HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
সোনামনিদের হাদীস শিক্ষা আসর-১
লেখকঃ আলী হাসান তৈয়ব
৫
হিংসা করো না‘আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لَا تَحَاسَدُوا، وَلَا تَبَاغَضُوا، وَلَا تَقَاطَعُوا، وَكُونُوا عِبَادَ اللهِ إِخْوَانًا»
‘তোমরা কারও প্রতি বিদ্বেষভাব রেখ না। পরস্পর হিংসা করো না। বিচ্ছেদভাব রেখ না। বরং একে অন্যের ভাই হয়ে যাও’। [মুসলিম : ২৫৫৯; বুখারী : ৫১৪৩]
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা : আমরা সামাজিক জীব। সমাজে পাশাপাশি সবাই বসবাস করি। সবাই আমরা জীবনের প্রয়োজনে একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। সমাজে যদি সবার সঙ্গে সবার সম্পর্ক ভালো থাকে তাহলে সেখানে শান্তি ও শৃঙ্খলা বিরাজ করে। অন্যথায় সমাজের শান্তি বিঘ্নিত হয়। আমাদের মনের সুখ অচিন পাখির মতো সুদূরে উড়াল দেয়। আলোচ্য হাদীসে সামাজিক শান্তি যাতে নষ্ট না হয় এ জন্য কিছু বর্জণীয় বিষয়ের ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সতর্ক করেছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে পরস্পর হিংসা ও বিদ্বেষ এবং অমিল ও বিভেদের মনোভাব দূর করতে বলেছেন। আর বসবাস করতে বলেছেন পরস্পরে ভাইয়ের মতো আপন হয়ে।
যে বিশেষণগুলো মানুষের উন্নতির পথে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়, মানুষকে আল্লাহ ও তাঁর অপরাপর বান্দার কাছে অপ্রিয় করে তোলে তার অন্যতম হলো হিংসা বা পরশ্রীকাতরতা। কেউ হয়তো তোমার চেয়ে দেখতে সুন্দর অথবা কেউ তোমাদের চেয়ে ধনী। রোজ স্কুলে এসে ও তোমার সামনে এটা সেটা কিনে খায়, দামি আর ভারি সুন্দর সব পোশাক পরে আসে। তুমি যদি এসব দেখে ভেতরে ভেতরে জ্বলতে থাক। কামনা করতে লাগ, তুমি ওর মত হয়ে যাও আর সে হয়ে যাক তোমার মত গরিব বা অসহায় তবে এটিই সে অন্তরের ব্যধি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যাকে হিংসা বলে নিন্দা করেছেন। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿ أَمۡ يَحۡسُدُونَ ٱلنَّاسَ عَلَىٰ مَآ ءَاتَىٰهُمُ ٱللَّهُ مِن فَضۡلِهِۦۖ ﴾ [ النساء : ٥٤ ]
‘আল্লাহ মানুষকে তার যে অনুগ্রহ দান করেছেন তার ওপর কি তারা হিংসা করে? {সূরা আন-নিসা, আয়াত : ৫৪}
অপর আয়াতে আল্লাহ হিংসুকের অকল্যাণ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করার জন্য তাঁর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)কে উদ্দেশ করে বলেন,
﴿ وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ ٥ ﴾ [ الفلق : ٥ ]
‘এবং (আপনি আশ্রয় প্রার্থনা করুন) হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে’। {সূরা আল-ফালাক, আয়াত : ৫}
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِيَّاكُمْ وَالْحَسَدَ، فَإِنَّ الْحَسَدَ يَأْكُلُ الْحَسَنَاتِ، كَمَا تَأْكُلُ النَّارُ الْحَطَبَ»
‘তোমরা হিংসা-পরশ্রীকাতরতা থেকে বেঁচে থাক। কেননা হিংসা-পরশ্রীকাতরতা নেকিকে খেয়ে ফেলে, যেমন আগুন খেয়ে ফেলে কাঠের খড়ি’। [আবূ দাউদ : ৪৯০৩ [. দুর্বল সূত্রে বর্ণিত।]]
কুরতুবী নামক তাফসীর গ্রন্থে বলা হয়েছে, আকাশে সর্বপ্রথম অনুষ্ঠিত গোনাহ হচ্ছে এই হিংসা-পরশ্রীকাতরতা, যা শয়তান বাবা আদমের (আলাইহিস সালাম) প্রতি হিংসাপরায়ণ হয়ে করেছিল। তেমনি পৃথিবীর সর্বপ্রথম পাপও হচ্ছে হিংসা, যা আদম আলাইহিস সালামের ছেলে কাবিল তার ভাই হাবিলের প্রতি করেছিল। হিংসা-পরশ্রীকাতরতা কতটুকু পাপের কাজ তা ওপরে উল্লেখিত আয়াত ও হাদীস দুটি থেকে বোঝা যায়। হিংসা যে করবে সে শয়তানের দলের লোক সাব্যস্ত হবে। হিংসাকারীর দু‘আ কবুল হয় না। হিংসার কারণে নেক আমল নষ্ট হয়ে যায়। আল্লাহর ক্রোধের পাত্র হতে হয়। তাছাড়া এই হিংসা-পরশ্রীকাতরতা এমন এক ব্যধি যার কারণে সারা দুনিয়ার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হিংসাকারী স্বয়ং বিভিন্ন মানসিক যাতনায় ভোগে। সর্বদা দুশ্চিন্তা করে। এমন মর্মপীড়ায় ভোগে যার কোনো প্রতিকার নেই। হিংসার অনলেই সে জ্বলে-পুড়ে ছাই হয়।
আল্লাহ আমাদের যাকে যা দিয়েছেন, তার ওপর সন্তুষ্ট থাকতে হবে। তিনি সমাজে ধনী-গরীব সৃষ্টি করেছেন। কাউকে শারীরিক পূর্ণতা দিয়েছেন কাউকে অপূর্ণতা দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। এসবে মানুষের কোনো হাত নেই। এর রহস্যও কেবল তিনি জানেন। এ বোধ যদি আমরা ভেতরে লালন ও পালন করি, তাহলে প্রশান্ত হয়ে উঠবে মন। শান্তিতে ভরে উঠবে আমাদের সবার জীবন।
«لَا تَحَاسَدُوا، وَلَا تَبَاغَضُوا، وَلَا تَقَاطَعُوا، وَكُونُوا عِبَادَ اللهِ إِخْوَانًا»
‘তোমরা কারও প্রতি বিদ্বেষভাব রেখ না। পরস্পর হিংসা করো না। বিচ্ছেদভাব রেখ না। বরং একে অন্যের ভাই হয়ে যাও’। [মুসলিম : ২৫৫৯; বুখারী : ৫১৪৩]
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা : আমরা সামাজিক জীব। সমাজে পাশাপাশি সবাই বসবাস করি। সবাই আমরা জীবনের প্রয়োজনে একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। সমাজে যদি সবার সঙ্গে সবার সম্পর্ক ভালো থাকে তাহলে সেখানে শান্তি ও শৃঙ্খলা বিরাজ করে। অন্যথায় সমাজের শান্তি বিঘ্নিত হয়। আমাদের মনের সুখ অচিন পাখির মতো সুদূরে উড়াল দেয়। আলোচ্য হাদীসে সামাজিক শান্তি যাতে নষ্ট না হয় এ জন্য কিছু বর্জণীয় বিষয়ের ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সতর্ক করেছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে পরস্পর হিংসা ও বিদ্বেষ এবং অমিল ও বিভেদের মনোভাব দূর করতে বলেছেন। আর বসবাস করতে বলেছেন পরস্পরে ভাইয়ের মতো আপন হয়ে।
যে বিশেষণগুলো মানুষের উন্নতির পথে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়, মানুষকে আল্লাহ ও তাঁর অপরাপর বান্দার কাছে অপ্রিয় করে তোলে তার অন্যতম হলো হিংসা বা পরশ্রীকাতরতা। কেউ হয়তো তোমার চেয়ে দেখতে সুন্দর অথবা কেউ তোমাদের চেয়ে ধনী। রোজ স্কুলে এসে ও তোমার সামনে এটা সেটা কিনে খায়, দামি আর ভারি সুন্দর সব পোশাক পরে আসে। তুমি যদি এসব দেখে ভেতরে ভেতরে জ্বলতে থাক। কামনা করতে লাগ, তুমি ওর মত হয়ে যাও আর সে হয়ে যাক তোমার মত গরিব বা অসহায় তবে এটিই সে অন্তরের ব্যধি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যাকে হিংসা বলে নিন্দা করেছেন। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿ أَمۡ يَحۡسُدُونَ ٱلنَّاسَ عَلَىٰ مَآ ءَاتَىٰهُمُ ٱللَّهُ مِن فَضۡلِهِۦۖ ﴾ [ النساء : ٥٤ ]
‘আল্লাহ মানুষকে তার যে অনুগ্রহ দান করেছেন তার ওপর কি তারা হিংসা করে? {সূরা আন-নিসা, আয়াত : ৫৪}
অপর আয়াতে আল্লাহ হিংসুকের অকল্যাণ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করার জন্য তাঁর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)কে উদ্দেশ করে বলেন,
﴿ وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ ٥ ﴾ [ الفلق : ٥ ]
‘এবং (আপনি আশ্রয় প্রার্থনা করুন) হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে’। {সূরা আল-ফালাক, আয়াত : ৫}
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِيَّاكُمْ وَالْحَسَدَ، فَإِنَّ الْحَسَدَ يَأْكُلُ الْحَسَنَاتِ، كَمَا تَأْكُلُ النَّارُ الْحَطَبَ»
‘তোমরা হিংসা-পরশ্রীকাতরতা থেকে বেঁচে থাক। কেননা হিংসা-পরশ্রীকাতরতা নেকিকে খেয়ে ফেলে, যেমন আগুন খেয়ে ফেলে কাঠের খড়ি’। [আবূ দাউদ : ৪৯০৩ [. দুর্বল সূত্রে বর্ণিত।]]
কুরতুবী নামক তাফসীর গ্রন্থে বলা হয়েছে, আকাশে সর্বপ্রথম অনুষ্ঠিত গোনাহ হচ্ছে এই হিংসা-পরশ্রীকাতরতা, যা শয়তান বাবা আদমের (আলাইহিস সালাম) প্রতি হিংসাপরায়ণ হয়ে করেছিল। তেমনি পৃথিবীর সর্বপ্রথম পাপও হচ্ছে হিংসা, যা আদম আলাইহিস সালামের ছেলে কাবিল তার ভাই হাবিলের প্রতি করেছিল। হিংসা-পরশ্রীকাতরতা কতটুকু পাপের কাজ তা ওপরে উল্লেখিত আয়াত ও হাদীস দুটি থেকে বোঝা যায়। হিংসা যে করবে সে শয়তানের দলের লোক সাব্যস্ত হবে। হিংসাকারীর দু‘আ কবুল হয় না। হিংসার কারণে নেক আমল নষ্ট হয়ে যায়। আল্লাহর ক্রোধের পাত্র হতে হয়। তাছাড়া এই হিংসা-পরশ্রীকাতরতা এমন এক ব্যধি যার কারণে সারা দুনিয়ার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হিংসাকারী স্বয়ং বিভিন্ন মানসিক যাতনায় ভোগে। সর্বদা দুশ্চিন্তা করে। এমন মর্মপীড়ায় ভোগে যার কোনো প্রতিকার নেই। হিংসার অনলেই সে জ্বলে-পুড়ে ছাই হয়।
আল্লাহ আমাদের যাকে যা দিয়েছেন, তার ওপর সন্তুষ্ট থাকতে হবে। তিনি সমাজে ধনী-গরীব সৃষ্টি করেছেন। কাউকে শারীরিক পূর্ণতা দিয়েছেন কাউকে অপূর্ণতা দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। এসবে মানুষের কোনো হাত নেই। এর রহস্যও কেবল তিনি জানেন। এ বোধ যদি আমরা ভেতরে লালন ও পালন করি, তাহলে প্রশান্ত হয়ে উঠবে মন। শান্তিতে ভরে উঠবে আমাদের সবার জীবন।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন