাহ করে ফেল, তবে যখনই তোমার বুঝ হবে আল্লাহর কাছে নিষ্ঠার সঙ্গে তওবা করলে আল্লাহ মাফ করে দেবেন। কিন্তু গীবতের মতো কবীরা গুনাহ করলে মাফ চাইলেও আল্লাহ ক্ষমা করবেন না হয়তো। যাবৎ না তুমি ওই ভাইয়ের কাছ থেকে মাফ চেয়ে নিচ্ছো। কারণ, দোষচর্চার মধ্য দিয়ে তুমি তার হক নষ্ট করেছো। অতএব তার কাছ থেকেই মাফ নিতে হবে।
অতএব চলো পরনিন্দা আর গীবত করা থেকে বিরত থাকি এবং গীবতকারীর নিকট মাপ চেয়ে নিজেকে আখেরাতের জন্য তৈরি করি।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন